কলঙ্কিনী,২য় পর্ব,৩য় পর্ব

0
2714

কলঙ্কিনী,২য় পর্ব,৩য় পর্ব
লেখনীতেঃ রাফিজা আখতার সাথী
২য় পর্ব
,
সারা তাড়াতাড়ি করে নাসরিন বেগমের কাছে গিয়ে মাথাটা কোলে তুলে নেয় আর বলে,
,
-মা কি হয়েছে তোমার? মা তুমি আমাকে কলঙ্কিনী বল, অন্য কিছু থাকলে সেটাও বলো, আমার মুখে লাথি মারো। কিন্তু আমাকে দুরে সরিয়ে দিও না। কথা বলো মা!
,
নেহা সারা কে ধাক্কা মেরে দিয়ে মায়ের মাথাটা নিজের কোলের উপরে নিয়ে বলল,
,
-ভাবি তোমাকে তো বোনের আসনে বসিয়েছিলাম।
কিন্তু তুমি এটা কি করলে? ভাইয়ার ভালোবাসা, আমাদের বিশ্বাস সবকিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ কিভাবে করে দিতে পারলে?
তোমার ঐ মুখ দেখলেও আমার ঘৃণা হচ্ছে, জাস্ট ঘৃণা হচ্ছে।
,
সারা কাদতে কাদতে বলল,
,
-নেহা এমন বলো না। আমার শুরুও তোমরা আর শেষও তোমরা।
,
-ও শুরু আমরা আর শেষটাও আমরা মাঝখান দিয়ে তুমি অন্যকারো। তার শয্যসাথী। আমার কি ইচ্ছা করছে জানো তো! তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে কুকুর কে খাইয়ে দিতে ইচ্ছা করছে।
,
-নেহা!!!
,
-তোমার ঐ পাপি মুখে আমার নামটা নিওনা দয়া করে। তোমার মুখে নিজের নামটা শুনলে আমার সারাদেহ গুলিয়ে উঠছে।
,
-আমি কি এতোটাই পাপিষ্ঠা?
,
-তুমি কতটা পাপিষ্ঠা সেটা জানো না? তুমি কি বুঝতে পারছো কতটা পাপিষ্ঠা তুমি?
,
-নেহা বোন আমার, আমার কথাটা একটু শোনো। মাকে একটু ধরতে দাও।
,
সারা হাওমাও করে কাদতে লাগলো। এমন ভুল ও কিভাবে করে ফেললো নিজেই বুঝতে পারছেনা। এই সমাজে সে এখন স্বীকৃতি প্রাপ্ত কলঙ্কিনী।
,
– না না তোমার কোন কথাই শোনা হবে না।
আমার মা যদি মরেও যায় তবে তোমার হাতের স্পর্শ আমার মাকে পেতে দেবো না।
তোমাকে হাতজোড় করে বলছি তোমার ওই পাপীষ্ঠ মন পাপীষ্ঠ দেহ নিয়ে এ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও।
আজ মাকে তুমি নাহয় অজ্ঞান দেখছো কালকে আমাকে তুমি গলায় দড়ি দিতে দেখতেও পারো।
তোমার মত কলঙ্কিনী মেয়ের সাথে একই ছাদের নিচে আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না।
,
সারা কাদতে কাদতে কথা বলার অবস্থাতে নেয়। তবুও কষ্ট করে বলল,
,
-না না আমার মত পাপিষ্ঠা কলঙ্কিনীর কারনে তুমি কেন আত্মহত্যা করবে। তার চেয়ে আমি বরং এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
তুমি ঠিকই তো বলেছো নষ্টা একটা মেয়েকে নিয়ে এক বাড়ি এক ছাদের নিচে আসলেই থাকা যায়না। আমি বাড়ি থেকেই চলে যাচ্ছি আর কখনো আসবো না।
আমার মত কলঙ্কিনী কে নিয়ে আর কোন কথা শোনা লাগবে না তোমাদের।
,
নাসরিন বেগম এর মাথা নেহার কোলে আর সারা ঠিক তারই পাশে বসে আছে সারার শেষ কয়েকটা কথা নেহার একেবারেই সহ্য হয়না। ওর যেন মনে হয় সারা ওকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে।
,
তাই রাগে রাগে সারা গালে কয়েকটা চড় বসিয়ে দেয়
বয়সে ছোট একটা মেয়ের হাতে সারা চড় খেয়ে একটুও অবাক হল না সারা, কারণ এটাই যে ওর প্রাপ্য ছিল। পাপের ফল ভোগ করাই লাগবে।
,
নেহা প্রতিবেশি দুইএক জনের সাহায্য নিয়ে নাসরিন বেগম কে।
খাটের উপর শুইয়ে দেয়।
,
সারা এখনো চুপ করে বসেই আছে একই জায়গাতে। শূন্যে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে। চোখদুটো যেন কোনো ঝরনা ধারা হয়ে গেছে থামার নামই নেই।
,
আজকে এই বাড়িতেই শেষ দিন সারার ভাবতেই বুকের ভিতর মোচড় মেরে ওঠছে। যে মানুষটা সারাকে সম্মানের সাথে ঘরে তুলেছিলো তিনিই আজকে ছি ছি করে বিদায় করে দিচ্ছেন।
,
নিয়তি বড়ই অদ্ভুত কখন কার সাথ দেয় কার সাথে বেইমানি করে কেও জানেনা। আজকে নিয়তির কাছে পরাজিত হয়েগেছে সারা। পাপের ফল ভোগ করতেই হবে।
,
,
নিজের সমস্ত কাপড়চোপড় গোছগাছ করে অন্তিম বিদায়ের জিন্য নাসরিন বেগম আরা নেহার কাছে গেল।
,
-নেহা আমি চলে যাচ্ছি। ভালো থেকো। মাকে ভালো করে দেখে রেখো। মা যেন কোনো চিন্তা না করে।
যেন ভাবে আমি একটা বাষ্পীয় পদার্থ সময়ের সাথে সাথে আকাশে মিলিয়ে গেছি।
,
নেহার খুব ইচ্ছা করছে প্রিয় ভাবিকে বুকে জড়িয়ে নিতে, কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কাছে সে আজকে বাধা পড়ে গেছে। সারার দিকে ভালো দৃষ্টিতে তাকানোর ইচ্ছা হলেও মস্তিষ্ক বলে দিচ্ছে৷ ও নষ্টা মেয়ে।
,
নেহাকে চুপচাপ থাকতে দেখে সারা বলল,
,
-আমাকে একটা বার মাকে ছুয়ে দেখতে দিবে না নেহা?
,
নেহা সহজ গলায় বলল,
,
-না।
,
,
সারা শেষ বারের মত নিজের সংসার, নিজের স্বর্গ দেখে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেল। হাতে একটা ব্যাগ আছে। তাতে হয়তো কয়েকটা পোশাক।
,
,
গন্তব্যহীন ভাবে হেটে চলেছে সারা কোথায় যাবে, কার কাছে সাহায্য চাইবে কিছুই বুঝতে পারছেনা। আজকে সারার হাটার কোনো শেষ হবেনা। শুধু আজকে কেন হয়তো সারাজীবন এমন ছন্নছাড়া হয়েই কাটিয়ে দিবে।
,
,
সন্ধ্যার দিকে, সারা মেইন রোডের ধার দিয়ে হেটে চলেছে। খুব কষ্ট করে হাটছে কিন্তু দেহ দুর্বল হওয়ার কারণে যখন তখন মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে।
পাশ কাটিয়ে একটা গাড়ি যাওয়ার সময় দাড়ালো।
,
-আপু আপনার কি কোনো হেল্প লাগবে?
,
-না আমি ঠিক আছি।
,
,
,
আমানের বাড়িতে, রাত ৮ টার দিকে নাসরিন বেগম কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছে। নেহা থালা থেকে ভাত আর ডাল দিয়ে মাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছে।
নাসরিন বেগম খাবার মুখে নিতে গিয়েও নিতে পারলো না। আবার সেই কান্না শুরু করে দিলো।
,
-নেহা মা, বলতো ওকে কিসের অভাবে রেখেছিলাম। ও এটা কি করলো। আমাদের বিশ্বাসকে নিয়ে এভাবে খেলা করতে পারলো কিভাবে?
,
-মা যে গেছে তার চিন্তা বাদ দাও। তুমি খেয়েনাও তো।
,
-নেহা।সারা এখন কোথায় আছে? ওর কোনো খোজ পেয়েছিস?
,
-মা, ঐ কালনাগিনী বিদায় হয়েছে ভালোই হয়েছে। ও জাহান্নামে যাক তুমি ওর জন্য চিন্তা কেন করবো।
,
,
নেহা আর নাসরিন বেগম কথা বলছিলো এমন সময় পাশের বাড়ির কনিকা নেহাদের বাড়িতে এসে বলল,
,
-নেহাপু টিভিতে দেখো কি খবর হচ্ছে? চমকে যাবে তুমি।
,
নেহা টিভি অন করার সাথে সাথেই সত্যি চমকে উঠলো কারণ, খবরে বলছে, ‘সারা নামের একজন মেয়ে আর তিন পুরুষকে অনৈতিক কাজের জন্য গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ’। নেহা খপ করে টিভিটা বন্ধ করে দেই।
,
-ছিহ, শেষমেশ ঐ পাপিষ্ঠার খারাপ কাজের জন্য পুলিশ ধরলো? ছিহ।
,
রাগের পিছনে সারার জন্য নেহার মনে যেই ভালোবাসাটা ছিলো সেটা একনিমিষে শেষ হয়ে গেল। হ্যা সত্যি, খবরে দেখানো মেয়েটা নেহার ভাবি সারা ই ছিলো।
,
,
,
চলবে…

কলঙ্কিনী
৩য় পর্ব
লেখনীতেঃ রাফিজা আখতার সাথী
,
সন্ধ্যার দিকে, সারা মেইন রোডের ধার দিয়ে হেটে চলেছে। খুব কষ্ট করে হাটছে কিন্তু দেহ দুর্বল হওয়ার কারণে যখন তখন মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে।
পাশ কাটিয়ে একটা গাড়ি যাওয়ার সময় দাড়ালো।
,
-আপু আপনার কি কোনো হেল্প লাগবে?
,
-না আমি ঠিক আছি।
,
কথাটা বলার সাথে সাথে সারা তার আশে-পাশে আরো দুইজন মানুষের উপস্থিতি টের পেলো। এই লোকগুলো ঐ গাড়ির ভিতরেই ছিলো।
রাতে এমন একটা সুন্দর মেয়েকে দেখে তাদের মনের ভিতর অন্য কিছু কাজ করছে।
,
সারা লোকগুলোর কাছ থেকে একটু দুরে গিয়ে দাড়ালো। মানুষ গুলোকে কেন জানি ওর একটুও ভালো লাগছেনা। কথার ভিতর একটা অন্য ভাব আছে যেগুলা প্রকাশ করা যায়।
,
গাড়ির চালক লোকটা সারাকে চুপ থাকতে দেখে আবার বলল,
,
-কি ব্যাপার সোনামণি, কথা বলছোনা কেন? আবার আমাদের থেকে দুরেও সরে যাচ্ছো।
,
সারা লোকগুলোর মতলব ভালো ভাবেই বুঝে গেছে। কিছু না ভেবেই পালাতে গেলো। কিন্তু পুরুষ মানুষের সাথে দৌড়িয়ে পেরে ওঠে না সারা। তাদের হাতে ধরা পড়ে যায়। চিল্লাচিল্লি করতে থাকে কিন্তু আশেপাশে সাহায্য করার মত কেও ছিলো না। লোকগুলো সারাকে জোর করে গাড়িতে তুলে ফেলে।
,
কাপড় দিয়ে চোখ আর মুখ বেধে ফেলে।
,
,
সারাকে বিছানায় ফেলে একে একে নিজেরদের শার্টের বোতাম খুলতে থাকে লোকগুলো।
,
-আপনাদের দোহায় লাগে আমাকে ছেড়ে দিন।
,
এক খ্যাকখ্যাক করে হেসে বলে,
,
-ছেড়ে তো দেবোই সুন্দরী। তার আগে….. হাহহা।
,
সারার বুক কেপে ওঠে। এই জানোয়ার গুলো থেকে নিজেকে বাচাবে কিভাবে। কলঙ্কিনীর গায়ে আর কত কলঙ্ক লাগবে। সারা শেষ বারের মত অনুনয় করতে থাকে।
,
-আপনাদের পায়ে পড়ি, আমাকে ছেড়ে দিন। আমার গর্ভে সন্তান আছে। আপনারা এতো বড় পাপ করবেন না।
,
-সুন্দরী, তোমাকে দেখে তো ক্লাস নাইনের মেয়ে মনে হচ্ছে। তা পেটের বাবুটার বাবা ঠিকঠাক আছে নাকি আমরা স্বীকৃতি দেব।
,
লোকগুলোর হাসি সারার দেহে ঘিন ঘিন লাগিয়ে দিচ্ছে। খারাপ মানুষের ভাষা কোনোদিন ভালো হতেই পারে না। এদের থেকে বাচার কোনো উপায় নেয় সারার।
সারার উপর যেই না ঝাপিয়ে পড়বে অমনি সেই সময় দরজা ভেঙে পুলিশ প্রবেশ করে।
,
-আজকে তোরা আমাদের হাত থেকে বাচতে পারবিনা। ইয়াবা বিক্রি করে অনেক টাকা কামিয়েছিস। আর এখন মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করছিস!
বাইরের আলো আর কোনোদিন দেখতে পারবি না।
,
সারা পুলিশকে দেখে দেহে যেন প্রাণ ফিরে পায়। তাড়াতাড়ি লোকগুলোর পাশে কাটিয়ে দৌড়ে পুলিশের কাছে চলে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে হাওমাও করে কাদতে লাগে আর বলে,
,
-আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে যদি আপনারা না আসতেন তাহলে হয়তো…….
,
অতিরিক্ত কান্না করার ফলে সারা ঠিক মত কথা বলতে পারছেনা।
,
পিছন থেকে লোকগুলোর ভিতর থেকে একজন বলে উঠলো,
,
-তোমাকে যে ৫০০০ টাকার চুক্তি করে একরাতের জন্য নিয়ে আসলাম। আর এখন পুলিশকে পেয়ে সাধু সাজার চেষ্টা করছো।
,
সারা যেন আকাশ থেকে পড়লো। ওদের এহেন কথাই সারা নিজের কথাই হারিয়ে ফেলেছে।
মানুষ নিচে নামতে নামতে কোথায় চলে গেছে? একটা নিরীহ মেয়েকে তুলে এনে তার নামে এমন কলঙ্ক লাগিয়ে দেবে?
নিরীহই বা কোথায় সারা তো কলঙ্কিত আরেকটু বেশি কলঙ্ক লাগলো।
কিন্তু এই কলঙ্ক কি এখানেই থেমে থাকবে নাকি আরো বাড়তে থাকবে?
,
একজন মেয়ে পুলিশ সারার চুলের মুঠি ধরে,
,
-এই পতিতার বাচ্চা। এতো ভালো সাজার নাটক কিভাবে করিস?
,
-বিশ্বাস করুন। এই লোক গুলো আমাকে তুলে এনেছে। এখন নিজেরা ধরা পড়ে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
,
,
পুলিশ আর কোনো কথায় শোনেনা। সারা আর বাকি আসামিদের থানায় নিয়ে চলে যায়।
,
এদিকে এলাকার বড় ইয়াবা ব্যাবসায়ীরা পাকড়াও হয়েছে সেটা মিডিয়ার কানে পৌছে যায়। তারা সাথে সাথেই থানায় চলে আসে।
পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা শুনে তারা সারাকে বাজারে মেয়ে বলে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে।
,
অনেক মিডিয়ার কাজ শুরু থেকে কিছু না জেনেই মুখের কথা প্রচার করা। যার জন্য সারার গায়ে নতুন কলঙ্কের কালী লেগে গেলো।
,
নেহা আর নাসরিন বেগম টিভিতে শুধু বানোয়াট একটা প্রচারণা দেখে। যেখানে না দোষ আছে, সাংবাদিকদের, না সারার আর নাই বা পুলিশদের।
,
ঐ মানুষ রুপি জানোয়ার গুলোর জন্য সব আজ অপবাদের উপর অপবাদ সারার ঘাড়ে এসে পড়লো
,
,
সবাইকে জেলের ভিতর ঢুকাতে গেলে সারা বারবার আকুতিমিনুতি করতে থাকে আর কথা একবার শোনার জন্য।
,
ওসি মিসেস রেহেনার সামনে বসে আছে সারা, (পুলিশের পদ সম্পর্কে আমার কোনো আইডিয়া নেই ভুল হলে মাফ করবেন)
,
-হ্যা বলো তুমি কি বলতে চাও।
,
সারার সাথে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।
,
-তুমি ইচ্ছা মত বানিয়ে বানিয়ে সব কিছু বলবা আর আমি বোকার মত মেনে নেবো?
,
-আমার পেটের সন্তানের কসম খেয়ে বলছি। আমার কোনো অপরাধ নেই। আপনি যাচাই করতে পারেন।
,
মিসেস রেহেনা লকাপের ভিতর গিয়ে ঐ তিন জনকে ভয় দেখায় যে সত্য কথা না বলে ক্রসফাইয়ারে দেবে।
মৃত্যু ভয় সবাই পায় তারাও পেয়ে স্বীকার করে যে তারা মেয়েটাকে জোর করে তুলে এনেছে।
,
মিসেস রেহেনা , যে মানুষটা পুলিশের চাকরি জীবনে কোনোদিন মাথা নিচু করেনি সে আজকে সারার হাত ধরে মাথা নিচু করে বসে আছে।
,
-আমাকে তুমি মাফ করে দাও মা। আমার আগেই তোমার কথা শোনা উচিৎ ছিলো। আমার এই অপরাধের যে কোনো ক্ষমা নেই!
,
-আপনি এমন বলবেন না। আপনি যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই হয়েছে। তাছাড়া লোকগুলো সেই সময় যে ভাবে কথাগুলো বলছিলো সেটা বোঝার ক্ষমতায় ছিলো না যে সেগুলো মিথ্যা, বানোয়াট কথা। কলঙ্ক তো আমার গায়ে লেগেই আছে আরো একটু লাগলো এই আরকি।
,
-তুমি তোমার শ্বাশুড়ি কে কেন বলোনি আসল সত্যটা?
,
-তার যে সত্যটা হজম করার মত দেহের অবস্থা নেই। যদি বলি তাহলে তিনি মারা যাবে। আমি কি করে তাকে মেরে ফেলি। যেই বুকে আমাই আশ্রয় দিয়েছে আমি কিভাবে সেই বুকটাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিই।
,
,
,
চলবে
,
,
বানান ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here