কল্পপ্রেমিক #শেষাংশ

0
1529

#কল্পপ্রেমিক
#শেষাংশ
#সাইয়ারা_হোসাইন_কায়ানাত

শুভ্র সাহেব মৃদু হাসলেন। ওনার কথাবার্তা শুনে এই মুহূর্তে ওনাকে হুমায়ূন আহমেদের লেখা জনপ্রিয় চরিত্র হিমু মনে হচ্ছে। যে কিনা আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী। ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। সুপারন্যাচারাল পাওয়ার আছে এমন একজন মানুষ। আমি কৌতুহলী হয়ে ক্ষীণ গলায় বললাম-

আর কি কি জানেন আমার সম্পর্কে?

তেমন কিছুই জানি না। তবে এই ভরদুপুরে রাগ করে বাসা থেকে একা একা বেরিয়ে আসা তোমার ঠিক হয়নি। সামান্য কারণে এত রেগে যাওয়া ভালো না।

আমি হকচকিয়ে উঠলাম। তৎক্ষনাৎ বেঞ্চি থেকে উঠে দাঁড়ালাম। ওনার দিকে বিস্ফোরিত চোখে চেয়ে জোরালো কন্ঠে বললাম-

আপনি এসব কিছু জানেন কিভাবে? দয়া করে কোনো বিনীতা করবেন না। যা যা জিজ্ঞেস করবো তার সরাসরি উত্তর দিন।

আচ্ছা ঠিক আছে। কি কি জানতে চাও জিজ্ঞেস করো।

শুভ্র সাহেব দু হাত আড়াআড়ি ভাবে ভাজ করে বেঞ্চিতে হেলান দিয়ে বসলেন। আমি ওনার সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম-

আপনার নাম কি সত্যিই শুভ্র?

জ্বি।

আপনি আমার সম্পর্কে এতকিছু জানেন কিভাবে? আর আমার ফ্রেন্ডরা আসবে না তা আগে থেকে কিভাবে বললেন?

আমি তো এমনিতেই বলেছিলাম। তবে মাঝে মাঝে কাকতালীয় ভাবে আমার কথা মিলে যায়। এখন তুমি এটাকে যা ইচ্ছে ভাবতে পারো। টেলিপ্যাথি, আধ্যাত্মিক ক্ষমতা অথবা সুপারন্যাচারাল পাওয়ার যা ইচ্ছে তাই। সেটা সম্পূর্ণ তোমার চিন্তাভাবনার উপর নির্ভর করে।

আমি ফুস করে নিঃশ্বাস ফেললাম। বেঞ্চি থেকে সাইড ব্যাগটা কাধে নিয়ে বইটা হাতে রেখে বললাম-

আপনি কি নিজেকে কোনো মহাপুরুষ ভাবছেন না-কি! যে আপনার সব কথাই কাকতালীয় ভাবে মিলে যাবে? আমার যতটুকু মনে হচ্ছে আপনি আমাকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। কাকতালীয় ভাবে এতকিছু মিলে যাওয়া অসম্ভব। আমার নামটাও তো আপনার জানা। সত্যি করে বলুন আপনি আমাকে ফলো করছেন কি-না?

শুভ্র সাহেব আমার মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ালেন। আমার কথা উপেক্ষা করে মুখে মুচকি হাসি নিয়ে শান্ত গলায় বললেন-

আচ্ছা তোমার তো কারও সাথে প্রেমের সম্পর্কে নেই তাহলে বাসা থেকে বিয়ের কথা বললে রেগে যাও কেন? আর কতদিন এভাবে পালিয়ে যাবে! আমার যতটুকু ধরনা হচ্ছে এখন বাসায় যাবে আবার তোমার আম্মু বিয়ের কথা বলবে আর তুমিও আবার রাগারাগি করে বিয়ের জন্য না বলে দিবে।

আমার মাথায় এবার ঘুরপাক খাচ্ছে৷ চেনা নেই জানা নেই অথচ আমার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত সব কিছুই এই লোকটা বলে দিচ্ছেন! এখন তো আমার সত্যি সত্যিই মনে হচ্ছে উনি হুমায়ূন আহমেদের লিখা উপন্যাসের হিমু চরিত্রের মতো কোনো মহাপুরুষ। আমি ভ্রু কুচকে তীক্ষ্ণ গলায় বললাম-

আপনার নাম শুভ্র না রেখে হিমু রাখা উচিত ছিলো। এক কাজ করুন আজ থেকে হলুদ পাঞ্জাবি পরে রাস্তাঘাটে খালি পায়ে ঘুরে বেড়াবেন। আর আমাকে যেভাবে বিভ্রান্তিতে ফেলার চেষ্টা করছেন এভাবেই অন্য সবাইকে আপনার কথার প্যাঁচে ফেলে বিভ্রান্ত করবেন ঠিক আছে!! কিন্তু আপাতত আমি আপনার এসব কথা শুনতে চাচ্ছি না।

আমি কথা গুলো বলেই হাঁটা শুরু করলাম। কিছুটা সামনে গিয়ে আবারও ফিরে আসলাম। চোখমুখ শক্ত করে শুভ্র সাহেবের দিকে তাকালাম। ওনার কাছে এসে ওনার চোখ থেকে আমার চশমাটা খুলে নিয়ে কঠিন গলায় বললাম-

নেক্সট টাইম কারও কোনো জিনিস নেওয়ার আগে অবশ্যই তার অনুমতি নিয়ে নিবেন।

আমি ওনার কোনো কথার অপেক্ষা না করেই চলে যাচ্ছিলাম। কয়েক পা এগুতেই ওড়নায় টান পরলো। আমি বিস্মিত হয়ে পেছন ফিরে তাকালাম। সাথে সাথেই আমার রাগ তরতর করে মাথায় উঠে গেল। শুভ্র সাহেব আমার ওড়না ধরে রেখেছেন। আমি অতিমাত্রায় রেগে ধমকের স্বরে বললাম-

অসভ্যতামী করছেন কেন? ছাড়ুন আমার ওড়না। অসভ্য লোক কোথাকার।

শুভ্র সাহেব কানা মানুষের মতো সামনের দিকে হাত নাড়তে লাগলেন। বাচ্চাদের মতো অসহায় কন্ঠে বললেন-

আমি কোনো অসভ্যতামী করছি না অনন্য। তুমি তো জানো শুভ্র চশমা ছাড়া চোখে দেখে না। তুমি প্লিজ বাসায় যাওয়ার জন্য আমাকে একটা গড়িতে তুলে দাও।

ওনার কথা শুনে আমার রাগ আকাশ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। এক টানে আমার ওড়না ওনার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলাম। রাগে গজগজ করে বললাম-

ফাজলামো করবেন না বলে দিচ্ছি। এটা কোনো উপন্যাস বা নাট্যমঞ্চ না যে আপনি নিজেকে শুভ্র মনে করে তার রোল প্লে করবেন। আমাকে ফলো করবেন না বলে দিচ্ছি। না হলে আমি এক্ষুনি পুলিশকে ফোন কবো।

শুভ্র সাহেব সশব্দে হাসলেন। আমি তার হাসির দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি। উনি হাসি থামিয়ে শীতল চাহনিতে আমার দিকে তাকালেন। নির্লিপ্ততার সাথে বললেন-

তুমি কি পারবে তোমার কল্পপ্রেমিক শুভ্রকে পুলিশে দিতে? আমি জানি তুমি পারবে না। তাই অযথা এসব বলে লাভ নেই।

আমি আঙুল উঁচু করে দাঁত কিড়মিড় করে বললাম-

উফঃ শুভ্র সাহেব আপনি কিন্তু এবার বড্ড বেশিই বাড়াবাড়ি করছেন।

আমি কথা গুলো বলেই রাগে গজগজ করে চলে আসলাম। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে লোকটার প্রতি। বাসায় পা রাখার সাথে সাথেই আম্মু শান্ত গলায় বললেন-

ছেলে পক্ষ কালকে বাসায় আসতে চাচ্ছে। তোকে দেখতে চায়। আমি কি তাদের কাল আসতে বলে দিবো?

আমি কিছুটা সময় থ মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম। ওই লোকটার কথা সত্যি মিলে যাচ্ছে। লোকটার কি সত্যিই কোনো আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আছে!! আমি কিছুক্ষণ চুপ থেকে শান্ত গলায় বললাম-

আচ্ছা তোমার যা ভালো মনে করো।

মনে মনে খানিকটা পৈশাচিক আনন্দ পেলাম। কিন্তু কেন? শুভ্র সাহেবের ধারণা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছি তাই! কিন্তু লোকটা আসলেই কে ছিলো! আমার সম্পর্কেই বা এতকিছু কি করে জানেন? এই লোকটার কথা ভাবতে ভাবতেই সারাদিন কাটিয়ে দিলাম।

————————

একটু আগেই পাত্রপক্ষ আমাকে দেখে গেলেন। সকাল প্রায় দশটায় ছেলের পরিবার এসছিলো। কিন্তু ছেলের নাকি হুট করেই জরুরি কাজ পরে গেছে। তাই উনি একটু পর আসবেন। তবে যতটুকু বুঝতে পারলাম দুই পরিবারের মাঝে বিয়ের কথা অনেক আগে থেকেই চলছে।

অনন্যা ছাদে যা আহনাফ এসেছে বেশ কিছুক্ষন হলো। আমি ওকে ছাদে গিয়ে তোর জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি।

আম্মুর কথা শুনে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তার দিকে তাকালাম৷ বিরক্তির সুর টেনে বললাম-

মা এসবের কি মানে! আমি কি চিরিয়াখানার কোনো পশু না-কি যে একজনের পর এক জন এসে আমাকে দেখে যাচ্ছে!

এভাবে বলছিস কেন অনন্যা! আহনাফ একটু ব্যস্ত ছিলো তাই তখন সবার সাথে আসতে পারেনি।

এত ব্যস্ত থাকলে বিয়ের করার জন্য আবার লাফালাফি কিসের?

আমি রাগান্বিত কন্ঠে কথা গুলো বললাম। কিন্তু আমার রাগে আম্মুর কোনো কিছুই হলো না। তিনি আমার থেকে দশ গুণ বেশি রাগ নিয়ে বললেন-

এক থাপ্পড় দিবো বেয়াদব। বেশি কথা না বলে আমি যা বলেছি তা কর। আর হ্যাঁ আহনাফের সাথে আবার এভাবে অসভ্যের মতো তর্ক করিস না। তোর ব্যবহারের সাথে আমাদের মানসম্মান জড়িয়ে আছে। কথাটা মাথায় রাখিস। এখন ছাদে যা। ছেলেটা হয়তো অপেক্ষা করছে।

আমি আর কোনো কথা বললাম না। গোমড়া মুখে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। আম্মুর দিকে একবারও তাকাইনি। রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে। সবেমাত্র অনার্স ৩য় বর্ষে আর এখনই আমার বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সবাই। কি এমন হতো অনার্স কমপ্লিট করার পর বিয়ে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে? অসহ্যকর। রাগে গজগজ করতে করতেই ছাদে চলে আসলাম। ছাদের এক পাশে রেলিঙে দিকে ঝুঁকে একজন দাঁড়িয়ে আছে। চেহারা দেখা যাচ্ছে না। শুধু পেছন সাইড দেখা যাচ্ছে। আমি কিছুটা এগিয়ে এসে নম্রতার সাথে সালাম দিয়ে বললাম-

এভাবে ঝুঁকে আছেন কেন? পরে যাবেন তো!

লোকটা আমার দিকে ফিরে তাকালেন। হাসি মুখে সালামের উত্তর নিলেন। আমি লোকটার হাসিমাখা মুখশ্রী দেখে আকাশ থেকে পরলাম। ভয়াবহ কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম-

শুভ্র সাহেব আপনি!! আপনি এখানে কি করছেন? আপনি আবারও আমাকে ফলো করছেন!!

শুভ্র সাহেব অমায়িক একটা হাসি দিলেন। আমার প্রশ্নে এক বালতি ঢেলে দিয়ে বললেন-

বাহ বিয়ে করবে না করবে না বলে এখন দেখছি হবু স্বামীর জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে!

আমি তীক্ষ্ণতার সাথে তার দিকে চেয়ে শক্ত গলায় বললাম-

আমাদের ছাদ থেকে যদি কেউ পড়ে মরে যায় তাহলে তো পুলিশ আমাদেরই ধরবে, সেই জন্যই ভয় হচ্ছে। এখন কথা না ঘুরিয়ে বলুন আপনি এখানে কেন?

শুভ্র সাহেব আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে শান্ত গলায় বললেন-

পাত্রী দেখতে এসেছিলাম। দেখা হয়ে গেছে। এখন যাচ্ছি। আম্মুকে যেয়ে বলতে হবে পাত্রী পছন্দ হয়েছে। যদিওবা পাত্রী একটু রাগী তবে আমার কোনো প্রব্লেম নেই। আমার কাছে তো মনে হয় রাগলে পাত্রীকে খুব কিউট লাগে। আর কন্ঠস্বর তো আরও বেশি মধুর হয়ে যায়।

কি বলছেন এসব? আপনিই কি পাত্র? তবে আম্মু তো বলল পাত্রের নাম আহনাফ। আর আপনি কাল থেকে আমাকে এতো বিভ্রান্তিতে ফেলছেন কেন? সব কিছু কেমন জগাখিচুরি হয়ে যাচ্ছে। সত্যি করে বলুন তো কি হচ্ছে এসব!

আমি উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন গুলো ছুঁড়ে দিলাম তার দিকে। উনি এবারও আমার প্রশ্ন গুলো উপেক্ষা করলেন। আমার প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে বললেন-

বিয়ের আগে ছেলেমেয়ে একা একা এত কথা বলা ঠিক না। মানুষ খারাপ ভাববে। এখন আমার যাওয়া উচিত। আর হ্যাঁ আমার নাম আহনাফ হাসান শুভ্র। আর এই চিঠি তোমার জন্য। এখন আমি আসছি। ভালো থেকো। বিয়েতে দেখা হবে আবারও।

শুভ্র সাহেব আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে মুচকি হেসে চলে গেলেন। আর আমি এখনো হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। সব কিছু মাথার দশ হাত উপর দিয়ে যাচ্ছে। কি থেকে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি কি সত্যি সত্যিই শুভ্র সাহেবকে দেখলাম! না-কি আমার কল্পনা! এই লোকটা আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলবে নিশ্চিত। হঠাৎই হাতের কাগজটার কথা মনে পড়লো। আমি কৌতুহল নিয়ে কাগজ খুলেএ দেখলাম একটা চিঠি।

প্রিয় অনন্যময়ি,

প্রথমেই বলে রাখি আমি কোন ভূত অথবা তোমার হ্যালুসিনেশন না। আর আমার মধ্যে কোনো আধ্যাত্মিক ক্ষমতাও নেই। আমি তোমার মতোই সাধারণ একটা মানুষ। তোমার সাথে অনেক দিন ধরেই আমার বিয়ের কথা চলছিলো। দু পরিবারের সবাই রাজি কিন্তু তুমি রাজি হচ্ছিলে না। কাল আন্টি আম্মুকে ফোন করে বললেন আমরা তোমাকে দেখতে আসবো শুনে তুমি রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছো। তখনই আমি আন্টির সাথে কথা বলি। ওনার মাধ্যমেই তোমার ফ্রেন্ডদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তোমার ফ্রেন্ডরা তো আমার নাম শুনেই চমকে গিয়েছিলো। তৎক্ষনাৎ আমার সাথে দেখা করতে চাইলো৷ তোমার সাথে দেখার করার আগেই আমি ওদের সাথে দেখা করি। তখনই অর্পিতা বলল তুমি নাকি শুভ্র নামের চরিত্রের প্রতি খুব দূর্বল। সারাক্ষণই নিজের কল্পনায় শুভ্রকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করো। শুভ্রকে তোমার কল্পপ্রেমিক বলা হয়। আর কাকতালীয় ভাবে আমার নামটাও শুভ্র। দেখতেও নাকি প্রায় গল্পের ওই শুভ্রর মতোই। কলেজে থাকাকালীন সময় আমার ফ্রেন্ডরা হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস পড়ার পর থেকে আমাকে কানাবাবা বলেই ডাকতো। অথচ আমার চোখে কোনো প্রব্লেম নেই। তাই মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হতাম আমার নামটার প্রতি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমার এই নামটা খুব লাকি। তোমার ছবি দেখেই তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছিলো। তোমার ফ্রেন্ডদের সব কিছু বলার পর তারা বলল তোমার সাথে দেখা করতে। তুমি তাদের জন্য যেখানে অপেক্ষা করছো সেখানে তাদের জায়গায় আমাকে পাঠিয়ে দিল। আর বাকিটা তো তুমি জানোই। আবারও বলছি আমি কোনো মহাপুরুষ কিংবা হিমু নই। আমি সাধারণ একজন মানুষ।

ইতি,
তোমার কল্পপ্রেমিক শুভ্র

পুনশ্চঃ ১.আমি জানতাম তুমি আমার ধরনা ভুল প্রমাণ করার জন্যে হলেও বিয়ের জন্য রাজি হবে। তাই আমার কথার প্যাঁচে ফেলে তোমাকে একটু বিভ্রান্ত করেছি।

পুনশ্চঃ ২.’উফঃ শুভ্র সাহেব’ নয় আমি ‘এই শুভ্র’ ডাকটাই শুনতে চাই। আর আমি কথা দিচ্ছি তোমার পড়াশোনায় কোনো বাধা দিবো না। আশাকরি আমাকে বিশ্বাস করতে আর বিয়েতে রাজি হতে তোমার কোনো আপত্তি থাকবে না।

আমি চিঠিটা পড়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম৷ আচমকাই সব কিছু কেমন গেল এলোমেলো লাগছে। লজ্জা, অস্বস্তি, বিস্ময় সব কিছু মিলিয়ে অদ্ভুত রকমের এক অনুভূতি হচ্ছে। চিঠির দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম৷ ছাদের সাইডে এসে রেলিঙ ঘেঁষে দাঁড়ালাম। কিছুটা সময় পর শুভ্র সাহেব গেইট দিয়ে বের হলেন। আমি এক তলা বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়েই মৃদুস্বরে ডাক দিলাম-

এই শুভ্র সাহেব!

__সমাপ্ত ?

(জানি গল্পটা একটু অদ্ভুত রকমের ছিল। কি করবো! আমার মাথায় শুধু ইউনিক থিম আসে।? যাইহোক ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আর ভালোবাসা সবাইকে। ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here