“কাজের বেটি রহিমা”
পর্ব- ১২
(নূর নাফিসা)
.
.
আয়ানের সাথে ঘুরেফিরে শেষ বিকেলে দুজন বাসায় ফিরে এসেছে। দুজনেরই মনটা হালকা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার কোনো কাজকর্ম করতে হয়নি রহিমাকে। সে সন্ধ্যার পূর্বেই বাড়ি ফিরে গেছে।
পরদিন কাইয়ুম ভিলায় গেইট দিয়ে প্রবেশ করার সময় লাল মিয়ার কণ্ঠে তুলনামূলক নিচু স্বরে গান শুনতে পেল রহিমা।
“ও সকিনা, গেছত কি না ভুইলা আমারে! আমি এহ…..ন! আমি এহন রিশকা চালাই ঢাহা শহরে…!”
রহিমা লাল মিয়ার দিকে একবার তাকিয়ে ভবনে চলে গেলো। সেদিন আয়ান লাল মিয়াকে শাসানোর পর থেকে লাল মিয়া আর কথা বলে না রহিমার সাথে। আগে নিজেই পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতো, দুষ্টুমি করতো। আর এখন প্রয়োজনেও কোনো কথা বলে না৷ আর রহিমা তো এমনিতেই তার প্রতি বিরক্ত বোধ করে সবসময়!
রহিমা চুপচাপ এসে কাজে লেগে গেলো। দুমিনিট পরেই আয়ান ঘরে প্রবেশ করলো গান গাইতে গাইতে। তার মুখেও একই গান!
“ও সখিনা গেছত কি না ভুইলা আমারে! আমি এখ…ন! আমি এখন রিকশা চালাই ঢাকা শহরে..!”
রহিমা নিশ্চিত, আয়ান লাল মিয়ার কাছে শুনে এসেছে বিধায় এখন এই গানের সুর টেনেছে। ছেলের গুনগুন শুনে ওদিকে ড্রয়িং রুম থেকে কাইয়ুম সাহেবের কণ্ঠে ভেসে এলো,
“দাড়াও, তোমাকে রিকশা ই কিনে দিবো। বছরে বছরে অযথা ভার্সিটিতে এতো টাকা খরচ করার কি প্রয়োজন। পড়াশোনা যেহেতু করছো না, রিকশাই কিনে দিবো। খরচের পরিবর্তে আমার আয় হবে।”
আয়ান তার বাবার উত্তরে বললো,
“দাও। টাকা দাও। রিকশা কিনে আনি।”
“টাকা দিবো কেন। আমি নিজেই কিনে আনবো।”
“চালাবো আমি আর কিনবে তুমি! তা কি করে হয়! ভালো না মন্দ তা যাচাই করে আনবো না!”
আয়মান ডাইনিং টেবিলে বসে তার ছেলেকে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছিলো। ভাই ও বাবার মুখে এমন কথা শুনে শব্দযোগে হেসে উঠলো। আয়ান একটা আপেল নিয়ে তার পাশে এসে বসে বললো,
“তুই হাসছিস কেন! হুম?”
“ভাইয়া, তুমি রিকশা চালাতে পারো?”
“কেন? তুই শিখবি?”
“না। আমি চড়বো।”
কথাটা বলে আবারও হেসে উঠলো আয়মান। ওদিকে রহিমার বিড়বিড় শোনা গেলো,
“আপা, ভাইজানের রিকশায় উঠবেন তো রাস্তা ছাইড়া পাত্তালে যাইবেন! আর নয়তো উড়োজাহাজে সোজা চান্দের দেশে!”
আয়মান আবারও হেসে উঠলো। আয়ান আজ রহিমার প্রত্যুত্তর না করে আপেল খেতে খেতে মৃদু হাসলো শুধু। কিভাবে করবে প্রত্যুত্তর! আগের মতো উল্লাসিত হয়ে কথা বলেনি রহিমা। যার ফলে প্রত্যুত্তর করার উৎসাহ পেল না আয়ান।
হক মঞ্জিলে এসে নতুন দৃশ্য দেখতে পেল রহিমা! মেহমান এসেছে সায়মাদের বাড়িতে। এরা তো সায়মার খালা ও খালু! কিছু কথা শুনে বুঝতে পারলো সায়মার বিয়ের আলোচনা চলছে! তা শুনে রহিমা স্তব্ধ! সে দ্রুত সায়মার সাক্ষাতে গেলো। সায়মার রুমে একটা মেয়েকে দেখতে পেল। এ তো রুমেলের বোন! সেদিন এসেছিলো। তারা কার সাথে বিয়ে ঠিক করছে! মেয়েটির জন্য রহিমা সায়মার সাথে কথা বলতে পারলো না। কিন্তু সায়মার চেহারায় ভেসে উঠা বিষন্নতা স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে সে।
পরবর্তীতে কাজে লেগে গেলো। কিন্তু পরেও আর কথা বলার সুযোগ হলো না! কারণ মেহমান রাতে যাবে। তাকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসতে হলো।
পরেরদিন সায়মার বিয়ের ব্যাপারটা আয়ানকে জানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলো রহিমা। কিন্তু আয়ানকে আজ বাসায় পেল না!
মন ভরা দুঃখ নিয়ে দুপুরে সে হক মঞ্জিলে চলে এলো। আজ তারা সে আসার আগেই খেয়ে নিয়েছে৷ আর সায়মা ঘুমাচ্ছিলো তখন। রহিমা খাবার খেয়ে তার কাজকর্ম করতে থাকলো। ঘুম থেকে উঠে সায়মা রহিমাকে নিয়ে ছাদে এলেই রহিমা তার সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। ছাদে পা রাখতেই রহিমার প্রশ্ন,
“আপা, আপনের খালা না কাল বিয়ার ব্যাপারে কথা বলছে। বিয়া কি ঠিক হইয়া গেছে?”
“না।”
“আলহামদুলিল্লাহ। জানেন, আমি খুব চেষ্টা করছিলাম খবরটা ভাইজানের কাছে দিতে। কিন্তু ভাইজানরে পাই নাই।”
“আমি কালকেই জানিয়েছি তাকে।”
রহিমা বড়সড় নিশ্বাস ফেলে বললো,
“যাক। ভালোই হইছে। তা বিয়া আটকাইলেন ক্যামনে?”
“আটকেনি। মনে হয় আরও বেশি এগিয়ে যাচ্ছে।”
“এক কাজ করেন। পাত্ররে বাড়িতে আনেন কিংবা নিরিবিলি জায়গায় আমন্ত্রণ জানান। জটিল আপ্যায়নে ধোলাই করি। ব্যাটা নিজেই বিয়া ভাইঙ্গা দিবো।”
সায়মা ব্রু সামান্য কুচকে বললো,
“তুই কি জানিস না, পাত্র কে?”
“আমি হইছি কাজের বেটি রহিমা। আমারে কি কেউ এতো কিছু কইবো পার্সোনাল কথাবার্তা! তাছাড়া আপনের সাথে তো কথা বলার সুযোগই পাইলাম না!”
“পাত্র রুমেল। সে তো ধোলাই আগেই খেয়েছে। আর সেজন্যই পাগল হয়ে গেছে বিয়ে করে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।”
“কি! এই বদমাইশ! আপনের লাইগা। খালি আপনের লাইগা সেদিন বাইচ্চা গেছে! আমি তো চাইছিলাম তারে রুমাইল বানাইয়া উড়ায় দিতে! এহন ভালো হইছে না? বিয়াইত্তা বেটির আবার বিয়া!”
“মুখের ভাষা ঠিক কর।”
“সরি। ভাইজান জাইন্না কি কইছে?”
“কি আর বলবে! সে-ও তোর মতো আমাকে বকেছে! দোষ একটাই, কেন আমি তাকে সেদিন এড্রেস দিলাম না!”
“ভালোই হইছে। তা আপনের বাবামা কি কইলো? তারা রাজি?”
“রুমেল আমার সমবয়সী। মাত্র দেড় মাসের বড়। সেজন্য বাবা মা রাজি নয়। কিন্তু খালামনি বাবামা কে পাগল করে ফেলছে বিয়ে দেওয়ার জন্য। আর আমি নিশ্চিত, এগুলো সব রুমেলের চালাকি! নিশ্চয়ই সে খালামনিকে প্যারা দিচ্ছে! নতুবা এতো তারাতাড়ি ছেলের বিয়ের কথা অন্তত খালামনি তুলতো না।”
“বদমাইশটারে আরেকবার ঝাটা পেটা করা উচিত। বিয়ার গেরা মজাইয়া দিতাম!”
“কি বলিস এসব! চুপ থাক। অন্যের জন্য নিজের মুখ খারাপ করবি না। ওদিকে আরেক চিন্তায় ভালো লাগছে না। কাল সন্ধ্যায় আমাকে বকাঝকা করে রাত এগারোটার দিকে আবার কল করে সান্ত্বনা দিয়ে বললো যেন টেনশন না করি। সে নিজে ব্যবস্থা করে ফেলবে। কে জানি, কি কান্ড করে বসে!”
“কে কি কান্ড করবো?”
“কে আবার! তোর আয়না ভাইজান।”
“তাইলে আর চিন্তা কইরেন না। টেটনায় যেহেতু সান্ত্বনা দিছে নিশ্চিন্তে ঘুমান। সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পাদন হইয়া যাইবো।”
“এই, টেটনা কি?”
“যে অতি চালাক, অতি বুদ্ধিমান আর অতিরিক্ত ইতর তারেই টেটনা বলে। না, থুক্কু! তারেই টেটনা বলি।”
“আরও কত কি বলবি!”
পরদিন রহিমা কাইয়ুম ভিলায় এসে দেখলো আয়ান ডাইনিং টেবিলের কোনায় বসে আছে। হাতে বিস্কুট। গত কয়েকদিন যাবত সে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠছে। হয়তো বউয়ের চিন্তায় নয়তো ভাতিজির কান্নাকাটিতে!
রহিমাকে দেখতেই আয়ান হাতের বিস্কুট প্লেটে রেখে হাত ঝেড়ে বললো,
“ওহ্! এসেছিস! যা, কাজে লেগে পড়।”
এমন একটা ভাব প্রকাশ করলো যেন রহিমার জন্যই সে অপেক্ষা করছিলো। রুম থেকে বের হতে হতে সায়ান জবাব দিলো,
“তা তোমাকে বলতে হবে নাকি! সে তো কাজের জন্যই এসেছে৷”
বলতে বলতে সায়ান চেয়ার টেনে বসলো। ভাইয়ার কথায় মৃদু হেসে আয়ান টেবিল থেকে নেমে নিজের রুমে চলে গেলো। রহিমা কিচেন থেকে সায়ানের নাস্তা এনে দিলো। সায়ান খেয়েদেয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যেতেই আয়ান আবার এসে টেবিলে বসলো। আয়মান পিংকির কাছে। রহিমা আর মারিয়া কিচেনে। আয়ান মারিয়াকে ডাকলো,
“আম্মু?”
মারিয়া কিচেন থেকে সাড়া দিলেন,
“হুম?”
“আমি বিয়ে করবো।”
কথাটা বলে কান পেতে আছে মায়ের জবাব শোনার জন্য। জবাবের পরিবর্তে কিচেন থেকে খুন্তি হাতে বেরিয়ে এলো মারিয়া কাইয়ুম! আয়ান টেবিল থেকে লাফ দিয়ে নেমে ড্রয়িং রুমে এসে দরজা চাপিয়ে দিলো। মারিয়া কাইয়ুম টেবিলের কাছ থেকে বললো,
“পালাস কেন? আয়, তোকে বিয়ে করাচ্ছি!”
আয়ান দরজা একটুখানি ফাঁক রেখে মাথা বের করে বললো,
“কিছু হলেই খুন্তি নিয়ে আসো কেন? তোমাদের মেয়েদের কি এই খুন্তি ছাড়া আর কোনো অস্ত্র নেই!”
মারিয়া কাইয়ুম কিছু না বলে চোখ পাকিয়ে চলে গেলো। আয়ান এখান থেকেই চেচিয়ে বললো,
“আমি কিন্তু সিরিয়াস কথা বলছি। সত্যি সত্যিই বিয়ে করবো আমি।”
পেছন থেকে কাইয়ুম সাহেবের কণ্ঠ ভেসে এলো,
“আমরাও তো জানি তোমার এখন পুতুল খেলার বয়স নয় যে মিথ্যে মিথ্যে বিয়ে করতে চাইবে।”
আয়ান পেছনে ফিরে বললো,
“ওহ্! তুমি বাসায়ই আছো! তাহলে আর অযথা খুন্তির দৌড়ানি খাচ্ছি কেন! ডিল তো তোমার সাথেই করতে পারি।”
বলতে বলতে আয়ান সোফায় বসলো আর কাইয়ুম সাহেব উঠে গেলেন। আর আয়ান আবার উঠে বাবার পিছু পিছু যেতে যেতে বললো,
“আব্বু, তুমিও আমাকে ইগনোর করছো! এমন হলে তো আমাকে সারাজীবন কুমার থেকে যেতে হবে!”
কাইয়ুম সাহেব ডাইনিং টেবিলের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো,
“নাস্তার সময় হয়েছে আমার।”
“ওহ্, আচ্ছা। রহিমা, আব্বুকে খাবার দে।”
রহিমা সাড়া দিলো,
“আইতাছি।”
আয়ান তার বাবার উদ্দেশ্যে বললো,
“আব্বু, শোন। তোমরা তো চাও আমি পড়াশোনা করি, ভালো রেজাল্ট করি, অত:পর ইনকাম করি। তাই না?”
“হু।”
“তো এবার একটা ফাইনাল ডিল করি তোমার সাথে। তুমি বিয়ে করিয়ে দেও, এরপর দেখবে ভালো পড়াশোনা, ভালো রেজাল্ট, ভালো ইনকাম সব হাজির।”
“আচ্ছা, আগে করে দেখাও তারপর বিয়ে।”
“নো! নো! ডিল অফার আমি করছি। দাবি আমার থাকবে। আগে বিয়ে তার পরিবর্তে আমার উক্ত বচন।”
“আচ্ছা! তোমার বচন যদি মানতে হয় তাহলে এটা বলো যে, আগে বিয়ে করলে বউকে খাওয়াবে কি?”
“সেই চিন্তা তোমাকে করতে হবে না। তোমার ছয়.. ”
“হ্যাঁ, আমার ছয় তলা বাড়ি আছে তো! আর আমার বাড়ি অথচ চিন্তা আমার করতে হবে না! দারুণ বলেছো।”
“হুম, সবসময়ই বলি।”
“লজ্জা করে না, বাপের টাকায় বউ পুষবে! তোমার মানইজ্জত না থাকতে পারে, যে তোমার বউ হয়ে আসবে সে নিশ্চয়ই এতোটা নির্লজ্জ হবে না!”
“বাড়ি নিয়ে এতো বড়াই তোমার! আচ্ছা যাও! লাগবে না তোমার টাকা। বিয়েটা দিয়ে দাও, বউকে বলবো সে যেন তার বাপের বাড়ি থাকে আর আমি আমার বাপের বাড়ি। এরপর যখন আমি ইনকাম করবো, তখন বউ নিজের বাড়ি নিয়ে আসবো। এবার তো তুমি রাজি?”
“আমি রাজি? মেয়েটা কি আমার? কোন বাপ কি তার মেয়েকে বেকার ছেলের কাছে বিয়ে দিবে! বেকুব কোথাকার! বউ যেহেতু বাপের বাড়ি থাকবে, এখনো তো থাকছেই। তো থাকুক। বিয়ে নিয়ে এতো তাড়া কেন তোমার? ইনকামের পরই বিয়ে করবে। একই তো কথা হলো।”
“এক নয় বাবা, এক নয়! বিবাহিত আর অবিবাহিতের মাঝে তো বিপুল পার্থক্য। শব্দদ্বয়ই বিপরীত। তুমি শুধু ডিল ফাইনাল করো৷ এমন মেয়ে ও মেয়ের বাবার অভাব হবে না দেখো।”
“মেয়েতো মনে হয় আগেই ঠিক করে রেখেছো!”
“আরে নাহ! আমি কি ঘটক নাকি! ঠিক করবে তো ঘটক।”
“আচ্ছা। তো ডাকো ঘটককে। দেখুক পাত্রী। পেয়ে গেলে আর আপত্তি কিসে।”
“এই হলো বাবার মতো আব্বু।”
এমনি কিচেন থেকে বেরিয়ে মারিয়া কর্কশ গলায় বললো,
“ছেলের সাথে কি বাবার মাথাও গেছে! এমন বেতাল ছেলের বিয়ে দিয়ে মেন্টাল হবে তুমি!”
“আরে, বেতাল ছেলেকে তালে আনতেই তো রাজি হলাম। পেটের জ্বালায় আর বউয়ের ঠেলায় এমনিতেই সোজা হয়ে যাবে৷ আয়ান, মেয়ে দেখো। খুজে পেলে জানিও।”
মারিয়া রেগেমেগে চলে গেলো আর আয়ান রহিমাকে ডাকলো। রহিমা রুটি আর তরকারির বাটি এনে বললো,
“জ্বি ভাইজান?”
“মেয়ে দেখা শুরু কর।”
রহিমা বিস্মিত হয়ে বললো,
“আমি!”
“হ্যাঁ, তুই!”
রহিমা বেশ বুঝতে পারছে আয়ান তাকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলায় যুক্ত করার চেষ্টা করছে। তাই কাইয়ুম সাহেবের উদ্দেশ্যে বললো,
“বিশ্বাস করেন খালু। আমি কোনো ঘটক না আর জীবনেও ঘটকালি করি নাই। আমি খালি দুই বাড়িতে কাজ করা ছাড়া আর কোনো কাজই করি না। সময় থাকলে তো! তাইলে পাত্রী ক্যামনে আনমু, আপনেই কন!”
আয়ান দাত কিড়মিড়িয়ে বললো,
“আমি কিছু জানিনা। পাত্রী তুই ই খুঁজে আনবি। একশো চুয়াল্লিশ ধারায় আইন জারি করলাম তোর উপর। নয়তো সোজা সেই তোর চান্দের দেশ!”
হুট করেই আয়মান এসে বললো,
“ভাইয়া, আমার দুইটা ননদ আছে। একটা আপন আরেকটা ফুপাতো।”