“কাজের বেটি রহিমা” পর্ব- ৮

0
969

“কাজের বেটি রহিমা”
পর্ব- ৮
(নূর নাফিসা)
.
.
পরেরদিন রহিমা কাইয়ুম ভিলায় যাওয়ার সময় সাবান নিয়ে গেছে সাথে। আয়ানকে ফিরিয়ে দিতে গেলে আয়ান দাত কেলিয়ে বললো,
“জীবানু দূর করতে সেন্টু গেঞ্জি আর টাউজারের চেয়ে বেশি উপকারী পঁচা সাবান। বুঝছিস!”
আয়ান এভাবে দাত কেলিয়েছে বিধায় রহিমার তখন ইচ্ছে করছিলো সাবানটা আয়ানের দাতে নিক্ষেপ করুক। কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে তা করেনি। সাবানটা না ফেলে আবার পার্সে রেখে দিয়েছে সে। কাপড় কাচা যাবে।
তবে কাজ শেষ করে বেরিয়ে আসার সময় রাস্তায় আজ একটা ব্রেসলেট ঘড়ি দিয়েছে আয়ান। কিন্তু কোনো প্যাকেট করা ছিলো না। রহিমা এটাও নিতে চায়নি। সে ভেঙচি কেটে বলেছে,
“লাগবো না আমার কিছু! বাড়িত গিয়া দেখমু ঘড়ি নষ্ট!”
আয়ান তখন হাত উঠিয়ে মাইর দেওয়ার ভঙ্গিতে দাত কিড়মিড়িয়ে বলেছে,
“একটা দিবো এখন! ধর, চারশো সত্তর টাকা দাম এটার। একদম নতুন। এই দেখ, ঝকঝক করছে। তবে তারাহুরো করে কিনেছি তাই প্যাকেট নিতেই ভুলে গেছি।”
কথাটা বলে আয়ান তার হাতে ঘড়ি ধরিয়ে দিয়ে তার আগেই চলে গেছে। আর রহিমা ঘড়িটা উল্টেপাল্টে দেখলো নতুনই। রোদের আলোতে ঝকঝক করছে। সে ঘড়ি হাতে পড়ে হাত ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে হাটতে লাগলো।
হক মঞ্জিলে এলে সায়মা লক্ষ্য করলো তার হাতটা আজ অস্বাভাবিকভাবে ঝুলছে। ভালোভাবে খেয়াল করতেই দেখতে পেল হাতে ঘড়ি। সায়মা মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করলো,
“ঘড়ি কিনেছিস? দেখি?”
রহিমা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
“কিনি নাই। গিফট পাইছি।”
“তাই নাকি! সুন্দরই ঘড়িটা। কে দিলো গিফট?”
“আয়না ভাইজান।”
সায়মা চেহারায় বিরক্তিকর ভাব এনে বললো,
“কি বললি?”
“আয়না ভাইজান।”
“আয়নাটা আবার কে?”
রহিমা খিলখিলিয়ে হেসে বললো,
“ওই যে, সেই বাড়ির ছোট পোলা। নাম আয়ান। সবাই য় এর পরে আ’কার দিয়া ডাকে আর আমি সেই আ’কার তুইলা আইনা ন এর পরে দিছি। তাই আয়ান থেকে হয়ে গেছে আয়না!”
“চুপ! ফাজিল! নামের উপর বিদ্রুপ করলে গুনাহ হয়। এসব যেন আর না শুনি তোর মুখে।”
“ভুলে বইলা ফেললে আমার কোন দোষ নাই।”
“ভুল করাটাই তোর দোষ!”
“আপা, খালু কি ভাইজানরে মেনে নিছে?”
“নিয়েছে। তবে ভাইয়ার সাথে তেমন একটা কথা বলে না। কিন্তু বাবুদের কোলে নিয়েছে।”
“যাক, আলহামদুলিল্লাহ।”
“হুম, আলহামদুলিল্লাহ।”
আজ সকাল থেকেই বাসায় বেশ কিছু মেহমান এসেছে ইশতিয়াক ও তার বউ বাচ্চা দেখার জন্য। রহিমা মেহমানদের আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত ছিলো সারাক্ষণ। সায়মা তার ভাবি ও কাজিনদের সাথে আলাপে ব্যস্ত। রহিমা আজ এইটুকু সময়েই তিনবার ঘর ঝাড়ু দিয়েছে! মেহমান হয়ে আসা বাচ্চাগুলো জুতা নিয়েই ঘরে ঘুরাফেরা খেলাধুলা করছিলো বিধায় বেশি ময়লা হয়েছে। কাজের তাড়ায় আজ রহিমা দুইবার ধাক্কা খেয়েছে এক ছেলের সাথে। ছেলেটা সায়মার খালাতো ভাই। নাম রুমেল। প্রথমবার ধাক্কা খেয়ে রহিমা “সরি” যপে অস্থির! দ্বিতীয়বার যখন ধাক্কা খেলো তখন রহিমার কেন জানি মনে হলো ছেলেটা ইচ্ছে করে ধাক্কা খেয়েছে! কেননা প্রথমবার খেয়াল না থাকলেও দ্বিতীয়বার সে রুমেলকে ফোনের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে আসতে দেখে সচেতনতার সাথে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেই পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছিলো। তবুও রুমেল বরাবর না হেটে রহিমার দিকেই চেপে পায়ে পারা দিয়ে ধাক্কা খেলো। তখনও রহিমা সরি বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু তার আগেই রুমেল সরি বলেছে তিন-চার বার! তার ঠোঁটের কোনে তখন এক অদ্ভুত হাসি দেখতে পেয়েছিলো রহিমা! সে যার নামকরণ করেছে লুসি! লুচুর লু আর হাসির সি!
উক্ত ঘটনার পর থেকে রহিমা কাজের ফাঁকে ফাঁকে নজর রাখছিলো রুমেলের দিকে। রুমেল বেশ কয়েকবার রহিমার দিকে ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকিয়েছে! তাছাড়া কাজিনদের সাথে যখন দুষ্টুমি ফাজলামো করছে তখনও রহিমা রুমেলের মাঝে মেয়েদের গায়ে পড়া স্বভাব লক্ষ্য করেছে। যা মোটেও পছন্দ হলো না! দেখতেও তার মতে হিরোঞ্চির মতো! গায়ের রঙ ফর্সা, চুলগুলো সামনের দিকেও অনেকটা বড় আর পেছন দিকেও বড় করে ছাগলের লেজের মতো রেখেছে! আর ডানেবামে ছাটাই করা! পোশাকাশাক মাইকেল জ্যাকশানের কথা মনে করিয়ে দিবে! গলায় মোটা চেইন ঝুলানো, এক কানে রিং, হাতে এক গোছা ব্রেসলেট! আধুনিক ছেলেমেয়ের কাছে এসব স্টাইল হিসেবে বিবেচিত হলেও রহিমার কাছে হিরোঞ্চি হিসেবে আখ্যায়িত! তার কাছে আয়ানের স্টাইলটা বেশি না হলেও মোটামুটি ভালো লাগে। যে কিনা এক হাতে একটা ব্রেসলেট আর অন্যহাতে একটা ঘড়ি পড়ে। আর ব্রান্ডের ফ্যাশনেবল জুতা, শার্ট, প্যান্ট। কিন্তু ছেড়াফাড়া স্টাইল না। তবে সানগ্লাসে আবার বাহারি রঙ খুজে।
অন্যদিকে রহিমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সায়ানের স্টাইল! একদমই মার্জিত! যথেষ্ট স্মার্ট! যে কেউ দেখলেই ধারণা করে নিবে সে একজন শিক্ষক কিংবা সম্মানজনক বা প্রতিষ্ঠিত কোন বিশেষ ব্যক্তি।
সন্ধ্যায় যখন রহিমা বাড়ি ফিরে আসছিলো তখন সায়মা ও তার কিছু কাজিন বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছে। তারা আজ থেকে যাবে সায়মাদের বাড়িতে। আর যারা চলে যাওয়ার, তারা সন্ধ্যার পূর্বেই চলে গেছে। তারা বের হওয়ার সময় রুমেল সায়মাকে বলেছিলো,
“সামা, তাকেও নিয়ে নাও সাথে। আমাদের সাথে থাকলে মেবি মোমেন্ট এনজয় করতে পারবে।”
তখন সায়মা জবাব দিলো,
“না, তার বাসায় ফিরতে হবে। রহিমা, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তুই বাসায় যা। আর এই সন্ধ্যায় একা একা হেটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। রিকশা নিয়ে যাবি।”
রহিমা সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলো। কিন্তু হেটেই ফিরেছে বাসায়।
পরদিন দুপুরে রহিমা হক মঞ্জিলে এসে দেখলো সায়মার কাজিনরা এখানেই আছে। তবে আজ বিকেলে চলে যাবে। রুমেল রহিমাকে দেখেই অদ্ভুত হাসি ফুটিয়ে তুললো মুখে! যা রহিমার মোটেও পছন্দ হলো না! রহিমাকে আসতে দেখে সায়মা বললো ছাদ ঝাড়ু দিয়ে আসতে। গতকাল বাচ্চাগুলো কাগজ ছিড়ে পাতা ছিড়ে নোংরা করে ফেলেছে তার বাগান ও বসায় জায়গা! রহিমা ঝাড়ু নিয়ে চলে গেলো ছাদে। আর সায়মা তার কাজিনদের সাথে কিচেনে ছিলো। তারা নিজেরা আজ নানান খাবারের আয়োজন করছে দুপুরের জন্য। ফারহানা হক রান্নার দিক থেকে অবসরে থাকলেও নাতিদের নিয়ে ব্যস্ত।
রহিমা ছাদে এসে প্রথমে ফুলের টব থেকে ছেড়া পাতা আর কাগজের টুকরো কুড়িয়ে নিলো। অত:পর ছাদ ঝাড়ু দিতে লাগলো। এমনি রুমেল হাজির। রহিমা ঝাড়ু দিচ্ছে আর রুমেল ময়লার উপর দিয়েই বসার সিটে চলে গেলো। হঠাৎই আসায় রহিমা ভয় পেয়ে গেছে। পরক্ষণে ঝাড়ু ফেলে ঝটপট ওড়না মাথায় দিয়ে ঘোমটা টেনে নিলো রহিমা। রুমেল দুহাত ছড়িয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে সিটে। রহিমা বললো,
“ভাইজান, ঝাড়ু দিতাছি। এখন উঠেন। এদিক দিয়া ঝাড়ু দিমু।”
“এটুকু বাদে দাও।”
“না। বারবার দিতে পারতাম না। একবারে সাফ করমু। উঠেন।”
রুমেল বসা থেকে উঠে রহিমার দিকে এগিয়ে এলে রহিমা একটু পিছিয়ে গেলো। কিন্তু রুমেল থামেনি। সে আরও এগিয়ে গেছে৷ এবং হাত বাড়িয়ে এক আঙুল দিয়ে রহিমার গাল স্পর্শ করেছে। রহিমা তার হাত ঝাড়ি দিয়ে ছুটিয়ে বললো,
“ওই মিয়া! গায়ে হাত দেন ক্যা!”
রুমেল এক গাল হেসে বললো,
“শুধু গায়ে না, মনেও হাত দিবো। গভীরে স্পর্শ করবো। বাজেট কত?”
“কিসের বাজেট?”
“আমার কাজ করার, আমার সাথে টাইম পাস করার বাজেট।”
“আমি এমনিতেই দুই বাড়িতে কাজ করি। আর কাজ লাগবো না। কাজ করার সময়ও নাই আমার হাতে। দূরে সরেন!”
রহিমা সিড়ির দিকে আরেকটু পিছিয়ে গেলে রুমেল আরেকটু এগিয়ে রহিমার পেটের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে দিতে বললো,
“বাড়ি বাড়ি কাজ তো দিনে। আমার কাজ রাতে করলেই হবে।”
কথাটা বলার সাথে সাথেই রুমেলের গালে সজোরে থাপ্পড় পড়লো। এটা রহিমা দেয়নি। রহিমার দিকে হাত বাড়ানোর সময় পেছন থেকে সায়মা রহিমাকে টেনে সরিয়ে রুমেলকে থাপ্পড় দিয়েছে! রুমেল রাগান্বিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো সায়মায় দিকে। আর সায়মা কড়া গলায় বললো,
“যেখানে সেখানে বদমাশি মানায় না। এটা কেবল নাইট ক্লাবের পার্টিতেই মানায়। তোর মতলব হাসিল করতে হলে সেখানে যা৷ এমন অসহায় মেয়েদের পেছনে লেগেছিস কেন! গতকাল থেকে দেখছি রহিমার প্রতি তোর আসক্তি! লজ্জা করে না মেয়েদের এসব অফার করতে! নিজের চরিত্র তো শেষ করেছিসই! পরিবারের সম্মানটুকুও এবার ধুলোয় মেশাতে চাইছিস! এবার আর ছাড়ছি না তোকে! খালামনির কাছে ইনফর্ম করবো আমি নিজে। রহিমা, নিচে চল।”
কথাটা বলে সায়মা পেছনে ফিরতেও পারেনি। রুমেল তার হাত ধরে এক টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে গেছে। এবং সাথে সাথেই বাম গালে কিস করেছে! অত:পর মুখে বদমাশি হাসি ফুটিয়ে বললো,
“অফার তো তোমাকে অনেক আগেই করেছি সুইটহার্ট। তো এসে পড়ো না আমার কাছে! তুমি এলে আর কাউকে লাগে না। আর কাউকে অফার করার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু তুমি আর আমি। জাস্ট কাম, ইন মাই ওয়ার্ল্ড!”
রুমেল দু’হাতে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। আর সায়মা ছোটার জন্য চেষ্টা করতে করতে প্রায় কান্না করে দিয়েছে। থাপ্পড় দেয়ার কারণে রুমেল মাত্রাতিরিক্ত সাহসের সাথে সায়মাকে জড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলো। যা রহিমা আর দেখতে পারলো না। হাতের ঝাটা ইচ্ছে মতো মেরে যাচ্ছে রুমেলের পিঠে! এতেই সায়মার মুক্তি। মুখে বকার বুলেট ছুড়তে ছুড়তে ঝাড়ু দিয়ে এলোপাথাড়ি মারছে রহিমা। রুমেল সায়মাকে ছেড়ে রহিমার হাত থেকে ঝাড়ু নেওয়ার চেষ্টা করতে গেলে পেছন থেকে সায়মা তার টিশার্ট টেনে ধাক্কা মারলো। একদিকে ঝাটার বারি আরেকদিকে ধাক্কা, টাল সামলাতে না পেরে রুমেল ফ্লোরে পড়ে গেছে। এতে রহিমার জোর আরও বেড়ে গেছে! ঝাটার বারির সাথে লাথিও চলছে বেশ! যার ফলে রুমেল উঠার সুযোগই পাচ্ছে না! চোখেমুখে বারি লাগায় রুমেল চোখ খুলেও তাকাতে পারছে না! উঠবে কিভাবে! কিন্তু রহিমার মেজাজ চরম পর্যায়ে খারাপ হয়ে গেছে। ইচ্ছে করছে রুমেলকে ছাদের সাথে পিষে রুমাল বানিয়ে উড়িয়ে দিতে! কিন্তু তার মাঝে এতো শক্তি নেই। থাকলে সেটাই করতো।
রহিমার কান্ডে সায়মা হতবাক! সে দ্রুত রহিমাকে থামানোর চেষ্টা করলো। রহিমাকে টেনে পেছনের দিকে নিয়ে গেলো,
“রহিমা, থাম। এমন মারতে থাকলে মার্ডার হয়ে যাবে!”
“আপা ছাড়েন। এই বেডারে আজ দেইক্ষা নিমু! রাইতে কাম করাইবো না দিনে কাম করাইবো হেইডাও বুইজ্জা নিমু। বদমাইশের বাচ্চা! কত্তবড় সাহস! মাইয়া মাইনষের দিকে কুনজর দেয়! নোংরামি করতে আসে! এই নোংরা আবর্জনা আজকা দূর কইরা দিমু! আপা, ছাড়েন আমারে!”
এদিকে রুমেল চোখ ডলতে ডলতে উঠে দাড়ালো। চোখ খুলে ঠিকমতো তাকাতেই পারছে না সে! নতুবা ব্যাপার ছিলো না তাদের দুইজনকে রপ্ত করা! জান নিয়ে ফেরার সময় শুধু এইটুকু বলে গেলো,
“সামা, সি ইউ নেক্সট টাইম। এন্ড ফারদার সি ইউর চামচী!”
রহিমা কথার মানে বুঝতে না পেরে তেজে বললো,
“আপা, এই হালায় আবার কি কইলো?”
সায়মা তাকে থামাতে বললো,
“কিছু না। চুপ!”
রুমেল সিড়ির কয়েক ধাপ নেমে এলে সায়মা সিড়ির ধারে এসে বললো,
“ভাগ্য ভালো থাকতে এই মুহূর্তে আমার বাড়ি ত্যাগ কর। ফ্ল্যাটের দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে সোজা নেমে যা। নতুবা খুব খারাপ হবে তোর সাথে। মাইন্ড ইট!”
অত:পর রহিমা ফুসতে ফুসতে বাকিটুকু ছাদ ঝাড়ু দিলো এবং সায়মা রেলিংয়ের পাশে দাড়িয়ে রইলো। যখন দেখলো রুমেল ফ্ল্যাটে না গিয়ে সোজা নেমে বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে গেছে তখন সায়মা রহিমাকে বললো,
“রহিমা, তুই নিচে যা। আর কেউ যেন কিছু জানতে না পারে। আর পরে রুমেল কিছু জানালে, বাকিটা আমি দেখবো।”
রহিমা ফ্ল্যাটে চলে এলো আর সায়মা এই ভরদুপুরে ছাদে দাড়িয়ে রইলো প্রাণ জুড়ানোর চেষ্টায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here