কাজের মেয়ে যখন ঘরের বউ♥
পার্ট :০৬
লেখক :নাদিম আহাম্মেদ
রাতের খাবার খেয়ে ছাঁদে চলে এসেছি । আজ আকাশটা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে ।
কিছুখন ছাঁদে দাড়িয়ে তারা দেখছি । কেমন জানি মনটা আজ খুব ভালো হয়ে আছে । একটু ছাঁদের কোণে গিয়ে দাড়ালাম ।
একটু পর পিছনে কারও শব্দে পেলাম । তখন পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি তারিন ।
হঠাৎ করে তারিন ছাঁদে কেনো । নাকি তারিনের রুপ ধরে ভুত এসেছে । শরীরের লোম গুলি দাড়িয়ে যায় । আমি তারিনের পার দিকে তাকালাম । না এটা তারিন পেত্নী না ।
কিছু বলবে নাকি যে এখানে এসেছে ।
তারিনের কথায় চুমকে উঠলাম ।
—কি দেখছেন ওমন করে ।
.
আমি তার কন্ঠ ভালো করে শুনি । নাহ্ এটা ভুতের বা পেত্নী না বরং মানুষের কন্ঠ না তো ।
—কি হলো কথা বলছেন না যে ।
—না মানে এমনি ।
—আচ্ছা আপনি এমন কেনো ।
—কেমন ।
—আমি যেরকম শুনেছিলাম সেরকম তো কিছুই দেখছিনা ।
—ও এটা । আসলে কি জানেন মানুষ মাঝে মাঝে রুপ পাল্টিয়ে যায় । কোনো পরিবর্তন হয়ে যায় ।
—বুঝলাম না আপনার কথা ।
—ও কিছু না । আচ্ছা কলেজের প্রথম দিন কেমন কাটলো ।
—অনেক অনেক ভালো লেগেছে । জানেন বৃষ্টিরা না খুব ভালো ।
.
তারিনের কথা বলা দেখে খুব ভালো লেগেছে ।
—হুমমম বৃষ্টিরা খুব ভালো ।
—মনে করেছিলাম তারা কি আমার সাথে কথা বলবে কিন্তু পরে দেখি সেটা ভুল । আমার সাথে সবাই কথা বলে । আর সব ডিপার্টমেন্ট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালো । তারপর ক্লাস করলাম সবাই ।
—ও ।
.
আমি তারিনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি । সে কেমন করে জেনো কথা বলে সেটা দেখতে ভালো লাগে । সেই ইস্টিশন থেকে লক্ষ করে আসছি ।
—আর একটা Chemistry স্যার আছে সুন্দর স্যার । অনেক সুন্দর করে বুঝিয়েছে ।
—হুমমম সে স্যারের নাম অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন আলম ।
—আপনি কেমন করে জানলেন ।
—সে আমার আব্বুর বন্ধু হয় ।
—ও ।
—যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সোজা তার কাছে গিয়ে আব্বুর কথা বললে সেটার সমস্যা সমাধান করে দিবে ।
—আচ্ছা ।
—কি করবেন এখন ।
—ও স্যরি আপনার ছোটমা ডেকেছে সেই জন্য এসেছি । আমার মনে ছিলোনা কথা বলতে বলতে সেটা ভুলে গিয়েছিলাম ।
—ঠিক আছে চলেন ।
—হুমম চলেন ।
.
সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি তখন তারিন পা টা ব্যথা পেলো বলে উঠলো ।
—ও মা ।
—কি হয়েছে ।
.
মুখটা কেমন হয়ে গেছে । বোঝা যাচ্ছে পচন্ড লেগেছে পায়ে ।
—কি হলো খুব লেগে গেছে নাকি ।
.
আমার দিকে একবার তাকিয়ে আবার পা ধরে আছে । চোখের কোণে পানি জমে গেছে বুঝতে পারলাম পচন্ড লেগে গেছে ।
—দেখি দেখি আমাকে দেখতে দিন ।
.
মুখটা গোমরা করে চেয়ে আছে । মনে হচ্ছে এখনি কেঁদে দিবে । হাসি ভরা মুখটা মেঘে ডেকে গেছে ।
—হাতটা সরান আমি পা টা দেখি ।
.
আমি হাত দিয়ে পা টা ধরলাম । পা লাল হয়ে আছে ।
আমি আস্তে করে পা একটু ধরে মালিস করিয়ে দিলাম ।
—ও মা ব্যথা খুব ব্যথা করছে প্লিজ পা টা ধরবেন না খুব ব্যথা লেগে গেছে ।
—আরে সেরে যাবে চলেন ।
.
আমার দিকে কেমন করে তাকালো । চোখের কোণে পানি ভরা । মনে হচ্ছে এখনি বৃষ্টি হতে পারে ।
আমি আবার বললাম ।
—হাতটা দিন ।
.
তারিন হাতটা এগিয়ে দিলো । আমি হাতটা ধরে উঠালাম ।
সোজা হয়ে দাড়াতে কাঁন্না করে দিলো । বুঝতে বাকি রইলো না যে সে সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না ।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা । কোলে করে রুমে দিয়ে আসবো নাকি না যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে তখন কি মনে করবে । আর সে তো হেঁটে যেতে পারবেনা । ধ্যাত এতো কিছু ভাবলে চলবে না । আমি তো ইচ্ছে করে তাবে কোলে নিচ্ছি না । আর ফ্যামেলির সবাই আমাকে ভালো করে চেনেন কিন্তু তবুও যতি একবার সন্দেহ করে তো শেষ ।
—কি ভাবছেন চলেন । আমি একা হেঁটে যেতে পারবো ।
.
কি বলি এখন তারিনকে । সেতো যেতে পারবে তো একা ।
—আচ্ছা চলেন ।
.
নিচের সিঁড়িতে নামতে কেঁদে উঠলো ।
—ওহ্ ।
.
বলে বসে গেলো পা ধরে ।
বুঝতে পারলাম তার পচন্ড লেগেছে । না হলে এরকম কাঁন্না করতো না ।
কিছু আর না বেবে বলে দিলাম ।
—যদি কিছু মনে না করেন হাতটা ধরেন ।
.
কথাটা শুনে রেগে গেলো । বুঝতে পারছি মুখের চেহারা দেখে ।
—কি হলো হাতটা ধরেন ।
.
আমার হাতটা তারিন ধরলো । আমি আস্তে করে তাকে ধরে উঠিয়ে তারপরে কোলে তুলে নিলাম । হয়তো এটা আমার ঠিক হয়নি । কিন্তু সে তো জাটতে পারছেনা । আর তাকে ফেলে আসা এটা খুব খারাপ দেখায় । তাই সব কিছু চিন্তা করে কাজটা করলাম । হয় সে খারাপ ভাবুক এতে কিছু করার নেই । আমার তো কোনো বদ মতলব নেই যে আমি সেজন্য কাজটা করছি ।
তারিনকে কোলে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে তারিনের দিকে তাকালাম । আমার দিকে কেমন চোখে তাকিয়ে আছে । চোখের কোণে পানি জমে আছে তারিনের ।
সিঁড়ি দিয়ে নেমে চলে এলাম ।
দাড়িয়ে পরলাম তাকে কোলে নিয়ে । ভাবছি তাকে নামিয়ে দেবো নাকি দিবোনা । যদি কেউ দেখে ফেলে । আমার এরকম দেখে তারিন বললো,
—আমাকে নামিয়ে দিন আমি হেঁটে যেতে পারবো ।
.
কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম আমার চিন্তা করা দেখে বুঝতে পেরেছে ।
—কি হলো নামিয়ে দিন ।
.
আমি তারিনকে নামিয়ে দিলাম । তারিন যেতে লাগলো । তখন বলে উঠলো ওহ্ ।
—ব্যথা আছে এখনো ।
—না ।
—আমি কি ধরে আপনার রুমে এগিয়ে দিয়ে আসতে পারি ।
—না ঠিক আছে আমি একা যেতে পারবো ।
—আরে চলেন তো একা যেতে পারবেন না আমি জানি ।
.
আমি হাতটা ধরে তারিনকে তারিনের রুমের দিকে নিয়ে যাচ্ছি । তারিন ন্যাংরাতে ন্যাংরাতে হাটতে থাকলো ।
তারিনকে বিছানায় শুয়ে দিলাম । তারপর চাঁদর হায়ে দিয়ে দিলাম ।
—এখন ঘুমিয়ে পরেন আমি মামনিকে মেডিসিন দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি ।
—না থাক এমনিতে ঠিক হয়ে যাবে ।
—আরে আপনি পাগল নাকি এমনিতে কি সেরে যায় ।
—এরকম কত হয়েছে আর এমনিতে সেরে গেছে ।
—ধ্যাত এত কথা বেশি পছন্দ করিনা । আমি মামনিকে মেডিসিন দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি । গুড নাইট ।
—গুড নাইট ।
.
আমি তারিনের রুম থেকে বের হয়ে মামনির রুমের দিকে চলে গেলাম ।
মামনির রুমে গিয়ে দেখি মামনি বিছানায় শুয়ে আছে । আর আব্বু ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছে মনে হচ্ছে । আমি গিয়ে মামনির কাছে গিয়ে বসে পরলাম ।
—মামনি ।
—কিছু বলবি তুই ।
—হ্যা ।
—কি বলবি বল ।
—না মানে বলতে চাইছিলাম যে তারিনের ।
—তারিনকে পছন্দ হয়েছে নাকি আবার কোনো জামেলায় ফেলেছে ।
.
আব্বুর দিকে তাকালাম । ল্যাপটপের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে আমাদের দিকে তাকালো ।
—তুমি না ধ্যাত তারিনকে পছন্দ মান একদম বেশি বলবেনা ।
—আচ্ছা কি হয়েছে বল ।
—তারিনের পা টা মুচকে গেছে ।
—কিভাবে ?
—আমাকে ছোটমা ডেকেছিলো তখন ছাঁদে ডাকতে যায় আর আসার সময় সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাওয়ার সময় তখন পা টা ফোঁচ্ছকে পা টা মোঁচকে গেছে । তাই ওই ক্রিম মেডিসিন নিয়ে পায়ে দিয়ে দেন ।
—আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখনি যাচ্ছি ।
—ঠিক আছে ।
.
মামনি ড্রয়ারের ভেতর থেকে মেডিসিন নিয়ে রুম হতে বের হলাম ।
তারপর মামনি তারিনের রুমের দিকে গেলো আর আমি ছোটমার রুমে চলে এলাম ।
ছোটমার রুমে এসে বললাম ,
—ছোটমা আমাকে ডেকেছেন ।
—এতো দেরি কেনো হলো । শরীর খারাপ নাকি দেখি এদিকে আয় তো ।
.
ছোটমা আমার কাছে এসে কপালে হাত দিয়ে দেখে ।
—জ্বর তো নেই । কিন্তু এতো ধেরি করে এলি কেনো ।
—মানে তারিন আমাকে ডাকতে ছাঁদে চলে যায় তখন আসার সময় তারিনের পা ফোঁচ্ছকে পা টা মোঁচকে যায় ।
—তারিন এখন কোথায় ।
—রুমে শুয়ে দিয়ে এসেছি অবশ্য মামনিকে মেডিসিন দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি ।
—আচ্ছা তুমি রুমে যাও আমি তারিনের রুমে যাচ্ছি ।
—আপনি যে ডেকে ছিলেন ।
—মেডিসিন আনার জন্য ডেকে ছিলাম ।
—আচ্ছা আমি এনে দিচ্ছি ।
—তোমার ছোট অব্বু আনতে গেছে ।
—ঠিক আছে ।
.
চলে এলাম ছোটমার রুম থেকে ।
আমার রুমে শুয়ে পরলাম ।
ভাবতে লাগলাম মেয়েটা মনে হয় খুব ব্যথা পেয়েছে । আমার কিছু করার নেই ।
মেয়েটার জন্য পাগল । কারণ খুব শ্রদ্বা করে সবাইকে । হয়তো সে এ বাড়ির কাজের মেয়ের মতো মনে করে । কিন্তু বাড়ির সবাই এ বাড়ির সদস্য মনে করে ।
ঘুমিয়ে পরলাম ।
.
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে গেলাম ।
সবাই টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি । তখন ছোটমা বললো ,
—তারিন এখন কেমন লাগছে ।
—জ্বী আন্টি ভালো ।
—ব্যথা করছে কি এখন ।
—না এখন ব্যথা করছে না ।
—খুশির সাথে আজ কলেজে যাবে ।
—জ্বী ।
—নাদিম ।
—জ্বী ছোটমা ।
—ওদেরকে নামিয় দিয়ো কলেজে ।
—জ্বী ঠিক আছে ।
—এখন খাবার খেয়ে নাও ।
.
খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম ।
কিছুখন রেস নিয়ে তারপর অফিসের জন্য রেডি হচ্ছি ।
.
রুম থেকে বের হয়ে নিচে এসে অপেক্ষা করছি ।
এদিকে মহারাণীদের জন্য অপেক্ষা করছি । এখনো রেডি হয়ে বের হয় নি ।
আজ থেকে প্রতিদিন একটা কাজ পেলাম মনে হয় প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় কলেজে নামিয়ে দিয়ে যেতে হবে ।
একটু পরে দুই মহারাণী চলে এলো ।
তারপরে চলে এলাম গাড়ির কাছে । গাড়িতে উঠে সোজা কলেজের দিকে চলে গেলাম ।
আজ ভালো করে দেখি নাই কারণ তারিনের সাথে খুশি আছে । যদি একটু টের পায় সো সবাই কে বলে দেবে । তাই আর সাহস করে ভালো করে দেখার সুজুক নাই ।
বিন্তু নো প্রব্লেম ।
বসে দুজনে গল্প করছে । আমি গ্লাস টা তারিনকে যেনো দেখা যায় সেরকম করে বাকা করে দিলাম ।
কিহ্ সুন্দর করে হেসে কথা বলছে ।
গাড়ি চালাচ্ছি আর মাঝে মাঝে গ্লাসের দিকে তাকাচ্ছি ।
প্রায় আধঘন্টা পর পৌঁছে গেলাম ।
দুজনকে নামিয়ে দিয়ে সোজা অফিসের দিকে যাচ্ছি ।
ওহ্ আপনাদেরকে তো একটা কথা বলিনি ।
খুশি ইন্টারমিডিটে পড়ে । খুশি বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে । তারিনের মতো গুড স্টুডেন্ট ।
তাই একি কলেজে সো তাই দুজন একসাথে কলেজে যেতে হবে ।
অতঃপর
অফিসে চলে এলাম ।
সারাদিন অফিস করে সন্ধ্যায় বাসায় চলে এলাম ।
রাতের খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম ।
কিছুখন অফিসের কাজ করে তারপর ঘুমিয়ে যায় ।
এভাবে কাটতে থাকে দিন ।
প্রতিদিন সকালে খেয়ে রুমে এসে কিছুখন রেস নিয়ে অফিসে চলে যায় ।
অফিসে যাওয়ার সময় খুশি আর তারিনকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে যায় ।
আর সন্ধ্যায় চলে আসি ।
এভাবে কেটে যায় অনেক দিন ।
.
একদিন রুমে বসে আছি । আজ বিদুৎ কেমন জানি ডিস্টার্ব করছে । শুধু বারে যাচ্ছে আবার আসছে ।
রুমে বসে আছি তখন তারিন রুমে চলে এলো ।
তারিন আসা মাত্র বিদুৎ চলে গেলো । অন্ধকারের কারনে কিছু দেখা যাচ্ছে না রুমের ভেতর ।
তখন তারিন বললো ,
—আপনি লাইটা জ্বালান তো ।
—আইপিএস এ চার্জ নেই ।
—আমি তো কিছু দেখতে পাচ্ছি ।
.
তখন মাথায় বুদ্ধি এলো ভয় দেখায় আজ । তাই আস্তে করে পাস কাটিয়ে দরজার কাছে চলে এলাম ।
আমার রুম আমি ভালো ভাবে চলতে পারবো বিদুৎ না থাকায় ।
পা টিপে টিপে আস্তে আস্তে করে তার পিছনে চলে এলাম ।
ফুঁ দিয়ে তারিনের চুল গুলি এলো মেলো করে দিচ্ছি ।
—নাদিম ভাইয়া আপনার ফোনের লাইটা জ্বালান তো ।
.
আমি কোনো কথা বলছিনা ।
—কি হলো কথা বলছেন না কেনো ।
.
আমি নিশ্চুপ হয়ে তার পিঁছু পিঁছু যাচ্ছি খাটের দিকে ।
—আপ….আপনি ক..ক..কথা বলছেন না কেনো ।
.
আমি পিঁছনে থেকে ফুঁ দিয়ে আবার চুল গুলি এলোমেলো করে দিচ্ছি ।
—কে…কে..কে পিছনে । নাদিম ভাইয়া আপ…আপনি কোথায় আর কথা বলছেন না কেনো । আপনি ভয় দেখাচ্ছেন তাই না । আমি বুঝতে পেরেছি ।
.
আমি নিশ্চুপ হয়ে তার পিছনে আছি । কিভাবে ভয় দেখানো যায় ।
আর একটু এগিয়ে গেলো । আমিও পিঁছু পিঁছু চলে গেলাম । কিন্তু খুব সাবধানে যাচ্ছি জেনো বুঝতে না পারে ।
হঠাৎ তারিনের জুতার সাথে পা লেগে পরে যায় তারিনকে নিয়ে বিছানার উপরে ।
তারিন জোরে চিৎকার দিবে তখন মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরলাম ।
তখন ম্যাসেজ এলো ফোনে । ফোনটা বিছানায় আছে সেটার আলো তে একটু আলো ছড়িয়ে পরলো । আমি হাত দিয়ে ডিপ লাইটটি জ্বালালাম । সেটার আলোতে দেখতে পেলাম । তারিনের রাগি চেহারা ।
আমি ইচ্ছে করে তাকে আমার উপরে ফেলে দেয়নি ।
তারিন আমার উপর থেকে উঠে যেতে লাগলো । তখন ভাগ্যের কারণে তার ওরনাটা আমার হাতের সাথে লেগে আছে মনে হচ্ছে আমি ওরনা ধরে আছি ।
তারিন উঠতে চেষ্টা করছে কিন্তু উঠতে পারছে না । আরও রেগে যায় তারিন ।
অাল্লাহ জানে কি হবে এখন ।
হাতের সাথে ওরনাটা লেগে যায় সেটা হাত দিয়ে ছাড়িয়ে দিলাম তখন তারিন উঠে পরলো । কিছু বলতে যাবো তখন তারিন বলে উঠলো ।
চলবে