কাজের মেয়ে যখন ঘরের বউ♥
পার্ট :১২,১৩,১৪
নাদিম আহাম্মেদ
বাসর ঘরটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে । বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে রুমটা ।
দেখতে খুব ভালো লাগছে ।
বাসর ঘরের চেয়ে সব থেকে বেশি সুন্দর লাগছে তারিনকে ।
আমি দাড়িয়ে আড় চোখে তারিনকে দেখছি । তারিন ঘোমটা দিয়ে বসে আছে । হয়তো আগে থেকে চেনা তবুও প্রথম রাত ।
অনেক গহনা দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে । নতুন বউ সাঁজাতে যেভাবে সাজানো লাগে সেরকম ভাবে সাঁজিয়ে রেখেছে ।
আমি মন ভরে দেখে নিলাম তারিনকে । কারণ বিয়ে করেছি ঠিক কিন্তু বউ এর মর্যাদা পাবেনা । আর যদি পায় তাহলে প্রতিশোধ নেওয়ার পর । প্রতিশোধ নিলে কেউ কি তার স্বামীর সাথে সংসার করবে । মনে হয়না কোনো মেয়ে সংসার করবে ।
মন ভরে দেখলাম তারিনকে । আমি যে তারিনকে পছন্দ করি । হয়তো তারিন জানে না আর জানতে পারবেনা ।
তারপর তারিনের দিকে তাকিয়ে বললাম ।
—২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করি আল্লাহুর জন্য
।
.
তারিন মাথাটা নাড়িয়ে হ্যা বোধক করলো । এর মানে সে নামাজ পড়বে ।
আমি আবার বললাম ।
—আমার সাথে সাথে আস ওযু করে আসি ।
—জ্বী আপনি ওয়াশ রুমে যান আমি আসছি ।
.
যাক বাবা কথা তাহলে বের হলো মুখ থেকে ।
আমি ওয়াশ রুমে চলে গেলাম । আমার পিঁছনে তারিন আসছে ।
দুজনে ওযু করে এসে ২ টা জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়া পরলাম ।
আমি আগে আমার পিছনে তারিন নামাজ পড়ছে ।
আমি নামাজের সালাম ফিরিয়ে আল্লাহুর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করলাম ।
দোয়া শেষে জায়নামাজ রেখে দিলাম ।
তারপর তারিন বিছানায় গিয়ে বসে গেলো ঘোমটা দিয়ে । আমি বিছানার কাছে যেতে লাগলাম । বুকের হার্টবিট বেরে যাচ্ছে । কি করবো এখন প্রতিশোধ নিবো নাকি স্ত্রীর মর্যাদা দিবো । বুঝতে পারছিনা কি করবো এখন । কিন্তু মাথার ভেতর শুধু প্রতিশোধের কথা ঘুরপাক খাচ্ছে ।
আমি গিয়ে বিছানা কাছে চলে এলাম ।
তখন খাট থেকে নেমে তারিনের চুল দিয়ে আমার পা মুঁছে দিলো ।
তারপর আবার খাটে গিয়ে বসে পরলো ।
ঘোমটা দিয়ে বসে আছে নাকি আমাকে ফলো করছে ।
আমি তারিনের ঘোমটা নামিয়ে তারিনের দিকে তাকালাম । বাহ্ অসাধারণ লাগছে শ্যামলা মেয়েটাকে ।
দেখতে একদম ঠিক পরীর মতো লাগছে ।
আমার এরকম তাকানো দেখে তারিন লজ্জা পেলো ।
তারিনের সব চেয়ে খারাপ জিনিস লক্ষ করলাম । আমার তো সহ্য হচ্ছে না । এতো লিপিস্টিক নেয় কেনো বুঝতে পারি না ।
আমি তারিনের আরও কাছে চলে গেলাম । আমাকে এতো কাছে যাওয়া দেখে তারিনের মুখ শুকিয়ে গেলো । মনে হচ্ছে ভয় পেয়েছে ।
আমি তারিনের সামনে বসে আছি । জানি না কি হবে একটু পর ।
দুজনে চুপ করে বসে আছি খাটের মাঝ খানে । কেউ কোনো কথা বলছি ।
আমি দুষ্টুমি করে হাতটি তার ঠোঁটের দিকে বারিয়ে দিলাম । তারিন খুব ভয় করছে মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে । আমি আলতো করে তার ঠোঁটের লিপিস্টিক মুঁছে দিলাম । তারিন আরও বেশি করে ভয় করছে । কারণ কি করছি আমি ।
আমি লিপিস্টিক মুঁছে দিয়ে বললাম ,
—আমি শুয়ে থাকবো আমাকে ঘুমাতে দাও ।
.
আমার কথাটা শুনে তারিনের মুখে কেমন জানি ছাঁপ এসে গেলো । ভাবছে কি বলছি আমি ।
আমি আবার বললাম ,
—কি হলো কথা শুনতে পাওনি নাকি । ( জোরে বললাম )
.
তারিন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে । আমি কি বলছি সেটা বোঝার চেষ্টা করছে ।
—কি হলো আমার দিকে তাকিয়ে কি ভাবছো । যেটা বললাম সেটা করো । ( রেগে )
.
তারিন একটু সরে বসলো ।
—আমি এক খাটে দুজন শুয়ে থাকতে পারি না ।
.
তারিন নিশ্চুপ হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমি এসব কি বলছি বুঝতে পারছেনা ।
—ভাবছো হঠাৎ এরকম করছি কেনো । তোমার মতো (কাজের_মেয়েকে) আমি বিয়ে করবো এটা ভাবতে পারলে । আমি শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিয়ে করেছি । কারণ তুমি বলেছিলে না । আমি নাকি তোমার দেহকে চায় । আজ পেয়েছি তাই না । আজ আমার ইচ্ছা মতো নিজের খায়েস পুরুন করতে পারবো । কিন্তু কেনো করবোনা জানো । সেদিন বলেছিলেনা আমি তোমার সরলতার সুজুক নিয়ে তোমাকে স্পর্শ করেছি বলেছিলেনা হ্যা । ঠিক আছে আমি মেনে নিয়েছিলাম আমি তোমাকে স্পর্শ করেছি সরলতার সুজুক নিয়ে । সেদিন কত কষ্ট হয়েছিলো জানো ।
আরে তুমি জানবে কেমনে সেটা তো আর দেখতে পাওয়া যায় না । মনে হচ্ছে ভেতরটা খুলে দেখায় তোমাকে ইচ্ছে করে স্পর্শ করেছিলাম নাকি ।
আমাকে ছোটবোনের সামনে ছোট করেছিলে । সে হয় তো কি ভেবেছে জানি না । কিন্তু পরিস্থিতি দেখে তো বোঝা যায় কি ঘটেছে ।
একটা কথা ভালো করে শুনে রাখো । আমি তোমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবোনা । কারণ আমি তোমাকে বিয়ে করেছি দুইটা কারণে এক প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আর এক ফ্যামেলির পছন্দে । সো নিজেকে স্ত্রীর মর্যাদা পাবেনা ।
আর একটা কথা মনে রাখবে । মামনি আর ছোটমা মানে ফ্যামেলির সবাই জেনো বুঝতে না পারে আমার এই কথা । সবার সামনে আমার সাথে অভিনয় করবে । আর এই কথাগুলি ভুলে কাউকে বলবে না মনে থাকে জেনো । আমি ঘুমাবো অনেক টায়ার্ড লাগছে ।
.
তারিন অপলোক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে কথাগুলি শুনছিলো । হয়তো চোখের পানি ঝর্ছে না কেনো সে জানে । হয়তো সত কষ্টে নিজের চোখের পানি ধরে রেখেছে । কারণ কোনো মেয়ে বাসর রাতে এই কথাগুলি আশা করবেনা ।
.
কথাগুলি কেমন করে যে বললাম আমি নিজে জানি না । কথাগুলি বলতে কতো যে কষ্ট হয়েছে তা বোঝাতে পারবোনা ।
তারিন খাটে থেকে উঠে নিচে নেমে গেলো । তখন মনে হলো তারিনকে জরিয়ে ধরে বলি দুর বুকের ভেতর ঝড় ভয়তে লাগলো । আমি কি করছি এসব । আমি কি সত্যি প্রতিশোধ নিচ্ছি । আর কেনো নিবো না । তারিনকে বোঝাবো যে আমি সত্যি কি তার দেহকে চায়ছি ।
তারিন ছোঁফায় গিয়ে শুয়ে পরলো উপর দিকে মুখ রেখে । তারিনকে বললাম ,
—এই চাঁদর আর বালিশ নিয়ে যাও ।
.
আমার দিকে তাকালো তারিন । বুঝতে পারলাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে ।
তারিন আমার কথা না শুনে ঘুমিয়ে পরলো ।
আমি উঠে লাইট অফ করে দিয়ে শুয়ে পরলাম ।
আমি জানি সব ছেলে/মেয়ের একটা স্বপ্ন থাকে এই রাত নিয়ে ।
তেমনি তারিনের ছিলো এবং আমারও ছিলো । কিন্তু এমন কেনো করলাম তারিনেন সাথে । আমি কি সত্যি… না ।
আসলে আমি একটা গাধা । যে সেটা নিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছি । সুন্দর একটা মনকে কষ্ট দিচ্ছি ।
তারিন পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও । আমি জানি এই প্রতিশোধ কয়দিন নেওয়া শেষ হবে ।
আমিও যে তোমাকে পছন্দ করি কিন্তু সেদিনেন থাপ্পড়ের কথা যে আমাকে শেষ করে দিচ্ছে ।
আমি জানি না ভুল করছি নাকি ঠিক করছি । তারিন পারলে কোনো দিন ক্ষমা করে দিও ।
কেনো জানি আজ ঘুম আসছেনা চোখে । চোখের পানি মুঁছে তারিনের দিকে তাকালাম ।
লাইটটা অফ করেছি দেখতে পারছিনা মেয়েটা ঘুমিয়ে পরেছে কি নাকি এখন কাঁন্না করছে ।
আমি চোখের পানি মুঁছে উঠতে চাইছি কিন্তু হঠাৎ মনে হলো এখন যদি তার কাছে যাই নিশ্চয় খারাপ ভাববে । তাই আবার শুয়ে পরলাম ।
অনেকখন কেটে গেলো কিন্তু আজ ঘুম আসছেনা চোখে বুঝতে পারছিনা । কি হলো আজ ঘুম মামা কি আমার চোখে আসবেনা ।
চোখের পানি কেনে বের হয়ে গড়িয়ে পড়ছে বুঝতে পারছিনা । তারিনকে কষ্ট দিয়ে কি আমি কষ্ট পাচ্ছি । হ্যা কষ্ট পাচ্ছি কারণ জানি না ।
একা একা ভাবতে প্রায় ১ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে । এখন কি তারিন ঘুমিয়ে গেছে নাকি এখনো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁন্না করছে ।
আমি যে পারছিনা তারিনের কষ্টগুলি সহ্য করতে । আমি কি এই প্রতিশোধ না নিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারি না ।
মনকে নানা রকম প্রশ্ন করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত । কিন্তু কেনো জানি বার সেই চিঠির কথাগুলি ভেসে উঠছে চোখের সামনে ।
আরও কিছু সময় কেটে গেলো ।
এখন মনে হয় তারিন ঘুমিয়ে পরেছে । এখন তাকে খাটে এনে শুয়ে দেওয়া ভালো হবে ।
আমি উঠে লাইটটা জ্বালিয়ে নিলাম ।
দেখি তারিন গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে । আমি তারিনের কাছে চলে এলাম ।
ভাবতে লাগলাম আমি কি ডাক দিবো নাকি কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়ে রেখে দিবো ।
যদি তারিন ঘুমিয়ে না যায় তাহলে তো আমাকে খারাপ বলবে ।
আমি আবার খাটের কাছে চলে এলাম । খাটের উপর বসে গেলাম । কি করি এখন । তারিনকে কি ছোঁফায় ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে দিবে । না এটা ভালো দেখায় না । কারণ আমি তো দুজন খাটে শুয়ে থাকতে পারিনা এটা তো এমনি বলেছিলাম ।
আমাকে এতো কিছু ভাববার সময় নেই ।
আমি আবার তারিনের কাছে চলে এলাম । তাকে তুলে কোলে নিবো কি ভেবে আর নিলাম না । দাড়িয়ে রইলাম ভাবতে লাগলাম । আমি এখন কি করি ।
আমি তো ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী তারিনের স্বামী । তাকে স্পর্শ করা আমার অধিকার আছে । তবুও কোথায় জেনো বাঁধা দিচ্ছে ।
আমি তো তারিনের কাছে অনুমতি নেয় নি । তাহলে কি তারিনের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হবে ।
তখন তো লিপিস্টিক নিয়েছিলো তাই অনুমতি ছাড়া টার্চ করেছিলাম । কি করবো বুঝতে পারছিনা ।
সব কিছু ভেবে তারিনকে কোলে তুলে নিয়ে খাটের দিকে গেলাম ।
অনেক সুন্দর লাগছে তারিনকে । কেঁদেছে তার দাগ রয়ে গেছে গালে ।
আমি তারিনকে বিছানায় উপর শুয়ে দিলাম ।
তারপর চাঁদরটা তারিনের উপর দিয়ে দিলাম ।
কিছুখন তারিনের মুখের দিকে তাকিয়ে মন ভরে দেখলাম । হয়তো এভাবে আমাকে দেখতে হবে । কারণ স্ত্রী মর্যাদা দিতে পারবোনা । ক্ষমা করে দিয়ো তারিন ।
চোখের পানি মুঁছে টেবিলে ডায়রিটা নিয়ে বসে গেলাম ।
হাতে কলম নিয়ে বসে আছি কি লিখবো এখন ।
কলমটা হাতে নিয়ে ভাবতে থাকলাম ।
ডায়রিটা যখন লিখতে যাবো তখন মনে হলো লাইটটা অফ করলে ভালো হবে । এতে তারিন ভালো ভাবে ঘুমাতে পারবে ।
আমি গিয়ে লাইট অফ করে দিলাম ।
তারপর টেবিলে এসে টেবিলের পড়ার লাইট জ্বালিয়ে লেখতে লাগলাম ।
লেখা শেষ করে তারিনের দিকে তাকালাম । আবছা আলো মানে টেবিলের যে আলো জ্বলছে সেটার আলো ছড়িয়ে পরেছে ।
ডায়রিটা ড্রায়ারে রেখে দিলাম ।
.
আমি এসে বিছানায় শুয়ে পরলাম ।
এক বিছানায় শুয়ে আছি দুজন ।
ভয় করছে যদি নিজের অজান্তে স্পর্শ লেগে যায় ভয় করছে ।
জানি আমার অধিকার আছে । আর সব স্বামীর অধিকার আছে তার স্ত্রীকে টার্চ করা ।
আমি তারিনের কিছুটা দুরুত্ব বোঝায় রাখলাম । যাতে স্পর্শ না লেগে যায় । তাই আমি চাঁদর শরীরে নিলাম না ।
কিছুখন ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানি না ।
হঠাৎ করে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ২:৫২ বাজে এর মানে । আধঘন্টা ঘুমিয়ে আবার ভেঙ্গে গেছে ।
তখন দেখি তারিন আমার বাহুতে । আমার বুকের মাঝে ঘুমিয়ে গেছে ।
আমি তো অবাক হলাম । আমি তো দুরুত্ব বোঝায় রেখে ঘুমিয়ে ছিলাম । কিভাবে আমার বুকের মাঝে তারিন ।
আমি খুব টেনশনে পরে গেলাম । আমি কি তাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়েছি নাকি তারিন আমার বুকের মাঝে এসে ঘুমিয়ে পরেছে ।
কিছু বুঝতে পারছিনা । কি ঘটে যাচ্ছে আমার সাথে ।
আমি তারিনকে বুকের মাঝে থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলাম । কিন্তু এমন ভাবে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়েছে তাকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে দিতে পারছিনা ।
যদি জোর করে সরিয়ে দেই তাহলে হয়তো তারিনের ঘুমটা ভেঙ্গে যাবে তাই জোর করলাম না ।
আমাকে ক্ষমা করে দিও তারিন । আমি ইচ্ছে করে জরিয়ে ধরি নি । জানি না কেমন করে আমার বুকের ভেতর চলে এসেছো জানি না ।
আমি তারিনের চুলে চুমু দিতে যাবো ভাবছি ।
ভাবতে ভাবতে তারিন আরও আমাকে ভালো করে জরিয়ে ধরলো ।
আমার সারা শরীর ঘেমে যাচ্ছে ।
প্রতিটি পুরুষের এরকম হবে । কারণ সব পুরুষের পুরুষত্ব নামক জিনিস আছে সেটা কন্ট্রোল করা সম্ভব না ।
কিন্তু আমি যে তারিনকে বলে দিয়েছি আমি তোমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিবো না । কিন্তু যদি ভুলে সেটা হয়ে যায় তাহলে তারিনের সামনে দাড়াতে পারবোনা ।
আমার শরীর ঘেমে যাচ্ছে তারিনের স্পর্শে ।
নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিনা ।
আল্লাহ আপনি আমাকে সহ্য করার ক্ষমতা দিন । তা না হলে আমি যে তারিনের সামনে ধারাতে পারবোনা । আমাকে সেভ কর আল্লাহ ।
এগুলি বলতে বলতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানি না ।
.
কারও স্পর্শে ঘুমটা ভেঙ্গে যায় ।
চোখটা খুলে দেখি তারিন আমার মাথাটা বিলিয়ে দিচ্ছে ।
আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো ।
—জান্নাতে যাবেন ।
.
আমি ঘুম ঘুম চোখে বলে দিলাম ।
—হ্যা যাবো । তুমি যাবে না ।
—হ্যা যাবো । তাহলে উঠে ওযু করে তাহাজ্জতের নামাজ পড়ে আল্লাহুর কাছে চেয়ে নিন ।
—ঠিক আছে তুমি চলে যাও সাথে আমাকে নিয়ে যেও ।
.
মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো ,
—সেজন্য বলছি আল্লাহুর কাছে দুজন মোনাজাত করে চেয়ে নেই ।
—তুমি চেয়ে নাও আমার খুব ঘুম পাচ্ছে । তুমি যখন জান্নাতে যাও তখন আমাকে নিয়ে যেও ।
.
আবারও তারিন মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো ।
—অবশ্যই আমি যদি জান্নাতে যাই ইনশা আল্লাহ তখন আপনাকে নিয়ে যাবো ।
—তাহলে আমি ঘুমিয়ে যাই । তুমি যখন যাবে তখন আমাকে সাথে করে নিয়ে যেও ।
.
মিষ্টি হাসি দিয়ে তারিন বললো ।
—ঠিক আছে ঘুমিয়ে যাও । ইনশা আল্লাহ আমি যদি জান্নাতে যাই আমি আপনাকে নিয়ে যাবো ।
.
তারিন মাথাটা বিলিয়ে দিচ্ছে । আর নাদিমের দিকে তাকিয়ে আছে ।
নাদিম আবার ঘুম রাজ্যে চলে যায় আর তারিন কিছুখন নাদিমের দিকে তাকিয়ে থেকে আল্লাহুর কাছে দোয়া করে ।
হে আল্লাহ ! আপনি আমার স্বামীকে হেদায়েত দিয়ে দিন । আমি জেনো তার সাথে এক সাথে জান্নাতে থাকতে পারি । ( আমিন )
.
আল্লাহুর কাছে দোয়া করে আলতো করে নাদিমকে চুমু দিয়ে পাশ থেকে উঠে ওযু করতে যায় ।
তারিন ওযু করে এসে তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করে নিলো । আর আল্লাহুর কাছে দোয়া করে ।
তারপর কোরঅান শরীফ তেলোয়াত করলো ।
ফজরের আযান দেয় কোরঅান শরীফ তেলোয়াত করতে করতে ।
কোরঅান শরীফ রেখে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলো ।
তারপরে নাদিমের পাশে এসে আবার চুমু দেয় তারিন । কি জেনো ভেবে তারিন মিষ্টি হেসে উঠে ।
নাদিমের পাশে বসে কিছুখন নাদদিমের দিকে তাকিয়ে রইলো ।
তারপর মাথার চুলগুলি হাত দিয়ে এলোমেলো করে দেয় ।
তারপর ঘরটা গোছাতে লাগলো । ঘরটা গোছানো আছে তবুও কিছু জিনিস এলোমেলো আছে ।
এদিকে বিয়ে বাড়িতে হৈ চৌ শুরুয়ে যায় ।
তারিন সব গুছিয়ে নেয় ।
তারিন কি জেনো খুঁজতে লাগলো ।
কিন্তু তা পেলোনা । আবার এসে নাদিমের পাশে বসে পরে ।
কিছুখন বসে থাকে বিছানায় । কি জেনো ভাবছে তারিন ।
বাহিরে থেকে তখন দরজায় নক করছে কে জেনো ।
তারিন দরজা খুলে দেয় । দেখে যে খুশি আর তার বান্ধুবী ।
তখন তারিন ভেতরে আসতে বললো ।
খুশি তার বান্ধুবীদের নিয়ে রুমে চলে আসে ।
খুশি দেখলো এখনো তার ভাই ঘুমে আছে । খুশি গিয়ে নাদিমের কাছে চলে যায় । খুশির এরকম দেখে তারিন খুশির কাছে চলে যায় ।
—এই ভাইয়া উঠ ।
.
তারিন বললো ,
—খুশি তোমার ভাইয়াকে ডেকো না ।
—কেনো ভাবি ।
—আজ ঘুম পারেনি ।
.
তারিনের কথা শুনে খুশি ও খুশির বান্ধুবীরা কেমন চোখে তাকিয়ে আছে ।
সবাই মনে মনে হাসছে ।
—বাব্বাহ্ একদিনে কি মহব্বত হয়ে গেছে স্বামীর জন্য । (ঋতু)
—ভাবি কি বেপার । ( হেসে হেসে )
.
তারিন লজ্জা পেয়ে গেলো । কারন তারা কি ভাবছে সেটা বুঝে গেছে তারিন ।
এদিকে নাদিমের ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।
—দেখ খুশি তোর ভাইয়া উঠে গেছে । (বৃষ্টি)
—হুমমম তার বউকে নিয়ে মজা করছো সে কি ঘুম রাজ্যে থাকতে পারে । (রাত্রি)
.
এরকম কথা শুনে নাদিম কিছু বুঝতে পারলো না ।
—ভাবি তা রাতে কি ঘটেছে বলবে কিন্তু ।
.
নাদিম বসে আছে সবার মাঝে । ঘুম থেকে উঠে কেমন জানি ফিল করছে ।
—ভাইয়া ফ্রেশ হতে যা ।
—যাচ্ছি ।
—ভাবি বললে না কি করেছো রাতে ।
.
তারিন নাদিমের দিকে তাকিয়ে বললো ।
—ঠিক আছে বলছি ।
.
নাদিম কেমন চোখে তারিনের দিকে তাকালো । আর ভাবছে সব বলে দিবে কি তাহলে রাতের সে ঘটনা ।
.
ঋতু বলে উঠলো ।
—দেখ ভাইয়ার হাতে লিপিস্টিক ।
.
কথা বলে সবাই হেসে উঠলো সাথে তারিনও ।
নাদিম হাতটা পিছনে নিলো ।
—ভাইয়া দেখেছি তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন ।
.
তারিন মিষ্টি মিষ্টি হাসছে ।
—ভাবি বলো না ।
—বলছি এতো তাড়া কিসের হুম । সব বলবো একটু ধর্য ধরো ।
.
নাদিম রেগে গিয়ে বললো ,
—চুপ একদম চুপ । লজ্জা করে না বড় ভাইয়ের বাসর ঘরের কি করেছে ।
—এই তুমি এরকম করছো কেনো যাও ফ্রেশ হয়ে আসো ।
—হ্যা ভাবি যা বলেছে তাই করো যাও ।
.
নাদিম তারিনের চোখের দিকে তাকালো । তারিন সব বুঝে গেছে ।
—কি হলো যাও ওয়াশ রুমে ।
.
নাদিম চলে গেলো ওয়াশ রুমে । সবাই হেসে দিলো ।
—ভাবি তুমি না ভাইয়াকে একদিনে ভস করে নিয়েছো ।
—কে বলেছে ।
—একটু আগে দেখতে পেলাম ।
—এই টুকু কথা শুনলে ভস বলে ।
—জানি না ।
—বিয়ে করলে সবাই বউ এর কাছে ভস হয়ে যায় ।
—ভাবি বলো না কি হয়েছে ।
—এতো দুষ্ট হয়েছো তাই না । ভাবির কাছে জানতে চায় তার বাসর ঘরের কথা ।
—হিহিহিহি ।
.
তারিন আর খুশি ও খুশির বান্ধুবীরা গল্পে মেতে উঠে ।
.
নাদিম ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসে ।
দেখে যে তারিন ঘরে নেই । বেলকুনিতে গেছে মনে হচ্ছে ।
নাদিম আয়নার সামনে এসে চুল আচ্ড়াতে লাগলো ।
কেমন বরিং ফিল করছে নাদিম ।
কিছুখন বসে রইলো রুমে ।
কিছুখন পর তারিন রুমে আসলো ।
বরিং ফিল করছে ।
তারিন এসে নাদিমের পাশে বসলো ।
নাদিম তারিনের দিকে তাকালো । তারিন তার দিকে তাকিয়ে আছে ।
নাদিম বললো ,
—তুমি কি সব বলে দিয়েছো নাকি ওদের ।
.
একটু হেসে তারিন বললো ।
—আপনি কি পাগল যে বাসর রাতের কথা কেউ বলে নাকি ।
.
এমা এ মেয়ে বলে কি । তারিনের কথা শুনে মনে হচ্ছে বাসর রাতে সব হয়েছে ।
তারিন আবার বললো ।
—কি হলো কি ভাবছেন ।
—কিছুনা ।
.
কে জেনো দরজা নক করলো ।
তারিন বললো ,
—নক করতে হবে না ভেতরে আসো ।
.
খুশি ও খুশির বান্ধুবীরা চলে এলো ।
—ভাবি নক করা ছাড়া ভেতরে আসা ঠিক হবে না । নতুন বউ বলে কথা । (রাত্রি)
.
কথাটা শুনে সবাই হেসে দিলো ।
—আরে তোমার ভাইয়া সেরকম কিছু করবেনা ।
—কেনো ভাবি ।
—সেটা তোমাদের ভাইয়ার কাছে জিজ্ঞেস করো ।
—না থাক জিজ্ঞেস করতে হবে না ।
—কেনো ভয় করে নাকি ভাইয়াকে দেখে ।
—না তেমন কিছুনা ।
.
তাদের কথাটা শুনে নাদিম রেগে যাচ্ছে । কিছু বলতে পারছেনা ।
খুশি তখন বললো ।
—ভাইয়া এখন ঘর থেকে যাও ।
—কেনো ।
—ভাবিকে সাঁজগোজ করাতে হবে ।
—সাঁজাও আমি কি তোমাদের ভাবিকে ধরে আছি ।
—হায় বলে কি ।
—কেনো কি বলেছি ।
—মেয়েদের পোশাক কি তোমার সামনে চেন্জ করবো নাকি ।
—না ।
—তাহলে বের হয়ে যাও । সবাই নতুন বউ দেখতে আসছে ।
—যাচ্ছি আর ভালো করে বললে হতো ।
—জ্বী তাড়াতাড়ি বের হও ভাইয়া ।
.
আমি রুম থেকে বের হয়ে এলাম ।
বাসায় অনেক মেহমান এসেছে ।
আমি সিঁড়ি দিয়ে নেমে নিচে যাচ্ছি ।
.
নিচে এসে সায়েমকে খুঁজতে লাগলাম কোথায় গেলো ।
এদিক ওদিক কিছুখন খুঁজলাম কোথাও নেই ।
রান্নার ওখানে যাবো নাকি । সেখানে থাকতে পারে ।
আমি রান্নার ওখানে যেতে লাগলাম তখন পিঁছন থেকে ছোটমা ডেকে উঠলো ।
—নাদিম ।
.
আমি পিঁছনে ঘুরে ছোটমার কাছে গেলাম ।
—জ্বী ছোটমা কিছু বলবেন ।
—হ্যা । ওদিকে কোথাও যাও ।
—রান্নার ওখানে সায়েম আছে নাকি তাই যাচ্ছি ।
—সায়েম শপিং মলে গেছে একটা জিনিস আনার জন্য ।
—ও ।
—তুমি কোথাও যেওনা ।
—কেনো ছোটমা ।
—কাজ আছে ।
—ঠিক আছে ।
—তুমি তোমার রুমে গিয়ে বসো যখন ডাকবো তখন এসো আমার রুমে ।
—জ্বী ।
—এখন যাও ।
.
আমি ছোটমার ওখান থেকে চলে আসলাম ।
রুমে দিকে যেতে মনে হলো । তারিনকে তো পোশাক চেন্জ করে দিচ্ছে । আমি আর রুমের দিকে না যেয়ে । ছোঁফায় গিয়ে বসে পরলাম ।
অনেকখন বসে রইলাম । একা একা বরিং বরিং লাগছে ।
একা একা মানে সবার সাথে কি কথা বলা যায় নাকি ।
কিছুখন পর নানু চলে আসলো ।
—কি নানুভাই এরকম ভাবে বসে আছো কেনো ।
—ভালো লাগছেনা ।
—কেনো নানুভাই ।
—জানো নানু কেমন জানি বরিং বরিং ফিল করছি ।
—যাও বউ এর কাছে চলে যাও তাহলে ভালো লাগবে ।
—খুশিরা তারিনকে সাঁজিয়ে দিচ্ছে । আর বউ কি মন ভালো করে দিতে পারে ।
—জানো নানুভাই তোমার নানু বউ ভাতের দিন এরকম ভাবে বসে ছিলো তখন তার দাদু বলে ছিলো বউ এর কাছে যাও তাহলে মন ভালো হয়ে যাবে ।
—সত্যি বলছো নানু ।
—হ্যা নানুভাই । তা কেমন কাটলো নানুভাই বাসর রাত ।
—নানু সে কথা বলে নাকি । তুমি না একদম… লজ্জা করে না ।
—দূর নানুভাই কি যে বলো না ।
—শোন নানু এটা বলবেনা ।
—আরে নানুভাই রেগে যাও কেনো ।
—নানু এরকম প্রশ্ন করবে কেনো ।
—এরকম করবে নানুভাই । তুমি জানো তোমার নানুর বন্ধুরা পাগল করে দিয়েছিলো তোমার নানুকে এই প্রশ্ন করে ।
—আচ্ছা নানু নানুভাই কি সেকথা বলেছিলো তার বন্ধুদের ।
—দূর পাগল নাকি । কেউ কি সে কথা বলে নাকি । সবাই তো মজা করে সে কথা নিয়ে ।
.
নানুর কথা শুনে কেমন জানি হয়ে গেলাম ।
—তাহলে যে তুমি জিজ্ঞেস করলে ।
—আরে মজাও বোঝো না নাকি ।
—ও ।
—চলো ।
—কোথায় ।
—বারে তোমার মন ভালোনা তাই মন যেখানে ভালো হবে সেখানে নিয়ে যাই ।
.
বলে আমাকে আমার রুমে নিয়ে যেতে লাগলো ।
আমি আর নানু দুজনে গল্প করতে করতে রুমের কাছে চলে এলাম ।
দরজার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে গেলাম ।
—কি নানুভাই দাড়িয়ে গেলে যে ।
—নক করে বলো যে তাদের সব কিছু কাজ হয়ছে কিনা ।
—আরে সমস্যা কি তোমার বউ না নানুভাই ।
—তাই বলে ।
—আচ্ছা বলছি ।
.
নানুভাই বললো ,
—খুশি তোমাদের হয়েছে ।
.
ভেতর থেকে বললো ,
—হ্যা নানু হয়েছে ভেতরে আসো ।
.
নানুভাই তখন আমাকে বললো ,
—হয়েছে চলো এভার নানুভাই ।
.
দুজনে রুমের ভেতর ডুকে পরলাম ।
দেখি একটা শাড়ী পড়িয়ে দিছে । বাহ্ সুন্দর লাগছে ।
—কি নানুভাই ।
.
নানুর কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো ।
আমি একটু লজ্জা পেলাম ।
তারিন তখন বললো ,
—ভাইয়া চলো ।
—কোথায় ।
—ভাবিকে নিয়ে যেখানে যায় সেখানে ।
—কেনো ।
—ছোটমা বলেছে ভাবিকে আর তোমাকে সাঁজিয়ে নিয়ে যেতে ।
—কোথায় সেটা বল ।
—ছোটমার গেস্ট আসবে নতুন বউকে দেখতে ।
—তাহলে তোর ভাবিকে নিয়ে যাও আমাকে যেতে হবে না ।
—তুমি পাগল নাকি ।
—কেনো ।
—সেতো তোমাদের দুজনকে দেখবে বলেছে ।
—ও ।
—এখন চলো ।
.
আমাকে আর তারিনকে নিয়ে যাওয়া হলো ।
কিছুখন বসে থাকলাম দুজন । সাথে খুশিরা ছিলো ।
সবাই দেখতে লাগলো আমাদেরকে ।
কিছুখন পর সেই গেষ্ট চলে এলো । সাথে কয়েকজন আছে । দেখে মনে হলো তার ছেলে মেয়ে হবে ।
আমাদেরকে দেখে খুশি হলো ।
তারিনকে একটা নেকলেস উপহার দিলো আর আমাকে আংটি পড়িয়ে দিলো ।
তারপর একটা ছবি তুললো ।
সেখান থেকে চলে এলাম রুমে ।
রুমে একা একা বসে আছি ভালো লাগছেনা । নানুর কথা শুধু মনে পড়ছে । বউ নাকি মন ভালো করতে পারে । কিন্তু তারিন তো নিচে সবার সাথে গল্প করছে ।
তাই একটু গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পরলাম ।
কিছুখন পর সায়েম চলে এলো ।
দুজনে গল্প করতে করতে কিছু সময় পার করে দিলাম ।
খুশি এসে আমাকে নিয়ে গেলো গোসল করাতে ।
.
গোসল করে রুমে চলে এলাম ।
এদিকে তারিনের বাসা থেকে মেহমান চলে এসেগেছে ।
আমি রেডি হচ্ছি ।
আর সবাই তারিনকে সাঁজিয়ে দিচ্ছে । সবাই তারিনকে নিয়ে ব্যস্ত ।
আমি পোশাক পরে গা এলিয়ে দিয়ে ফোনটা বের করে গেম খেলতে লাগলাম ।
এদিকে তারিনকে সবাই সাঁজগোজ নিয়ে ব্যস্ত আছে ।
আমি মাঝে আড় চোখে তারিনকে দেখছি । বেশ সুন্দর লাগছে ।
একটু পর সাঁজগোজ শেষ হলো ।
তখন খুশি বললো ,
—ভাইয়া গেম খেলা বাধ দে ।
.
আমি গেম খেলছি খুশি বোঝলো কেমনে ।
—ঠিক আছে বাধ দিলাম ।
—ভাবির সাথে গল্প করো আমরা ফ্রেশ হয়ে আসছি ।
—ঠিক আছে তোদের রুমে নিয়ে গিয়ে বসে রাখ ।
.
আমার কথা শুনে তারিন খুব রেগে গেলো নাথে খুশিরাও
—ভাইয়া তুমি এরকম করে কথা বললে কেনো ।
—বারে কেমন করে বললাম ।
—কথা ঘুরাবেনা ভাইয়া ।
—আচ্ছা স্যরি ।
—ঠিক আছে যদি আবার বলিস তো বুঝবি আমি কি করি ।
.
তারিনকে খুশি বললো ,
—ভাবি তুমি ভাইয়ার সাথে কথা বলো আমরা ফ্রেশ হয়ে আসছি ।
—আচ্ছা যাও ।
—আমরা এসে তোমাদেরকে নিয়ে খেতে যাবো ।
—ঠিক আছে ।
.
খুশিরা চলে গেলো ।
আমি আর তারিন বসে রইলাম ।
কেউ কথা বলছেনা । দুজন নিশ্চুপ হয়ে বসে আছি ।
আমি তারিনের দিকে তাকালাম । দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
কিছুখন কেটে গেলো ।
তারপর তারিন বলে উঠলো ।
—আপনি কি বিয়ে করে বোবা হয়ে গেছেন ।
—কেনো আমি বোবা হয়ে যাবো ।
—আগে তো খুব কথা বলতেন কিন্তু এখন কিছু বলছেন না ।
—এমনি ভালো লাগছে না ।
—ও কেনো ভালো লাগছেনা ।
—এমনি ।
—এমনি নাকি গার্লফেন্ডের কথা মনে পরছে ।
.
তারিনের কথা শুনে রাগ উঠে গেলো । আমার গার্লফেন্ড ছিলো কি ছিলোনা সে জানে তারপরও কেনো একথা বলছে ।
—তুমি জানো যে…
.
কথাটা বলতে না দিয়ে তারিন বললো ।
—হ্যা জানি কিন্তু তবুও বিশ্বাস নেই আজ কালকের ছেলেদের নিয়ে ।
.
কথাটা শুনে রাগ আরও বেরে গেলো ।
আমি আর কিছু বললাম না । আমমি চুপ করে বসে রইলাম ।
আবার কিছুখন পর তারিন বললো ।
—থাকলে বলবেন আমি আপনাকে সাহায্য করবো ।
—তুমি কিন্তু বেশি বলছো ।
—সত্যি বলছি সাহায্য করবো ।
.
আমি আবার চুপ হয়ে গেলাম । কি বলে মেয়েটি ।
—কি হলো কি ভাবছেন আমাকে বলবেন কি , নাকি বলবেন না ।
—তুমি কিন্তু…
—কি থামলেন কেনো বলেন ।
.
উঠে দাড়ালাম তারিনও উঠে দাড়ালো ।
আমি বাহিরে যেতে প্রস্তুত । তখন তারিন আমার শার্টের কলার ধরে ।
আমি তো অবাক হয়ে গেলাম । কি করছে তারিন ।
তারিন আরও আমার কাছে চলে এলো । তারিনের শরীরের স্পর্শে আমার শরীর কেমন করে উঠলো ।
তারিনের চোখের দিকে তাকালাম । চোখের দিকে তাকিয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করলাম । তারিন হঠাৎ করে আমার কলার ধরলো কেনো ।
তারিন বলে উঠলো ।
—কাল রাতে কাজটা ঠিক করিস নাই ।
.
তারিন হঠাৎ করে তুই করে কথা বলছে কেনো । কি হয়ে গেলো হঠাৎ তারিনের ।
—আমিও প্রতিশোধ নিবো ।
.
কথাটা শুনে আমি একটু বোঝার চেষ্টা করলাম কি করেছি । আর তারিন প্রতিশোধ নিবে ।
তারিন আমার শার্টের কলার ধরে আছে । কেমন জানি [[গুন্ডী_মেয়ে]] মনে হচ্ছে ।
.
খুশি পিছন থেকে বলে উঠলো ।
—স্যরি ভাবি ।
.
তারিন আমার শার্টের কলার ছেড়ে দিয়ে একটু দুরুত্ব বোঝায় রাখলো ।
—ঠিক আছে সমস্যা নাই ।
—জ্বী ভাবি । তাহলে এখন চলেন সবাই বসে আছে ।
—আচ্ছা চলো ।
—ভাইয়া তুমিও চলো ।
.
তারিন আমার কাছে এসে আস্তে করে বলে উঠলো ,
—প্রতিশোধ ।
.
খুশি বলে উঠলো ।
—কি হলো ভাইয়া চলো ।
—আচ্ছা চল ।
.
খুশির সাথে চলে গেলাম দুজন ।
খাবার খেয়ে এসে গা এলিয়ে দিয়ে তারিনের মামাতো বোনের সাথে গল্প করছি । তারিনকে ভালো করে সাঁজিয়ে দিচ্ছে খুশিরা । কারণ একটুপর তারিনদের বাসার দিকে রওনা দিবো ।
কিছুখন গল্প করার পর তারিনের সাঁজগোজ শেষ হলো । খুশিরা ও তারিন বসে আমাদের গল্প শুনতে লাগলো । সবাই বসে গল্প করছি ।
তারিনের মামাতো বোন দুটি একটু দুষ্ট ।
.
সন্ধার দিকে তারিনদের বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
চলবে