কাজের মেয়ে যখন ঘরের বউ ♥ পার্ট :০২

0
3240

কাজের মেয়ে যখন ঘরের বউ ♥
পার্ট :০২
লেখক :নাদিম আহাম্মেদ

ঘুম ঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৩:৪৫ বেজে গেছে ।
লাফ দিয়ে উঠে পরলাম । আমার ফ্রেশ হতে ১৫-২০ মিনিট লাগবে ।
উঠে ওয়াশ রুমের দিকে দৌড় দিলাম ।
কিছুখন পর ওয়াশ রুম থেকে ভের হয়ে চলে এলাম ।
তাড়াতাড়ি করে রেডি হতে লাগলাম ।
যদি আমার আগে ইস্টিশনে পৌঁছে যায় তাহলে চিনবেনা । গরীব ঘরের মেয়ে কোনো দিন আসে নাই । আর এই প্রথম তাই এতো বড় শহরে হারিয়ে যাবে ।
রেডি হয়ে বের হলাম । আসার সময় ফোন নাম্বারটা নিয়ে এলাম । তা না হলে চিনবো কেমনে ।
.
গাড়ি দ্রুত চালাতে লাগলাম । কারণ ইস্টিশনে পৌঁছেতে ২০-২৫ মিনিট লাগবে । এখন ৩ঃ৫৫ বাজে তাই দ্রুত যেতে হবে ।
প্রায় ১৮ মিনিট পর ইস্টিশনে পৌঁছেগেলাম ।
তাই গাড়িটা এক জায়গায় পার্ক করে রেখে দিলাম ।
একটু আগে একটা ট্রেন চলে গেলো । হয়তো এটাতে এসেছে । ছোটমা বলেছিলো ৪ টার সময় ইস্টিশনে পৌঁছে যেতে কিন্তু এখন ৪ঃ২০ বাজে মানে ২০ মিনিট লেট হয়েছে । সে তো একা একা চলে যায় নাই কোথায় । আর যাবে কোথাও বুঝতে পারছিনা । সে তো শহরে কোনো দিন আসে নাই ।
কোথায় পাবো তাকে বুঝতে পারছিনা । এতো বড় ইস্টিশনে সবে মাত্র এসে একজনকে খুঁজে পাওয়া বড় বোকামি হবে । তাই একটু খুঁজতে লাগলাম ।
একজনকে দেখতে পেলাম ইস্টিশনের বসার সিটে বসে আছে । কেমন জানি দেখতে । গায়ের রং শ্যামলা হবে । পড়নে শাড়ি পড়েছে । দেখতে খারাপ না । এটাতো হবেনা আবার । দুর এটা হবে কেনো । গ্রামের মেয়েদের মতো লাগছেনা ।
এক ভদ্রলোকের সাথে ধাক্কা খেলাম ,
—স্যরি আঙ্কেল ।
—দিনের বেলায় চোখে দেখোনা ।
—স্যরি আঙ্কেল ।
—কি একটা ইংলিস ( ইংরেজী ) শব্দ পাইছে । কিছু হলে স্যরি স্যরি ।
—আঙ্কেল আমি তো ইচ্ছে করে ধাক্কা দেই নি ।
—মেয়েদের দিকে তাকিয়ে হাটলে তো ইচ্ছে করে ধাক্কা দেওয়া লাগেনা এমনিতে লেগে যায় । যত্তসব ফালতু ছেলে কোথাকার ।
.
কথাটা বলে হন হন করে চলেগেলো ।
কি বাবারে বাবা এমন লোক জীবনে দেখিনি । মেজাজটা খিট খিটে দেখে বোঝা গেলো । আমাকে আগে থেকে লক্ষ করেছিলো । আমি এই মেয়ের দিকে তাকিয়ে হাটতেছি ।
থাক এসব কথা ওই মেয়ের জন্য সব হয়েছে আমার । কেনো যে তাকে আনতে আসলাম । ওই ছোটমার জন্য তো আমাকে এরকম অপমানিত হতে হলো সবার সামনে । সবাই কেমন চোখে তাকিয়ে আছে ।
চলে এলাম অন্য জায়গায় ।
তারপর ফোনটা বের করে ফোন দিলাম ।
—হ্য..হ্যা…হ্যালো ।
—ফোন ধরছেন না কেনো । ( পচন্ড জোরে বলেফেল্লাম )
—আ….আপনি কে…কে ।
—আপনার জম ।
—কি…কি…ব…ব..বলছেন আ…আপনি আমাকে ।
—কি বলছি মানে । যেটা সত্যি সেটা বলছি ।
—আমি আপ…আপ…আপনাকে চিনি না ফোন রাখেন ।
—ওই মেয়ে ফোন রাখবেনা । আমি আপনাকে ড্র… হ্যালো.. হ্যালো ।
.
ধ্যাত ফোনটা কেটে দিলো । কেনো যে ওকথা বলতে গেলাম । মনে হয় মেয়েটা ভয় পেয়ে গেছে ।
আবার ফোন দিলাম ।
রিং হচ্ছে কিন্তু ধরছে না । কিছুখন রিং হয়ে কেটে গেলো ।
আবার কল দিলাম কিন্তু সেই রিং হচ্ছে কিন্তু ধরছে না ।
আবার ফোন দিবো কি । না আর দেওয়া যাবে না । যদি ফোনটা বন্ধ করে রেখে দেয় তাহলে সব শেষ হবে ।
কি করি এখন । ওহ্ হ্যা ম্যাসেজ দেওয়া যাক তাহলে কাজ হবে ।
এই যে ম্যাম ,
আমি আপনাকে নিতে এসেছি দয়া করে ফোনটা রিসিভ করে কথা বলেন ।
সেন্ড করলাম সেই নাম্বারটাতে ।
একটুপর ফোন আসলো । ফোনটা রিসিভ করে বললাম ,
—হ্যালো … আপনি ফোন ধরছেন না কেনো হ্যা…
—নিশ্চুপ ।
.
এভাবে বলা যাবে না তাহলে আবারও ভয় খেয়ে ফোনটা কেটে দিবে । নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে ।
—স্যরি । এভাবে রেগে কথা বলার জন্য ।
—স..সত্যি তো আপনি আমাকে রিসিভ করতে এসেছেন ।
—অাপনি কোথায় আছেন দয়া করে বলবেন । সন্ধ্যা হতে বেশি ধেরি নাই তাড়াতাড়ি বলেন ।
—আমি টিকিট কাউন্টারের পাশে একটা সিটে বসে আছি ।
—ঠিক আছে । আপনি ওখান থেকে এক পা সরবেন না বুঝলেন ।
—হুম ।
.
ফোনটা কেটে দিলাম । মেয়েটা খুব ভয় পেয়েছে মনে হয় ।
টিকিট কাউন্টারের দিকে চলে গেলাম ।
প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে । পশ্চিম আকাশে সূর্যি মামা লুকিয়ে যাওয়ার প্রস্তি নিচ্ছে ।
এখন কিছুটা ভিড় জমে যাচ্ছে ইস্টিশনে ।
কিছুখন হেটে চলে গেলাম টিকিট কাউন্টারের কাছে ।
সিটে বসে আছে সেই মেয়েটি আর একটা বয়স্ক মহিলা বসা আছে সাথে একটা বয়স্ক করে পুরুষ ।
এই মেয়ে নাকি না এটা না । যদি এই মেয়ে হয় তাহলে এই বয়স্ক মানুষ কি হয় । ছোটমা বলেছিলো একা একা আসবে তাহলে কি এই মেয়েটি না । তাহলে কোন মেয়ে হবে । আশে পাশে দুইটি সিট আছে সেখানে তো কোনো ইয়াং মেয়েকে দেখছি না ।
এই মেয়ে হবে কারণ মুখে ভয়ের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে । কিন্তু পাশের বয়স্ক লোকগুলি কে । মানুষকে না চিনে রিসিভ করে আনা পাগলের মতো জ্ঞান ।
সব কিছু ভেবে হঠাৎ মনে পরে গেলো ও তার নাম্বার তো আমার কাছে আছে । তাহলে ফোন দিলে সব ভাবনার শেষ হয়ে যাবে ।
ফোনটা বের করে সেই নাম্বারে ফোন দিলাম । রিং হচ্ছে কিন্তু ধরছেনা । মেয়েটার মুখ শুকিয়ে গেলো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । এদিক ওদিক একবার তাকালো তারপর ব্যাগের ভেতর থেকে ফোনটা বের করলো । তখন বুঝতে বাকি রইলো না এই মেয়ে ছাড়া কেউ না ।
আমি তার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম ।
কাছাকাছি যেতে ফোনটা বেজে উঠলো । ফোনটা রিসিভ না করে কাছে চলে গেলাম ।
তার দিকে একবার তাকালাম । আমার দিকে তাকাচ্ছে না । মনে হচ্ছে অনেক টেনশনে পরে গেছে ।
এমন ভাবে কেউ বসে থাকে নাকি ।
পাশে গিয়ে দারালাম । তারপর তার দিকে তাকিয়ে বললাম ,
—হ্যালো ম্যাম ।
.
কথাটা শুনে কেমন করে তাকালো । ভয়ে মুখটা শুকনো দেখাচ্ছে । এতো ভয় খেয়েছে না দেখে কেউ বিশ্বাস করবেনা কতটা ভয় খেয়েছে ।
—এভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন ম্যাডাম ।
—অা…অা…আপনি….
—অামি সেই যে আপনাকে রিসিভ করতে এসেছি বুঝলেন ।
.
কথাটা শুনে আমাকে কেমন করে পা থেকে মাথা পযন্ত দেখে নিলো । কি বেপার এমন করে কি দেখছে । আমি কি কোনো জোকার নাকি যে পা থেকে মাথা পযন্ত কি দেখছে । অাবার বললাম ,
—কি দেখছেন এমন করে ।
—কি..কিছুনা । আপনি স…সত…সত্যি করে বলেন তো কে আপনি ।
.
কথাটা শুনে একটা জোরে হাসি দিলাম । অামার হাসিটা শুনে আরও ভয় খেলো মেয়েটি ।
—ওমন করে হা…হাসছেন কেনো ।
—আরে আপনি পাগল নাকি হুমমম কেউ কি এরকম করে কিডন্যাপ করে কাউকে ।
—হ্যা ক..ক.. করে তো । আমাদের গ্রামের একজনকে ঢাকায় এনে পাঁচার করে দিয়েছে ।
.
না থাক আর এভাবে কথা বলা যাবেনা । পরে না হয় আমাকে বিশ্বাস না করে আমার সাথে যেতে রাজি না হয় ।
—আরে না আমি কিডন্যাপার না । আমি আপনাকে নিতে এসেছি । রহিম চাচার ভায়ের মেয়ে না আপনি ।
.
কথাটা শুনে একটু সাহস পেলো মনে মনে যে আমি কিডন্যাপার না । আমি তাকে রিসিভ করতে এসেছি ।
—রহিম চাচার আপনি কি হন ।
—কিছুনা । চলেন ।
—কোথায় ।
—আরে আপনি রহিম চাচার বাসায় যাবেন না ।
—হ্যা যাবো ।
—চলেন ।
—আমি একটু ফোনে কথা বলতে পারি ।
—ঠিক আছে তাড়াতাড়ি বলেন ।
—ঠিক আছে ।
.
ফোনটা টিপে ফোনটা নিয়ে একটু দূরে গেলো ।
তারপর কার সাথে কথা বললো ।
ফোনে কথা বলার সময় আমার দিকে তাকিয়ে কি জেনো বললো ।
কথা বলা শেষ করে আমার কাছে চলে এলো ।
তারপর বললো ,
—চলেন ।
—এদিকে কোথায় যান ।
—কেনো বাস স্টপে ।
—গাড়ি নিয়ে এসেছি ।
—ঠিক আছে চলেন ।
.
চলে যেতে লাগলো । তখন বললাম ,
—আপনার ব্যাগটা কে নিবে ।
.
পিছনে ঘুরে তাকিয়ে বললো ,
—কে আবার আপনি । রহিম চাচা বলেছে ।
—হয়াট । আপনার মাথা ঠিক আছে । রহিম চাচা আমাকে বলেছে ব্যাগটা আমি নিয়ে যাবো ।
—হ্যা ।
—আপনি কি ভালো করে শুনেছেন যে আমাকে আপনার ব্যাগটা নিয়ে যেতে বলেছেন ।
—রহিম চাচা যখন বলেছিলো দেখ মা তোকে যে রিসিভ করতে এসেছে তাকে ব্যাগটা নিতে দিস না ও তোকে রিসিভ করতে গেছে তাকে কিছু করিস না … এটা শুনে চাচাকে বললাম ঠিক আছে তুমি চিন্তা করবেনা আমি তাকে দিয়ে ব্যাগ গাড়িতে উঠাবো । শুধু গাড়ি চালালে হবে না বরং কাজও করতে হবে । তারপর ফোনাটা কেটে দিলাম । কারণ আরও কথা বললে দেরি হবে তাই ভাবলাম সরাসরি গিয়ে কথা বলবো । তাই দাঁড়িয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি চলেন ।
.
কথাটা শুনে রাগ তো ১০০০+ বোল্ট হয়ে গেলো । আমাকে নাকি তার ব্যাগটা টানতে হবে । আর সে তো পুরো কথাটা ভালো করে না শুনে কি বললো তার চাচাকে । আমি নাকি তার ব্যাগ টানার জন্য এসেছি ।
—আরে কি ভাবছেন হ্যা । জান কিছু ভাবতে হবেনা আমি ১০ টাকা দিয়ে দিবো চা – পান না হয় সিগারেট কিনে খেয়েন ।
.
সে কি বলছে সে নিজে জানে না আমি কার ছেলে আর কাকে কি বলছে । সব ছোটমার জন্য শুনতে হচ্ছে ।
—আরে তাও দাঁড়িয়ে আছেন কেনো চলেন ব্যাগটা নিয়ে । ও বুঝেছি ১০ টাকা দিয়ে হবে না । ঠিক আছে ২০ টাকা দিবো ।
—অাচ্ছা আপনি আমাকে কি ভাবছেন ।
—কেনো ড্রাইবার ।
—কি ।
.
অামার বাড়ি যাচ্ছে , অামার গাড়িতে যাচ্ছে অার আমাকে বলছে আমাকে ড্রাইবার । কেমন লাগে বলতে পারছিনা ।
—ও বুঝেছি ড্রাইবার বললে খুব খারাপ লাগে ।
—অাপনি কিন্তু ।
—ঠিক অাছে ড্রাইবার বলবোনা । চলেন তো চাচা খুব টেনশন করছে ।
—অাপনি ভুল বুঝতেছেন অার এ ভুলের ক্ষমার জন্য কি করবেন সেটা আমি নিজেও জানি না ।
—কিছু বললেন ।
—কই না তো ।
—তাহলে চলেন ।
—হুম চলেন ।
.
মেয়েটা কয় কি অামি নাকি ড্রাইবার ।
কি অার করা ছোটমার জন্য অন্য জনের ব্যাগ টানতে হচ্ছে ।
একটু হেটে ব্যাগটা নিয়ে চলে এলাম গাড়ির কাছে ।
রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে । কিন্তু কিছু করার নাই সব কপালের লিখন ।
ব্যাগটা গাড়ির ভেতর রেখে দিলাম ।
তারপর গাড়ির ভেতর আমি উঠে পরলাম কিন্তু সে উঠছেনা ।
অাবার নেমে এলাম তার কাছে ।
—কি হলো গাড়িতে উঠছেন না কেনো ।
—আমি পিছনের ছিঁটে উঠতে পারবো না ।
—সামনে ড্রাইবারের কাছে সিটে বসে পরেন ।
—আমি খুলতে পারি না ।
—কি মুসকিলে পরলাম রে বাবা ।
—মুসকিলে পরলেন কখন ।
—অারে কিছু না ।
—তাহলে খুলে দিন ।
.
অামি খুলে দিলাম ।
—গিয়ে বসে পরেন ।
—ঠিক আছে ।
.
অাবার অাটকিয়ে দিলাম ।
তারপরে অামি ড্রাইবারের সিটে বসে পরলাম ।
এতো রাগ উঠেছে তাকে চিঁবিয়ে খেলে রাগ শেষ হবে না । তারদিকে তাকিয়ে অাছি দেখতে কিছুটা মায়াবি কিন্তু এখন আর মায়াবি লাগছেনা । মনে হচ্ছে একটা লাগিয়ে দেই ।
—কি দেখছেন এমন করে ।
—কিছু না ।
—তাহলে চলেন ।
—বেলটা লাগিয়ে নিন ।
—কেনো লাগাবো । আমি সেটা পারি না ।
—ঠিক আছে অামি লাগিয়ে দেই ।
—না । অাপনার মতলব কি ।
—মতলব মানে ।
—অাপনি কেনো লাগিয়ে দিবেন ।
—ঠিক আছে আপনি নিজে লাগান ।
.
মেয়েটা চেষ্টা করছে বেলটা লাগানোর কিন্তু পারছেনা ।
—হাসছেন কেনো ।
—এমনি ।
—শোনেন অামি কখনো গাড়ির বেল লাগাই নি তাই পারছিনা ।
—হুমম দেখে বোঝা যাচ্ছে ।
—মানে ।
—কিছু না । অামি কি লাগিয়ে দিবো ।
.
কথা বললো না । কি জেনো ভেবে বললো ,
—ঠিক আছে লাগিয়ে দিন । কিন্তু শরীরে টার্চ করবেন না ।
.
কি বলে মেয়েটি । মাথাটা খারাপ করে দিচ্ছে ।
—ঠিক অাছে ।
.
বেলটা লাগিয়ে দিলাম ।
গাড়ি স্টার্ট দিলাম ।
গাড়ি কিছুখন যাওয়ার পর বললো ,
—আপনি কয় বছর ধরে গাড়ি চালান সেই বাড়ির ।
.
কথাটা শুনে তার দিকে একবার তাকালাম ।
সে কি বলছে সে নিজে জানে না । আমি কে সেটাও জানে না ।
—হঠাৎ এ প্রশ্ন ।
—এমনি ।
—আচ্ছা আপনি আমাকে কেনো গাড়ির ড্রাইবার মনে করছেন ।
—বারে গাড়ির ড্রাইবার তাকে গাড়ির ড্রাইবার বলবোনা কি বলবো ।
—অাপনি ভুল বলছেন । অামি সেই বাড়ির বড় ছেলে ।
.
কথাটা শুনে একটু হাসলো । বাহ্ দারুন হাসি তো ।
—হাসছেন কেনো ।
—হাসছি এই জন্য যে বাড়িওয়ালার ছেলে কখনো ছেঁড়া প্যান্ট পরবেনা ।
.
কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম কেনো এতোখন এই কথা বলছে ।


চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here