কারনে_অকারনে_ভালোবাসি? পর্ব:11,12

0
1952

কারনে_অকারনে_ভালোবাসি?
পর্ব:11,12
Suraiya_Aayat?

“আরিশ কোথায় যাচ্ছো ? সবে তো এখন আসলে,আর এখনই চলে যাচ্ছো? তোমার মামা অফিস যাওয়ার আগে বলে গেছেন যাতে তুমি আসলে আজকে যেন তোমাকে বাসায় না যেতে দেওয়া হয়, যতই হোক তুমি আজ এই বাসার জামাই হিসাবে তোমার প্রথম দিন ৷”
বেশ উৎফুল্লতার সাথে কথাগুলো বললো আরুর মা ৷

আয়াশ একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে চোখে মুখে হাত দিলো ৷মাথার ভিতরটা ঝিমঝিম করছে তার ওপর আরুর কথাটা ভাবলেই ব্লাড প্রেশার লো হয়ে যাচ্ছে ৷ শার্টের কলারটা খানিকটা পিছন দিকে সরিয়ে দম ছাড়লো তারপর খানিকটা রুগ্ন কন্ঠে বলল
” আসলে মামী আমার একটা কাজ আছে ৷ তাই আরকি থাকতে গেলে হবে না ৷”

আরুর মা আফসানা বেগম উতলা হয়ে বললেন
” আরে নাহ, কাজ টাজ অন্য দিন হবে, আজ কোন কথা শুনছি না আমি ,আর তাছাড়া তুমি চলে গেলে তোমার মামু খুব রাগ করবে আর রাগের সব ঝলকানি পড়বে আমার ওপর ‌ ৷ তুমি ওপরে যাও আমি তোমার পোশাক দিচ্ছি ৷”

আরিশ আরও কিছু বলতে যাবে তখন আরু নেমে এলো, ওদের কথপোকথন খানিকটা কানে এলো ওর,বুঝতে বাকি রইলো না যে ওর মা আরিশকে থাকার কথা বলছেন তবুও না জানার ভান করে বলল
” কি হয়েছে আম্মু? কি বলছো ওনাকে?”

উনি চোখ পাকিয়ে বললেন
” তোকে বলেও কি কোন লাভ হবে আদেও?”

আরু চোখ বাঁকিয়ে বলল
” কেন আমি আবার কি করলাম?”

উনি একটু ঝাঁঝিয়ে বললেন
” এই যে ছেলেটা দুপুরে লাঞ্চ না করে চলে যাচ্ছে তার ওপর তোর বাবা আজকে রাতটা ওকে এখানে থাকতে বলেছে কিন্তু তুই কি একবার ও ওকে আটকেছিস?”

আরু ভ্রু কুঃচকে বলল
” ওনাকে আটকানোর কি আছে , তাছাড়া উনি কি ছোট বাচ্চা নাকি যে ধরে ধরে রাখতে হবে ?”

উনি এবার রেগে গিয়ে বললেন
” এই জন্যই তো বললাম তোকে বলে আদেও কোন কাজের কাজ হবে না ৷”

আরিশ মা আর মেয়ের তুমুল তর্কাতর্কির মাঝে ফেসে গেছে, অন্য সময় হলে হয়তো ওদের ক্যাটফাইটটা এনজয় করতো কিন্তু আজকে সব দিক থেকেই ওর মন মানসিকতা কোনটাই ঠিক নেয় ৷ আরিশ ওদের ঝগড়ার মাজে তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে বলল
” মামী, তুমি ওকে বকোনা, ওর আর কি , আমার কাজ আছে তাই নাহলে আমি থাকতাম আমাকে এতোবার বলতে হতো না ৷”

আফসানা বেগম উনি মনে হয় আজকে না শোনার কোন ওষুধ খেয়েছেন, কোন প্রকারে উনি না শুনতে নারাজ তাই মাথা নাড়িয়ে বললেন
” উহু, একদম না, কোন কথা শুনছি না , তোমার কথায় যাকে বলে নো মোর ওয়ার্ডস ৷”

কথাটা শুনে আরু ফিক করে হেসে ফেলল, আরিশ আরুর হাসি মুখের দিকে তাকিয়ে ম্লান হাসলো , মেয়েটার মুখের হাসির দিকে তাকালেই ওর সব মন খারাপ গুলো ভালো লাগায় পরিনত হয় ,কিন্তু আজকে বুকের বা পাশে অদ্ভুত এ চিন চিনে ব্যাথা অনুভব করছে , মূলত আরুর জন্য চিন্তাগ্রস্হ , আরুর ভবিষ্যত নিয়ে আরিশের চিন্তার শেষ নেই ৷ আদতেও পেটে কি কোন সার্জারি করতে হবে নাকি তা ওষুধ খেয়ে চলবে কিছুই মাথায় আসছে না, আরিশ আরুর কনসাল্টেড ডক্টরের সাথে দেখা করতে যাবে , উনি আরিশের সিনিয়ার প্রফেসার, আরিশকে অনেক ভালোবাসেন ৷
আরুর মুখের হাসিটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই ভাবনা গুলোর অবসান হলো ৷ এই সুযোগে পুনরায় বলে উঠলো
” আচ্ছা মামি আমি তাহলে এখন আসি ৷”

উনি চোখ পাকিয়ে রুগ্ন কন্ঠে বললেন
” খবরদার আর এ পা ও বাড়িয়েছো তো ৷”

আরিশ হাত তুলে সারেন্ডার করে বলল
” এতো সুইট শাশুড়ি + মামীটা যে এমন দারোগা দারোগা ফিল নেবে আমার কল্পনার বাইরে ছিলো ৷”

আরু এবার আরিশকে পচাতে বলল
” আসলে ওসব কাজ টাজ তো বাহানা, নানাভাই এসেছে তাই জন্য উনি ভয় পেয়ে গেছেন, আর যাই নানাভাইয়ের সাথে পায়ে পা বাড়িয়ে ঝগড়া করার ক্ষমতা তো আর ওনার নেই তাই ভয়ে পালাচ্ছেন ৷ নানাভাই 80+ আর উনি 24+ তবুও এখন আমার তো নানাভাইকে ওনার থেকেও ইয়াং মনে হচ্ছে ৷”

আরিশের ভ্রু জোড়া কুঁচকে এলো,,,,,,আরিশ ভ্রু কুঁচকে বলল
” ওই ঢাকাইয়া বুড়োর কাছে আমি হার মানবো , হাহ !”

আরু চালাকি করে বলল
” তাহলে পালাচ্ছেন কেন?”

আরিশ একটু বাকা চোখে তাকিয়ে বলল
” তা মিসেস শাশুড়ি আম্মা আপনার সেই ঢাকাইয়া বুডো বাপ টা ঠিক কতোদিন থাকবে?”

আফসানা বেগম মুচকি হেসে বললেন
” ওই তো এক সপ্তাহ মতো ৷”

আরিশ আরুর দিকে ভ্রু নাঁচিয়ে বলল
” আমিও থাকবো তাহলে এক সপ্তাহ মতো ৷”

কথাটা বলে আরিশ গটগট করে সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেল ৷ আরু তো বোকা বনে গেল, ও একদিনের জন্য আটকাতে চেয়েছিলো আর এই ছেলে তো পুরো এক সপ্তাহ থাকার কাহিনী করে ফেলল, রাগ লাগছে ভীষন ৷ এর একটা সামঝোতা কারার জন্য ওউ আরিশের পিছন পিছন গেল ৷ রুম গিয়ে দেখলো আরিশ ওর বেডে শুয়ে পা নাচাচ্ছে, আরু ওড়নাটা ছুড়ে সোফাতে ফেলে কোমরে দু হাত রেগে সরু চোখে তাকিয়ে বলল
” এটা কি হলো?”

আরিশ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল
” কোনটা কি হলো?”

আরু বিরক্ত হয়ে বলল
” আপনার একদিন থাকার কথা ছিলো আর আপনি এক সপ্তাহের বাহানা খুজে নিলেন?”

আরিশ বিছানা থেকে উঠে বসে বলল
” তা নয়তো কি ! শ্বশুর বাড়িতে থাকবো না?”

” তাই বলে এক সপ্তাহ ?”

আরিশ ও ভ্রু নাঁচিয়ে বলল
” তুমি যে আমার বাসায় সারাজীবন থাকবে তাহলে আমিও কি এভাবে বলবো যে ” আরুপাখি তুমি আমার বাসায় কি সারা জীবন থাকবা ?”

আরুর মিমিক্রি করে বলল আরিশ ৷

আরুর বিরক্ত হয়ে গটগট করে বেরিয়ে গেল রুম থেকে,আরিশ থাকা মানে সারাদিন কানের কাছে আরুপাখি? আরুপাখি? নামের ক্যাসেড বাজবে, উঠতে গেলে আরুপাখি, বসতে গেলে আরুপাখি, উফফফ !

আরু নীচে নেমে ওর মা কে ডাকতে লাগলো
” আম্মু, আম্মু !”

আফসানা বেগম কিচেনে সবজি কাটতে কাটতে বললেন
” সেই ভাঙা রেকর্ডার ,,,সারিদন আম্মু আম্মু করে বাড়ি মাথায় করা ৷”

আরু এবার বুদ্ধি এটে বলল
” আম্মু লুঙ্গি দাও তো তাড়াতাড়ি ৷”

উনি সবজি কাটতে কাটতে হঠাৎ থেমে গেলেন তারপর বললেন
” কেন, লুঙ্গি কি হবে?”

” কি হবে আবার , পরবে ৷”

” কে পরবে? তোর নানাভাই?

আরু এবার বাকা হেসে বলল
” হাহ ?, তোমার প্রানপ্রিয় জামাই পরবে ৷ তার খুব শখ জেগেছে ৷”

উনি অবাক হয়ে বললেন
” আদেও সত্যি বলছিস তো নাকি মিথ্যা বলছিস? আরিশ কখনো লুঙ্গি পরবে? কিন্তু ও তো কখনো পরে না ৷”

আরুর কপাল কুঁচকে বললো
” তো , পরেনি তো কি হয়েছে, মানুষের কি ইচ্ছা জাগতে পারে না ? তুমি না একটু বেশিই ভেবে ফেলছো, তোমরা ওনাকে যা ভাবো আদতেও উনি তা না ৷”

আফসানা বেগম চোখ পাকিয়ে বললেন
” তাহলে কি ?”

আরু মুখ বকিয়ে বললেন
” এই যে তোমরা ওনাকে ভালো মানুষ ভাবো আদতে তিনি একটা এলিয়েন তা তোমরা জানো না, হু ৷”

আফসানা বেগম কড়া সুরে বললেন
” একটা থাপ্পড় থিবো , সারাদিন খালি ছেলেটার পিছনে লাগে ,ছেলেটা না বিয়ে করলে তোর আদতেও বিয়ে হতো কি সন্দেহ ৷”

আরু বিরক্ত সুরে বলল
” কে বলেছিলো ওনাকে করতে ? আমার পিছনে হাজারটা ছেলে পড়ে আছে ৷ আচ্ছা তোমার সন্তানটা কি আমি না উনি আগে বলো তো!”

আরুর মা তিনি সবটা জানেন তাই চুপ করে গেলেন, কেউ ই আরুকে কথাটা জানাতে চাই না কখনও , আরিশ বারন করেছে ৷
” দুজনেই, তোরা দুজনেই আমার সন্তান ৷ কিন্তু তুই আগে বল আরিশ কি আদতেও বলেছে যে লুঙ্গি পরবে?”

” হু , উনি না বললে কি আর আমার সাহস হয় যে আমি বলবো ৷”

উনি একটু ভাবতে বসে গেলেন,মূলত আরুর বলা কথাটার সত্যতা যাচাই করছেন , কেন জানি বিশ্বাস হচ্ছে না ৷
আরু ওনার মুখের ভাব ভঙ্গি লক্ষ করে বলল
” আম্মু তুমি আসলেই কি দিবা নাকি আমি ওনাকে গিয়ে বলবো যে তার এই আবদারটা তার ওয়াল্ড ফেমাস শাশুড়ি আম্মা পূরন করেনি ৷?”

উনি রেগে বললেন” আমি কি একবার ও বলেছি যে দেবোনা , দিচ্ছি চল, ছেলেটার ও যে মাঝে মাঝে কিসব ভাবনা চিন্তা মাথায় আসে ৷”

আরু সিঁড়ি দিয়ে উঠছে আর হাসতে হাসছে বলল
” দেখেছো তো এই জন্যই তো ওনাকে এলিয়েন বলি ৷”

আরুর মা মুচকি হেসে আরুর মাথায় একটা গাট্টা দিলো ৷ দুজনেই হাসছে ৷

___

” এই নিন, আপনার লুঙ্গি, আম্মু দিয়েছে ৷”

আরিশ অবাক হয়ে ফোনটা পাশে রেখে আরুর কাছে গিয়ে বলল
” হোয়াট, লুঙ্গি ! এটা কে পরবে?”

” কেন আপনি ৷”

” আমাকে কখনও লুঙ্গি পরতে দেখেছো যে এটা আনলে ! ”

আরু কাচুমাচু মুখ করে নাটকি ভঙ্গিমায় বললো
” আমি কি শখ করে এনেছি নাকি, আম্মু দিয়েছে ৷ আর এটাও বলেছে যে লুঙ্গি না পরে থাকতে পারলে আপনাকে বাসায় চলে যেতে ৷”
আরুর বলা শেষের কথাটাই আরিশের খটকা লাগলো ৷ বোঝা সারা যে আসল অহিনী কি ৷আরিশ যাতে লুঙ্গি না পরতে পেরে বাসায় চলে যায় সেই কারনে আরু কথাটা বলেছে ৷ আরিশ ও এবার উল্টো চাল দিতে বলল
” তোমার কয়েকটা ফ্রেন্ড আছে না ? কলেজের ফ্রেন্ড, আইমিন যারা তোমার আর সানার কমন ফ্রেন্ড ৷”

আরু বাকা চোখে তাকিয়ে বলল
” তো! ?”

” আমার সাথে তাদের পরিচয় করাবে না, আমি তোমার হাজবেন্ডবলে কথা ? ”

আরু রেগে বলল
” আপনাকে আমি আমার হাজবেন্ড মানিনা, আপনি মআঃ অভদ্র ? ৷ আর ওরা বড্ড লুচু আর গায়ে পড়া স্বভাবের ৷”

আরিশ চোখ টিপ মেরে বলল
” কি হিংসা হয়?”

আরু ঘাবড়ে গিয়ে বলল
” আজব , হিংসা হবে কেন? আর আপনাকে নিয়ে ভেবে ওদের ওপর হিংসা করতে আমার বয়েই গেছে ৷”

আরিশ মুচকি হেসে বলল
” বেশ, তাহলে আজকে বিকালে ওদেরকে বাসায় আসতে বলো না হলে ওদেরকে মিট করতে বলো ৷ আমি ট্রিট দেবো ৷”

আরু যেন আরিশের কথাতে সম্মতি প্রকাশ করতে পারলো না, হঠাৎ অরে ওর ফ্রেন্ড দের সামনে যেতে চাইছে ব্যাপারটা একটু সন্দেহ জনক ৷ চুপ করে রইলো ৷
আরিশ বলে উঠলো
” বাই দা ওয়ে আমি কিন্তু এই লুঙ্গি পরেই যাবো কফি শপে, আর ওদের সামনে ৷”

কথাটা শুনে আরু ছোট খাটো হার্ট অ্যাটাক করার মতো অবস্থা ৷ অবাক হয়ে বলল
“কিহ ! মাথার ঠিক আছে? লুঙ্গি পরে যাবেন মানে? ওরা কি ভাববে ?”

আরিশ উদাসীন হয়ে বলল
” ইউ নো কে কি ভাবলো আই ডোন্ট কেয়ার ৷আর তুমি তো আমাকে হাজবেন্ড বলে মানোনা তাই ছোমার লজ্জা লাগার কারধ তো নেই ৷ আর শাশুড়ি আম্মা ভালোবেসে দিয়েছে আমি না করি ? কেন তোমার লজ্জা লাগবে ৷”

আরু বলে উঠলো
” নাহ লুঙ্গি পরে যাবেন না, তাহলে আমার আর মান সম্মান থাকবে না ৷”

আরিশ আগের মতোই বলল
” আমি তো লুঙ্গি পরেই যাবো ৷”

আরু থতমত খেয়ে বলল
” আপনি ওদেরকে বলবেন যে আপনি আমার কাজিন আর আপনি এনগেজ্ড ওকে? ? আর পাত্রীর নাম জানতে চাইলে বলবেন না বুঝেছেন?”

আরিশ লুঙ্গিটা আরুর হাত থেকে নিয়ে বলল
” হ্যাঁ আমি তো চিরকালই সিঙ্গেল , আবরার আরিশ ফর অল? , এন্ড হু আর ইউ আফা ৷”

আরু রেগে বলল
” ডিভোর্স ৷”

আরিশ ওয়াশরুমের দরজা আটকে বলল
” কাজিনদের ডিভোর্স হয় না আরুপাখি, ওপস আপনি তো আমার ” হু আর ইউ আফা” ৷”

আরু চেঁচিয়ে বলল
” নাহহহহহহ ৷”

আরিশ খট করে দরজা আটকে দিলো ৷

চলবে,,,,

#কারনে_অকারনে_ভালোবাসি?
#পর্ব:12
#Suraiya_Aayat?

” জানু, জানু জানু জানু,,,,,,,জানু ৷”
কথাটা বলতে বলতে একপ্রকার নাঁচতে নাঁচতে এসে মধু এসে আরুর পাশে এসে বসলো ৷ আরু রিতীমতো ভ্রু কুঁচকে সোফাতে বসে হেলছে দুলছে আর বিকালে সব কিছু কিভাবে ম্যানেজ করবে ভাবছে ৷ হঠাৎ মধু এসে আরুর কানের কাছে জানু জানু প্রলাপ শুরু করে দিলেই আরু বিরক্ত হলো তবুও কিছু বললো না ,কিন্তু হঠাৎ করে মধু বেশুরে কন্ঠে যখন বলে উঠলো
” জানু জানু,জানু, আই লাভ ইউ, ডু ইউ লাভ মি ৷”
কথাটা শুনতেই আরুর বিরক্তির মাত্রাটা আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়ালো,,মধু এবার আরুর গায়ে রিতিমতো ঢলে পড়তেই আরু গগনবিরাদী চিৎকার করে উঠলো
” এই মেয়ে,what are u doing ৷”

কথাটা শুনতেই মধু চমকে উঠলো ৷ মধু মেয়েটা বড্ড গায়ে পড়া , সবসময় গায়ে ঢলে ঢলে পড়ে আর অদ্ভুত রকম ব্যাবহার করে যা আরুর একদম পছন্দ না আর মধুকে অপছন্দ হওয়ার আরও একটি কারন আছে যেটা হলো মধু আরিশকে চোখ দিয়ে গিলে খাই , এখনো হয়তো জানে না যে আরিশ এসেছে তাই শান্ত আছে, আরিশকে সামনে পেলে যে কি কি করতো তার ঠিক নেই ৷
মধু চমকে উঠে বলল
” ওপস মাই অরিও তুমি রেগে গেলে কেন?”

আরু চোখ মুখের অদ্ভুত রকম একটা এক্সপ্রেশন দিয়ে বলল
” থামবে তুমি ? আর কতোবার বলবো যে এসব আদিক্ষেতা করে আমার নাম ডাকবেনা, i have a cute name…such a cute nem….আ রু শি,,,,আরু…. ৷”

মধু আরুর গাল দুটো টেনে দিয়ে বলল
” ওপপস, আই ফরগেট ইট ৷ তোমার গালদুটো একদম ক্রিমি ক্রিমি তাই তো ভালোবেসে অরিও ডাকি ৷”

আরু রেগে গিয়ে বলল
” নো মোর ওয়ার্ডস ‌৷”

মধু খানিকটা লজ্জা পেয়ে বলল
” মার ডালা, এটা তো আরিশ বলে ‌৷”

আরু রেগে বলল
” সে তোমার থেকে বড় মধু, তার সাথে তোমার এজ গ্যাপটা ভুলে যেও না ৷ He is 24 and u are only 17…..so mind it,ভাইয়া বলবে তাকে ৷”

মধু মুখ ভাঙচি এটে বলল
” ওসব ভাইয়া টাইয়া আমি বলতে পারবো অরিও ,ওগুলো বড্ড ওকুয়ার্ড ৷”

আরু মাথা চেপে বসলো ,ইচ্ছা করছে একটা ধমকে এই মেয়েকে চায়না পাঠিয়ে দিতে কিন্তু ওর ধমকে তো জোর নেই,আরিশ হলে ঠিক পারতো কারন আরুর পড়া একটু ভুল হলেই আরিশ মাঝে মাঝে এমন চিৎকার দেই যে আরু বাংলাদেশের বর্ডার টপকে ইন্ডিয়া চলে আসে ৷
সবকিছু মিলে চিন্তাগুলো একপ্রকার জগাখিচুড়ী হয়ে যাচ্ছে আর এখন যদি কোনভাবেই আরিশ মধুর সামনে চলে আসে তো আগুনে ঘি ঢলার মতো কাজটাও হয়ে যাবে , যদিও আরিশ এই মেয়েকে সহ্য করতে পারে না, দূরত্ব বজায় করেই চলে , কিন্তু আরিশ তো আরিশ ই কখন কি করে বোঝা যায় না ৷”

আরু এবার নিজের রাগটা একসাইডে রেখে মধুকে বলল
” মধু আমি একটু চিন্তায় আছি, can u plz leave me alone ?”
মধু বড়ো একটা হাই তুলে বলল
” ওকে ৷”

কথাটা শেষ করে উঠতে গেলেই হঠাৎ সিঁড়ি দিয়ে লুঙ্গি পরে আর একটা সাদা টি শার্ট পরে নামছে আরিশ আর বলছে
” আরু পাখি , আরু পাখি, শোনো ৷”

আরিশকে আসতে দেখে আরু চোখ মুখ খিঁচে বলল
” উফফ ! এবার এই টেপ রেকর্ডার আর থামবে না ৷”

আরিশকে নামতে দেখে মধু একপ্রকার লাফিয়ে উঠে বললো
” আরিশ !”

আরিশ নামতে নামতে মধুকে দেখে বিড়বিড় করে বলল
” শিট মধু…..হোয়াটএভার, আব আয়েগা মাজা আরু পাখি ৷”

কথাটা বলে মুচকি হাসতেই মধু বলে উঠলো
” কেমন আছো তুমি?”

আরিশ মুচকি হেসে বলল
” তোমাকে দেখে আরও ভালো আছি ৷ পুরো টুইটুই ফিলিংস ৷ ”

আরু আরিশের দিকে সরু চোখে তাকালো, আরিশ ও আরুর দিকে তাকিয়ে সিঁড়ি থেকে নেমে মধুর কাছে গিয়ে বলল
” ওয়াও তুমি তো দিনদিন আরও সুন্দরী হয়ে যাচ্ছো,ব্যাপারটা কি?”

মধু হালকা ব্লাশ করে বলল
” আরে নাহ,,তুমিও যে কি বলো না আরিশ !”
হঠাৎ মধুর আরিশের দিকে তাকাতেই আরিশের লুঙ্গির দিকে নজর যেতেই বলল
” হোয়াট ইজ দিস আরিশ ,এটা কি পরেছো তুমি ? ”

আরিশ ওর লুঙ্গির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল
” ওহহ, এটা !এটাতো লুঙ্গি , আমার শাশুড়ি আম্মু স্পেশাল ৷ ”

মধু এবার নাক মুখ কুঁচকে বলল
” রিয়েলি ! ফুপি আম্মু তোমাকে এসব পরতে দিয়েছে ? হাও স্টুপিড ৷”

আরু এবার মুখ খুললো
” মধু আই ওয়ার্ন ইউ, আম্মুকে আর ওনাকে দুজনকেই রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলো ৷”

আরিশ আরুর দিকে তাকিয়ে বলল
” চিল আরুপাখি, এতো রেগে যাচ্ছো কেন ! ”
“নো প্রবলেম মধু তুমি আমাকে আরিশ ই বলো ৷তোমার অরিও যদি তার হাজবেন্ডকে আরিশ বলতে পারে তাহলে তুমি কেন পারবে না যতোই হোক তুমি ওর মামার মেয়ে আই মিন কাজিন ৷”

কথাটা শুনে মধু মুচকি হাসলো ৷
” বাট লুঙ্গিটা তোমার সাথে একদম যাচ্ছে না, তুমি এটা চেন্জ করো ৷”

আরিশ ওর মাথার চুলগুলোকে খানিকটা হাত দিয়ে বুলিয়ে বলল
” সরি মধু, তোমার এই কথাটা রাখতে পারলাম না,,শাশুড়ি আম্মু দিয়েছে না পরলে রাগ করবে ৷ তাইনা আরুপাখিইইইইইইই !”

আরু রাগী চোখে তাকিয়ে ওখান থেকে উঠে চলে গেল , দুজনের এই আদিক্ষেতা ময় কথাবাত্রা ওর সহ্য হচ্ছে না, রাগ বিরক্তি ওদের সামনে মূলত প্রকাশ করতে চাইছে না, আরিশকে আলাদা ক্লাস নেবে ও তাই ওখান থেকে উঠে চলে গেল,,যাওয়ার আগে আরিশের দিকে একটা কিলার লুক দিয়ে গেছে যাতে করে আরিশ মুচকি হাসছে ৷
আরু চলে যেতেই মধু বলল
” তুমি না ভীষন কিউট,,,,আই লাইক ইউ ৷”

কথাটা বলতেই আরিশ বুঝলো যে এই মেয়ে এবার যখন এমন হ্যাংলামো শুরু করেছে তখন এতো সহজে তা কমার নয় তাই ও সেখান থেকে পালানোর জন্য বলল
” awwwwe…..so sweet মধু ৷”

মধু হালকা চোখ বন্ধ রে বলল
” নট মধু, ওনলি হানি ওকে?”

” ওকে ৷”

কথাটা বলে আরিশ চলে যেতে নিলেই মধু আরিশের হাত ধরতে গেলেই আরিশ লুঙ্গিতে পা বেধে পড়ে যেতে নিয়েও সামলে গেল ৷ মধু ব্যাতিব্যাস্ত হলো সাথে ভয় ও পেয়ে গেল ‌৷
মধু আরিশকে ধরতে গেলেই আরিশ সরে গিয়ে বলল
” ইটস ওকে, আমার একটু কাজ আছে , আমি আসছি ৷”

কথাটা বলে আরিশ গটগট করে চলে গেল,মধুও আর কিছু বলার সুযোগ পেলো না ৷

রুমের সামনে আসতেই আরিশের হাটার গতি কমে গেল ৷ হাফ ছেড়ে বঁচলো আরিশ ‌৷ আরুকে রাগাতে গিয়ে মধুর প্যাচালে পড়ে গেল আরিশ ৷ রুমে ঢুকতে গেলেই দেখলো দরজাটা হালকা করে খোলা আছে, আরিশ দরজাটা ঠেলে রুমে ঢুকলো ৷ ধীর পায়ে রুমে ঢুকতেই দেখলো আরু শুয়ে আছে উপুড় হয়ে ৷ আরু সাধারনত এভাবে ঘুমায় না কখনও , কারন ওর পেটে পেইন হয় তাই ডক্টর এভাবে ঘুমাতে না করেছে তবে আগে যখন ভীষন রকম রাগ হতো তখন এভাবে শুয়ে থাকতো তাতে করে রাগ নাকি অনেকটা কমে যায় ৷ আরিশ বুঝলো যে আরু বেশ রেগে আছে ৷
আরিশ রুমে ঢুকলেও আরুর মাঝে কোন পরিবর্তন নেই , আরু আগের মতো করেই শুয়ে আছে দেখে আরিশ হাটছে আর বলছে
” মধু ও না, একদম বাচ্চা, কেমন জানি সবসময় দুষ্টুমি করে ৷ আসলে ওর ম্যাচিওরিটি এখনও আসেনি তাই এমন পাগলামো করে ৷ওর জন্য তো লুঙ্গি তে পা বেধে পড়েই যাচ্ছিলাম ৷”

কথাটা বলার পর ও আরুর কোন ভাবভঙ্গির পরিবর্তন নেই দেখে আরিশ বলে উঠলো
” আরু পাখি !”

তাও কোন উত্তর এলো না দেখে এবার আরুর পাশে গিয়ে শুয়ে আরুর কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলল
” আরু পাখি ! এই আরু পাখি ৷” আরুপাখি !”

আরুর কোন উত্তর নেই দেখে আরিশ আরুকে ঠিক করে শুইয়ে দিতেই দেখলো আরু ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ আরিশ মুচকি হেসে আরুর দিকে বেশ ঝুকে গেল, আরিশ মুখের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে আরও গভীর ভাবে থাকাতেই দেখলো আরুর চোখের কোনে খানিকটা ভেজা ভেজা আর চোখের কোনে ও স্বল্প মাত্রায় জল জমে আছে আর পেটে হাত দিয়ে আছে,হয়তো পেটে পেইন হচ্ছিল তাই কাঁদছিলো নাহলে মধুকে নিয়ে এত ছোট ছোট বিষয়ে আরু কাঁদে না ৷ মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেছে , আরিশের বুকের মাঝে এক নোনা স্রোত বয়ে গেল, দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আরুকে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো , খুব অল্পতেই মেয়েটা রেগে যাই আর খুব অল্পতেই কেঁদে ফেলে ৷ আরিশ আরুর কপালে চুমু দিলো ৷ চোখ বন্ধ করলেই 2 মিনিট ও লাগে না আরুর ঘুম চলে আসে ‌৷ আরিশ আরুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর পুরোনো সব কথা মনে করার চেষ্টা করছে ৷

আরিশ চোখ বন্ধ করতেই কানে সেই বাচ্চা আরুর কন্ঠস্বর ভেসে আসলো,,,,,
” আ্য আ্য আ্য……”
কান্নার আওয়াজটা ভেসে আসতেই আরিশ দৌড়ে ছুটে গেল ৷আরিশ তখন সবে 13 বছর বয়স আর আরুর 8 ৷ দৌড়ে গিয়ে দেখলো আরু বসে বসে মাটিতে হাত পা ছড়িয়ে কাঁদছে ‌, গায়ের সাদা ফ্রকটাতে ধুলো লেগে আছে ,পায়ের জুঁতোর বেল্টটা ছেঁড়া , মাথার দুই দিকে দুটো ঝুটির একটা নড়বড়ে ৷ আরিশ আরুর কাছে দৌড়ে ছুটে গিয়ে বলল
” কি হয়েছে আরু পাখি তুমি কাঁদছো কেন?”

আরু কাঁদছে কিন্তু কিছু বলছে না দেখে আরিশ বলল
” কি হয়েছে আরু পাখি , বলো৷”

আরুর কান্না থামছে না দেখে আরিশ এবার ধমক দিয়ে বলল
‘ এই মেয়ে কি হয়েছে বলো ৷”

আরু আরিশের ধমক শুনে বলল
” শফিক ভাইয়া আমার হাত ধরে কোথায় টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো, আমি যাচ্ছিলাম না, তবুও ভাইয়া আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলো ৷ আমি কতো কাঁদছিলাম আর যেতে চাইছিলাম না বলে,,,, ”

কথাটা বলে আরু আবার কাঁদতে লাগলো, আরিশের রাগ মাথায় চেপ গেছে, যেটুকু শুনেছে তাতে ওর অনেক কিছুই বোঝা হয়ে গেছে যে শফিক কি করতে চাইছিলো ৷ রেগে ধমকে বলল
” কি করেছে? বলো !”
আরু ধমক শুনে কেঁপে উঠে বলল
” ভাইয়া আমাকে মেরেছে ‌ ৷ আমার গালে 5টা চড় মেরেছে, চুলের ঝুটি ধরে টেনেছে , আমাকে মেরেছে আরিশ ভাইয়া ৷”
কথাটা বলে আরু আবার কাঁদতে লাগলো ৷ আরিশ এবার রেগে ওখান থেকে উঠে যেতে গেলেই আরুর ছোট হাতদুটো আরিশকে থামিয়ে দিয়ে বলল
” ভাইয়া তুমি যেও না , নাহলে শফিক ভাইয়া তোমাকেও মারবে ৷”
আরিশ সেদিন আরুর কথা শোনেনি, ওর আরুপাখির যে ক্ষতি করতে চেয়েছিলো তাকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিল ও ৷
আরিশ যেতেই দেখলো শফিক নামের 15 বছরের ছেলেটা রাস্তায় আর একটা মেয়েকে টিজ করছে ৷ আরিশ গিয়ে ওর মুখ বরাবর পাঞ্চ করতেই শফিক নীচে পড়ে গেল আর মেয়েটা যেন প্রানপনে বাঁচতে ছুটে পালালো ৷ আর এদিকে আরু দৌড়ে দৌড়ে ছুটে আসছে আরিশকে থামানোর জন, পায়ে ছেড়া জুতোর জন্য ঠিক করে দৌড়াতেও পারছে না, ক্রমে ক্রমে হোচট খাওয়ার উপক্রম ৷ এদিকে শফিক উঠে দাঁড়ালো , আরিশকে শফিক মারতে গেলে আরিশ রাগের চোটে আরও কয়েকটা ঘুষি মারলো শফিকের মুখে , কোন রকম কোন টেকনিক ছাড়াই উড়ুধুড়ু মারতে লাগলো আরিশ, রাস্তার মাঝে মারপিঠ হচ্ছে , ফাঁকা রাস্তা আর দুপুরের দিকে সবাই মুলত ঘুমাচ্ছে তাই কেউ আটকানোর নেই ৷ আরু আরিশের হাত ধরে টেনে থামানোর জন্য বলল
” আরিশ ভাইয়া তুমি আর মেরো না, শফিক ভাইয়া অনেক পচা, আম্মুকে আমি বলে দেবো শফিক ভাইয়ার কথা, তুমি ছাড়ো ৷”

আরিশ এদিকে ঝফিককে মারছে, ছেলেটার নাক মুখ কেটে গেছে , আর আরিশ প্রতিটা ঘুষি আর লাথির মারার সাথে সাথে বলছে
” আমার পুতুল বউকে তুই ছুয়েছিস হ্যাঁ, আজ তোকে আমি বাঁচিয়ে রাখবো না ৷”
কথা গুলো বলছিলো আরিশ ৷ আরু এবার আরিশের হাত ধরে টানতে গেলে আরিশ বলল
” আরুপাখি সরে যাও এখান থেকে ৷”
কথাটা বলে হাতটা ঝাড়া মারতেই আরু পড়ে গেল রাস্তার মাঝে ৷

আরিশ শফিককে মারছে, শফিকের একটা হাত ধরে মুচড়ে দিতেই শফিকের একটা হাত ভেঙে গেল,শফিকের আর পাল্টা আঘাত করার ক্ষমতা নেই ৷ হঠাৎ কানে ভেসে আসলো
” আহহহহ…..!”

চিৎকার শুনতেই আরু শফিকের মুখে আর একটা ঘুষি মারতেই শফিকের দাঁত মুখ দিয়ে রক্ত বার হলো ৷ পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখলো আরু মাটিতে পড়ে আছে ওর সাদা জামা রক্তে লাল হয়ে গেছে, পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখলো একটা বছর 20 র ছেলে দ্রুত সাইকেল নিয়ে পালাচ্ছে ৷ সাইকেলটা সেদিন আরুর পেটের ওপর দিয়ে গিয়েছিলো ৷ চারিদেকে রক্ত আর রক্ত আর আরু মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছে, বাঁচার আশা ছিলো না,,,,চারিথেকে রক্তের ছড়াছড়ি আর আর্দনাত……

কথাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠতেই আরিশ আরুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আরিশ,অজান্তেই আরিশের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লো ‌৷ সেদিনের কথা ভবলেই আজও আরিশ কেঁপে কেঁপে ওঠে ৷ সেদিন হয়তো আরিশ বুঝতো না যে এর পরিনামে আরু পাবে একরাশ অপূর্নতা, মা না হওয়ার সুখ ৷ কিন্তু আজ আরিশ সব বোঝে কিন্তু ওর আফশোষ হয় না আর , কারন ও ওর অপরিপূর্ণ আরুপাখিকেই ভালোবাসে ,প্রয়োজন নেই একটা মানুষকে সবসময় পরিপূর্ণ হতে হবে ‌ ,ওর আরুপাখিই ওর ছোট্ট বেবি, বাঁচার সম্বল হিসাবে আরুই ওর জন্য যথেষ্ট ৷
আরিশ আরুকে জড়িয়ে ধরে বললো
” তোমার অপরিপূর্ণতা নিয়েই তুমিই আমার প্রয়শী আমার রুপসী আমার সব, সব ,সব , মাই এভরিথিং ৷’

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here