কারনে_অকারনে_ভালোবাসি
পর্ব:5
Suraiya_Aayat
কোনরকমে চোখটা মুছে আরু ট্রলিটা বার করে জামা কাপড় গোছাতে লাগলো, ওর কিছু জামকাপড় কোনরকমে গুছিয়ে ট্রলির চেন টানতে টানতে ফুঁপিয়ে উঠতেই অনিকা আর আফসানা বেগম ধড়ফড়িয়ে রুমে আসলেন, আরু চোখের জলটা মুছে ট্রলিটা নামাতেই অনিকা খান আরুকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বললেন
” এই আরু মা এসব কি পাগলামি হ্যাঁ? আর এসব ট্রলি গুছিয়ে কোথায় চললি ? আরিশ জানলে কি হবে জানিস?”
আরু ফুঁপিয়ে বলে উঠলো
” ওটাই আমার ভয়, আমাকে ছাড়ো ফুপি আমি থাকবো না এখানে, উনি রাতে এসে আমার খবর খারাপ করে দিবে আর ওই ছেলেকে আমি চিনি না জানি না তার জন্য উনি আমার ওপর হামলে পড়বে ৷ উনি আসার আগে আমি চলে যাবো এখান থেকে ৷”
আরুর মা আরুকে খানিকটা ধমকে বলল
” আরু, খামোখা ভয় পাচ্ছিস কেন? আরিশকে আমরা বুঝিয়ে বললে ও কিছু বলবে না ৷”
আরু ফুঁপিয়ে উঠে এবার ট্রলিটা হাতে নিয়ে বলল
” আমি এতোকিছু শুনতে চাইছি না, আমি এখন কোথায় যাবো বলো , ফুপির বাসা? নাহ সেখানে কি করে যাবো সেখানেই তো ভয়, খালামনির বাসা যাবো? আমার তো খালামনিই নায়, তাহলে কোথায় যবো, নানুবাসা ? হ্যাঁ নানুবাসা ই যাবো আমি ৷”
কথাটা বলে বেরিয়ে যেতে গেলেই অনিকা খান আরুর গালে হাত রেখে বললেন
” আরে মা পাগলামো করিস না শোন, আরিশ কিছু বলবেনা ওকে বুঝিয়ে বললে ঠিক বুঝবে ও তাছাড়া মানছি আমার ছেলেটা তোকে নিয়ে একটু ওভার পজেসিভ তবুও !”
আরু ফোঁপাচ্ছে কিছু বলছে না, এটা নতুন কোন ঘটনা না, এতো তাড়াতাড়ি ওদের এনগেজমেন্ট ও হতো না আরিশ সেটেল হয়ে গেলে এনগেজমেন্ট হতো কিন্তু তিনমাস আগে যখন আরু ওর নানুর বাসা গিয়েছিলো তখন ওর নানু আরু আর ওর বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রামের মোড়ল বাড়ির ছেলের সাথে বিয়ের পাকা কথা ঠিক করে রেখেছিলো তারপর আরু এনগেজমেন্টে রাজি না থাকলেও বিয়ে এনগেজমছন্ট করাতে চেয়েছিলো আরুর নানু ৷ কথাটা আরিশ কোনভাবে জানতে পারে তারপর সেখানে ব্যান্ডপাটি সহ লোকজন নিয়ে হাজির হয়েছিলো , পুরো গ্রামকে জানিয়েছিলো যে ওর সাথে আরুর এনগেজমেন্ট হবে ৷ তারপর সেদিন আরুর সাথে এনগেজমেন্ট করে রাখে তারপর থেকে আরুর বিষয়ে আরিশ লাগামছাড়া কোন কাজ পছন্দ করে না ৷ তারপর থেকে আরুর নানুর সাথে আরিশের আঁদায় কাচকলার সম্পর্ক ৷ আর ওদের এনগেজমেন্ট করার পরও এমনকিছু ঘটলো এতে আরিশ নিশ্চয় কিছু না কিছু ঘটাবে তার ওপর আরিশ যাওয়ার আগে এমন একটা ঠান্ডা যুদ্ধ লাগিয়ে গেছে আরুর মনে তাতে ওর ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক ৷
আরু এবার খানিকটা রাগী চোখে তাকিয়ে বলল
” আচ্ছা যাবো না ওখানে গেলে উনি শিউর এবার আমাকে আর আস্ত রাখবে না , আমি কোথাও যাবো না কিন্তু তুমি এখনই ওনাকে ফোন করে বলো যে আমার কোন দোষ নেই এতে, যা করেছে ওই রাতুল গাধা ৷”
আরুর মা বিরক্ত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন ৷ অনিকা খান আরুকে বিছানায় বসিয়ে ফোন হাতে নিয়ে আরিশকে ফোন করলো, কয়েক সেকেন্ড রিঙ হওয়ার পরই আরিশ ফোনটা ধরলো, ওপাশ থেকে গম্ভীর স্বরে বলল
” হমম বলো ৷”
কল লাউডে দেওয়া আছে তাই আরুর কানে কথাগুলো আসছে , আরিশের এমন রুক্ষ কন্ঠ শুনে আরু ভয়ে কুঁকড়ে গেল ৷ আরু উঠে যেতে নিলেই অনিকা খান চোখের ইশারায় আরুকে বসতে বললেন
আরু বসে ফুঁপিয়ে উঠলো তখনই ওপাশ থেকে আরিশ বলে উঠলো
” আম্মু কলটা লাউড থেকে নরমাল করো ৷”
কথাটা শুনে অনিকা খান আর আরু দুজনেই চমকে গেলেন, আরিশের বুদ্বির সম্পর্কে তর ধারনাটা হয়তো কম ৷ উনি ঘাবড়ে গিয়ে কলটা নরমাল করতেই আরিশ বলে উঠলো
” আম্মু তুমি বাসায় যাও এক্ষুনি ৷আমি রাতে বাসায় ফিরবো , আর কাচ্চি রাঁধবে আর না পারলে অর্ডার দেবে আর সানাকে বলো আমার রুমটা যেন সুন্দর করে গুছিয়ে রাখে ৷”
কথাটা বলে আরিশ কল কেটে দিতে গেলেই উনি বললেন
” আরে শোন আরিশ কাটিস না, যেটা বলার জন্য তোকে ফোন করলাম সেটা তো শুনলিই না ৷”
আরিশ ভারী কন্ঠে বলল
” হমম বলো ৷”
উনিও একটু শুকনো ঢোক গিলে বললেন
” তুই আরু মাকে ভুল বুঝিস না, আরু মা ওই ছেলেটাকে চেনে না ইভেন কে তাও জানে না আর ছেলেটা হয়তো আরু কে চিনতো কোনভাবে তারপর পছন্দ হয়েছে তাই না জেনে বিয়ের প্রস্তাব এনেছে আর এটা একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে আর মেয়েটা খামোখা ভয় পাচ্ছে যে তুই কিছু বলিস কি না ৷”
আরিশ আগের মতোই ভারী কন্ঠে বলল
” আমি সব জানি, ওকে আমি কিছু বলবো না তাই খামোখা ভয় পেতে বারন করো ৷ সন্ধ্যার সময় আমি যাবো তখন যদি মুখে ভয়ের ছাপ দেখি তো তার খবর আছে ৷ রাখছি ৷”
কথাটা বলে আরিশ ফোনটা কেটে দিলো ৷ ওনার বুকের ভিতর দিয়েও যেন এক ঝড় বয়ে গেল ৷ উনি আরুর দিকে প্রথমে বিরষ মুখে তাকিয়ে তারপর ফিক করে হেসে বললেন
” আরিশ কিছু বলবেনা তোকে বললাম না তুই খামোখা ভয় পাচ্ছিস ৷”
আরু ও একটু মনে সাহস এনে বলল
” আর কি বলেছে ?”
উনি আরুর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন
” আর বলেছে সে সন্ধ্যায় এসে যদি দেখে যে তোর মুখে ভয়ের ছাপ তো তোর খবর খারাপ বুঝলি ?”
আরু এবার ওনার কাধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নিলো তারপর ভাঙা গলায় বলল
” ফুপি উনি এমন কেন?”
উনি মুচকি হেসে বললেন
” ও তোকে ভালোবাসে তাই এমন পাগলামি করে ৷”
আরু কিছু বলল না চোখটা বন্ধ করে নিলো , মনে মনে ভাবলো যে রাতুল নামের ছেলেটাকে যদি কখনো রাস্তায় বা অন্য কোথাও দেখে তো গুন্ডা দিয়ে পিটাবে আরু ৷
___
কিছুখন আগে সন্ধ্যার আযান দিয়েছে, আরু নামাজ পড়ে ঘরে বসে আছে,ঘড়িতে কাটায় কাটায় 6 টা বাজে তারমানে এক্ষুনি আরিশ আসবে তাই আরু মুখে কোন ভয়ের ছাপ রাখতে চাইছে না ৷ আজকে আরুর বাবা আরমান সাহেব ও অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরেছেন দেখে আরু বেশ অবাক হলো কারন জিজ্ঞাসা করলে বললেন যে আরিশ নাকি কোন একটা দরকারে ওনাকে আজকে বাড়ি থাকতে বলেছেন ৷ আরমান সাহেব নামাজ পড়ে এসে সোফাতে বসে সবে খবরের কাগজটা হাতে নিয়েছেন তেমন সময় বাসার কলিংবেলটা বাজলেই কাজের মেয়েটা দরজা খুলে দিতেই সানা আর অনিকা খান এলো ৷ ওনাকে দেখে খানিকটা অবাক হলো আরু আর ওর বাবা ৷ দুপুরবেলা অনিকা খান বাসায় ফিরেছিলেন আবার সন্ধ্যা হতে না হতে আবার এসেছেন তার কারনটা বুঝলো না ৷ অনিকা খান আসতেই আরমান সাহেব বলে উঠলেন
” আরিশ কোথায়? ছেলেটার কথা মতো তাড়াতাড়ি বাসায় এলাম আর সে নিজেই বেপাত্তা ৷”
আরুর মা আফসানা বেগম রান্না ঘরে নাস্তা হিসাবে কিছু বানাচ্ছিলেন তখনই আফসানা বেগমের গলার আওয়াজ শুনে খুন্তি হাতে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন ৷
সানা আরুর কাছে গেছে ৷ আরিশ সন্ধ্যা বেলা আরুকে পড়াতে আসে তবে সানা আরিশের কাছে পড়েনা কারন ও মনে করে যে বাসার লোকের কাছে পড়াশোনা হয় না তাই ৷ আফসানা বেগম কোমর থেকে শাড়ির আঁচলটা ছাড়িয়ে বললেন
” কি ব্যাপার আপু তুমি এই না কিছুখন আগে বাসায় গেলে আবার এসেছো কোন সমস্যা?”
অনিকা খান সোফাতে বসে বলল
” আরিশ বলল যে সন্ধ্যা হলে যেন এখানে আসি তাই, বললো যে কাচ্চি বানাতে তাই এখানে এসে আবার কখন বাসায় ফিরবো তারপর কাচ্চি বানাবো তাই আর বেশি না ভেবে বানিয়ে ফেললাম আর আরুর জন্য টিফিন বক্সে আছে সানা নিয়ে গেছে আরুর কাছে ৷”
” ওহহ আচ্ছা, তাহলে আরিশ যতখন না আসে তোমরা অপেক্ষা করো আমি ততখনে রন্নাটা শেষ করি ৷”
আফসানা বেগম চলে যেতে না যেতেই টেবিলের ওপরে রাখা আরমান সাহেবের ফোনটা বেজে উঠতেই উনি ফোনটার দিকে তাকিয়ে বেশ গলা ছেড়ে ডাকলেন
” আফসানা তোমার আব্বাজান মানে আমার শ্বশুরজান ফোন করেছেন কথা বলে যাও ৷”
আফসানা বেগম রান্না ঘর থেকে গলা ছেড়ে একটু চিৎকার করে বলল
” আমার বাপকে নিয়ে মজা করা কবে বন্ধ করবে তুমি ? বেশি রসিকতা না করে তুমি ফোনটা ধরো আমি রান্না করছি ৷”
উনি হাসতে হাসতে বললেন
” কম ঝামেলা করেননি তোমার এই বাপ আমাদের বিয়ের সময়, তাই যতদিন উনি বেঁচে থাকবেন ততদিন আমি বলবো ৷”
কথাটা বলে হাসি নিয়ন্ত্রন করে ফোনটা ধরতেই অপর পাশ থেকে বেশ লম্বা সুরে আরুর নানাভাই বলে উঠলেন
” হ্যালোওওওওওওও !”
আরমান সাহেব খানিকটা গলা পরিষ্কার করে বললেন
” জ্বি আসসালাম ওয়ালাইকুম বাবা কেমন আছেন?”
উনি একটু কেশে বেশ গাঢ় কন্ঠে বললেন
” ওয়ালাইকুম আসসালাম ,এইইইই তো ভালোইইই ৷ তোমরাআআ কেমন আছোওওও ?”
অনিকা খান ও কিচেনে গেলেন ৷
” জ্বি ভালো , বাসার সবাই কেমন আছে ?”
” আছে আলহামদুলিল্লাহ ৷ শোনো আরমান যে কারনে তোমাকে ফোন করেছিলাম আরকি ৷”
আরমান সাহেব এবার একটু বেশ নড়েচড়ে বললেন
” জ্বি বাবা বলেন ৷”
” বলছিলাম কি আমি ভাবছি যে কালকে তোমাদের বাসায় যাবো, বুঝতেই তো পারছো বয়সটা তো আর কম হলো না, মরি বাঁচি অবস্থা, তোমাদেরকে তাই ভাবলাম একটু দেখতে যায় ৷ সেই জন্যই আরকি ৷”
” জ্বি সেটা তো খুব ভালো কথা , আসুন সমস্যা নেই তো৷”
” নাহ , সমস্যা আছে?”
আরমান সাহেব চোখ বাঁকিয়ে প্রশ্ন করে উঠলেন
” জ্বি কি সমস্যা?”
” সমস্যা তো ওই ফটকে হাটুর বয়সের ছেলেটা যার সাথে আমার আরু দিদিভাইয়ের বিয়ে দেবে বলে ঠিক করেছো তোমরা ৷”
আরমান সাহেব রিতিমতো বিরক্ত হয়ে বললেন
” থাক না বাবা এসব কথাব ওরা আজকাল কার ছেলেমেয়ে ওরা যেটাতে খুশি থাকে সেটাই করতে দেওয়া উচিত, আমরাই বা আর কতদিন এই পৃথিবীতে থাকবো ৷”
উনি এবার ভারী গলায় বললেন
” তোমরা যা খুশি করো কিন্তু আমি যে কদিন তোমাদের বাসায় থাকবো সে কদিন ওই ছেলে যেন এই বাসায় না আসে মোটকথা আমার চোখের সামনে ওই ছোকরা ঘোরাফেরা না করলেই হলো হু ৷”
কথাটা শুনে আরমান সাহেবের মেজাজটাই বিগড়ে গেল , কি বলবে বুঝছেন না, বিরক্ত হয়ে ফোনই কেটে দিলেন ৷ অপরদিকে আরম সাহেবের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আরুর নানা ভাই বললেন
” হ্যালোওওওও, হ্যালোওওও ৷ কই কিছু শোনা যায় না কেন?
তবুও কিছু শোনা যাচ্ছে না,উনি ভাবলেন আরমান সাহেব হয়তো ইচ্ছা করে কথা বলছেন না তাই ভেবে উনি আরমান সাহেবকে” বেয়াদপ” বলে সম্মোহন করে ফোনটা তার নাতনির হাতে ধরিয়ে দিয়ে টলতে টলতে ঘরে চলে গেলেন, বয়সটা তার কম নয়, 85 বছরের দোরগোড়ায় আর এই বয়সেও আরিশের সাথে কোমর বেধে ঝগড়া করার কথা উনি 2 মিনিট ও ভাববেন না , তবে আরিশই বা কম কিসের, উনিও যেমন বুনো ওল আরিশ ও তেমনি বাঘা তেঁতুল, তাদের দুজনের ক্যাটফাইট আরু উপভোগ করে বেশ ৷
___
” কাচ্চিটা জোশ, আহ….পুরো ঠোঁটে লেগে আছে যেন ৷ ” আঙুল চাটতে চাটতে একমনে কথাগুলো বলতে লাগলো আরু ৷ তখনই সানা হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকে বলল
” আরু ভাইয়া এসেছে , তোকে নীচে ডাকছে ৷”
আরু একটা ঢেকুর তুলে বলল
” আরে খাড়াও মিয়া, সবে কাচ্চিটা সাবাড় করসি, আগে হজম করতে দাও….”খানিকটা গ্রাম্য ভাষায় কথাটা বলল আরু ৷
সানা মুখে খানিকটা আতঙ্ক নিয়ে বলল
” আরু সিরিয়াস কাজে ডাকছে দেরি করিস না তাড়াতাড়ি আই, আর দেরি হয়ে গেলে ভাইয়া চলে আসলে তখন হয়তো ভালো হবে না বিষয়টা ৷”
কথা বলে সানা নীচে চলে গেল ৷ আরু তাড়াতাড়ি করে হাতটা ধুয়ে একটা ওড়না গায়ে পেঁচিয়ে চম্পট নীচে দৌড়ালো , এমনিতেই আজকের দিনটা ওর জন্য খারাপ তার ওপর আর কোন ভুল করে দিনটাকে আরো খারাপ করতে চাইনা আরু ৷
আরু নীচে গেল গিয়ে দেখলো আরিশ বসে আছে সাথে ওর পরিবারের সবাই চুপ হয়ে আছে , সবাই যেন নিরবতা পালন করছে , আর সবার মাঝে সাদা ধবধবে পাঞ্জাবী পরা একটা মুরব্বী লোক বসে আছে যাকে আরু কখনো দেখেওনি ৷আরু ও গিয়ে সানার পাশে বসতেই মুরব্বী লোকটা বলে উঠলো,
” মা তুমি ওখানে বসো ৷” আরিশের পাশের জায়গাটা লক্ষ করে ৷
আরু একটু ইতস্তত বোধ করলেও আরিশের সাথে চোখাচোখি হওয়াতে ভয়ে আরিশের পাশে গিয়ে বসে পড়লো ৷ আরু আরিশের থেকে খানিকটা দুরত্ব বজায় করে বসলো আর আরিশ ওদের মাঝের দুরত্বটা একবার দেখে বলে উঠলো
” কাজী সাহেব নিন আপনি শুরু করুন বিয়ে পড়ানো ৷”
কাজী সাহেব আর বিয়ে এই শব্দটা শুনে আরুর পিলে চমকে উঠলো যেন, ফট করে আরিশের দিকে তাকিয়ে বলল
” মানে টা কি, কার বিয়ে ?”
আরিশ এবার আরুর ওড়নাটা ভালো করে মাথা সহ শরীরে জড়িয়ে দিয়ে বলল
” তোমার আর আমার বিয়ে আরুপাখি ৷”
আরু সবার দিকে তাকালো সবাই একপ্রকার সিরিয়াসনেস নিয়ে বসে আছে, আরিশের কথার ওপর কেউ কথা বলেনা ঠিকই কিন্তু তাই বলে এতো বড়ো সিদ্ধান্ত কীভাবে এতো তাড়াতাড়ি….আরু অর কিছু ভাবতে পারছে না….
শুধু একবার আরিশের চোখের দিকে তাকালো….আরিশের চোখটা যেন বিরাট এক সাগরের মতো যেখানে হাজারো শব্দভান্ডারে গড়া শব্দ আছে কিন্তু যার বোঝার ক্ষমতা আরুর নেই…..অতঃপর বারবার কিছু অসমাপ্ত কথন নিয়েই ওকে থেমে থাকতে হয় ৷
চলবে,,,,,