খুন,পর্বঃ-০১
যাবেদ খাঁন আবু বকর
মেঝেতে রক্তের ফোয়ারা বয়ে যাচ্ছে। গলাকাটা মুরগীর মতো কাতরাচ্ছে সাদিক। শরীর থেকে রক্ত নির্গত হয়ে তলিয়ে যাচ্ছে মেঝে। তার শরীরে বসবাস করা রক্তই যেনো তার সাথে আড়ি বেঁধেছে। তার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেহেতে আর থাকবে না তারা। আর এ-সব দেখে চেহারায় পৈশাচিক শান্তির হাসির রেখা ফুটে উঠেছে হুডি পরিধেয় ব্যাক্তিটির ঠোঁটের কোণে। তার দুই ঠোঁটের কোণে কেবল এক প্রশান্তির হাসি। সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় মেঝেতে রক্তের স্রোতের উপর কাতরে যাচ্ছে সাদিক। হুডি পরিধেয় লোকটির চোখে তীব্র নেশার আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে। এ নেশা কীসের নেশা তা বুঝা বড় দায়। অজ্ঞাত লোকটি নিজ পকেট থেকে একটি “Salt” লবণের প্যাকেট বের করে হাতে নিলেন। ইতোমধ্যেই মিস্টার সাদিকের সমস্ত শরীরে অসংখ্য ব্লেডের পোচ দেখা যাচ্ছে সেই সাথে ছুরির ফলার চিহ্ন। নিম্নাঙ্গে হাজারো ব্লেডের পোচ। অণ্ডকোষ একটা বেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। আর তা মেঝেতেই গড়াগড়ি খাচ্ছে। হুডি পরিধেয় লোকটির হাতে “Salt” লবণের প্যাকেট দেখে ভয়ে জীর্ণশীর্ণ হয়ে গেলেন তিনি। তার শরীরে যদি এই মুহূর্তে এক জার্রা পরিমাণ লবণের সংস্পর্শ পায়। তবে তা মৃত্যুর যন্ত্রণার চাইতেও অধিক ভয়ানক যন্ত্রণা অনুভব হবে।
হুডি পরিধেয় লোকটির ডান হাতে ধরে আছে একটি ধারালো ব্লেড। যআ রুমে থাকা ড্রিম লাইটের আলোতে চকচক করছে। অপর হাতে ধরে আছে লবণের প্যাকেট। ডান হাত উঁচু করে ব্লেডের ধারালো অংশ দিয়ে কেটে ফেললেন লবণের প্যাকেট। ড্রিম লাইটের আলোতে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে দু’হাতেই গ্লাভস পরিধান করে আছেন তিনি। ব্লেডটা নিজের প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে নিলেন। অতঃপর ডান হাতটি লবণের প্যাকেট ঢুকিয়ে একমুঠো পরিমাণ লবণ বের করে আনলেন। চিত হয়ে শুয়ে কাতরাতে ছিলেন সাদিক। চেয়ারে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলেন হুডি পরিধেয় লোকটি। ডান হাতটি সাদিকের দেহের উপর এনে ছিটিয়ে দিতে লাগলেন লবণ। চিৎকার করতে লাগলেন সাদিক। কিন্তু বিন্দু পরিমাণ মায়া অনুভব হলো না হুডি পরিধেয় লোকটির মনের কোণে। হাত জোর করে মাফ চাইতে লাগলেন সাদিক। কিন্তু সেদিকের দিকে বিন্দু পরিমাণ ধ্যান দিলেন না হুডি পরিধেয় লোকটি। কিসের এতো রাগ আর কীসের শত্রুতা আর কোনোই বা তাকে শাস্তি দিচ্ছে প্রশ্নগুলো করার সময় আর পেল না সাদিক। ডান পা উঁচিয়ে নিম্নাঙ্গে স্ব-জোরে একটি লাথি দিলেন হুডি পরিধেয় লোকটি। ওঁক করে মুখ দিয়ে একটি আওয়াজ তুলে কাঁপতে লাগল সাদিকের দেহটা। ধীরে ধীরে নিশ্বাস ভারী হতে লাগল তার। দু-চোখ দিয়ে কেবল অন্ধকার দেখছেন তিনি। কিছু সময় অতিবাহিত হতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।
ব্লেড এবং ছুরি মেঝেতে রেখে ডান হাতের শাহাদাত আঙুলে একটি চাবির রিং ঘোরাতে ঘোরাতে সাদিকের বাসা ত্যাগ করতে লাগলেন হুডি পরিধেয় অজ্ঞাত লোক। শুনশান রাস্তা,লোকালয় হলেও কোনো মানবজাতির দেখা নেই। আর না দেখা পাবারই কথা। রাত তো আর কম হয়নি। হাত থেকে গ্লাভস গুলো খুলে ফেললেন তিনি। অতঃপর রাস্তার পাশে একটি স্থানে ফেলে দিলেন। তবে তার আগেই পকেট থেকে লাইটারটি বের করে আগুন জ্বালিয়ে দিলেন তাতে। অতঃপর ছুড়ে ফেলে দিলেন রাস্তার এক পৃষ্ঠে। গ্লাভসটি প্লাস্টিকের হওয়ায় আগুন জ্বলতে অধিক সময়ের প্রয়োজন হলো না। তবে হাতে থাকা প্লাস্টিকের গ্লাভসটি ছুড়ে ফেলে দিলেও তা এখনো নিভে যায়নি। মাটির সংস্পর্শ পেয়ে পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। কিছু সময় অতিবাহিত হতেই সেখানে পরে রইলো কেবল প্লাস্টিক গলে যাওয়া অংশগুলো। সেদিকে ধ্যান না দিয়ে রাস্তা দিয়ে তেমন কোনো কথা না বলে একাধারে হেঁটে চলেছেন তিনি। ঠকঠক করে পায়ে পরিধানকৃত বুটের আওয়াজ তুলে হেঁটে চলেছেন আপন মনে। সেই সাথে গুনগুন করে জাতীয় কবি “কাজী নজরুল ইসলামের” রচিত “মানুষ” কবিতাটা বলতে বলতে হেঁটে চলেছেন। কবি “কাজী নজরুল ইসলামের” রচিত “মানুষ” কবিতাটা বলা শেষ হলেই নতুন একটি কবিতা ধরলেন। তবে সেটি বেশ উদ্ভট বলা যায়। উদ্ভট কবিতাটি গুনগুন করে পাঠ করতে করতে পথ চলতে লাগলেন।;
[][]
রক্তের স্নিগ্ধ মাখা ঘ্রাণে,
মাতাল আমি হই।
ভয় ঢুকে যাচ্ছে জনগণের প্রাণে,
আমি যে তাদের মনেই রই।
চলছে দিন চলছে রাত,
ভয়ের আঘাত লোক হবে আক্রান্ত।
আমি তো করেই যাবো আঘাত,
আমাকে পাকড়াও করার আগ পর্যন্ত।
বেদনা যুক্ত মৃত্যু দেব আমি,
তাতেই যে মিলবে আমার মনে শান্তি।
কেউ নেই যে আমার সমকামী,
নিরাপত্তা কর্মীরা পাচ্ছে না ক্লান্তি।
[][]
ফোনে একাধিক কলের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় যাবেদের। কোথায় বাজতেছে ফোন, এক প্রকার বিরক্ত হয়ে খুঁজতে লাগলেনে তিনি। বহু হাতরে বালিশের তলায় নিজের ফোনটি খুঁজে পেলেন। কিন্তু ফোন হাতে নিয়ে তার ফোন বাজতেছে না দেখে বেশ অবাক হলেন। বিরক্তির চরম সীমায় অবস্থান করেছেন যাবেদ। দু’হাত কানে দিয়ে শব্দ প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় শুয়ে পরলেন। তবুও ফোনের আওয়াজ তার ঘুমকে বিঘ্ন ঘটিয়েই চলেছে। বালিশ দিয়ে কান দু’টি ঢেকে নিল তবুও বেশ কিছু শক্তপোক্ত শব্দ ভেসে আসছে তার কানে। আর এতেই বিরক্ত হচ্ছেন তিনি। এবার আর বিছানা ত্যাগ না করে পারলেন না। উঠেই ঠাঁস করে একটি চর মারলেন তাবিবের গালে। হকচকিয়ে উঠলেন তাবিব। হাবাগোবার মতো তাকিয়ে রইলেন যাবেদের দিকে। হঠাৎ ঘুমের মাঝে আচমকা আক্রমণের কারণ খুঁজতে লাগলেন তিনি। তেমন কোনো কারণ খুঁজে না পেয়ে বেশ রেগেই বললেন;
-” ভাই রে! আমার কানের ১২ টা বাজিয়ে দিলি। ঘুমের মাঝেও আবার কী ভুল করলাম? যার কারণে আজ আমার কানটি আহত।”
কিছু বলতে যাবে যাবেদ ঐ মূহুর্তে পুনোরায় ফোন বেজে উঠে তাবিবের। ইশারায় ফোন ধরতে বললেন যাবেদ। দ্রুত বিছানা ত্যাগ করে ফোন ধরতে গেলেন তাবিব। হাতে ফোন নিয়ে রিসিভ করার পূর্বেই কেটে গেল ফোন। ফোনের স্ক্রিনে নজর পড়তেই বিষম খেলেন মিস্টার তাবিব মাহমুদ। একনাগাড়ে ৭ টি কল এসেছে ম্যাম অলিনের নাম্বার হতে। লক খুলে ফোন করতে যাবেন তাবিব তার পূর্বেই পুনোরায় কল করেন মিস অলিন। ফোন রিসিভ করতেই অপর পৃষ্ঠ হতে রাগান্বিত মেয়ালি কণ্ঠে ভেসে এলো,
-“অই কোথায় ছিলে তুমি? এক নাগাড়ে ৭ টা কল দিয়েছি তারপরও ফোন তুলছিলে না কেন?”
-“আরে আমাকে বলতে তো দেবেন? ঘুমিয়ে ছিলাম তাই ধরতে পারিনি। আর এই মাত্র যাবেদের চড়ে কান স্তব্ধা খেয়ে ঘুম থেকে হকচকিয়ে উঠলাম। এরপরেই ম্যাম আপনার ফোন।”
-“এতো ঘুম। যাই হোক দ্রুত ফ্রেস হয়ে তৈরি হয়ে অফিসে চলে আসো। আর তোমার বন্ধু যাবেদকেও নিয়ে এসো। দ্রুত আসবে। একটি স্পটে যেতে হবে তোমাদের নিয়ে।”
-“ম্যাম! কথা বললে দেরি হবে। তাই আপাতত রাখি। বায়! আর আমরা যথা সময়ে উপস্থিত হবো অফিসে তা নিয়ে কোনো চিন্তা করবেন না।’
পুনরায় মিস অলিনকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কল কেটে দিলেন তাবিব। রেগে গিয়ে যাবেদকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো তাবিব,
-“ভাই রে! ঘুম থেকে তো ভালো ভাবেও ডেকে জাগিয়ে তোলা যায়। এরকম চড় টড় না দিলেও তো হয়।”
কথা সম্পুর্ন শেষ করতে পারল না তাবিব। তার পূর্বেই ঠাস করে পুনোরায় বাম গালে আবারো একটি চড় বসিয়ে দিলেন যাবেদ। গম্ভীর গলায় তাবিবের উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন তিনি;
-“নে! মজা পেয়েছিস। সুন্দর ভাবে দুই গালে বন্ধুর ভালোবাসা এঁকে দিলাম। তোর এলিয়েন ম্যাম কি বলল সেটা বল আগে।”
ব্যাচারা তাবিব চড় খেয়ে সাদাসিধা ভাবে বলতে লাগলেন;
-“তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে আমাকে এবং সাথে তোকেও অফিসে যেতে বলেছে।”
-“তোর এই এলিয়েন ম্যামের কর্মকাণ্ডগুলো আমার কাছে মোটেও ভালো ঠেকছে না।”
-“এই এলিয়েন ম্যাম এলিয়েন ম্যাম করবি না তো। কী এমন কাণ্ড করেছে যেগুলো আপনার কাছে ভালো লাগছে না।”
-“যে কর্মকাণ্ডগুলো আমার কাছে ভালো ঠেকছে না তা হলো, চাকরি তুই করিস আর প্রতিবার আমাকে নিয়ে কেন টানাটানি করে?”
-“ভাবনার ব্যপার। সে যাইহোক তৈরি হয়ে চল।”
-“না গিয়ে আর উপায় কী? তুই তো আর আমাকে শান্তি দিবি না। আর ঐ আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেই যেন দেখতে পাই তুই সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আছিস। নয়তো গালে আরো চারটে গরম গরম পরোটা সাঁটিয়ে দিবো ঢিলা কোম্পানি।”
আর কিছু বলল না তাবিব। জানে সে কিছু বলা মানেই নিজের গালে চড় খাবার জন্য তৈরি করে দেওয়া। যাবেদের চড়-চাপড়ে তেমন ভাবে মন খারাপ করে না তাবিব। যখন এই শহরে কেউ ছিলো না তার। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরত তখন তাকে নিজের কাছে এনে ছোটো ভাইর মতো মানুষ করেছে যাবেদ। যদিও সমবয়সীর মতো হবে দু’জন। তবে যাবেদ তাবিবের চাইতে বড়। মাঝে মাঝে নিজে – নিজেই ভাবে তাবিব! আজ যদি যাবেদ না থাকত তবে রাস্তাতেই থাকা হতো তার। রাস্তার মানুষগুলোর মতো জীবন-যাপন করতে হতো তার। যাবেদের চড় গুলোতে তেমন কিছু মনে করে না সে। যাবেদ বড্ড বদরাগী তবে তাবিবের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাবিবকে আগেই বলে নিয়েছে যাবেদ। যখন ইচ্ছা চড় দিবে সে এতে মন খারাপ করে থাকতে পারবে না। যদিও প্রথম প্রথম তাবিব কিছুটা মন খারাপ করত তবে এখন যাবেদের চড় না খেলে বড্ড মিস করে। যেনো কোনো একবেলার খাবার সে খায়নি। ছাদ যুক্ত দোতলা একটি বাড়িতে বসবাস করে দু’জন। তিনটি রুম অবস্থিত দোতলায়। দুটি বেড রুম আরেকটি গেস্ট রুম। নিচ তালায় বিশাল এক ড্রয়িং রুম এবং একটি কিচেন রুম এবং দুটি ওয়াশরুম। তবে যাবেদের রুমের সাথে সুন্দর করে বানানো হয়েছে একটি সুন্দর ব্যালকনি। তার রুমেই থাকেন যাবেদ ও তাবিব। রুমের সাথেই এটাচ ওয়াশরুম।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে গলা হাঁকিয়ে বলে উঠলেন যাবেদ;
-“কিরে ঢিলা কোম্পানি! এখনো তৈরি হতে পারিস নি?”
-“হ্যা! আমি প্রস্তুত। কিন্ত”
-“যাক সেদিকে বলা লাগবে না। আপনি যে সু – জুতা পড়তে পারেন না সেটা আমিও জানি। এদিকে আসুন!”
জুতো হাতে নিয়ে এগিয়ে এলেন তাবিব। বিছানায় বসে পায়ে জুতো গুলো পরিধান করলেন। অতঃপর তার পাশে বিছানায় বসে উপুড় হয়ে জুতার ফিতা বেঁধে দিলেন যাবেদ। তাবিবকে বড্ড বেশি ভালোবাসেন তিনি। যদিও মাঝে মাঝে দু-চারটে চড় দেয় কিন্তু মন থেকে ভালোবাসে ঠিক ছোটো ভাইর মতো। হয়ত তার চাইতেও অধিক।
-“এবার সম্পুর্ন প্রস্তুত। ড্রয়িং রুমে গিয়ে টেবিলের উপর ব্রেডটা গরম করবি আর জেলি দিয়ে প্রস্তুত করে রাখ। আমি আসছি তৈরি হয়ে।”
-“আচ্ছা! আমি নিচে গেলাম তাড়াতাড়ি আসিস।”
-“তাড়াতাড়িই আসব। আমি কি তোর মতো ঢিলা কোম্পানি না কি রে।”
আর কোনো জবাব না দিয়ে রুম ত্যাগ করলেন তাবিব। ব্লু জিন্স প্যান্ট সেই সাথে ব্ল্যাক শার্ট পরিধান করেছেন যাবেদ। কোনো অংশেই বলিউডের সালমান খাঁন, আমির খাঁন অথবা শারুখ খাঁন হতে কম নয়। সেই সাথে নিজের নামের পরেও খাঁন রয়েছে। বাম হাতে রোল – এক্স ঘড়িটা ঝুলিয়ে চুলগুলো হাত দ্বারা হাল্কা করে কম্পোজ করে নিলেন তিনি। fog বডি স্প্রে মেখে নিলেন শরীরে অতঃপর রুম ত্যাগ করলেন যাবেদ। ড্রয়িং রুমে অবস্থান নিতেই দেখতে পেলেন তিনি খাওয়ায় মশগুল আছেন। ব্রেড প্রস্তুত করে প্লেটে সাজিয়ে রেখে দিয়েছে তার জন্য।
অপর দিকে তাবিব কোনো অংশে কম নয়। হোয়াইট শার্ট সেই সাথে কালো প্যান্ট এবং সেই সাথে ইন করা। এবং নজর কাড়া চেহারা। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে পাজারু গাড়ীটিতে চড়ে ছুটতে লাগলেন অফিসের উদ্দেশ্য করে। ৭ মিনিট অতিবাহিত হতেই অফিসের দারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হলেন তারা দু’জন। হেঁটে চলতে লাগলেন অফিসের ভেতরে প্রবেশের উদ্দেশ্য করে। অফিসের ভেতরে পা রাখতেই মায়াবী কণ্ঠে আওয়াজ ভেসে এলো,
-“তোমরা এসে গেছ? তোমাদের অপেক্ষাতেই ছিলাম।”
মায়াবী কণ্ঠের উৎস খুঁজতে সামনের দিকে তাকালেন যাবেদ ও তাবিব। রুমের মধ্যস্থানে একটি বড় টেবিল। টেবিলের একপ্রান্তে দু’টি চেয়ার যেদিকে দাঁড়িয়ে আছেন যাবেদ ও তাবিব। চেয়ারগুলো বেশ দামি ও মোলায়েম বলা যায়। টেবিলের অপরপ্রান্তে একটি চেয়ার। যেখানে বসে আছেন বেশ সুন্দরী নারী। গোলগাল চেহারা। টানাটানা হরিণি চোখ। দুধে-আলতা ফর্সা ত্বক। দেহের গড়ন ও বেশ। পরিধান করে আছে একটি সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট।
সামনে থাকা চেয়ারগুলোতে বসে গেলেন তারা দু’জন। সুদর্শন নারীর প্রশ্নের জবাবে বলল তাবিব;
-“জ্বী ম্যাম! আমরা উপস্থিত হয়ে গেছি।”
কথায় বিঘ্ন ঘটিয়ে প্রশ্ন করলো যাবেদ;
-“হঠাৎ আমাকে ডাকার কারণ কি? আজকাল আমাকে বেশ মনে পড়ছে মনে হয়।”
-“তা বটে। ডাকার কারণ শহরে ভয়ানক মার্ডারার হয়েছে। আর কেস হ্যাণ্ডেলের দায়িত্ব আমার উপর হস্তান্তর করা হয়েছে।”
চলবে