খুন,পর্বঃ- ০৬
ক্রাইম থ্রিলার
যাবেদ খাঁন আবু বকর
পায়ের কাছে পরে আছে ক্ষত-বিক্ষত দু’টি যুবকের লাশ। পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে সেই সাথে কলিজা,কিডনি ও ইত্যাদি বেরিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মেঝেতে। বুকের বা দিকটা বিশাল এক গর্ত হয়ে আছে। তবে ভেতরে হৃদপিণ্ড নেই তা ভেতরে গর্ত দেখলেই বুঝা যায়। নিম্নাঙ্গ ও অণ্ডকোষগুলো দেখলে চেনার উপায় নেই। রক্তে লাল হয়ে আছে মেঝে। দু’টো মানুষের দেহের রক্তে ভারী হয়ে গেছে মেঝেতে থাকা রক্তের আস্তরণ। বেশ সময় অতিবাহিত হওয়ার ফলে ইতিমধ্যেই জমাট বেঁধে গেছে রক্তগুলো। চেয়ারে বেঁধে রাখা যুবকটি ভয়ের দাপটের ফলে হাত-পা ছুটোছুটি করতে লাগলেন। কিন্তু ফলাফল শূণ্য বলা যায়। চিৎকার করতে চেয়েও চিৎকার করতে পারছেন না। কারণ দু’দিন যাবত কিছুই যে খাওয়া হয়নি তাদের। গলাটা শুকিয়ে কাট হয়ে আছে। যার ফলে চিৎকার করার মতোও শক্তিটাও পাচ্ছে না। বারবার চোখ দিয়ে অশ্রু নির্গত হয়ে যাবার ফলে কান্না করতে চেষ্টা করলেও চোখ দিয়ে অশ্রুপাত হচ্ছে না।
বুট জুতার ঠকঠক আওয়াজের ধ্বনি তুলে যুবকটির দিকে হেঁটে আসছেন হুডি পরিধেয় অজ্ঞাত লোকটি। অজ্ঞাত লোকটির এগিয়ে আসা দেখে যুবকটি ভয়ে জীর্ণশীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাত-পায়ের ছুটোছুটি অধিকতর পরিমাণে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু অত্যাধিক শক্ত করে পোক্ত রশি দিয়ে বেঁধে রাখার ফলে কোনো লাভ হচ্ছে। একটি হাত প্যান্টের পকেটে অপর হাতে ধারালো চকচকে ছুরিটি নিয়ে এগিয়ে আসছেন যুবকটির কাছে। তবে হাতে থাকা ছুরিটি স্বাভাবিক অবস্থায় নয় ছুরিটি হাতের তালুতে ঘোরাতে ঘোরাতে এগিয়ে আসছেন তিনি। যুবকটি তার হেঁটে আসার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ইতিমধ্যেই ছুটাছুটিও বন্ধ করে দিয়েছে। হয়তো নিজ মৃত্যু এগিয়ে আসছে তা দেখতে পাচ্ছে। আর তা দেখে হাত-পায়ের শিরা-উপশিরায় রক্তেরচাপ প্রয়োগের বল কমে গেছে। যার ফলে যুবকটির হাত-পা নাড়াতে অধিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে চেহারায় প্রতিক্ষণে ক্ষণে মাফ চাওয়ার ভঙ্গিমা তুলছে। মায়াবী চেহারায় ভাবখানা ফুটে উঠেছে আকুতি মিনতির ছাপ। কিন্তু যার কাছে উপস্থাপন করছে আবেগ তার কাছে যে এ-তো আবেগের সময় নেই। আর এই আবেগ দিয়ে তার এই পাষাণ্ড মন গলানো যাবে না সেটা হয়তো এখনো বুঝে উঠতে পারেনি।
এতটা ভয়ংকর ভাবে যেই ব্যক্তি কারো উপর মৃত্যুর অত্যাচারের তাণ্ডব চালাতে পারে তার কাছে আবেগ নামক বস্তুটা খেলনার চাইতেও অধিকতর দুর্বল বস্তু। যুবকটি ছলছল মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হুডি পরিধেয় লোকটির চেহারার দিকে। কিন্তু আফসোস কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না কেবল অন্ধকারাচ্ছন্ন বাদে। হুডির নিচে কারো চেহারা এইরূপ ভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে তা কল্পনাটাও করতে পারেনি যুবক। ছুরির হাতলটি শক্ত করে ধরে উপর দিকে উঠালেন অজ্ঞাত লোকটি। মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা একটি চোখে আঘাত হানলেন। ছুরি দিয়ে সরাসরি ডান চোখে আঘাত করলেন। চারদিকে ছিটকে গেল তরল রক্ত যার সাথে মিশে আছে চোখের ভেতরে থাকা বহু কোষ।
যুবকটি ব্যথায় ছটফট করতে লাগলো কিন্তু সেদিকে নজর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন না তিনি। পুনোরায় একটি ছটকা টান দিয়ে বের করে আনলেন ছুরিটি। ডান চোকটা বড্ড ভয়ানক দেখাচ্ছে। চোখের পাপড়ি নেই। সেই সাথে চোখের স্থানের হয়ে আছে বড় একটি গর্ত। এবং উপরে থাকা চোখের পাতাটিও ছুরির আঘাতে কেটে গেছে। যার ফলে এতটা ভয়ানক দেখা যাচ্ছে চোখ। আর তার থেকে ঝরে পরছে অঝোর ধারায় পতিত হওয়া রক্ত ধারা। পুনরায় শক্ত করে ছুরিটি শক্ত করে ধরলেন অজ্ঞাত লোকটি। উপর দিকে উঁচু করে আঘাত করলেন বাম চোখে। তরল রক্তগুলো চারদিকে ছিটকে গেল ছুরির আঘাতে। হুডি পরিধেয় অজ্ঞাত লোকটির শরীরেও কিছুটা রক্তের ছিটা এসে লেগেছে। পুনরায় একটি টান দিয়ে বের করে আনলেন ছুরিটি। দু’টি চোখের কোঠরে চোখের বদলে দেখা যাচ্ছে দু’টি সরু গর্ত।
চোখ থেকে রক্তগুলো গাল বেয়ে – বেয়ে ফোটায় ফোটায় নিচের দিকে পতিত হচ্ছে যুবকের। যুবকের মায়াময় চেহারা এখন আর নেই। দুর্বল চিত্তের মানুষ এরূপ অবস্থায় যুবককে দেখলে সেখানে হার্টেটাকে মারা যেতে পারেন। যুবকের আগের মায়াময় চেহারার স্মৃতি মনে করে অজ্ঞাত লোকটির মনে কিছুটা মায়া এলো। ঠিক করলেন তেমন কঠিন ভাবে মৃত্যু দিবেন না তাকে। যুবকটি দ্বিতীয় চোখে আঘাত পাওয়ার সাথে সাথেই কাঁপতে লাগলো তার দেহটি। তাই সেই ভাবে চিন্তা করেই যুবকটির গলায় ছুরি ধরলেন। অতঃপর ছুরিটি শক্ত করে ধরে গলায় রেখে একটি টান দিলেন তিনি। কণ্ঠনালি,খাদ্যনালি ও শ্বাসনালি কেটে দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। গলগল করে রক্ত ঝরতে লাগলো উক্ত স্থান থেকে। তরল রক্তের স্রোতের ফলে যুবকটির সমস্ত শরীর ভিজে যেতে লাগলো। যুবকটির দেহ কয়েকটি কাঁপ দিয়ে সম্পূর্ণ নিস্তেজ হয়ে গেল। এখন আর বিন্দু পরিমাণ নড়ছে না। হঠাৎ করে অজ্ঞাত লোকটি যুবকটির পরিহিত শার্টের কলার আঁকড়ে ধরল। অতঃপর অজ্ঞাত লোকটি এক টান দিতেই শার্টটির সমস্থ বোতাম ছিঁড়ে গেল। শার্টের বোতামগুলো ছিঁড়ে যেতেই বেরিয়ে এলো যুবকের নগ্ন বুক।
ছুরির মাথাটি খুব সূক্ষ্ম ভাবে ধরে অতঃপর ছুরির মাথা দিয়ে বুকের উপর কিছু একটা লিখতে লাগলো। লেখা শেষ হয়ে যেতেই হাতের তালুতে ছুরিটি ঘোরাতে ঘোরাতে ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে রুম ত্যাগ করলেন তিনি।
কিছু সময় বাদেই বাড়ি ত্যাগ করে হাঁটতে লাগলেন নির্জন রাস্তার সোডিয়াম লাইটের আলোতে। রাস্তায় কেবল তার পথ চলার ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। রাস্তায় চলার ফলে পিচের সাথে বুট জুতার সংঘর্ষ হয়ে তৈরি হওয়া ঠকঠক আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তার পথ সে চলতে লাগলো চার দিক দেখার প্রয়োজন বোধ করছেন না। অদূরে কিছু কুকুরের চাপা কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে কেবল। কিছুদূর এগিয়ে যেতেই গতদিনের আজ-ও তার দেহ কালো অন্ধকারে আচ্ছাদিত হয়ে গেল। রাস্তায় পড়ে রইলো কেবল সোডিয়াম লাইটের আলো।
আজ খুব ভোরে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়েছেন যাবেদ। অবশ্য একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখার ফলেই এতটা তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙেছে। সকালের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয়। তবে সকালে বেশ সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখেছেন তার প্রেয়সী অলিনকে নিয়ে। ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে রুমের সাথে তৈরি বেলকনিতে এসে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় উপভোগ করতে লাগলেন। সূর্যোদয় উপভোগটি কেমন যেনো পানসে পানসে মনে হচ্ছে তার। হ্যাঁ এসময় যদি তার পাশে তার প্রেয়সী অলিন থাকতো আর তার ঘাড়ে মাথা রেখে সূর্যোদয় উপভোগ করতেন তবে অনুভূতিটি মন্দ হতো না। তবে এসময়ে যেহেতু তার প্রেয়সী তার পাশে নেই। তবে গরম ধোঁয়া ওড়ানো ব্ল্যাক কফি পানের সাথে সূর্যোদয় উপভোগ করাটা একেবারেই মন্দ হবে না। বেশি না ভেবে দ্রুত পায়ে হেঁটে বেলকনি ত্যাগ করলেন তিনি। নিচ তলায় নেমে এসে টেবিলের উপরে থাকা ইলেক্ট্রিক কেটলিটি হাতে নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে টেবিলের উপরে সুন্দর করে বসিয়ে রাখলেন। অতঃপর বৈদ্যুতিক বোর্ডে সংযুক্ত করে দিলেন ক্লিপ। অতঃপর অফ হয়ে থাকা সুইচটি চাপ দিয়ে অন করে দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিছু সময় অতিবাহিত হতেই পানি ফুটে গটগট আওয়াজ তুলতে লাগলো কেটলিটির ভেতরে।
একটি কফির পাত্রে এক প্যাকেট কফি ঢেলে সাথে গরম পানিগুলো ঢেলে দিলেন। অতঃপর সকল উপাদান মিশ্রিত করে তৈরি করে ফেললেন ব্ল্যাক কফি। অতঃপর কফির পাত্রটি হাতে নিয়ে দ্রুত গতিতে উপর তলায় উঠে গেলেন। পুনরায় বেলকনিতে রাখা সোফায় বসে গেলেন। গরম ধোঁয়া ওঠা কফি হাতে নিয়ে প্রতি চুমুকে সূর্যোদয় উপভোগ করতে লাগলেন। তাবিব এখনো বিছানায় ঘুমাচ্ছে। হঠাৎ চেহারায় গম্ভীর ভাব ফুটিয়ে কি যেনো ভাবতে লাগলেন তিনি। হঠাৎ কোথা হতে একটি গুলি এসে তার পাশে থাকা ফুলগাছ রাখার পাত্রে লেগে যায়। অল্পের জন্য গুলির আঘাতের হাত থেকে বেঁচে গেলেন তিনি। পায়ের তলায় কিছু একটি বিঁধেছে অনুভব হওয়ার ফলে নিচু হয়ে দেখছিলেন। যার ফলে তার মাথার উপর দিয়ে গুলিটি চলে যায়। আর অল্পের জন্যে বেঁচে যান তিনি।
হঠাৎ এমন আচমকা আক্রমণে কিছুই বুঝতে পারলেন না তিনি তবে বেশ অবাক হয়ে যান। তড়িঘড়ি করে রুমে প্রবেশ করলেন তিনি। গতকাল অলিন তাকে একটি রিভলবার গিফট করেছিলেন আত্মরক্ষার জন্য। তা নেওয়ার জন্যই দ্রুত পায়ে ব্যালকনি ত্যাগ করে রুমে প্রবেশ করলেন। রুমে প্রবেশ করতেই লক্ষ্য করলেন সজাগ হয়ে আছেন তাবিব। তবে রুমের ভেতরে যাবেদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। তবে নজর এড়ালো না যাবেদের। বালিশের নিচ থেকে রিভলবারটি বের করে হাতে নিয়ে তাবিবের দিকে তাক করলেন।
রাগী কণ্ঠে তাবিবের উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন যাবেদ;
-“আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে তোর হাত রয়েছে। বাহ তোর জন্য হাত তালি দেওয়া হোক। আর তোর এতো সেরা পারফরম্যান্সের জন্য আমি অস্কার আবেদন করবো।”
হকচকিয়ে উঠে তোতলানোর স্বরে বলতে লাগলেন তাবিব;
-“কি বলছিস তুই? আমি কেন তোকে মারার ষড়যন্ত্র করতে যাবো।”
-“তুই নিজেকে কি ভাবিস? এই জগৎের সবচেয়ে বুদ্ধিমান? গতকাল আমি আর অলিন যখন নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম তখনও পিঁছু করছিলি তুই। এবং প্রতিটি স্থানে তুই আমাদের পিঁছু করেছিলি। আজ সকাল ভোরে যখন ঘুম ভেঙে যায়। সময় দেখার জন্য আমার ফোনটা হাতের নাগালে পাচ্ছিলাম না তাই বাধ্য হয়ে তোর ফোনটি হাতে নিলাম। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষম খেলাম যখন তোর ফোনের স্ক্রিনে একটি মেসেজ নোটিফিকেশন দেখতে পেলাম। মেসেজটি ছিলো আমেরিকার নাম্বার থেকে। আর যাতে লেখা ছিলো “আজ সকালেই এট্যাক করব।” বেশ কৌতুহল হলো দেখার জন্য। লক খুলে ভেতরের মেসেজগুলো পড়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তোকে কাছে টেনে ভাইয়ের মর্যাদা দেওয়াটাই ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।”
যাবেদের কথা শেষ হতেই পেছনের পকেট থেকে রিভলবার বের করে যাবেদের দিকে তাক করলেন তাবিব। ট্রিগারে হাতের আঙুল রেখে বলতে লাগলেন তিনি;
-“বাহ। তোকে বুদ্ধিমান বলা যায়। আর কতকাল ছেড়ে যাব। যে মেয়েটিকে আমি ভালোবাসি সে মেয়েটি যদি আমাকে ভালো না বাসে আর আমারই কাছের কাউকে ভালোবাসে এর চাইতে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি আর নেই। যাই-হোক মৃত্যুর পূর্বে সকল কিছুই জেনে গেলি। এবার হয়তো মরেও শান্তি পাবি। গুডবাই।”
দু’জন দু’জনের দিকে বন্দুক তাক করে আছে। একে অপরকে নিশানা করতে ব্যস্ত। দু’জনের হাতের আঙুল ট্রিগারের উপর। ট্রিগারের উপর একটি চাপ প্রয়োগ করতেই যে কারো মৃত্যু ঘটতে পারে। রুমের মাঝে কেবল একটি “টং” করে শব্দ হলো। দু’জন এক সঙ্গে ট্রিগার চালানোর ফলে একটি শব্দ উৎপন্ন হয়েছে। যাবেদ তার লক্ষ্য তাবিবের কপাল নিশানা করে ট্রিগার চাপ দিলেন। অব্যর্থ নিশানা বলা যায়। গুলিটি সোজা আঘাত হানে তাবিবের কপালের মধ্যভাগে। কিন্তু তার কপালে বন্দুকের গুলি আঘাত হানার পূর্বেই যাবেদকে লক্ষ্য করে ট্রিগার চাপ দেন তাবিব। নিশানা তার যাবেদের হৃদপিণ্ড বরাবর। ডান দিকে আর কোনো যায়গা অবশিষ্ট না থাকার ফলে হিতাহিত জ্ঞান ক্ষুন্ন হয়ে বাম দিকে সরে যান যাবেদ। কিন্তু ব্যর্থ হয়না তাবিবের চালানো গুলি। তবে হৃদপিণ্ডে গুলিটি আঘাত হানতে না পারলেও ডান বুকটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে যাবেদের। ইতিমধ্যেই তাবিব শেষ নিশ্বাস গুনছে। হয়তো এতক্ষণে তার আর এ ভুবনে থাকা হলোনা তা নিয়ে ভেবে চলেছেন। ডান বুকে গুলিবিদ্ধ হবার পরেও সজ্ঞানে দাঁড়িয়ে ছিলেন যাবেদ। কিন্তু হঠাৎ করেই পেছন দিক থেকে থাই গ্লাস ভেদ করে দু’টি গুলি এসে আঘাত করে তার পিঠের উপর। পরপর দু’টি গুলি এক সাথে কয়েক সেন্টিমিটার ব্যাস দূরত্ব রেখে গুলি দু’টি আঘাত হানে যাবেদের পিঠে।
ঝংকার দিয়ে উঠল যাবেদের দেহ। অতঃপর ধীরে ধীরে ঢলে পড়তে লাগলেন মেঝেতে। রুমের দুই কর্নারে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে দু’জন। দু’দিকেই রক্তে তলিয়ে যাচ্ছে মেঝে। নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে যাবেদের। দু-চারটে কাঁপুনি দিয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে তার দেহ। ইতিমধ্যেই শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কেবল হৃদপিণ্ডে শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্য চলছে। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে তার। ধীরে ধীরে চোখ বুজে আসতে চাইছে। হয়তো এই চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়াই হবে শেষ বন্ধ। চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে শ্বাস-প্রশ্বাস। আর কোনো দিন দেখা হবে না তার প্রেয়সীর সাথে। মায়াবী,রাগী চেহারা আর কখনো দেখার সুযোগ হবে না। নিস্তেজ হয়ে গেছে যাবেদের দেহটি। চলছে না হৃদপিণ্ডে কোনো হার্টবিট। চিরদিনের জন্য এ ভুবন থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
,
,
,
—- ” ক্রাইম থ্রিলার ” —-
—- ” খুন ” —-
—- ” যাবেদ খাঁন আবু বকর ” —-
চলবে
কে খুন করল যাবেদ কে? আর কি জন্য করলো খুন? যাবেদকে কোথা থেকে মেরেছে গুলিটি? পরবর্তীতে কি হবে? মাথা কতটা গুলিয়েছে আপনার?