–আচ্ছা ভাইয়া ঠোঁটে চুমু খেলে নাকি এক ধরণের মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়, এটা কি সত্যি.?
সকালবেলা নাস্তা খাওয়া শেষ করে তামিম রুমে এসে বিছানায় বসে বসে ফেসবুকিং করছিলো, ঠিক তখনই নীলা রুমের মধ্যে ঢুকে তার কাছে এসে কথাটা বললো।। নীলার কথাটা শুনে তামিম অনেকটাই চমকে উঠলো, আর মোবাইলটা রেখে নীলার দিকে তাকালো।। সে দেখলো নীলা উত্তরের আশায় তার দিকে তাকিয়ে আছে।। ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া এই টুকু পিচ্চি মেয়ের মুখে এমন কথা শুনলে যে কেউ-ই চমকে উঠবে, এটা স্বাভাবিক।। নীলার প্রশ্নের জবাবে তার এখন কি বলা উচিত সে যেন বুঝে উঠতে পারছে না।। এদিকে নীলা তামিমকে চুপ করে থাকতে দেখে আবার বলে উঠলো…
নীলাঃ কি হলো ভাইয়া চুপ করে আছ কেন.? বল না ঠোঁটে চুমু খেলে কি সত্যি এক ধরণের মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়.? আচ্ছা ঠোঁটের মধ্যে এমন কি আছে যার কারণে ঠোঁটে চুমু খেলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়.?
তামিমঃ এই তোকে এইসব কে বলেছে যে ঠোঁটে চুমু খেলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়.? (অনেকটা রাগী গলায়)
নীলাঃ আমার বান্ধবী মিতু বলেছে।। এবার বল সত্যিই কি ঠোঁটে চুমু খেলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়.?
তামিমঃ মিতু বলেছে.! মিতু ও তো তোর মতোই একটা পুচকি।। ওই পুচকি মেয়েটা কীভাবে এইসব জানে.?
নীলাঃ তার মানে মিতু যা বলেছে তা সত্যি.! আর আমায় একদম পুচকি বলবে না বলে দিলাম।। আমি কিন্তু এইবার ক্লাস সেভেনে উঠেছি হু (নাক ফুলিয়ে)।।
তামিমঃ পুচকি কে পুচকি বলবো না তো কি বলবো শুনি.? এবার আর ঘ্যানঘ্যান না করে আমার রুম থেকে বের হ তো।।
নীলাঃ কিহহ আমি ঘ্যানঘ্যান করছি হে.? তোমাকে তো আমি (না নিলা তোকে এখন রেগে গেলে হবে না।। যা জানার জন্য এসেছিস আগে সেটা জেনে নে তারপর যা করার করিস)।।
তামিমঃ আমাকে কি হে.?
নীলাঃ না কিছু না, আমার লক্ষি ভাইয়া প্লিজ বল না মিতু যা বলেছে তা কি সত্যি.?
তামিমঃ বুঝতে পেরেছে নিলা এতো সহজে তার রুম ছাড়বে না।। আচ্ছা মিতু যে তোকে এই কথাটা বললো সে কীভাবে এইসব জানে.?
নীলাঃ কারণ মিতু ওর বয়ফ্রেন্ডের ঠোঁটে প্রতিদিনই চুমু খায়।।
তামিমঃ নীলার কথা শুনে তো অবাক, মেয়েটা বলে কি.! ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া মেয়েটারও নাকি বয়ফ্রেন্ড আছে.! ও মোর খোদা জীবনে কি করলাম আমি.? সেভেনে পড়ুয়া মেয়েটারও বয়ফ্রেন্ড আছে আর আমার নাকি একটা মেয়ে বন্ধুও নেই?।। থাকবে কি করে আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের সাথে তো আমি ভালো করে কথাই বলিনি?।। কুত্তা দেখলে যেমন বুক ধুক ধুক করে তেমনি মেয়েদের সাথে কথা বললেও বুক ধুক ধুক করে, মানে হার্টবিট বেড়ে যায়।।
নীলাঃ কি হলো ভাইয়া কি ভাবছ.? বল না ঠোঁটে চুমু খেলে কি
তামিমঃ দেখ নিলু (তামিম তাকে প্রায়ই নিলু বলে ডাকে) এখন কিন্তু আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।। তুই যদি আর একবার এই বিষয়ে আমায় কিছু জিজ্ঞেস করেছিস তাহলে কিন্তু আমি চাচ্চুর কাছে তোর নামে বিচার দিব বলে দিলাম? (অনেকটা রাগী গলায়)।।
নীলাঃ কি এমন বললাম যে তুমি আব্বুর কাছে আমার নামে বিচার দিবে বলছ।। শুধু একটা কথাই তো জানতে চাচ্ছি (ঠোঁট উলটিয়ে বললো)।।
তামিমঃ জানা লাগবে না তোর এইসব, যা এখন রুম থেকে বের হ নাহলে কিন্তু আমি এক্ষুণি চাচ্চুর কাছে গিয়ে তোর নামে বিচার দিব।।
নীলাঃ এমন করছ কেন বললে কি হয়?.?
তামিমঃ বুঝেছি তুই এইভাবে মানবি না দ্বারা আমি এক্ষুণি চাচ্চুর কাছে গিয়ে
নীলাঃ এই না না লক্ষি ভাইয়া আমার এমন কর না প্লিজ।। এই যে আমি তোমার রুম থেকে চলে যাচ্ছি (বলেই নীলা তামিমের রুম থেকে বেরিয়ে গেল)।।
তামিমের রুম থেকে বেরিয়ে এসে নীলা মনে মনে বললো, ঠোঁটে চুমু খেলে যে এক ধরণের মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায় এটা সত্য কি মিথ্যা আমি জেনেই ছাড়বো।। কিন্তু কার থেকে জানবো.? যাই গিয়ে মিতুকে একটা কল দিয়ে জিজ্ঞেস করি এই ব্যাপারে।। তারপর নীলা সেখান থেকে নিজের রুমে চলে আসলো।।
এদিকে নীলা চলে যাওয়ার পর তামিম বসে বসে ভাবতে লাগলো, নীলাকে তো রুম থেকে কোনোরকমে ভাগিয়ে দিলাম, কিন্তু নীলার মতো জেদি মেয়ে এতো সহজে শান্ত হবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সে তার লক্ষে পৌছাবে।। মানে ঠোঁটে চুমু খেলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায় এটা সত্য কি মিথ্যা না জানা পর্যন্ত নীলা থামবে না।। নীলা যদি এই কথা বাড়ির কাউকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে তাহলে কি হবে.? তখন বাড়ির লোকেরাই বা কি বলবে.? দুর যা করার করুক সে আমার কি।।
তামিম আর কিছু না ভেবে আবার ফেসবুকিং করতে লাগলো।।
এতক্ষণ ধরে তাদের কথাই শুনে গেলেন কিন্তু এখনো কারও পরিচয় জানা হলো না।। চলেন তাহলে তাদের পরিচয় জেনে আসি ?
(তামিম হলো এই গল্পের নায়ক।। সে এইবার মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে উঠেছে।। তামিম তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান।। আর তার সাথে এতক্ষণ যে মেয়েটা কথা বললো তার নাম তো আপনারা জানেনই।। মেয়েটার নাম নীলা (গল্পের নাইকা)।। নীলা এইবার ক্লাস সেভেনে উঠেছে।। পড়াশোনায় নীলা অনেক ভালো, ছোট থেকেই নীলা সবসময় ক্লাসে ১ম হয়ে এসেছে।। কিন্তু নীলার বাহিরের দুনিয়া সম্পর্কে তেমন কিছু জানা নেই।। কারণ নীলার মা-বাবা সবসময় তাকে চোখে চোখে রেখে এসেছেন, কখনো কোনো খারাপ বন্ধুদের সাথে তাকে মিশতে দেননি।। নীলাও তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান।। তামিমের বাবা (রফিক আহমেদ) আর নীলার বাবা (শফিক আহমেদ) তারা দুই ভাই।। তা ছাড়া তাদের এক বোনও আছে যিনি সবার বড় (তিনি পরিবার নিয়ে আমেরিকায় থাকেন)।। তামিমের বাবা মেঝ আর নীলার বাবা ছোট।। তাদের দুই ভাইয়েরই নিজেদের কোম্পানি আছে।। তাদের বাবা মরার আগে তাদের সন্তানদের বলে গেছিলেন যে, তারা যেন কখনো আলাদা না হয়, সবসময় যেন একসাথে থাকে।। তারা ছোট থাকতেই তাদের মা মারা যান।। তারপর থেকে তারা তাদের বাবার কাছেই বড় হোন।। বাবার প্রতি তাদের অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা ছিল বিধায় তারা তাদের বাবার কথা অনুযায়ী আলাদা না হয়ে একসাথে থাকছে।। তা ছাড়া তাদের স্ত্রীরাও অনেক ভালো।। সবাই একে অন্যের সাথে মিলেমিশেই থাকে, কেউ কখনো কারও সাথে ঝগড়া করেনা)।।
অনেক তো কথা হলো এবার গল্পে আসা যাক…
এদিকে নীলা তার রুমে গিয়ে মিতুর আম্মুর কাছে ফোন দিল।। কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর মিতুর আম্মু ফোন রিছিভ করলেন।।
নীলাঃ আন্টি মিতু কোথায়.?
–ও তো ওর রুমেই আছে কেন.?
নীলাঃ না মানে ওর সাথে একটু কথা ছিল, আন্টি ওকে একটু ফোনটা দিবেন প্লিজ।।
–আচ্ছা দাড়াও দিচ্ছি।।
তারপর মিতুর আম্মু মিতুকে ডেকে বললেন নীলা ফোন করেছে তোর সাথে নাকি কথা বলবে।। মিতুও তার আম্মুর কথা শুনে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে এসে তার মায়ের হাত থেকে ফোনটা নিয়ে আবার দৌড়ে রুমে চলে আসলো।।
মিতুঃ হে জানু বল
নীলাঃ এই তুই যে বললি ঠোঁটে চুমু খেলে এক ধরণের মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়, আমি এই কথা তামিম ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এটা সত্যি কি না।। কিন্তু উনি আমার কথা শুনে অনেক রেগে যান আর বলেন এইসব যদি আর কখনো বলি তো উনি আমার আব্বুর কাছে আমার নামে বিচার দিবেন।। আচ্ছা উনি আমার এই কথা শুনে এতো রেগে গেলেন কেন.?
মিতুঃ ওরে গাধী তুই কেন উনাকে এইসব জিজ্ঞেস করতে গেলি।। আর উনি কি জানতে চাননি যে তুই এইসব কোথা থেকে শুনেছিস.?
নীলাঃ হুম ভাইয়া জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি এইসব কোথা থেকে শুনেছি।।
মিতুঃ তা তুই উনাকে কি বললি.?
নীলাঃ বলেছি তুই বলেছিস।।
মিতুঃ কিহ এইটা বলেছিস.! আমি যে প্রতিদিন রাফির (মিতুর বয়ফ্রেন্ড) ঠোঁটে চুমু খাই এটাও উনাকে বলেছিস নাকি.?
নীলাঃ হুম
মিতুঃ এই তুই উনাকে এইসব বলতে গেলি কেন.? এখন উনি আমাকে দেখলে কি না কি ভাববেন।। তুই কাল স্কুলে আয় তোকে আমি মেরে ভর্তা বানাবো।।
নীলাঃ কেন আমি কি করলাম.? আর আমি উনাকে খারাপ কিছু বলেছি নাকি.? আর তুইও উনার মতো আমার উপর রেগে যাচ্ছিস কেন.?
মিতুঃ তুই কাল স্কুলে আয় তখন সব বলবো, এখন ফোন রাখলাম রাফি মেসেজ দিয়েছে “টুট টুট” (কথাটা বলেই মিতু ফোন কেটে দিল)।।
নীলাও হতাশ মনে ফোনটা রেখে দিয়ে পড়ার টেবিলে গিয়ে বসে একটা গল্পের বই নিয়ে পড়তে লাগলো।।
এইভাবেই দিনটা কেটে গেল~
পরেরদিন সকালবেলা নীলা নাস্তা করেই তার স্কুলে চলে আসলো।। স্কুলে এসেই সে মিতুকে খুজতে লাগলো আর একসময় পেয়েও গেল।। মিতু রাফির সাথে স্কুলের পিছনে বসে বসে গল্প করছে।। নীলা মিতুকে ডাক দিল কিন্তু মিতু আসলো না।। নীলা আর ওকে ডাকলো না, সে সোজা ক্লাসে চলে আসলো।। কারণ নীলা জানে মিতু রাফির সাথে থাকলে অন্য কারও সাথে কথা বলেনা।। রাফিও মিতুর সাথেই ক্লাস সেভেনে পড়ে।।
নীলা ক্লাসে এসে একা একা বসে আছে কিন্তু মিতু আসছে না।। অনেক্ষণ বসে থাকার পর মিতু ক্লাসে আসলো কিন্তু ততক্ষণে স্যারও ক্লাসে চলে আসলেন।। মিতু গিয়ে নীলার পাশে বসে পরলো কিন্তু তাদের মধ্যে কথা হলো না।। কারণ ক্লাসে স্যার থাকাকালীন কথা বলা যাবে না।।
স্যার ক্লাস শুরু করলেন, দেখতে দেখতে ১ম ক্লাস শেষ হয়ে গেল।। স্যার চলে যাওয়ার পর আরেক স্যার ক্লাসে আসলেন আর সবাইকে পড়াতে লাগলেন।। এইভাবে একে একে ৪টা ক্লাস করিয়ে ওইদিনের মতো স্কুল ছুটি দিয়ে দিল।। কারণ আজ বৃহস্পতিবার, আজ ৪টার বেশি ক্লাস হবে না।।
স্কুল থেকে বেরিয়ে এসে নীলা মিতুকে বললো…
নীলাঃ গতকাল কি যেন বলতে চাচ্ছিলি বল এবার।।
মিতুঃ কি বলবো আর তুই তামিম ভাইয়ার কাছে বললি কেন যে আমি তোকে এইসব বলেছি.?
নীলাঃ বলেছি তো কি হয়েছে, আমি তো ভাইয়ার কাছে তোর নামে খারাপ কিছু বলি নি।।
মিতুঃ উফফ তোকে আমি, নাহ তোকে কিছু বলেও লাভ নেই তোকে আমি এইসব বুঝাতে পারবো না।।
নীলাঃ আচ্ছা বোঝাতে হবে না, তুই শুধু এটা বল যে তামিম ভাইয়া আমার কথা শুনে রেগে গেলেন কেন.?
মিতুঃ জানি না, আচ্ছা ঠোঁটে চুমু খেলে যে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়, এটা তো আমি তোকে বললামই।। তারপরও তুই কেন এইসব তামিম ভাইয়ার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলি।।
নীলাঃ ঠোঁটের মধ্যে এমন কি আছে যে ঠোঁটে চুমু খেলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায় এটা তো তুই আমাকে বলিস নি।। তাই আমি ভাবলাম ভাইয়াকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করে দেখি উনি কি বলেন।।
মিতুঃ এটা বুঝতে হলে আমার মতো তোকেও কোনো ছেলের ঠোঁটে চুমু খেতে হবে।।
নীলাঃ তাহলে আমিও কাল রাফির ঠোঁটে চুমু খাব।।
মিতুঃ মেরে একদম ভর্তা বানিয়ে ফেলবো যদি আমার কলিজার ঠোঁটে তুই চুমু খাস।।
নীলাঃ তাহলে আমি কার ঠোঁটে চুমু খাব.? আমিও জানতে চাই ঠোঁটের মধ্যে এমন কি আছে যে ঠোঁটে চুমু খেলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়।।
মিতুঃ আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে যেটা করলে তুই সব জানতে পারবি।।
নীলাঃ সত্যি.! কি আইডিয়া দোস্ত তারাতাড়ি বল প্লিজ (অস্থির হয়ে)।।
মিতুঃ তুই তামিম ভাইয়ার ঠোঁটে চুমু খেতে পারবি.? তাহলে তুই এই বিষয়ে সব জানতে পারবি।।
নীলাঃ এটা করলে ভাইয়া যদি আমার উপর রাগ করে আর আব্বুকে সব বলে দেয়.!
মিতুঃ আরে উনি কিছু জানতে পারলে না রাগ করবে আর কিছু বলবে।।
নীলাঃ মানে.?
মিতুঃ মানে হলো তামিম ভাইয়া রাত্রে ঘুমিয়ে গেলে তুই উনার রুমে গিয়ে উনার ঠোঁটে চুমু খাবি তাহলে তো উনি আর এইসবের কিছুই জানবেন না।।
নীলাঃ হে তুই ঠিক বলেছিস, আচ্ছা দোস্ত আজ তাহলে আমি যাই।।
মিতুঃ আচ্ছা আর যেভাবে বলেছি সেভাবে কাজ করিস কিন্তু।।
নীলাঃ আচ্ছা বলে সোজা বাসায় চলে আসলো।।
নীলা বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে একটু ঘুমিয়ে পরলো।। সন্ধ্যাবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসলো।। দেখতে দেখতে রাতের খাওয়ার সময় হলে এলো।। নীলা নিচে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে আবার নিজের রুমে চলে আসলো।। রুমে এসে নীলা ভাবতে লাগলো কীভাবে তামিমের ঠোঁটে চুমু খাবে।।
ঘড়িতে যখন ১২ টা বেজে উঠলো তখনই নীলা তার রুমের দরজা খুলে চুপিচুপি তামিমের রুমে চলে আসলো।। তামিম তার রুমের দরজা সবসময় খুলেই ঘুমায় তাই নীলার রুমে ঢুকতে কোনো অসুবিধা হলো না।। বাড়ির সবাই অনেক আগেই ঘুমিয়ে পরেছে, শুধু ঘুমায়নি নীলা।। নীলার কাজ শেষ হলেই সে ঘুমিয়ে পরবে।।
তামিমের রুমের মধ্যে এক নীল রঙের ড্রিম লাইট জ্বলছে।। নীলা ড্রিম লাইটের আলোর সাহায্যে তামিমের বিছানার কাছে এসে দাড়ালো।। হালকা ড্রিম লাইটের আলোতে তামিমের চেহারাটা অনেক মায়াবী লাগছে।। তামিমের গায়ের রঙ অনেকটাই ফর্সা হওয়াতে হয়তো তার চেহারা এমন দেখাচ্ছে।। নীলা কিছুক্ষণ তামিমের মায়াবী চেহারার দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বিছানায় উঠে তামিমের বুকের উপর উঠে বসলো।। ঘুমের মধ্যে থাকায় তামিমের ঠোঁট জোড়া হালকা ফাঁক হয়ে আছে।। নীলা আর দেড়ি না করে হালকা একটু ঝুকে তার ঠোঁট তামিমের ঠোঁটের মধ্যে ডুবিয়ে দিল।।
তামিমের ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট লাগাতেই নীলার মনের মধ্যে এক ধরণের ভূমিকম্প শুরু হতে লাগলো।। নীলার বুকের কম্পন গুলো আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো।। এক অদ্ভুত অনুভূতির জন্ম নিতে লাগলো নীলার মনে, যা নীলা আগে কখনো অনুভব করেনি।। নীলা এবার আস্তে আস্তে তামিমের ঠোঁটের মধ্যে চুমু খেতে লাগলো।। নীলা যতোই চুমু খাচ্ছে ততই তার মনে এক ধরণের ভালো লাগা কাজ করছে।। কিন্তু হঠাৎ করে এক ঘটনা গঠলো যার জন্য নীলা মোটেও প্রস্তুত ছিল না।।
তামিম হঠাৎ করেই হালকা নড়েচড়ে উঠলো আর নীলাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আর ঘুমের মধ্যেই নীলার ঠোঁটে একটা চুমু খেয়ে বললো…
–ওহ সোনা কোথায় ছিলে তুমি এতক্ষণ.? জান কতক্ষণ ধরে তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর তোমার এখন আসার সময় হলো।। এতক্ষণে যখন এসেই পরেছ তাহলে আর এতো সহজে যেতে দিচ্ছি না তোমায়।। আমার জানপাখিটা, খুব ভালোবাসি তোকে…
.
.
.
.
.
Loading…….
খুব_ভালোবাসি_তোকে পর্বঃ- ১
#লেখকঃ- Tamim
অনেকদিন পর আবার নতুন একটা গল্প নিয়ে আসলাম, জানি না গল্পটা কেমন হয়েছে।। গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই একটা কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন ?