খুব_ভালোবাসি_তোকে পর্বঃ- ২১ (পালিয়ে বিয়ে)

0
1365

খুব_ভালোবাসি_তোকে পর্বঃ- ২১ (পালিয়ে বিয়ে)
#লেখকঃ- Tamim

,,
,,
,,
,,
–তুমি যদি সত্যিই নীলাকে ভালোবেসে থাক তাহলে তুমি নীলাকে নিয়ে পালিয়ে যাও আর কোনো একটা কাজি অফিসে গিয়ে দুজন বিয়ে করে নাও।।

নীলার আম্মুর এমন কথা শুনে তামিম নিজের কানকেই বিশ্বাস করাতে পারছে না যে সে কি শুনেছে।। চাচি আমায় কীভাবে এই কথাটা বলতে পারলেন।। উনাদের ছাড়া আমরা একা একা থাকবো কি করে.? আর নীলুকে নিয়ে পালিয়ে গেলে তো আব্বুর মানসম্মান নষ্ট হয়ে যাবে।। ফুপি আর চাচ্চুর কাছে তো আব্বু ছোট হয়ে যাবেন (তামিম মনে মনে কথাগুলো ভাবছে)।।

নীলার আম্মুঃ কি হলো আব্বু এতো কি ভাবছ.? আমার কথাটা কি তুমি রাখবে না.?

তামিমঃ চাচি এইসব আপনি কি বলছেন আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।।

নীলার আম্মুঃ না বোঝার মতো তো কিছু বলি নি আব্বু, শুধু বলেছি তুমি যদি সত্যিই নীলাকে ভালোবেসে থাক তাহলে নীলাকে নিয়ে এক্ষুণি কোথাও পালিয়ে যাও, আর একটা কাজি অফিসে গিয়ে দুজন বিয়ে করে নাও।।

তামিমঃ আপনি কি আমার সাথে মজা করছেন চাচি.? একটু আগেই তো আপনি (তামিমকে থামিয়ে)

নীলার আম্মুঃ ওইসময় মজা করছিলাম কিন্তু এখন আমি মজা করছি না।। কারণ আমি জানি যে তোমরা একে অপরকে ভালোবাস।। আর প্রতিটা মা-বাবাই চায় তার মেয়ে যেন জীবনে সুখী হয়, আমিও চাই কিন্তু তোমার চাচ্চু তোমার ফুপির কথায় বাধ্য হয়ে রাফির সাথে নীলার বিয়ে দিতে চাচ্ছেন।। রাফির সাথে নীলা সুখী থাকবে না, সুখী থাকবে তোমার সাথে।। তাই আমি তোমায় নীলাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলছি।।

তামিম তো তার চাচির কথা শুনে অবাক।। সে মনে মনে ভাবতে লাগলো, চাচি কীভাবে জানলেন যে আমি আর নীলা একে অপরকে ভালোবাসি.? তামিমের মাথায় যেন এই প্রশ্নের উত্তরটা কিছুতেই ঢুকছে না।।

নীলার আম্মুঃ তোমরা যে একে অপরকে ভালোবাস এটা আমি জানলাম কি করে তা শুনে অবাক হচ্ছ তাইনা.? এই বিষয়টা আমি জেনেছিলাম ৫ বছর আগেই।। কীভাবে শুন তাহলে…
তোমার কি মনে হয় তোমার আব্বু তোমাকে শুধু পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন.? না উনি তোমাকে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় পাঠান নি।। উনি তোমাকে নীলার থেকে দূরে রাখার জন্যই আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন।।

তামিমঃ চাচি এইসব আপনি কি বলছেন আব্বু কেন আমাকে নীলার থেকে দূরে রাখবেন.?

নীলার আম্মুঃ আগে আমার পুরো কথা শুন তারপর বুঝতে পারবে।। তোমাকে যেদিন আমেরিকার ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয় সেদিন রাতে তোমার আব্বু আর আম্মু একে অপরের সাথে তোমায় নিয়ে কথা বলছিলেন।। তখন আমি তাদের রুমের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম, আর ভিতরে তোমার নিয়ে কথা শুনে আমি দাঁড়িয়ে পরলাম তারা কি বলে শোনার জন্য।। তোমার আম্মু তোমার আব্বুকে জিজ্ঞেস করলেন উনি কেন হঠাৎ করে তোমায় আমেরিকায় পাঠালেন।। তোমার আম্মুর জবাবে তখন তোমার আব্বু যা বললেন তা শুনে সেদিন আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছিলাম।। কারণ তোমার আব্বু বললেন উনি নাকি একদিন অফিসের একটা কাজে যাওয়ার সময় তোমাকে আর নীলাকে রাস্তার মধ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে থাকা অবস্থায় দেখেছিলেন।। এই দৃশ্যটা দেখে তোমার আব্বু ভেবে নিলেন যে তোমাদের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।। তোমার আব্বু চান না নিজেদের মধ্যে এইসব প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক হোক, তাই তিনি সেদিনই তোমার ফুপির সাথে কথা বলে তোমাকে আমেরিকায় পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন।।

নীলার আম্মুর কথাগুলো শুনে তামিম এবার আরও অবাক হয়ে যায়।। তামিম ভাবতে থাকে সে কবে নীলাকে রাস্তার মধ্যে জড়িয়ে ধরেছিল আর তার আব্বু ই বা কবে তাদেরকে ওই অবস্থায় দেখলেন।। কিছুক্ষণ ভাবার পর হঠাৎ তামিমের মনে পরলো ৫ বছর আগের ঘটনা।। একদিন সে কলেজ শেষে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল আর ওইসময় পাশের রাস্তায় কিছু ছেলে মিলে নীলাকে টিজ করছিল।। এরপর নীলা তামিমকে পাশের রাস্তায় দেখে দৌড়ে গিয়ে তামিমকে জড়িয়ে ধরে, তখন হয়তো তার আব্বু কোথাও যাচ্ছিলেন আর তাদেরকে ওই অবস্থায় দেখে ফেলেন।।

তামিমঃ কিন্তু চাচি বিশ্বাস করেন তখন আমার আর নীলার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।। ওইসময় নীলাকে কিছু ছেলে মিলে টিজ করছিল আর নীলা তাদের হাত থেকে বাঁচতে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে।। তবে তখন আমি নীলাকে মনে মনে ভালোবাসতাম (নিচু গলায়)।।

নীলার আম্মুঃ তো এখন ভালোবাস না.?

তামিমঃ হ্যাঁ বাসি তো।।

নীলার আম্মুঃ তাহলে নীলাকে নিয়ে এক্ষুণি পালিয়ে যাও নাহলে সকাল হলেই রাফির সাথে নীলার বিয়ে হয়ে যাবে।। এরপর তুমি নীলাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলবে।।

তামিমঃ কিন্তু চাচি আমি যদি নীলুকে নিয়ে পালিয়ে যাই তো এতে আব্বু তো ফুপি আর চাচ্চুর কাছে ছোট হয়ে যাবেন।। বিয়েতে যারা আসবে তারা যদি জানতে পারে আমি নীলাকে নিয়ে পালিয়ে গেছি তাহলে তাদের কাছেও তো আব্বু ছোট হয়ে যাবেন।।

নীলার আম্মুঃ তার মানে তুমি তোমার আব্বুর সম্মান বাঁচাতে তোমার ভালোবাসাকে কুরবানি দিয়ে দিবে.?

তামিমঃ নিশ্চুপ।।

নীলার আম্মুঃ চুপ করে থাকলে হবে না যা করার এক্ষুণি করতে হবে।। হয় তোমার আব্বুকে গিয়ে বল যে তুমি আর নীলা একে অপরকে ভালোবাস আর নাহয় নীলাকে নিয়ে এক্ষুণি পালিয়ে যাও।। তোমার আব্বুকে গিয়ে নীলার কথা বলতে পারবে.?

তামিমঃ বললেও তো আব্বু আমাদের মেনে নিবেন না কারণ নীলুর বিয়ে অলরেডি রাফি ভাইয়ার সাথে ঠিক হয়ে গেছে।।

নীলার আম্মুঃ তাহলে এখন তোমার কাছে ২টা রাস্তা আছে।।
১, নীলাকে নিয়ে এইখান থেকে পালিয়ে যাওয়া।।
২, নিজের আব্বুর সম্মান রক্ষা করার ইচ্ছা থাকলে নিজের ভালোবাসার কুরবানি দিয়ে দেওয়া।।
বল এখন তুমি কি করবে.?

তামিমঃ নিশ্চুপ (মনে মনে ভাবছে কি করবে)।।

নীলার আম্মুঃ আরে যেই বাবা তার ছেলেকে তার ভালোবাসার কাছ থেকে দূরে রাখার জন্য বাহিরের দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে সেই বাবার সম্মান রক্ষা করবে কি না ভাবছ তুমি.? ওকে তাহলে তুমি তাই কর, নিজের ভালোবাসার কুরবানি দিয়ে দাও।। আমি গেলাম সকালে আবার তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে (বলেই উনি রুম থেকে বেরিয়ে যেতে লাগলেন)।।

তামিমঃ কিন্তু এতো রাতে নীলুকে নিয়ে আমি কোথায় যাব.? এখন তো রাস্তায় কোনো গাড়িও পাব না।।

নীলার আম্মুঃ গাড়ি আগে থেকেই নিচে রেডি করে রাখা হয়েছে তোমাদের জন্য।।

তামিমঃ মানে.!

নীলার আম্মুঃ বারান্দায় গিয়ে একবার বাড়ির গেইটের বাহিরে তাকাও তাহলে সব বুঝতে পারবে।।

তামিম আর কিছু না বলে তার বারান্দায় গিয়ে বাড়ির গেইটের বাহিরে তাকালো আর ভুত দেখার মতো চমকে উঠলো।। কারণ গেইটের বাহিরে তার সকল বন্ধুরা একটা গাড়িতে বসে আছে।। তামিমকে তারা বারান্দায় দেখেই হাত দিয়ে ইশারায় হাই বললো।। তামিম এবার বারান্দা থেকে আবার রুমে এসে তার চাচির সামনে দাড়ালো আর বললো…

তামিমঃ চাচি বাহিরে আমার বন্ধুরা (তামিমকে থামিয়ে)

নীলার আম্মুঃ ওদেরকে আমিই এখানে আসতে বলেছি।।

তামিমঃ আপনি বলেছেন.! কিন্তু কেন, আর আপনি ওদের সাথে যোগাযোগ করলেন কীভাবে.? (অনেকটাই অবাক হয়ে)

নীলার আম্মুঃ গতকাল সন্ধ্যার সময় নাকি তোমার এক বন্ধু আমাদের বাসার নিচ দিয়ে কোথায় যাচ্ছিল আর তখনই সে দেখলো বাড়িটা বিয়ের সাজে সাজানো।। এরপর সে তার বাসায় গিয়ে তোমার ফোনে কল দেয়।। তখন আমি তোমার সাথে কিছু কথা বলার জন্য তোমার রুমে এসেছিলাম।। তোমার রুমে এসে দেখি তুমি রুমে নেই আর তোমার ফোনটা বাজছে।। তাই আমি তোমার ফোনটা নিয়ে কল রিছিভ করলাম।। এরপর তোমার ওই বন্ধু জিজ্ঞেস করলো আমাদের বাসাটা বিয়ের সাজে সাজানো কেন।। তখন আমি তাকে নিজের পরিচয় দিয়ে তার সাথে কথা বলতে লাগলাম।। এরপর আমি আর তোমার বন্ধু মিলে এই প্লেন করলাম যে আজ রাতে যে করেই হোক তোমাদেরকে পালাতে হেল্প করবো।। আর তাই ওরা একটা গাড়ি নিয়ে এসেছে তোমাদেরকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।।

তামিমঃ কিন্তু আমরা পালিয়ে যাব কোথায়.? আর যেখানেই যাই না কেন সেখানে গিয়ে খাব কি, পরব কি.?

নীলার আম্মুঃ এই নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না, আমি এর ব্যাবস্থা অনেক আগেই করে রেখেছি (বলেই উনার শাড়ির আঁচলের ভিতর থেকে একটা টাকার বান্ডিল বের করে তামিমের হাতে দিলেন)।। এই নাও এইখানে ২০ হাজার টাকা রয়েছে, এইগুলা তোমার কাছে রাখ প্রযোজনে কাজে লাগবে।।

তামিমঃ কিন্তু চাচি এতো টাকা

নীলার আম্মুঃ রাখতে বলছি না তোমায় (রাগী শুরে)।।

তামিমঃ আচ্ছা বলে টাকাটা পকেটে ঢুকিয়ে নিল।।

নীলার আম্মুঃ তোমরা একটু দাড়াও আমি এক্ষুণি আসছি (বলেই উনি রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন)।।

কিছুক্ষণ পর নীলার আম্মু আবার তামিমের রুমে এসে ঢুকলেন, এক হাতে বোরকা আর অন্য হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে।।

নীলার আম্মুঃ নীলা এই বোরকাটা পরে নে মা, আর এই ব্যাগে তোমার আর নীলার কয়েকটা কাপড় আছে।।

তামিমঃ আমার কাপড় আপনি কোথায় পেলেন.?

নীলার আম্মুঃ তোমার আলমারি থেকে নিয়েছিলাম।।

তারপর নীলা তার আম্মুর থেকে বোরকাটা নিয়ে পরে নিল।। এরপর তার আম্মু তাদেরকে উনার সাথে আসতে বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।। তামিম আর নীলাও উনার পিছনে পিছনে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো।। নীলার আম্মু তাদেরকে নিয়ে বাসার বড় দরজার কাছে এসে দাড়ালেন আর আস্তে আস্তে দরজাটা খুলে তাদেরকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন।। এরপর তিনি বাসার গেইটটা খুলে তাদেরকে নিয়ে রাস্তার কাছে চলে আসলেন।।

নীলার আম্মুঃ যাও আব্বু নীলাকে নিয়ে কোথাও পালিয়ে যাও।। আর হে যেখানেই যাও সেখান থেকে আর ফিরে এস না তাড়াতাড়ি।। বাসার সবাই যদি তোমাদেরকে মেনে নেয় তাহলেই তোমরা আবার বাসায় ফিরবে, তার আগে নয়।। আর আমার মেয়েটাকে কোনো কষ্ট দিও না প্লিজ, তোমাকে আমি নিজের ছেলের মতো ভাবি তাই তোমার সাথে আমার মেয়েটাকে তুলে দিলাম (বলেই উনি নীলার হাত তামিমের হাতে ধরিয়ে দিলেন)।।

তামিমঃ আপনি কোনো চিন্তা করবেন না চাচি, কথা দিচ্ছি আমি নীলুকে কখনো কষ্ট দিব না।।

এরই মধ্যে নীলা হঠাৎ করে তার আম্মুকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে দিল।। তার আম্মুও তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলেন আর নীলার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে নীলাকে শান্তনা দিতে লাগলেন।।

নীলার আম্মুঃ কাদিস না মা, কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস।। যা এবার গাড়িতে গিয়ে উঠে বস।।

এরপর অনেক কষ্টে উনি নীলাকে গাড়িতে ঢুকিয়ে দিলেন আর তামিমকেও গাড়িতে উঠে বসতে বললেন।। তামিমও এবার গাড়িতে উঠে বসলো আর নীলার আম্মুকে বিদায় জানিয়ে গাড়ির দরজাটা বন্ধ করে তার বন্ধুকে গাড়ি স্টার্ট দিতে বললো।। তামিমের কথায় তার বন্ধু গাড়ি স্টার্ট দিল।। নীলা এবার তামিমকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো কান্না করতে লাগলো।। তামিমও নীলার মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে তার কান্না থামানোর চেষ্টা করছে।।

প্রায় কিছুক্ষণ পর তাদের গাড়ি এসে একটা কাজি অফিসের সামনে থামলো।। এরপর সবাই গাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজি অফিসে গিয়ে ঢুকলো।।

তামিমঃ কিরে এতো রাতে কাজি কীভাবে পেলি.? (শুভর কানে কানে)

শুভঃ আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম।।

তামিমঃ তো বিয়ে করবো যে সাক্ষী পাব কোথায়.?

শুভঃ কেন আমরা এইখানে ৪ জন আছি না।। তোর পক্ষে ২ জন আর ভাবির পক্ষে ২ জন করে সাক্ষী দিব।।

তামিমঃ বিয়েই হলো না আর ভাবি বানিয়ে ফেললি.!

শুভঃ হুম এবার চুপ থাক তো।।

এরপর শুভ গিয়ে কাজিকে বলে বিয়ের কাজ শুরু করতে বললো।। কাজিও শুভর কথায় বিয়ের কাজ শুরু করলো।। এরপর তারা তামিম আর নীলার পক্ষে ২ জন করে সাক্ষী দিয়ে তাদের বিয়েটা সম্পন্ন করে ফেললো।। বিয়ে পড়ানো শেষ হলে তারা আবার গাড়িতে এসে উঠে বসলো।।

তামিমঃ বিয়ে তো করে ফেললাম এবার যাব কোথায়.?

শুভঃ নো চিন্তা তোদের জন্য কক্সবাজারের একটা হোটেলের রুম আজকেই বুকিং করেছি।।

তামিমঃ কিন্তু ওইখানে যাব কীভাবে.?

শুভঃ কেন গাড়ি আছে না গাড়ি দিয়ে তোদেরকে দিয়ে আসবো এতে মিনিমাম ৪ ঘন্টা লাগবে।।

তামিমঃ তাহলে আর বসে আছিস কেন গাড়ি স্টার্ট দে।।

তারপর শুভ আর কথা না বলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।। দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪ ঘন্টা।। এর মধ্যে তারা কক্সবাজারও এসে পরেছে।। এরপর তারা গাড়ি নিয়ে ওই হোটেলে চলে আসলো যেখানে তামিম আর নীলার জন্য রুম বুকিং করা হয়েছে।। হোটেলে এসে হোটেলের স্টাফদের থেকে রুমের চাবি নিয়ে তারা রুম এসে ঢুকলো।। রুমটা তাদের হালকা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।। এরপর শুভ তামিমের হাতে কিছু টাকা দিয়ে বললো, প্রযোজনে খরচ করিস আমরা তাহলে এখন যাই।।

তামিম কিছু বলতে গিয়েও পারলো না তার আগেই তারা সবাই রুম থেকে বেরিয়ে গেল।। এরপর নীলা নিজের বোরকাটা খুলে মাথায় ঘোমটা দিয়ে বিছানায় গিয়ে উঠে বসলো।। তামিম এবার রুমের দরজাটা লাগিয়ে আস্তে আস্তে নীলার সামনে গিয়ে দাড়ালো।। তামিমের এখন কেন জানি অনেক নার্ভাস ফিল হচ্ছে।। তারপরও সে বুকে একটু সাহস নিয়ে নীলার মাথার ঘোমটা তোলার জন্য যেই হাত বাড়াবে তখনই নীলা তামিমকে এমন একটা কথা বললো যা শুনে তামিম অবাক না হয়ে পারলো না।। তামিম কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না যে নীলা তাকে এই কথাটা বলেছে।। নীলার হঠাৎ কি হলো তামিম কিছুই বুঝতে পারলো না।।
.
.
.
.
.
Loading…….

ধামাকাটা কেমন হয়েছে ভাইয়া ও আপুরা.? তামিম আর নীলার বিয়েটা তো হয়েই গেল এবার শুরু হবে গল্পের আসল মজা।। আর ওদের মিল করিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে সবাই কিছু একটা গিফট দিয়ে যান, নাহলে ওদের বিচ্ছেদ করে দিব হু?।। ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আর গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই একটা গঠনমূলক কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন হেপি রিডিং ?

~~ সবাই নিয়মিত নামায কায়েম করবেন আর অন্যদের নামাযের লাভ জানিয়ে দাওয়াত দিবেন প্লিজ ~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here