খুব_ভালোবাসি_তোকে পর্বঃ- ২৪

0
1330

খুব_ভালোবাসি_তোকে পর্বঃ- ২৪
#লেখকঃ- Tamim

,,
,,
,,
,,
তামিম পিছন থেকে নীলাকে জড়িয়ে ধরে তার ঘাড়ে মুখ গুজে দাঁড়িয়ে আছে আর নীলা একদম রোবটের মতো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।। তামিম এবার নীলাকে তার দিকে ঘুরে দাড় করালো আর নীলার কোমড় টেনে তাকে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসলো।। নীলা এবার জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো আর নিজের চোখ বন্ধ করে ফেললো।।

নীলার এমন অবস্থা দেখে তামিমের চোখ পরলো নীলার ঠোঁটের দিকে।। নীলার গোলাপি ঠোঁট জোড়া কাঁপছে সাথে নীলাও।। তামিম এবার আস্তে আস্তে নীলার মুখের কাছে তার মুখ নিয়ে আসলো আর নীলার গালে আলতো করে হাত রেখে নীলার ঠোঁটের মধ্যে তার ঠোঁট ডুবিয়ে দিল।। নীলার ঠোঁটের সাথে তামিমের ঠোঁট এক হতেই নীলা সাথে সাথে তার চোখ মেলে তামিমের দিকে বড় বড় চোখে তাকালো।। তামিম সেদিকে খেয়াল না করে নীলার ঠোঁটের মধ্যে একের পর এক চুমু খেতে শুরু করলো।।

তামিমের ভালোবাসার স্পর্শ পেয়ে নীলাও আস্তে আস্তে তামিমের সাথে রেসপন্স দিতে শুরু করলো।। নীলার রেসপন্স পেয়ে তামিম এবার নীলাকে আরও কাছে টেনে নিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল আর নীলার ঘাড়ে, গলায় পাগলের মতো চুমু খেতে লাগলো।। তামিমের এমন পাগলের মতো আচরণ দেখে নীলা এবার তামিমকে থামানোর চেষ্টা করলো কিন্তু তামিম কিছুতেই থামছে না।। নীলা এবার আর উপায় না পেয়ে তামিমের কানের মধ্যে জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিল।। ব্যস এতেই কাজ হয়ে গেল, কামড় খেয়ে তামিম সাথে সাথে নীলাকে ছেড়ে দিল।।

তামিমঃ এই তোমার কি আজকাল মানুষকে চিমটি দেওয়ার আর কামড়ানোর রোগ হয়েছে নাকি? (কানে হাত দিয়ে)

নীলাঃ মানুষকে চিমটি দেওয়ার আর কামড়ানোর রোগ হবে কেন.?

তামিমঃ তাহলে আমাকে কামড় মারলে কেন.? সেই সকালে একবার পেটে চিমটি মারলে আর এখন কতো সুন্দর একটা মূহুর্তে ছিলাম কিন্তু কানে কামড় মেরে সব শেষ করে দিলে।।

নীলাঃ তা ছাড়া আর কি করবো শুনি.? তুমি যা শুরু করেছ এতে তো (বলেই থেমে গেল)

তামিমঃ থামলে কেন বল, এতে কি.?

নীলাঃ কিছু না, কিন্তু বাসর রাতে আমি তোমায় কি বলেছিলাম মনে নেই.? মনে না থাকলে আবার মনে করিয়ে দেই শুন, “যতদিন পর্যন্ত আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তুমি আমায় ছুঁবে না”।।

তামিমঃ আমরা তো এখন স্বামী-স্ত্রী তাহলে তোমাকে ছোঁয়ার সাথে পরিবারের মানা না মানার কি সম্পর্ক.?

নীলাঃ অনেক কিছু আছে।। যেমন, আমরা যদি মনে করি আমরা এখন স্বামী-স্ত্রী তাই আমাদের যা মন চায় তাই করতে পারবো, এটা কিন্তু ঠিক আবার না ও।। কারণ আমরা কিন্তু পালিয়ে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী হয়েছি, পরিবারের কেউ কিন্তু এখনো জানে না যে আমরা বিয়ে করে ফেলেছি।। কিন্তু তারা যদি একসময় আমাদের খুজে বের করে ফেলে আর জেনে ফেলে যে আমরা বিয়ে করে ফেলেছি তাহলে হয়তো আমাদের উপর তারা একটু রাগ করবে এর বেশি কিছু না।। কিন্তু তারা যদি জানতে না পারে যে আমরা বিয়ে করে ফেলেছি আর তখন যদি আমার পেটে তোমার বেবি আসে তখন তাদেরকে আমরা কি বলবো.? তখন কি আমরা তাদেরকে এটা বিশ্বাস করাতে পারবো যে আমরা বিয়ে করে ফেলেছি আর আমরা স্বামী-স্ত্রী.? তখন তো তারা সবাই ভাববে যে আমরা বিয়ে না করেই ওইসব খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পরেছিলাম যার ফল স্বরূপ এই বাচ্চাটা আমার পেটে এসেছে।। তখন তারা আমাদেরকে যাই বলুক না কেন আমাদের কিছু যায় আসবে না কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ বেবিকে নিয়ে যদি ওরা খারাপ কিছু বলে তখন কি তোমার ভালো লাগবে বল.? এখন বল আমি যে তোমায় বাসর রাতে ওই কথাটা বললাম সেই কথাটা কি তুমি রাখতে পারবে না.? অন্তত আমাদের ভবিষ্যৎ বেবির কথা চিন্তা করে নাহয় আমার কথাটা কি তুমি

তামিমঃ হ্যাঁ আমি তোমার কথাটা রাখবো, আর কারও জন্য নয় আমাদের ভবিষ্যৎ বাবুর জন্য হলেও আমি তোমার ওই কথাটা রাখবো।।

নীলাঃ সত্যি.! সত্যি তুমি আমার ওই কথাটা রাখবে তো.? (খুশি হয়ে)

তামিমঃ হ্যাঁ জানপাখি সত্যি, আমি সত্যি তোমার ওই কথাটা রাখবো কথা দিলাম।। এখন থেকে নিজেকে সবসময় কন্ট্রোল রাখার চেষ্টা করবো।।

নীলাঃ Thank You জানু তুমি অনেক ভালো Love U (বলেই নীলা তামিমকে জড়িয়ে ধরলো)।।

তামিমঃ এখন কিন্তু তুমিই তোমার কথাটা ভঙ করছ।।

নীলাঃ উঁহু করছি না কারণ ওই কথাটা শুধু তোমার জন্য, আমার জন্য নয় বুঝলে.? (তামিমের নাক টেনে)

তামিমঃ তার মানে আমি তোমার সাথে কিছু করতে পারবো না বাট তুমি আমার সাথে যা মন চায় তাই করতে পারবে.?

নীলাঃ হুম অবশ্যই।।

তামিমঃ তুমি আমার সাথে কিছু করলে যে আমিও নিজেকেও কন্ট্রোল করতে পারবো না।।

নীলাঃ হাহা আমি তোমার সাথে কিছুই করবো না।। একবার আমাদের পরিবারের সবাই আমাদের সম্পর্কটা মেনে নেক তারপর যা করার আমিই করবো হু।।

তামিমঃ তাই তা তুমি কি করবে শুনি.?

নীলাঃ এখন বলা যাবে না সময় হোক তখন এমনিতেই দেখতে পাবে।। এখন একটু চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক তো।।

তামিমঃ ওকে দেখা যাবে বাট চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবো কেন.?

নীলাঃ এমনিই, আচ্ছা তুমি আজ গোসল করবে না.?

তামিমঃ উম হ্যাঁ করবো তো।।

নীলাঃ আচ্ছা ঠিক আছে এখন তাহলে তুমি গোসল করতে যাও (বলেই তামিমকে ছেড়ে দিল)।।

তামিমঃ আচ্ছা যাচ্ছি আর নেক্সট টাইম কখনো এইভাবে এইভাবে তোমার ভেজা চুলগুলো খুলে রাখবে না নাহলে আমি আবার নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবো না।।

নীলাঃ তাহলে চুল শুকাব কি করে.?

তামিমঃ চুলে তোয়ালে পেছিয়ে রাখবে তাহলে এমনিতেই শুকিয়ে যাবে।।

নীলাঃ আচ্ছা ঠিক আছে আর এরকম করে রাখবো না নেক্সট টাইম চুলে তোয়ালে পেছিয়েই রাখবো।।

তামিমঃ হুম

নীলাঃ আচ্ছা আজ আমায় কেমন লাগছে বললে না যে।।

তামিমঃ কেমন লাগছে এটা কি আর বলে দিতে হবে, তোমাকে নীল শাড়ি আর ভেজা চুলে দেখেই তো আমার হুশ উড়ে গেছিল তাইতো একটু আগে (বলেই থেমে গেল কারণ তার কথা শুনে নীলা লজ্জায় একেবারে লাল হয়ে যাচ্ছে)।। ওরে আমার লজ্জাবতী বউরে, থাক আর লজ্জা পেতে হবে না তুমি থাক আমি গোসল করে আসি (বলেই তাদের ব্যাগ থেকে তার লুঙ্গি আর তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল)।।

তামিম ওয়াশরুমে ঢোকার পর নীলা আবার আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে তার চুল মুছতে লাগলো।। বেশ কিছুক্ষণ পর তামিম গোসল করে ওয়াশরুম থেকে বের হলো।। এর মধ্যে হোটেলের একজন স্টাফ এসে তাদেরকে দুপুরের খাবার দিয়ে চলে গেছে।। তারপর তামিম কাপড় পরে হাত ধুয়ে এসে নীলাকে নিয়ে খাবার খেতে বসে পরলো।। নীলাকে তামিম নিজের হাতেই খাইয়ে দিচ্ছে আর নীলাও চুপটি মেরে বসে তামিমের হাতে খাবার খেয়ে যাচ্ছে।। নীলাকে খাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তামিমও হালকা খাবার খেয়ে নিল।। দুজনের খাওয়া শেষ হলে কিছুক্ষণ পর হোটেলের একজন স্টাফ এসে তাদের প্লেটটা নিয়ে গেল।। তার দুজনেই বিছানায় শুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিতে লাগলো।।

দুপুরবেলা…

সূর্য প্রায় আরও কিছুক্ষণ পর অস্ত চলে যাবে কারণ সূর্য একেবারে লাল বর্ণ ধারণ করে ফেলেছে।। তামিম আর নীলা হোটেল থেকে বেরিয়েছে প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।। দুজনেই দুজনের হাত ধরে পাশাপাশি হাটছে আর প্রকৃতির দৃশ্যগুলো উপভোগ করছে।। তামিম নীলাকে একটা কালো বোরকা পরিয়ে এনেছে যাতে কেউ নীলাকে চিনতে না পারে।। তামিম চারপাশে তাকিয়ে একটা খালি জায়গা খুজতে লাগলো যেখানে গিয়ে দুজন বসে আরামসে প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে।। কিছুক্ষণ খোজার পর তামিম একপাশে একটা নারিকেল গাছ দেখতে পেল যেখানের পরিবেশটা বেশ ঠান্ডা, আশেপাশে কোনো লোকজন নেই।।

তারপর তামিম নীলাকে নিয়ে প্রথমে একটা ডাব ওয়ালার কাছে গেল আর দুজনের জন্য একটা ডাব কিনে নিয়ে তামিম নীলাকে নিয়ে সেই নারিকেল গাছটার নিচে এসে বসে পরলো।। এরপর তামিম ডাবের মধ্যে এক চুমুক দিয়ে সেটা নীলাকে খেতে দিল।। নীলাও তামিমের খাওয়া ডাবটার মুখে চুমুক দিয়ে হালকা ডাবের পানি খেল।। এইভাবেই দুজনে একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করে ডাবটা খেতে খেতে প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলো।।

–আরে নীলা তুই.! তুই এইখানে কি করছিস.?

হঠাৎ পিছন থেকে কারও এমন কথা শুনে তামিম আর নীলা দুজনেই চমকে উঠলো।। কে এই কথাটা বললো সেই মানুষটাকে দেখার জন্য তামিম আর নীলা দুজনেই পিছনে ফিরে তাকালো আর তাদের সামনে যাকে দেখলো তাকে দেখে নীলার চোখ কপালে উঠে গেল।। এতো বছর পর এইভাবে তার সাথে নীলার দেখা হবে এটা নীলা ভাবতেই পারেনি।।
.
.
.
.
.
Loading…….

কে হতে পারে ওই মানুষটা যাকে দেখে নীলা এতোটা অবাক হলো.?
আজকে একটু পারিবারিক ঝামেলায় ছিলাম তাই গল্পটা বেশি বড় করে লিখতে পারি নি সরি।। ইনশাআল্লাহ আগামী পর্ব বড় করে দিব।।
ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আর গল্পটা কেমন হয়েছে অবশ্যই একটা গঠনমূলক কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন হেপি রিডিং ?

~~ সবাই নিয়মিত নামায কায়েম করবেন আর অন্যদের নামাযের লাভ জানিয়ে দাওয়াত দিবেন প্লিজ ~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here