গল্পঃবর্ষণ_মুখর_দিন,অন্তিম_পর্ব
লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
একটুপরই নিয়াজ বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে।জারা রুমের দরজা চাপিয়ে হাটুতে মুখ গুঁজে কাঁদছে।নিয়াজ জারার সামনে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,এভাবে আর কতক্ষণ কাঁদবে?আমি চলে যাচ্ছি কোথায় আমাকে হাসি মুখে বিদায় দেবে তা না কেঁদে কেটে বিদায় দিচ্ছো।আমি তোমার হাসিমুখ দেখে যেতে চাই।এরকম কান্নামাখা চেহারা দেখলে আমি যেতে পারবোনা।
জারা মাথা তুললো না।সমানে কেঁদেই যাচ্ছে।নিয়াজের যে কষ্ট হচ্ছেনা এমনটা নয়।কষ্ট হলেও পুরুষ মানুষের কাঁদতে নেই।চোখ দুটো জ্বলে উঠছে।চোখের পাতা বন্ধ করে নিজেকে শক্ত করে নিয়ে নিয়াজ বলল,ঠিক আছে তুমি কাঁদো।আমি আর বিদেশে যাবোনা।ধপ করে জারার পাশে বসে পড়তেই জারা মাথা তুলে তাকায়।
দ্রুত চোখের পানি মুছে বলল,আমি আর কাঁদবোনা।আপনি বিদেশে যাওয়া বাদ দিবেননা।তাহলে কোম্পানির অনেক লস হয়ে যাবে।বাবার অনেক ইচ্ছে তার ছোট্ট কোম্পানিটাকে একটু একটু করে বড় করার।এখন যেহেতু এতবড় একটা সুযোগ পেয়েছেন তাহলে আমার জন্য কেনো সব শেষ করবেন?
আমি সত্যিই আর কাঁদবোনা বলতে বলতে আবারও ফুঁপিয়ে উঠে।
নিয়াজ জারার দুগালে হাত রেখে বলল,আবার কান্না করে,হাসো।
জারা জোর করে হাসার চেষ্টা করতেই নিয়াজ বলল,উঁহু!জোর করে হলে হাসার দরকার নাই।আচ্ছা তোমার জন্য আসার সময় বড় টেডি নিয়ে আসবো ওকে?
জারা এবার সত্যিই হেসে দিয়ে বলল,আমি বাচ্চা না যে আমার জন্য টেডি নিয়ে আসবেন।নিয়াজ মিষ্টি হেসে বলল,এখন ঠিক আছে।নিচে সবাই দাঁড়িয়ে আছে বলে নিয়াজ জারার দুগালে চুমু দিয়ে সিঁথিতে একটা চুমু দিলো।চোখের পাতায় চুমু দিতেই জারা আবার ফুঁপিয়ে উঠে নিয়াজকে শক্ত করে চেপে ধরে।নিয়াজ মুখটা ছোট করে বলল,বললামতো এরকম কাঁদলে আমি আর যাবোনা।জারা হেঁচকি তুলে বলল,আমি কি করতাম আমার খালি কান্না পায়।
নিয়াজ মুখ বেঁকিয়ে বলল,এমনিতেও তুমি ছিঁচ কাঁদুনে।জারা চোখ পাকিয়ে বলল,আপনি ছিঁচ কাঁদুনে।
নিয়াজ ভ্রু উঁচিয়ে বলল,আমি কি কিছু হলেই ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে ফেলি?
জারা হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে চোখ মুছে বলল,আর কাঁদবোনা।
নিয়াজ জারার হাত মুঠো করে ধরে রুমের বাইরে নিয়ে আসলো।
মিসেস রেনু ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলেন।জারার বাবা-মা,তুহিনরা সবাই এসেছে।সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিয়াজ বেরিয়ে গেলো।সাথে রাজ আর তুহিন এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাবে।
নিয়াজকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে তুহিন মিমির সাথে দেখা করতে গিয়েছে।মিমির নাকে বারবার মেয়েলি পারফিউমের স্মেল আসছে।তুহিনের শার্ট শুঁকে চেঁচিয়ে বলল,এই তুমি কোন মেয়ের সাথে দেখা করে এসেছো?
তুহিন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।এখন তো মিমি ছাড়া তুহিন অন্যকোনো মেয়ের সাথে কথাই বলেনা।বলতে গেলে মিমি সেই সুযোগটাই দেয়না।তুহিন অবাক হয়ে বলল,মেয়ের সাথে দেখা করেছি মানে?
জারা তুহিনের শার্ট চেপে ধরে বলল,তাহলে তোমার শার্ট থেকে মেয়েলি পারফিউমের স্মেল আসছে কেনো?
তুহিন মাথা ঝুঁকিয়ে নিজের শার্ট থেকে স্মেল নিয়ে বলল,ওহ এটাতো জারার পারফিউম।আসলে আমার পারফিউম শেষতো।ওর রুমে আগের কয়েকটা পারফিউম ছিলো।আমি ভাবলাম অপচয় করে কি লাভ জারাতো এখন জামাইয়ের টাকায় পারফিউম ইউজ করে।আমি নাহয় এগুলো ইউজ করি।তবে যাই বলো স্মেলটা কিন্তু সেই লাগছে।
মিমি কাপালে হাত দিয়ে বলল,শেষমেশ তুমি মেয়েদের পারফিউম ইউজ করো?
তুহিন ক্যাবলার মতো হেসে বলল,সমস্যা নেই বিয়ের পর তুমি থ্রিপিস কিনলে আমি সেটাও ইউজ করবো।আমি আবার চিকন তোমার মতো অতো ভুটকি না।
মিমি ক্ষেপে গিয়ে বলল,আমি ভুটকি?সবাই আমাকে চিকন বলে আর তুমি ভুটকি বলতেছো?তুহিনের পিঠে কয়েক ঘা বসিয়ে মিমি হনহন করে হেটে চলে আসে।
নিয়াজকে ছাড়া জারার দিনগুলো কেমন বিষন্ন কাটে।সারাদিন নিজেকে ভার্সিটি আর অফিসে ব্যস্ত রাখলেও রাতের বেলায় খুব করে মনে পড়ে নিয়াজের কথা।নিয়াজ প্রতিদিন নিয়ম করে তিনবার ফোন করে।ভিডিও কল দিলেই মাঝেমাঝে জারা কেঁদে ওঠে।তখন নিয়াজ লাইন কেটে দিয়ে চুপ করে থাকে।ভালোলাগেনা এরকম কান্না শুনতে।সারাদিন কাজ শেষে ক্লান্তি দূর করতেই ভিডিও কল দেয়।যখন হাসি মুখের বদলে কান্নামাখা মুখ দেখে তখন কি আর ভালো লাগে?
জারা বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামনের একটা বিল্ডিংয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।লাইটের আলোতে দেখা যাচ্ছে সেখানে দুজন দম্পতি খুনসুটি ময় মুহূর্ত কাটাচ্ছে।ওদেরকে চিনে জারা।প্রতিদিন এই সময় তারা বারান্দা বিলাস করে।জারাও এই সময়টা বারান্দায় কাটায় বলে প্রতিদিন ওদেরকে দেখতে পায়।জারার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।নিয়াজের সাথে খুনসুটি ময় মুহূর্ত কাটানোতো দূরে থাক ঠিকমতো কথাও বলতোনা জারা।নিয়াজ যাওয়ার আগেরদিনই যা একটু কাছাকাছি ছিলো দুজনে।
রিংটোন এর আওয়াজে জারা বারান্দার গ্রিল ছেড়ে রুমে আসে।ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই সমস্ত মন খারাপ উবে গিয়ে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠে।নিয়াজ ভিডিও কল দিয়েছে।অনেক্ষণ দুজনে কথা বলে নিয়াজ ফোন রেখে দিয়েছে।
ডিনার করে আসার পর জারার নাম্বারে একটা কল আসে।নাম্বারটা তানিশার ছিলো।জারা কল রিসিভ করে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করার পর তানিশা উত্তর দিয়ে বলল,কালকে দেখা করতে পারবি আমাদের সাথে?
জারা বুঝতে না পেরে বলল,তোদের সাথে মানে?
তানিশা মুচকি হেসে বলল,আমি আর রোহান ঢাকায় আছি।ভাবছি কাল তোর সাথে দেখা করবো।
জারা বলল,বাসায় চলে আয়।
তানিশা বলল,নাহ তুই বরং কাল চলে আসিস রেস্টুরেন্টে।আমি ঠিকানা পাঠিয়ে দেবো।
তানিশা কল কেটে দিয়েছে।জারা ভাবছে কাল তানিশার সাথে দেখ করতে যাবে নিয়াজকে জানাবে?না থাক পরে উনি শুধু শুধু টেনশন করবেন।তারচেয়ে বরং আমি তুহিনকে নিয়ে যাবো।একা যাওয়া ঠিক হবেনা।
পরেরদিন জারা অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে তুহিনকে নিয়ে তানিশার দেওয়া ঠিকনায় চলে যায়।তানিশা আর রোহান আগেই বসা ছিলো।তানিশার সাথে কুশল বিনিময় করে বসে পড়ে জারা।তুহিন রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে রোহানের দিকে।
তানিশা রোহানকে কিছু ইশারা করতেই রোহান নড়েচড়ে বসে।মাথা নিচু করে জারার উদ্দেশ্য বলল,সরি!
জারা অবাক হয়ে বলল,কেনো?
রোহান নিচুস্বরে বলল,আমি তোমার সাথে অনেক মিসবিহেভ করেছি।ক্ষণিকের মোহে পড়ে সত্যিকারের ভালোবাসাকে ভুলতে বসেছিলাম।বাবা মা যখন তোমার ছবি দেখালো আমি জানিনা আমার কি হলো।তোমাকে দেখেই ভালো লেগে গেলো।বাবা মা আমাকে নিজের কোনো পছন্দ আছে কিনা জিজ্ঞেস করতেই আমি তানিশার কথাটা চাপিয়ে গেলাম।মরিচিকার মতো মিথ্যা মোহে ছুটলাম।সব কিছুর জন্য সরি।আমি এখন বুঝতে পেরেছি তানিশা আমাকে কতটা ভালোবাসে।আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি।আমি চেয়েছিলাম আমাদের সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে।
তুহিন দাঁত কিড়মিড় করে বলল,জারা তোর সন্তানের কথা ভেবেই সেদিন আমাকে দমিয়ে রেখেছিলো।নয়তো এতোদিনে মরে ভূত হয়ে থাকতি।জারা তুহিনকে থামিয়ে দিয়ে বলল,আমি চাইবো আপনি আপনার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভবিষ্যতকে সুন্দর করে গড়ে তুলুন।আর আপনি আমার কাছে ক্ষমা চাইছেন কেনো?আপনি ভুল করেছেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করুন।আজ আসি বলে তুহিনকে উঠতে বলে।তানিশা বলল,আমি খাবার অর্ডার করে ফেলেছি খেয়ে তারপর যাবি।জারা মুচকি হেসে বলল,আমি বাসায় না বলেই এসেছি আমাকে ফিরতে হবে।
দেখতে দেখতে দু’মাস কেটে গিয়েছে।নিয়াজের ফিরতে আর মাত্র দুদিন বাকি।জারার ভেতর টানটান উত্তেজনা কাজ করছে।নিয়াজ যে কাজে বিদেশে গিয়েছে সেটাতে সফল হয়েছে।আরো একটু কাজ বাকি আছে বলে জানালো নিয়াজ।তাইতো দুদিন পর ফিরবে।
গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে জারার মনে হলো কেউ ওকে পেঁচিয়ে রেখেছে।চোখ মেলে কিছুই দেখতে পারছেনা কিন্তু ওর পাশে কোনো মানুষ ওকে পেঁচিয়ে শুয়ে আছে সেটা ঠিকই বুঝতে পারছে।ছটপট করে ছুটতে গেলেই পাশে শুয়ে থাকা মানব জারাকে আরো পেঁচিয়ে ধরে।ভয়ে জারার প্রাণ পাখি উড়ে যাওয়ার উপক্রম।পাশে হাতিয়ে ওড়নাটা নিয়ে ওই ব্যাক্তির গলায় পেঁচিয়ে দিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে উঠে লাইট অন করে।জারা থমকে গেছে এরকম দৃশ্য দেখবে ও ভাবেনি।মনে হচ্ছে এটা কেবল স্বপ্ন।
নিয়াজ গলা থেকে ওড়না ছুটিয়ে পাশ থেকে পানি নিয়ে খেয়ে নিলো।বেচারা কাশতে কাশতে শেষ।বউকে সারপ্রাইজ দিতে এসে নিজের গলা নিয়ে মরছে।জারা নিয়াজের পাশে এসে ওকে ছুঁয়ে দেখছে সত্যিই কি নিয়াজ এসেছে নাকি ও স্বপ্ন দেখছে।নিয়াজ জারার হাতে চুমু খেয়ে বলল,আমি সত্যিই এসেছি বউ।চোখ ছোট ছোট করে অসহায় কন্ঠে বলল,কিন্তু তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে দুদিন আগে ফিরেই যে এরকম হবে ভাবিনি।একটু হলেই আমি মার্ডার হয়ে যেতাম।জারা নিয়াজের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেই নিয়াজ তাল সামলাতে না পেরে খাটের সাথে বাড়ি খায়।একহাত দিয়ে মাথা ঘষে আরেকহাতে জারাকে জড়িয়ে ধরে।জারা বলল,আপনি রুমে কিভাবে আসলেন?আমিতো দরজা লক করে রেখেছিলাম।নিয়াজ বলল,বাবা জানতো আমি আসবো বাবাই আমাকে চাবি দিয়ে দিয়েছে।মায়ের সাথে দেখা করে এখানে এসেছি।মা ও প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলো তোমার মতো।জারা চুপ করে নিয়াজের বুকে মুখ গুঁজে আছে।
——————
পাঁচ বছর পর★
জারা রাতের জন্য রান্না শেষ করে রুমে এসেছে।খাটের উপর বাপ বেটার দিকে তাকিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নিচ্ছে।নিয়াজ ছেলেকে কোলে নিয়ে খুনসুটি করছে।নিয়াজ আর জারার ছেলের নাম জাহিয়ান।বয়স মাত্র আট মাস।তাসিন,তুহিন সবাই বিয়ে করে নিয়েছে।তাসিনের একটা তিনবছরের মেয়ে আছে।তুহিন মিমিকে বিয়ে করেছে কয়েকমাস হলো।জাহিয়ান “পাপ্পা” বলে নিয়াজকে ডাকছে।জাহিয়ানের দাঁত উঠতেছে তাই যাকেই সামনে পায় কামড়ে দেয়।কুটুস করে নিয়াজের গালে একটা কামড় বসিয়ে দিলো।জারা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে।নিয়াজ কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল,মা ছেলে মিলে আমাকে কামড়ে শেষ করতেছো তোমরা।ছেলে কামড়াবে গালে,নাকে সেখানে সুযোগ পায় সেখানে আর ছেলের মা আমার হাত আর কান সরকারি পেয়ে কামড়ে যায়।জারা হাসি থামিয়ে বলল,নট সরকারি ওনলি আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি হুহ।
জাহিয়ানকে ঘুম পাড়িয়ে জারা বারান্দায় নিয়াজের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।নিয়াজ জারাকে নিজের সামনে ঘুরিয়ে এনে জারার পিঠের সাথে নিজের বুক ঠেকিয়ে দাঁড়ায়।জারা বলল,চারদিকে শো শো করে ঝড়ো হাওয়া বইছে।মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে।নিয়াজ বলল,তুমি কি জানো আমি তোমাকে প্রথম বৃষ্টির দিনেই দেখেছিলাম।জারা বলল,জানি!সেদিন আমি ঢাকায় ফিরেছি আপনি মাকে আনতে বাসস্ট্যান্ড এ গিয়েছিলে।
উঁহু বলেই নিয়াজ জারাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলো সেই দিনের কাহিনী খুলে বলে।জারা অবাক হয়ে বলে বিয়ের পাঁচ বছর হয়ে এক বাচ্চার মা হয়ে গেলাম আর আপনি আমাকে একথা আজ বলছেন?
নিয়াজ নিশঃব্দে হাসলো।কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,ছাদে যাবে?সেদিনের মতো বর্ষণ তোমাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাবে আমি অপলক তোমায় দেখবো।সেদিন দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো পথ ছিলোনা।কিন্তু আজ কোনো বাঁধা নেই বর্ষণের সাথে আমিও তোমাকে ছুয়ে দেবো।
বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।নিয়াজ জারা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ভিজে চলেছে।জারাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ওর চুলে মুখ গুঁজে দিয়ে নিয়াজ বিড়বিড় করে বলল,ধন্যবাদ বর্ষণ আমার জীবনকে সুন্দরতম করে তোলার জন্য। এই মানুষটাকে আমায় উপহার দেওয়ার জন্য।
আগামী বর্ষণ মুখর দিনগুলোতে ও আমি এই মেয়েটাকে পাশে চাই।
জারা চোখ বন্ধ করে বৃষ্টি আর সাথে প্রিয় মানুষের উষ্ণ ছোঁয়া অনুভব করছে।
সমাপ্ত