গল্পঃ প্রতিশোধ
পর্বঃ ০২
লেখাঃ #Mst_Liza
,
এদিকে ডা.সাহারা এসে মিরার ক্ষত স্থানগুলোতে মেডিসিন লাগিয়ে দিচ্ছে।
,
ডা.সাহারাঃ এত্তো কেয়ার লেস কেন আপনার হাজবেন্ড।ওনার মতোন একজন এতো বড় বিজনেন্সম্যান এমনটা করবে আমি কখনই ভাবতে পারি নি!! নিজের ওয়াইফকে শেষ পর্যন্ত ছিঃ
যেই ঔষুধগুলো দিচ্ছি নিয়মিত ক্ষতস্থানে লাগাবেন।আর এই টেবলেটগুলো খাবেন।আমি এখন আসি।
মিরাঃ ডা. একটা কথা জিজ্ঞাসা করব আপনার কাছে?
ডা.সাহারাঃ হ্যা, বলুন?
মিরাঃ আপনাকে কে এখানে আসতে বলল!
ডা.সাহারাঃ আপনার হাজবেন্ড আমাকে সকালে ফোন করে ছিল।
মিরা মনে মনে ভাবছে নিজেই অত্যাচার করবে আবার নিজেই ডা. কে ফোন করবে।কি চাই ওই লোকটা!আর কেন এমন করছে?বুঝেছি!! আমাকে সারিয়ে তুলে একটু একটু করে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিতে চাই।কিন্তু আমি করেছিটা কি? তাকে ভালোবেসে! তার মিথ্যা অভিনয় বিশ্বাস করে তাকে বিয়ে করেছি এটাই কি আমার দোষ? তাহলে কেন সে আমাকে সুখের স্বপ্ন দেখাতো।এখন তো ভেবেছে আমার সামনেই পরকিয়া করে বেড়াবে আর আমি তাকে বাধা দিব না।না তা আমি হতে দেব না।নস্ট করে দিল লোকটা আমার জীবন।এখন আমিও দেখবো কিভাবে পরকিয়া করে।
,
মিরা আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠার চেস্টা করে রান্নাঘড়ে আসল।বিয়ের পরই সোহাগ মির্জা বাড়ির সবগুলো কাজের লোককে ছুটিটে পাঠিয়ে দিয়েছে।মিরাকেই সব কাজ করতে হয়।এখন যদি দুপুরে রান্না করে না পাঠানো হয় তাহলে তো রাতে এসে আবার বড় কোনও শাস্তি মিরাকে দিয়ে দিবে।এই ভয়ে রান্নাঘড়ে গিয়ে আস্তে আস্তে রান্না করতে থাকে।রান্নার শেষে কেউ একজন আসলে খাবারটা টিফিনে করে পাঠিয়ে দেয়।
,
,
ঘড়ির কাটায় রাত ১টা ছুঁই ছুঁই,
,,
,,
কলিংবেলের আওয়াজে মিরার ঘুম ভেঙে যায়।অসুস্থ শরীরটা নিয়ে দরজাটা খুলতে একটু লেট হয়।দরজা খুলেই দেখে সোহাগ মির্জা একটি মেয়েকে বুকের সাথে মিশিয়ে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে আছে।তাকে দেখেও ছাড়ার নাম নেই।মিরাকে এড়িয়ে বাড়ির ভেতর যেই যেতে যাবে।ঠিক তখনই মিরা মেয়েটার হাত টান দিয়ে তার কাছ থেকে ছাড়িয়ে এক ধাক্কায় নিচে ফেলে দেই।
সোহাগ মির্জাঃ তোর সাহশ তো কম নয়! তোকে তো আমি!
যেই মিরাকে চর দিতে যাবে তখন মিরা নিজের চোখদুটো বন্ধ করে ফেলে।আর সোহাগের চোখের সামনে মিরার শরীরের ক্ষতগুলো ভেসে আসে।কিছু একটা ভেবে মেয়েটাকে উঠিয়ে তার রুমের দিকে যেতে যাবে।মিরা চোখ খুলে পিঁছন থেকে মেয়েটার হাত আবার ধরে।
মিরাঃ দেখুন এই মেয়েটাকে আমি আপনার সাথে কিছুতেই যেতে দেব না!
সোহাগঃ ভালো ভাবে বলছি সরে যা আমাদের রাস্তা থেকে!
মিরাঃ আমি আপনার স্ত্রী! আমি বেচেঁ থাকতে ওই মেয়েকে নিয়ে আপনি আর এক পাও আগাতে পারবেন না।যদি ওই মেয়েটাকে নিয়ে আপনার থাকতেই হয় তাহলে আগে আমাকে মেরে ফেলুন।তাই ওকে নিয়ে আপনার ঘড়ে যান।
সোহাগঃ তোর দেখি আজ আবার স্ত্রী হবার সক যেগেছে! কালকের কথা ভুলে গেলি? ঠিক আছে আজ তাহলে কালকের মতো…
সোহাগ হাতের ইশারাই মেয়েটিকে চলে যেতে বলে।মেয়েটি চলে যায়।তারপর সোহাগ বাকাঁ দৃস্টিতে মিরার দিকে তাকায়।এবার সোহাগ একটু একটু করে মিরার দিকে আগাতে থাকে..সোহাগ যত আগাচ্ছে মিরা ততো পিছাচ্ছে।আস্তে আস্তে মিরা দেয়ালের সাথে গিয়ে বেধেঁ যাই।সোহাগ মিরার দুই হাত শক্ত করে দেয়েলের সাথে চেপে ধরে।সোহাগের নিশ্বাস গিয়ে মিরার মুখে পরছে।মিরা ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেই।
মিরাঃ দেখুন আমাকে ছেড়ে দিন!
সোহাগঃ কেন আমার বউ হবি না?
মিরা দুকরে কেদেঁ উঠল,
মিরাঃ কালরাতে আপনি যেটা করেছেন তারপর আমার পক্ষে আপনাকে স্বামী হিসেবে মেতে নিতেও ঘৃণা হয়।
সোহাগঃ তাহলে মেয়েটাকে তারালি কেন?
মিরাঃ আমি যানি না কেন আমি এমনটা করলাম আমাকে প্লিজ যেতে দিন! আমার সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা করছে আজ আর আমার সাথে কিছু করবেন না প্লিজ!
সোহাগঃ তুই বললেই কি তোর কথা আমি শুনবো নাকি?
মিরাঃ আজকের দিনটা আমাকে আপনি রেহাই দিন। কাল থেকে আপনি যা বলবেন আমি আপনার সব কথা শুনবো।
সোহাগঃ কি শুনবি তুই?
মিরা আর কিছু ভেবে না পেয়ে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার নাটক করে। যেই পরতে যাবে সোহাগ মিরাকে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই।এই মিরা ওঠ! ওঠ বলছি।মিরার কোনও সারা না পেয়ে মিরাকে কোলে করে রুমে নিয়ে বিছানায় গিয়ে শুইয়ে দেয়।
মিরার মুখের দিকে এক মায়া ভরা দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে সোহাগ।আমি যানি না মিরা আমি ঠিক করছি কিনা।কিন্তু তোমাকে যে আমার শাস্তি দেওয়াই লাগবে।প্রতিশোধ নিতে হবে আমাকে! প্রতিশোধ! বলেই সোহাগ মিরা পাশে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পরে।আর মিরা সোহাগের কথাটি শুনে চমকে যাই।চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সোহাগ উল্টোদিকে মুখ করে শুয়ে আছে।মিরা তখন ভাবতে থাকে কোন প্রতিশোধের কথা বলছে সোহাগ?! না আমাকে যানতেই হবে!!
চলবে….
আগের পর্বের লিংক,
https://www.facebook.com/1678619322394086/posts/2426621334260544/?app=fbl