গল্পঃ প্রতিশোধ পর্বঃ ৩৫

0
3972

গল্পঃ প্রতিশোধ
পর্বঃ ৩৫
লেখাঃ #Mst_Liza
,
রুসার সাথে রেস্টুরেন্টে দেখা করতে যাবার কথা আবিরের।রুসা অনেক ক্ষণ আগেই এসে বসে আছে।ফোনটা তখন আবিরের গাড়িতে ফেলে আসার বাহানায় দুজনের আরও একবার দেখা হতে চলেছে।তবে আবির কিন্তু একা আসে নি।সাথে করে মায়া আর ছোট্ট মিরাকেও সাথে করে এনেছে রেস্টুরেন্টে।আবিরের ডাকে রুসা পিছনে ফিরতেই অবাক।সামনে মায়া দাড়ানো আবিরের সাথে।রুসা কি তাহলে ভুল দেখছে নাকি সত্যি এটা মায়া? রুসার মতো মায়ারও একই অবস্থা।মায়া বুঝতে পারছে না কি করবে এখন! পাস থেকে ছোট্ট একটা মেয়ে মায়াকে ডাকে মাম্মাম বলে। রুসা আরও চমকে যায়। রুসা উঠে আস্তে করে মায়ার সামনে এসে দাড়াতেই মায়া থমকে যায়।আর ভাবে রুসা কি বলবে? মায়া কিছু বলে উঠার আগেই রুসা মায়াকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।কোথায় ছিলি এতোদিন তুই? যানিস ভাইয়ের কি হয়েছে? ওই স্নিগ্ধার আসায় তুই আমার ভাইকে ফেলে গিয়েছিলি? তুই যানিস ও কি করেছে?
মায়া রুসাকে সরিয়ে দিয়ে চোখের সামনে নিয়ে জানতে চায় কি হয়েছে উনার?
রুসা কিছু বলতে যাবে তার আগেই ছোট্ট মিরা বাইনা করে বসে মাম্মাম খুধা লাগছে খাব তো।
আবির তো পুরোই শকড।বুঝে উঠতে পারে না তখন কি বলছে মায়া আর রুসা।তবে শুধু ভয় পাচ্ছে এই হয়তো মায়াকে হারিয়ে ফেলবে।
আবির একটু এগিয়ে এসে মায়ার কাছে যানতে চাই তোমরা কি দুজন দুজনকে চেনো?
রুসা নিজের সাথে মায়ার সম্পর্কটার কথা বলে।
তারপর মায়া রুসাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে তুই আমাকে কিছু বলতে যাচ্ছিলি! কি হয়েছে উনার?
তখন রুসা সব খুলে বলে মায়াকে।মাহিরের মানসিক অবস্থার কথা।
মায়া আর এক মুহূর্তও দেরি না করে সব শুনে সেই সময়ই দৌড়ে মির্জা প্যালেসে চলে যায়।
মায়া চলে যাবার পর ছোট্ট মিরা রুসার হাতের আঙুল টেনে ধরে নিচে বসায়।

মিরাঃ কে তুমি?

রুসার ধ্যান এবার মিরার দিকে আসে।

রুসাঃ তুমি কে?

মিরাঃ আগে বল তুমি কে?

আবির মিরাকে নিয়ে টেবিলে বসায়,

আবিরঃ তোমার খুধা লেগেছে না?

মিরাঃ হুমমম বাবাই।পেটের মধ্যে চুচা দৌড়াদৌড়ি করতাছে।

মিরার মুখে আবিরকে বাবাই ডাকটা দিতে শুনে রুসা চমকে যায়।আবিরের দিকে এগিয়ে আসে রুসা।

রুসাঃ আপনি বিবাহিত? আপনার সন্তান আছে?

আবির রুসার দিকে তাকিয়ে রয়।মিরার সামনে কি বলবে বুঝতে পারে না।মিরা আবিরকে টেনে টেবিলে বসায়।রুসাকেও বসতে বলে।

মিরাঃ আরে আন্টি বস না।খেতে হবে তো এখন।
প্রিয় বজ্জাত রিডার্সগন ধইরে বাইন্দে আপনাগে তো গল্প পরানো হইতাছে না।বিহায়ার মতোন পইরা আবার বাজে ভাষায় গালি দিয়া যান।একটা কথা মনে রাইহেন আপনাগে গালি শুনবার লাইগে গল্প লেহি না আমি।ভালো লাগে তাই লেহি।পরলে পরেন না পরলে দূরে যাইয়া মরেন।যত্তসব ফাউল জনগন। আইছে জ্ঞান দিতে।তামাসা করতে। এতোই যহন পারস তাইলে নিজে গল্প লেখ।আমিও দেহি তোগে কতো রিডার্স হয়। আমার গল্প হিন্দি সিরিয়াল, বাংলা সিনেমা, ইংলিশ এ্যাকশন মুভি, উর্দূ ফিল্ম যাই হোক না কেন তোগে কি রে? তোগে লাইগে আমি আমার গল্পের এক বিন্দুও চেন্জ করবো না।দুই একজন যারা পরে তাদের জন্য লিখি আমি।তোরা আমার গল্প থেকে হয় ভদ্রতা স্বাপক্ষে দূরত্ব বজায় রাখ নয়তো চিংড়ি মাছ, শুটকি ভর্তা আর মাছের ঝোল রান্না শেখ, জীবনে কাজে আসবে।

মায়া মির্জা প্যালেসে গিয়ে চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে থাকে, কেউ আছো? মায়ার চিৎকার শুনে সবাই ছুটে আসে।মাহির তো রুমের মধ্যে কাগজ ছিড়ে নৌকা বানাচ্ছিল।হঠাৎ মায়ার আওয়াজে মাহিরের বুকের ভেতরটা নারা দিয়ে ওঠে। মাহির দেখতে চায় কে এসেছে! রুম থেকে বেড়িয়ে মাহির হেলেদুলে হেটে বাইরে আসে।সিঁড়ির উপর থেকে দেখে নিচে মায়াকে সবাই ধরে কান্নাকাটি করছে।মাহির লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়ি থেকে নামতে যায়।আর তাই মাঝ সিঁড়ি থেকে পা পিছলে গড়িয়ে নিচে পরে।মাহিরের চিৎকার শুনে সকলে তাকিয়ে এমন অবস্থা দেখে মাহিরের কাছে ছুটে আসে।সবাই মাহিরকে অনেক ডাকে।মায়াও মাহিরকে অনেক বার উঠতে বলে কিন্তু কোনও সাড়া পাই না।এজন্য মাহিরকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওদিকে স্নিগ্ধার লোকেরা সোহাগকে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করার জন্য অনেক মেরেছে।সোহাগ এখন মিরার কোলে মাথা রেখে কাতরাচ্ছে।

সোহাগ মির্জাঃ পা..পানি। পানি…

মিরা দু’হাত জোড় করে গুন্ডাগুলোর কাছে মিনতি করছে।

মিরাঃ প্লিজ আপনারা এমন করবেন না? যা শাস্তি দেবার আমায় দিন তবুও উনাকে একটু পানি খেতে দিন আপনারা।প্লিজ…

গুন্ডাগুলো মিরার কথা কানেই নিচ্ছে না।বসে বসে তাস খেলছে আর অট্টহাসিতে মেতে আছে।

চলবে……

(প্রিয় পাঠকগন,,এটা ভালোবাসার গল্প নয়।প্রতিশোধের গল্প।একটু শত্রুতা, রহস্য আর অনেকখানি দূরত্ব এই গল্পের মাঝে থাকবেই।তাই যারা এটা বুঝে গল্পটা পরেছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here