গল্পঃ প্রতিশোধ পর্বঃ ৩৬ ও শেষ।

1
5264

গল্পঃ প্রতিশোধ
পর্বঃ ৩৬ ও শেষ।
লেখাঃ #Mst_Liza
,
মিরা অনেক মিনতি করে কিন্তু স্নিগ্ধার পোষা ছেলেগুলো শোনে না।মিরা সোহাগের মাথাটা কোল থেকে নামিয়ে আস্তে করে ছেলেগুলোর কাছে গিয়ে বলে প্লিজ একটু পানি দিন না উনাকে।ছেলেগুলো এক ধাক্কায় মিরাকে ছুড়ে ফেলে দেয়।মিরা উঠে দাড়িয়ে সোহাগের দিকে তাকিয়ে দেখে সোহাগ গোংরানি টানছে।ছেলেগুলো সোহাগকে এমন ভাবে মেরেছে যে সোহাগের উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পর্যন্ত নেই।মিরার সোহাগকে দেখে কস্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।সামনে তাকিয়ে দেখে চেয়ারের উপর একটা গান রাখা।মিরা গানটা হাতে নিয়ে ছেলেগুলোর সামনে ধরে রাখে।ছেলেগুলোকে ভয় পাইয়ে সেই সুযোগে সোহাগকে উঠিয়ে গোডাউনের বাইরে নিয়ে এসে সিটকানিটা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেয় মিরা।

মাহিরকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়।জ্ঞান ফিরলে মাহির সবাইকে চিনতে পারে।মায়াকে চোখের সামনে দেখে অনেক খুশী হয় মাহির।মাহির মায়াকে জড়িয়ে ধরে অনেক কাঁদে। মায়াও কাঁদে আর কথা দেয় কক্ষনো ছেড়ে যাবে না।ভুল বুঝবে না।কস্টও দিবে না।

রেস্টুরেন্টে ছোট্ট মিরা খাওয়ার শেষে মায়াকে খুঁজতে থাকে।আবির আর রুসা মিরাকে নিয়ে মির্জা প্যালেসে যায় সেখানে গিয়ে খবর পায় সবাই হসপিটালে তাই তারা আর দেরি না করে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।হঠাৎ তাদের গাড়ির সামনে মিরা আর সোহাগ চলে আসে। আবির গাড়িতে ব্রেক করে থামিয়ে দেয়।নেমে এসে সরি বলেই সামনে তাকিয়ে দেখে সোহাগ, মিরা।

আবিরঃ একি আংকেল আন্টি আপনারা?

মিরাঃ বাবা আমাদের একটু হাসপিটালে নিয়ে যাবে? উনার অবস্থা খুব খারাপ।দ্রুত হসপিটালে নিতে না পারলে উনাকে আর বাঁচানো যাবে না।

আবিরঃ কিন্তু আপনারা বেঁচে আছেন আর আংকেলের এ অবস্থা…

রুসা গাড়ি থেকে মিরা, সোহাগের মুখটা দেখতে পারে না।আবিরের দেরি হচ্ছে দেখে নেমে এসে চোখের সামনে সোহাগ, মিরাকে দেখে চমকে যায়।আরও বেশি আশ্চর্য হয় সোহাগকে রক্তাক্ত শরীরে মিরার কাঁধে ভর করে দাড়িয়ে দুলতে দেখে।

রুসা গিয়ে সোহাগকে ধরে কান্না জুড়ে দেয়।

রুসাঃ একি মামা,মামি তোমারা বেঁচে আছো? আমার মামার এই অবস্থা কে করল?

মিরাঃ স্নিগ্ধার পোষা গুন্ডারা করেছে বলেই মিরা কেঁদে দেয়।

রুসাঃ প্লিজ আবির আমার মামাকে তারাতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে।

আবিরঃ হ্যা চলুন আন্টি। আমরা হসপিটালেই যাচ্ছিলাম।

২ দিন পর,

সোহাগ এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। মিরা সবাইকে বলে স্নিগ্ধা আর নেহার সরযন্ত্রের কথা।পুলিশ গোডাউনে গিয়ে স্নিগ্ধার গুন্ডাদের থেকে ঠিকানা নিয়ে স্নিগ্ধাও নেহাকে আটক করে।মাহিরকে প্রথম প্রথম ছোট্ট মিরা বাবা হিসেবে মেনে নিতে চাই নি কিন্তু মায়ের কাছে মাহিরের প্রশংসা আর ভালোবাসার কথাগুলো শুনে এখন মেনে নিয়েছে। ছোট্ট মিরা আবিরকে কথা দিয়েছে আগের মতোই ভালোবাসবে আর বাবাই বলেই ডাকবে যদি আবির রুসাকে বিয়ে করে।তাই আজই হসপিটাল থেকে ফেরার সময় কাজি অফিস থেকে রুসা, আবিরের বিয়ে দিয়ে সবাই বের হলো।আর আমার এই সিরিয়াল এখানেই শেষ হলো।

৷৷৷সমাপ্ত।।।

(আসসালামু আলাইকুম,,,প্রিয় পাঠকগন গল্পটা প্রতিশোধের ছিলো। তাই এতো রহস্যময়।আপনারা গল্পটা যারা বোঝেন নি তাদের আমার কিচ্ছু বলার নেই।শুধু বলবো প্রত্যেকটা পর্ব না বুঝে পরলে আপনারা বুঝবেনও না।আগের পর্বে কয়েকটা কড়া কথা বলছিলাম আপনাদের তারও কারণ আছে।গল্পের বিনিময়ে আপনারা তো আমাকে টাকা দেন না।তাহলে গালি কেন দেবেন? আবার অনেকেই আসেন গল্প পরে আমাকে টিপস দিতে।এতোই যখন বোঝেন নিজেরা গল্প লিখেন তখন বুঝবেন রাইটার হওয়ার কত জ্বালা।আপনাদের ছোট ছোট কমেন্ট এতো আঘাত করে যে পরের পর্বগুলোও গুছিয়ে লেখা যায় না।পুরো গল্পটায় এলোমেলো হয়ে যায়।যাই হোক গল্পটা যেমনই হয়েছে এতোদিন পাশে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।আপনারা আমার জন্য দোয়া করেন আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করি। সবাই ভালো থাকেন।সুস্থ থাকেন।আসেপাশের মানুষগুলোকে ভালো রাখেন।শুভকামনা & ভালো কাটুক আপনাদের সময়।আল্লাহ হাফেজ।)

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here