গল্প:মি.ক্ষেত,পর্ব-1
লেখক : Sojib Sen
অন্তরা আজকে যা করলো সেটা কি সত্যিই,আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। বাড়ির আঙ্গিনায় আনমনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসব ভাবছি। হঠাৎ কারও হাতের স্পর্শ পেয়ে শরিল কেমন যেনো শিহরে ওঠল,তখনই পরিচিত কারও কন্ঠ কানে বেশে ওঠে…
–কি ব্যাপার এভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি ভাবা হচ্ছে আমি কি শুনতে পারি।..(পরী)
–তুই,আমি আবার ভাবলাম কে না কে?..(পরী হলো আমার বেষ্টফ্রেন্ড)
–কেনো,কেউ কি আসবে নাকি।..(পরী)
–আরে না,,(সজীব)
–তাহলে..(পরী)
–আসলে একটা বিষয় নিয়ে খুব টেনশনে আছি।..(সজীব)
–আমাকে বল সব টেনশন ধুর করে দিচ্ছি।..(পরী)
–আচ্ছা তোর কি মনে আছে।..(সজীব)
–কি মনে থাকবে,,(পরী)
–প্রথম যেদিন আমরা ইউনিভার্সিটিতে জয়েন্ট হলাম।..(সজীব)
–মনে থাকবে না কেনো,সেদিন একটা ডাইনির সাথে ধাক্কা লাগে আর ঠাস ঠাস করে…(পরী)
–থাম থাম আর বলতে হবে না,,(সজীব)
–আচ্ছা সত্যি করে বলতো তোর কি হয়েছে।..(পরী)
–আসলে কালকে অন্তরা আমাকে প্রপোজ করে,এখন বুঝতেছি না কি করবো।..(সজীব)
–ও ভালো তো। আচ্ছা আসি পরে কথা হবে..(পরী)
–আরে এখন আমি কি করবো সেটা তো বলে যা নাকি।..(সজীব)
–তোর মন যা চাই তাই কর,এখানে আমি কি বলবো…(কষ্ট নিয়ে কথা গুলো বলবে)
তার আগে চলেন আপনাদের মূল বিষয়টা শুনায় আসি।
সকালে ঘুম থেকে ওঠতে একটু লেট হয়ে যায়,মোবাইল এর দিকে তাকিয়ে দেখি পরীর ফোন থেকে আসা পাচঁটি মিসকল,এটা দেখেই তারাতারি করে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করেই তারাহুরা করে যাচ্ছি এমনসময় একজনের সাথে ধাক্কা লেগে যাই!মাথা উচু করে দেখি একটা মেয়ে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে !
–সরি আপু সরি। কথাটা বলার সাথে সাথেই মেয়েটা ঠাস করে আমার গালে থাপ্পর বসিয়ে দিল আমি তো অবাক চারদিকে তাকিয়ে দেখি ভার্সিটির অনেকই আমার দিকে তাকিয়ে আছে সেখানে পরী ও রয়েছে। আমি আবারও সরি বল্লাম..
–ওই ছোট লোকের বাচ্চা চোখে কি দেখতে পাস না নাকি !(মেয়েটি)
–সরি আপু অনেক তারাহুরাই ছিলাম তাই চোখে দেখতে পারি নাই,,এবারের মতো মাফ করে দেন আমার ভুল হয়ে গিয়েছে!(সজীব)
–ভুল হয়েছে না তোদের মতো ছোট লোকের বাচ্চারা আমাদের মতো মেয়ে দেখলেই ধাক্কা মারতে মন চাই না?(মেয়েটি)
–আপনি ভুল বুঝছেন আমি সত্যিই দেখতে পারি নাই!(সজীব)
–এই ক্ষ্যাত ছোট লোকের বাচ্চা আমি ভুল বুঝিছি তাই না।..(মেয়েটি)
–তারপর যা হলো আমিতো ভাবতেও পারিনি,,মেয়েটা সবার সামনে আমাকে আরও অনেক কথা শুনায় । এভাবে দেখতে দেখতে আরও দশদিন চলে যায়।এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি
মনে নাই। সকালে মার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে,,,,
–সজীব ওঠ বাবা কলেজে যাবি না !(মা)
–না মা!(সজীব)
–কেন বাবা?(মা)
–তুমি তো জানো !(সজীব)
–বাবা এইসব কথা ভাবলে চলে না সব ঠিক হয়ে যাবে বাবা তুই কলেজে যা!(মা)
–তারপরে আমি নাস্তা শেষ করে কলেজে যাই কলেজে ঢুকতেই অবাক হয়ে যাই কারন আমার মতো ক্ষ্যাত কে কেও প্রপোজ করে তাও আবার সেই মেয়েটি যার নাম হচ্ছে অন্তরা আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। আমি কিছু বলছি না দেখে অন্তরা বলে ওঠল..
–এই ছেলে কিছু বলছো না কেন ?,,(অন্তরা)
–জি কি বলবো?,,(সজীব)
–এই যে আমি তোমাকে সবার সামনে ভালোবাসি বললাম সেটা তুমিও বলো!(অন্তরা)
–আমি আর কিছু না বলে ওইখান থেকে সোজা রুমে চলে গেলাম..এইছিল আগের ঘটনা।
*এখন কি করবো বুঝতেও পারছি না। ধুর বাল,আমি সাদা সিধে মানুষ এতকিছু ভাবতে পারবো না,যা হবার হবে,কিন্তু মেয়েটা কি সত্যিই আমাকে পছন্দ করে। যেভাবে ভার্সিটির সবার সামনে হাটু গেরে প্রপোজ করল,তা তো মিথ্যা নই,
ভালোবাসে বলেই হয়তো এমন করেছে। আচ্ছা পরী আমার সাথে এমন করল কেনো,হয়তো বাসায় কোনো কাজ আছে,তাই চলে গিয়েছে। এসব ভাবতে ভাবতে রুমে চলে আসলাম !আর অন্যদিকে পরী মন খারাপ করে বসে আছে। পরীকে এইভাবে বসে থাকা দেখে তার মা বললো …
–কিছু হয়েছে কি, এইভাবে মন খারাপ করে বসে আছিস যে,,(মা)
–ক্ষ্যাতটাকে কতবার বললাম বর্তমান যুগে এমন ছেলে নেই বললেই চলে,তার বাবার কি অর্থ সম্পদ কম আছে সে কেন এমন ভাবে চলবে!..(পরী)
–কার কথা বলছিস,,(মা)
–কার কথা আর বলবো,,
আমার হৃদয় জুড়ে তো একজনই সে হলো সজীব ।..(পরী)
–ওতো সেই ছোট বেলাই থেকেই এমন এখন কি ওহ চেন্স হবে।..(মা)
–যেভাবেই হক তোকে আমি চেন্স করবোই,,শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষা,,(পরী)
–তোর যা করতে মন চাই তাই করিস এখন চল,নাস্তা করবি।..(মা)
–হুম চলো..(পরী)
—এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই। সকালে মার ডাকে ঘুম ভাঙ্গল..
–এতক্ষন কেউ ঘুমায়,ওঠ বলছি..(মা)
–মা তুমি তো দেখছি একটু ঘুমাতেও দিবে না.,(সজীব)
–এখন কয়টা বাজে দেখছিস,,(মা)
–কেনো কইটা বাজে..(সজীব)
–10টা বাজে কলেজে যাবি কখন হ্যা..(মা)
–কিহ্হ দশটা বেজে গিয়েছে,,ধুর আরও আগে ডাকবে না। তারাতারি বিছানা থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে। হালকা নাস্তা করে বের হয়ে গেলাম কলেজ এর উদ্দেশ্য কলেজের ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পেলাম অন্তরার সব বন্ধাবিরা হাসতেছে আমার দিকে তাকিয়ে। আমি সোজা ক্লাসে ঢুকতেই দেখতে পেলাম অন্তরা আর তার বান্ধবিরা কি যেনো বলাবলি করছে আমি কিছু না শুনে পরীকে খুজতে লাগলাম,,আর এদিকে অন্তরার বান্ধবিরা বলে..
–তোকে বলে ছিলাম না যে ওই ছেলে তোকে পাত্তা দিবে না!(তুলি)
–আমার নামও অন্তরা তোর সাথে বাজি থাকলো ওই ছেলে কিছুদিন পরে কলেজের সবার সামনে আমাকে প্রপোজ করবে!
–হাহাহাহা তাই নাকি আচ্ছা আমরা সবাই বাজি ধরলাম!(অন্তরার সব বান্ধবী একসাথে বললো)
–কি আপনারা বুঝলেন না তো আচ্ছা চলুন ভালো ভাবে বুজিয়ে বলছি।আমাকে দেখে অন্তরার বান্ধবীরা বললো যে
–তুই যদি সজীবের মুখ থেকে ভালোবাসার কথাটা বলাতে পারিস তাহলে তুই যা চাইবি তাই পাবি! কথাগুলো শুনে অন্তরার রাগ আরও বেরে যায় তখনই অন্তরা দেখতে পেলো সজীব আসছে,,অন্তরা আমার সামনে দারিয়ে আছে আমি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলে অন্তরা হাত ধরে কলেজের মধ্যে নিয়ে এসে সকলের সামনে বলে,,
–সজীব আমি তোমাকে ভালোবাসি…(অন্তরা)
–অন্তরার এই কথা শুনে সবাই অবাক কারন অন্তরা এতো সুন্দরী হয়ে কি না একটা ক্ষ্যাতের সাথে প্রেম করতে চাচ্ছে….
–ওই অন্তরা তুই কি বলছিস তুই কি পাগল হয়েছিস এমন একটা ক্ষ্যাতমার্কা ছেলের সাথে তুই প্রেম করতে চাচ্ছ…
চলবে…..