গল্প : মি.ক্ষেত,পর্ব-2

0
3315

গল্প : মি.ক্ষেত,পর্ব-2
লেখক Sojib Sen

–ওই অন্তরা তুই কি বলছিস তুই কি পাগল হয়েছিস এমন একটা ক্ষ্যাতমার্কা ছেলের সাথে তুই প্রেম করতে চাচ্ছিস (তুলি)
–ঠাস ওই তোর সাহস কি করে হলো আমার বফ কে ক্ষ্যাত বলার !..(অন্তরা)

তারপরে অন্তরা সবাইকে অবাক করে আমাকে সবার সামনে জরিয়ে ধরলো
আমিও অবাক ভাবে অন্তরার দিকে তাকিয়ে আছি !
অন্তরা আমাকে বললো
–তোমার ফোন আছে ?
–হুম বলে আমার বাটুন ফোন বের করলাম,আমার ফোন দেখে আশেপাশে সবাই হাসতে লাগলো ! দেখি পরী মনমরা হয়ে দারিয়ে আছে। অন্তরা রেগে গিয়ে ধমক দিলো সবাইকে ! তারপরে আমার ফোনটা হাতে নিয়ে আমার নাম্বারটা নিলো আর আমাকে নিয়ে চলে গেল আমাকে বাসাই নামিয়ে দিয়ে অন্তরা চলে গেল আর আমার রুমে গিয়ে ভাবতে লাগলাম কি হচ্ছে তার সাথে সত্যিই কি অন্তরা তাকে ভালোবাসে যদি নাই ভাসতো তাহলে সবার সামনে তো জরিয়ে ধরতো না এইসব ভাবতে লাগলাম রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে পড়ার টেবিলে পড়ছিলাম হঠাৎ ফোনটা বেজে ওঠলো আমি দেখলাম যে অন্তরা ফোন দিয়েছে আমি সাথে সাথে ফোন ধরলাম…

–কেমন আছো আমার বাবুটা?(অন্তরা)
–হুম ভালো তুমি কেমন আছো?(সজীব)
–হুম আজ আমি অনেক ভালো কারন কি যানো?(অন্তরা)
–না !কেন?(সজীব)
–কারন তোমার মতো একটা বফ পেয়েছি বলে !(অন্তরা)
–তাই!(সজীব)
–হুম!..(অন্তরা)
অন্যদিকে পরী বারবার ফোন করেও না পেয়ে মন খারাপ করে বসে আছে। এরপরে আরো ২ ঘন্টা কথা বলে ঘুমিয়ে গেল দুজেনেই..সকালে ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা শেষ করে কলেজে চলে গেলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই কলেজে পৌছিয়ে গেলাম। অন্যদিকে পরী কলেজে যায় নি,,এটা আমার খেয়ালই নেই। কলেজে গিয়ে দেখলাম অন্তরা আগে থেকেই বসে আছে তার কাছে গেলাম…

–আমাকে এতো তাড়াতাড়ি ডাকলে কেন>?(সজীব)
–তোমাকে আজ ঘুরতে নিয়ে যাবো তাই !(অন্তরা)
–কিন্তু ক্লাস?(সজীব)
–রাখো তোমার ক্লাস..(অন্তরা)

এইবলে আমার হাত ধরে নিয়ে গেল সারাদিন ঘুরার পরে বিকেলে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে অন্তরা চলে গেল । আমি রুমে গিয়ে সত্যি সত্যি অন্তরা আমাকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে নিলাম এবং রাতে অন্তরাকে ফোন দিতে যাবো তখনই পরীর ফোন থেকে ফোন আসল….

–ফোন দিতে আর সময় পেলি না,
আচ্ছা বল কি জন্য ফোন দিয়েছিস।
কথাগুলো শুনে পরীর অনেক খারাপ লাগলো,
তাও মন হাসি মুখে বললো..(সজীব)
–কোথাও যাবি নাকি যার জন্য এতো তারা..(পরী)
–এতো রাতে কোথায় যাবো,,(সজীব)
–আমি কি কিছু করেছি,এমন ভাবে কথা বলছিস কে,(পরী)
–হুম করেছিস। এইসময় তোর ফোন দেওয়া ঠিক হয়নি,অন্তরা আমার ফোনের অাসায় বসে আছে..(সজীব)
–সেটা আগে বলবি তো নাকি,,তুই অন্তরার সাথে কথা বল আমি পরে তোকে ফোন দিবো নি।..(পরী)
*কথাগুলো বলতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল,কিন্তু কিছু করার নেই,কারণ সব দোষ আমারই ‌কারণ আমি কখনও বলিনি তোকে ভালোবাসি,আমার মনে হয়েছে যদি তুই আমার সাথে আর কথা না বলিস,আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করে দিস তাই আর বলি নাই। কিন্তু এখন তো দেখছি তুই আমার সাথে কথায় বলতে চাস না,আমার কোনো কষ্ট নেই তুই আসবি একদিন আমার কাছে আমি তার অপেক্ষায় থাকবো। আর তোকে ফোন দিবো না।…(ফোন কেটে দিয়ে বল্লাম মনে মনে পরী)

তারপর পরী ফোন কেটে দিলো আর আমি সাথে সাথে অন্তরাকে ফোন দিলাম…
–এতক্ষন তুই কার সাথে কথা বলি হে,আমি তোকে কতবার দিয়েছি তুই জানিস,(অন্তরা)
–স্যরি বাবু,,আর এমন হবে না,,,(সজীব)
–তার আগে বল,কার সাথে কথা বললি তুই,, (অন্তরা)
–পরীর কথা বললে সমস্যা হবে তাই মিথ্যা বলতে হবে(মনে মনে) আমার এক পুরানো বন্ধু ফোন দিয়েছিল তার সাথেই কথা বল্লাম আর কি।..(সজীব)
–মেয়ে নাকি,,,(অন্তরা)
–ধুর কিহ্ বলো,মেয়ে হবে কেনো?(সজীব)
–আচ্ছা যায় হোক আর যেনো এমন হয়,,(অন্তরা)
–আর এমন হবে না।,,(সজীব)
–মনে থাকবে তো,,(অন্তরা)
–হুম একশতবার থাকবে,,(সজীব)
–তাই যেনো হয়।,,(অন্তরা)
–অন্তরা তোমাকে একটা কথা বলবো ?(সজীব)
–আরে বাবা বলো !(অন্তরা)
–আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি!(সজীব)
–তাই নাকি? তাহলে আমার মতো প্রমাণ দিতে পারবে?(অন্তরা)
–কিভাবে?(সজীব)
–কাল কলেজে এসে সবার সামনে আমাকে ভালোবাসো এই কথাটা বলতে পারবে?(অন্তরা)
–কলেজের সবার সামনেই বলতে হবে!(সজীব)
–হুম। যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে কালকে সবার সামনে আমাকে ফুল দিয়ে ভালোবাসি কথাটা বলবে !(অন্তরা)
–আচ্ছা তাই হবে। বলে ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম তার পরের দিন সকালে আমি কলেজে গেলাম আর অন্তরাকে কলেজের মধ্যে নিয়ে গিয়ে সবার সামনে তাকে ভালোবাসি কথাটা বললাম…
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে যেখানে অন্তরা আমাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরবে বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি,,তা না করে উল্টো আমাকে ঠাস ঠাস করে চড় মারলো আমি তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি অন্তরার দিকে তখনই অন্তরা বলে ওঠল….

–কি রে ছোটলোকের বাচ্চা তুই কি করে ভাবলি যে আমি তোর মতো ক্ষ্যাতকে ভালোবাসবো !(অন্তরা)
–কি বলছো তুমি এইসব !(সজীব)
–ঠাস ওই ছোটলোকের বাচ্চা তোর সাহস হয় কি করে আমাকে তুমি করে ডাকার!আপনি করে বল (অন্তরা)

আমি আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে দারিয়ে থাকলাম!আমার চোখ দিয়ে জল বের হতে থাকে! আমি ভাবতেই পারছি না যে অন্তরা আমাকে আবারো এইবাবে অপমান করবে !
–শোন তোর মতো ছোটলোকের বাচ্চাকে শুধু ভিক্কা দেওয়া যাই প্রেম নয়! আর তোর সাথে আমি বাজিতে প্রেম করেছি!(অন্তরা)

আমি আর ওইখানে না দারিয়ে থেকে সোজা চলে আসলাম। বাসায় না গিয়ে একটা দোকান থেকে ইদুর মারার বিষ কিনলাম। এতো অপমান আর সহ্য হচ্ছে না। আমি বেচে থেকে কি করবো পারবো না আমি র্স্মাট ছেলে হতে তাহলে কেন আমার জন্য সবাই আমার বাবা মাকে দোষ দিবে। চাই না আমি বেচে থাকতে (সজীব আবেগে পরে এইসব কথা ভাবে)

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here