গল্প : মি.ক্ষেত,পর্ব-4
লেখক : Sojib Sen
বাসাই গিয়ে কলিং বেল বাজায়ে পরী আমার পেছনে চলে গেল। মা দরজা খুলে দিল..
–কে তুমি,এইখানে কি চাই?(মা)
–মা তুমি আমাকে চিনতে পারছো না আমি সজীব!
–মানে,,সজীবের বাবা এই দিকে আসো তো!(মা)
–কি হয়েছে ?(বাবা)
–দেখো তো চেনতে পারো নাকি বাইরের ছেলেটা কে?(মা)
–তারপর বাবা আমার দিকে তাকিয়ে দেখছে কিছুক্ষন পর বললো !
–এই ছেলে কে তুমি !(বাবা)
–বাবা আমি সজীব!
–কি একদিনেই এত বদল এমনটা কে করলো শুনি ?(বাবা)
–জি আঙ্কেল আমি !(পিছনে থেকে সামনে এসে পরী বললো)
–ওহ তাই বলো !(বাবা)
–আচ্ছা বাইরে দাড়িয়েই কি কথা বলবে ভিতরে তো আসতে দাও!(মা)
–ওহ সরি সরি ভিতরে আসো!(বাবা)
–তারপরে সবাই ভিতরে গেল …
মা খুদা লেগেছে খেতে দাও!(সজীব)
–হুম তোরা সবাই সব আমি দিচ্ছি..(মা)
বলে মা খাবার আনতে রান্না ঘরে চলে গেল। আমরা সবাই খাওয়ার টেবিলে বসে আছি, হঠাৎ পরী বললো,,,
–আঙ্কেল একটা কথা বলতে চাই !(পরী)
–কি কথা ! বলো মা!!(বাবা)
–বলছিলাম কি আঙ্কেল! সজীবকে একটা বাইক কিনে দেন কাল থেকে বাইকে করে কলেজে যাবে!(পরী)
–পরীর কথা শুনে আমার গলাতে ভাত বেধে যাই আমি কাশতে থাকি….
–এই নে জল খেয়ে নে …(মা)
–কি হলো বাবা তোর ?(বাবা)
–কিছু না বাবা! মিথ্যা বললাম আসলে বাইক চালাতে পারি না! ছোট কালে থেকেই বাইকের নাম শুনলে ভয়ে হাটু কাপতে শুরু করতো (সজীব)
–আমি বলছি,(পরী)
–হ্যা মা বলো..(বাবা)
–আসলে আষ্কেল,বাইকের কথা শুনে এমন হয়েছে!(পরী)
–তুই কি আমাকে মেরে ফেলবি নাকি,,(আমি পরীর দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে কথাগুলো বল্লাম)
–আচ্ছা যাই হোক,সজীব তুই কি বাইক নিবি বাবা ?(বাবা)
–জি,মানে বাবা এই পরীর দিকে তাকিয়ে থেকে বললাম হুম নিব!(সজীব)
–আচ্ছা তাহলে আজ বিকেলেই কিনে আনবো কাল থেকে কলেজে যাবি!(বাবা)
–জি বাবা,,(সজীব)
তারপরে নাস্তা শেষ করে আমি রুমে চলে গেলাম ! পরীও আমার পিছনে পিছনে এলো!
–এই তুই খাবার টেবিলে বাইকের কথা শুনে ওমন করলে কেন?(পরী)
–আসলে আমি বাইক চালাতে পারি না! ছোট কালে একবার হৃদয়ের সাথে বাইকে চরেছিলাম হৃদয় ফেলে দিয়ে ছিল! তারপর থেকে ভয়ে আর চড়ি নাই!(সজীব)
–হাহহাহাহা আচ্ছা তুমি এতো ভিতু কেন ?(পরী হেসে বললো)
–আমি ভিতু না,আরেকবার ভিতু বলবি না বলে দিলাম!..(সজীব)
–আচ্ছা শোনো তুমি তো বাইক চালাতে পারো না তাই না?(পরী)
–হুম !(সজীব)
–আচ্ছা সমস্যা নেই আমি তোমাকে শিখিয়ে দেব!(পরী)
–তুই শিখাবি বাইক চালানি হাহাহা?(সজীব)
–হুম পারবো না কেন !আর আমার স্কুটার আছে !(পরী)
–ওহ আচ্ছা !তারপরে আমরা বসে আরো অনেক গল্প করলাম !তারপরে বিকেলে বাইক কিনতে গেলাম
নীল রঙ্গের একটা বাইক কিনলা অবশ্যাই সেটা পরীর পছন্দেই কিনলাম……
বাসাই এসে পরী আমাকে নিয়ে একটা ফাকা যাইগায় গেল !
উ
–আচ্ছা শুনো তুমি সামনে বস আমি পিছনে থাকছি আমি যেইভাবে বলবো ঠিক সেটাই করবে!(পরী)
–হুম(সজীব)
তারপরে আমি বাইক চালাতে শুরু করলাম প্রথমে একটু সমস্যা হলেও কিছুক্ষন চালানোর পর এখন মোটামুটি শিখি গিয়েছি!
–বাহ তুমি তো অনেক তাড়াতাড়ি চালানো শিখে গেলে!(পরী)
–তাই নাকি?(সজীব)
–হুম….
আমরা কথা বলছিলাম হঠাৎ পরী বলে ওঠলো…..
–এই এই সামনে তাকা…..
বলতে বলতেই একটা গাড়ি সাথে ধাক্কা লেগে দুজনেই পড়ে গেলাম আর পড়ার সময় আমার নিচে পরে পরী আর ওপরে পরতেই ৪ ঠোট এক হয়ে যাই। আমি কি করবো কিছুই বুঝতেছি না ! আর এইদিকে পরীর ওঠার নাম গন্ধো নেই প্রায় ৫ মিনিট ৪ ঠোট এক হয়ে থাকার পরে পরী ওঠে পরে পরী একটা ঘোরের মধ্যে ছিল !যে আজ প্রথম কারো ঠোট তার ঠোট র্স্পশ করলো এইদিকে আমার ওহ একই ঘটনা কিন্তু আমি সেটা অন্যভাবে নিলাম,আমাদের আর বাইকের কিছুই হয়নি!
–আচ্ছা শোনো তোমাকে আগে ৭ দিন ভালো ভাবে চালানো শিখিয়ে নিয়ে কলেজে যেতে হবে ওকে!(পরী)
–হুম! এইভাবে আরো কিছুক্ষণ চালানোর পরে আমরা বাসাই চলে গেলাম! পরী রাতে খেয়ে রুমে ঘুমাতে গেল! কিন্তু বিকেলে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তার কিছুতেই ঘুম আসছে না ! রাত তখন ১১টা পরীর এখনো ঘুম আসছে না তাই পরী আমাকে ফোন দিলো প্রথমে একবার ফোন দিলো আমি ধরলাম না !
–হয়তো ঘুমিয়ে গেছে তাই আবার ফোন দিলাম এইবার ফোন ধরলো! হ্যালো !(পরী)
–হুম বলো এত রাতে ফোন দিলে যে!(সজীব ঘুম ঘুম কন্ঠে)
–না এমনি কি করছিলে?(পরী)
–ঘুমিয়ে ছিলাম ফোনের রিংটং শুনে ওঠে পড়লাম!(সজীব)
–ওহ,,তো এখন কি করছো?(পরী)
–বসে আছি! আর রাত এখন ১১টা তুমি ঘুমাও নাই?(সজীব)
–ঘুম তো আসছে না !কি করবো বলো !আমি তো মনে করলাম তোমারও ঘুম আসবে না! কিন্তু না তুমি তো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছো!(পরী)
–কেন তোমার ঘুম আসবে না?আর তোমার ঘুম না আসলে আমার ঘুম আসবে না এর মানে কি? বুঝলাম না!(সজীব)
–শোনো সব কথার মানে খুজতে হয় না ওকে! কিছু কথা মন দিয়ে বুঝে নিতে হয় !(পরী)
–কি কথা মন দিয়ে বুঝতে হয়?(সজীব)
–উফ কিছু না তো তুমি আসলেই একটা বলদ আচ্ছা বাই ঘুম পাচ্ছে ঘুমাবো!(পরী)
বলেই পরী ফোনটা কেটে দিলো,আর এইদিকে আমি ভাবছি কি এমন কথা বললাম !যে তার জন্য রাগ করে ফোনটা কেটে দিলো। আচ্ছা যাই হোক কাল সকালে কথা হবে এখন ঘুমিয়ে যাই..এইদিকে পরী মনে মনে বলছে……
–একে নিয়ে যে কি করি কিছুই বুঝতেছি না,,হে সৃষ্টিকর্তা তুমি একটা কিছু কর। যে কিনা কিছুই বুঝে না শুধু বোকার মত ড্যব ড্যব করে তাকিয়ে থাকতে পারে !..(পরী)
আর অনেক কিছু বলে ঘুমাই গেল !পরের দিন সকালে আমাকে নিয়ে আবার বাইক চালাতে গেল এইভাবে ৭ দিন হয়ে গেল এখন আমি অনেক ভালো বাইক চালাতে পারি !কাল আমরা কলেজে যাবো !রাতে পরী ফোন দিলো..!
–কাল কলেজে যেতে হবে!(পরী)
–আবার কলেজ !কলেজে না গেলে হয় না?(সজীব)
–আরে পাগল এত ভয় পাচ্ছো কেন !আমি তো সাথে যাচ্ছি তোমার তাই না?(পরী)
–হুম কিন্তু তুমি তো সব সময় আমার সাথে থাকবে তো না!(সজীব)
–সব সময় কেন !তোমাকে আমি সারা জিবন পাশে রাখতে চাই !(পরী আস্তে বললো)
–কি বললে?সজীব)
–কিছু না! আচ্ছা শোনো কাল সকালে তুমি রেডি হয়ে থাকবে আমরা এক সাথেই কলেজে যাবো !(পরী)
–হুম!(সজীব)
এরপরে আরো অনেক কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম!পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা শেষ করে!
চলবে….