গল্প-রাগী খালাতো ভাই যখন বর
পার্ট ৬
মাহমুদ
এখানে এই সব কী হচ্ছে(রাফি ভাইয়ার বাবা)আমরা কী এখানে সিনেমা দেখতে এসেছি।
রাফি ভাইয়া কীছু না বলে, আমাদের কাছে এসে শুভ্র ভাইয়া কে বললো?
শুভ্র তুই কী শিশির কে ভালোবাসিস?
শুভ্র ভাইয়া কীছুই বললো না,শুধু মাথাটা নিচু করে রইলো।
বাসর ঘরে বসে আছি আমি।এই রাতটা নিয়ে অনেকের নাকী অনেক স্বপ্ন থাকে।আমার ও আছে।জানি না পুরণ হবে কী না?
একটু পরেই দরজা খোলার শব্দে ও দিকে তাকালাম।কেনো জানি না খুব ভয় লাগছে।
এমন কেনো করলি শিশির(গম্ভীর গলাই কথাটা বললো শুভ্র ভাইয়া)
(হে আমার শুভ্র ভাইয়ার সাথেই বিয়ে হয়েছে।
রাফি ভাইয়া যখন প্রশ্ন করলো শুভ্র ভাইয়া কে ভাইয়া কোনো কথাই বলেনি।
তখন রাফি ভাইয়া বললো তার মানে শিশির যা বললো সব সত্যি।
তারপরে এক প্রকার জোর করেই রাফি ভাইয়া আমার আর শুভ্র ভাইয়ার বিয়ে টা দিয়েছে।
কারণ রাফি ভাইয়ার বাবা অনেক ঝামেলা করছিলো।তখন রাফি ভাইয়া খুব সুন্দর ভাবে তার বাবাকে বললো।
বাবা জোর করে হয় তো আমি শিশির কে বিয়ে করতে পারবো। কিন্তু বিয়ের পরে কী আমি সুখে থাকতে পারবো?নাকী শিশির সুখে থাকবে বলো?আর না শুভ্র ভালো থাকবে।
কারণ ওরা দুজন দুজন কে ভালোবাসে। আর আমার ভালোবাসাটা এক তরফা।
এক তরফা ভালোবাসা দিয়ে আমি তিনটা জীবন নষ্ট করতে পারবো না বাবা।তার পরে আর তার বাবা কীছু বলেনি,রাফি ভাইয়া নিজে দারিয়ে আমাদের বিয়েটা দিয়েছে।)
অবাক চোখে তাকিয়ে ভাইয়াকে বললাম
আমি কী করেছি ভাইয়া?
কী করেছিস তুই জানিস না?(ধমকের সুরে)
কেনো আমার জীবনটাকে নষ্ট করলি,আমি তো তোকে দেখতেই পারিনা। সারাটা জীবন আমি কী ভাবে তোর সাথে থাকবো? বল কী ভাবে থাকবো।আর আমি তোকে ভালোবাসি?এতো বড় মিথ্যা কথাটা কেনো বললি?
আমি কোনো কথা না বলে তাকে জোরিয়ে ধরলাম,তার বুকে মাথা রেখে বললাম।
অনেক হয়েছে আর নাটক করতে হবে না।আমি জানি আপনি আমাকে ভালোবাসেন।আর আমি এটাও জানি আমি আপনাকে যতোটা ভালোবাসি তার থেকেও আপনি আমাকে বেশি ভালোবাসেন।
একটু আগে তো কান্নাও করলেন এখনি ভুলে গেলেন?
শুভ্র ভাইয়া খুব অবাক হয়ে বললেন।
মা নে,তো কে কে বলছে আমি তোর জন্য কান্না করেছি।
রাকিব ভাইয়া আমাকে সব বলেছে।আর হে তোমার ভালোবাসতে হবে না আমার ভালোবাসা দিয়ে আমাদের জীবন ভরিয়ে দেবো,আর তোমার রাগটাকেও ভালোবাসাই রুপ দান করবো দেখে নেবেন।
এবার কথা না বাড়িয়ে একটু জোরিয়ে ধরো না ভাইয়া প্লিজ।
ভাইয়া আর কথা না বাড়িয়ে আমাকে খুব শক্ত করে নিজের বুকের সাথে মিশে নিলো।আর বললো।
পারবি সারা জীবন আমার রাগটাকে ভালোবেসে আমার পাশে থাকতে।
হুম খুব পারবো।আচ্ছা ভাইয়া একটা আবদার করবো রাখবে প্লিজজজজজ।
হুম বল।
একবার বলো না, তোকে ভালোবাসি শিশির, প্লিজ একবার বলো।
পাগলি?হুম খুব ভালোবাসি তোকে শিশির খুব ভালোবাসি,তাই তো তোকে কারো সাথে সয়তে পারি না?তোকে কারো সাথে কথা বলতে দেখলে মাথাই রক্ত উঠে যেতো,,খুব রাগ হতো তোর উপর,যখন অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলতি ফেসবুকে কারো সাথে কথা বলতি খুব রাগ হতো তাই তো,তোর আইডিটাই নষ্ট করে দিয়েছি।
তার মানে সে দিন তুমি আমার আইডিটা নষ্ট করেছো??আর কীছুই বলতে পারলাম না,ভাইয়া আমার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট টা বসিয়ে দিলো।তারপরে বিছানাই সুয়ে দিলো।
১ মিনিট?
আপনারা এখন ও চেয়ে চেয়ে কী দেখছেন হে।শুভ্র শিশিরের বাসর ঘরে উকি না দিয়ে নিজেরাই বিয়ে করে নেন।টাটাটাটা????।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে শুভ্র ভাইয়ার বাহু ডরে আবিষ্কার করলাম।ঘুমন্ত অবস্থায় ওনেকে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছিলো।নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না ওনার ঠোঁটের নিচের তীলটা তে একটা উম্মা দিলাম??
তখনই শুভ্র ভাইয়া বলে উঠলো,শিশির বউ আমার সারা রাত ঘুমাতে পারিনি এখন একটু ঘুমাতে দে। বলেই জোরিয়ে ধরলেন।
ওনার কথাই খুব লজ্জা পেলাম তার মানে উনি জেগে ছিলেন।ইস নিজের উপর নিজেরি খুব রাগ হচ্ছে এখন।
এতো চিন্তা করতে হবে না,আমি তোরি স্বামী যতো ইচ্ছা আদর করতে পারিস এবার চুপ থাক আর ঘুমাতে দে।
চলবে…..??