গল্প-রাগী খালাতো ভাই যখন বর শেষ – পার্ট

0
8888

গল্প-রাগী খালাতো ভাই যখন বর
শেষ – পার্ট
?
এতো চিন্তা করতে হবে না আমি তোর স্বামী যতো ইচ্ছা আদরে করতে পারিস এবার একটু ঘুমাতে দে।
একটু পরে উঠে ফ্রেস হয়ে রান্না ঘরে গেলাম গিয়ে দেখি খালামুনি রান্না করতেছে।
আমি খালামুনিকে পিছন থেকে জোরিয়ে ধরলাম।
কীরে ঘুম ভাঙলো।
হুম কী রান্না করো।
অনেক কীছু,শুভ্র কী করে?উঠে নাই এখন ও?
না তোমার ছেলে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
হুম যা এই চা টা তোর বর কে দিয়ে আই?
খালামুনি আগে আমাকে কীছু খেতে দাও খুদা লাগছে।
ওই খালামুনি কীরে মা বল মা।
না খালামুনিটাই বেস্ট।
হুম ভালো, আমি কে যে আমাকে মা বলে ডাকবি,আমি তো তোর কেউ না।আপন হলে ঠিক মা বলে ডাকতি।
এই তো এবার ড্রামা শুরু করে দিলে।আচ্ছা যাও মা বলেই ডাকবো,এবার খেতে দাও না গো মা।
হুম?☺☺আগে শুভ্র কে চা টা দিয়ে আসেন।তার পরে সকলে এক সাথে খাবো।
ওই ভাইয়া উঠো।
হুম,
ওইই উঠো বলতেই এক টানে বিছানায় নিয়ে জোরিয়ে ধরে ঘারে মুখ গুজে দিলো।
এটা কী হলো উঠো না প্লিজ আমার খুব খুদা লাগছে।
হুম আমি আছি তো, বলেই ঠোঁট দুটো দখল করো নিলো।আমি ও তার ডাকে সারা দিলাম।
একটু পরে,
কীরে সারা রাতেও লজ্জা ভাঙাতে পারলাম না?
এই তোমার মুখে কী কীছুই আটকাই না।ছারো দরজা খোলা যে কেউ চলে আসবে।
শুভ্র ভাইয়া আরো জোরিয়ে নিলো নিজের সাথে। তাতে আমার কী আমি আমার বউ কে জোরিয়ে ধরেছি বুজলি।
আচ্ছা শুভ্র ভাইয়া, তুমি আমাকে একটুও দেখতে পারতে না,তাহলে কখন এতো ভালোবাসলে?
পাগলি “হে এটা সত্যি প্রথম প্রথম তোকে আমি দেখতে পারতাম না,কিন্তু ধীরে ধীরে খারাপ লাগাটা ভালোবাসা হয়ে গেছে।
আর এটা বুজতে পারলাম যখন তুই ক্লাস 9 এ পাড়িস। মনে আছে তোর? তখন তোর খুব জ্বর হয়েছিলো,বাবা,মা নানু বাড়ি ছিলো বাড়িতে তুই আর আমি ছিলাম তখন।তুই জ্বরে কান্না করছিলি,বিশ্বাস কর নিজেকে তখন পাগল পাগল লাগছিলো,কী করবো ওতো রাতে কীছুই মাথাই আসছিলো না।
অনেক রাত পযর্ন্ত তোর মাথাই জল পট্টি দিলাম,তাতেও কীছু হচ্ছিলো না তুই শীতে কাঁপছিলি। তখন হঠাৎ বিছানাই সুয়ে তোকে বুকে জোরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেছিলাম।সকালে তুই ওঠার আগেই আমি উঠে পরি যেনো তুই কীছু বুজতে না পারিস। প্রো-ফাইলে নতুন গল্পের লিং-ক দিয়েছি। পড়তে পারেন।
তার পরেই বুজতে পারলাম
i’m in love with you.
তার পরে থেকে তোকে চোখে চোখে রাখতাম।তোর ধারের কাছেও কাউ কে আসতে দিতাম না।
এতোই যখন ভালোবাসো তাহলে এতো কষ্ট দিতে কেনো।
সত্যি বলতে আমি নিজেও জানি না কেনো এমন করতাম।আচ্ছা বাদ দে আর করবো না। এখন শুধু ভালোবাসবো আর আদর করবো?
সকালে নাস্তা করে, সকলেই কাজে লেগে পড়লো,কারণ আজ কে আমাদের বউ ভাত।এভাবেই কেটে গেলো অনেক গুলো দিন। এখন শুভ্র ভাইয়া খুব বিজি থাকে তার কাজ মানে আমার সতিনকে নিয়ে।
তবে এতো চাপের মাঝে কখনও আমার খেয়াল রাখতে ভোলেনি।আমাদের বিয়ের প্রায় ২ বছর হলো।
কদিন হলো শরীলটা ভালো লাগছে না,তাই আজ বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে ডাক্তার এর কাছে গেলাম।
আর জানতে পারলাম,আপনারা মামু আর খালামুনি হচ্ছেন।
আর আমার শুভ্র হচ্ছে বাবা,কী খুশি লাগছে বলতে পারবো না।
রাতে শুভ বাড়িতে ফিরতে অনেক টা রাত করলো।
এসেই শিশির কে জোরিয়ে ধরে বিছানায় নিয়ে সুয়ে পড়লো।
এইই কী করছো হে, মাত্র এলে যাও আগে ফ্রেস হয়ে নাও।
হুম একটু পড়ে, খুব ক্লান্ত লাগছে, আগে ক্লান্তি টা দূর করে দাও একটা পাপ্পি দিয়ে তাহলে যাবো।
সব সময় ফাজলামো ছারো আর ফ্রেস হয়ে আসো,আমি খাবার দিচ্ছি।
রাতে সুয়ে আছি শুভ্রর বুকে। এই স্থানটা জেনো খুব নিরাপদ, এখানে কোনো ভয় নেই,চেন্তা নেই,আরামে থাকতে পারি সারা জীবন।

ওই একটা কথা বলতাম।
হুম বলো, আমার বউ একটা কেনো হাজার টা বলো।
আমি হালকা উঠে শুভ্রর কানে কানে বললাম।
আমি মা আর তুমি বাবা হতে চলেছো।
কথাটা শুনে শুভ্র লাভ দিয়ে সোয়া থেকে বসে পড়লো,
কীছু সময় আমার দিকে চেয়ে থেকে বললো।
সত্যি?
হুম
খুশিতে উনি পাগলের মতো লাফা লাফি করছিলো,
,
,
,
,
সামিয়া শোনো, আমি কিন্তু এবার মারবো তোমাকে,এতো ফাজিল হয়ছো কেনো হে।
ও দিদান আমাকে বাতাও,তোমার থেলের বউ আমালে শেষ করে দেবে(সামিয়া)
ওই শিশির একদম এ দিকে আসবি না বলে দিলাম,আমার দিদি ভাই খুব ভালো ও একটুও দুষ্ট না ওকে,,,তাই ওকে মারা কথাটা ভুলে যা।
তখনই শুভ্র হাজির হলো,,,,বাবা কে দেখেই মেয়ে দৌড়ে বাবার কলে উঠলো।
সামিয়া মা আমার কী হয়েছে,মামুনি বকছে কেনো।
দেখো না বাবাই আমি কীছুই করিনি,শুধু বলেছি আজ স্কুলে যাবো না,আর মামুনি আমাকে বকছে।আজ আমরা ঘুরতে যাবো।
ও এই ব্যপার,ওকে আজ আমরা ঘুরতে যাবো যাও তুমি রেডি হয়ে নাও।
তোমাদের যা মন চাই করো আমি কীছুই বলবো না।
আমার কথা কী কেউ শোনো তোমরা।বলেই রুমে চলে আসলাম।শুভ্র ও পিছু পিছু এসে আমাকে জোরিয়ে ধরে বললো।পাগলি এতো রাগ করো কেনো,সামিয়া তো ছোট, বলেই আদর করতে লাগলো তখনই সামিয়া এসে হাজির।
বাবাই তুমি খুব পঁচা শুধু মামুনিকে আদর করো,আমাকে একটুও করো না বলেই মুখ ফুলিয়ে বসে পড়লো,
ওলে বাবারে তাই নাকী?বলেই সামিয়ার কপালে একটা চুমু দিয়ে দিলাম,সাথে সাথে আমাকে রিটান দিয়ে দিলো।(হে সামিয়া আমার আর শুভ্রর মেয়ে,খুব দুষ্টু)
এভাবেই আমাদের সুখে দুখে দিন কাটছে,

আমরা খুব ভালো আছি আপনারাও ভালো থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ ?
ইতি টানলাম।টাটাটা

(সমাপ্ত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here