চক্রব্যুহ [দুই]

0
182

#চক্রব্যুহ
[দুই]
মোহাম্মদ মনোয়ার

ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের দীর্ঘদিনের চাকরিতে এমন প্রচুর কেসের তদন্ত করেছেন। নিখোঁজের মত অতি সহজ একটি কেস হাতে পাওয়াতে বেশ উৎফুল্ল হলেন হাসিব উদ দৌলা। নিখোঁজ শব্দটির সাথে দুটো সম্ভবনা থাকে। এক, গুম হয়েছেন। দুই, মারা গেছেন। মুহুর্তের ভাবনায় ছেদ পড়ল।

-হ্যালো হ্যালো? শুনতে পাচ্ছেন আমাকে?

ফুঁপিয়ে কান্নাটা আবারো বেড়ে গেছে। ভদ্রমহিলা মনে হয় কান্নার রোগ আছে। স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন চারদিন। এতদিন পরে যদি এমন করে কান্না করেন, তাহলে হারানো সংবাদ পাবার পরে নিশ্চয় পাঁচ ছয়বার মূর্ছা গিয়েছেন। কল্পনা করে শিউরে উঠলেন।

-দু একটা ছোটখাট প্রশ্ন করতে পারি? উনাকে খুঁজে পাব কিনা সেটা জানার জন্য কিছু প্রাথমিক প্রশ্ন করতে চাচ্ছিলাম। অনুমতি পেতে পারি?

-হ্যা। করুন।

ভদ্রমহিলা কান্নাটা একটু থামালেন কথা বলার মাঝে।

-আপনার স্বামীর বয়স?

-পয়তাল্লিশ হবে।

-বিয়ে কতদিন হলো?

-এগারো বছর।

-কি করতেন উনি? মানে চাকরি বা ব্যবসা?

-ব্যবসা করতেন।

-কি ধরণের ব্যবসা করতেন?

-বায়িং হাউজ ছিল ওদের।

-ওদের?

-হ্যা, ও আর ওর বন্ধু তৈয়ব শামস।

-কতদিন ধরে করছেন ব্যবসা?

-চার পাঁচ বছর।

-বায়িং হাউজের ব্যবসায় চার পাঁচ বছর?

-হ্যা।

-এর আগে কী করতেন উনি?

-এর আগেও ব্যবসাই করতেন। পারিবারিক ঠিকাদারি ব্যবসা।

-নতুন ব্যবসা কেমন যাচ্ছিল?

-ভালোই যাচ্ছিল। করোনা আর দেশের এই অবস্থায় যেমন হতে পারে আর কী।

-উনি কি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন?

-ছিলেন একসময়।

ভদ্র মহিলা চুপ করে গেলেন। হাসিব উদ দৌলা একটু সময় নিলেন।

-বলা যাবে?

সাথে সাথেই জবাব দিলেন না ওপাশের ভদ্র মহিলা। ফোনের ওপাশ থেকে আরেক মহিলার কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে।

-ছাত্রাবস্থায় ওয়ার্ড থানা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সহ সম্পাদক ছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন যুব লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি।

-এখনো কি একটিভ ছিলেন?

-না। একটিভ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন পাঁচ বছরেরও বেশি সময় হল।

-পুলিশকে জানিয়েছেন? জিডি বা মামলা?

-থানায় কমপ্লেইন করে এসেছিলাম। জিডি বা মামলা করিনি এখনো।

-আপনি কি আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চাইছেন নাকি পুলিশের মাধ্যমে?

-আমরা প্রাইভেট ডিটেক্টিভ খুঁজছিলাম।

-আমরা?

-আমি আর আমার শাশুড়ি আম্মা।

-আমাদের চক্রবুহ্য প্রাইভেট ডিটেকটিভ ক্লাব নিয়ে কি আপনি আত্মবিশ্বাসী?

-হ্যা হ্যা। অবশ্যই, আমরা আর কোন প্রাইভেট গোয়েন্দাকে নক করিনি। আমরা জানি আপনি পারবেন।

-হুম। আমি কেসটা হ্যান্ডেল করতে পারব। কিন্তু…

ওপাশ থেকে ফের ফোঁপানোর শব্দ।

-প্লিজ। শান্ত হোন।

-“কিন্তু” বলছেন যে?

-কিন্তু বলেছি অন্য একটা কারণে। যদি মনে করেন তদন্তের খরচ যোগাতে পারবেন, তাহলে আমার এই কেস নিয়ে কাজ করতে কোন সমস্যা নেই।

-কেমন খরচ হতে পারে?

-ম্যাডাম, সেটা নির্ভর করছে কেসের জটিলতার উপরে। বিভিন্ন অফিস, দপ্তর আর বিভিন্নজনের খোঁজ খবর নিতে আমাকে দৌড়াতে হবে। অফিস খরচ, যাতায়াত খরচসহ অন্যান্য বিল আমি প্রতিদিন আপডেট করব। ওসবের বাইরে আমার ব্যক্তিগত একটা ফি আছে।

-হুম, বুঝেছি। আপনার ফি কেমন হবে?

-সফল হলে কেসের মেরিট অনুযায়ী এক লাখ থেকে এক কোটিও হতে পারে। না হলে শুধু অফিস আর অন্যান্য খরচ দিন হিসেবে দেবেন।

একটু সময় নিলেন ভদ্রমহিলা। খুব সম্ভবত নাক ঝাড়লেন টিস্যু পেপারে। পেছনে থেকে এক বয়স্কা মহিলার গলার আওয়াজ পাওয়া গেল। “উনি রাজি হয়েছেন মা?” মুখের কাছ থেকে ফোন সরিয়ে উত্তর দিলেন, “হ্যা।“ হাসিব উদ দৌলা সবই শুনছিলেন। তবুও উত্তরের জন্য অপেক্ষা করে থাকলেন।

-আমাদের সাধ্যমত দেবার চেষ্টা করব। অত বেশি দেবার সামর্থ আমাদের নেই হয়ত বুঝতে পেরেছেন।

-আচ্ছা। মুখোমুখি এ নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে ধরে নেব আপনি রাজি?

-হ্যা।

একটু থামলেন ভদ্রমহিলা। হয়ত কিছু একটা ভাবছেন।

-কীভাবে শুরু করতে চান?

-সত্যি বলতে আমি তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। আপনার বাড়ির এড্রেসটা এসএমএস করে দিন। আপনার নাম?

-সামিহা অবন্তি।

-স্বামীর নাম?

-আবরার হোসেন।

-ধন্যবাদ। কয়টার দিকে আসলে আপনাদের সাথে কথা বলা যাবে?

-দেখুন, এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। আপনি কি এখুনি আসতে পারবেন?

-আপনার এসএমএস পেয়েছি। মিরপুর ডিওএইচএস থেকে কলাবাগান বশির উদ্দিন রোড পর্যন্ত জ্যাম পেরিয়ে যেতে যতক্ষণ লাগে। আমরা রওয়ানা দিচ্ছি। তার আগে একটা অনুরোধ ছিল।

-বলুন।

-এটা কি নিজেদের বাড়ি নাকি ফ্লাট? ফ্লাট নম্বর দেখছি না!

-নিজেদের বাড়ি।

-সাধারণত বাড়িতে কে কে থাকেন?

-আমি, আমার বৃদ্ধা শাশুড়ি আম্মা, হেল্পিং হ্যান্ড, একজন ড্রাইভার আর একজন দারোয়ান।

-সবাইকে এখন পাওয়া যাবে? ধরুন আর ঘণ্টাখানেক পরে?

-আমি সবাইকে আসতে বলে দিচ্ছি। আপনারা তাহলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আসছেন?

-চেষ্টা করব। বাকিটা ট্র্যাফিক জ্যামের উপর। তাহলে দেখা হচ্ছে।

বলেই খট করে ফোন কেটে দিলেন হাসিব উদ দৌলা। ফোন প্যান্টের ডান পকেটে ঢুকিয়ে বাইনোকিউলারে চোখ রাখলেন। ছেলেমেয়েদের গ্রুপটি চলে গিয়েছে। কয়েকজন বয়স্ক পুরুষকে হেঁটে আসতে দেখলেন। বৈকালিক ভ্রমণে বের হয়েছেন। বাইনোকিউলার নামিয়ে সাইফুদ্দিনকে খুঁজলেন। নীরবে ভেতরে চলে গিয়েছে। চেয়ারে বসেই হাঁক দিলেন।

-সাইফুদ্দিন! এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়।

সাইফুদ্দিন মনে হয় পানির গ্লাস হাতে দাঁড়িয়েই ছিল। ডাক শোনার সাথে সাথেই টেবিলে গ্লাসের পানি এনে রাখল। গ্লাসের নিচে একটা ছোট পিরিচ ছিল। সেটা দিয়ে ঢেকে রাখল পানি। স্যার এভাবেই কাজ করেন। অনেকদিন ধরে দেখছে সে। রকিং চেয়ারে হেলান দিয়ে ভাবতে ভাবতে দশ পনের মিনিট পরে একবার পানির গ্লাসে চুমুক দেবেন।

-সাইফুদ্দিন!

-জ্বি স্যার!

-তুই কি আমাদের কথা শুনেছিস?

-অল্প স্বল্প স্যার।

-কী মনে হয় তোর? হাজব্যান্ড নিখোঁজ। কোথায় আছে সে?

-স্যার। মনে লয় উনার পার্টনার উনারে হাপিস কইরা দিছে!

হো হো করে হেসে উঠলেন হাসিব উদ দৌলা। “ভালো বলেছিস।“ বলেই পকেট থেকে ফোন বের করে কাকে যেন কল দিলেন।

-হ্যালো আরিফ?

-স্যার!

-হ্যা, একটা নতুন কেস পেয়েছি। চলে এসো এক্ষুনি!

বেশ উত্তেজিত দেখাল তাকে। ওপাশ থেকে সম্মতি পেতেই ফোন কেটে আরেকটা নম্বরে ফোন করলেন।

-স্যার আপনি এতদিন পরে?

-হ্যা নাসিম। তোমার সাহায্য লাগবে ভাই।

-স্যার বলুন কি করতে পারি।

-একটা ফোন নম্বর দিচ্ছি। এয়ারটেল নম্বর। গত পনেরদিনের কল লিস্ট চাই আমার।

-স্যার নম্বর বলুন।

-০১৬৮৬১০xxxx। সাবিহা অবন্তি নামের আনুমানিক মধ্য ত্রিশ বছর বয়সী নারীর নম্বর এটা। নম্বরটি কার নামে রেজিস্টার্ড, কী ধরণের হ্যান্ডসেট ব্যবহার করছেন সব জানতে চাই আমি। কতক্ষণ লাগতে পারে তোমার?

-স্যার, দেখি এক ঘণ্টার মধ্যে কিছু করা যায় কিনা।

-না। তোমাকে আধা ঘণ্টা সময় দিলাম। তুমি ডিটেলস পাঠালেই আমি বের হব। তোমার খরচের টাকাটা আমি বিকাশ করে দিচ্ছি।

ওপাশের নাসিম নামের কাউকে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ফোন কেটে দিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে চাকরি জীবনের শেষ কেসটায় প্রতিপক্ষ মনোয়ার হোসেনের কণ্ঠে “কান্ট্রি রোড” গানটি শিস বাজিয়ে গাইতে শুনেছিলেন। অনেক বছর পর সেই সুরটি মস্তিষ্কের নিউরনে আলোড়ন তুলে গেল। সুরটি মনে মনে ভাবতে ভাবতে রকিং চেয়ারে হেলান দিয়ে দুলতে লাগলেন। সাইফুদ্দিন রান্না ঘরের দিকে চলে গেল।

দুই বেড রুমের ফ্লাট এটি। ছয়তলা বিল্ডিং এর পাঁচ তলায়। প্রতি ফ্লোরে দুটি করে ইউনিট। ব্যক্তি মালিকানার বাড়ি। মিরপুর ডিওএইচএস এর এই এদিকটায় কমার্শিয়াল কার্যক্রমের অনুমতি না থাকলেও এই বাড়ির সব ফ্লাটে অফিস। খুব কৃপণ বাড়িওয়ালা। সারা দেশে এখন লোড শেডিং চলছে সরকারি পরিপত্র জারি করার মাধ্যমে। এই এলাকায় অফিশিয়ালি দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কথা। অথচ প্রতি দুই তিন ঘন্টা পর পর চলে যাচ্ছে। আসছে কম করে হলেও দেড় দুই ঘণ্টা পরে পরে। গানের সুর মনে মনে আউড়ানোর মাঝ পথেই ইলেক্ট্রিসিটি চলে এসেছে। বুকের কাছের খোলা বোতাম দুটি লাগিয়ে নিলেন। মাথার উপরে ফ্যান ফুল পাওয়ারে ঘুরছে। সাইফুদ্দিন এসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ড্রয়ার খুলে এসির রিমোট বাড়িয়ে দিলেন।

-সাইফুদ্দিন। তোর কথা সত্য হলে এবার তোকে নিয়ে বান্দরবানের দেবতাখুম দেখে আসব। সেদিন টিভিতে দেখে বললি না কোথায়?

খুব খুশি হয়েছে সাইফুদ্দিন। প্রায়ই কোন তদন্ত শেষে ওকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায় স্যার। খুব ভাল লাগে স্যারের সাথে ঘুরতে।

-হ স্যার। আরেক কাপ কফি বানাইয়া দিমু?

-দে। আরিফ আসার আগে আরো এক কাপ খাওয়া যেতে পারে।

সাইফুদ্দিন রান্না ঘরে চলে যেতেই পানির গ্লাস থেকে এক চুমুক পানি খেয়ে আবারো চেয়ারে হেলান দিলেন।

কেউ নিখোঁজ হয়েছেন অর্থই হল হারিয়ে গেছেন। স্ব-ইচ্ছেয় বা অনিচ্ছায়। মৃত্যু নয়ত গুম। গুম হবার ধরণের কোন শেষ নেই। হয় কেউ মুক্তিপণ আদায়ের জন্য উঠিয়ে নিয়ে গেছে। অথবা ব্যক্তিগত শত্রুতায় খুন করার উদ্দেশ্যে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। র‍্যাব বা পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার হাতেও গুম হতে পারে। পারিবারিক শত্রুতায় হতে পারেন। রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। অর্থনৈতিক কারণ থাকতে পারে। প্রেম ঘটিত ব্যাপারেও গুম হতে পারে। আবার এমনও দেখেছেন নিজে নিজেই হারিয়ে যেতে অনেকে ঘর ছেড়েছে। একটা চিন্তা মাথায় আসতে ফিক করে হেসে দিলেন। অনেক বিবাহিত পুরুষকে দেখেছেন মনে মনে ঘর ত্যাগের বাসনা লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু সংসার আর স্ত্রী’র চাপে সেটা আর করা হয়ে উঠে না। অল্প বয়সীদের বেলায় অনেক কারণ থাকে। অনেক সময় এরা রহস্য-রোমাঞ্চের খোঁজে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অনেকে আবার প্রেমিকার হাত ধরে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। নিখোঁজের আবার সামাজিক শ্রেণী বিন্যাস রয়েছে। এমন আরো অনেক কারণ রয়েছে নিখোঁজ হবার পেছনে। তবে নিখোঁজ হবার দ্বিতীয় কারণ মৃত্যু। খুন অথবা আত্মহত্যা বা এক্সিডেন্টাল ডেথ।

ভাবনার মাঝেই দরোজা খুলে সালাম দিয়ে ঘরে ঢুকল আরিফ। আটত্রিশ বছর বয়স। ছয় ফিট দুই ইঞ্চি উচ্চতার ভারি শারীরিক গড়ন। উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রং। জিম করা পেটানো শরীর। গভীর বুদ্ধিদীপ্ত কাজল কালো চোখের মনি। ঘণ ভ্রু। মাথা ভরা ব্যাকব্রাশ করা কালো চুল। পেছনে পনি টেইল করে বাঁধা। চোখে মুখে সব সময় নির্মল একটা হাসি ফুটে থাকে। পুলিশের ইনস্পেক্টর পদ থেকে বছর দুয়েক আগে স্বেচ্ছা রিটায়ারমেন্টে গিয়ে ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের সহকর্মী ছিল। হাসিব উদ দৌলার ভীষণ ভক্ত।

-আরে আরিফ! এত দ্রুত চলে আসলে কী করে? বস বস।

-স্যার, অনেকদিন নতুন কোন কেসে ডাকছেন না। তাই এই কেসের খবর পেয়ে আর দেরি করিনি। মহাখালিতে একটা কাজে এসেছিলাম। ওখান থেকে বাইকে এক টান দিয়ে চলে এসেছি স্যার।

-খুব ভালো করেছে আরিফ। কেসটা বেশ ইন্টারেস্টিং হতে পারে!

-তাই নাকি স্যার!

খুব হাসিখুশি দেখাচ্ছে হাসিব উদ দৌলাকে। সাইফুদ্দিনকে আরেক কাপ কফি দিতে বললেন। অপর পাশের চেয়ারে আরিফ বসতেই কফি নিয়ে এল সাইফুদ্দিন। বেশ করিৎকর্মা বলাই যায়। ওর জন্য কাপুচিনো নিয়ে এসেছে। “হা হা” করে হেসে কফির মগ হাতে তুলে নিল আরিফ।

-স্যার। সাইফুদ্দিন তো দিন দিন ভীষণ স্মার্ট হয়ে উঠছে!

-সে আর বলতে! কেসটা নিয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। ও তো সাথে সাথেই বলে দিল কী হতে পারে ঘটনা!

-হা হা হা! তাই নাকি স্যার! তাহলে আমিও একটু শুনি কফি খেতে খেতে।

সংক্ষেপে খুলে বললেন মিসেস সাবিহা অবন্তির সাথে কথোপকথন। এর মাঝেই ফোনের রিং টোন। আরিফের দিকে তাকিয়ে “স্যরি” বলে ফোন কানে তুলে নিলেন।

-হ্যা নাসিম কী খবর?

-স্যার। ডিটেলস আপনার হোয়াটসএপ এ পাঠিয়ে দিয়েছি। তিন সপ্তাহের কল লিস্ট। সাথে মোবাইল ট্র্যাকিং করে লোকেশন আর আইএমইআই ডিটেলস। ফোনের নাম আর মডেলও দিয়ে দিয়েছি স্যার।

-তুমি সত্যিই এমেইজিং নাসিম। দুই হাজার টাকা বিকাশ করে দিয়েছি। চেক করে দেখ।

ওপাশের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করলেন না। ফোন কেটে দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন।

-চল আরিফ, গাড়িতে বসে রিপোর্ট পড়ে নেব। রওয়ানা দেয়া যাক।

চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here