গল্প – #চাচাতো_বোন_যখন_বউ,পর্ব-১২,১৩
✍️ #লেখক_আহমেদ_রাহী
১২
সকালে রেডি হয়ে যখন বেরিয়ে যাবো তখনই?
– এতো তাড়াহুড়ো করে কোথায় যাচ্ছিস? ( আম্মু)
– একটা কাজে ?
– তোর আমার কিসের কাজ ।
– আছে একটা জরুরী কাজ আমি যাচ্ছি।
( বলছি চলে আসলাম। এতক্ষণ পর তানিশা আপুর বাড়িতে চলে আসলাম। এসে কলিং বেল চাপ দিতেই আমার চাচা মানে শ্বশুর মশাই দরজা খুলে আমাকে দেখতে পান।)
– আরে রাহী বাবা এতো সকাল যে?
– ভেতরে আসতে বলবে না ?
– আরে আয় এতোটা তো তরি বাড়ি।
– কে এসেছে গো ? ( চাচি মানে শ্বাশুড়ি)
– দেখে যাও তোমার মেয়ের জামাই এসেছে?
– ও রাহী , বাবা ভিতরে এসে বসো ।
– আম্মু তানিশা কই?
– এর ঘরে আছে । ( শ্বাশুড়ি)
– আচ্ছা ।
( আমি আর এক মুহূর্ত এখানে না দাঁড়িয়ে আপুর রুমে চলে এলাম। এসে দেখি মহারানী মন খারাপ করে শুয়ে আছে। আমি একটু আওয়াজ করলাম দেখলাম কোনো সাড়া শব্দ নেই । )
– আপনার কি মন খারাপ?
( দেখি আমার কথা শুনে আমার দিকে তাকালো । কিন্তু ওকে দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো মহারানী শুয়ে শুয়ে কান্না করছিল । )
– তুই এখানে এসেছিস কেনো?
– কেনো আমার শ্বশুর বাড়ি কি আমি আস্তে পারিনা ।
– না আসবি না চলে যা এখন থেকে?
– কিন্তু আমিতো চলে যেতে আসিনি , আমিতো আপনাকে সাথে করে নিয়ে যেতে এসেছি।
– আমি কেনো তোর সাথে যাবো?
– আমি নিয়ে যাবো তাই ।
– আমি যাবো না তুই চলে যা এখান থেকে?
– আমিতো যাবো না আপনি না গেলে।
– কেনো আমি তোর কে ?
– আপনি আমাকে চাচাতো বউ …
– এহ এসেছে বউ বউ করতে যাবো না আমি ।
– তানিশা…
– বললাম তো যাবো না ।
– আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। নিজের থেকে ও অনেক বেশি। চলো আমার সাথে।
– কি বললি?
– ভালোবাসি।
– কাকে?
– তোমাকে।
– প্রথম দিন কি বলেছিলাম?
– আমি এতো কিছু জানিনা। আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাসো।
– আমার ভেবে দেখতে হবে।
– আচ্ছা , কিন্তু বাড়িতে চলো আমার সাথে প্লীজ ?
– কিন্তু আব্বু তো আজকে যেতে দিবে না ।
– সেটা আমি দেখতেছি চলো ?
( তার পর আমি ওকে নিয়ে চলে আসতে লাগলাম।)
– আরে তুমরা কই যাও ?
– চাচা বাড়ি যাবো।
– কিন্তু এখনি তো এলে?
– আমাদের দরকার আছে।
– ওদের যেতে দাও? ( চাচি)
( তার পর আমি আর তানিশা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। )
– আজকে এসে আজকেই চলে গেলো বুঝলাম না তুমি আটকালে না কেনো?( চাচা)
– তার পর চাচি সব খুলে বললেন ।
– এরা পারেও বটে। দেখো এখন সব ঠিক হয়ে যাবে
– হুম।
( আমি তানিশা কে বাড়িতে নিয়ে আসলাম । বাড়িতে আসতেই আম্মু বললো ..)
-কিরে কালকে নিয়ে দিয়ে আসলি আবার আজকে গিয়ে নিয়ে আসলি?
– ওমনি ও থাকতে চাইছিল না তাই ।
– এ জন্য ওই সকাল সকাল খুব জরুরী কাজ এটাই ছিল ।
( আমি আর কথা না বলে তানিশা কে রুমে নিয়ে আসলাম। রুমে আসতেই দেখি ও আমার দিকে রাগি লোক নিয়ে তাকিয়ে আছে । আমি ভয়ে বললাম )
– কি ব্যাপার অমন করে তাকিয়ে আছেন কেন?
– আমি থাকতে চাইছিলাম না তাই না ।
– হুম মানে না ?
– তোর আজকে কি করি দেখ ?
– হয়েছে আপনাদের রুমান্স করা ? ( চুটকি)
( হটাৎ কথা শুনে দুজনেই চমকে উঠে যাই। )
– তুই এখানে কিছু বলবি ?
– বলতেই তো আসছিলাম । কিন্তু তোমাদের রুমান্স এর মাঝে চলে আসলাম। ( চুটকি)
– তেমন কিছু না।
– ভাইয়া আমি কানা না আমি তোর থেকে বেশি দেখতে পাই ।
– কি বলবি বল ?
– আমার কিছু টাকা দে তো ?
– কতো লাগবে?
– ৫০০ শো
– আব্বুর কাছে থেকে নে ?
– না তুই দে আব্বু বকা দিবে।
– পরে এসে নিয়ে যাস?
– ওকে তোরা রুমান্স চালিয়ে যা?
– তোকে আজকে?
( চুটকি দৌড়ে চলে যায়। তানিশার দিকে তাকিয়ে দেখি লজ্জায় লাল হয়ে আছে। চুটকি কথায় এতো লজ্জা পাবে জানতাম না । তবে এখন আরো বেশি কিউট লাগছে। রাতে খাবার খেয়ে আমি কেতা বালিশ নিয়ে নিচে শুতে যাবো তখনি? )
– ওই তুই বিছানায় ঘুমা ?
– আর আপনে?
– আমি বিছানায় ঘুমাবো
– মানে আপনি আমার সাথে ঘুমাবেন ( খুশি হয়ে)
– বেশি খুশি হইস না মাঝখানে এই বালিশ থাকবে। বালিশ এর এই পাশে একদম এসবি না ।
– না হলে?
– তোর খবর আছে?
( বেডি কয় কি বউয়ের কাছে না কি যেতে পারবো না । কি কপাল আমার। )
– কিছু বলছিস ?
– না
– এখন ভালো ছেলের মতো ঘুমা ।
( আমিও ঘুমিয়ে পড়ি । মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠতে যাবো তখনি ভারি কিছুর অনুভব করলাম। তাকিয়ে দেখি আমার বুকের উপর শুয়ে আছে আপু । আমার অনেক ভালো লাগছিল । ইচ্ছে হইছিল সারাজীবন এভাবে রাখতে। আমি আর উঠলাম না যদি ওর ঘুম ভেঙ্গে যায়। এভাবে বুকের উপর আপুকে জরিয়ে ধরে আমি ও ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে আমার আগেই আপুর ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখে আমি ওকে ও আমাকে জরিয়ে ধরে আছি । ও উঠার চেষ্টা করতেই আমি আরো জোরে জরিয়ে ধরি। এমন ভাবে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছি , আপু যেনো বুঝতে পারে আমি ঘুমের ঘোরে জরিয়ে আছি । যখন আমার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারছে না । তখন আমাকে ডাকতে থাকে..
– রাহী ওই ?
– ( আমি চুপ)
– রাহী উট তাড়াতাড়ি?
– কি
– উট আর ছাড় আমাকে?
– ও সরি ।
( ওকে ছেড়ে এমন ভাব করলাম যেনো আমি কিছুই জানি না । )
– আমি বুজতে পারি নাই
– ঠিক আছে।
( মনে মনে আমি হাসছিলাম । মাইয়া দেখি একটু একটু করে লাইনে আসছে। পরেরদিন আমার আব্বু আম্মু আর চুটকি আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় দুই দিনের জন্য। আম্মু যাওয়া সময় বলে গেলো যেন উনার বউমার খেয়াল রাখি । আর জগরা যেনো না করি । মুই আর কি কইতাম আমিতো এখনো অবুঝ বাচ্চা। দুপুর হয়েছে খুব খিদা লাগছে! তানিশা কই গেলো ?
– তানিশা আপু?
– বল
– দুপুর হয়ে গেলো তো , কিছু কি রান্না করছেন ? খুব খুদা লাগছে।
– আমি তো রান্না করতে পারি না !
– কি ?? মজা করছেন আমার সাথে।
– মজা কেনো করবো আমি সত্যিই রান্না করতে পারি না ।
– খাইতে পারেন?
– মানে
– কিছু না
( হারামজাদি কয় কি রান্না করতে পারে না ! শুধু গিলতে পারে । )
– মেয়ে হয়ে এখনো রান্না করতে শিখেন নি ?
– আম্মু কখনো রান্না করতে দেয় নি।
– মেয়ে মানুষ যখন হয়েছেন একটু তো রান্না করা শিখতে পারতেন ।
– রান্না করতে পারেন না , বিয়ে করে বর কে কি করে খাওয়াতেন । এখন কি হবে আমার!!
– বিয়ে তবে করলি কেনো?
– শকে করি নাই জোর করে করাইছে যত্তসব ।
( খিদের জ্বালায় কি সব বলেছি । খিদে লাগলে মাথা ঠিক থাকে না । আমি গিয়ে হোটেল থেকে খাবার এনে খেয়ে নেই। পরে মনে হল তানিশা ও কিছু খায় নাই তাই খাবার গুলো নিয়ে ঘরে গেলাম । )
– এই নেন খাবার গুলো খেয়ে নেন।আমার মাথা ব্যথা করছে আমি নিচে ঘুমাচ্ছি। আপনি খাবার খেয়ে নিয়েন ।
” তার পর আমি গিয়ে ড্রয়িং রুমে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙলে দেখি সন্ধ্যা নামবে। তানিশা কে ডাকতে রুমে যাই গিয়ে দেখি খাবার গুলো যেমন রেখেছিলাম তেমন আছে । তানিশা গেলো কোথায় , সারা বাড়ি খুঁজে পেলাম না তাই ছাদে গেলাম গিয়ে দেখি মহারানী ছাদে দাঁড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে ডাক দিতেই চোখ মুছে আমার দিকে তাকালো। বুঝলাম আমার কথায় অনেক কষ্ট পেয়েছে। খিদের জ্বালায় তখন আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমার হয়তো এমন ভাবে বলা ঠিক হয়নাই ।
– এখনো খাবার খান নাই কেনো?
– এমনি ভালো লাগছিল না ।
– সরি আমি আপনাকে সেভাবে বলতে চাইনি প্লীজ আমাকে মাফ করে দিয়েন ।
– না সরি কেনো বলছিস? তুই তো ঠিকই বলছিস ।
– না আমি ঠিক বলিনি । সরি আমার উপর রাগ করে থাকবে না ।
– আচ্ছা রাগ করে নাই ।
– সত্যি
– সত্যি।
– তাহলে চলুন এখন খাবেন ।
– এখন
– হুম সারাদিন তো কিছুই খান নাই ।
( তার পর আমি ওকে জোর করে এনে খাওয়া জন্য বসিয়ে দিলাম। ও খাচ্ছিল আমি চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম। )
– কি ব্যাপার এমন করে আমার খাওয়া কি দেখছিস?
– কই নাতো।
– আমি দেখেছি তুই আমার খাওয়া দেখেছিলি?
– দেখছি তো কি হয়েছে?
– কেন আমার নজর লাগবে না বুঝি?
– আমি আমার বউয়ের খাওয়া দেখছি তাতে আপনার কি ?
– কে তোর বউ?
– কেন আপ…
– কি বল কে তোর বউ !
– আপনি খান আমি আসছি ?
– এখন আবার কই যাস ?
– রাতের খাবার আনতে আপনি তো আর রান্না করতে পারবেন না ।
– হুম
( মুখ বেঁকিয়ে কথাটা বললো)
*পরেরদিন এভাবেই চলে গেল । তার পরের দিন বাড়িতে সবাই এলো । এই দিকে মনে মনে আমি একটা প্লান করতে থাকি । পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তানিশা আমাকে আজকেও জরিয়ে ধরে আছে। আমি ও আমার উঠি না । কারন এই সময়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।সারা দিনে ওর এতোটাই কাছে আসতে পারি । এটাই আমার জীবনের অনেক কিছু। সারাজীবন আমি ওকে আমার বুকের মধ্যে জায়গা দিতে চাই । যেনো কখনো সে হারিয়ে না যায় । আজকে তানিশা ওর ফ্রেন্ড দের সাথে দেখা করতে গেছে। ধুর কিছু ভালো লাগছে না ।
চলবে….??
[ ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]
গল্প – #চাচাতো_বোন_যখন_বউ ( পর্ব-১৩ )
✍️ #লেখক_আহমেদ_রাহী
________________________
আজকে তানিশা ওর ফ্রেন্ড দের সাথে দেখা করতে গেছে। ধুর কিছু ভালো লাগছে না। এর মাঝে আমার ফোনটা বেজে উঠলো। ফোন হাতে নিয়ে দেখি এক বড় ভাইয়ের ফোন । ফোন রিসিভ করলাম…
– রাহী বলছো?( Foysol)
– হ্যা ফয়ছল ভাই বলেন । ( RaHi)
– তুই চাকরি কথা বলেছিস না ? ( Foysol)
– হুম ভাই বলেছিলাম। ( RaHi)
– আমার এক আংকেল এর অফিসে তোর চাকরির ব্যবস্থা করেছি । তুই এই ঠিকানায় আয় …… (Foysol)-( ঠিকানা টা বললাম না যদি আবার আপনারা চলে আসেন )
– হুম ভাই আমি আসছি । (RaHi)
( ফয়ছল ভাইয়ের দেওয়া ঠিকানায় আমি চলে গেলাম। তার পর উনার সাথে দেখা করলাম কাজ হয়ে গেল । আমিও চলে আসি । রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম হটাৎ তানিশা মতো কাউকে দেখতে পেলাম। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি ও রাস্তায় অন্য পাশে আর ও ফ্রেন্ড অন্য পাশে । তানিশা সাথে একটা ছেলে আছে । এই ছেলেটা কে আর তানিশার সাথে কি করছে একটু এগিয়ে গেলাম।গিয়ে দেখি তানিশার হাত ধরে টানছে । এটা দেখে তো আমার মাথায় গরম হয়ে গেছে। তানিশার হাত ধরে টানছে আর কি যেনো বলেছে…
– তানিশা আমি তোকে অনেক ভালোবাসতাম কি করলি তুই এটা ? (Emon)
– দেখ ইমন আমার হাত ছাড়া । আমি তোকে আমার ভালো একটা ফ্রেন্ড ভাবতাম আর কিছু না। আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে তুই তো জানিসই সব । ( Tanisha)
– কি আছে ওই রাহীর মধ্যে যা আমার মাঝে নাই ?( Emon)
– সেটা তুই নিজেকে জিজ্ঞেস কর । হাত ছাড় আমার ?( Tanisha)
– ঠিক আছে । এক রাতে জন্য হলেও তো তুই আমার হবি । বিশ্বাস কর তোকে এক রাত নিজের করে পাবার জন্য অনেক অপেক্ষা করে আছি আমি । ( Emon)
(এমনিতেই মাথাটা গরম ছিল তার উপর এমন কথা শুনে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না । সোজা গিয়ে ছেলেটার মুখে একটা ঘুষি দিলাম। এতে ছেলেটা কিছু টা দূরে সরে গেল । আমাকে দেখে আপু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে!
তার পর আমি ছেলেটাকে ইচ্ছে মতো মারলাম। তানিশা আমাকে আটকাতে চেষ্টা করছে আমি ছুটে গিয়ে থাকে অনেক মেরেছি। আমার তানিশা কে স্পর্শ করছে আজকে মেরেই ফেলবো? এমন সময় আশেপাশে মানুষ জড়ো হয়ে যায়। আমি তানিশার হাত ধরে বাড়িতে নিয়ে আসি । তানিশার উপর প্রচুর রাগ হচ্ছে কিন্তু কিছু বললাম না । তানিশা ও বুঝতে পারছে আমি অনেক রেগে আমি তাই আর কিছু বললো না । রাতে আম্মু খাবার খাওয়া জন্য ডাকছে। আমি খাব না বলে দিছি । তানিশা ও একবার ডাকল খাওয়া জন্য আমি না করে দিছি। )
– তুই কি আমার উপর রাগ করে আছিস? (Tanisha)
– … ( RaHi)
– বল না ? ( Tanisha)
– … ( RaHi)
– আমি তোকে কিছু জিজ্ঞেস করছি? ( Tanisha)
– কি জানতে চান আমি রেগে আছি কি-না? হ্যা আমি রেগেই আছি । আমার বউর হাত ধরে টানাটানি করবে আজেবাজে কথা বলবে রাগ হবে না তো কি হবে? কেন গিয়েছিলে তাদের সাথে দেখা করতে? (RaHi)
– সরি আমার ভুল হয়ে গেছে রাগ করিস না । আমি জানতাম না এমন হবে । ( Tanisha)
– আপনি আরো অনেক কিছুই জানেন না ?(RaHi)
– কি?? ( Tanisha)
– কিছু না । ( RaHi)
– তাহলে রেগে থাকিস না প্লীজ ? ( Tanisha)
– ? ( RaHi)
– আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসি দে? (Tanisha)
– ..(RaHi)
( আমি আর কি রাগ করে থাকবো ওর মায়াবী চেহারা দেখলেই সব কিছু ভুলে যাই। ভালোবাসা মানুষের উপর আই যাই হোক রাগ করে থাকা যায় না। তার পর একটা হাসি দিলাম। )
– এইতো গুড বয়।( Tanisha)
( অনেক দিন ফেইসবুকে ঢোকা হয় না তাই একটু ফেইসবুকে ঢোকলাম। সময় কাটছিল না তাই ভাবলাম ৩-৪ টা মেয়ের সাথে চ্যাটিং করলে ২-৩ ঘন্টা এমনি কেটে যাবে। তাই আমি ফেইসবুকে চ্যাটিং করছিলাম। কখন যে আমার পাশে তানিশা এসে বসে আছে আমার খেয়ালই করি নাই । দেখলাম আমার চ্যাটিং ও মনোযোগ দিয়ে দেখছে আর রাগে ফুলছে । মনে মনে ভাবলাম আজকে আমাকে কে বাঁচাবে। কিন্তু না আমার সাথে কিছুই হল না। আমার বদলে আমার শখের মোবাইল টা শহীদ হইলো। আমার হাত থেকে ফোন টা নিয়ে ফ্লোরে আছাড় মারে এতে করে আমার ফোনের বডি , কলিজা , হার্টবিট , সব আলাদা হয়ে যায়। বেচারা আমার জন্য বিনা আন্দলনে শহীদ হইলো।আমার এতো শখের মোবাইল টা হারামজাদি ভেঙে ফললো!! পরেরদিন আমার অফিসে জয়েনিং ডেট ছিল । সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি জরুরি কাগজ পত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। )
– রাহী কোথায় যাস? ( Ammu)
– আম্মু আজকে একটা চাকরীর ইন্টারভিউ আছে।(Rahi)
– ওকে ভালো করে দিস ইন্টারভিউ।( Ammu)
– ওকে আম্মু ।( RaHi)
( আম্মু কাছে থেকে বিদায় নিয়ে অফিসে এসে বসে আসি । এক পিয়ন এসে আমাকে ডাক দিলো। )
– মিস্টার রাহী স্যার আপনাকে ভেতরে ডাকছেন। ( P.)
( আমি ভিতরে যাই)
– may I come in sir . ( RaHi)
– is come in তুমি রাহী তাই না ? ( Sir)
– জ্বী স্যার।( RaHi)
– কাল আমাকে ফয়ছল সব বলেছিল তোমার কথা। তোমার ফাইল গুলো আমাকে দাও । ( Sir)
– এই নেন । ( RaHi)
– মি. সাব্বির উনাকে উনার কেবিন দেখিয়ে দিন ?( Sir) ( উনার পিয়ন কে বললেন )
– আসুন আমার সাথে? ( P.)
– চলুন । ( Me)
( উনি আমাকে কেবিন দেখিয়ে চলে গেল । আমি কিছুক্ষণ বসে ছিলাম তার পর স্যার ডাকলো।)
– স্যার আমার চাকরির হয়ে যাবেতো?( Me)
– আরে তোমার চাকরী তো কালকেই হয়ে গেছে । আমি শুধু তোমার ফাইল গুলো একটু দেখছিলাম।( Sir)
– সত্যি স্যার।(me)
– এবার বলো তোমার Salary কতো দিলে চলবে?( Sir)
– আমি কি বলবো স্যার আপনি বলেন । ( Me)
– ৩০ হাজার হলে চলবে? ( Sir)
– আপনি যা ভালো বুঝেন স্যার । ( Me)
– ফয়ছল আমার ছেলের মতো তাই তুমি কোনো চিন্তা করো না । আজ থেকে তুমি এই কোম্পানির ম্যানেজার ওকে । (Sir)
– ধন্যবাদ স্যার।( me)
( তারপর আমি অফিস থেকে চলে আসি । আজকে আমার অনেক খুশি লাগছে। হটাৎ মনে পড়লো আজকে তো তানিশার জন্ম দিন । ওকে আজকে সারপ্রাইজ দিতে হবে । বাড়ি আসার সময় সব জিনিস পত্র নিয়ে এলাম। আর সবার জন্য মিষ্টি ও নিয়ে এলাম। আম্মু দরজা খুলে দিতেই আম্মু কে মিষ্টি খাওলাম।
– মিষ্টি কি জন্য ( ammu)
– আম্মু আমার নতুন চাকরি হয়ে গেছে। ( Me)
– এটাতো খুব ভালো কথা । তোর আব্বু শুনলে অনেক খুশি হবে। ( Ammu)
– আম্মু চুটকি কই? ( Me)
– কি ব্যাপার আজকে তানিশা কে না খুঁজে তাসনিয়া কে ? ( Ammu)
– আম্মু তুমি না? ( Me)
– ওর ঘরে আছে । ( Ammu)
( আমি গিয়ে চুটকির সাথে দেখা করলাম। তার পর রুমে চলে এলাম। তানিশা কে বললাম আমার সাথে একটু আসতে। )
– কোথায় যাবো ? ( Tanisha)
– আমার সাথে চলুন না।( Me)
( তার পর আমি ওকে ছাদে নিয়ে গেলাম। ছাদে যাওয়ার আগেই আমি ওর চোখ বন্ধ করে নিলাম।)
– কি করিস ? ( Tanisha)
– চুপ… ( Me)
( আমি ছাদে নিয়ে গিয়ে চোখ ছেড়ে দেই । তানিশা চোখ খুলে অবাক হয়ে যায় ছাদের মধ্যে মম বাতি দিয়ে লিখা Happy Birthday to you Tanisha . আমি ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বললাম।
– Happy Birthday Tanisha.( Me)
– Thank you so much. ( Tanisha)
– I Love you Tanisha, I really love you . ( Me)
( এই বলে আমি তানিশার হাতে আংটি পরিয়ে দেই। কিন্তু এর মধ্যে তানিশার কোনো রিয়াকশন নেই । আমি অবাক হয়ে যাই। )
– কিছু বলছো না যে? ( Me)
– … ( Tanisha)
– আমি কি তোমার ভালোবাসার যোগ্য না ?
– সেটা না ।( me)
– আজকে যদি তুমি কিছু একটা না বলো তাহলে আমি ! ( Tanisha)
( বলেই চাকু নিয়ে হাতে ধরি ।
– কি করছিস কি ? ( Tanisha)
– আজকে যদি ভালোবাসার কথা না বলো তাহলে আজকে আমি হাত কেটে ফেলবো। আর এই জীবন রাখতে চাই না?( Me)
( বলেই চাকু দিয়ে হাতে টান দিতেই যাবো তখন তানিশা দৌড়ে এসে চাকু ফেলে দিয়ে জরিয়ে ধরে কান্না করতে করতে ..)
– কি করছিস তুই , তোর কিছু হলে আমার কি হবে? ( Tanisha)
– কেনো তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না ? (Me)
– কে বলছে অনেক ভালোবাসি তোকে? (Tanisha)
– তাহলে বলো নি কেন আগে? ( Me)
– এমনি ,তুই কখনো বলেছিস? ( Tanisha)
– বলেছি ? ( Me)
– ভালো করছিস ? ( Tanisha)
– ভালোবাসি..( me)
– জানি তো। ( Tanisha)
( অনেকক্ষণ তানিশা আর আমি একে অপরকে জরিয়ে দরে থাকি ।)
– কেকটা কাটো? ( Me)
– তোর মনে ছিল ? ( Tanisha)
– আমার এক মাত্র বউয়ের জন্মদিন আমার মনে থাকবে না ? ( Me)
– হয়েছে হয়েছে আর পাম মারতে হবে না । ( Tanisha)
( তারপর আমি আর তানিশা মিলে কেক টা কাটি । আমি ওকে খাইয়ে দেই আর ও আমাকে খাইয়ে দেয় ।এই মুহূর্ত টা আমার কাছে মনে হলো নতুন অনুভূতি। এতো দিন পর আজকে আমার খুশি লাগছে। )
– অনেক রাত হয়েছে চলো এখন ? ( Me)
– এমন ভাবে যাবো না ? ( Tanisha)
– তাহলে( me)
– আমি হেঁটে যেতে পারবো না ? (Tanisha)
– তাহলে কিভাবে যাবেন? ( Me)
( বুঝতে পারছিলাম ও আমার খুলে উঠে যাওয়া কাথা বলছে তার জন্য এমন করে বলেছে । আমি না বুঝার ভান করলাম।)
– সব কথা কি মুখে বলতে হবে ? ( Tanisha)
– বুঝতে পারছি। ( Me)
( বলেই তানিশা কে খুলে তুলে নিলাম। ও আমার গলা জড়িয়ে ধরলো। আমি ছাদ থেকে ওকে রুমে নিয়ে আসলাম। রুমে এসে তো তানিশা অবাক হয়ে যায়! রুমটা এতো সুন্দর করে কে সাজালো । তানিশার পছন্দ সব ফুল দিয়ে সাজানো। )
– পছন্দ হয়েছে? ( Me)
– হুম অনেক, কে করলো এসব? ( Tanisha)
– সেটা না হয় পরে জানবে? ( Me)
– ওকে । ( Tanisha)
( তার পর আমি দরজা লাগিয়ে তানিশা কে বিছানায় ফেলে দেই।)
চলবে….?
[ ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]