গল্প – #চাচাতো_বোন_যখন_বউ,পর্ব-১৪,১৫
✍️ #লেখক_আহমেদ_রাহী
১৪
* দরজা বন্ধ করে আমি তানিশাকে বিছানায় ফেলে দিলাম। আমি তানিশার উপর উঠে ওকে দেখতে থাকি । তানিশা আমাকে ধাক্কা দেয় কিন্তু লাভ হয় না । আমি ওর কাছে যেতেই তানিশা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে নেয় । আমি ওর গোলাপী ঠোঁটে কিস করতেই ও কেঁপে উঠে। আমি আস্তে আস্তে ওর ঠোঁটে কিস করতে করতে গলায় কিস করি । এর পর তানিশা নিজেই আমার উপর ঠোঁটে কিস করতে শুরু করে । তার পর আমার দু’জনেই হারিয়ে যাই ভালোবাসা অতল সাগরে। সকালে আমার আগেই তানিশার ঘুম ভেঙে যায়। তানিশা দেখে আজকেও আমার বুকের উপর শুয়ে আছে। তানিশার কাছে আজকে সকাল টা একদম অন্যরম । অনেক খুশি খুশি লাগছে কিন্তু কাল রাতের কথা মনে পড়তেই কিছুটা লজ্জা পায় । তাকিয়ে দেখে এখনো রাহী ঘুমিয়ে আছে। তাই রাহীর কপালে আলতো করে একটা কিস দেয় । এতে রাহী তানিশা কে আরো শক্ত করে জরিয়ে দরে। তানিশা বুঝতে পারে রাহী জেগে আছে এখনো । তাই রাহীর কাছ থেকে ছাড়ার জন্য চেষ্টা করে কিন্তু পারে না । রাহী আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে কিস দেয় ।
– কি মশাই ,সারা রাত তো ঘুমাতে দেন নাই এখন আবার কি হুম? ( Tanisha)
– এখন ওইটা ? ( RaHi)
– একদম না সারা রাত আদর করে শখ মিটেনি ।( Tanisha)
– না এখন একটু .. ( RaHi)
– নো মিস্টার? (Tanisha)
– ওকে একটা কিস তো দিবা ? ( RaHi)
– ওকে চোখ বন্ধ করো ? ( Tanisha)
– কেনো এখন আবার লজ্জা কি ?( RaHi)
– চোখ বন্ধ করতে বলছি বন্ধ কর?( Tanisha)
– ওকে ( RaHi)
* আমি চোখ বন্ধ করলাম। একটু পর তানিশা ওর ঠোঁটে টা আমার ঠোঁটের সাথে এক কারে দিল । বাহ্ সকাল সকাল এমন মিষ্টি খেয়ে ঘুম ভাঙলে Life টাই সুন্দর হয়ে যেত । তারপর তানিশা গোসল করতে চলে যায়। আমি শুয়ে রইলাম । তানিশা গোসল করে এসে দেখে আমি এখনো ঘুমিয়ে আছি ।
– কি ব্যাপার উঠবে না ? নাকি সারাদিন শুয়ে থাকবে?( Tanisha)
– এই শুনো? ( RaHi)
* তানিশা চুল মুছতে মুছতে আমার কাছে আসতেই আমি টান দিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসি। এতে ওর ভিজা চুল আমার মুখে উপর পড়ে। চুল থেকে এতো সুন্দর সুগন্ধি আসছিল সেটা মনে হয় সব পারফিউম কে হার মানাবে । তানিশা আমাকে মুখের উপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে নেয় । মেজাজটা খারাপ করে দিল । কতো সুন্দর লাগছিল দিল তো ১২ টা বাজিয়ে।
– কি হলো এইটা? ( RaHi )
– তুমি তো আমাকে তোমার উপরে ফেলে দিলে? ( Tanisha)
– চুল গুলো কেনো সরালে কতো ভালো লাগছিল ।( RaHi)
– আমি জানিনা কি ! ( Tanisha)
– মাথামোটা ( RaHi)
– কি বললে? ( Tanisha)
– কিছু না । আজকে তোমাকে এতো সুন্দর লাগছে কেনো?
– আগে সুন্দর লাগত না বুঝি? ( Tanisha)
– আগে লাগত কিন্তু তার থেকে বেশি এখন লাগছে। মন চাচ্ছে সারাদিন আজকে তোমাকে আদর করি । ( RaHi)
– চুপ বদমাইশ…( Tanisha)
– হাহাহা ( Rahi )
– এবার ছাড়ো অনেক দেড়ি হয়ে যাচ্ছে বাইরে যেতে হবে।( তানিশা)
– ওকে ।( রাহী)
( তানিশা চলে যায়। আমি ও ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যাই। তানিশা কিচেন আম্মুর কাছে গিয়েছে রান্না শিখতে। )
– তুই কেনো এখানে এলি? ( আম্মু)
– আমাকে তো কোনো কাজ ওই করতে দেও না । তোমার একটু হেল্প করি । ( তানিশা)
– হাহাহা.. ( আম্মু)
– কি ব্যাপার তুমি এভাবে হাসতেছ কেনো? ( তানিশা)
– তুই কাজ করতে হবে না রাহীর কাছে যা। ( আম্মু)
– যাচ্ছি তবে হাসছো কেনো বলবে তো?( তানিশা)
( তারপর তানিশা চলে যায় রাহির কাছে। )
– কি ব্যাপার ম্যাডাম ( রাহি)
– আম্মু আমাকে দেখে বার বার এভাবে হাসছে কেনো( তানিশা)
– কি বলো?( রাহী)
– হ্যা বললাম হাসছো কেন , বলে কিছু না তোমার কাছে যেতে বলেছে। ( তানিশা)
( আমি ওর দিকে একটু ভালো করে তাকিয়ে , হাত ধরে ঘরে নিয়ে আসলাম। )
– কি হলো এভাবে নিয়ে আসলে কেনো? ( তানিশা)
– এই দেখো? ( আমি)
( আমি আয়নার কাছে ওকে দাড় করিয়ে গলায় আর ঘাড়ে দেখালাম )
– ওহ্ আল্লাহ এসব দাগ ?( তানিশা)
একটু লজ্জা পেয়ে)
– তুমি এসব না দেখে গিয়েছিলা কেনো?( রাহী)
– আমি বুঝি নাই । ( তানিশা)
– সরি কাল রাত হয়তো অনেক ব্যাথা লেগেছে তোমার। আমার এমন করা ঠিক হয়নি। ( রাহী)
– তোমার ভালোবাসার কাছে কখন যে ব্যাথা লেগেছে বুঝতেই পারি নাই । ( তানিশা)
( আমি সকালে নাস্তা করে অফিসে চলে গেলাম। আজকে প্রথম দিন তাই লেট করলাম না । আমি অফিসে চলে আশায় তানিশার ভালো লাগছিল না তাই ও চুটকির কাছে যায়। )
– কি ব্যাপার ভাবি আজকে তুমি এতো সকাল উঠেছো? ( চুটকি)
– রোজ ওইতো উঠি ।( তানিশা)
– আমিতো ভাবছি আজকে সারাদিন ঘুমাবে?( চুটকি)
– কেনো?( তানিশা)
– কালকে রাতে এতো কিছু করলাম তোমাদের জন্য। আমিতো ভাবছি আজকে সারাদিন তুমি ঘুমাবে.. (হাসতে হাসতে কথা টা বললো)( চুটকি)
– কি তার মানে তুই ঘরটা সাজাই ছিলি ?( তানিশা)
-জ্বী , আর আমি জানতাম তোমাকে ভাই সারপ্রাইজ দিবে।( তানিশা)
-: আগে থেকেই সব জানতি , আমাকে বললি না শয়তান্নি?( তানিশা)
-: এহ্ বললে ভাইয়ের কি হতো ! আমার ভাই আমার কিউট ভাবিটাকে কতো ভালোবাসে । ( চুটকি)
-: তোরা দুই ভাই বোন আস্থা বদের হাড্ডি।( তানিশা)
-; আমার কিউট ভাবি…( চুটকি)
-: কি ব্যাপার এতো তেল মারছিস কেনো?( তানিশা)
-: হিহিহি, কিছু না ।( চুটকি)
( দুপুরের দিকে ভাবলাম তানিশাকে একটা ফোন দেই খেয়েছে কিনা । কিন্তু পরক্ষনেই মনে হলো আমার ফোন তো বিনা আন্দলনে শহীদ হয়েছে। ফোন টা আর দেওয়া হলো না ভাবলাম তানিশার হাতের ফোনটা নষ্ট একটা কিনে দিতে হবে । বিকালে বাড়িতে আসার সময় তানিশার জন্য আইসক্রিম আর চুটকির জন্য চকলেট নিয়ে আসলাম। দরজায় কলিং বেল দিতেই তানিশা এসে দরজা খুলে দিল । আইসক্রিম টা ওর হাতে দিলাম আর চকলেট চুটকি কে দেওয়া জন্য বললাম। রাতে খাবার খেয়ে রুমে এসে বসে আছি। দেখি একটু পর তানিশা আসলো । এসে আমার পাশে বসলো । আমি ওর কাঁদে হাত রাখতেই সরিয়ে দিল আবার হাত দিতে আবারো সরিয়ে দিলো।
-: কি ব্যাপার ম্যাডাম আজকে এতো রেগে আছেন যে?(আমি)
-: কালকের সব প্ল্যান চুটকি জানতো তাই না ?রাগি লোক নিয়ে( তানিশা)
-: না মানে হ্যা.. ভয়ে( আমি)
:- পিচ্চি মেয়েটাকে নিজের মতো করে তৈরি করছো?( তানিশা)
-: ও পিচ্ছি হা হা , এখনই সব বুঝে..(আমি)
-: তার মানে কিছু না বাবু..
-:এই একদম আমাকে বাবু বলবি না আমি কারো বাবু নয়। ( তানিশা)
-: আরে সুনা রাগ করছো কেনো? নিজের করে পেতে একটু হেল্প করছে ।
-: ….
-: এবার একটু কাছে এসো আদর করি …!
( বলেই জরিয়ে ধরে কিস দিলাম।)
-: এবার হয়েছে তো ছাড়ো আমায় , এখনো মন ভরে নাই ?
-: হুম মন ভরে নাই আরেক টা দিলে ভালো হত ।
-: একটা কেনো হাজার টা দিবা ,তবে একটা শর্ত আছে , সেটা মানতে হবে ।
-: আগে বলো রাখবে , আমার কথায় ঠান্ডা মাথায় জবাব দিবে ।
-: হুম দিবো,বলো?
-: অফিসে কি কোনো মেয়ে আছে, তাদের সাথে কি তুমি কথা বলো?
( তানিশা কথা শুনে রাহি রাগে আগুন। কিন্তু কথা দেওয়ার কারনে ,ঠান্ডা মাথায় জবাব দিল)
-: দেখ অফিসে মেয়ে মানুষ থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলি না ।
-: তাদের সাথে কি হেসে হেসে কথা বলো। যদি বলো এখন থেকে আর বলবে না কেমন ।
-: ঠিক আছে। কিন্তু তারা যদি বলে।
-: বলবে এসব ঠিক নয় , আর বেশি বললে বলবে বউ বারন করছে ।
-: কিন্তু অফিসের সবাইতো জানে আমি এখনো বিয়ে করেননি।
-: কি??? ওই হারামজাদা তুই আমাকে বিয়ে করিস নাই , আদর করিস নাই ? তার পরেও কেনো বলিস নাই তোর বিয়ে হয়েছে? এখন বুঝেছি আমায় রেখে তুই অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম করে বেড়াস , ছি ছি তুই এতো খারাপ?
-: আরে কি বলো? কার সাথে প্রেম করতে যাবো । আর কেনবাই করবো ! ঘরে এতো সুন্দর বউ থাকতে।
-: তুমি সত্যি অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম করো না ?
-: নারে বাবা । সত্যি কারো সাথে প্রেম করি না ।আর তুমি এতো দিনে এই চিনলে আমাকে?
-: কাল অফিসে গিয়ে সবাইকে বলে দিবে তোমার বিয়ে হয়েছে। আর যদি না বলো তাহলে তোমার সাথে কখনো কথা বলবো না , তোমাকে আদর করবো না , বলে দিলাম কিন্তু।
-: হুম বলবো ।
-: এইতো আমার লক্ষী জামাই ।
সকালে
-: এই তুমি উঠো সকাল হয়েছে, অফিসে যেতে হবে না ।
-: উঠছি
-: উঠছি মানে, তাড়াতাড়ি উঠো না হলে পানি ঢেলে দিবো ।
-: এই যে উঠে পড়েছি । আর আমি আগেই টের পেয়েছি, কিন্তু ইচ্ছে করে উঠি নি ।
-: কেনো কেনো?
চলবে…?
গল্প – #চাচাতো_বোন_যখন_বউ ( পর্ব-১৫ )
✍️ #লেখক_আহমেদ_রাহী
________________________
-: এই যে উঠে পড়েছি । আর আমি আগেই টের পেয়েছি, কিন্তু ইচ্ছে করে উঠি নি ।
-: কেনো কেনো?
-: দেখলাম আমার বউটা ঠিক টাক কাজ করতে পারে কি না ।
-: হুম ভালো করেছেন জনাব, এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন, আমি নাস্তা রেডি করছি।
( আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম। )
-: এই যে কাল কি বলেছিলাম সব মনে আছে তো ?
-: হুম সব মনে আছে , (আরেকটি কথা মনে করেও করতে পারছি না ! মনে মনে ভাবছি)
-: কি হল এভাবে দাঁড়িয়ে আছো যে অফিস যাবে না?
-; তো কি করবো তুমি যেতে দিলে কই?
-: আমি আবার কি করলাম! তোমাকে টেনে ধরেছি নাকি?
-: ধরেছে ওইতো এখনো একটা কিস দিয়েছ না বলেছ?
-: ওহ্ আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম। তার জন্য বুঝি আমার বর টা রাগ করে দাঁড়িয়ে আছে । দাঁড়াও দিচ্ছি, উমমমমমমম্মাহ ।
( হুম কিন্তু এখন আর রাগ হচ্ছে না ।আমি তানিশার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে অফিসে চলে এলাম। আজ একটু খুশি খুশি লাগছে। তানিশার কথা ভাবছিলাম হটাৎ কারো আসার শব্দ শুনে আমি চমকে উঠলাম। )
-: স্যার এসে বিরক্ত করলাম নাতো? ( একটা মেয়ে)
-: না , কি জন্য এসেছেন বলুন ?
-: এমনি এসেছি স্যার , আসলে আজকে আপনাকে অন্য রকম লাগছে।
-: ও আচ্ছা, না আমি ঠিক আছি, আপনি এবার আসুন ।
-: ওকে স্যার।
(তখন পি. আসলো)
-: স্যার একটু পর একটা মিটিং আছে , আপনাকে থাকতে হবে। না হলে অনেক বড় সমস্যা হয়
-:এখন তো আমি চলে যাবো , আপনার সবাই থাকুন ।
-: না স্যার আপনাকে থাকতেই হবে !
-: কিন্তু আমিতো।
-: না স্যার আপনাকে থাকতেই হবে অনেক বড় সমস্যা।
-: ঠিক আছে সবাইকে বসতে বলুন আমি আসছি।
* আমার এখন বাড়িতে যাওয়ার সময় , কিন্তু আজ একটা মিটিং থাকার কারণে, কোনো উপায় না পেয়ে থাকতে হল , মিটিং এ থাকাটা অনেক বড় জরুরি।
-: মিস্টার রাব্বি ফাইল গুলো আপনি সব ভালো করে দেখ নিয়েছেন তো ।
-: আমি দেখেছি স্যার আপনি শুধু দেখলেই হবে ।
( আমি ফাইল গুলো দেখছিলাম ,তখন আমার ফোনটা বেজে উঠলো , একটু ব্যস্ত থাকার কারনে ফোনের দিকে নজর দিলাম না । )
-: মিস্টার রাব্বি,সব ঠিক আছে, উনাদের কে সামনের সাপ্তাহে আসার জন্য আমন্ত্রণ করেন।
আমার ফোনটা আবারো বাজতে শুরু করলো।
-: স্যার আপনার ফোন বাজছে?
-: হুম দেখছি একটু ওয়েট করেন।
রাহী সেখান থেকে সরে এসে ফোনটা হাতে নিলো। ফোনটা রিসিভ করতেই
-: কি ব্যাপার কখন থেকে তোমাকে ফোন করে যাচ্ছি তুমি ফোন রিসিভ করলে না কেনো, আর কোথায় তুমি? ( তানিশা)
-: অফিসে ,আর তোমার বুঝা উচিত হয়তো কোনো কাজে আটকে গিয়েছি বিদায় ফোনটা রিসিভ করিনি। তার পরেও কেনো বিরক্ত করে যাচ্ছো?
-: অফিসে মানে, অফিসে টাইম তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তার মানে তুমি অন্য মেয়েদের সাথে আড্ডা দিচ্ছ , যা ভেবেছিলাম তাই হলো!
-: এখন কিন্তু অনেক বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে, ফোন রাখছি আমি এখন ব্যস্ত আছি।
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম, এভাবে রেগে কথা বলা আর হুট করে ফোন রেখে দেওয়ায় তানিশার একটু সন্দেহ হল ।আর মনে মনে ভাবছে…
তাহলে কি রাহী আমাকে ধোঁকা দিচ্ছে! না এর শিকর আমাকে টেনে বের করতে হবে।
মিটিং শেষ করে দুঘন্টা পর বাড়িতে আসলাম, এসে দরজায় কলিং বেল চাপ দিলাম সাথে সাথেই তানিশা এসে দরজা খুলে দিল। এতক্ষণ নিশ্চয়ই পথের দিকে চেয়ে ছিল। তখন বলতে লাগলো…
– এই ছেলে কি পেয়েছিস কি ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়েদের সাথে মেলামেশা করবি ,আর বাড়িত এসে এমন ভাব করি যেনো এখন অফিসে থেকে এসেছিস ?
– তানিশা এখন কিন্তু একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
– আমি বাড়াবাড়িই করছি , সত্যি বললাম তো তাই শুনতে খারাপ লাগছে…?
আমি নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে নিজের গালে নিজেই দুইটা থাপ্পড় মারি ।
– এমনিতেই আজকে কাজের অনেক ধকল গেছে, তার উপর বাড়িতে আসতে না আসতেই কি সব শুরু করে দিয়েছো। আমি তোমাকে আগেই বলেছি আমার কোনো মেয়ের সাথে মেলামেশা নেই । আগে যাই একটু কথা বলতাম এখন তাও বলি না কারনে তুমি আছো, তোমাকে নিয়েই ভাবতে চাই।
– তাহলে আজ এতো লেট করলি কেনো? ফোন করলাম কথা না বলে কেটে দিলি নিশ্চয়ই তখন পাশে কোনো মেয়ে ছিল ।
– ছিল তবে কোনো বাজে মেয়ে ছিল না ।
– তাহলে কেন বললি না ?
– কাজে আটকে গিয়েছিলাম,তার উপরে একটা মিটিং ছিল ।
– সরি ,আগে বলো নি কেনো তাহলে তো এতো বাজে ভাবে বকা দিতাম না ।
( আমার বুকের উপর ঠুস করে মাথা রেখে কথা গুলো বললো।)
– আমাকে বলার সুযোগ দিয়েছো তুমি?
– সরি বাবা এবার ফ্রেশ হতে যাও।
( রাতে খাবার খেয়ে যে যার মতো রুমে চলে গেলো। আমি রুমে এসে অভিমান করে বসে আছি। )
– কি হলো এভাবে মোখ গোমরা করে বসে আছো কেনো?
– …( নিশ্চুপ
– কি হলো আমার পাগল টার ..
– (নিশ্চুপ..
– কি হলো এভাবে মোখ গোমরা করে বসে আছো কেনো কথা না বললে কিন্তু আমি অন্য রুমে চলে যাবো বলে দিলাম..
– যাও না কেন আটকে রেখেছে?
– তুমি এখনো আমার উপর রেগে আছো?
– এই যে কান ধরেছি আর কখনো এমন হবে না সরি বাবু..( কান ধরে বলছে)
– এসব বলে কাজ হবে না ঘুষ লাগবে?
– ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া আমি পছন্দ করি না।
( তানিশা বুঝতে পারছে রাহীর কিসের নেশায় ধরছে । তাই একটু দুষ্টুমি করে বললো..)
– তুমি পছন্দ করতে হবে না আমি পছন্দ করি তাই আমি ঘুষ নিবো।
– আমি না দিলে তুমি কিভাবে নিবে?
– না দিলে জুর করে আদায় করে নিবো
( বলেই তানিশা দিকে এগোচ্ছি, আর তানিশা পিছনে যাচ্ছে.. )
– একদম কাছে আসবে না .
– আসলে কি করবো?
– খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু
– খারাপ টাই তো দেখতে চাই।
( এই বলে আমি তানিশার কাছে গিয়ে গলায় কিস করে আস্তে আস্তে ঘারে চুমু দিচ্ছিলাম। এর পর দু’জনের নিঃশ্বাস ঘন হয়ে যায় ।এর পর আমি তানিশাকে খুলে করে নিয়ে বিছানায় ফেলে দেই। অনেক খুনসুটি দুষ্টুমি করে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ি। আজকে একটু বেলা হয়েগেছে কারো উঠার নাম গন্ধ নেই। তখন আম্মু ডাক দিলো..
– কি হয়েছে রাহী , অনেক বেলা হয়েগেছে এখনো উঠছিস না অফিসের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে তো..
– হুম আম্মু একটু ঘুমাই ।
– আর ঘুমাতে হবে না আর ঘুমালে তোমার অফিসে যাওয়ার হবে না ।
– আচ্ছা উঠছি।
( তার পর আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে অফিসে চলে এলাম। দেখি রাব্বি আমার কেবিনে বসে আছে। )
– কি ব্যাপার..
– কিছু না স্যার অন্য দিনের তুলনায় আজকে একটু লেট হয়েছে..
– হুম আচ্ছা যাও কাজ করো গিয়ে।
( রাব্বি চলে গেল, আমি কেবিনে বসে কাজ করছিলাম, তখন আমার ফোনটা কান্না করে উঠলো। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি অচেনা নম্বর..)
– খুব বিজি আমাকে একটু সময় দিতে পারো না ..
চলবে….?