#চাদর_জড়ানো_চিরকুট
#পর্বঃ- ১০
রবিউল তখন ছেলেটার শার্টের কলার চেপে ধরে বললো,
– বল কি ছিল এই জুসের মধ্যে? কার কথায় তুই এই কাজ করেছিস তাড়াতাড়ি বল।
ছেলেটা এবার ভয় পেয়ে গেল। সে আমতা আমতা করে বললো,
– আমি কিছু মিশাইনি স্যার, বিশ্বাস করুন। আসলে আপনারা খাবার আগে খেয়াল করেননি, যে জুসের রঙটা সম্পুর্ন লাল ছিল।
রবিউল এবার কলার ছেড়ে দিল। তার মনে পড়ে গেল সত্যি সত্যি জুসটা লাল ছিল। তারমানে কি লতার রক্তিবমি নয়, বমির সঙ্গে জুস বের হয়েছে। আর সেটাকে রক্তের মতো মনে হচ্ছে। এমনিতেই লতা একটু আগে তাকে বলেছে তার নাকি বমি পাচ্ছে খুব। তাই হয়তো শুধু জুস খেয়ে পেটে মোচড় দিয়ে আবারও বমি করেছে।
রবিউল লতার কাছে এসে তার একটা হাত ধরে বললো,
– বমি ছাড়া শরীরে আর কোনো যন্ত্রণা লাগে? মানে মুখ পেট গলা ইত্যাদি জ্বালাপোড়া করে?
লতা মাথা নাড়িয়ে না বলে দিল। রবিউল খানিক আস্বস্ত হলো, কিন্তু লতার শরীর এতটা খারাপ হয়ে গেছে সে জানতো না। এজন্যই হয়তো বাসের ভিতরে ওভাবে ঘুমিয়ে ছিল। নাহলে রবিউলের ঘাড়ে মাথা রেখে ঘুমানোর কথা নয়।
বাসের সুপারভাইজার পাশের টেবিলে ছিলেন। তিনি উঠে এসে রবিউলের দিকে তাকিয়ে বললো,
– কি হয়েছে ভাই?
– রবিউল বললো, ওর শরীরটা ভালো না। বমি করেছে কয়েকবার।
– বাহিরে গিয়ে বমির ওষুধ নিয়ে নেন, আপাতত কিছু খাবার দরকার নেই।
– হ্যাঁ তাই করতে হবে।
লতার হাত ধরে নিজেই সঙ্গে করে ওয়াশরুমে নিয়ে গেল রবিউল। লতা হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে রবিউলের সঙ্গে হাঁটতে লাগলো। বমি করার পরে এখন খানিকটা ভালো লাগছে।
যাত্রী সবাই অপেক্ষা করছে। রবিউল ও লতা গাড়িতে উঠে বসলো রবিউল বলেছিল আপাতত যাবার দরকার নেই। আশেপাশে কোনো ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে পরে নাহয় ঢাকায় রওনা দেবে। কিন্তু লতা রাজি হচ্ছিল না।
বাস আবারও চলতে শুরু করেছে। সুপারভাইজার এসে দুটো পলিথিন দিয়ে গেছে। পুনরায় যদি বমি আসে তাহলে পলিথিন ব্যবহার করবে।
বাস চলতে শুরু করার কিছুক্ষণ পর লতা বললো,
– আমি বমি করার পরে আপনি ওই ছেলেটার সঙ্গে ওভাবে ব্যবহার করলেন কেন?
– কীভাবে ব্যবহার করেছি?
– আপনি ভেবেছিলেন সে হয়তো আমাকে কিছু খাইয়েছে। আর সেজন্য তাকে আপনি মারতে গেলেন তাই না?
– রবিউল চুপচাপ।
– আপনি নিজেই তো আমাকে মেরে ফেলবেন। না মারলেও আমার সারাজীবন বেঁচে থাকার সকল সুখ কেড়ে নিয়েছেন। তাহলে সেই অনুযায়ী তো আপনার ও শাস্তি হওয়া দরকার, তাই না?
– হাহাহা কে দেবে আমাকে শাস্তি? আপনি?
– আল্লাহ আপনার শাস্তি কার হাতে লিখেছেন তা তো জানি না। কিন্তু সব মানুষ তার কর্মের ফল ভোগ করে এটা জানেন তো?
– তাহলে আপনার এই পরিস্থিতির জন্যও তো কৃতকর্ম আছে তাই না? নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ ছিল সেটার শাস্তি পাচ্ছেন।
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল লতা চৌধুরী। এই ধরনের যুক্তি দিয়ে একজন খুনি কথা বলতে পারে ধারণা করতে পারে না।
– রবিউল বললো, হয়তো আপনিও কারো কাছ থেকে তার ভালোবাসার মানুষকে আলাদা করে দিয়েছেন। তাই প্রকৃতি আমার মাধ্যমে আপনার স্বামীকে আপনার জীবন থেকে কেড়ে নিল।
★★★
ডিবি হাসান বারবার কলিং বেল বাজিয়ে অপেক্ষা করছে কিন্তু এখনো কেউ দরজা খুলে দেবার কোনো নামগন্ধ নেই। সে বিরক্ত হয়ে আবারও বেল বাজালো। একটু পরে দরজা খুলে দেবার শব্দ পাওয়া গেল। দরজা খুলে দিয়ে এক বৃদ্ধা মহিলা দাঁড়িয়ে আছে, হাসানকে চিনতে পারেনি এটাই তার দৃষ্টির ভাষা।
– আমি ডিবি পুলিশ, আপনার সঙ্গে কথা আছে।
– পুলিশ! কিন্তু এখানে কেন?
– এখানে তিথি বিথি নামের কেউ থাকে? আমি একটু তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই।
মহিলার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। তিথি বিথির সন্ধানে কেউ আসবে এটা তার ধারণা ছিল না। লোকটা ডিবি পুলিশ তাই তাকে ভিতরে আসতে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। হাসান পিছনে পিছনে ভিতরে প্রবেশ করলো। ড্রইং রুমটা বেশ পরিপাটি করে সাজানো, কোনো গোছানো মেয়ে এখানে আছে সেটা নিশ্চিত।
হাসান বললো,
– তিথি বিথি কোথায়?
– মহিলা বললো, এখানে তিথি বিথি নামের কেউ নেই। আমি এ নামের কাউকে চিনি না।
হাসান হাসলো। মহিলা মিথ্যা কথা বলতে পারে না তাই চেষ্টা করে লাভ নেই।।
– আমি জানি তিথি বিথি আছে, যদিও যিনি খবর দিয়েছেন সে মিথ্যা তথ্য দিতে পারে। কিন্তু এখানে এসে আমি বুঝতে পারছি যে খবর একদম সত্যি।
– কীভাবে বুঝলেন? আর আমি মিথ্যা কথা কেন বলবো বলেন তো?
– এটা তিথি বিথির বাসা না হলে আপনি দরজার সামনে থেকে আমাকে না করে দিতেন। ভিতরে প্রবেশ করার আগেই বলতেন যে তিথি বিথি নামে কেউ নেই।
মহিলা চুপ করে রইল।
হাসান বললো,
– ভয় নেই, আমি তাদের কিছু প্রশ্ন করবো।
– ওরা তো গ্রামের বাড়িতে।
– কতদিন ধরে?
– মাসখানেক আগে থেকে ওরা গ্রামের বাড়িতে।
– আপনারা এখানে কতদিন ধরে থাকেন। আর কে কে আছে এখানে?
– দুমাস ধরে আছি। আমি আর আমার স্বামী মানে বিথির বাবা আর আমার ছোট ছেলে।
– আগে কোথায় ছিলেন।
– এতকিছু কেন জানতে চান? আমি আর কিছু বলতে চাই না।
– রবিউলকে চিনেন?
রবিউলের নাম শুনে মহিলার চোখ দুটো কোটর থেকে বেরিয়ে আসার মতো হয়ে গেল। মহিলা রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে হাসানকে হাত ধরে টেনে দাঁড় করালেন। তারপর টানতে টানতে রুম থেকে বের করে দিলেন। হাসান প্রতিবাদ না করে মহিলার গতি বুঝতে চেষ্টা করছেন। রবিউলের উপর তার এতো রাগ কেন বুঝতে পারলেন না ডিবি হাসান। আরো কয়েকবার দরজা ধাক্কা দিয়ে মন খারাপ করে চিন্তিত হয়ে বের হয়ে গেলেন। রবিউলের সঙ্গে নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা আছে নাহলে সে এতো রাগ করবে কেন? কিন্তু কি সেই ঝামেলা?
ভাবতে ভাবতে হাসান রাস্তায় নামলো।
★★★
দামপাড়া কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে সাজু ভাই ও রামিশা। বাস ছাড়তে এখনো কুড়ি মিনিট বাকি আছে। গতকাল এসে আবার আজকেই চলে যেতে হবে কল্পনা করেনি সাজু।
” লন্ডন এক্সপ্রেস ” বাসে উঠে রাজধানীর উদ্দেশ্য নিয়ে রওনা দিলেন সাজু সাহেব। কিছুক্ষণ আগে হাসান সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। হাসান যা বললো সেটাও ভাবাচ্ছে খানিকটা। কিন্তু রবিউল যা বলুক সেসব নিয়ে আর ভাবার সময় দেবে না।
হতে পারে এটাও একটা নতুন চাল। সাজু যদি এখন ওই মহিলার আচরণের কারণ খুঁজতে যায় কিংবা গ্রামের বাড়িতে যায়। এসব করতে গেলে রবিউলের উপর থেকে দুরে থাকতে হবে। আর সেই সুযোগে রবিউল অপরাধ করবে ঢাকায়।
খুব সুন্দর পরিকল্পনা।
মোবাইলে আবারও হাসানের কল এসেছে। সাজু ভাবলো যে কিছুক্ষণ আগে তো কথা হয়েছে তবে আবার কি বলতে চায়?
রিসিভ করে সাজু চুপ করে রইল।
হাসান বললো,
– সাজু, লতার বাবার সেই পুরনো এসিস্ট্যান্টের খোঁজ পাওয়া গেছে।
– বলেন কি? কোথায় সে?
– পুরান ঢাকা আজিমপুরে।
– আপনি কি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন, নাকি আমি এসে করবো।
– একটা কথা বলি সাজু?
– বলেন।
– এসব কেস মামলা ছাড়া বেশি অনুসন্ধান করা যায় না। আমি যতটুকু করছি সবটা নিজের হাতে করছি। সবচেয়ে ভালো হয় লতার পরিবার থেকে ভালো করে মামলা করলে তারপর।
– তিনি তো চট্টগ্রাম সজাগ করে ফেলেছে, এখন যদি জানতে পারে ওরা ঢাকায় গেছে তাহলে সে ঢাকায় করবে।
– তুমি কীভাবে নিশ্চিত যে রবিউল লতাকে নিয়ে ঢাকা আসবে। হতে পারে এটাও রবিউল মিথ্যা বলে বিভ্রান্তি করেছে। হয়তো কোনো মফস্বল শহরে লতাকে নিয়ে যাবে।
– আমার আসল টার্গেট রবিউল নয় ভাই, আসল টার্গেট দাদাজান নামের সেই ব্যক্তি। আর লতার বাবার খোঁজ নিতে হবে। শুধু শুধু রবিউলের পিছনে অযথা সময় নষ্ট করে লাভ নেই। ঘটনার কারণ যদি খুঁজে বের করতে পারি তাহলে তার পরিকল্পনা বুঝতে পারবো।
– ঠিক আছে তুমি ঢাকায় আসো, আর লতার বাবা যেন জামাই খুনের মামলা করে। আর সেই সাথে মেয়ে কিডন্যাপ হয়েছে এটাও।
– ঠিক আছে ভাই।
★★★
রবিউল আর লতা এখন দাউদকান্দি ব্রিজ পার হয়ে হচ্ছে। কাঁচের গ্লাসের উপর দিয়ে বাহিরে নদীর দিকে তাকিয়ে আছে লতা চৌধুরী।
রবিউল বসে আছে চুপচাপ।
লতা বললো,
– গতকাল এমন সময়ও আমার স্বামী বেঁচে ছিল তাই না রাফসান সাহেব?
– আপনাকে আগে আরেকবার বলেছি তার কথা আমার সামনে বলবেন না।
– একটা কথা বলি?
– বলেন।
– আপনি কখনো ভালোবাসার মানুষকে হারানোর কষ্ট পেয়েছেন?
– হ্যাঁ পেয়েছি।
– ওহ্, কীভাবে পেয়েছেন? নিশ্চয়ই তার অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে গেছে?
– না সে মারা গেছে।
– কীভাবে মারা গেল?
– এক্সিডেন্ট।
– আপনার অপরাধ জীবন শুরু হয়েছে কীভাবে?.
– আর কিছু বলতে চাই না, চুপচাপ বসে থাকেন নাহলে আবার বমি আসবে।
– ঢাকা গিয়ে আমাকে কতদিন আপনার হাতে বন্দী থাকতে হবে?
– সময় বলতে পারি না।
– আমার স্বামীর লাশটা আমি নিজের চোখে দেখতে পারলাম না। কতবড় কষ্ট।
– গতকাল তো দেখেছেন তাই না?
– চুপচাপ!
আরো পাঁচ মিনিট চুপ থেকে লতা বললো,
– আমি যদি আত্মহত্যা করে মারা যাই তাহলে আপনি আমার সম্পত্তি কীভাবে পাবেন?
– মরতে ইচ্ছে করলে মরবেন সমস্যা নেই। আমি নাহয় নতুন পরিকল্পনা করবো।
★★★
রবিউলের কাঁধে মাথা রেখে লতা যেভাবে ঘুমিয়ে গেছিল। ঠিক সেভাবেই রামিশার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে সাজু ভাই। সেই রাত তিনটার দিকে সজাগ হয়ে ছোটাছুটি করতে হয়েছে। যদিও তার আগে কিছুক্ষণ ঘুমিয়েছিল, তবু বাসে উঠে এসির ঠান্ডায় ঘুম এসে গেছে।
তারা এখন আছে বড় কুমিরা। বাস তীব্র গতিতে ছুটে যাচ্ছে। সাজুর ঘুম ভেঙ্গে গেল কারণ তার মোবাইলে কল এসেছে। চোখ মেলে তাকিয়ে সাজু সাজু মোবাইল রিসিভ করলো।
অপরিচিত নাম্বার।
– সাজু সাহেব বলেছেন?
– হ্যাঁ, আপনি?
– আপনার সঙ্গে আমার আগেও দুবার কথা বলা হয়েছে, পরিচয় দিলে চিনবেন।
– তাহলে পরিচয় দেন।
– উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় একটা লোকের সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে মনে আছে?
– জি, তারমানে আপনি সেই লোক যাকে রবিউল মাহিন কিংবা দলের সবাই দাদাজান বলে ডাকে।
– হ্যাঁ, চিনতে পেরেছেন তাহলে।
– আপনি আমাকে মারার জন্য আজিমপুরে বন্দী করেছিলেন সেটাও মনে আছে।
– রাব্বির সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে?
– গতকাল হয়েছিল, কেন?
– লতা চৌধুরী তার হাতে বন্দী, লতাকে উদ্ধার করার জন্য আপনাকে চেষ্টা করতে হবে।
– আপনার মুখে এই কথা?
– লতার বাবা আমার পরিচিত বন্ধু, তার মানসিক চাপ সহ্য হচ্ছে না। একসময় আমিই রাব্বিকে রবিউল থেকে রাব্বি বানিয়েছি৷ অথচ এখন সে আমাকেই মারতে চায়।
– এসব আমাকে বলার কারণ?
– লতা মেয়েটা ওর কাছে নিরাপদ নয়, যেকোনো সময় মেরে ফেলতে পারে।
– আমার মনে হয় সে তাকে মারবে না।
– আমি জানি রাব্বি ওকে মারবে।
– প্লিজ রাব্বি না বলে রবিউল বলেন।
– লতা ও তার বাবার সঙ্গে রবিউলের খুব পুরনো একটা শত্রুতা আছে। আর সেজন্যই রবিউল এসব করছে।
– কি শত্রুতা?
– মুন্নী নামের একটা মেয়েকে রবিউল খুব পছন্দ করতো। রবিউল তখন লঞ্চ ডাকাতি করতো। সেই মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় ছিল। একবার কাকতালীয় ভাবে সেই মেয়ের সঙ্গে বরিশাল থেকে ফেরার পথে দেখা হয়ে যায়। সেবার লঞ্চ ডাকাতি না করে রবিউল মুন্নীকে নিয়ে লঞ্চ থেকে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য পুরো ডাকাত দলকে সে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। কিন্তু অপরাধ করার জন্য রবিউল জেলে গেল। মুন্নী বড়লোকের মেয়ে ছিল, সে রবিউলের আশায় অপেক্ষা করতো।
– হুম বুঝলাম, তারপর? আর এখানে লতা বা তার বাবার সম্পর্ক কি?
– লতা মুন্নীর বান্ধবী ছিল। রবিউলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় জেলের মধ্যেই। তার কাছ থেকে আমি এই ঘটনা জানতে পারি। রবিউলের যখন জামিন এর সময় হয়ে গেল তখন হঠাৎ করে মুন্নী মারা গেল।
– মানে? কীভাবে মারা গেল?
– ওরা পিকনিকে গিয়েছিল। সেখানে একটা দুর্ঘটনায় মুন্নী মারা যায়।
– তাহলে এখানে লতা বা তার বাবার দোষ কি?
– তাদের কোনো দোষ নেই। কে যেন রবিউলকে বলেছে যে মুন্নীর মৃত্যুর পিছনে লতা দায়ী। এবং সেই হত্যা ধামাচাপা দেবার জন্য লতার বাবা নাকি অনেক টাকা খরচ করেছে। এই কথা জানার পর থেকে রবিউল এদের পিছনে লেগেছে। প্রথমে ওর স্বামী খুন করেছে, এরপর হয়তো বাবাকে খুন করবে। তারপর সবশেষে লতাকে শেষ করবে বলে আমার ধারণা।
চলবে….
লেখা:- মোঃ সাইফুল ইসলাম।