চুক্তির বিয়ের সংসার
পর্বঃ০১
লিখা_রাইসা
ফুলশর্য্যার রাতে রাজ যখন মৌকে বলল ‘এই নাও ডির্ভোস পেপার সাইন করে দাও। ‘
রাজের কথাটা মৌ এর কলিজায় গিয়ে বিঁধল।মা মরা মেয়েটার ফুলশর্য্যার রাতে ডির্ভোস পেপারে সাইন করতে হবে এটা কখনো ভাবে নাই সে। হাতের কাঁচা মেহেদীর সাজ! অপরুপা লাগছে মেয়েটাকে। ডির্ভোস পেপারে সাইন করতে গিয়ে এক ফোঁটা চোখের পানি টপ করে কাগজটার উপর পড়লো।
জীবনটা সত্যিই অদ্ভূত চার ঘন্টা আগে যেমন একটি কাগজে সাইন করে নতুন সম্পর্ক আবদ্ধ হয়েছিল। আর এখন একটা সাইনে সে সম্পর্কটা প্রাণহীন হয়ে গেল।
এদিকে সাইন করা কাগজটা হাতে নিয়েই, রাজ বলল’ সরি মৌ আমার কিছু করার নেই।’ পরে যদি তুমি আমাকে ডির্ভোস না দেও। তাই ঝামেলা আগেই মিটিয়ে নিলাম। আর হ্যাঁ আমার সাইনটা বাকি রাখলাম। চুক্তি যখন শেষ হবে আমার সাইনটা দিয়ে কাগজটা পরিপূর্ণ করব।
মৌ কিছু না বলে মাথাটা নিচু করে আছে। বুকের ভেতরটা যেন কেমন কেমন করছে। জীবনে কাউকে কোনদিন ভালোবাসেনি। নিজের স্বামীকে সবটা দিবে বলে। কিন্তু আজো স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে গেল।
রাজ মৌ এর পাশে থাকা বালিশটা নিয়ে যখনি খাঁট থেকে নামতে যাবে তখনি খেয়াল করল বিছানায় রক্ত! রক্ত দেখে খানিকটা আঁচ করতে পারল সে বিষয়টা কি। মৌকে বসে থাকতে বলে বের হয়ে গেল।
মৌ বিছানায় বসে বসে ভাবছে, জীবন নামক বহতা নদীর কথা। এ নদীর শেষ কোথায়। বান্ধবীদের কাছে শুনেছি বাসর রাতে এ হয় সে হয়। আর আমার! রাজকেই আর কি বা দোষ দিব। আমি নিজের ইচ্ছায় চুক্তির বিয়ে করেছি। যদিও রাজ আর আমি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ জানে না। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে যায় খেয়াল নেই।
রাজ ফার্মেসি থেকে প্যাড নিয়ে এসে রুমে ঢুকতেই দেখে মৌ ঘুমাচ্ছে। জানালা দিয়ে চাঁদের জোছনা এসে মৌ এর চাঁদমাখা মুখটাতে ভর করছে। মনে হচ্ছে অষ্টাদশী কোন রাজকন্যা। রাজ মৌকে ডাক না দিয়ে বালিশটা নিয়ে স
সোফায় শুয়ে পড়ে। সোফায় শুয়ে থাকতে থাকতে রাজ সুমাইয়াকে ফোন দেয়। দু’বার রিং হতেই সুমাইয়া ফোন ধরে বলে’ হ্যালো জান, তুমি কেমন আছো?’
হ্যাঁ আমি ভালো। আর হ্যাঁ তোমার কথা মতো মা’কে খুশি করার জন্য বিয়ে করেছি। মেয়েটাও রাজি হয়েছে। আচ্ছা ছয়মাসের মাঝেই কিন্তু দেশে ফিরবে।
-আচ্ছা! সুইর্ট হার্ট আমাকে ভুলে যেয়ো না। এখন রাখছি বাই।
আচ্ছা। টেক কেয়ার।
সকালবেলা পাখির কিঁচির মিচিরে, রাজের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে যখনি উঠতে যাবে ঠিক তখনি কে যেন বারবার দরজায় নর্ক করছে। রাজ তাড়াহুড়া করে বালিশ আর চাদর বিছানায় রাখে। মৌ এর দিকে তাকিয়ে দেখে মৌ এখনো ঘুমাচ্ছে।
রাজ মৌকে ডাক না দিয়ে,দরজা খুলতেই দেখে রিত্ত চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আজকে চাঁদ কোনদিকে উঠল যে আমার বোন আমার জন্য চা নিয়ে আসল?
এ্যা চা দেখলেই মনে হয় তোমার জন্য নিয়ে আসছি। আসলে আমি চা তো ভাবীর জন্য নিয়ে আসছি।
রিত্ত চা নিয়ে দেখে মৌ উঠে পড়েছে। মৌ এর কাছে চা টা রেখে বলল’ ভাবী তোমার চা।’
– তুমি চা নিয়ে আসছ কেন? আর আমি সকালে চা খায় না।
– তো কি হয়েছে এখন থেকে খাবে।
আচ্ছা।
চা খেয়ে মৌ যখন শাওয়ার নিতে যাবে এমন সময় রাজ মৌ এর হাতটা ধরে ফেলল। মৌ রাজের হাতের স্পর্শে কেমন যেন কেঁপে ওঠলো। লজ্জামাখা দৃষ্টিতে রাজের দিকে তাকালো। রাজ প্যাডটা মৌ এর হাতে দিয়ে বলল’ আমি তোমার স্বামী। আশা করি এসব কিছু গোপন রাখার দরকার নেই। আমি কাল রাতেই বুঝতে পেরেছি তোমার পিরিয়ড হচ্ছে।
– মৌ রাজের মুখে এমন কথা শুনে লজ্জায় জড়োসরো হয়ে গেল। মনে মনে ভাবতে লাগল, মানুষটাকে যতটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা খারাপ না। ভালোবাসায় যায়। মৌ রাজকে যতই দেখে ততই মুগ্ধ হয়। ঠিক তার কল্পনায় পুরুষটার মতো। মৌ ঘুমালেই একজনকে স্বপ্ন দেখতে। আর সেই স্বপ্নটা যে এভাবে সত্যি হবে সে কোনদিন ভাবতে পারে নাই।
মৌ শাওয়ার শেষ করে। গোলাপী রঙের একটা শাড়ি পড়ে যখন রুম থেকে যখন বের হবে। তখন পিছন থেকে রাজ ডেকে বলল ‘ কি সবাইকে তোমার মেদহীন পেট দেখাবে নাকি?
– নাকি তোমার নাভি দেখিয়ে আমাকে মুগ্ধ করতে চাইছো? এসব বাজে মেয়েরা করে।
– মৌ রাজের কথা শুনে কাঁদো কাঁদো ভাবে বলল, কি করবো আমি শাড়ি পরতে পারি না। ‘ একটু পরিয়ে দিবে?
– কাছে আসো। শাড়িও পরতে পারো না। কি পারো? রাজ ধমক দিয়ে মৌকে শাড়ি পরানো শিখিয়ে দিল। শাড়ি পড়া শেষ হলে,
-মৌকে দেখে রাজের মা বলে উটলো’ বউমা তুমি রান্না ঘরে আসছ কেন?’
-কেন মা আপনি আসতে পারলে আমি কেন পারবো না? মা আমি আপনার মেয়ের মতো, আপনি এসব আর করবেন না।
– ধূর পাগলী। আই একসাথে রান্না করি। মৌ খুশি হয়ে যায়। সত্যিই মায়ের আদর বোধহয় এমনি হয়।
.
এদিকে দেখতে দেখতে দু’মাস হয়ে যায়। দু’মাসে মৌ রাজের পরিবারের একজন হয়ে যায়। পরিবারের প্রতিটা মানুষ মৌকে ভালোবাসে। শুধু রাজ ছাড়া। মৌ জানে রাজের হৃদয়ে শুধু সুমাইয়ার বসবাস। আর তাকে বিয়েটাও করেছে শুধু তার মায়ের জীবন বাঁচাতে। ওসময় যদি ওর মায়ের কথা না শুনতো তা হলে অনেক বড় বিপদ হয়ে যেত।
.
গল্প পড়ে কেউ কেটে পরবেন না,
সবার কাছে অনুরোধ! সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন।গল্পে আপনাদের আশানুরূপ লাইক পেলেও তেমন কোনো মন্তব্য পাইনা।গঠনমূলক কিছু মন্তব্য করে আপনারা আমাকে উৎসাহ দিতে পারেন বা গল্প সম্পর্কে আপনাদের অনুভুতি প্রকাশ করতে পারেন।এতে আমার ও ভালো লাগে।তাই শুধু লাইক না করে গঠনমূলক কিছু মন্তব্য ও করবেন আশা করছি।
ধন্যবাদ ইতিঃ (#তানিম_চৌধুরী)গল্পের মাঝে বিরক্ত করার জন্য দুঃক্ষিত।
.
মৌ রাজকে যতই দেখে ততই বিমোহিত হয়! কারণ মৌ হয়তো আগে এমন কোন পুরুষ দেখেনি। প্রায় ছয়ফুটের কাছাকাছি লম্বা। নীল রঙের শার্ট পরলে যেকোন মেয়েই প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যাবে। রাজের এক বান্ধবীর বিয়েতে রাজ মৌকে নিয়ে দাওয়াত খেতে যাবে বলে মৌকে রেডি হতে বলে। মৌ যখন রেডি হওয়ার জন্য চলে যাচ্ছে, তখন রাজ মৌকে ডাক দিয়ে তার হাতে একটা প্যাকেট তুলে দেয়! মৌ ক্ষানিকটা অবাক হয়ে বলে কি এটাতে?
-খুলে দেখো?
– মৌ খুলে দেখে যে একটা শাড়ি।
– মৌ শাড়ি দেখে যতটা না খুশি হয়েছে তার চেয়ে বেশি মন খারাপ করেছে।
– মৌ এর মন খারাপের কারণটা রাজ বুঝতে পেরেছে। কারণ রাজ জানে, মৌ ঠিকমতো শাড়ি পরতে পারে না। তার উপর বিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। তাই মৌকে বলল ‘ কি হলো শাড়ি পছন্দ হয়নি?
– হুম হয়েছে।
– তো শাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
– আমি পরতে পারি না শাড়ি।
– রাজ মজা করার জন্য বলল’ তো কি পারেন খেতে? আপনার মা আপনাকে শাড়ি পরাও সেখায়নি? যেখানে ক্লাস ফ্লাইভের মেয়েও শাড়ি পরতে পারে।
– কি করবো, আমার মা’কে আমি দেখেইনি। বাবার কাছে শুনেছি আমাকে জন্ম দেওয়ার সময় মা মরে গেছে। দুধটাও খেতে পারিনি। আর মা মরার জন্য বাবা একবছর আমার মুখটা পর্যন্ত দেখেনি। বাবা মাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। বাবার ধারণা ছিল আমার জন্যই মা মারা গেছে।
– রাজ স্পর্ষ্ট দেখতে পেল মৌ এর চোখের কোণে পানি। কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। সত্যি শাড়ি পরার কথাটা ওর মা’কে টেনে বলা উচিত হয়নি। আচ্ছা তুমি শাওয়ার নিয়ে আসো। আমি তোমাকে শাড়ি পরিয়ে দিবো।
– মৌ কিছু না বলে শাওয়ার নিতে চলে গেল। শাওয়ার নিয়ে টাওয়াল পড়ে যখনি রুমে আসছে। এসেই দেখে রুমে রাজ। দেখেই থরথর করে কাঁপতে লাগল। লজ্জায় মৌ এর গাল মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে মৌ বললো, আপনি রুমের বাহিরে যান। আমি শাড়ি পরে আসছি। মৌ রাজকে জোর করে বাহিরে বের করে দিয়ে কোন রকম শাড়ি পরলো।
– রাজ রুমে এসেই দেখে, লুঙির মতো শাড়ি পরেছে মৌ । সে হাসবে না কাঁদবে ভেবে পাচ্ছে না। মৌকে ডাক দিয়ে বলল ‘ কাছে এসো। আর এভাবে শাড়ি পরে?
– আসবনা আপনি পঁচা। তখন বসে থেকে সব দেখে নিয়েছেন। আপনি এতো লুচু কেন?
– ধ্যাত মেয়ে মানুষের এ একটা সমস্যা উপকার করতে গেলেই ভাবে লুচ্চামি করছে। আর তুমি যেভাবে শাড়ি পরছো না? ছেলেরা এর চেয়ে ভালো লুঙ্গি পরে। এখন কাছে আসো। মৌ অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজের কাছে আসে।
রাজ একটান দিয়ে শাড়িটা খুলে ফেলে সুন্দর করে কুঁচি দিয়ে সুন্দর করে আবার পরিয়ে দেয়। রাজ শাড়ি পরিয়ে দিয়ে মৌ এর দিকে তাকিয়ে দেখে, মুখটা সূর্যের মতো লাল আকার ধারণ করছে চোখ দু’টি বন্ধ। আর মুখ দিয়ে বিড়বিড় করে আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছে। রাজ আজকে বুঝতে পারল, সত্যিই লজ্জা নারীদের ভূষণ। লজ্জা পেলে মেয়েদের এতো সুন্দর লাগে তার ধারনাতীত ছিল বিষয়টা। রাজ মৌ এর গায়ে টার্চ করতেই মৌ চমকে ওঠে!
– এই কি হলো ভয় পেলে নাকি?তোমার শাড়ি পরা শেষ। যদি ময়দা মাখতে হয় তাহলে আর একটু লেট করতে পারো।
– মৌ রাজকে কিছু না বলে ড্রেসিং টেবিলের সামনে চলে গেল। আয়নার সামনে বসে, কাজলের কট্টাটা থেকে এক বিন্দু কাজল নিয়ে চোখের ব্রুতে লাগিয়ে নিল। কপালের ঠিক মাঝখানটায় কালো রংয়ের একটা ছোট্ট টিপ বসিয়ে বের হয়ে গেল রুম থেকে।
রাজ মৌ এর থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না। কিন্তু না মৌ এর দিকে নজর দেওয়া যাবে না। আমার যা ভালোবাসা সব আমার প্রিয়তমা সুমাইয়ার জন্য।
রাজ গাড়িতে বসেই সুমাইয়ার সাথে কথা বলছে। মৌ পাশেই বসে আছে। মৌ জানে রাজ তার না। সে নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য চুক্তিবন্ধ! বলতে গেলে রক্ষিতা। ঠিক রক্ষিতা বলা চলে না, কারণ তিনবার কবুল পড়ে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়েটা করেছে।
সুমাইয়ার সাথে রাজের রোমান্টিক কথাগুলো মৌর হৃদয়ে এসে আঘাত করছে। সমুদ্রের ঢেউ যেমন তীরে এসে আঘাত করে ঠিক তেমনি। রাজকে যখন সুমাইয়া ফোনেই কিসস করে তখনি,মৌ এর চোখের কার্ণিশ বেয়ে টুপ করে একফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। সদ্য কাজল দেওয়া চোখটা, আষাঢ়ের সময় যেমন নদী টইটম্বুর থাকে তেমনি হয়ে আছে। দেখতে দেখতে বিয়ে বাড়িতে এসে পড়ে।
বিয়ে বাড়িতে একটা ছেলে মৌকে দেখেই বলে ওঠে, ইশ্ মালটা সেই। ছেলেটার কথা শুনে রাজের মাথায় রক্ত উঠে যায়। বিয়ে বাড়ির সবার সামনে ছেলেটার গালে চড় বসিয়ে দিয়ে বলে ‘ এটা আমার স্ত্রী কোন বাজারের পণ্য নয় । ‘ ভবিষৎতে কথা বলার আগে ভেবে বলবি। আর এখানে প্রতিটা মেয়েই কারো না কারো মা, বোন বা স্ত্রী। তোর ঘরে যেমন মা, বোন আছে তেমনি সবারি ঘরে আছে।
ভবিষৎতে কোন মেয়েকে মাল বলার আগে নিজের মা বোনের চেহারাটা মনে করবি। দেখবি মুখ দিয়ে আর মাল কথাটা আসবে না। রাজ মৌকে নিয়ে সোজা বাসায় এসে পড়ে। মৌ আজ অনেক খুশি। কারণ রাজ তাকে স্ত্রী বলে সবার কাছে পরিচয় দিয়েছে। রাত্রের বেলা যখন রাজ বালিশ নিয়ে সোফাতে যাবে এমন সময় মৌ রাজের হাতটা ধরে ফেলে।
হাত ধরলে কেন?
আজ সোফাতে না গেলে চলে না? আমরা তো স্বামী স্ত্রী। তোমার প্রতি আমার তো একটা অধিকার রয়েছে।।
– হুম আমরা স্বামী-স্ত্রী তবে বাহিরের লোকেদের কাছে। কিন্তু ঘরের ভেতরে না। তুমি হয়তো চুক্তির কথা ভুলে যাচ্ছ। আমি বিয়েটা করেছি শুধু মায়ের খুশির জন্য। আর সুমাইয়ার বিদেশ থেকে আসতে দেরী হবে বলে। মা’কে এ অবস্থায় সুমাইয়ার কথা বললে কখনোই মেনে নিতো না।
আর তুমি তো টাকা নিয়েছ! তুমি এটাও বলতে পারবে না, আমি তোমাকে ঠকাচ্ছি। কারণ তুমি নিজের ইচ্ছায় রাজি হয়েছো সব শর্ত মানতে।
– মৌ আর কিছু বলতে পারে না। রাজের হাতটা ছেড়ে দেয়। চোখের পানি কোন বাঁধা মানছে না। তার ভাগ্যটা কি এতটাই খারাপ ছিল? যার জন্য ছোটবেলায় মা মারা যায়। বিয়ের পর স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। বাবা নিজের মেয়েকে সন্তান বলে পরিচয় দেয় না।
চলবে