চৈতালি_পূর্ণিমা,পর্ব-৩০

0
3883

চৈতালি_পূর্ণিমা,পর্ব-৩০
Writer_Asfiya_Islam_Jannat

“হু! আর শেষ একটা কথাটাই চাই, কখনো আমাকে মিথ্যা বলবে না বা এমন কিছু লুকাবে না যা তোমার প্রতি আমার বিশ্বাস ভাঙ্গে৷ মনে রেখ, আমার বিশ্বাস যদি একবার ভাঙ্গে তাহলে দ্বিতীয় কোন সুযোগ নেই।”

কথাটা বলে নির্বাণ হাতের মুঠোয় পুড়ে রাখা স্পর্শীর কোমল হাতটির উল্টো পিঠে আলতোভাবে নিজের অধর ছোঁয়াল। নির্লিপ্ত কন্ঠে বলল, “আমার কিন্তু ভরসা আছে তোমার প্রতি, কখনো এই ভরসা ভাঙতে দিও না।”

নির্বাণের কথা স্পর্শী কর্ণগোচর হওয়া মাত্র প্রথমেই রুদ্রের ব্যাপারটা তার স্মৃতি দুয়ারে এসে কড়া নাড়লো৷ রুদ্রের কথা একেবারেই নির্বাণকে জানানো হয়নি, বলা হয়নি বিয়ের আগে তার একটা সম্পর্কে ছিল এবং সেটার সাথে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও তার জীবনের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে ওই ঘটনার বদলতেই তো আজ তার এবং নির্বাণের ভাগ্য একে অপরের সাথে সম্পূর্ণরূপে জুড়ে গিয়েছে৷ হঠাৎ স্পর্শীর ভাবনায় এলো,” বিষয়টা কি সে লুকাচ্ছে? নিজের অজান্তেই ঠকাচ্ছে সে নির্বাণকে? তার সবটা জানার তো অধিকার আছে নির্বাণের। কিন্তু রুদ্রের কথা জানার পর তার প্বার্শ-প্রতিক্রিয়া ঠিক কি হবে? বিষয়টা কি সে ভালোভাবে নিবে? নাকি ওকে ভুল বুঝবে?”
সব ভাবনা এবং প্রশ্নের পরিশেষে মন ও মস্তিষ্ক একটাই উত্তর দিল নির্বাণকে সবটা সত্যি বলে দিতে৷ স্পর্শী ঠিক করলো এখনই সে রুদ্রের কথা তাকে বলে দিবে। মনের মাঝে কিঞ্চিৎ সাহস জুগিয়ে স্পর্শী আঁধারের মাঝেই চোখ তুলে তাকালো নির্বাণের চোখের দিকে, “আমি..”

নিজের কথা শেষ করার আগেই নির্বাণ বলে উঠে, “পরে কথা বল। ভিতরে চল এখন,রেস্টের প্রয়োজন তোমার।”

“আমি ঠিক আছি নির্বাণ।”

মুহূর্তেই নির্বাণের কন্ঠ ভারী শুনালো, “বেশি বুঝতে বলা হয়নি তোমায়। টিচার আমি নাকি তুমি?”

স্পর্শী অভিমানী সুরে বলে,”সবসময় টিচাররা ঠিক হয় কে বলেছে? অনেক সময় স্টুডেন্টরাই টিচারদের থেকে বেশি ভালো জানে।”

নির্বাণ ভ্রু কুঁচকালো, “তাহলে বলতে চাইছো আমার চেয়ে তুমি বেশি জানো?”

স্পর্শী ভাব নিয়ে বলল, “আবার জিগায়।”

নির্বাণ কিঞ্চিৎ হাসলো, “তাই নাকি? তাহলে Organic Reaction Mechanism এর ডেফিনিশনটা বলো তো দেখি। পুরো ব্যাখ্যা সহ বলবে কিন্তু।”

প্রশ্নটা শোনামাত্র স্পর্শীর মুখ পাংশুটে বর্ণ ধারণ করে। খুব মনের চেষ্টা করেও সে অরগ্যানিক এর ডেফিনিশনটা ঠিক-ঠাক মনে করতে পারলো না। যতটুকু মনে পড়লো খালি ততোটুকুই বলার ক্ষুদ্র চেষ্টা করলো, “A reaction mechanism is a formalized description…”

এতটুক বলেই সে আটকে গেল, বলতে পারলো না আর। নির্বাণ মন্থর কন্ঠে বলল, “হ্যাঁ তারপর? পরেও বল।”

স্পর্শী কিছু বলল না, চুপ বনে গেল। সব চ্যাপ্টার সে ভালোমত আয়ত্ত করতে পারলেও এই একটা চ্যাপ্টারেই সে বার বার আটকে যায়। যার দরুন পরীক্ষায়ও সে এখান থেকে প্রশ্ন আসলে স্কিপ করার চেষ্টা করে। আর এই সম্পর্কে নির্বাণ অবগত বলেই সে ইচ্ছে করেই এখান থেকে প্রশ্ন করেছে। ক্ষণেই স্পর্শীর রাগ হলো নির্বাণের প্রতি। অন্য কোন ডেফিনিশন দিলে কি হতো? আত্মহত্যা করতো নাকি ওরা?

আকস্মিক নির্বাণ বলে উঠল, “যে নাকি নিজের পড়াই ঠিকমতো জানেনা সে নাকি আবার আমার চেয়ে বেশি জানে। হাও ফানি!”

স্পর্শী রাগান্বিত কন্ঠে বলে, “আপনি খারাপ, জঘন্যতম খারাপ। জানেন আমি এই চ্যাপ্টারে ভালো নই, তাও এখান থেকেই প্রশ্নটা করেছেন।”

“টিচারদের ধর্মই স্টুডেন্টদের দূর্বল পয়েন্টে আঘাত করার। নাহলে তারা জীবনেও কোনকিছু শিখবে না।”

স্পর্শী নাক ফুলালো, “টিচারদের আরও একটা ধর্ম আছে, তারা যেখানে সেখানেই পড়া নিয়ে বসে পড়ে। আমি যে অসুস্থ একজন মানুষ সেদিকে কি কারো খেয়াল আছে? একটা অসুস্থ ব্যক্তিকে পড়া নিয়ে এভাবে বুলি করছেন আপনি, এইটা কি ঠিক?”

“এই না তুমি ঠিক ছিলে?”

“কই? আমি তো শুরু থেকেই অসুস্থ৷ বেডরেস্ট দরকার আমার। রুমে চলেন৷ চলেন! চলেন!”

নির্বাণ স্মিত মুখে তাকালো। স্পর্শীর হাতটা ধরে বলল, “ড্রামেবাজ একটা। চল ভিতরে।”

_______________

স্পৃহা টেবিলে বসে বায়োলজির বইটা খুলে চোখ বুলাচ্ছে আর বিরবির করে পড়ছে। মাঝে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো খাতায় নোট করে নিচ্ছে। এডমিশন টেস্টে আর মাত্র একমাস সময় আছে। পড়ার গতি এখন না ধরলে শেষে দিয়ে সুবিধা করা দায় হয়ে যাবে। পার্শিয়া ওর টেবিলের উপর-ই বসে আরাম করে ঝিমুচ্ছে। মাঝে মধ্যে স্পৃহার মনোযোগ নিজের দিকে নেওয়ার জন্য মৃদু শব্দ করে উঠছে। স্পৃহা একবার সেদিকে তাকিয়ে দুই-এক ওর গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে আবার পড়ায় মনোযোগ দিচ্ছে। পড়ার এক পর্যায়ে স্পৃহার মুঠোফোন বেজে উঠে। স্পৃহা মোবাইলের দিকে তাকায় একবার, অপরিচিত নাম্বার দেখে কলটা কেটে পুনরায় বইয়ের পাতায় দৃষ্টি স্থির করে। সেকেন্ড কয়েক যেতেই আবার ফোনটা বেজে উঠে। স্পৃহা সাধারণত অপরিচিত কল ধরে না যার দরুণ আজও সে ধরলো না। পরপর তিনবার কল আসার পর স্পৃহা ফোনটা ধরলো। দরকারী কল হবে ভেবে, নাহলে এতবার কেউ কল দেয় না। ফোনটা রিসিভ করে প্রথমে সালাম দিল সে। অতঃপর জিজ্ঞেস করলো, “জি কে বলছেন?”

অপরপাশ থেকে কোন উত্তর এলো না। স্পৃহা কয়েকবার হ্যালো,হ্যালো করলো কিন্তু লাভ হলো না। অবশেষে অপরপাশ থেকে কোন প্রত্যুত্তর না পেয়ে স্পৃহা ফোন কেটে দিল। কয়েক সেকেন্ডের বিরতি নিয়ে ফোনটা আবার বাজতে শুরু করলো। স্পৃহা কল রিসিভ করে কথা বলতে চাইলো ঠিকই কিন্তু অপরপাশ থেকে এইবারও প্রত্যুত্তর এলো না৷ মাঝে মধ্যে শুধু ঝি ঝি শব্দ শোনা গেল। হয়তো নেট সমস্যা বা অন্যকিছু। তবে পর পর দুইবার একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি হওয়া শেষে স্পৃহার মেজাজ চটে যায়। সে রোষানল কন্ঠে বলে, “কে ভাই আপনি? বার বার ফোন দিয়ে জ্বালাচ্ছেন কেন? আরেকবার যদি ফোন করেছেন তাহলে খবর আছে আপনার। ভুলেও যাতে পরবর্তীতে আপনার কল না আসে আমার ফোনে। যতসব আজাইরা পাবলিক।”

কথাটা বলে কলটা কেটে দিল স্পৃহা। অতঃপর ফোন সাইলেন্ট করে বিছানায় ফেলে রাখলো। পড়ায় আর মন বসাতে না পেরে বেরিয়ে গেল রুম থেকে।
এদিকে অপরপ্রান্ত হতে স্পৃহার কথাগুলো শুনে কেউ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে, দাঁতে দাঁত চেপে বসে রইলো। অবস্থা এমন না পারছে সইতে, না পারছে কিছু বলতে।

_______________

সকাল হতেই নির্বাণ স্পর্শীকে বই নিয়ে বসিয়ে রেখেছে। গতকাল রাতে ঠিকঠাক ডেফিনিশন বলতে না পারায় আজ নির্বাণ নিজ দায়িত্বেই ‘Organic Reaction Mechanism’ চ্যাপ্টারটা পড়িয়ে দিচ্ছে। স্পর্শী পড়তে না চাইলেও নির্বাণ তাকে এই বলে বসিয়ে রেখেছে যে, “তুমি না ঠিক আছো? তাহলে পড়তে সমস্যা কোথায়? অবসর সময় কাজে লাগাতে শিখো।”

নিজের কথার প্যাঁচে বিশ্রিভাবে ফেঁসে যাওয়ায় স্পর্শী রা-ও করতে পারছে না। কোনমতে দাঁতে দাঁত চেপে নির্বাণের কথা শুনছে আর পড়া গিলছে। নিজের ভাগ্যের উপর নিজেরই এখন কান্না আসছে তার। কেন যে সে একজন টিচারকে বিয়ে করতে গেল। টিচার জামাই যে এত ভয়ঙ্কর হয় আগে জানলে ভুলেও বিয়ের পীড়িতে বসত না সে৷ কখনো না। স্পর্শী যখন নিজের চিন্তা-ভাবনায় মশগুল তখন নির্বাণ গলা উঁচিয়ে বলে উঠে, “কোথায় মনোযোগ তোমার? সিম্পল একটা জিনিস এতক্ষণ ধরে বুঝাচ্ছি, তুমি খেয়াল এই করছ না। একটু মনোযোগ দাও, পেরে যাবে। এইটা অনেক ইজি একটা টপিক।”

স্পর্শী মনে মনে ব্যঙ্গাত্মক করলো কথাটা, “হাহ! ইজি একটা টপিক। আপনি টিচার মানুষ ভাই, আপনার কাছে কঠিন লাগবে কোনটা? সবই তো ডাল-ভাত আপনার জন্য, আর যত জগাখিচুড়ি,বিরিয়ানি,কাচ্চি আমার জন্য।”

কিন্তু মনের কথা আর প্রকাশ করলো না। মুখে বলল অন্য কথা, “দেখুন! আপনার গুণ ও মেধা বেশি বলে এই না, সবাই আপনার মতই হবে। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সব দেয় না। আমার আপনার মত এত গুণ বা মেধা নাই। হুহ!”

কথাটা বলেই বা দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসলো স্পর্শী৷ দাঁতে দাঁত চেপে ক্রোধিত দৃষ্টিতে তাকালো জানালার বাহিরে বিস্তৃত আকাশের পানে৷ স্পর্শীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানবটি তা দেখে শীতল দৃষ্টিতে তাকালো। বলল, “তোমার কি মনে হয়? সৃষ্টিকর্তা আমায় সব গুণ আর মেধা একসাথে দিয়ে তারপর পাঠিয়েছে?”

স্পর্শী না তাকিয়েই অকপটে বলে উঠলো, “অবশ্যই!”

নির্বাণ এইবার ঠোঁট কামড়ে হাসলো৷ বলল, “তোমার কথায় ভুল আছে তা কি তুমি জানো? আল্লাহ কখনোই কাউকে কম বা বেশি দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠায়নি৷ যদি পাঠাতো তাহলে তা জন্মের পরই চিহ্নিত করা যেত।”

স্পর্শী ঘাড় ঘুরিয়ে ভ্রু কিঞ্চিৎ কুঁচকে তাকালো। কিছু বলার আগেই নির্বাণের হাসার ভঙ্গিমা দেখে একটু থমকালো। পরক্ষনেই নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে স্বগতোক্তি কন্ঠে বলল, “কি বলতে চান আপনি?”

“এইটাই যে, গুণ আর মেধা সবার মাঝেই আছে, শুধু শ্রেণিভেদ তাদের ধরণ ভিন্ন ভিন্ন। মানুষের যেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বেশি, তাতেই সে পারদর্শী। এছাড়া, প্র্যাকটিসের ও ব্যপার-স্যাপার আছে। যেকোন বিষয়টির উপর যে যত প্র‍্যাকটিস করবে সে তাতে তত ভালো করে দেখাবে। সবাই কোন না কোন দিক দিয়ে বেস্ট, কেউ গানে বা নাচে, তো কেউবা পড়ালেখা বা খেলাধুলায়। গুণ ও মেধা সবার মধ্যেই আছে, এখন এইটা তোমার উপর ডিপেন্ড করে তুমি সেটা কিভাবে কাজে লাগাবে।”

কথাটা শুনে শুনে চুপটি মেরে বসে রইলো। কথাগুলো যে শতভাগ সত্য তা সে জানে কিন্তু সে তো আর স্বীকার যাওয়ার মত মেয়ে না। তাই বিরবির করে বলে উঠলো, “নাহিদ ভাইয়া ঠিকই বলে, মাস্টারগিরি না করে আপনি থাকতে পারেন না। আচ্ছা, এত চিন্তা-ভাবনা নিয়ে ঘুমায় কিভাবে মানুষটা? আমি হলে তো নির্ঘাত ঘুমের মাঝেই স্ট্রোক করতাম।”

বিরবির করে কথাগুলো বললেও নির্বাণ ঠিকই সেটা শুনে ফেলল। সে দাঁড়ানো থেকে স্পর্শীর দিকে হালকা ঝুঁকে পড়ে, তার মুখের উপর পড়ে থাকা এক গাছি চুল আলতো হাতে কানের পিছনে গুঁজে দিয়ে দুরন্তপনা দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
“আমি কিন্তু শুধু ঘুমাতে না, আরও অনেক কিছু করতে জানি। প্রেকটিক্যালি দেখাবো?”

কথাটার অর্থ প্রথমে স্পর্শীর বোধগম্য না-হলেও পরবর্তীতে নির্বাণের ঠোঁটের কোনে খেলা করা দুষ্টু হাসি আর দৃষ্টির ধারে নিষিদ্ধ ইশারাটা উপলব্ধি করতে পেরে তার কান গরম হয়ে আসে। নরম গাল দু’টির মাঝে খেলে উঠে রক্তিম বর্ণ। সে পাশে থাকা বালিশটা তার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে লজ্জালু কন্ঠে বলে উঠে, “নির্লজ্জ, বেহায়া মানুষ একটা।”

নির্বাম উড়ন্ত বালিশটা একহাত দিয়ে ধরে নিজের বুকে গুঁজে সটান হয়ে দাঁড়ায়। ঠোঁট কামড়ে হেসে বলে উঠে,”কিছু মানুষের কাছে নির্লজ্জ, বেহায়া না হলে দুনিয়া চলবে কিভাবে?”

স্পর্শী আর প্রত্যুত্তর করলো না, নিভৃতেই হাতে থাকা বইটি মুখের উপর তুলে নিয়ে নিজের রক্তিমা মুখটি লুকালো৷ পরক্ষনেই এমন ভাণ করলো যেন এখন বই পড়া ব্যতীত দ্বিতীয় কোন কর্ম এই পৃথিবীতে নেই। নির্বাণ তা দেখে মুচকি হাসলো, “আচ্ছা আমি একটু আসছি। তুমি পড়। আমি আসতে আসতে যেন এতটুকু শেষ হয় তোমার।

কথাটা শুনে স্পর্শী কোন প্রতিক্রিয়া দেখাল না। নির্বাণ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বালিশটা বিছানার এককোনে রেখে সপ্তর্পণে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। নির্বাণ বেরিয়ে যেতেই স্পর্শী লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে, যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে সে। ঠোঁটের কোনে তখনও তার লাজুক হাসি। কিয়ৎক্ষণ আপনভাবনায় সময় গড়িয়ে যেতে ক্ষণেই তার কালকে বলা নির্বাণের কথাগুলো পড়ে। সেই সাথে অতীতের কিছু পাতা চোখের সামনে ভেসে উঠে। হাসিটা মিইয়ে যায় তখনই, তিক্ত হয়ে যায় মূহুর্তটা। সে মলিন দৃষ্টিতে জানালার বাহিরে তাকিয়ে আনমনে বলে উঠে, “আমি কি আদৌ মানুষটার যোগ্য? অতীতটা এখনো না বলে ঠকাচ্ছি না তো তাকে?”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here