#ছদ্মবেশ,কিছু কথা
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ
নিলয়কে নিয়ে কিছু কথাঃ- তাকে মা’রার দুইটা কারণ আছে।
১- দেশের শত্রু, জাতির শত্রু এমন একজন লোককে স্বাধীন ভাবে ছেরে দেওয়াটা কতটুকু যুক্তি সম্মত? যত গুলো মানুষের জীবন সে নষ্ট করেছে, যত পরিবারের হাসিখুশি সে নিজ হাতে শেষ করে দিয়েছে, নিলয় ভালো হয়ে গেলেই কি সেই মানুষ গুলো তাদের আপন জনকে ফিরে পাবে? হাজারও পরিবারকে নষ্ট করে দিয়ে সে যদি বলে, আমি ভালো হয়ে যাবো। দুনিয়াটা কি এতোই ইজি? কিছু পাপের কখনো ক্ষমা হয় না। প্রত্যেক পাপিকেই জীবনের শেষ সময়ে হলেও কোনো না কোনো ভাবে শাস্তি পেতে হয়।
২- নিলয়ের মাঝে আমি এমন একটা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি তা হলো, সব সময় নিজের উপর নির্ভর্শীল থাকতে হবে আমাদের। সিংহ এমন একটা প্রানি যার সামনে হাজারো শত্রু থাকলেও সে কখনো পিছু হাটে না৷ বা অন্যের সাহাজ্যের জন্য তাকিয়ে থাকে না। সে লড়াই করবে, হয়তো মা’রবে, নয়তো লড়তে লড়তে ম’রবে। তবুও হার মানবে না কখনো। চাইলে নিলয়কেও নিবিড়ের মত রাজের হেফাজতে রেখে সেভ করতে পারতাম। বাট এমনটা করলে নিলয়ের পার্সনালিটির উপর আঘাত আসতো। নিলয়কে এখন বাচিয়ে রাখলে বিষয়টা কি দাড়াতো? সে সব ছেড়ে দিয়েছে। পূর্বে পাপে অর্জিত সম্পদ সব ত্যাগ করেছে। তার মানে একটাই জায়গায় গিয়ে বিষয়টা দাড়ায় যে নিঃস্ব। যেমনটা নিলয় কখনোই চয়নি। সে চেয়েছিলো যতদিন বাচবে, ততদিন মাথা উচু করে বাচতে। সেই হিসেবে তার চাওয়াটা পূর্ণতা পেয়েছে। মচকে দুর্বল হয়ে থেকে যাওয়ার চেয়ে ভেঙে যাওয়াই উত্তম।
তার পর আসেন বন্ধুদের কথায়। আপনি ভেবে বলুন তো, স্কুল বা কলেজ লাইফে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু গুলো এখন পড়াশরনা শেষে আপনার সাথে আছে কিনা? বলতে পারেন এটা গল্প। যেমন খুশি তেমন দেওয়া যায়। কিন্তু যেমন ইচ্ছে শুধু তেমন লিখলেই গল্পের কোনো ভিত্তি থাকে না। আর গল্পরাও বাস্তব জীবন থেকেই আসে। বাস্তব জীবন না থাকলে গল্পের কখনো জন্ম হতো না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সব শেষে দুইটা কারণই হলোঃ সে পাপের শাস্তি পেয়েছে, আর সে কারো কাছে ছোট হওয়ার আগে নিজের পার্সনালিটি নিয়েই তার জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে।