ছদ্মবেশ,পর্ব ৬৭,৬৮

0
969

#ছদ্মবেশ,পর্ব ৬৭,৬৮
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ
৬৭

ফোন কলে হটাৎ রিমার চিৎকারে বুকটা কেঁপে উঠে রুশানের। বুঝতে বাকি নেই রিমা কোনো বিপদে পরেছে।
রুশাণ উত্তেজিত ভাবে বারংবার হ্যালো হ্যালো করলেও রিমার কোনো উত্তর পেলো না।
রিমার পাশে থাকা লোকটা ফোনটা কানে তুলে নিয়ে বলে,
– তোর প্রেয়শিকে সুস্থ ও জীবিত দেখতে চাইলে, চুপচাপ রিজাইন লেটার দিয়ে নিজের অবস্থান থেকে সরে আয়। সময় ২৪ ঘন্টা।

বলেই ফোন রেখে দেয় সে। মুহুর্তেই যেন চার পাশ টা যেন অন্ধকার হতে শুরু করলো রুশানের।
লোকটা ফোন রাখতেই নিলয় বলে,
– এবার ফোন থেকে সিম খুলে ভে’ঙে ফেল। আর ফোনটা পাওয়ার অফ করে দে।
নিলয়ের কথা মত লোকটা চুপচাপ তাই করলো। গাড়ির ভেতর হাত-পা বাধা অবস্থায় কিছুক্ষন ছটফট করেও লাভ হলোনা রিমার। কিছুক্ষন পর হাল ছেরে কেঁদে দিয়ে বলে,
– আমি কি ক্ষতি করেছি আপনাদের। কেন আমার সাথে এমন করছেন আপনারা? ছেড়ে দিন আমায়, আমি বাসায় যাবো।

সামনে থেকে নিলয় একটা স্প্রে নিয়ে পেছনের লোকটাকে দিয়ে বলে,
– মুখের উপর অল্প মে’রে দে। এতো প্যান প্যান আর ভালো লাগছে না।

এদিকে অস্থিরতায় কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না রুশান। নিজের ভুলটা কোথায় ছিলো সেটাও বুঝে উঠতে পারছে না। নিজেকে সব সময় আড়াল করেই রেখেছে। আর রিমাকেও রেখেছে সবার থেকে দুরে। নিজের কাছের মানুষরা ছারা কেউই রিমার বিষয়ে অবগত নয়। তাহলে কে রিমার বিষয়ে জানলো? আর কেই বা তার সাথে এমন করছে?

মুহুর্তেই রাজকে ফোন দিয়ে বিষয়টা খুলে বলে রুশান। একে একে চার পাশে নিজের টিমের সবাইকে ইনফর্ম করে দেয় রুশান। যেভাবেই হোক রিমাকে যেন খুজে বের করে সবাই। সবার কথা কি বলবে, এই মুহুর্তে তার কি করা উচিৎ সেটা সে নিজেই বুঝে উঠতে সক্ষম হচ্ছে না৷

রিমাকে একটা বাড়ির ভেতর বন্ধি করে রাখে নিলয়। রুশানকে যা বলার বলে দিয়েছে। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষায়।
কিছুক্ষন সেখানে অবস্থান করে নিলয়। এখানে আছে শুধু নিলয়, তার সাথের লোকটা আর রিমা।
নিলয় সেখান থেকে আসার সময় লোকটার দিকে এক পলক চেয়ে খুব শান্ত ভাবে বলে,
– যখন যা চায় তাই দিবি। ওর কোনো সমস্যা যেন না হয়। ওর কোনো প্রব্লেম হলে তোকে এর জবাবদিহি করতে হবে।
বলেই সেখান থেকে বেড়িয়ে গেলো নিলয়।

এদিকে রাজ শান্ত ভাবে বিষয়টা নিয়ে কিছুক্ষন ভাবলো। তার মনে কোনো উত্তেজনা নেই। কারণ উত্তেজনা নিয়ে ভাবলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন।
রুশান আর রিমার বিষয়ে যেহেতু রিলেটিভ রা ছারা আর তেমন কেও জানেনা, সেহেতু রিমার কিড’নাপিং এর ব্যাপারে নিশ্চই রুশানের রিলেটিভ কেও জড়িয়ে আছে। নয়তো কোথায় হাত দিয়ে রুশানকে আয়ত্বে আনতে পারবে সেটা অপরিচিত কারো এতো সহজে জানার কথা না। যদি পরিচিতদের তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক না থাকে।
রাজ এসব নিয়ে কিছুক্ষন ভেবে তুষারকে ফোন দিলো। তুষার ফোন রিসিভ করতেই রাজ বলে উঠে,
– কোথায় তুই?
তুষার চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলে,
– এইতো রাস্তায় চায়ের দোকানের সামনে। নিবিড়ও আছে পাশে।
রাজ আর প্রশ্ন না করে সরাসরি প্রশ্ন করে,
– নিলয় কোথায়?
তুষার কিছুটা ভাবান্তর হতেই দেখে সামনে থেকে নিলয় তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। তাই আর না ভেবে বলে,
– এই তো সামনেই আছে সে? কোনো সমস্যা হয়েছে কি? আমাদের আসতে হবে?

নিলয়ও ওদের সাথে? রাজ কিছুক্ষন নিশ্চুপ থেকে কিছু একটা ভেবে বলে,
– কিছুনা।

তুষার কিছুই বুঝলো না এর আগা মাথা। নিলয় সামনে আসতেই সে প্রশ্ন করে,
– কোথায় ছিলি এতোক্ষন?
নিলয় স্বাভাবিক ভাবেই বলে,
– গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেলাম।
তুষার কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলে,
– ফান করছি না আমি।
নিলয় একটু হেসে বলে,
– আমি কখন ফান করলাম। বললাম যে গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। সেটা অন্যের গার্লফ্রেন্ডও হতে পারে।

তুষার আর কিছু না বলে চায়ের বিল মিটিয়ে বাসার দিকে হাটা ধরলো। নিবিড়ের এখনো চা শেষ হয়নি। সে ডেকে বলে,
– আরে একা একা কোথায় দৌড় দিলি? দাড়া আমরাও আসি।
তুষার উপরের দিকে একবার চেয়ে বলে,
– দেখলি না রাত নেমে এসেছে? আর করোক্ষন বাইরে থাকবি? আর ওদিকে মনে হয় বাসায় কোনো প্রব্লেম হয়েছে। যদিও আমি এই বিষয়ে শিউর নই। তবে মনে হয় কিছু একটা হয়েছে।

নিবিড়ও এবার কাপ রেখে নিলয়কে নিয়ে হাটা ধরে তুষারের সাথে।

কিছুক্ষন পর তিন জন একই সাথে বাসায় ফিরে আসে। দেখে ফরিদা আন্টি সহ সকলে বেশ চিন্তিত। রুশান বাসায় নেই। চুপচাপ বসে আছে সবাই। যেন গভির কোনো শোক পালনে মগ্ন সবাই।
,
,
ওদিকে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে আরোহি। গত কাল রাত থেকে আজ সারা দিনে কিছুই মুখে তোলেনি সে। বই খাতা সব এলোমেলো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রেখেছে।
আরোহির মা কাজের মেয়েটাকে ডেকে বলে রাজকে কিছু সময়ের জন্য এখানে আসতে বলার জন্য। এভাবে না খেয়ে থাকলে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পরবে।

রাজের নাম্বার আগে থেকেই কালেক্ট করে রেখেছিলো কাজের মেয়েটা। সামির’ই তাকে বলেছিলো আরোহি ও রাজের সাথে জড়িয়ে থাকা সব তথ্য কালেক্ট করে রাখতে।

আরোহির এমন আচরণ দেখে কাজের মেয়েটা বাধ্য হয়ে রাজের নাম্বারে কল দিলো।
এমনিতেই একটা বিষয় রাজকে খুব ভাবাচ্ছে, তার উপর আরোহির এসব শুনে কিছুটা কপাল কুচকে ‘চ’ সূচক একটা শব্দ করলো। মেয়েটা সত্যিই একটা পাগল।
রাজ কিছুক্ষন নিশ্চুপ থেকে শান্ত গলায় বলে,
– কাঁদছে, তাকে কাঁদতে দিন।
বিষাদ গুলো মুছতে দিন।
অশ্রু কনায় কষ্ট গুলো ধুয়ে নিতে দিন।
ইমোশন গুলোকে মজবুত করতে দিন।

বলেই ফোন রেখে দিলো। রাজের কথার আগা মাথা কিছুই বুঝলো না মেয়েটা। ফোন রেখে খাবার নিয়ে আবারও আরোহির রুমের সামনে গিয়ে কয়েকবার দরজায় টোকা দিয়ে তাকে ডাক দিলো। কিন্তু এবারও হতাশ হতে হলো তাকে।

নিজেকে যতই শক্ত রাখুক, এক মুহুর্তের জন্য রাজ নিজের ইমোশনের কাছে নিজেই হেরে গেলো। সাত পাঁচ না ভেবে আরোহির বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো রাজ। রাত তখন ৯ টা।

কাজের মেয়েটার কাছে সব শুনে রাজ শান্ত ভাবে বলে,
– খাবার নিয়ে আসুন। আমি দেখছি।
আগের খাবার গুলো এক পাশে রেখে মেয়েটা নতুন করে খাবার এনে রাজের হাতে দিলো।
রাজ প্লেটটা হাতে নিয়ে মেয়েটাকে প্রশ্ন করে,
– ম্যাডাম কিছু বলছেনা, বা আরোহিকে খেতে জোড় করেনি?
কাজের মেয়েটা বলে,
– সবই করছে, কিন্তু কারো কথা শুনছেনা দেখে বাধ্য হয়ে আপনাকে ফোন দিয়েছি।

রাজ আর কিছু না বলে আরোহির রুমের সামনে গিয়ে দাড়ালো। দরজায় একবার টোকা দিয়ে আরোহি বলে ডাক দিয়ে দরজার সামনে দাড়ায় সে।
এতোক্ষন হাজার ডাকাডাকি করেও যে আরোহিকে কেও দরজার বাইরে আনতে পারেনি, এখন একটা ডাক শুনতেই কয়েক সেকেন্ডের ব্যাবধানে এসে দরজা খুলে দিলো সে।

কষ্ট গুলো বুকের ভেতর এতোটাই উত্তাল হয়ে উঠেছিলো যে আশেপাশে না তাকিয়ে হুট করেই রাজকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো। কাজের মেয়েটা পাশে থাকলেও অন্য দিকে তাকিয়ে গেলো সে। আরোহির মা দুর থেকে বিষয়টা দেখে কিছু না বলে সেও নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো।
নির্দিষ্ট কিছুর জন্য আমরা অনেক সময় এতোটাই ব্যকুল হয়ে পরি যে, সামনে পৃথিবির সবটা সুখ এনে দিলেও তার মাঝে ঐ নির্দিষ্ট জিনিসটাই খুজে বেড়াই আমরা। মনে হয় তা পেয়ে গেলেই আমাদের মানব জীবন সার্থক।

আরোহিকে রুমে নিয়ে খাটের উপর বসায় রাজ। রুমের চার পাশে সব এলোমেলো দেখে আরোহির দিকে চেয়ে ভ্রু-যুগল নাচিয়ে প্রশ্ন করে,
– এসব কি?
আরোহি কিছু না বলে চুপ করে রইলো। রাজ খাবারের প্লেট টা হাতে নিয়ে বলে,
– শুনলাম সারাদিন কিছু খাওনি। এসব কোন ধরনের পাগলামি?
আরোহি এখনও চুপ করে আছে। যেন মনে হচ্ছে চুপ করে থাকলেই সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে।
রাজ আর কিছু না বলে খাবারের প্লেটটা এক পাশে রেখে উঠে দাড়িয়ে আরোহির হাত ধরে বলে,
– এদিকে এসো।
রাজ এভাবে হাত ধরায় কিছুটা কেঁপে উঠলো আরোহি। রাজের দিকে একবার তাকিয়ে তার পেছন পেছন চলে যায় সে।
ওয়াশ রুমে নিয়ে গিয়ে বলে,
– চুপচাপ মুখে পানি দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।

আরোহিও বাধ্য মেয়ের মত চুপচাপ তাই করলো। সে হয়তো ভেবেছিলো রাজ আর আসবে না। কিন্তু হুট করে এভাবে রাজ এসে এমন করছে এটা যেন এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না তার।

রুমে এসে আরোহিকে এক পাশে বসিয়ে খাবারের প্লেট টা হাতে নিয়ে নিজেই আরোহির মুখে খাবার তুলে দিলো।
আরোহি আবারও একবার অবাক হয়ে রাজের দিকে তাকায়। এটা কি সত্যিই রাজ?
আরোহিকে এমন এক মনে বসে থাকতে দেখে রাজ বলে,
– লাইফে প্রথম কাউকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছি। চুপচাপ খেয়ে নাও। হয়তো আর কখনো আমাকে তোমার সামনে দেখবে না।

আরোহি যেন এমনটা কখনোই চায় না। তাই কথা মাটিতে পরার আগেই। চুপচাপ খাওয়া শুরু করে দিলো।

সারা দিন পাগলামি করে, না খেয়ে ক্লান্ত ছিলো আরোহি। খাওয়া শেষে আরোহিকে ঘুমাতে বলে বের চুপচার বের হওয়ার জন্য পা বাড়ায় রাজ। আজ তার কি হচ্ছে সে নিজেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে না।
দরজার সামনে গিয়ে আবার পেছন ফিরে আরোহির দিকে চেয়ে বলে,
– আর এমন পাগলামি করলে কখনোই আমার চেহারা দেখতে পাবে না।
,
,
রুশান বাসায় ফিরেছে আজ রাত করে। চোখে ঘুম নেই তার। বেলকনিতে বসে দেওয়ালে হেলান দিয়ে লুকিয়ে নিশ্চুপ হয়ে কাঁদছে সে। যেই কাঁন্নায় নেই কোনো শব্দ। কেউ দেখতেও পায়না এই গোপন আর্তনাৎ।

বেলকনির দরজার সামনে দাড়িয়ে কিছুক্ষন রুশানের দিকে চেয়ে রইলো নিলয়। বন্ধু মহলে এতোদিনে এই প্রথম কাউকে এভাবে লুকিয়ে কাঁদতে দেখছে সে। ইমোশনে কিছুটা হলেও আঘাত আসবে এমনটাই স্বাভাবিক।

ওখানে আর দাড়িয়ে না থেকে আড়ালে গিয়ে ঐ লোকটাকে ফোন দিলো নিলয়। রিসিভ করতেই নিলয় বলে,
– মেয়েটার এখন কি খবর?
লোকটা বলে,
– এতোক্ষন পাগলামি করে এখন ঘুমিয়ে গেছে। খাবার দিয়েছিলাম, ফেলে দিয়েছে।
নিলয় আর কিছু না বলে ফোন রেখে দিলো।

মধ্য রাতে একটা সুন্দরী মেয়ে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে আছে। এমন জঘন্য মানুষ গুলো নিজেকে কতটুকুই বা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে? লোকটা রুমের জানালা দিয়ে দিয়ে বারংবার কিছুক্ষন রিমার দিকে তাকিয়ে থাকে। পুনরায় নিলয়ের কথা মনে হতেই ভয়ে চোখ সরিয়ে রুমের পাশে বসে থাকে।
,
,
গতকাল থেকে খোঁজাখুঁজি করেও রিমার কোনো খোজ পেলো না তারা। কে কোথায় নিয়ে গেছে তার বিন্দু মাত্র প্রমান রেখে যায়নি। খুজে পাবেই বা কেমন করে?

সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলো। দুপুর পেড়িয়ে বিকেল। গম্ভির হয়ে রাজের পাশে দাড়িশে আছে রুশান। রাজের দিকে চেয়ে আহত গলায় বলে,
– কতো মানুষের স্বপ্নই তো তারা এভাবে নষ্ট করে দেয়। এমন কতো মেয়েকে তারা হারিয়ে ফেলেছে। কতোজন তাদের ভালোবাসাকে হারিয়েছে। কত বাবা তাদের আদরের মেয়েকে হারিয়েছে। কিন্তু প্রমানের অভাবে তারা কিছুই করতে পারেনি। ভেবে দেখ তো, একটা ছোট ছেলে, পরিবারের একমাত্র ছেলে। ছোট বেলা থেকে তাকে নিয়েই বাবা মায়ের স্বপ্ন। নিজেরা কষ্ট করে হলেও ছেলেকে কষ্ট বুঝতে না দিয়ে বড় করেছে। সেই ছেলেটা একদিন হুট করে ঐ লোকদের শিকার হয়ে গেলো। তখন তার বাবা মায়ের কেমন অবস্থা হবে? এমন হাজারো মানুষের স্বপ্ন নিয়ে তারা খেলছে প্রতি নিয়ত। আচ্ছা রাজ বলতো? আমার কি করা উচিৎ? আমার স্বপ্নটাই কি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নাকি হাজারো মানুষের জীবন?

রাজ কিছু বলছে না। হয়তো উত্তর টা তারও জানা নেই।
রুশান আরো কিছুক্ষন নিশ্চুপ থেকে বলে,
– যদি আমার স্বপ্নের বিপরীতে হাজারও মানুষ তাদের স্বপ্ন না ভা’ঙে, তাহলে খারাপ কি? আমার স্বপ্ন না হয় তারা ভে’ঙে দিলো, তেমনই তাদের সবটাই হাতের মুঠোতে চি’পে নিবো আমি। এতোদিন আ’ইন মেনেই সবটা করেছি। রিমার কিছু হলে আ’ইন কি সেটাও মাথায় রাখবো না আমি। আমার যা হওয়ার হবে। আমার ভেতরটা ম’রে গেলে খোলশ জীবন নিয়েই বা আমি কি করবো?
,
,
বিকেলে রিমার কাছে গিয়েছিলো নিলয়। রুশানের কোনো রেসপন্স না পেয়ে পুনরায় বাসায় ফিরে আসলো সে। রুশানকে দেওয়া ২৪ ঘন্টা ফুরিয়ে গেলো। রুশান তার অবস্থানেই রয়ে গেলো। বুঝাই যাচ্ছে রুশানের কাছে তার প্রিয় মানুষটার চেয়েও দায়িত্বটা সবচেয়ে বড়।

সন্ধা পেড়িয়ে রাত হয়ে এলো। রুশানের কোনো রেসপন্স না পেলে রিমার সাথে থাকা লোকটা ধরেই নিলো রিমাকে এখন মে’রে ফেলতে বলবে নিলয়। এরপর কোথাও পু’তে দিতে। কেউই কিছু জানবে না।

বাসায় সে আর মেয়েটা ছারা কেও নেই। মে’রেই যখন ফেলবে, মাঝখানের সময়টায় একটু ইনজয় করলে প্রব্লেম কি? একা ঘরে এই এমন সুন্দরী একটা মেয়েকে নিয়ে গত কাল রাত থেকেই এসব চিন্তা মাতার মাঝে পীড়া দিচ্ছে খুব। নিলয়ের ভয়ে কিছুই করতে পারেনি। আর একটু পর তো নিলয় তাকে এমনিতেই বলবে মেয়েটাকে মে’রে ফেলতে।

সাত পাঁচ না ভেবে দরজা খুলে রিমাকে রাখা রুমে প্রবেশ করলো লোকটা। লোকটার অঙ্গি-ভঙ্গি দেখে গলা শুকিয়ে আসে রিমার।
লোকটা তার কাছা কাছি এলেই কয়েকবার চিৎকার দিয়ে উঠে সে। এর পর আর চিৎকার করতে পারলো না। লোকটা এক হাতে রিমার মুখ চেপে ধরে নিলো। রিমা নিজেকে ছাড়াতে ধাক্কা দিতে লাগলো লোকটাকে। এতে এক মুহুর্তের জন্য ছারা পেলেও আবার লোকটা তার কাছে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে।

হুট করে নিলয়কে রুমে আসতে দেখেই থেমে যায় লোকটা। রিমা ভয়ে জড়সড় হয়ে বসে গেলো রুমের এক কোনে। এখনও নিলয়ের মুখে একটা কাপর পেঁচানো। যেন রিমা তাকে চিনতে না পারে।

নিলয়কে দেখে মনে মনে অনেকটা বিরক্ত হলো লোকটা। নিলয় আসার আর সময় পেলো না। তবুও মনের মাঝে ভয় জেগে উঠলো তার। নিলয় আবার রাগ করে বসে কিনা এটা ভেবে।

কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে এসব নিয়ে তেমন একটা না ভেবে নিলয় একটা চেয়ার টেনে তাদের সামনে বসে। মুখে একটা হাসি ফুটিয়ে বলে,
– বাহ তুই তো দেখি অনেক এডভান্স। আমি আসার আগেই সব শুরু করে দিলি।
লোকটা মনে মনে এবার কিছুটা সাহস পেলো। হাসি ফুটে উঠলো তার মুখেও। উত্তেজনা নিয়ে প্রশ্ন করে,
– ভাই মেয়েটাকে তো মে’রেই ফেলবেন তাই না?
নিলয়ও শান্ত ভাবে বলে,
– মা’রতে তো হবেই। আমার কথা অমান্য করার শাস্তি না পেলে কি হয়? এখানে কোনো ধারালো ছু’রি আছে?
লোকটা একটু লাজুক হেসে বলে,
– ভাই মা’রার আগে কিচুক্ষনের জন্য আমাকে একটু সুজুগ দিন।
নিলয় আবারও মুচকি হেসে বলে,
– আচ্ছা ঠিক আছে, আগে তো ছু’রিটা নিয়ে আয়। দেখতে হবে না, ধার ঠিক আছে কি না। এর ফাকে তুই তোর কাজ সেরে নিবি।

পাশ থেকে এদের কথা শুনে থরথর করে কাঁপছে রিমা। নিলয়ের অনুমতি পেয়ে লোকটা আর দেড়ি না করে একটা দারালো ছু’রি এনে নিলয়ের হাতে দিলো। আর হাস্যজ্জল মুখে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ন্যাকামি স্বরে বলে,
-ভাই,,,,,,

নিলয় আঙুল দিয়ে একবার ধার চেক করে হুট করেই ছু’রিটা লোকটার গ’লায় বসিয়ে দেয়। দুই সেকেন্ড সব স্বাভাবিক থাকলেও র’ক্ত বের হতে শুরু করলে লোকটা নিজের গলা হাত দিয়ে চেপে ধরে বড় বড় চোখে নিলয়ের দিকে চেয়ে হাটু ভাজ করে ফ্লোরে বসে পরে। র’ক্তের স্রোত বয়ে চলছে লোকটার গলা দিয়ে।
যা দেখে পাশ থেকে মুখে হাত দিয়ে চিৎকার করে উঠে রিমা।
নিলয় মুখটা এবার কিছুটা গম্ভির করে লোকটার দিকে চেয়ে বলে,
– বিড়াল রাস্তা কা’টলে তাকে পি’ষে ফেলি আমি। তোকে কি করে ছাড়ি?

To be continue……..

#ছদ্মবেশ (পর্ব ৬৮)
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ

হাটুর উপর ভর করে বসে থাকা অবস্থায় কয়েক সেকেন্ডের মাঝে র’ক্তে লোকটার জামা ভিজে লাল হয়ে গেলো। ব্যালেন্স হারিয়ে এক কাত হয়ে ফ্লোরে শুয়ে পরে সে। গলা থেকে র’ক্ত এখনো ঝড়ছে। ফ্লোর লাল হয়ে যাচ্ছে সেই র’ক্তে।
ছুরিটা এক পাশে ছুড়ে ফেলে দেয় নিলয়। শান্ত ভাবে রিমার দিকে তাকালে দেখে রুমের এক কোন ঘেসে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে রেখে চোখ দুটু বড় বড় করে চেয়ে আছে রিমা। কপাল গলা দুটুই ঘামে ভিজে একাকার।
নিলয়কে তার দিকে তাকাতে দেখলে ভয়ে কেঁপে উঠে রিমাও। মনে একটা প্রশ্ন অজান্তেই নাড়া দিলো। আর তা হলো, লোকটার মতো এখন রিমাকেও কি এভাবে জ’বাই করে দিবে?

থরতর করে সারা শরির কাঁপছে তার। জীবনে প্রথম কাউকে চোখের সামনে খু’ন হতে দেখলো সে। জবাই করা মুরগী যেমন করে ধাপড়ায় ঠিক তেমন করেই তার চোখের সামনে একটা তাজা প্রান নিস্তেজ হয়ে গেলো।
ভয়ে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছেনা রিমার। নিলয়ের দিকে চেয়ে থরথর করে কাঁপছে শুধু।

তাকে অবাক করে দিয়ে নিলয় বলে,
– ভয় পাবে না। চুপচাপ উঠে নিজেকে স্বাভাবিক করে নাও। বাড়ি পৌছে দিয়ে আসছি তোমায়।
রিমা এবার আরো অবাক হয়ে গেলো। লোকটা কি বলছে এসব? নিজের লোককে মে’রে তাকে বলছে বাড়ি পৌছে দিবে। তাহলে ধরে এনেছে কেন? কিছুই মাথায় আসছে না তার।
রিমাকে এখনো চুপচাপ জড়সড় হয়ে বসে থাকতে দেখে নিলয় আবার বলে,
– চুপচাপ যা বলছি তাই করো। নয়তো এই লোকটার মতোই অবস্থা হবে তোমারও।

যদিও রিমাকে ভয় দেখানোর জন্যই কথাটা বলেছিলো নিলয়। তবে কাজও হয়েছে সে কথায়। প্রানের মায়া কম বেশ সবারই থাকে। তাই চুপচাপ নিলয়ের পেছন পেছন হাটতে থাকে সে।
নিলয় তাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজে গিয়ে ড্রাইবিং সীটে বসে।
নিলয় ড্রাইবিং করার সময় রিমা পেছন থেকে বেশ কিছুক্ষন তার দিকে লক্ষ রাখলো। পুরোটা সময় লোকটা মুখে একটা কাপর বেধে রেখেছে। আবার রিমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলো দেখে নিজের লোককেই মে’রে ফেলেছে সে। এখন আবার বলছে বাড়ি পৌছে দিবে।
লোকটার কান্ড সব মিলিয়ে রিমাকে ভাবাচ্ছে খুব। এতো কিছুর পরও লোকটা নিজের চেহারা দেখাতে চাইছে না কেন? তার উপর কিছুটা চেনা চেনা মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কৌতূহল বেড়েই চলছে রিমার। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো হুট করে এক টানে লোকটার মুখের কাপর সরিয়ে নিবে।

কিছুক্ষন ভেবে ভেবে সময় কাটালো রিমা। ভয়ে কাপর সরাতে সাহস করছে না। অনেক্ষন পর বড় বড় দু’টো নিশ্বাস নিয়ে নিজের মাঝে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করলো সে। হাত বাড়িয়ে নিলয়ের মুখের কাপর সরাতে যাবে তার এমন সময়ই নিলয় একটা পিস্তল তাক করে ফেলে রিমার দিকে।
যা দেখে ভয়ে রিতিমত কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিলো রিমা। নিলয় এতোক্ষন সামনের গ্লাসে রিমার অঙ্গি-ভঙ্গি ঠিকই লক্ষ রেখেছিলো। যেটা হয়তো রিমার মাথাতেই আসেনি।
গাড়ি থামিয়ে নিলয় বলে,
– রুশানের সাথে থেকে থেকে এসব শিখেছো না? বেশি চালাকি করার চেষ্টা করবে তো, এখান থেকে শুধু এক রাউন্ড খরচ করবো।

ব্যাস রিমার সব সাহস সেখানেই উড়ে গেলো। বাকিটা রাস্তা আর হাতও নাড়ালো না সে। বেশ কিছুক্ষন পর গাড়ি ব্রেক করে রিমাকে নামতে বলে নিলয়। রিমা নামতে রেডি হলে নিলয় বলে,
– আরেকটা কথা। আমি রুশানেরই দলের একজন। বাসায় গিয়ে বলবে যে, রুশানের কথায় তোমাকে এখানে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। হয়তো তোমার ফ্যামিলি রুশানকে সার্থপর ভাবতে পারে।

রিমা কিছু না বলে চুপচাপ নেমে গেলে, নিলয় আর এক মুহুর্ত দেড়ি না করে একটানে গাড়ি নিয়ে রিমার চোখের আড়াল হয়ে গেলো।

রাত হয়ে গেছে অনেক আগেই। রিমাকে মে’রে ফেলেছে ভেবে ইতি মধ্যে রিমার বাড়িতে কান্নার রোল পরে গেলো। আরশিও এই বাসায়। খবর পেয়ে সকালেই এসেছে।
রিমা আর এক মুহুর্ত দেড়ি না করে নিজের জান নিয়ে বাসার দিকে ছুটে গেলো।

কলিং বেল বাজতেই দরজা খোলে রামিম। রিমাকে বাইরে দাড়িয়ে থাকতে দেখে যেন কিছুক্ষনের জন্য কথা বন্ধ হয়ে গেলো তার। পেছন থেকে সবাই ছুটে আসে দরজার কাছে। রিমাকে দেখে আরিশা ছুটে এসে মেয়েকে জড়িয়ে দরে কেঁদে দিলো। তার সাথে নানান প্রশ্ন। তোর কোনো ক্ষতি করেছে কি না? কারা এমন করেছে? এখন ফিরে এলি কিভাবে? এমন নানান প্রশ্ন।

রিমা এতোক্ষন ভয়ে থাকলেও ফ্যামিলির কাছে ফিরে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলো। কিছুটা ভয় কাটিয়ে বলে,
– এখন তো ভালো ভাবেই ফিরেছি তাই না? আর রুশান ভাইয়ার লোকই আমাকে বাড়িয়ে এনে দিয়ে গেছে।
পাশ থেকে রামিম বলে,
– আমি ঠিকই জানতাম রুশান কোনো না কোনো ভাবে তোকে বাচিয়ে নিবে। সে তোর কোনো ক্ষতি হতে দেবে না। এরাই শুধু এতোক্ষন ধরে টেনশন করছিলো।

পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আরশি সাইডে গিয়ে রুশানের নাম্বারে ফোন দেয়। মায়ের ফোন পেয়ে রিসিভ করে রুশান আহত স্বরে বলে উঠে,
– স্যরি মা।
রুশান আর কিছু বলার আগেই আরশি বলে উঠে,
– রিমা বাসায় ফিরেছে। তোর লোকই নাকি তাকে সেভ করে বাসা অব্দি পৌছে দিয়েছে।

আরশির কথায় রুশান যেন আকাশ থেকে পরলো। কিছুক্ষন আগেও ভাবছিলো রিমা ও তার ফ্যামিলির সামনে কিভাবে মুখ দেখাবে? যে এতো পাওয়ার থাকার পরও রিমাকে বাচাতে পারেনি সে।
আর এখন শুনছে রুশানের লোকই রিমাকে সেভ করেছে। বাট রুশানের পুরো টিমই ব্যার্থতা ছারা কিছুই প্রকাশ করে পারেনি। তাহলে রিমাই বা বাসায় ফিরলো কি করে?
উত্তেজনা নিয়ে রুশান বলে উঠে,
– আচ্ছা আমি এখনই আসছি।

পাশ থেকে রাজ, তুষার, নিবিড়, ফরিদা আন্টি তারাও কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন করে,
– কোনো খবর পাওয়া গেছে?
রুশান হাস্যজ্জল মুখে বলে,
– রিমা নাকি বাসায় পৌছালো মাত্র।
মুহুর্তেই সবার মন আনন্দে নেচে উঠলো। এতোক্ষন ধরে পাওয়া ভয়টা মুহুর্তেই যেন আনন্দে রুপ নিলো।
সেই সময়ে বাসায় প্রবেশ করে নিলয়। ফরিদা আন্টি সব সবাইকে এমন হাসি খুশি দেখে বুঝতে বাকি রইলোনা এই হাসির কারণ। এদের আনন্দে কেন যেন নিলয়ের মাঝেও অদ্ভুত রকমের এক প্রশান্তি কাজ করছে। ইচ্ছে হচ্ছে এই মানুষ গুলোর হাসি খুশি জীবনের সাথে সে নিজেও মিশে যেতে।
,
,
রাত তখন ১২ টা। আসার পর ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রুমে বসে চুপচাপ বসে পুরো কাহিনিটা ভাবতে লাগলো রিমা। এটা যেন মাথা থেকেই সরছে না তার। হুট করে রুমে রুশানকে প্রবেশ করতে দেখে উঠে দাড়ালো সে।
রুশান রিমার সামনে এসে দাড়ালো। নিশ্চুপ হয়ে কিছুক্ষন একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলো দুজন। রুশানের বুকটা এখনো ধুক ধুক করছে। এক মুহুর্তের জন্য হলেও ভেবে ছিলো সবই হারিয়ে গেছে তার জীবন থেকে।
নিজেকে আর সামলে রাখতে না পেরে হুট করে রিমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রুশান। কোনো কথা বলছে না। শুধু বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে সে। আর সেই নিশ্বাসের শব্দ কুব কাছ থেকেই শুনতে পাচ্ছে রিমা।

কিছুক্ষন ওভাবে নিরবতায় কে’টে গেলো দুজনের। অনেকটা শান্ত হওয়ার পর হাতের বাধনটা ধীরে ধীরে ছারতে থাকে রুশান।
রিমার দুই গালে হাত রেখে বলে,
– বলেছিলাম না, বাসা থেকে বের হবি না? কিছু প্রয়োজন হলে রামিম ভাইয়াকে বা আঙ্কেলকে বলবি। আর নাহলে আমাকে বলবি? প্রয়োজনে এখানে এসেই সবটা করে দিতাম আমি। তবুও কেন এভাবে একা বের হতে গেলি?
রিমা চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। রুশান আবার বলে,
– কারা ছিলো? তোকে মে’রেছে?
রিমা দুই দিকে মাথা নাড়িয়ে না বললো। তারপর মুখ ফুটিয়ে বলে,
– দুজন ছিলো তারা। একজনের মুখে কাপর বাধা ছিলো। অন্যজন খুব খারাপ ছিলো। আমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলো দেখে, মুখে কাপর বাধা লোকটা তাকে মে’রে ফেলে। তারপর আমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে চলে গেলো। আর যাওয়ার বলেছিলো সে আপনার লোক।

রুশানের কপালে চিন্তার ভাজ পরলো। কিড’নাপ করে রুশানকে ব্ল্যাকমেইল করে আবার রিমাকে বাড়ি পৌছে দিলো। আবার বললো সে আমার লোক। এটা কি তাদের নতুন কোনো চাল?
ওসব নিয়ে তেমন একটা ভাবছে না রুশান। রিমাকে ফিরে পেয়েছে এটাই এই মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে রিমাকে আবার নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো রুশান। যেন এটা নতুন করে তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
,
,
কেটে গেলো আরো কয়েক দিন। গোয়েন্দা টিম থেকে খবর পেলো আগামি কাল রাতে অনেক বড় একটা চালান পার্বত্য চট্টগ্রাম এর দিকে যাবে।

খবর পাওয়া মাত্রই নিজের একটা টিম নিয়ে জায়গাগুলো সম্পর্কে প্ল্যানিং করে সব সেটিং করে রাখতে ব্যাস্ত।

ওদিকে দেশের পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা ভয়াবহ হয়ে উঠায় পিন্টু সাহস করছে না এতো বড় চালান সামলাতে।
যার কারণে নিলয় নিজেই সবটা সামলানোর সিদ্ধান্ত নিলো। পিন্টুকে এদিকটা সামলানোর দায়িত্ব দিলো সে। সে এবার নিজেই দেখতে চায় কিভাবে এতগুলো মাল আটক হয়েছিলো।

To be continue………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here