জা মানে জালিম,১ম পর্ব
সত্য ঘটনা অবলম্বনে..
Writer:nusrat haq
(বিঃদ্রঃ অবশ্য সব জা এক না।)
আমার নাম মহুয়া। আর ৫ টা মেয়ের মতই আমার ছোট বেলা কাটে। এখানে বলার কিছু নেই। মধ্যবিও পরিবারের মেয়েরা যেভাবে বড় হয় ঠিক আমিও সেভাবে বড় হয়েছি।
কম বেশি আমরা সবাই মধ্যবিও পরিবারের মেয়েদের জীবন সম্পকে অবগত। একটা নিদিষ্ট বয়সে তাদের ও বিয়ের খন্ড চৌকাতে হয়। আমার বেলায় ও ব্যতিক্রম হয়নি।
কলেজে ভর্তি হওয়ার পরপরই বিবাহিত জীবনে পা দি।
পুরো বিস্তারিত আমার ছোটবেলাটা বলছি না কারন বাকি সবার মতই আমার ছেলেবেলা আলাদা কিছু নেই।
আমাকে যে দিন দেখতে আসে সে যেদিন এসেছিলো আমার জা আর ননদ। আমার শশুর শাশুড়ী ছিলেন না। বাবা মা খালি ঘর পেয়ে আমার সুখের আশায় বিয়েদিয়ে দেয়।
বিয়ের আগে থেকেই আমার সব ব্যাপারে আমার জায়ের তদারকি বেশি ছিলো৷
আমরা হয়ত মনে করে ছিলাম তারা ছাড়া আর কেবা করবে।
আমার জাই আমার জামা কাপড় আর বিয়ের সাজ ঠিক করে দেয়। আর ওখানে কারো সাধ্যি ছিলোনা।
৮০ হাজার টাকায় দেনমোহর হয়ে আমার বিয়ে হয়। ২০০৪ সালে।
আমার বরের দোকান ছিলো কসমেটিকস এর। ব্যবসাী ছিলো।
তারা ২ ভাই ১ বোন ছিলো।
আমার বরের বড় ভাই ছিলো আর তার ছোট বোন সে বিবাহিত ছিলো।
শশুর শাশুড়ী মারা যায় আমার বিয়ের ১ বছর আগে শাশুড়ি আর বিয়ের ৫ মাস আগে শশুর।
ঘর ফাকা তেমন ঝামেলা নাই সুখের আশায় পা দিলাম শশুর বাড়িতে।
আমার ভাসুর ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তার মুদির দোকান ছিলো।
বিয়ের দিন আমি আমার বরের চেহারা দেখি। তাও পুরো না এক পলক দেখে চোখ সরিয়ে নিয়ে ছিলাম।
আমার বাবা মা তাদের সাধ্য মত আমাকে ঘর সাজিয়ে দেয়। আর আমার বরের আমাকে একটা চেইন আর এক জোড়া কানের দুল আর একটা আংটি দেয়।
বিয়ের পর শশুর বাড়িতে যাওয়ার পর খুব ক্লান্ত ছিলাম।
তারা আমাকে একটা বিছানাই বসালো। আর আমার ননদ আমাকে জামা কাপড় আর সাজ তুলতে সাহায্য করছিলো।
আমাদের সেদিন রাতেই বাসর দেওয়া হয়। আর সেদিন থেকেই থেকে আমার জা আমাকে কটু কথা বলতে শুরু করে ঠেস মেরে মেরে।
আজব বিষয় আমি কিছুই বুজতে ছিলাম না।
বাসর রাত যখন দেওয়া হলো আমাদের আমার বর রুমে আসলো আমি সালাম দিলাম তারপর আমার পায়ে ধরে সালাম করলাম বরের।
নামাজ পড়বো ঠিক ওই সময়ে দরজাই কড়া পড়ে।
আমার বর দরজা খুলে আর দেখে আমার জা।
আমার জা আমার বরকে বলে তোমার রুম থেকে কাঁথা নিতে এসেছি মেহমানের জন্য।
আমার দিকে একটু তাকিয়ে কাঁথা নিয়ে চলে যায়।
এর প্রায় আধা ঘন্টা পর আমার রুমে দরজাই কড়া নাড়ে সে বারের মতই আমার বর দরজা খুলে আর দেখে আমার জা। এবার ও একটা অযুহাত দিলো।
তখন অতটা বুজি নি।
তারপর ২০ মিনিট পর তার ছেলেকে নিয়ে আসে। ছেলে নাকি চাচার জন্য কান্না করতেছে। সে রাতে ওনার ছেলে আমাদের সাথে ঘুমালো।
আর জা একটু পর পর এসে দরজা কড়া নাড়ছিলো বলছিলো ছেলেকে দেখতে এসেছি।
তারপর আর দরজা বন্ধ করি নি। রাত ১ টার দিকে আমার বরকে কি কাজের জন্য ডেকে নিয়ে যায়।
আমি ও ক্লান্ত থাকার কারনে ঘুমিয়ে পড়ি।
সে রাতে আমাদের কিছুই হলো না। এমনকি ঠিক মত কথা ও হলো না।
পরেরদিন আমার বাড়ি থেকে লোক এসেছে।বৌভাতে।
তারপর আমার জা বলতেছে মিস্টি কম এনেছে।
সব আত্মীয়দের তো দেওয়া ও যাবে না অথচ ২০ কেজি মিস্টি এনেছে। সাথে ফলমুল পিঠা আরো কত কি।
আমার পরিবার লজ্জা বোধ করলও।
আমার ননদ আমার জা কে ডাক দিলো। বললও যা এনেছে কম কিসের?
সে আমার ননদ কে উল্টো আরো কথা শুনিয়ে দিলো।
আমার বাড়ির লোকজন যাওয়ার পর রাতের দিকে আমার সামনে আমার জায়ের বাপের বাড়ির লোকদের প্রায় অর্ধেক জিনিস দিয়ে দিয়েছে।
আমার মাথায় তখনও ডুকছিলো না সে এমন কেন?
বিয়ের ৩য় দিন বাড়ি ঘর একদম ফাঁকা হয়ে গেলো। মেহমানরা ও চলে গেলো।
আমি আমার শশুর বাড়িটা দেখতে লাগলাম। ৫ টা রুম।
বাড়ির সামনে পুকুর।
একলা বাড়ি।
আমার জা আমায় বললও রান্না বান্না করো খেয়ে দেখি তোমার রান্না কেমন।
আমি ও যথা রীতি রান্না শুধু করে দিলাম।
আমার জা সে কিছুই করলো নাা উলটো বসে বসে আমার বাপের বাড়ির খুঁত ধরতেছে।
এটা দেয়নি ওটা দেয়নি এটা কম পড়ছে ওটা কম পড়ছে।
আমি চুপচাপ শুনতে ছিলাম। তাছাড়াই বা কি করব বলুন আমি নতুন বউ কি বলব।
আমার বয়স ১৮ আর তার বয়স ছিলো ৩০ এর কাছাকাছি।
২ টা বাচ্চার মা।
তো সারা সকাল রান্না করলাম। দুপুর হলো আমি গোসল করে গেলাম ও নামাজ পড়লাম।
আমাকে কেউ ভাত খেতে ও ডাকছেনা। রুম থেকে বের হয়ে দেখলাম আমার জা আমার বরকে ভাত বেড়ে দিচ্ছে৷
আমিও তাকে সাহায্য করলাম। আমার বর আর আমার জা তার ছেলে খেতে বসলো৷ আমাকে বললও তার ছেলেকে খাইয়ে দিতে।
আমি তাই করতে লাগলাম।
এরপর আমার বর বললও রান্না খুব মজা হয়েছে ভাবি।
অমনি আমার জা বলতে শুরু করলও এটা কম হয়েছে, তেল বেশি হয়েছে,আরো অনেক কথা।
বললও এভাবে রান্না করলে ২ দিনে ফকির হয়ে যেতে হবে।
তারপর সে খেয়ে হাত ধুয়ে উঠে গেলো৷
আর আমাকে বললও ওগুলো পরিস্কার করে ভাত খেয়ে নিতে।
আমার আর গলা দিয়ে ভাত নামলো না।
কান্না চলে আসলো। আমি নিজের রুমে চলে আসলাম।
রুমে বর এসেছে। এসে আমাকে বললও কি হয়েছে।
ওমনি আমার জা আমার এসে বসে রইলও।
মানে আমাদের নতুন বিয়ে হয়ছে। আমরা একটু সময় কাটাবো ও তার ও সুযোগ নেই৷
সে আমাকে বলতে লাগলো এতদিন অনেক সামলাইছি, এবার তুমি সামলাও।
আমি সামলাতে সামলাতে ২ বাচ্চার মা হইছি। আমি কিছু বললাম না।
তার অত্যাচার গুলো দিন দিন বেড়েই চলছিলো৷
আমি ১ বারের চেয়ে ২ বার গোসল করলে বলতো, সারাদিন কি জামাই এর সাথে এসব করা লাগে?
আমার ও বিয়ে হয়েছে।
আমিতো করিনি।
তারপর সারাদিন কাজ করতাম সে কিছুই করতো না। উল্টো বসে বসে আমার খুঁত ধরতো।
আর বলতও আমি অনেক করেছি এবার তুমি করো।
আমাকে কয়দিন কাজ থেকে ছুটি দাও।
আমি আমার বরের সাথে একটু হেসে কথা বললেও মনে হয় তার জ্বলতো৷
আমি একটু সাজলেও বলতো সারাদিন সাজা ছাড়া কোনো কাজ নাই?
আমি জামাই এর সাথে একটু বসলে বলতো কাজ না করে সারাদিন জামাই এর সাথে বসে থাকি।
অনেক সময় মানুষকে বুজাতো যে আমি খারাপ!
আমার এগুলো খুব খারাপ লাগতো।
১ মাস বাদে বাপের বাড়ি যাব । আমি তো মহা খুশি। কয়দিন থাকবো। বরও থাকবে আমার সাথে।
ওমনি আমার জা বললও আমার সাথে আমার বাপের বাড়ি যাবে।
বিকালে চলে আসবে।
তো সবাই গেলাম। বর থাকবে জা চলে আসবে একা বাচ্চা নিয়ে।
ওমা দুপুর হতেই আমার জায়ের নাকি শরীর খারাপ লাগতেছে।?
বিকালের দিকে চলে আসবে, একা কিভাবে যাবে আমাকে বলল তুমি থাকো।
সেলিম আমায় দিয়ে আসুক, আমার শরীর খারাপ লাগছে, একা কিভাবে যাবো?।
আমি ও আর থাকলাম না,ওদের সাথেই চলে আসলাম।
শশুর বাড়িতে আসার পর আমার জায়ের শরীর ভালো হয়ে যায়!।
সে হাটছে, খাচ্ছে আরো কত কি।
আমি তাও কিছু বললাম না। তার অত্যাচার গুলো দিন বেড়েই যাচ্ছে।
বলে রাখি,
বিয়ের পর থেকে আমার জা আমাকে বাচ্চা না হওয়ার জন্য ট্যাবলেট এনে দেয় আর বলে খেতে।
কারন এখন বাচ্চা নিলে ইনজয় কখন করবো?
আমি ও খেতাম না ট্যাবলেট। ?
আমার ভাসুর বাড়িতে থাকতেন না খুব একটা। আমার বিয়ের ৪ মাস পর ওনি মুূদির দোকান ছেড়ে বিদেশ গেলেন।
ব্যস, তখন তো তাদের আসল রুপ গুলো আরো খুলাখুলি।
আমার জা নিজেকে মহারানী মনে করতো, আর আমাকে মনে করতো তার চাকরানী।
সব সময় আমাকে কাজের হুকুম দিতেন। নিজে কিছুই করতেন না।
আবার আমার নামে মানুষকে নিন্দা বলতেন।
পুকুরে জাল দিলে যে মাছ পেতাম উনি অর্ধেক ওনার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে বাকিটা বেচে দিতেন। আর কিছু ঘরে রাখতেন।
আমার বরের টাকা পয়সা সব কিছুর হিসাব রাখতেন।
আমার বর ও কিছু বলতো না।
আমি আর আমার বর একটু বসে কথা বললে ওনি চলে আসতো৷
আমার বর আমাকে স্পর্শ করলে ওনি আমার বরের সাথে ঝগড়া লেগে যেতেন।
আর সকালে আমাকে বলতো কয় বার করছে?
একদিন আমি পুকুরে গিয়েছি কাপড় ধুতে।
তো সে আমার বরকে বলতেছে আমাকে তো ভালো লাগে না তাই না?
বউয়ের সাথে সারাদিন ওসব করতে হয় নাকি?
আমি সেটা শুনে ফেলি।
আর আমাকে দেখে কথা কাটিয়ে ফেলেন এবং আমি ও আর সেটা আমলে নি নাই।
বিয়ের ৭ মাস পর আমার পেটে বাচ্চা আসে।
আমি সেটা বুজতে পারি।
আমার বর অনেক খুশি এটা শুনে। কিন্তুু আমার জা খবর টা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো আমার সেটাই মনে হলো।
যখন আমার আড়াই মাস হয় তখন আমার জায়ের মা মধুভাত রান্না করে আনে।
আমি খাওয়ার পর রাতের বেলা হঠাৎ আমার খুব পেটে ব্যাথা,? ওমা সাথে রক্ত যাচ্ছে। ?
আমার বরকে ডাকলাম, সে সাথে সাথে আমাকে হাসপাতালে নিলেন।
ডক্টর চেকআপ করে বললেন, বাচ্চা আর নেই। মিসক্যারেজ হয়ে গেছে৷
কথাটি শুনে খুব কস্ট পেলাম। মনে হচ্ছিলো যেন হৃদপিণ্ডে কেউ হাতুরী মারছে।
পরের দিন আমার বাবা মা এসে ছিলো।
আমার শরীর অসুস্থ থাকায় ওদের সাথে বাবার বাড়ি গেলাম।
একটানা ২০ দিন ছিলামসেখানে।
এই ২০ দিনে বর ২ বার দেখতে গিয়েছিলো।তা ও সকালে গিয়ে বিকালে চলে আসছে।
আবার শশুর বাড়িতে আসলাম। দিন যাচ্ছে সময় পার হচ্ছে।
আর আমি আবার বাচ্চার জন্য চেষ্টা করতে লাগলাম।
আস্তে আস্তে দেখলাম,আমার বর খুব বাজে ব্যবহার করে আমার সাথে।
রুমে আসে না, দিনে তো না ই,রাতে ও না।
রাতে সে আরেকটা রুমে ঘুমায়।
এসব আমার খুব খারাপ লাগতো।
সব সময় আমার জা এর সাথে হাসি মুখে কথা বলতো মজা করতো,কিন্তু আমাকে যেন কারো সহ্য ই হতো না।
কোথাও গেলে তারা ১ সাথে যেতো, আমাকে সাথে নিতো ও না।
বিয়ে দেড় বছর এভাবে পার হলো।
আরেকটা জিনিস বলি,
আমার বর আমার সাথে তেমন সহবাস ও করতো না।
আর সে সহবাস করার সময় খুব দুর্বল থাকতো।
আমার বর তো আলাদা রুমে থাকতো আর আমি একা থাকতাম। কত রাত যে ঘুমায় নি তার কোনো হিসাব নেই। শুধু আল্লাহ কে স্মরণ করতাম।
প্রায় সময় দেখতাম আমার জা গোসল করতেছেন সকাল বেলা।
আমি কিছু বলতাম না। নিজে থেকেই ওনি বলতো যে আজকে গরম পড়ছে বেশি।
আবার আমার বর ও সকালে গোসল করতো।
একবার আমার জা কি এক সমস্যার জন্য তার বাপের বাড়ি যায় এবং ১ মাস ছিলো।
আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না,
আমার ঘরটা বেহেশত খানা ছিলো তখন।
আমার বরের সাথে খুব ভালো সময় কাটাইছি। তার পর আমার বর ওই সময় গুলো তে যকন আমাকে স্পর্শ করতো, কখনো ক্লান্ত ও হতো না।
ওই দিন গুলো ছিলো সপ্নের মতো।
১ মাস পর সে আসলো বাপের বাড়ি থেকে, আর আমার বরকে বলতে লাগলো যে, আমাকে এক বারও দেখতে যাও নি । ভালোই সময় কাটাইছো মনে হয়।!
২ বছর পর ২০০৭ সালে আমি আমার কনসিভ করি।
ওমা এবার ও সেম কাহিনী।
২ মাসের সময় আমার জা ঘরে মধু ভাত রান্না করে আর ওই রাতেই মিস ক্যারেজ।
তখন ব্যাপার টা বুজিনি।
মানুষিক ভাবে খুব ভেঙে পড়লাম।
এত কিছু হচ্ছে আমার সাথে সেটা কখনো আমি আমার পরিবারকে কিছুই বলি নি।
আমার বর কিছু আনলে সবসময় আমার জায়ের জন্য আনতো, আমার জন্য আনতো না।
আমি কিছুই বলতাম না চুপচাপ থাকতাম।
২০০৮ সালে আমার ভাসুর দেশে আসে৷ এরপর আমার জা শুধু ভাসুরকে বলতো, কখন যাবা আবার বিদেশে?
আমার জা শুধুই আমার ভাসুরকে দূরে রাখার ফন্দি করতো।
আমার ভাসুর আসার পর থেকে আমার বর আমা
এর পর ৪ মাস পর আমার ভাসুর চলে যায় এবং মনে হলো যেনো আমার জা হাঁপ ছেড়ে বাচলো।
২০১০ এ আমি আবার কনসিভ করি।
এবার কনসিভ হওয়ার সাথে সাথে বাপের বাড়ি চলে যাই।
বর তেমন আসতো না আসলেও তেমন থাকতো না চলে যেতো৷
বাপের বাড়ি ১ বছর ছিলাম৷ আমার ছেলে হলোও।
আমার বর অনেক খুশি আর আমার ননদ ও আসলো।
আমার ননদ আমাদের বাড়িতে আসে না কখনো। আমার ৬ বছর বিবাহিত জীবনে আমার ননদ ২ বার এসেছিলো।
আমার জা এলো না, তার নাকি অসুখ।
আমার ছেলের ৩ মাস যখন বয়স আমি শশুর বাড়ি গেলাম।
আমার বর নিজেই নিতে আসছিলো৷
আমার জা কেমন যেন করতো আমার ছেলেকে। কোলে নিতো না কখনো।কাঁদলে ও দেখতো না।
আমার ছেলের যখন ৬ মাস বয়স আমি আমার ছেলেকে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতাম।
তো একদিন খিচুড়ি রান্না করে পাশের বাড়িতে গেছিলাম।
রাতে খিচুড়ি খাওনোর পর আমার ছেলে ঘুমিয়ে গেলো।
কিন্তু শেষ রাতের দিকে আমার ছেলে রক্ত বমি করতে লাগলো?
আমি ভয়ে চিৎকার করতে লাগলাম।
আমার চিৎকারে আমার বরের ঘুম ভাঙ্গে এবং তাড়াহুড়ো করে হাসপাতাল নিতে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই আমার কলিজার টুকরা ছেলে মারা যায়।
চলবে,,?
সরি আমার কিছু মিস্টেক হয়েছিলো তাই অাবার নতুন করে পোস্ট করেছি (বিঃদ্রঃ ভুলট্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)