জা_মানে_জালিম,পর্ব ২,৩
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
Nusrat Haq
পর্ব ২
আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর আমি হাসপাতালে বসে আহাজারি করতে লাগলাম। আমার কান্না কাঁদে নাই ওখানের এমন কেউ নেই৷
পুরো উম্মাদের মত হয়ে গেছিলাম।
তারপর আমার ছেলের দাফন হলো।
আমার জা আমাকে উল্টো অনেক কথা শুনালো৷ বললও ছেলেকে নাকি আমি মারছি৷
সব দোষ আমার ঘাড়ে দিলো।
বললও ছেলেকে কি খাওয়াইছে কে জানে। ছেলে মানুষ করতে পারে না বাচ্চা নিতে কে বলে আল্লাহই ভালো জানে।
মানে ঘুরে ফিরে সব দোষ আমার। আর আমি ও নিজে নিজে মাথা ঠুকতে লাগলাম আর বিলাপ করে কান্না করতে লাগলাম যে ছেলেকে আমি মারছি।
আমার বর পাশে না থাকলে ও শান্তনা দিয়েছে।
তারপর আমি বাবার বাড়ি চলে আসি৷ আমার বাবা নিয়ে আসে।
শোক কাটিয়ে উঠলাম ৬ মাস পর।
এই ৬ মাস বাপের বাড়ি ছিলাম।
৬ মাস পর ৭ মাসের সময় আমি শশুর বাড়িতে যায়। সুস্থ হয়।
ওমা শশুর বাড়িতে গিয়ে জা সবসময় বলতো বাচ্চা কাচ্চা হবে না বিয়ে হয়ছে আজকে ৭ বছর হয়তেছে।
তুমি বিয়ে আরেকটা করো।
আরো অনেক কটু কথা।
কিছু দিন পর আমি খেয়াল করতে ছিলাম ভাবি বমি করতেছে ভাবির নাকি মাথা ও ঘুরায়। ওনি বললও বয়স হয়ছে হয়ত তাই এর কিছুদিন পর ওনি বাপের বাড়ি চলে যায়।
আর আসে ২ মাস পর।
এই ২ মাস আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছি বরের সাথে৷
আমার বর আমার সাথে গোসল করতো আমার মাথা আঁচড়িয়ে দিতো।
এমনকি আমার জামা কাপড় ও ধুয়ে দিতো৷
দোকান থেকে আসার সময় এটা সেটা আনতো৷ আর তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতো।
আর আমাকে বুজ দিতো।
আমি ও তার বুজ পেয়ে খুব খুশি হতাম।
এই ২ টা মাস আমি কখনও মন খারাপ করিনি।
এমনকি কাদিওনি।
২ মাস বাদে আসলো। আসার পর সে তুলকালাম বাধালো আমার বরের সাথে।
যাতা অবস্থা এক৷ কিন্তুু কিসের জন্য তুলকালাম বাধালো বুজতে পারলাম না।
আর আমার বরের সাথে ভালো সম্পক দেখে সে তেলে বেগুনে জলে উঠলো।
আমি রান্না করলে সে লবন ঢেলে দিতো।
এমনকি আমার বরের উপর রাগ করে সে বাচ্চা দের মারতো৷
আমার বর ও আমাকে অনেক মার ধোর শুরু করলো।
খুব বাজে বাজে ভাষায় আমাকে গালি দেয়।
কারনে অকারনে মানে আমি এই ঘরের বিষ এরকম অবস্থা।
তারপর সময় গড়াতে লাগলো ২০১২ সালে আমার ভাসুর আসলো।
সে বললও আর যাবে না।
আমার জা আমার ভাসুরের সাথে যুদ্ধ বাজালো কেন যাবে না বিদেশে।
এরপর তার বর আসার পর থেকে আমার বরের সাথে কম কথা বলত।
ও আচছা আপনাদের বলিনি।
আমার জা আমার বরের সামনে ওড়না ছাড়া থাকতো।
এমনকি মাঝে মাঝে রাতের বেলা গেনজি পড়ে আমার বরের সামনে হাটাচলা করতো।
অথচ আমি বউ হয়ে ও কখনও এমন করিনি।
একদিন গোসল শেষে তার বাচ্চা কান্না করতেছিলো তো সে শুধু ওড়না শরীরে পেঁচাই আসলো।
Nusrat Haq
জামা কাপড় কিছু গায়ে নেই৷ ওড়না শুধু বুক আর হাটুর উপর পযন্ত ঢাকা৷
আমি দেখে বললাম ভাবি এটা কি আপনি এভাবে এসেছেন কেন৷
লজ্জা নাই৷
ওমনি সে আমাকে বললও মনের পর্দা বড় পর্দা।
উপরে বোরকা পড়ে খেমটা নাচা টা ঠিক না।
তার পর আমার বর আমায় বললও তুমি নিচু মনের মানুষ।
আরো অনেক কিছু আরো অনেক তুলকালাম।
তারপর একদিন আমার বরকে আমার জা বলতেছে
কাপড়ের নিচ থেকে ব্র্যা টা আনতে।
আমি শুনে হতো বাক৷
এমনকি মাঝে মাঝে রাতের বেলা এসে আমার বরের কাছ থেকে কনডম চাইতো।
আমাকে বললে একটা কথা ছিলো তাও আনার বরকে বলছে৷
আমি আর চুপ থাকলাম না ধীরে ধীরে প্রতিবাদ করা শুরু করলাম আর এটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাড়ালো।
একদিন আমার বরের সাথে আমার ঝগড়া হয় তো বর অন্য রুমে গিয়ে ঘুমাই৷
তো রাতের বেলা আমি কিসের জন্য উঠে দেখি আমার জা আর বর খুব ঘনিষ্ঠ অবস্থা।
আমি চিৎকার দিয়ে উঠার সাথে সাথে আমার বর আমার মুখ ধরে ফেলে কারন আমার ভাসুর ঘুমাচ্ছিলো।
চলবে….
জা_মানে_জালিম…
সত্য ঘটনা অবলম্বনে
#৩য় পর্ব
Nusrat Haq
আমার বর আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে রুমে নিয়ে আসে।
ওই মুহুর্তে আমার বরের গায়ে কোনো কাপড়ই ছিলো না।
আমার জা ও আসে। কোনো রকম ওড়না একটা গায়ে চেপে।
তারপর আমার বর আমার জাকে বলে বটি নিয়ে আসো।
ওনি বটি নিয়ে আসে।
আর আমার গলার কাছে ধরে বলে যদি কখনও কাউকে বলিস বা চিৎকার করিস মেরে ফেলবো।
আমি ওই সময়টাতে অনেক অসহায় ছিলাম আর মৃত্যুর ভয়ে চুপ ছিলাম।
তারপর আমার জা গোসল করে এসে আমাকে কোরআন ধরাই আর আমার বর ওই অবস্থাই বটি নিয়ে আসে।
আমাকে কোরআন ধরে বলতে বলে আমি ও জীবনের ভয়ে কোরআন ধরে বলি।
আর তারা আমাকে ছাড়ে৷
ওই সময়টাতে আমি এতটাই বোকা ছিলাম যে আমি কাউকে আর বলি নি। শুধু নামাজ পড়ে আল্লাহকেই বলতাম।
আর ভয়টা ছিলো কোরআন ধরছি তাই।
পরের দিন সকালে সব নরমাল।এমন ভাব যেন কিছুই হয়নি।
কয়েকদিন পর জানতে পারলাম আমার জা কনসিভ করছে।
আমার ভাসুর শুনে তো খুশি৷
রাতের বেলা আমার বর আমার জাকে বলতেছে যে বাচ্চা নসট করে ফেলো।
আমার জা বলতেছে ৩ টা করলাম আর কয়টা করবো এটা রেখে দি। তাছাড়া তোমার ভাইয়ের নামে চালিয়ে দিলাম।
এটা নিয়ে আমার বর আর তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
তারা ১০ দিন আর কেউ কারো সাথে মাতে নি।
তো আমার জা ইদানীং আর আমার সাথে তেমন ভেজাল করে না।
২০১৩ সাল শুরু হলো আমার জায়ের ৭ মাস। এখন আর আমার যা মনে শারীরিক সম্পক করতে পারে না।
একদিন আমাকে বলে
আমার জা আমি সুস্থ হওয়া পযন্ত ওর সাথে সহবাস করিস৷
বলেতে ভুলে ওই ঘটনার পর থেকে আমার বর আর জা সবকিছু ওপেনলি করে।
আগে আমার থেকে লুকাতো এখন আর লুকায় না।
যা করে সামনা সামনি।
আমার বুকটা ফেটে যেতো।
মাঝে মাঝে তারা চুমু খেতো আমার সামনে।
লজ্জা লাগছে আমার এগুলো বলতে।
এরপর আমার জায়ের মরা বাচ্চা হয়।
ওই দিন আমার অনেক খুশি লেগেছে।
আমি তাকে বললাম আপনি ঠিক মতো বাচ্চা ও জন্ম দিতে পারেন না।
কারন আমার বাচ্চা মরে যাওয়ার পর আমাকে অনেক কথা বলত।
ওমা সে বরকে বলে দেয় আমার বর আমাকে অনেক মারে৷
মার খাওয়ার পর আমি ১ম বিয়ের ১০ বছর পর একা একা বাপের বাড়ি চলে যায়।
পরের দিন আমার বর আনায় নিতে আসে যদি কিছু বলে দি।
আমি আসার কিছুখন পর শশুর বাড়িতে খবর পায় আমার বাবা মারা যায়।
গেলাম ৪০ দিন ছিলাম। মন দিন অনেক খারাপ ছিলো।
মাথার উপর থেকে বাবা নামক ছায়াটা সরে যায়।
আসলে যার বাবা নাই সে বুজবে বাবা কি জিনিস।
এদিকে আমি আবার কনসিভ করি।
এবার কনসিভ করার সাথে সাথে বাপের বাড়ি চলে আসি।
কিন্তুু পরে শুনলাম আমার জা নাকি বাচ্চা টা নসট করার জন্য আমার বরকে চাপ দিতো।
এনিয়ে তাদের অনেক ঝগড়া হয়।
তো দিন এভাবে যাচ্ছে।
৭ মাসের সময় কি কাজে আমি শশুর বাড়িতে যায়।
১ রাত ছিলাম পরের দিন সকালে আমার জা আমার সাথে ঝগড়া করে অনেক বলার মতো না।
তো আমি পুকুর ঘাটে হাতধোয়ার জন্য গেছিলাম আমার জার ছেলেটা পুকুরে নামার সময় ঘাটের উওর পড়ে যায় আর আমি ও তার ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় সাথে সাথে রক্ত পাত শুরু হয়।
আমি শুধু ওমাগো ওমাগো বলে চিৎকার করছিলাম৷
আমাকে হাসপাতাল নেয় সিজার করে বাচ্চা বের করে কিন্তুু বাচ্চা টা পেটেই মারা যায়।
১৫ দিন হাসপাতালে ছিলাম।
এরপর মনে মনে সিদ্ধান্ত নি আর ওর সংসার করবো না।
কারন আমি তিক্ত হয়ে গেছি।
একদিন আমার জাকে বলতে শুনি ওকে ছেড়ে দাও আমরা বিয়ে করে নি।
চলবে…