জীবনসঙ্গী_৬
Chhamina_Begam
– ” আদিলা ? ” রাহাত হাক দেয় আদিলাকে । কিন্তু আদিলা শুনতে পায়না । সে একই ভাবে সামনে তাকিয়ে আছে ।
– “কি করছো তুমি এখানে ? ”
আদিলা চমকে উঠে । পাশে তাকিয়ে দেখে রাহাত দাড়িয়ে আছে ।
-” আমি ? কিছু না । ঘুম আসছিল না তাই চলে এলাম এখানে ”
– “সে তো বুঝলাম। কিন্তু এমন ঠান্ডায় তুমি শাল বা সোয়েটার কিছু গায়ে দাও নি কেন ? ঠান্ডায় তো রীতিমতো কাঁপতে শুরু করেছ । এরপর তো জ্বর এসে যাবে”
রাহাতের গলার স্বরটা চিন্তিত শোনাল । কেমন যেন থমকে গেল আদিলা । রাহাত নিজের শালটা আদিলার গায়ে জড়িয়ে দিতে নিলে আদিলা দু পা পিছিয়ে যায় ।
-” কি করছেন আপনি ? আমি ঠিক আছি । এটা বরং আপনিই নিন । নাহলে ঠান্ডা লেগে যাবে আপনার ”
-” কোনো ব্যাপার না আমার অভ্যাস আছে ,”
রাহাত শালটা এগিয়ে দেয় । মৃদু হেসে আদিলা শালটা নিয়ে ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে বলল,
– ” কিন্তু আপনি এখানে কি করছেন ? ”
– ” ফজর আদায় করে আমার ঘুমানোর অভ্যাস নেই । তাই নামাজ পড়ে ছাদে চলে এলাম”
-“ওহ ”
কিছুক্ষণ নিরবতা বিরাজ করে দুজনের মাঝে । নিস্তব্ধতা ভেঙে রাহাত বলে ওঠে ,
-” তখন ডাকলাম তোমায় । অন্যমনস্ক ছিলে , শুনতে পাওনি । কিছু ভাবছিলে নিশ্চয়ই ? ”
-“সেরকম ইমপর্ট্যান্ট কিছু নয় ।”
-“ইচ্ছে হলে বলতে পারো ।আমি কিন্তু খুব ভালো শ্রোতা ,,”
হাসল আদিলা । ওর উদাসীন দৃষ্টি দুর দিগন্তে নিবদ্ধ । গায়ের শালটা আর একটু ঠিক করে নিয়ে বলল,
– “মেয়েদের জীবনটা কত অদ্ভুত না ? যেই বাড়িতে একটি মেয়ে জন্ম নিল ,এত ভালোবাসা -আদরের মধ্যে বড় হল । একদিন সেই বাড়িতেই তাকে অতিথির মত আসতে হয় । এই যেমন কালকেই মাহি আপু আর আমি নামাজ পড়ে ছাদে এসেছিলাম। কত গল্প করলাম আমরা ।কাল পর্যন্ত এই বাড়ি ,এখানকার মানুষ জন ওর আপন ছিল । কিন্তু এই আপনজনদের ছেড়েই তাকে সম্পূর্ণ অপরিচিত পরিবেশে ,অপরিচিত লোকজনের সাথে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে হবে । কাল পর্যন্ত যে বাড়িতে ও হেসে খেলে কাটিয়ে দিয়েছে সেখানেই আজ থেকে ও অতিথির মত আসবে আবার কাল পরশু চলে যাবে। কেন মেয়েদেরকেই সব সময় এসব করতে হয় ? কেন মেয়েরা যেখানে বড় হয় সেখানে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারেনা? এত ভালোবাসা ,এত আদর , এত স্নেহভাজনদের ছেড়ে কেন মেয়েদেরকেই অন্য আরেকটা নতুন পরিবেশে যেতে হয় ? বলতে পারেন ,”
বলতে বলতে গলা ধরে এল আদিলার । চোখ দুটো ভিজে এল ওর । কাল থেকে ও একটুও কান্না করেনি কিন্তু আজ আর চোখের জল বাধা মানছে না ।
একটুক্ষণ চুপ থেকে রাহাত বলল,
– ” জানো আদিলা , লোকে মেয়েদের অসহায় বলে । কিন্তু যারা এসব বলে তারা আসলে সত্যিটা জানে না । আর সত্যিটা হল মেয়েরা অনেক স্ট্রং ।আমাদের সমাজ মেয়েদের অসহায় , অবলা বলে চালিয়ে দেয় । কিন্তু এই মেয়েরাই যতটা সহজে একটা নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারে ,সেই পরিবেশের লোকজনদের আপন করে নিতে পারে, ছেলেরা ততটা সহজে তা করতে পারে না । তাই মেয়েদেরকেই সব সময় এই রুলস গুলো ফলো করতে হয় ”
দুজনে অনেকক্ষণ চুপ থাকে । রাহাত আদিলার দিকে তাকিয়ে বলে ,
-“আদিলা একটা কথা বলি? ”
আদিলা চোখ মুছে রাহাতের দিকে তাকিয়ে বলে ,
-” বলুন”,
-” জানি না এটা সঠিক সময় কিনা । আর সঠিক সময় কখন আসবে সেই অপেক্ষাও আমি করতে চাই না ।”
আদিলা কৌতুহলী হয়ে তাকায় । কি বলতে চায় রাহাত ?
-” আল্লাহ তায়ালা কোরআন কারিমে সূরা নাবাতে বলেছেন তিনি আমাদের সবাইকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন । নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক । প্রত্যেকেটা মানুষের জীবনে চলার জন্য এমন একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। যে তার সঙ্গে সব সময় থাকবে , জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট ,সুখ -শান্তি একসঙ্গে উপভোগ করবে। সমস্ত দুঃখ কষ্টের ভাগীদার হবে । যার সাথে সে তার সমস্ত পাগলামি গুলোকে ভাগ করে নিতে পারবে । তার না বলা কথাগুলো যে গুলো সে সবার সামনে বলতে পারেনা কিন্তু সেই একজনের সামনে নির্দ্বিধায় বলতে পারবে। যাকে সে নিজের সবটুকু উজার করে দিয়ে ভালবাসবে। আমি হয়তো আর এই কথাটা বলার সুযোগ পাবো না । তাই এখনই বলতে চাই, আদিলা ,তুমি কি আমাকে তোমার জীবনের সেই স্পেশাল মানুষটি হওয়ার সুযোগ দেবে ?”
আদিলা রাহাতের কথা শুনে হয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় । রাহাত কি মজা করছে ওর সাথে ? করলে এর থেকে বিশ্রী মজার জিনিস আর দ্বিতীয় কোনো কিছুই নেই হয়তো । রাহাতের চোখের দিকে তাকায় আদিলা । বোঝার চেষ্টা করে রাহাতের কথার মানে । রাহাত তখন সংকোচ , উৎকন্ঠা মিশ্রিত চোখে তাকিয়ে আছে । বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে আদিলার । কি ছিল ওই দৃষ্টিতে ? এত আকুতি ভরা চোখে কেন তাকিয়ে আছে সে ? আদিলা চোখ সরিয়ে নেয় । সে তো চায় না কোনো সম্পর্ক । অনেক দেখেছে সে । প্রথম প্রথম এতটাই উত্তেজনা , এতটাই ভালোলাগা কাজ করে দুজন মানুষের মাঝে। আর কিছুদিন পরেই সেই ভালোবাসা, ভালোলাগা কর্পূরের মত উবে গিয়ে জমে যায় তিক্ততা ।দৈন্য দশা নেমে আসে সম্পর্ক গুলোর মধ্যে । না, আদিলা কিছুতেই সেই পথে পা মাড়াবে না । এভাবে দু দিনের পরিচয়ে কাউকে এতটা সুযোগ সে কখনোই দেবে না । নিজেকে যথা সম্ভব শান্ত রেখে গুছিয়ে নেয় আদিলা ।রাহাতের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ,
– “দেখুন , আপনার আমাকে নিয়েই কেন এমন মনে হল জানি না । তবে আমি সম্পর্কে বিশ্বাস করিনা । আর আমি কখনোই এরকম কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাই না । ”
একটু দম নিয়ে আদিলা আবার বলে,
-” আর তাছাড়াও আপনি দেখতে অনেক সুন্দর ,যথেষ্ট হ্যান্ডসাম আপনি । আপনি চাইলে অনেক ভালো মেয়ে পেতে পারেন । আপনি কেন শুধু শুধু আমার পেছনে আপনার সময় এবং এনার্জি নষ্ট করছেন ? ”
আদিলাকে নিয়ে এরকমই ভেবেছিল রাহাত । এরকম যে হতে পারে তা আগেই আচঁ করে নিজেকে প্রস্তুত করে রেখেছিল সে । আদিলা এত সহজে রাজি হবে না সেটা জানত ও । তাই নিজেও কিছু কথা সাজিয়ে নিয়ে বলে,
– “আমি জানি, তুমি কেন সম্পর্কের উপর বিশ্বাস করো না ? ফাহিমের কাছ থেকে আমি সব শুনেছি ।ও সব বলেছে আমাকে । কিন্তু আমি তাও তোমাকে বলবো জীবনটা এত সহজ নয় যতটা আমরা ভাবি। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয় । ভালোবাসবে কিনা জানি না , তবে আমাকে নাহয় তুমি তোমার প্রয়োজনি বানিয়ে নিয় । ভালোবাসার কাজটা না হয় আমার জন্যেই তোলা থাক । দায়িত্ব নিয়ে আমিই আস্তে আস্তে শিখিয়ে দেব সবটা । ”
রাহাতের কথায় অসহায় বোধ করে আদিলা । এত নাছোড়বান্দা কেন রাহাত ? এভাবেই কেন বলতে হবে ?নিজের ব্যক্তিত্বের খোলস নিমেষেই আলগা হয়ে গেল আদিলার । হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে থাকে সে । রাহাতের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তা পড়তে ভুল করে না । মৃদুমন্দ বাতাস বইছিল তখন । এলোমেলো চুল গুলোয় হাত চালিয়ে রাহাত ফিচেল হেসে বলে,
– ” আর আমি জানি আমি যথেষ্ট হ্যান্ডসাম । আমি চেষ্টা করলেই অনেক ভালো মেয়ে পেতে পারি । কিন্তু আমি হয়তো তোমার মতো কাউকে কখনোই পাবো না । তাই আমার তোমাকেই চাই । হ্যাঁ, আমি হয়তো এই রকম কোনো প্রমিস তোমাকে করতে পারব না যে আমাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হবে না। প্রত্যেকটা কাপল এর মধ্যে ঝগড়া হয় । আবার তা সল্ভও হয়ে যায়। আমাদের মধ্যেও ঝগড়া হবে । আমরা দুজনেই দুজনের ওপর রেগে থাকব । তবুও তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কখনো কম হবে না । আদিলা, উইল ইউ বি মাই স্পাউচ ?”
থমকে যায় আদিলা । থমকে যায় পৃথিবী । হয়তো পৃথিবী তার কক্ষপথ ভুলে গেছে। আদিলার মনে হতে লাগল ওর সব চিন্তা ভাবনা গুলো সব কোথায় যেন হারিয়ে গেছে । কিচ্ছু ভাবতে পারছে না সে । ভোরের আলো ফুটছে ,চারিদিকে অন্ধকার সরে গিয়ে সূর্য উকি দিচ্ছে । আদিলা কোন জবাব দেয় না ।ওরা দুজনে আজ একসঙ্গে সূর্যোদয় দেখে ।সূর্য ধীরে ধীরে আলো ফেলে চারিদিক আলোকিত করে এক নতুন সকালের আগমনী বার্তা পাঠাচ্ছে । আস্তে আস্তে
সূর্যের তাপ বাড়তে শুরু করেছে । আদিলা ছাদ থেকে নিচে নামার জন্য ঘুরে দাঁড়ালে রাহাত আদিলাকে বলে ,
-” আদিলা , আমি জানি তোমার সময়ের প্রয়োজন আর এটাও জানি যে তুমি আমাকে পছন্দ করো । আমি তোমার জবাবের অপেক্ষায় থাকবো ”
রাহাতের আত্মবিশ্বাসী কন্ঠস্বর কাঁপিয়ে দেয় আদিলাকে । আচ্ছা সে কি রাহাতকে কোনো ইঙ্গিত করে ছিল ? কোথায় সেরকম তো কিছু মনে পড়ছে । সব তো স্বাভাবিক ছিল । আদিলা কয়েক মুহুর্ত নির্বাক হয়ে ঠায় দাড়িয়ে থাকে । তারপর গটগট করে নেমে যায় ছাদ থেকে । রাহাত মুচকি হাসে । দুচোখে হাজারো স্বপ্নরা ভীড় করছে আজ ।হয়তো পুরণের সময় এসে গেছে ।
সবাই নাস্তা করছে । এমন সময় আদিলার আব্বু আরাফাত সাহেব ফাহিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
– ” ফাহিম কাল রায়গঞ্জ থেকে কোচবিহারের ট্রেন কটায় কটায় আছে ? একটু খোঁজ নিয়ে বলবে আমাকে? কাল ফিরতে হবে আমাদের ,”
– ” খালুজান আর দুটো দিন থাকতে পারতেন ,”
– ” না ,না। সেটা সম্ভব নয় । সায়নের পরীক্ষা কয়দিন পর থেকে শুরু হচ্ছে। তাই দেরি করা ঠিক হবে না ” রেহনুমার কথায় ফাহিম বলে,
-” ওহ , দাঁড়াও । আমি চেক করে নিচ্ছি ”
ফাহিম ফোণে রায়গঞ্জ থেকে কোচবিহারগামী ট্রেনের সময় দেখে নেয় ।
– ” খালাম্মা , কাল একটা ট্রেন সাড়ে দশটায় রয়েছে আর একটা দুপুর একটায় ”
-“ও আচ্ছা । তাহলে আমরা সাড়ে দশটার ট্রেন ধরব ।তাহলে বেলা থাকতেই পৌঁছে যাব ”
ফাহিম কিছু একটা ভেবে বলে,
-“আচ্ছা খালুজান, কাল তো তোমরা চলে যাবে ।তাহলে আজ আমি বুনুদের নিয়ে একটু আশপাশে থেকে ঘুরে আসি ”
– “তোমাদের ইচ্ছে । যেতে চাইলে আমার কোনো অসুবিধে নেই ”
আরাফাত সাহেবের সম্মতিতে ফাহিম স্মিত হাসে ।
-” ঠিক আছে , আদি তাহলে আমরা নাস্তা করার পরে বেরোবো ওকে ?
আদিলা মাথা নাড়ায় ।
ঠিক হয় সব কাজিনরা মিলে যাবে রায়গঞ্জ পাখিরালয় (Raiganj bird sanctuary)দেখতে। ফাহিমদের বাড়ি থেকে পয়তাল্লিশ মিনিটের রাস্তা । ওরা নয়টা হতে হতে তৈরি হয়ে যায় ।ফাহিম নিজেদের বাড়ির গাড়িটা বের করে । ঠিক হয় ফাহিম গাড়ি চালাবে । আদিলা মিতুকে বলে সামনের সিটে বসতে । কিন্তু মিতু মানা করে দেয় । কারণ এখন ওদের সম্পর্কের কথা কেউ জানে না । সে মাঝের সিটে আদিলার পাশে বসে পড়ে। রাহাত গিয়ে সামনের সিটে ফাহিমের পাশে বসে । সায়ন আর জিসান পিছনের সিটে বসেছে । আর মেঘনা আগেই গিয়ে মাঝের উইনডো সিটে বসেছিল । সবাই বসে গেলে ফাহিম গাড়ি স্টার্ট দেয় ।
আদিলা মিতুকে জিজ্ঞেস করে ,
-“আপু তুমি কখনও রায়গঞ্জ পাখিরালয় দেখতে গেছ?”
– ” না । সময় হয়ে ওঠেনি । আর আমি এখানে জব জয়েন্ট করলাম মাত্র পাচঁ মাস হল ।তাই সেভাবে কিছু দেখা হয়ে ওঠেনি ।”
– “জানো আপু, এখানে প্রায় ১৬৪ ধরনের পাখি বাস করে আর প্রতি বছর প্রায় ৯০,০০০ থেকে১০০,০০০ পরিযায়ী পাখি এই স্যাঙ্কচুয়ারিতে আসে । খুব সুন্দর জায়গা । দেখো খুব ভালো লাগবে তোমার । আমি যখনই রায়গঞ্জ আসি প্রত্যেক বার মাহি আপুর সাথে বেড়াতে আসি ।”
-“তাই ? ”
মিতু বিস্মিত হলে ফাহিম লুকিং গ্লাসে আড়চোখে তাকিয়ে বলে ,
– “হ্যাঁ , আদি ঠিক বলেছে । গেলেই দেখতে পাবে কত যে নাম না জানা পাখি সেখানে ! ”
ফাহিমকে রেয়ার ভিউ মিররে আড়চোখে তাকাতে দেখে মিতু লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নেয় । তাই দেখে আদিলা হেসে ফাহিমকে বলে,
– “ভাইয়া , তোরা রোম্যান্স করার সময় অনেক পাবি ,আপাতত তুই ভালো করে গাড়ি চালা ”
সবাই ওর কথা শুনে হেসে ওঠে । শুধু মেঘনা ভ্রু কুচঁকে আদিলা আর ফাহিমের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে কার কথা বলছে আদিলা ?
“আদিইইই , ভারি দুষ্টু হয়ে গেছিস কিন্তু আজকাল !!” ফাহিম কপট রাগ দেখায় ।
– “দেখ, ভাইয়া; তুই রোম্যান্স কর আর যাই কর ,আমার তাতে একটু ও আপত্তি নেই । কিন্তু তার জন্য যাতে আমাদের কুরবানী দিতে না হয় ।”
এবার ফোরণ কাটে সায়ন ।
-” তাছাড়াও ভাইয়া , তোমার আমাদের মতো সিঙ্গেলদের কথাও ভাবা উচিত তাই না । তোমাদের রোম্যান্সের জন্য তো আমাদের হার্ট ফেল হতে পারে । যতই বলো একটাই হৃৎপিণ্ড আমাদের । এখনই যদি ফেল করে বসে তাহলে ভবিষ্যতে চাপ হয়ে যাবে তো । সেটাও তো খেয়াল রাখা উচিত তোমার ”
সবাই হেসে ওঠে সায়নের কথায় । আদিলা ঘাড় ঘুরিয়ে ভ্রু কুচঁকে তাকায়। সায়ন ইশারায় সরি বলে । ঘাড় ফেরাতেই সাইড মিররে চোখ পড়ে আদিলার । হাস্যরত অবস্থায় রাহাত তখন ওকেই দেখছে । অস্বস্তিতে চোখ সরিয়ে নেয় আদিলা । সকালের পর থেকে এই মানুষটার মুখোমুখি হতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ওর ।
To be continue…….