জ্বীনবর ৪,পর্বঃ১৮

0
2015

জ্বীনবর ৪,পর্বঃ১৮
লেখিকাঃ আস্থা রাহমান শান্ত্বনা

সকালে নাস্তার টেবিলে তাসবীনের সাথে চোখাচোখি হল। ও একদম স্বাভাবিক আচরণ করছে, আড়চোখে কয়েকবার হাতের দিকে তাকালাম। ও ফুলহাতার শার্ট পড়ায় হাতে কোনো কাটা দাগ আছে কিনা বুঝতে পারলামনা। মা খেতে খেতে মাইশার সাথে বিয়ের তারিখ ঠিক করার ব্যাপারে কথা বলছিলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,
— বউমা, কবে ঠিক করলে ভালো হয়?
— আপনি আর মাইশার মা-বাবা মিলে একটা দিন ঠিক করুন যাতে দুইপক্ষের ই সুবিধা হয়।
মাইশা তোমার মা-বাবাকে আসতে বলেছো তো?
মাইশার মুখটা কেমন থমথমে হয়ে গেল। খাওয়া বন্ধ করে চুপচাপ বসে রইল। আমি আবার ডাকলাম,
— মাইশা!
— জ্বি ভাবি।
— কি হল? কি ভাবছো?
— কিছু না তো। আমি আর খাবনা, হাতটা ধুয়ে আসি।
তাসবীন গম্ভীর হয়ে বলল, খাবার ফেলে উঠতে নেই জানোনা! বাকিটা খেয়ে সবার সাথে উঠো।
মাইশা চুপচাপ আবার বসে পড়ল। কেমন জানি রহস্য লাগছে, মা-বাবার কথা উঠতেই মাইশা এমন হয়ে গেল কেন। জিজ্ঞাসাসূচক দৃষ্টিতে সাদাফের দিকে তাকালাম। ও ও কেমন গম্ভীর হয়ে খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছে।
— সাদাফ, তোমার কি কিছু লাগবে?
— নাহ।
— খাচ্ছোনা যে?
— শরীরটা একটু খারাপ লাগছে। আর খেতে পারছিনা, আমি বরং গিয়ে একটু শুয়ে থাকি। বলে সাদাফ উঠে চলে গেল। হঠাৎ করেই যেন সাদাফ অনেকটাই বদলে গেল। কেমন জানি গম্ভীর হয়ে থাকে, আমার সাথেও ঠিক করে কথা বলেনা, কিছু জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যায়।
আমি বোধহয় এবার পাগল ই হয়ে যাবে। চারিদিকের এত রহস্য আমি আর নিতে পারছিনা। কে ঠিক আর কে বেঠিক মূহুর্তে মূহুর্তে গুলিয়ে যাচ্ছে। সবাই খেয়ে উঠার পর মা আমাকে বললেন, আসলে মাইশার মা-বাবা দুইজন ই মারা গেছেন। এসব মনে পড়লে বেচারী কষ্ট পায়, তাই আমরা কেউ এসব কথা উঠাইনা। তুমিও আর এসব কিছু বলোনা। মেয়েটা জীবনে অনেক কষ্ট করেছে, এখন ওকে সুখে রাখতে চাই। শুনে আমার ভীষণ খারাপ লাগল। এইজন্যি হয়ত মাইশা ওইরকম গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল। ওকে একবার স্যরি বলা উচিত।
মাইশার রুমে গিয়ে ওর দরজায় কড়া নেড়ে বললাম,
— আসব?
মাইশা বোধহয় কাদছিল। অতিব্যস্ত হয়ে চোখ মুছে বলল,
— আরে ভাবী তুমি! আসার জন্য অনুমতি নিতে হয় নাকি? এসো ভিতরে এসো।
আমি ভিতরে ঢুকে ওর মুখোমুখি দাড়ালাম। মেয়েটার চোখ এখনো ভেজা ভেজা, মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ কষ্টে আছে মেয়েটা।
— স্যরি মাইশা।
— কেন ভাবী?
— তোমাকে তোমার মৃত মা-বাবার কথা মনে করিয়ে দিয়ে কষ্ট দিলাম। ও চমকে উঠে বলল,
— না তেমন কিছুনা। সাদাফের শরীর এখন কেমন?
— আগের চেয়ে একটু ভালো। তুমি দেখা করে আসোনি?
ও ধরাগলায় বলল, নাহ, কালকের পর আর দেখা করিনি।
— দুইজন যখন বন্ধু বসে একটু আড্ডা দিতে পারো। এতে দুজনের ই ভালোলাগবে।
— সবসময় কি সে উপায় হয়?
— মানে?
— সাদাফ অসুস্থ তো তাই তাসবীন তাকে বিরক্ত করতে নিষেধ করেছে। এইজন্যই যাইনা। সাদাফ সুস্থ হোক, তখন আড্ডা দিব।
আমি চুপ করে রইলাম। তারপর বললাম,
— আচ্ছা, তুমি রেস্ট নাও তাহলে। আমি কাজ শেষ করে আসি। আল্লাহ হাফেজ।
— আল্লাহ হাফেজ।
মাইশার রুম থেকে বের হতেই দেখি তাসবীন মাইশার রুমের দিকে আসছে। সরে গিয়ে বাহিরের পর্দার আড়ালে লুকালাম, কেন জানি তাদের কথোপকথন শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে। এর থেকেও কোনো ক্লু পেয়ে যেতে পারি তাসবীন যে একজন শয়তান তা প্রমাণ করার। তাসবীন মাইশার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। আমি আড়ি পাতলাম, ভিতর থেকে তাসবীনের উচ্চ স্বরে চেচানোর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কথাগুলো স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিনা। তাও ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। একটু পর দরজা খোলার শব্দ পেতেই সরে গেলাম। তাসবীন কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা চলে গেল। আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে মাইশার রুমে উকি দিলাম। মেয়েটা বালিশ চেপে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে।
তাসবীন কি এমন বলল যে মেয়েটা এভাবে কাদছে। কি নিয়ে এত চেচামেচি করল? আমি তাসবীনকে এতদিন ধরে দেখছি, ওকে কখনো এভাবে কাউকে বকতে দেখিনি।
আস্তে আস্তে নিজের আসল রুপে আসছে শয়তানটা। মাইশার মত এত ভালো একটা মেয়ের জীবন আমি শয়তানটার সাথে যুক্ত করতে কিছুতেই দিবনা। এই বিয়েটা যে করে হোক, ভেঙে ফেলব। খুব ভালোই বুঝতে পারছি মাইশা তাসবীনকে বিয়ে করলে সুখী হবেনা। শুধু মাইশা কেন কোনো মেয়েই সুখী হবেনা, উলটো শয়তানের ভোগের স্বীকার হবে।
পা টিপে টিপে স্টাডি রুমের সামনে এসে দাড়ালাম। এদিক সেদিক ভালো করে দেখে নিলাম কেউ কোথাও নেই। সবাই ঘুমাচ্ছে, এই সুযোগ স্টাডি রুমে ঢুকে তাসবীনের ব্যাপারে কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করার। স্টাডি রুমে তালা ঝুলছে, চাবি তো তাসবীনের কাছে। এখন ওর রুম থেকে চাবি চুরি করতে গিয়ে যদি ধরা খাই, তাহলে হয়ত আমাকে আর বাচিয়ে রাখবেনা। অন্য উপায় খুজতে হবে।
মাথা চুলকাতে চুলকাতে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। চিকন ক্লিপ দিয়ে তালা খোলা যায় ভেবেই চুলের বান থেকে চিকন ক্লিপ খুলে বহুকষ্টে তালাটা খুললাম। তালা ঝুলিয়ে দরজাটা ভেতর থেকে ভেজিয়ে দিয়ে গুপ্তঘরের দিকে গেলাম। এটার দরজা খোলার সুইচটা কোনদিকে ছিল মনে পড়ছেনা।
এদিক সেদিক কিছুক্ষণ দেখার পর ও খুজে পেলামনা।
তাসবীন কি তাহলে সুইচটা সরিয়ে নিয়েছে?
সেটা না পেলে আমি গুপ্তঘরে ঢুকব কি করে? আর প্রমাণ ই বা খুজব কিভাবে!!
হতাশ হয়ে মেঝেতে বসে পড়লাম। যা প্ল্যান করি, সব ভেস্তে যায়। আল্লাহ তুমি আমার সহায় হও। সব রহস্যের একটা কিনারা করে দাও। এভাবে আর পারছিনা।
উঠে দাঁড়িয়ে আরেকবার পুরো স্টাডি রুম খুজে বেড়ালাম। কোথাও পেলামনা। হতাশ হয়ে বেরিয়ে যাব এমনসময় শাড়ির আচলটা টেবিলের পায়ায় আটকে গেল। উবু হয়ে খুলতে গিয়ে দেখি সেখানে সুইচটা সেট করা। খুশিতে বড় একটা বিজয়ী মুচকি হাসি দিলাম।
সুইচে চাপ দিতেই গুপ্তঘরের দরজা খুলে গেল। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার, সাথে টর্চ বা মোমবাতি আনলে ভালো হত। গুপ্তঘর থেকে বের হয়ে স্টাডি রুমে এমনকিছু খুজতে লাগলাম। ভাগ্য ভালো, মোমের একটা ছোট টুকরো খুজে পেলাম। টেবিলের উপর রাখা দীর্ঘদিনের পুরোনো দিয়াশলাইটা নিলাম। ভেতরে ৩-৪টা কাঠি অবশিষ্ট আছে, অচল হয়ে গেছে মনে হয়।
২-৩টা দিয়ে ট্রাই করার পর আগুন জ্বালাতে পারলাম। মোম নিয়ে ঢুকে দেখি ও রুমটা পুরো পরিষ্কার। শুধু সাদা পর্দা দিয়ে আসবাবপত্রগুলো ঢাকা দেওয়া আছে। তাসবীন দেখি সব প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে, কিন্তু সে কি জানেনা শয়তান যতই চালাক হোক কিছু তো ভুল সে করেই থাকে।
সাদা পর্দা গুলো সব উল্টিয়ে দেখলাম কোনো বইয়ের তাক ই নেই। মনে হচ্ছে আমি কোনো স্টোর রুমে আছি।
এত কষ্ট ই বৃথা আমার। হঠাৎ আমার মোমবাতিটা নিভু নিভু করা শুরু করল। এই বদ্ধ রুমে বাতাস আসল কোথা থেকে! মোমবাতিটা আগলে রাখার চেষ্টা করেও নিভে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমি একা পড়ে গেলাম। এখন এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া ই ভাল। কিন্তু দরজার সুইচ কিংবা দরজা কোনদিকে? অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে খোজার চেষ্টা করলাম।
হঠাৎ সামনে কারো কঠিন বুকের অস্তিত্ব পেলাম। হকচকিয়ে দুইপা সরে গেলাম। তাসবীন কি চলে এসেছে? এবার কি হবে? ভাবতেই গলা শুকিয়ে গেল। ২-১বার ঢক গিলে পিছু হটলাম। আমার ডানগালে ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেলাম, আগের মতই মনে হচ্ছিল গালটা অবশ হয়ে যাচ্ছে।
ভীষণ কনকনে ঠান্ডা নিশ্বাস গুলো আমার শরীরে লাগতেই কেপে কেপে উঠছি। ইচ্ছে করছে চিৎকার করে পালিয়ে যাই, কিন্তু কি কারণে জানি পারছিনা। অবশ পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছি। সে আমার হাত চেপে ধরে বলল,
— তুমি যা এখন ভাবো৷ তা আমি অনেক আগেই ভেবে রাখি।
তুমি চালাক কিন্তু আমার চেয়ে বেশি নয়।
— একজন শয়তান আমার চেয়ে বেশি চালাক হবে এটাই স্বাভাবিক। শয়তানের শয়তানী ই তো তার শক্তি।
— ওহ আচ্ছা তাই?
কেন শয়তানকে নিজের পাশে মেনে নিতে পারবানা!!
— মানে??
— মানে কিছুনা। এত সাহস করে যে এখানে এলে এখন যদি আমি বাহিরে থেকে চিরতরে এই দরজা বন্ধ করে দিই। সারাজীবন তুমি এখানে পচে মরবে। তুমি এটা জানো?
এবার ভয়টা আমার মধ্যে চাড়া দিয়ে উঠল। শয়তানটা যদি সত্যিই এমন করে! এখানে বন্দি থাকলে কেউ আমাকে উদ্ধার করতে আসবেনা। কেউ জানবেও না।
— আপনি কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন? তাহলে শুনুন আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকেই ভয় পাইনা। আপনার যা খুশি আপনি তা করতে পারেন। আল্লাহ আমার সহায় হবেন।
— বাহ, ভীষণ ভালো কথা বললেন তো।
তাহলে এখন আমার কি করা উচিত বলুন তো?
— কি করতে চান আপনি?
— আপনাকে এখানে পচিয়ে মারব নাকি ছেড়ে দিব?
ছেড়ে দিতে পারি তবে একটা শর্ত পেট থেকে কোনো কথা বের করা যাবেনা। যা যা তুমি দেখেছো আর যা তুমি শুনেছো।
— শয়তানের গোমরাহী শত ঢাকতে চাইলেও ঢাকা যায়না।একদিন না একদিন তা ফাস হবে। আর আল্লাহ সবার কৃতকর্ম সম্পর্কে অবগত।
সে হাসতে লাগল। যেন কোনো মজার জোক্সস শুনেছে।
এরপর আমার দুগাল আবারো চেপে ধরল।
— খুব ভালো কথা জানো।
গাল অবশ হয়ে যাওয়ার কারণে কথা বলতে পারছিলামনা। হঠাৎ সে আমার গলাটা শক্ত করে চেপে ধরল। আমার দম বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা। শত চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারছিলামনা। মনে হল এক্ষুনি আমি নিঃশ্বাস ছেড়ে দিব।
এমনসময় সে আমাকে ছেড়ে দিল আর গুপ্তঘরের দরজাটা খুলে গেল। বুঝে উঠতেই কোনোমতে পালিয়ে বের হয়ে এলাম। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম।
রুমে এসে দরজা বন্ধ করে পানি খেলাম। গাল যেন এখনো অবশ হয়ে আছে। শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আগেই আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে হয়ত।
আল্লাহ আমার সহায় থাকলে শয়তানটার কোনো শয়তানিই আমাকে থামাতে পারবেনা। কিন্তু কেউ আমার কথা বিশ্বাস ই করবেনা। কি করা যায় বুঝতে পারছিনা।

অনেকক্ষণ ভাবার পর মনে হল, সাদাফকে ব্যাপারটা বলি। অন্তত বিশ্বাস না করুক স্বামী হিসেবে আমার কথার গুরুত্ব ত দিবে। অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করলাম প্রথমে সাদাফকেই কথাগুলো জানাব। সে বিশ্বাস করলে তবে বাকিটা দেখা যাবে।
ও যদি একবার আমার কথা বিশ্বাস করে তবে আমার জন্য রহস্য সমাধান করাটা সহজ হয়ে যাবে। ও একজন জ্বীন, আমি যা জানিনা বা করতে পারিনা তার অনেকটাই ও পারবে। এই ব্যাপারে যদি ওর একবার সাহায্য পাই, আমাকে আর ফিরে তাকাতে হবেনা। স্থির করলাম সুযোগ পেলেই ওকে সব খুলে বলব। কিন্তু ইদানিং ওর যে কি হল! আমাকে এড়িয়ে চলে খুব, কথাবার্তা বলতে চায়না।
বুঝিনা এটা কেন করছে? তার উপর কি কোনো শয়তানি প্রভাব পড়েছে?
পরেরদিন সকালে আমি আর তাসবীন মুখোমুখি হলাম। ও আমাকে ডাকল, আমি শুনেও না শোনার ভান করে চলে এলাম। সব জেনে যাওয়ার পরও ও কেন আমার সামনে ভালো মানুষ সাজতে আসে বুঝিনা। ও কে যত এড়িয়ে চলতে চাচ্ছি, ও ততই আমার সামনে বেশি পড়ে।
আমার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বলল,
— ত্বোহা, তুমি আমাকে কেন এড়িয়ে চলতে চাচ্ছো?
আমার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
আমি হাত সরিয়ে নিয়ে বললাম,
— আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই।
লজ্জা করেনা একজন বিবাহিত মেয়ের হাত ধরতে! আপনার হবুবউ এটা জানলে তার ফল কি হবে বুঝতে পারছেন?
চরিত্রহীন লোক একটা।
বলে চলে গেলাম। দিন দিন উনার এসব বেড়েই চলেছে। আর সহ্য করা যাচ্ছেনা। আজ ই সাদাফকে এই ব্যাপারটা জানাব। এই ভেবে সাদাফের রুমের দিকে গেলাম। কড়া নাড়ব এমনসময় দেখি দরজা ভেজানো। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে যা দেখি তা দেখার জন্য আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলামনা।
সাদাফ আর মাইশা একে অপরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। সাদাফ আলতো করে মাইশার কপালে চুমু খেয়ে বলল, চিন্তা করোনা। আল্লাহ ভরসা।
— তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবনা সাদাফ।
তুমি কিছু একটা করো। এটুকু শুনে আমি নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমি কি কোনো ঘোরের মধ্যে আছি?
চোখের সামনে এসব কি দেখছি! নিজের স্ত্রী বর্তমান থাকতেও সাদাফ!! ছিঃ! এইজন্যই ও আমাকে এত এড়িয়ে চলে? আর মাইশার মত মেয়ে এটা কি করে করতে পারল! একবারো আমার কথা ভাবলনা।
সবাই আমাকে ঠকিয়ে কি পায়?
ভাবতে ভাবতে কেদে দিলাম।
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here