ঠোঁট,পাট ১-৩ (১৮+ গল্প)

0
5111

ঠোঁট,পাট ১-৩ (১৮+ গল্প)
Written by-ibna imtiaj ( Abdullah bin imtiaj)
এক,

বাসর রাতটা আমার একটু অন্যরকম ভাবেই কাটছে। পায়ে শাড়ি বাঁধা আর হাতে বাঁধা ওড়না। তাও ঝর্নার হাতের সাথে। যেন পালিয়ে না যেতে পারি। সে ঘুমোচ্ছে।
তবে তার ধারনা নেই,আমিত বাঁধনটা খুলে পালিয়েউ যেতে পারি। তবুও আহম্মকের মত বেঁধে রেখেছে।

কিন্তু এই মুহুর্তে আমার চরম ভাবে হিসু লেগেছে। কী করবো ভেবে পাচ্ছিনা। যদি বাঁধনটা খুলে কাজটা সারতে যায়। আর সেই সময় যদি তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তাহলে অন্য কিছুও হয়ে যেতে পারে।

তাকে ডাকতেউ পারছিনা এই কারনণে যে,সে হয়ত খুব গভীর ঘুমেই মগ্ন হয়ে আছে। সারা দিনের ক্লান্তি মাখা শরীর।

হাত দিয়ে তবে ডাকতে পারবো না।দুই হাত এক সাথে বাধা। নরম ভাবে ডাকা যাবেনা। মুচকি হাসি দিয়ে ভাবলাম,ঠোঁটের ছোঁয়া দিয়ে ডাকলে কেমন হয় ?

ব্যাপারটা কী ভাল হবে বলে মনে হয়।
বাধা মানলাম না।

ধীরে ধীরে উষ্ণ শ্বাস নিয়ে এগিয়ে গেলাম তার ঠোঁটের দিকে। খুব ধীরেই তার মুখের উপরে আমার উষ্ণ নিঃশ্বাসটা ছেড়েছিলাম।
হালকা করে ছুঁয়েছি মাত্র তার ঠোঁট টা।

ঘুমটা যেন তার হুট করে ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙ্গার সাথেই অনেক বড় বড় চোখ করে তাকায় আমার দিকে।
আমি তার মুখের সামনেই নিস্তব্ধ হয়ে যায়। যেন কোনো হিংস্র বাঘিনীর সামনে পরে গেছি। এখনি ঝাপিয়ে পরে শেষ করে দিবে আমাকে।

তবুও ঢোক গিলে ধীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম তাকে।

আপনি ঘুমাননি ?

ঝার্না পাল্টা একটা হুঙ্কার ছেড়ে বসলো।

থেমে গেলেন কেন আজব ?

আমি এক বিশাল দ্বিধার মধ্যে পরে গেলাম। তাকে কী তবে উষ্ণতা দিতেই এখন ডাকতে গেছি। নাকি আমার হিসু বিসর্জন দেওয়ার জন্য। কী করবো এখন ?

মনের ভেতর ভয় নিয়ে আবার ঢোক গিললাম। কপাল থেকে ততক্ষে আমার ফোটা ফোটা ঘাম জড়ো হয়ে গেছে।
বলেই বসলাম।

ঝর্না ,আমার না খুব হিসু লেগেছে। একটু বাধনটা খুলে দেননা।

ওরে ফাজিল,মুতাই যখন লেগেছে। তাহলে ঠোঁটের দিকে কেন ?

ডাকতে !

সেটা কী হাত দিয়ে হতো না ?

আচ্ছা সব উত্তর দিচ্ছি। আগে খুলে দেন।

নাহ,এখন এটা খোলা যাবেনা। আমিও যাবো ভেতরে। আমি অন্য দিকে ঘুরে থাকবো।

এবার যেন হিসুর বেগটা বন্ধই হয়ে গেল কথাটা শুনে। মেয়েটা কী আসলে আমাকে এতটাই অবিশ্বাস করছে ?
আমি ভেবে পাচ্ছিনা কিছু।

আমি মুখটা গোমরাহ করে বালিশে মাথা রেখে শুয়ে পরলাম।

ঝর্না তখন বললো। কী হলো যাবেন না ?

নাহ। আমাকে যখন এতটাই অবিশ্বাস করেন। তাহলে বিয়ে করলেন কেন ?

আপনার মত কাউকে পাবো না তাই।

কাউকে অবিশ্বাস করে জীবন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়না।

কেন বিশ্বাস করিনা। সেটার জন্য আপনি দায়। আমি না । আমি ততক্ষন না পর্যন্ত বিশ্বাস করবো না। যতক্ষন না পর্যন্ত..

কথা শেষ করে না সে। তবে শেষ কথাটা আমার জানা। এটা আর না বললেউ চলবে।
আমি তখন কিছু ভাবতে যাচ্ছিলাম গভীর ভাবে। কিন্তু তখন দেখি আমার বাধনটা খুলে দিচ্ছে ঝর্না।

বাধনটা খুলে সে অন্য দিকে ফিরে শুয়ে পরে।
আমি আর অপেক্ষা করিনা।
উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি।

বারান্দায় এসে অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলাম। ভাবতে থাকলাম তার আর আমার ভেতরের রহস্যটা। তবে আমরা দুজনেই এখন একা। তার আমি ছাড়া আর আমার সে ছাড়া আর কেউ নেই এখন।

এটা ভাবতেই চোখের সামনে হঠাৎ ভেসে উঠে বাবার হাত ধরে হাটা সেই দৃশ্যটা।
ভাবতেই চোখ দুটো খুব করে ব্যথা করে উঠলো। কিন্তু এই ব্যথার কোনো মুল্য এখন নেই। সব কিছুর রহস্য অনেক দূরেই চলে গেছে। কবে ফিরবে আবার ,জানা নেই।
আমি ছেলে হয়েই সহ্য করতে পারছিনা। তাহলে ঝর্নার ভেতরের অবস্থাটা কেমন। তা ভাবনাতে আসছেনা আমার।

ঘরের দিকে পা বাড়ালাম। বিছানার কাছে এসে দেখি ,ঝর্না এখনও সেইদিক ফিরেই শুয়ে আছে।

আমি তখন তার পাশে গিয়ে কোমরে হাত রাখলাম। আস্তে করে চাপ দিয়ে নিজের দিকে টেনে আনি। কিন্তু সে কেন যেন আমাকে এখন সায় দিচ্ছেনা।
আমি বুঝতে পারি তার অভিমানটা। খুব শক্ত করে চেপে ধরি পেছন থেকে। মুখটা নিয়ে যায় কানের কানের কাছে। একটা উষ্ণ নিঃশ্বাস ছাড়তে থাকি।

চলবে

Written by- ibna Imtiaj (Abdullah bin ইমতিয়া)
ঠোঁট
দুই,

এত উষ্ণতাতেউ মন গলছেনা ঝর্নার। তবে তো আমি রাখতে পারছিনা তাকে অভিমানের ভেতর। আরো শক্ত করে চেপে ধরি তাকে। নামিয়ে দিতে থাকি শাড়ির আচলটা। তবুও ঝর্না নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চায়।

এবারের বাধনটা আরো শক্ত করে কানের নিচে আস্তে করে কামড় দিই একটা। যেন বুঝতে পারে,তাকে আদর করতে চাইছি আমি।

ঠোঁট টা নামিয়ে দিতে থাকি ঘাঁড়ের নিচে। টানতে থাকি তাকে আরো কাছে।

তারপর কানের কাছে গিয়ে খুব নরম স্বরেই বলি।

ঝর্না; আমি আপনাকে ছাড়া কোথাও যাবোনা। কোথাও যাওয়ার নেই আমার। তবুও কেন এত অবিশ্বাস করছেন আমাকে বলেন।

ঝর্নার পুরো শরীর যেন স্তব্ধ হয়ে যায়। অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। তবুও কোনো উত্তর আসেনা তার মুখ থেকে।
আমি তখন আবারো দ্বিধায় পরে যায়। এখন কী তার থেকে সরে যাবো। নাকি আদরেই মেতে থাকবো।
কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।

কিছুক্ষন পরে ভেসে আসে কান্নার শব্দ।

একি,ঝর্না কাঁদছে ? কেন ? ঝর্না কাঁদছে কেন।

ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠতে শুরু করে আমার। আমি না পারতে শরীরের পুরো শক্তি দিয়ে আমার দিকে ফিরিয়ে নিই। দুই হাতের মাঝে তার সদ্য ভেজা গালটা নিয়ে অস্থির মাখা কন্ঠে বলি।

ঝর্না কাঁদছেন কেন। কী হয়েছে আপনার। বলেন না কাঁদছেন কেন ?

ঝর্না তখন গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে বলে।

ইমতি,আমাকে থুয়ে কোথাও হারিয়ে যাবেন না। বলেন আমাকে। আপনি ছাড়া কেউ নেই আমার। বলেন না ,যাবেন না আমাকে ছেড়ে।

আমার তখন মনে হচ্ছিল,আমারও ভেতর থেকে কান্না বেড়িয়ে আসতে চাইছে।কিন্তু দুজনে কেমন করে মানায়।

আমি তখন ঝর্নার ঠোঁটে আমার নরম ভেজা ঠোঁটটা মিশিয়ে দিই খুব গভীর ভাবে। যেন সে তলিয়ে যায় উষ্ণতা পাওয়ার নেশায়। তার যেন মনে না হয় ,সে একা। তার আরো একটি অস্তিত্ব আছে।

খুব গভীরে নিয়ে যেতে থাকি তাকে ঠোঁটের উষ্ণ রসতায়।
ধীরে ধীরে হাতটা ঘুরিয়ে দিই তার বুকের উপরে। পাগল করে দিতে থাকি আমার গভীর উষ্ণতায়।
বুকের স্পর্শ পেয়ে যেন তার পুরো শরীরে একটা বিদ্যুৎ চমকিয়ে যায়। আমার হাতের উপরে হাত রেখে বুঝিয়ে দিতে চায়। নিয়ে যাও তোমার সেই উষ্ণতার স্বর্গে।

আমি পাগলের মত তাকে উত্তেজিত করে তুলি সেই অশান্তকর মোহ থেকে কাটিয়ে তোলার জন্য। তার ঠোঁটের নরম রস গুলোউ যেন সঙ্গি হয়ে উঠে আমার।

নিজেকে সপে দিই তার অস্তিত্বের ভেতরে। দুজনেই হারিয়ে যায় এক অজানা সুখের গহীনে।


দুজনে লেপ্টে শুয়ে আছি শীতল ঘামের মিশ্রনে। তার নগ্ন বুকের সাথে লেপ্টে আছে আমার বুকটা। তার উরুটা রেখেছি আমার উরুর উপর। যেন দুজনের কোনে দুরত্ব না থাকে।

মাঝে মিশিয়ে দিচ্ছি দুজনের শান্তকর ঠোঁট।কখনও বা বিলি কেটে দিচ্ছি তার ঘ্রানও ময় চুলে।

এর মাঝে ঝর্না হঠাৎ বলে উঠে।

আচ্ছা,আমাকে ছাড়া আপনার আর কাউকে ভাল লাগবে নাতো ?

প্রশ্নটা শোনার পরে ভেবেছিলাম,একটু মজা করে মিথ্যে উত্তর দিবো। কিন্তু পর ভাবলাম “না”।
মেয়েটা উষ্ণতার গভীর মাখা আবেগ নিয়ে প্রশ্নটা করেছে। এটার উত্তর তার মন মতো না হলে,সে এখনি ভেঙ্গে পরবে। মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাবে এই ভালবাসার রেশটা।

আমি তখন বললাম। নাহ,লাগবে না কখনও।

তবুও ভয় লাগে জানেন ইমতি। কিন্তু কেন অন্য কাউকে ভাল লাগবে না ?

কারণ,আপনাকে ছাড়া আমার আর কাউকেই ভাল লাগেনা।

কেন লাগেনা ?

কেন লাগেনা সেটা কী করে বলি। আপনি আমার জীবনে প্রথম। আপনি শেষ। এর আগে এত মেয়ে সামনে ঘোরা সত্বেও কাউকে ভাল লাগেনি। আর এখন আপনি চলে আসার পরে অন্য কাউকে ভাল লাগতে যাবে কেন বলেন।

ঝর্না কথাটা শোনর পরে আরো শক্ত করে চেপে ধরে। বুকের সাথে আরো গভীর ভাবে লেপ্টে নেয়। টেনে নেয় আরো কাছে। যেন তার ভেতরে আবারো চাইছে।

এমন নরম আদর পেয়ে যে,তার বুকে কখন গভীর ঘুমে হারিয়ে গেছি। খেয়াল নেই।

তবে ভেবেছিলাম,সকালটা হবে অন্যরকম ভাবে। কিন্তু এমন আতঙ্কিত সকাল হবে জানা ছিল না।

সকালের ঘুম যখন ভাঙ্গে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে নয়টা বাজে।
কিন্তু পাশে যখন তাকিয়ে দেখি,ঝর্নার শাড়ি পরে আছে। কিন্তু ঝর্না নেই।
ভেতরটা মারাত্মক ভাবে মোচর দিয়ে উঠে।

চলবে

Written by-ibna Imtiaj (Abdullah bin Imtiaj)
ঠোঁট
তিন,

ঝর্নার শাড়িটা হাতে নিয়ে বুকের সাথে ঘেষে নিলাম। এখনও ভেসে আসছে তার ঘামের ঘ্রানটা। কিন্তু ঝর্না উঠে গেল কোথায়।

শাড়িটা হাতে নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম। বাথরুম ,রান্নাঘর , বারান্দা সব খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলামনা। দরজার কাছে এসে দেখি,দরজাটা খোলা। এই দরজা খোলা দেখে আমার মাথা ঘেমে উঠলো চরম ভাবে। এই অচেনা শহরের রাস্তায় ঝর্না হারিয়ে গেল নাতো।
পরক্ষনে কিছু ভাবলাম না। ঘরে গিয়ে হাত মুখ না ধুয়েই জামা পরে নিলাম।

তবে এতক্ষনেও আমার চোখ একটা জিনিস খেয়াল করেনি। আমাদের জামার ব্যাগটা পুরো খোলা। তার ভেতর থেকে সব কাপর হুলুস্তুল ভাবে বের করে রাখা বাহিরে।

আমি এসব দেখে যেন নিস্তেজ হয়ে পরছি। এসব কী হচ্ছে আমার চোখের সামনে।
খুব ভয় নিয়ে ব্যাগের কাছে গেলাম। ব্যাগের কাছে গিয়ে দেখি,গহনার বাক্স গুলো আর সেই লাল শাড়িটা নেই।

এবার আমার মাথা ঘুরে উঠে। দম আটকিয়ে যায় ভেতর থেকে। যেন পুরো পৃথিবীটা উল্টিয়ে যাচ্ছে আমার সামনে থেকে।

আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পরি ব্যাগের পাশে। কিছুই ভাবতে পারছিলাম না।

ঠিক এমন সময় একটা শব্দ কানে ভেসে আসতে শুরু করে।
সম্ভবত নুপূরের শব্দ। আমি মাথা তুলে তাকায় দরজার দিকে।

এবার যেন আরো গভীর ভাবে ধাক্কা খায়।

ঝর্না সেজে এসেছে । সেই লাল শাড়ি। সেই গহনা। আর পায়ে নুপূর।

কিন্তু ব্যপারটা মেনে নিতে পারছিনা। এতক্ষন কী হলো আমার সাথে।

ঝর্না ধীর পায়ে এসে আমার সামনে দাড়ায়। তারপর মিস্টি কন্ঠে জিজ্ঞেস করে।
দেখেনতো ইমতি,কেমন লাগছে আমাকে।

কিন্তু আমি শুধু তাকিয়ে আছি তার দিকে। মুখ থেকে যেন কথা বের করতে পারছিনা।

কিছু বলতে না পেরে উঠে পরলাম। জামা কাপর খুলে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ফ্রেশ হতে।
কিন্তু পেছন থেকে ঝর্না হাত টেনে ধরে।

এই ,কোথায় যাচ্ছেন হ্যা। দেখছেন না। সকালে আপনার জন্য কত সুন্দর করে সেজেছি।

আমি যেন এবারও কথা টেনে আনতে পারছিনা ভেতর থেকে। আসলে খুব বড় ধাক্কা খেয়ে ফেলেছি।

শুধু এটাই বললাম। আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।

কিন্তু ঝর্না বলে উঠলো। আগে চুমু খেয়ে আমার ঠোঁট টা রসে জবজবে করে ভিজিয়ে দেন।

উহু ,নাহ। ব্রাশ করিনি। ব্রাশটা করে আসি।

এই,তুই দিবি। নাকি আমি ভিজাবো হ্যা। কোনটা।

আমি ভেতর থেকে মনে হচ্ছে অনুভূতিটাই হারিয়ে ফেলেছি এই মুহূর্তে। কোনো টান আসছেনা।
কিন্তু তখন আমি অপ্রস্তুত ছিলাম।
হঠাৎ ঝর্না আমকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দেয়।

কোনো ভাবেই তাল সামলিয়ে উঠতে পারিনি।
শুধু বুঝতে পারছি,ঝর্না তার খসখসে শাড়িটা পরে আমার উপরে চাপ দিয়ে উঠছে।

খুব শক্ত করে আমার দুই গাল চেপে ধরে তার হাল্কা ভেজা নরম ঠোঁটটা ডুবিয়ে দেয় আমার ঠোঁটের ভেতর। যেন তার ভেতর থেকে গলে পরছে উষ্ণ রস।

আমিও সপে দিই তার ভেতর। কিন্তু ভেতরের টানটা তবুও জেগে উঠেনা।

কিন্তু যখন দেখি তার হাত দিয়ে আমার হাতটা টেনে তার নিতম্ভের উপরে রাখে। তল পেটটা তখন কিচ করে উঠে। মনে হলো অজানা কোনো আতঙ্ক চেপে বসছে।

চলবে

Written by-ibna imtiaj ( Abdullah bin imtiaj)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here