ডেবিল লাভার (পর্ব ০৯,১০)
Labiba Islam Roja
পর্ব-০৯
·
·
তো মিস নাআআদু….তোমাকে গতকাল কি বলেছিলাম আমি।
.
উনার চোখ মুখের অবস্থা দেখে স্বাভাবিক মনে হচ্ছা না আমার।কেমন যেন ঝড়ের পূর্বাবাস পাচ্ছি আমি।ঝড়ের পূর্বে যেমন পরিস্থিতি শান্ত থাকে তেমনই শান্তভাবে কথা বলছেন উনি।ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে আমার।হাত দিয়ে অরণা খামছে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা স্বরে বললাম…না মানে হ্যাঁ!!
.
না মানে হ্যাঁ কি…?মনে আছে কি না।যেকোনো একটা বল।
.
হ্যাঁ মনে আছে আপানার ঘরে কফি নিয়ে আসার কথা ছিলো আমি আসি নি।তার কারণ আমার ঘুৃম থেকে উঠতে লেইট হয়ে গিয়েছিলো এর জন্য আসতে পারিনি।এখন কথা এটা না কথা হলো আমি কারো ধরা বাধা কাজের লোক নই যে সকলের কথা মেনে চলবো।কাজের লোকের মতো মালিকের কথা মতো কাজ করবো।হুহ পারবো না আমি।এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলাম আমি।যাক এবার যা হওয়ার হোক।কারো অত্যাচার মানবো না আমি।
.
কি বললি তুই..!!তুই কারো ধরা বাধা কাজের লোক না।তাহলে তুই কে…?
.
জানেন না যেন..!!আমি এই বাড়ির মেয়ে।মামুর একমাএ ভাগ্নে আমি বাবার রাজকুমারী। তাই আমাকে সম্মান দিয়ে বলুন কথা শুনাবেন না।(ভাব নিয়ে)
.
আমার কথা হাসতে হাসতে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছেন উনি।যাক বাবা ডেবিলকে অন্তত কায়দা করে হাসাতে পেরেছি।রাগ গলে জল এখন নো অত্যাচার।আজকে উনার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে আমার।কেন জানিনা উনাকে দেখতে ভালো লাগছে আামর।আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি উনার দিকে।ওই হাসিমাখা মুখে খুব মায়াবী লাগছে। আজ উনার দিক থেকে চোখ ফিরানো দায় হয়ে গেছে আমার।ওই তুই রাজকুমারী!!হুম এটা ঠিক তবে এখন রাজকুমারী নস।আমার একদম কাছে এসে কোমড় জরিয়ে নিজের একদম কাছে নিয়ে গেলেন উনি ফিসফিস করে কানের কাছে বলে উঠলেন…..তুই আমার মনের রাজ্যের রাজরাণী।কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো কানের নিচে গুজে দিতে দিতে….
তুই আমার খাঁচার পাখি……
কখনও দিস না আমায় ফাঁকি
ওরে আমার অবুঝ সোনা পাখি….
তোকে মন পাঁজরে আগলে রাখি….!!
.
দেখেছিস তোর ভালোবাসায় কেমন কবি হয়ে যাচ্ছি আমি।তুই কি আমায় পাগল না বানিয়ে ছাড়বি না নাকি হুম….!!(ভ্রু কুঁচকে)
.
ছাড়ুন আমাকে ছাড়ুন….এসব ফালতু কথা একদম বলবেন না।আমি এখন….
.
বলবো একশো বার বলবো..!!তোকে বুকে আগলে রাখবো সোনা পাখি।তোর খুব সাহস হয়ে গেছে তাই না।এতক্ষণ কতগুলো কথা বলে গেলি আমার কাছে তোকে আসতে বলেছিলাম তুই সকালে আসিস নি।এখনও কিছু খাইনি আমি।এখন খুব ক্ষিধে পেয়েছে আমি খাবো।
.
ছাড়ুন আমাকে!!আমার ইচ্ছে হয়নি তাই আসিনি।এই সহজ কথাটা কি বুঝতে পারছেন না আপনি…?
.
খুব বুঝতে পারছি!!এজন্যই তো তোর একটা শাস্তি দরকার।
.
শশাস্তি!!মানে…?
.
হুম শাস্তি!!আচ্ছা আমার ক্ষিধে পেয়েছে আমি খাবো…!!
.
ঠিক আছে ছাড়ুন আমায়!!আমি এক্ষুণি আপনার খাবার নিয়ে আসছি।
.
উহুমম!!তোর আর যাওয়া লাগবে না।আমার খাবার পেয়ে গেছি।
.
সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে খাবার পেয়ে গেছেন মানে…..আর যদি পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ছাড়ুন আমি আসি।
.
উহুম!!বোকা মেয়ে তোকে ছাড়লে খাবার কোথায় পাবো।তুই ই তো আমার খাবার বলেই আমার ঠোঁটের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন উনি।অনেক্ক্ষণ পর আমাকে ছেড়ে দিলে আমি ক্রনাগত কেঁদে চলেছি।আজ খুব করে কথা শুনাতে হবে উনাকে আমার।আটকাতে হবে নিজেকে।
.
দেখেছিস আমার খাবার!!এবার যা আর কখনও আমার কথার অবাধ্য হবি না।আর যদি হস প্রবলেম নেই তোর উপর এরকম অত্যাচার চলবে।
.
আপনি খুব নোংরা খারাপ বদ একটা লোক।জানেন আমি আপনার ভাইয়ের বউ হতে চলেছি তাও এসব করছেন।আজ এতিম বলে এত জোর জবরদস্তি আমার উপর।খারাপ জানতাম কিন্তু এতটা খারাপ জানতাম না।নিজের ভাইয়ের বউকে বদ নজরে দেখছেন ছিঃ!!
.
এত ছিঃ ছিঃ করছিস কেন…?ভাইয়ের বউ হওয়ার কথা হয়েছে বউ তো হস নি।ভাইয়ের বউ হবি না আমারই বউ হবি চিন্তা করিস না।আর এসব বলে আমার মাথা খাস না।মাথা গরমও করিস না।আমি খারাপ হুম খুব খারাপ শুধু তোর জন্য খারাপ আর কারোর জন্য নয়।যেদিন তোর সাথে কিছু না করেও মিথ্যা অপবাদ মাথায় নিয়েছিলাম সেদিনই তোকে নিজের করে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছি আর সেটা পূরণ ও করবো।এখন যা তুই তোর কাজ কর আমারও অনেক কাজ আছে।
.
কোনোকথা না বলে চলে যাচ্ছি আমি।উনার সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই আমার।যাই বলি না কেন তার উল্টো কথা বলবেন উনি।হঠাৎ উনার কথা কানে আসায় থমকে গেলাম আমি।
.
শোন…আচ্ছা না থাক যা গিয়ে খেয়ে নে।না বলেই ফেলি আজ নিজ হাতে আমার জন্য রাতে বিরিয়ানি রান্না করিস তো খুব খেতে ইচ্ছা করছে।
.
আমি পারবো না..!!আমার ভালো লাগে না।
.
পারতে তোকে হবেই!!
.
বললাম তো পারবো নাআআআআ!”!
.
ঠিক আছে করিস না!!তবুও চেঁচাস না।রান্না না করলে মিষ্টি আছে ওটাই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো নো প্রবলেম…!!বলেই হাত ঘড়ি পড়তে পড়তে রুম থেকে হনহন করে বেড়িয়ে গেলেন উনি।।কি বললো শয়তানটা বুঝার চেষ্টায় আছি কিন্তু মস্তিষ্ক কাজ করছে না আমার।অতপর হাবলার মতো কিছুই বুঝলাম না আমি।
.
.
আধ ঘন্টা ধরে রেস্টুরেন্টে মাহির জন্য বসে আছি আমি।কিন্তু ওর আসার নামই নেই।এতক্ষণ তো লেইট হওয়ার কথা নয় ওর।আজ যতই লেইট হোক ওর সাথে কথা বলে তবেই বাসায় ফিরবো আমি।কেন সেদিন সকলের কাছে আমার নামে মিথ্যা কথা বললো সবটা জানতে হবে আমায়।কিছুক্ষণ পরই ওকে আসতে দেখলাম আমি।আমার কাছে এসেই সামনে থাকা চেয়ার টেনে মুখোমুখি বসে পড়লো মাহি।মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে বলে উঠলো….হেই হ্যান্ডসাম কি মনে করে আমাকে এত জরুরি তলব করলে…?কোনো সমস্যা নাকি…?
.
ওর হাসির প্রতিওোরে একটা হাসি দিয়ে বলে উঠলাম আমি….তুমি বসো খুব জরুরি একটা কথা আছে বলেই এত জরুরি তলব করলাম।
.
এনিথিং সিরিয়াস!!
.
হুম খুব সিরিয়াস…!! যা জিজ্ঞেস করবো তার ঠিক ঠিক উওর দিও নইলে তোমার কপালে শনি আছে মনে রেখ।
.
তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছো কেন….?
.
এভাবে কথা বলার মতো কাজ করেছো তাই…!!
.
কি এমন করেছি আমি…?(অবাক হয়ে)
.
অনেক কিছু..!!আমি সেদিনের ব্যাপারে জানতে চাই যেদিন নাদিয়াকে কোনো একজন মলিস্ট করার চেষ্টা করেছিলো…?সে কে ছিলো…?তার সাথে তোমার কানেকশন কি….? আর ওই ছেলেকে বাঁচাতে সবার সামনে আমাকে বদনাম করেছিলো কেন…?এই সব প্রশ্নের উওর চাই আমি।
.
আআমি ককি ককরে এসব প্রশ্নের উওর দেবো।আমি তো কিছু জানিনা।আমাকে নাদিয়া যা বলেছে তাই সবাইকে বলেছি এর বাইরে কিছু বলিনি।
.
স্টপপ!!আমার নাদিয়ার নামে আর একটাও মিথ্যা বলবে না।আমার নাদিয়া সব সত্যি বলেছে কিন্তু তুমি ইচ্ছে করে সবার সামনে আমাকে ক্যারেক্টারলেস প্রুফ করেছো বল কেন…?
.
এসব তোমাকে কে বললো…!!আমি কোনো মিথ্যা কথা বলছিনা নাদিয়া যা বলেছে তাই বলেছি….!!আর তোমার নাদিয়া মানে!!
.
চপপপ!!আর মিথ্যা বলে লাভ নাই।আনার নাদিয়া মানে আমার নাদিয়া।নাদিয়া সব বলে দিয়েছে আমায়।এখন সবটা জানি আমি।তাই নাটক করো না।কেন এসব করেছো ভালোয় ভালোয় বলো আমায় নইলে…..
.
নইলে..?
.
যা নাদিয়ার সাথে হতে গিয়েও হয়নি আজ সেটা তোমার সাথে করবো আমি(ডেবিল স্মাইল দিয়ে)
·
·
·
চলবে………
ডেবিল লাভার (পর্ব ১০)
Labiba Islam Roja
·
·
·
দেখ নাদিম আমাকে এভাবে থ্রেড দিয়ে আমার মুখ থেকে একটা কথাও বের করতে পারবে না।কারণ আমি যা বলেছি সব সত্যি কোনো মিথ্যা নেই।তাছাড়া শুধু যে আমি বলেছি এমন নয় তোমার ঘরে তো ওই শার্টও পাওয়া গেছে।তাহলে এখানে আমার দোষ কোথায়।আর দোষ যদি কারো থেকে থাকে তাহলে সেটা নাদিয়ার নাদিয়াকে জিজ্ঞেস করো তুমি।
.
শার্ট এমনি এমনি পাওয়া যায় নি।কেউ ইচ্ছে করে আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার রুমে ওটা রেখে দিয়েছিলো।তখন এত মাথা ঘামাইনি কারণ তখন জানতাম সব নাদিয়া বলেছে কিন্তু এখন জানি নাদিয়া নয় সব তোমার চাল।বলো কেন এমন করলে।
.
বললাম তো আমি কিছু করিনি।শুধু শুধু আমার পেছনে না পড়ে আসল লোকটাকে ধরার চেষ্টা করো।
.
আসল লোক মানে…?কে সে লাল শার্ট পড়া ছেলে বলো…?
.
সরি নাদিম আমি কিছু বলতে পারবো না।শুধু এতটুকুই জেনে রাখ যদিও কথাগুলো আমার বানানো তবুও তার পেছনে অনেক বড় কারণ আছে।পারলে সেই কারণগুলো খুঁজে বার করো।
.
তুমি কেন এটা করেছো বলো…?আর সেই কারণ আমি খুঁজতে পারবো না।তুমি বলো আমি শুনি…..
.
বললাম তো দ্বায়ে পড়ে আর কিছু না।
.
এসব রহস্যের বেড়াজালে আটকে থাকা আমার পছদ নয়।সোজাসুজি বলো কি হয়েছিলো সেদিন আর কে ছিলো সে…?যদি না বলো তাহলে কিন্তু আগে যা বলেছি এবার তাই করবো।
.
তুমি কি সত্যি বলছো…!!সত্যি সত্যি এসব করবে নাকি…!!(ভয় পেয়ে)
.
হুম মুখ না খুললে এটাই করবো।তাই আগে বলছি ভালোয় ভালোয় বলে দাও।
.
ঠিক আছে বলছি আমি।
.
এই তো গুড গার্ল নাউ স্টার্ট কে সে…?
.
সে কে আমি নিজেই জানিনা!!আমিও মুখোশের আড়ালে দেখেছি উনাকে।এই কাজটা করার কোনো ইচ্ছা ছিলো না আমার কিন্তু তবুও করতে হয়েছে।ওইদিনই উনাকে দেখেছি আর কখনও দেখিও নি।
.
কেন করতে হয়েছে…?আর একদিনের পরিচয়ে লোকটার কথায় কাজটা করতে রাজি হয়ে গেলে…!!
.
কারণ লোকটা আমাকে ভয় দেখিয়েছিলো…!!আর আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ঘাবড়ে গেছিলাম…!!
.
কিসের ভয়…?কি এমন বলেছিলো যে ঘাবড়ে গেলে..?
.
লোকটা যখন নাদিয়ার রুম থেকে বেড়িয়ে আসে তখনই আমার সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়।তখন উনাকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই আমার গলায় চুরি তাক করে দাড়িয়ে পড়ে।তাই ভয় পেয়ে যাই আমি।তখন আমাকে বলে তোমার ঘরে ওর পরনের শার্ট রেখে দিতে আর যা বলেছি সবটা যেন সবার সামনে বলি।আর যদি না বলি তাহলে তোমাকে আর আমাকে জানে মেরে দেবে আর এটা শুনেই ভয় পেয়ে যাই আমি।
.
লোকটা ভয় দেখালো আর তুমি চেনা নেই জানা নেই অমনি ভয় পেয়ে গেলে আশ্চর্য!!তোমার কথাগুলো কেন জানিনা বিশ্বাস হচ্ছে না আমার।
.
বিশ্বাস করো নাদিম এটাই সত্যি!!আমি যা করেছি নিজেকে বাঁচাতে আর তোমাকে বাঁচাতে গিয়ে এসব করেছি।
.
মাহির চোখ মুখ দেখে বুঝে গেছি আমি সত্যি বলছে ও।কিন্তু সেই লোকটা কে…?কে সে যে নাদিয়ার সাথে এত খারাপ ব্যবহার করলো।কে কে সবটা জানতে হবে আমায়…..
.
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি চলে যাও!!এটাই জানার ছিলো আামর।তবে যাই হয়ে যাক না কেন.. নাদিয়ার সাথে কে এমন করার চেষ্টা করেছে তাকে ঠিক খুঁজে বার করবো আমি আর সেদিন সকলের চোখে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়বোই ছাড়বো।
.
নাদিম তুমি নাদিয়াকে প্লিজ বলো আমায় যেন ক্ষমা করে দেয়।আমি না এসবের কিছুই চাইনি তবুও মেয়েটাকে কষ্ট দিয়েছি।সেদিনের ঘটনার জন্যই আন্টি আর তিয়া এখনও সহ্য করতে পারেন না ওকে।অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে মেয়েটা।সবটা আমার জন্য।আমি যদি সেদিন মিথ্যা না বলতাম তাহলে আন্টি আগের মতোই নিজের মেয়ের মতো আদর দিতেন।ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতেন।সরি নাদিম আই এম সরি।
.
হুম!!আচ্ছা তুমি যে তোমার করা কাজের জন্য অনুতপ্ত এটাই অনেক যাইহোক ভালো থেকো আসছি….!!
.
.
ছাদে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি আমি।আজ হাজারো প্রশ্ন মনে বাসা বেঁধেছে আমার।নাহিম ভাইয়া নাকি নাহিদ ভাইয়া কে হবে আমার জীবন সঙ্গী।নাহিদ ভাইয়া যাকে বড় ভাই ছাড়া কিছু ভাবিনি আমি সেই কিনা হতে যাচ্ছে আমার স্বামী।আর বাকী রইলো নাদিম ভাইয়া উনাকে আগে যতটা ভালো লাগতো এখন কেন জানিনা আরও বেশি ভালো লাগছে আমার।কেমন আকৃষ্ট হয়ে পরছি উনার উপর।পেছনের সব কিছু কেন জানিনা ভুলে যাচ্ছি আমি।উনার রুড ব্যবহার অত্যাচার অবহেলা অপমান সব ভুলে যেতে চাই।কিন্তু কেন…?কেন কেন কেন…?এসব তো ভুলার নয়।পার্টিতে এতবড় অপমান।সেদিন বাসায় মামুর সামনে আমায় ক্যারেক্টারলেস প্রমাণ সবকিছু কি করে ভুলে যাচ্ছি আমি।কেন উনাকে দেখলে বুক ধুকপুক করে আমার।কেন নিজের অজান্তেই হেসে উঠি আমি।উনার বলা কথাগুলো কেন ফেলতে পারি না। আজকে উনার পছন্দের বিরিয়ানি রান্না করতে মন চাইছে কেন…?কি হয়েছে আমার।আমার ভাবনাগুলোকে আকাশে ভাসিয়ে দিয়েছি আমি।তখন পাশে কারোর উপস্থিতি টের পেলাম আমি।হুম নাহিদ ভাইয়া….
.
তুই এখানে আর আমি তোকে সারাবাড়ী খুঁজে মরছি।আচ্ছা শোন পরশু বিয়ে তাই কালকেই কেনাকাটা করতে বের হবো।তুই সকাল সকাল রেডি হয়ে নিস।
.
কেনাকাটা কিসের কেনাকাটা….?আর সেখানে আমি গিয়ে কি করবো তিতলি আর তিয়া আপুকে নিয়া যান।
.
আরে বাবা তোর বিয়ে আর কেনাকাটা করতে তুই যাবে না।
.
ওহহ!!না ভাইয়া আপনারা যান আমি যাবো না।আমার এসব ভালো লাগে না।
.
সত্যি যাবি না…?
.
নাহ..!!
.
ওকে তাহলে তোকে জোর করবো না।আমার অনেক কাজ আছে তুই থাক আমি আসছি।
.
মানুষটাকে যত দেখি ততই অবাক হই আমি সবসময় আমার ভালো মন্দের খোঁজ নেয় কখনও মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করতে বলে না।সবসময় অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছার দাম দেয়।নিজের কথা ভাবে না।নাহ ওই ডেবিলের জন্য বিরিয়ানি রান্না করবো না আমি।এবার থেকে নাহিদ ভাইয়ার চাওয়া পাওয়াগুলোকে দাম দিবো হুম।
.
.
রাত প্রায় দুইটা সমস্ত শরীরে কেমন ব্যাথা পাচ্ছি আমি।নড়তেও পারছি না যেন চেইন দিয়ে কেউ বেঁধে রাখেছে আমায়।দুচোখের প্রখর ঘুম তবুও চোখ মেলে তাকালাম আমি।ভালোমতো নিজেকে দেখে অবাক আমি।এ কি এসব কি….?হুম নাদিম ভাইয়া আমাকে জরিয়ে সটান হয়ে শুয়ে আছেন উনি।তবে উনি জেগে নেই ঘুমিয়ে পরেছেন।উনাকে দেখেই মাথায় আগুন জ্বলে উঠলো আমার।ইচ্ছা করছে একটা লাথি দিয়ে বিছানা থেকে উনাকে ফেলে দিই আমি।অসভ্য ইতর প্রাণী এখানে এসেছিস কেন…?তোর মরার আর জায়গা ছিলো না এখানেই এসে মরতে হলো…হায় হায়!! এখন এই ভারী শয়তানটাকে এখান থেকে বিদায় করবো কি করে আমি।
.
ওই ঘুমিয়ে পড় এত ভাবিস না।দেখ বেশি রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে তাই চুপ করে শুয়ে পড়।
.
উনার কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকালাম আমি।আরে এ তো মরে নি এখনও বেঁচে আছে ধুর জেগে আছে।আপনি আপনি এখানে কেন…?যান নিজের রুমে যান।
.
চোখ বুজেই বলে উঠলেন উনি না যাবো না!!
.
এই ডেবিল কি বলে এসব!!যাবি না মানে মামার বাড়ির আবদার!! তুই যাবি তোর বাপ দাদা চৌদ্দ গোষ্ঠী যাবে।কিন্তু সমস্যা একটাই একা দানবকে থুক্কু ডেবিলকে বিদায় করতে পারছি না চৌদ্দ গোষ্ঠী বিদায় করবো কি করে।এটা তো ভারী চিন্তার বিষয়।থাক এখন তো সবাই আসেনি তাই এত ভেবেও লাভ নাই। ডেবিল একা এসেছে আপাদত তাকেই বিদায় করি।
·
·
·
চলবে……