তবু_কেন_এত_অনুভব_সিজন_২?,৭ম_পর্ব

0
812

#তবু_কেন_এত_অনুভব_সিজন_২?,৭ম_পর্ব
#written_by_Liza

সকাল হয়ে গিয়েছে ইনান বেশ কিছুটা সুস্থ,তানাফ ইনানকে বলছে “আজ রাতে জানালার পাশে আমি থাকবো, জানালা খোলা থাকবে ঠিকাছে? আমি দেখবো কে এই মানবী”

তানাফ মনে মনে আন্দাজ করেছে দোয়াকে। দোয়া তানাফের ভাবমূর্তি দেখে নিজেকে সাবধানের সাথে সরিয়ে নিয়েছে। এভাবে চলছে দিন। গ্রামের লোকজন সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করছে। যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে তানাফের।

দু’দিন পর রওনা দিবে শহরে, এই ক’দিনে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক হয়েছে সবার। ইনানের গ্রামের প্রতি মায়া জন্মে গিয়েছে।

আজীম শেখের অবস্তা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে,আজীম শেখের ডান হাত নাদিম শেখ না থাকায় পরিস্থিতি তেমনটা ভালো যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে দোয়ার জন্য পাত্র দেখা শুরু করে দিয়েছে দোয়ার মা।

দোয়া জানতে পেরে নাওয়াখাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

আমি বিয়ে করতে পারবো না রাফি, আমার পড়াশোনা করার অনেক ইচ্ছা,বাবাকে একটু বোঝা না রে (দোয়া)

রাফি হতাশ হয়ে দোয়াকে বলে “আর কত বিয়ে ভাঙ্গচি দিবো বল? সবাই তো বুঝেই গিয়েছে ভাঙ্গচি আমিই দিচ্ছি। গ্রামের লোক নানান কথা রটাচ্ছে তোর আর আমার নামে। আমি তোকে বোনের মত ভালোবাসি। এই গ্রামের লোকের কারণে তোর সম্মানে কালি মাখাতে চাইনা রে দোয়া”

দোয়া কী করবে ভেবে না পেয়ে কান্না শুরু করে দেয়, ইনান হাটতে বেরিয়েছে, দোয়াকে কান্নারত অবস্তায় দেখে ইনান পা টিপে টিপে সামনে এগিয়ে যায়।

ইনান গলা ঝাড়ি দিয়ে দোয়ার মনোযোগ পেতে চাইলো, দোয়ার আজ কোনো মজা করার মতো মন মানসিকতা নেই। দোয়া অনর্গল কেঁদেই চলেছে।ইনান বুঝতে পেরেছে দোয়ার কিছু একটা হয়েছে।

ইনান হাটু গেড়ে বসে দোয়াকে আস্তে আস্তে বলছে “দোয়া ম্যাম কী হয়েছে আপনার? এভাবে কাঁদছেন কেন? কখনো তো আপনাকে কাঁদতে দেখিনি৷ আজ হঠাৎ কী হলো? আংকেলের অসুখ বেড়েছে আবার?”

দোয়া ঠোঁট ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলতে লাগলো একের পর এক সব ঘটনা,সাথে রাফি ও যোগ দেয়। ইনান দুজনের কথা শুনে ভাবনায় পরে গেলো৷ এই প্রথম দোয়াকে এত নরম, শান্ত দেখাচ্ছে। দোয়া কখনো কাঁদে না, সর্বদা হাসোজ্জল মুখে পুরো গ্রাম বিচরণ করে।

ইনান মনে মনে বলছে “দোয়া ম্যাম কখনো আমার সাথে ভালো করে কথা বলেনি,দুষ্টুমি ছাড়া শান্ত হতে কখনো দেখিনি। এত শান্ত হয়ে আছে তার মানে বেশ ঘাপলা আছে”

ইনান তাদের বিদায় দিয়ে তানাফের কাছে আসে আর বলে “স্যার দোয়া ম্যাম ঐ যে আজীম আংকেলের মেয়ে? সে কাঁদছে হঠাৎ”

তানাফ ল্যাবে মেডিসিন চ্যাক করছিলো, তানাফ এক গাল হেসে দিয়ে বলে ” এভাবে অবাক হওয়ার কী আছে ইনান? সে কী পণ করেছে কখনো কাঁদবেনা? রোবট নাকি সে?”

ইনান টেবিলের উপর বসে পা দোলাতে দোলাতে বলে “জোর করে বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে তার মা,তার বাবার এই অবস্তা দেখে। তার পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে সে বিয়ে করতে চায় না এখন।শুনে ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগলো।”

তানাফ ইনানের কাধে হাত দিয়ে বলে “আমাদের দায়িত্ব সব মুমূর্ষু ব্যাক্তিদের রক্ষা করা,কারো ব্যাক্তিগত জীবনে নাক গলানো আমাদের কাজ না ইনান। আর ঐ মেয়ে পড়াশোনার দোহায় দিয়ে কী লাভ? সারাদিন তো গ্রামবাসীদের জ্বালিয়ে মা-রে, পড়াশোনা করে কখন? এসবে তুমি জড়াবেনা বলে দিলাম। পরশুদিন আমরা শহরে যাবো যা গোছগাছ করার আছে করে নিও”

এই বলে তানাফ চলে গেলো, এদিকে ইনান মন খারাপ করে বসে আছে। ইনান মনে মনে বলছে “আজ আমার বোন এমন বিপদে পরলে আমি তো এভাবে হাত গুটিয়ে থাকতাম না। দোয়া ম্যাম অধিক কষ্ট না পেলে আমার সামনে এভাবে কাঁদতো না। যা করার আমাকেই করা লাগবে”

ইনান দোয়ার বাড়িতে গেলো আজীম শেখকে দেখতে,আজীম শেখের হার্টের রোগ দেখা দিয়েছে। বেশিদিন বাঁচবে না। পুরো বাড়িতে শোকের বন্যা বইছে। ইনান আজীম শেখ কে দেখে থ বনে গেলো। ইনান সবটা আঁচ করতে পেরেছে।

ইনান খাটের উপর বসে আজীম শেখের সাথে কথা বলছে ঠিক তখন’ই একদল লোক হাতে ব্যাগ নিয়ে ঘরে ঢুকলো,ইনান লোকগুলোকে পা থেকে মাথা অব্দি পর্যবেক্ষণ করলো।

লোকগুলো ইনানকে ঘুরে ঘুরে দেখছে, ভ্রু কুঁচকে পান মুখে দিয়ে লোকগুলো আজীম শেখকে সালাম দেয় আর বলে “কইন্যা রে লইয়া আও। দেখমু”

ইনানের কেমন যেনো খটকা লাগলো লোকগুলোকে দেখে, ইনান নড়েচড়ে বসলো কী হচ্ছে তা দেখার জন্য।

একটু পর গলায় মাফলার পরা লোক ঢুকে দোয়াকে ডাকতে লাগলো, দোয়ার মা দোয়াকে তৈরি করে সকলের সামনে আনে। দোয়ার চোখমুখ বেশ ফোলা ফোলা। ইনানকে দেখে দোয়া চোখ মুছে নেয়।

ইনান মাথা নাড়িয়ে দোয়াকে ইশারায় বলে “কিছু হবে না আমি আছি ম্যাম”

দোয়া সবাইকে সালাম দিয়ে সামনে বসে, গলায় মাফলার দেওয়া লোকটি দোয়ার গলার নিচের অংশের দিকে হা করে তাকিয়ে জ্বীভে কামড় দিচ্ছে। ইনানের চোখ এড়ালো না ব্যাপারটা। ইনানের রাগে হাত পা কাঁপছে।

গলায় মাফলার পরা লোকটি বাকি লোকদের বলছে “দেহো দেহো কইন্যারে দেহো,গেরামে সব থেইক্কা সুন্দরী কইন্যা এইডা। বিয়া করলে সূখী হইবা”

বাকি লোকগুলো ঐ লোকটির কথায় মাথা নাড়ছে হেসে, দোয়ার খুব অস্বস্তি হচ্ছে। লোকগুলো চা পান করে বিদায় নেয়।

মাফলার পরা লোকটি বাড়ির পেছনে গিয়ে কাকে যেনো ফোন করে বলছে ” মাইয়াডার বুকডা বেশি সুন্দর সুডল। আমার ভালা লাগছে। এডা কচি বেইচ্ছা ভালা ইনাম মিলবো আমার”

ইনান কথাগুলো শুনে দেরী করলো না দৌড়াতে দৌড়াতে তানাফের কাছে গেলো। তানাফ’ই পারে এসব বদ লোকদের শাস্তি দিতে।

ইনানকে হাপাতে দেখে তানাফ বলে “কেউ দৌড়ানি দিয়েছে নাকি তোমাকে? এই হাল কেন তোমার?”

ইনান এবার তানাফকে বলছে ” দোয়া ম্যামকে বেছে দেওয়ার কথা উঠেছে, আজীম আংকেলের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক বিয়ের নাম করে বিক্রি করতে চাইছে। এইজন্য দোয়া ম্যাম কাঁদছিলো৷ আমি জানতাম দোয়া ম্যাম সহজে কাঁদার পাত্রী না। এই হলো আসল কথা”

হুহ এতে আমি কী করতে পারি? আমাকে কেন বলছো? (তানাফ)

মানে কী? আপনি নাদিম শেখকে শাস্তি দিলেন,মেয়েদের ‘কে বাঁচালেন। তাহলে দোয়া ম্যামকে কেন সাহায্য করছেন না? কেন কী দোষ করেছে দোয়া ম্যাম? আপনি কেন বুঝতে চাইছেন না দোয়া ম্যাম বিপদে আছে খুব। (ইনান)

তানাফ কোনো কথা না বলে চলে যায় ইনানের সামনে থেকে,ইনানের খুব রাগ লাগছে। ইনান জেদের বসে টেবিলে ঘুষি দেয়। তানাফ সবটা দেখে এড়িয়ে চলে যায়। দোয়ার প্রতি যেনো তানাফের রাগ জন্মেছে। তানাফ সবটা দেখেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

একদিন পার হয়ে গেছে,পরের দিন তানাফরা শহরে চলে যাবে। ইনান বসে বসে ভাবছে “হাতে আর সময় নেই যা করার আজকেই করা লাগবে।”

দোয়া সেই চঞ্চল মেয়ে আজ যেনো নিথর দেহকে বাঁচিয়ে রেখেছে সৌজন্যের খাতিরে। পুরো গ্রাম যেনো প্রাণ হারিয়েছে দোয়ার এমন নীরবতায়। আজীম শেখ তানাফকদের খবর পাঠিয়েছে। তানাফ দোয়ার বাড়িতে আসার পর খেয়াল করে “দোয়া চুপচাপ এক কোনায় বসে মাটিতে কী যেনো আঁকিবুঁকি করছে। ঘরে কে আসছে কে যাচ্ছে দোয়ার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই”

আজীম শেখ কাঁশতে কাঁশতে তানাফকে বলছে “কাল আমার মেয়ে বিয়ে বাবা,তোমরা কাল দাওয়াত খেয়ে রওনা দিও”

তানাফ রহস্যময় হাসি দিয়ে দোয়াকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলছে “নিশ্চয় আংকেল আপনি যা বলবেন তাই হবে।”

দোয়া উঁকি দিয়ে তানাফের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সেখান থেকে উঠে চলে যায়,তানাফ সব খেয়াল করেও কিছু বলে না।

_____________________

পুরো গ্রাম সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে,চেয়ারম্যানের এক মাত্র মেয়ের বিয়ে।সব দিকে ফুলে সুসজ্জিত। ইনান তানাফের সাথে সেদিনের পর থেকে আর কথা বলে না। ইনান চুপচাপ একা সময় কাটায়। মাঝেমধ্যে রাফি এসে ইনানের সাথে আড্ডা দেয়। তানাফ সব বুঝতে পেরেও পাত্তা দেয় না। দলে দলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এসে দোয়ার মুখ দেখে দোয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গিফট দিচ্ছে। পুরো গ্রামে মেহমানের সমাগম। বর এসেছে দোয়াদের গ্রামে। ইনান তৈরি হচ্ছে দোয়ার বিয়েতে যাওয়ার জন্য। ইনান একরাশ আফসোস নিয়ে দোয়ার বাড়িতে যায়৷ দোয়া খাটের একপাশে বসে আছে মূর্তির মতো। পুরো ঘরে মেহমানের ভীড়৷ গ্রাম্য পরিবেশের বিয়ে এই প্রথম ইনান দেখছে। ইনানকে ঘরে ঢুকতে দেখেই দোয়া ইনানের দিকে তাকিয়ে আছে। দোয়ার চোখ দু’টো যেনো কিছু বলতে চাইছে ইনানকে। ইনান মৃদু হেসে মনে মনে বলে “মাফ করে দিন দোয়া ম্যাম, আমি হয়তো হেরে গেলাম। আমি পারলাম না আপনাকে এই নরক থেকে বাঁচাতে”

ইনান দোয়ার পাশে বসে,আজীম শেখ উইল চেয়ারে বসে আছে। মেয়ের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।

ইভা,মায়া দৌড়ে এসে বলে “বর এসে গেছে”
এই কথা শুনে দোয়ার চোখ বেয়ে অনর্গল পানি ঝড়ছে,সবাই ভাবছে মেয়ে শশুড়বাড়ি চলে যাবে তাই কাঁদছে,কিন্তু ইনান বুঝতে পেরেছে দোয়ার কান্নার রহস্য। ইনান দোয়াকে ফিসফিসিয়ে বলে “দোয়া ম্যাম শহরে যাবেন? আপনি যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন সে আপনাকে বউ হিসেবে মানে না। একজন রক্ষীতা হিসেবে মানে। আপনাকে বিক্রি করার প্লান চলছে৷ আপনি যদি বাঁচতে চান তবে পালান ম্যাম।নয়তো আপনি বলির পাঠা হবেন কারো কিছু করার থাকবেনা”

ইনানের কথায় দোয়া হু হু করে কেঁদে দেয়,এদিকে হুজুর এসেছে দোয়ার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
দোয়া কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে সব হজম করছে।

মাফলার পরা লোকটি ঘরে ঢুকে সবাইকে বলছে “জায়গা দেও হুজুর আইতাছে বিয়া পরাইবো এহন”

ইনান দোয়ার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। দোয়া চোখ মুছে চুপ করে বসে আছে,দোয়ার ভেতরে ইনানের কথাগুলো কাটার মতো বিধঁছে। তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে মনের ভেতরে। দোয়া মুখ বুজে চুপচাপ হজম করছে।

ইনান চোখমুক মুছে জোরে শ্বাস নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পরে,মাফলার পরা লোকটি ইনানকে আগাগোড়া দেখছে আর বিড়বিড় করে গালি দিচ্ছে। দোয়া সব খেয়াল করে।

হুজুর ভেতরে ঢুকে দোয়ার একটু দূরে বসে, বিয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে।

বরকে ডাকছে মাফলার পরা লোকটি। কিন্তু কোথাও বরের হদীস পাওয়া যাচ্ছে না। মাফলার পরা লোকটির মাথায় যেনো ভাজ পরলো। সবাইকে জিজ্ঞেস করছে বর কোথায়। সবার’ই একই উওর বরকে একটু আগে দেখেছে সবাই, কিন্তু এখন বরকে কোথাও পাচ্ছে না।

দোয়া বর পালিয়েছে শুনে খুশি হয়ে যায়। দোয়া মনে মনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে। দোয়ার মুখে হাসির রেশ ফুটে উঠে, দোয়া মনে মনে ইনানকে ধন্যবাদ দিচ্ছে আর বলছে
“আমি ভাবতে পারিনি ইনান ভাইয়া তুমি এতটা উপকার করবে,আমি দিনের পর দিন তোমাকে জ্বালিয়েছি।ক্ষতি করেছি।আমি লজ্জিত সবকিছুর জন্য। তোমার এই উপকার আমি কখনো ভুলবো না।কখনো না”

এদিকে ইনান ক্যাবলার মতো হা করে আছে বর পালিয়েছে শুনে,ইনান বুঝে উঠতে পারছে না চোখের সামনে বসে থাকা বর হঠাৎ উধাও হলো কী করে!

হুজুর বলছে সবাইকে “বরকে ডাকুন আর কত সময় বসে থাকবো?”

কেউ বরের কোনো খোঁজ দিতে পারছে না। আজীম শেখ বেশ চিন্তায় পরে যায়। এদিকে তানাফ কালো পাঞ্জাবি পরে এসেছে বিয়ের দাওয়াত খেতে৷ ইনান তানাফকে দেখে অবাক। তানাফকে খুব আদর লাগছে কালো পাঞ্জাবিতে।

তানাফ ঘরের ভেতর ঢুকে সবাইকে লম্বা সালাম দেয়,আজীম শেখ তানাফকে দেখে বলে “বসো বাবা কিছু খেয়েছো?”

তানাফ মিটমিট করে হাসছে আর বলছে “এখন না আংকেল,মাত্র এসেছি একটু এনজয় করি এরপর খাওয়াদাওয়া। ভালো কথা পাত্র কোথায়? তাকে দেখছি না কেন?”

মাফলার পরা লোকটি তানাফকে দেখে ভ্রু কুঁচকে রেখেছে,তানাফ সেই লোকটির দিকে তাকিয়ে বলছে “বর ছাড়া কেমন বিয়ে বুঝলাম না। বরকে ডাকুন একটু আলাপ আলোচনা করি। যেহেতু এই গ্রাম থেকে টর্নেডো বিদায় হবে সেহেতু ভালোভাবে সবটা বরকে বুঝিয়ে বলি”

দোয়া তানাফের কথায় দাঁতে কিড়মিড় করছে,তানাফ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে খাটে বসে চুল ঠিক করছে। দোয়া মনে মনে বলে ” মর-নদশা বিয়ে খেতে চলে আসছে,জীবনে যেনো খায় নি। আমাকে টর্নেডো বলা? আগে বিয়েটা ভাঙ্গুক এরপর জন্মের খাওয়া ঘুছিয়ে দেবো আমি বলে দিলাম”

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here