#তবু_ফিরে_আসা,পর্ব : (০৭)
লেখনীতে : তামান্না আক্তার তানু
(২২)
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছার পর মেঘ দ্রুত তার খালামনিকে নিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে সটকে পড়েছে। বেচারা শ্রাবণ অনেক চেষ্টাও আর তার নাগাল পায়নি। বাড়ি এসে বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে একধাপ কান্নাকাটি করার পর নিজের রুমে পা বাড়ালো মেঘ। মেঘ চলে যাওয়ার পর তার এই রুমটায় আর কারও প্রবেশ না পড়লেও মা রোজ একবার এসে ঘরটা পরিষ্কার করে যেতেন। এখনও মেঘের রুমটা ঝকঝকে রয়েছে। দরজা খুলে যখন ভেতরে প্রবেশ করলো অজানা কষ্টে বুকটা ভারি হয়ে গেল তার। রুমটাতে আগে শ্রাবণের চেহারায় ভরপুর ছিল। একপাশে স্কেচ তো অন্যপাশে রঙিন ক্যানভাস। কর্ণারে ছিল মেঘের সব রঙতুলি আর সাদা কাগজের মেলা। এখন এসব কিছুই নেই। মেঘের হঠাৎ মনে হলো, শুধু তার রুমটা ফাঁকা না পুরো হৃদয়টাই ফাঁকা। অথচ কত অনুভূতি ছিল এই হৃদয়ে। সব কেমন মলিন হয়ে গেছে। ধূসর রঙে ছেয়ে গেছে আজ হৃদয়ের আঙিনাটা। যেখানে নেই কোনো অনুভূতি, নেই কোনো ভালোবাসা, নেই সেই ভালোবাসার মানুষটাও। মেঘ আনমনেই নিজেকে প্রশ্ন করলো,
“সত্যিই কি আমার তুমি আজ আর আমার নেই?”
চোখদুটো ঘোলা হয়ে গেল। বুকটা কেঁপে উঠে জানান দিল এখনও এই হৃদয়ের গহীনে কেউ আছে। অবহেলার কাছে সব একদিন চাপা পড়ে গিয়েছিল। আবারও কি কেউ সেখানে নিজের জন্য জায়গা করে নিচ্ছে? রুমের ভেতরে হাঁটতে হাঁটতে এসব ভাবছিল মেঘ। লাগেজটা একপাশে রেখে বিছানায় বসলো। কতরাত এখানে ঘুমিয়ে মানুষটাকে স্বপ্নের ভুবনে আনাগোনা করতে দেখেছিল মেঘ, অথচ এখন আর সেসব স্বপ্ন তাকে উতলা করে না। সবকিছু এখন কেবল অধরাই লাগে তার কাছে।
লাগেজ খুলে সবগুলো কাপড় ভাঁজ করে আলমারিতে তুলে রাখলো মেঘ। এখন সে গোছালো পুরোটা। আগে যেভাবে এদিক-সেদিক অগোছালো করে মাকে কষ্ট দিত এখন আর এমনটা করে না। একাকী দিন কাটাতে গিয়ে নিজেকে খুব দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে রূপান্তরিত করতে পেরেছে সে। আগে কারণে-অকারণে শ্রাবণের উপর একগাদা অভিযোগ নিয়ে দিনরাত নিজেকে কষ্ট দিত, ট্যাপ ছেড়ে পানির নিচে বসে থাকতো। অকারণে অসুখ বাধিয়ে ইচ্ছামতো শ্রাবণকে বকতো অথচ এখন এসবের কিছুই করে না। এখন আর বকাগুলোও আসে না। আগে শ্রাবণকে বকলে মনে শান্তি পেত, মনে হতো এই মানুষটার প্রতি তারই অধিকার। সেই অধিকার থেকেই সব রাগ, অভিমান আর অভিযোগ জন্মাতো। এখন আর এসব হয় না। এখন শুধু মনে হয়, মানুষটা তার ছিলই না। যদি শ্রাবণ সত্যিই তার হতো, তবে ওভাবে দূরে সরে গিয়েছিল কেন? একবার তো সামনে এসে জিজ্ঞেস করতেই পারতো, কেন সে মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছিল? কোনো অভিযোগ না জানিয়ে ধুম করে অপরাধী সাজিয়ে দূরে সরে গেল, এই একটা বেদনাই যে মেঘকে পুরোপুরি পাথর বানিয়ে দিয়েছে।
ভাবতে ভাবতে সব কাপড় জায়গা মতো রেখে সুতি একটা থ্রিপিস বের করলো মেঘ। ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ড্রেসটা পালটে নিল। নিচে নেমে দেখলো মা তার বোনের সঙ্গে আড্ডায় মজে গেছেন। মেঘ সোজা সোফায় গিয়ে মায়ের কোলে মাথা রেখে দু’চোখ বন্ধ করলো। মাকে জড়িয়ে ধরে চুপিচুপি বলল,
“আমি খুব খারাপ তাই না মা? নিজের কষ্ট ভুলতে তোমাদের কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। মাফ করে দিও আমায়। আর কোনোদিন এমন বোকামি করবো না।”
মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে স্নেহের চুমু দিলেন। কতদিন পর নাড়ি ছেঁড়া ধনটাকে কোলে পেয়েছেন তিনি। খুশিতে দু’চোখে পানি চলে আসলো তার। মেঘ মাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মুখ গুঁজে দিল পেটে।
(২৩)
আদনান আধশোয়া হয়ে ল্যাপটপে নওরিনের সঙ্গে ভিডিওকলে আড্ডা দিচ্ছিলো। ফোনের রিংটোন শুনে সেদিকে তাকিয়ে দেখলো শ্রাবণ কল করছে। বেশ কয়েকবার কল বাজতে বাজতে কেটে গেল। এবার আদনান নওরিনের থেকে বিদায় নিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশে শ্রাবণের হুংকার শোনে চমকে গেল।
“আধঘণ্টা, মাত্র আধঘণ্টা সময় দিলাম তোকে। যেভাবে পারিস আমার বাসায় আয়। আর্জেন্ট আলাপ আছে। যদি দেরী হয় তোদের বিয়েতে গণ্ডগোল বাঁধাবো।”
“কী যা তা বলছিস! এখানে বিয়েতে ঝামেলা বাধানোর কী হলো? আর বাসায় যাব মানে! তুই তো সিলেট?”
“চড় থাপ্পড় যদি খেতে না চাস তো তাড়াতাড়ি আয় বলছি। নয়তো কেসটা গুবলেট হয়ে যাবে।”
আদনান রীতিমতো ভয় পেয়ে আর অপেক্ষা করেনি। ফোন কেটে সোজা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে শ্রাবণকে বাসার উদ্দেশ্যে। অসময়ে আদনানকে বাসায় দেখে রেহানা মাহমুদ একটু অবাকই হলেন৷ শ্রাবণ রুমে আছে বলে আদনানকেও তার রুমে যেতে বললেন। আদনান দরজায় নক দিয়ে পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই শ্রাবণ একটানে তার কলার ধরে বিছানায় নিয়ে ফেললো। সোজা আদনানের উপর চড়াও হয়ে কলার শক্ত করে ধরে বলল,
“জেনেশুনে আমাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছিলি তোরা। জানতিস ভালো করে, মেঘ সিলেট আছে। তবুও কেউ সত্যিটা জানাসনি। কেন আদনান? কেন? তোরা বন্ধু হয়ে এভাবে আমাকে নাজেহাল অবস্থায় কেন ফেললি?”
“ভাই আগে মাথা ঠান্ডা কর। পরে সব বলছি। এভাবে আসতে না আসতেই ভূমিকম্প হবে জানলে এখানে পা দিতাম না। আর শোন, তোর নিজের ভুলে মেঘকে হারিয়েছিস। এখানে আমাদের কিছু করার ছিল না। আমরা শুধু চেয়েছি তুই নিজে থেকে মেঘকে খুঁজেনে।”
“শালা বললেই খোঁজা যায়? আমাকে তো জানতে হতো মেঘের অবস্থান। না জেনে কোথায় খুঁজতাম?”
“মানুষ চাইলে চাঁদে আরোহণ করতে পারে, আর তুই কিনা সিলেট চষেও মেঘকে খুঁজে পেতি না, এটা একদমই বাজে কথা শ্রাবণ। তুই বলিস, আনিকাকে ভুলতে গিয়ে মেঘকে তোর হৃদয়ে ঠাঁই দিয়েছিস, অথচ সেই হৃদয়ে ঠাঁই দেওয়া মানুষটাকে সামনে থেকেও খুঁজে পেলি না! এটা কতটা কষ্টকর মেঘের জন্য, ভাবতো একবার। বেচারি জানতো তুই ওখানে কদিন পরপরই যাস, নিজেকে আড়ালে রেখে তোর টেককেয়ারের সবরকম চেষ্টা সে করে গেছে, অথচ তুই তাকে খুঁজে পেতে এত সময় নিলি। আসলেই তুই মেঘকে ভালোবাসিস না। যদি বাসতিস অন্তত তার স্পর্শ চিনতে পারতি। সত্যি কী জানিস, তুই আজও মেঘকে ভালোবাসতে পারিসনি!”
হাতটা ঢিলে হয়ে গেল শ্রাবণের। কলার ছেড়ে বিছানায় বসলো। অনেকক্ষণ থম মেরে বসে রইলো এক জায়গায়। কাঁধে হাত রাখলো আদনান। শ্রাবণ বিড়বিড় করলো,
“আমার মেঘকে চাই আদনান। বিশ্বাস কর, ও ছাড়া আমার দুনিয়াটা অন্ধকার। আমি জানি আমি ওর কাছে অপরাধী, না বুঝে কত কষ্ট দিয়েছি। বার বার ওর সামনে আনিকাকে অনুভব করে ওর হৃদয়ে ঝড় তুলে দিয়েছি। আমার এই ভুলটা আমিই শোধরাবো। কিন্তু তার জন্য ওর সঙ্গে দেখা করাটা জরুরী। এয়ারপোর্ট থেকে কীভাবে যে হাওয়া হয়ে গে টেরই পেলাম না। আমি জানি ও আমার সামনে আসতে চায় না, তাই বলে এভাবে ইগনোর করবে। কষ্ট হয় না আমার? কেন বুঝতে চায় না, আমি সত্যি তাকে চাই?”
“তুই বুঝাতে অক্ষম। যেদিন সত্যি সত্যি মেঘকে বুঝাতে পারবি তুই তাকে ভালোবাসিস, সেদিন তোর এত কথা বলার প্রয়োজন পড়বে না, তোর নীরব মনের ডাক মেঘ নিজেই বুঝে নিবে। সেদিন আর ফিরার পথে কোনো বাধাই থাকবে না। ততদিন চেষ্টা তোকে করতেই হবে। তবে উল্টোপথে!”
“মানে! উল্টোপথে কী করবো?”
“বুদ্ধু। তোকে সব শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে হবে দেখছি। এইটুকু বুদ্ধি নিয়ে আনিকাকে সামলেছিস কীভাবে?”
“ছাড়তো ওর কথা। এই আনিকার জন্য আজ সব হারাচ্ছে আমার।”
“দেবদাস!”
“মজা নিচ্ছিস। কিছু তো একটা ভাবতেই হবে।”
“তাহলে ভাব। আমি আসছি।”
আদনান আর দেরী করেনি। দ্রুত রওনা দেয় নিজের বাসায়। শ্রাবণ বসে বসে ভাবছে তখনও, আগের মেঘকে কীভাবে আবার তার রূপে ফিরিয়ে আনা যায়।
(২৪)
আজ নওরিনের গায়ে হলুদ। সকালবেলা থেকে নওরিনের একগাদা ফোন ম্যাসেজে বিরক্ত হয়ে বাধ্য হয়েই বিকেলের মধ্যে নওরিনদের বাসায় পৌঁছে গেছে মেঘ। আগামী দুদিন সেখানে থাকার প্ল্যান নিয়েই যেতে হয়েছে তাকে। এটা নওরিনের কড়া আদেশ। বিয়ের দিন পর্যন্ত বান্ধবীকে নিয়ে জমিয়ে কয়েকটা ঘণ্টা কাটাতে চায় সে। তাই মেঘ আর সেই ইচ্ছেতে বাধা দেয়নি। অনেকদিন প্রাণ খুলে হাসা হয় না। মনের জমানো কথাগুলো প্রকাশ করা হয় না। এবার অন্তত নওরিনের উপস্থিতিতে কিছুটা হলেও ভালো মুহূর্ত কাটবে। এই ভাবনাতেই সেখানে যেতে হলো তার।
ছাদে গায়ে হলুদের আয়োজন হবে সেজন্য সেই জায়গাটা পুরোপুরি প্রস্তুতের কাজ চলছে। নওরিন ড্রয়িংরুমেই ছিল। মেঘকে দেখে খুশিতে লাফ দিয়ে উঠে। অনেকদিন পর একে-অপরকে পেয়ে চোখের জলে ভাসছে। একদিকে মেঘকে আবারও ফিরে পাওয়ার কান্না অন্যদিকে নিজের অন্যত্র চলে যাওয়ার কান্না দুটোই নওরিনকে একেবারে ভেঙে দিয়েছে। মেঘ কোনোমতে নিজেকে সামলে নওরিনের বাবা-মাকে সালাম করে সোজা নওরিনের রুমে চলে এসেছে। বাসায় আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা আছেই। মেঘের অসুবিধা যেন না হয় সেজন্য নিজের রুমেই তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে নওরিন। এই কয়েকটা ঘণ্টা দুজনে একসাথে থাকুক, এতে যদি দু’বছর আলাদা থাকার কষ্টটা লাঘব হয়।
নওরিনের পুরো রুমটায় রঙিন ক্যানভাসে ভরপুর। ফুলফল, গাছপালা, পশুপাখি আর এক জায়গায় বিশাল সাইজের একটা ক্যানভাস আদনানের। মেঘ চারপাশে তাকিয়ে বলল,
“বাহ্, অনেক সুন্দর। তারপর বল, এখন তো অনেকদূর এগিয়ে গেছিস। কেমন লাগছে এই নতুন জগৎ?”
“মন্দ না। তবে তুই থাকলে আরও ভালো হতো। আবারও শুরু কর দেখবি ভালো কিছু হবে।”
“রঙতুলি হাতে নিলেই তো শ্রাবণকে সাজাতে মন চাইবে। সেটা তো আর সম্ভব না নওরিন। ও হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। খুব গোপনে আজও হৃদয়ে ওর ছবিটা টানিয়ে রেখেছি। অনেক চেষ্টায়ও সেটা মুছে ফেলতে পারিনি।”
নওরিন খেয়াল করলো মেঘ ইমোশনাল হয়ে পড়ছে। আজও তাহলে অনুভূতিরা জীবন্ত আছে মনের কুটোরে। ব্যাপারটা আদনানকে জানাতেই হবে। ওদেরকে আবারও এক করা প্রয়োজন। ওরা একে-অপরকে এতটা ভালোবেসেও আলাদা আলাদা কীভাবে থাকবে? মারা যাবে দুজন তবুও ভালোবাসা কমবে না। বুদ্ধি করে নওরিন চা-নাশতার কথা বলে মেঘকে একা ছেড়ে দিল।
নওরিনের রুম আর মেঘের রুমের খুব একটা পার্থক্য নেই। দুজনের রুমেই রঙতুলিতে ভরপুর। আজ হয়তো মেঘের রুম ফাঁকা কিন্তু নওরিন ঠিকই মাঝেমধ্যে রঙতুলি হাতে নেয়। মেঘ ধীরপায়ে স্ট্যান্ডের দিকে এগিয়ে গেল। ফ্লোর থেকে তুলে সেটাকে সোজা করে দাঁড় করালো। স্টাডি টেবিল থেকে সাদা কাগজ এনে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিল। অনেক ভাবতে ভাবতে উড়না দিয়ে দুটো চোখ বাঁধলো। অন্তত আর যাই হোক, শ্রাবণের চেহারাটা দু’চোখে না ভাসুক।
ধীরে ধীরে কাঠ পেন্সিলটা কাগজে স্পর্শ করালো মেঘ। হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালো মতো মাপ আন্দাজ করলো। এদিক-ওদিক হাতের মাপে পেন্সিল ছুঁয়ে অনেকদিন পর আবারও কিছু আঁকার চেষ্টা করলো। দীর্ঘ বিশ মিনিটের ঘষামাজার পর উড়নাটা চোখ থেকে টেনে সরালো মেঘ। সাদা ক্যানভাসে তখন স্কেচে আঁকা শ্রাবণের মুখটাই ফুটে উঠলো। দু’হাত দিয়ে আলতো করে স্পর্শ করলো সেই অধরা মুখটা। যেন খুব কাছ থেকে ছুঁয়ে দিচ্ছে সে শ্রাবণকে। আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না মেঘ। বহুদিন পর আবারও নিজের হাতে শ্রাবণকে আবিষ্কার করতে পেরে ডুকরে কেঁদে উঠলো। এই কান্নার মাঝে কতযে যন্ত্রণা লুকানো সেটা শুধু মেঘ নিজেই জানে।
হাতের ফোনটা তখনও হাতে আটকে গেল শ্রাবণের। ভিডিওকলে নওরিন আর আদনানের মুখে হাসি চোখে জল, একই সাথে মেঘের ক্যানভাসে নিজেকে পেয়ে সীমাহীন সুখ নিয়ে চোখের জল ফেলে স্তব্ধ হয়ে গেছে শ্রাবণ নিজেও। ফোনের স্ক্রিনে আঙুল ছোঁয়ালো শ্রাবণ। কতটা কষ্ট পাচ্ছে মেয়েটা তারজন্য। এত কষ্ট যে সহ্য করা যায় না। মেঘকে ফিরে পাওয়ার জন্য এই রাস্তাটাই ধরতে হবে তাকে। তার মেঘ যে আজও তাকেই ভালোবাসে। যতই মিথ্যে বলুক, আজ এই স্কেচটাই প্রমাণ করে, মেঘ এখনও নিজের অস্তিত্বে শ্রাবণকেই খুঁজে ফিরে।
চলবে…
(ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।)