#তবু_ফিরে_আসা,পর্ব : (১১)
লেখনীতে : তামান্না আক্তার তানু
(৩৩)
দু’তিনবার কলিংবেল বাজানোর পর দরজা খুলে দিল কেউ। মেঘ সোজা ভেতরে ঢুকেই আগে সালাম সেরে জড়িয়ে ধরলো তাকে। মেঘের মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বললেন,
“তুই বস, আমি নাশতা রেডি করছি।”
“বানিয়ে ফেলেছো এত জলদি?”
“হয়নি, মাত্র ময়দার ঢো তৈরি করলাম। তুই বরং ওনার সাথে আড্ডা দে।”
“উঁহু, চলো আজকের নাশতা আমি বানানো। চমকে যাবে সবাই।”
“সত্যিই বানাবি? প্রথমবার কিন্তু!”
“হ্যাঁ, বানাবো। এসো তুমি শিখিয়ে দিবে। তোমার নবাবজাদার ঘুম ভেঙেছে?”
“অনেক আগে। চা খেয়ে রুমে কীসব কাজ করছে।”
আর কথা বাড়ালো না মেঘ। দু’জনে মিলেই নাশতার আয়োজনটা কমপ্লিট করে ফেললেন। মেঘ এবার হাত-মুখ ধুয়ে নাশতাটা সাজাতে শুরু করলো। সবশেষে ওনাদের দু’জনকে বসিয়ে সোজা উপরে চলে গেল। একদম পা টিপে টিপে হাঁটছে মেঘ। ভুল করেও জুতার শব্দটা বাড়তে দিচ্ছে না। দরজার কাছাকাছি উঁকি মেরে ভেতরটা আগে দেখে নিল। সে একমনে ল্যাপটপে কটকট টাইপ করছে। বিছানার উপরে পুরনো সব ক্যানভাস রাখা। এই ছেলে দিনরাত কি এসব নিয়েই পড়ে থাকে? কী একটা অবস্থা!
মেঘ ভালো করে তার চেহারাটা লক্ষ্য করে দেখলো চোখদুটো সামান্য লাল। ঘুম কম হয়েছে? নাকি ঘুমোয়নি? সারারাত জেগে কাটিয়েছে তাহলে। কালকের রাগটা তাহলে বেশিই ছিল। হাসি আসলেও চেপে রাখলো মেঘ। নাজেহাল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে একদম৷ ধরতেও পারছে না, ছাড়তেও পারছে না। ভালোই তো ছিল এই মান-অভিমানের খেলা। চুপিচুপি দেয়াল ঘেঁষে ভেতরে প্রবেশ করলো মেঘ। আলতোভাবে পিছনে দাঁড়িয়ে চেপে ধরলো দু’চোখ। চমকে গেছে মানুষটা। সাজ সকালে এমন ফাজলামি কে করছে তার সাথে? মা? এটা তো মায়ের স্পর্শ না। পুতুল এসেছে? ওর তো আসার কথা না। তবে কি আনিকা? না তো, এটা আনিকার স্পর্শও না। যেভাবে কাল আনিকাকে শাসিয়েছে তারপর আর এখানে আসার সাহস করবে না মেয়েটা।
প্রাক্তনের বিরহে কেউ স্বামীকে ডিভোর্স দেয়! মারাত্মক লেভেলের খারাপ এই মেয়ে। অতিষ্ঠ হয়ে যাবে শ্রাবণ এর পাল্লায় পা দিলে। কখনও না, কোনোদিনও না। ভুল সে একবারই করেছে। আর করবে না। আনিকাকে আর ফিরে আসার চান্সই দেয়া যায় না। তবে এত সকালে কে এলো? শ্রাবণ কেঁপে কেঁপে বলল,
“কে আপনি? এটা কোন ধরনের ফাজলামি?”
মেঘ কোনো জবাব দিল না। ঠোঁট চেপে হাসি আটকালো আবারও। শ্রাবণ বিড়বিড় করলো,
“কী ছেলেমানুষী এটা? কে আপনি পরিচয় দিচ্ছেন না কেন?”
মেঘ তখনও চুপ। ল্যাপটপ থেকে হাত সরিয়ে ধীরে ধীরে চোখে হাত দেয়ার চেষ্টা করলো শ্রাবণ। সোজা মেঘের হাতে লাগলো সেই স্পর্শ। জিবে কামড় দিয়ে মেঘ বিড়বিড় করছে,
“ধ্যাৎ…! এই ছেলে জীবনেও আমাকে বুঝবে না।”
অভিমানে মেঘ হাত সরিয়ে নিতেই শ্রাবণ হাতটা চেপে ধরে বলল,
“মেঘ! এটা কি সত্যিই তুমি? নাকি আমার অদেখা কোনো স্বপ্ন?”
চমকে গেল মেঘ। তার মানে শ্রাবণ তার স্পর্শ চিনতে পারছে। এটাই তো চেয়েছিল মেঘ। কিন্তু খুশি হওয়ার বদলে মুখটা কেমন গম্ভীর হয়ে গেল তার। চট করে হাত ছাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ালো মেঘ। শ্রাবণও পুরো স্তব্ধ। এত সকালে মেঘ! তাও তার বাড়িতে। বিস্ময়ে চোখের পলক ফেলতে ভুলে গেছে সে। মেঘের হাতটা ধরে রেখে সোজা হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“আজ, হঠাৎ। বিয়ের দাওয়াত দিতে এসেছো নিশ্চয়ই। আরে মন খারাপ কেন, তুমি দাওয়াত দিলে আমি সে দাওয়াত গ্রহণ না করে থাকতে পারি বলো! কষ্ট হলেও যাব।”
“নাশতা রেডি। মা ডাকছে। খেতে এসো।”
(৩৪)
প্রায় দেড় বছর আগে…
সিডনী থেকে ঢাকা ফেরার প্রোগ্রাম করছিল মেঘ। ফ্লাইটের দু’দিন আগেই কথা হয় রেহানা মাহমুদের সাথে। শ্রাবণ যে মেঘের জন্য দেবদাস সেজে আছে সেটা সেদিনই মেঘকে জানিয়েছিলেন তিনি। মেঘের মায়ের হাতে দুদিন দুটো চড় খেয়েছে, বকা খেয়েছে অনেক, গালিও শুনতে কম শুনেনি, তবুও শ্রাবণ নির্লজ্জের মতো ও বাড়িতে যেত। কোনো বাহানা ছাড়াই যেত রোজ। যদি কেউ মেঘের কোনো খোঁজ তাকে জানায়। সে তো ক্ষমা চাইতেই চায়, অথচ মেঘ যে অধরা। ওত দূরে কীভাবে সে ছুঁয়ে দেখবে তাকে! তবুও শ্রাবণ বার বার চেষ্টা করেছে, আদনান-নওরিনের কাছে হেল্প চেয়েছে, সামি-ইরার সাথে যোগাযোগ করে মেঘের সাথে কথা বলার চেষ্টাটাও করেছিল তবুও মেঘ তাকে ধরা দেয়নি। ওইদিনের ফোনালাপ থেকেই সিদ্ধান্ত নেয়, ঢাকা না গিয়ে সিলেট যাবে। শ্রাবণ যে রিসোর্টে উঠে সেখানেই জব নিবে। মূল প্ল্যানটা মেঘ আর রেহানা মাহমুদের ছিল। যার ফলে বাকিরা কেউ কিচ্ছু টের পায়নি।
মেঘ দেশে ব্যাক করলো ঠিকই কিন্তু বাড়ি না গিয়ে সিলেট গেল। খালার বাসায় থেকে গ্রীন রিসোর্টে জবের জন্য চেষ্টা করতে লাগলো। প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর যেহেতু শ্রাবণ সেখানে যায়, মেঘও একটা সুযোগ পাবে কাছ থেকে শ্রাবণকে দেখার। খালামনি আর জয়ের সাহায্যেই গ্রীন রিসোর্টের চাকরিটা কনফার্ম হয় তার। ওখানে জয়েন হওয়ার কিছুদিন পরেই শ্রাবণ রিসোর্টে যায় ব্যবসার কাজে। ঘুরাঘুরি করে, ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং এ্যাটেন্ড করে তবুও দিনশেষে শ্রাবণের মাঝে উদাসীনতা ঠিকই থেকে যেত। সারাক্ষণ ভাবতো, বিড়বিড় করতো। সবকিছুই আড়ালে থেকে লক্ষ্য করছিল মেঘ, তবুও সে ভুল করেও সামনে যায়নি। আরেকটু সময় নেয়া তো যেতেই পারে। শ্রাবণকে ভালো করে বুঝতে হবে, সে সত্যি তাকে চায় কিনা!
নিজের জীবনের সমস্ত কথাই নীলাশা আর জয়ের সাথে শেয়ার করেছে মেঘ। সেই সুবাদে ওরাও শ্রাবণকে চিনে। তাই প্রতিবার রিসোর্টে গেলে শ্রাবণের যত্নের কোনো ত্রুটি রাখতো না মেঘ। আড়াল থেকেই শ্রাবণকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিয়েছিল যেন। অথচ শ্রাবণ পারুর বিরহে দেবদাস হয়েই বসে আছে। সে রিসোর্টে থাকলেও আশেপাশের প্রতি তার মনোযোগ খুব একটা থাকতো না, তাই চোখের সামনে মেঘ থাকা সত্ত্বেও থাকে দেখতে পায়নি সে। আর এই যন্ত্রণাটাই বার বার মেঘকে খুড়ে খুড়ে খেত। এত কাছে থেকেও শ্রাবণ মেঘের উপস্থিতি টের পায় না, তবে সে কীভাবে মানুষটাকে পুরোটা বুঝবে? অভিমান যেন শুধু বেড়েই যায় তার। সেই অভিমান থেকেই এই দূরত্বের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে।
রেহানা মাহমুদ নিজেও চাইছিলেন, শ্রাবণ সময় নিক। নিজেকে বুঝুক, মেঘকে বুঝুক। সেদিন যেভাবে ইরাকে অপমান করেছিল সেই অপমানে ইরা আর মেঘ যতটা কষ্ট পেয়েছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট তিনি পেয়েছিলেন। ছেলেটা এত পড়াশোনা করেও মানুষের মন বুঝার ক্ষমতা অর্জন করতে পারলো না, সেখানে কীভাবে একটা মেয়েকে ভালোবাসলো সে? এই একটা কথাই ওনাকে বার বার ভাবিয়েছে, যার ফলে মেঘকে নিয়েই তিনি মাঠে নেমেছিলেন। এই পুরো প্ল্যানটাতে রেহানা মাহমুদের হাতটাই বেশি। মেঘ তো তার কথামতো কাজ করে গেছে। অবশেষে তারা সফলও। মেঘের শূণ্যতা আর বিরহে কাতর শ্রাবণ একটা সময় মেঘকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। মিথ্যে পরিচয় জেনে যে কষ্টটা শ্রাবণ পেয়েছে, মেঘকে পুরোপুরি হারিয়ে তার থেকে বেশি কষ্টই সে পেয়েছে। মেঘের জন্য সব অনুভূতি তিনি টের পেয়েছিলেন। তাইতো এই সম্পর্কের গভীরতা আরও বাড়িয়ে তুলতেই যুদ্ধ ময়দানে নেমেছেন তিনি। ইচ্ছে করেই শ্রাবণকে বিয়ের কথা বলে ক্ষ্যাপাতেন আর শ্রাবণ তৎক্ষনাৎ জবাব দিত, তার শুধু মেঘকে চাই।
অনেকক্ষণ একটানা কথা বলে ছেলেকে পর্যবেক্ষণ করলেন রেহানা মাহমুদ। শ্রাবণ তো বিস্ময়ে থ বনে বসে আছে। বাবার দিকে তাকিয়ে বলল,
“তুমি কিছু জানতে না?”
আশরাফ মাহমুদ ঘাড় নাচিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে হাসলেন। সব তিনি নিজেও জানতেন শুধু কাউকে কিছু বুঝতে দেননি। অনেকক্ষণ ধরে কোনো জবাব খুঁজে পেল না শ্রাবণ। তাকিয়ে দেখলো, মেঘ মায়ের পিছনে দাঁড়িয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ লুকানোর চেষ্টা করছে। এই মুহূর্তে সে কী করবে? আসলেই কী করা উচিত? মানে তার মা যেখানে জড়িয়ে আছেন, সেখানে সে এতদিন…! দূর আর ভাবতেই পারলো না শ্রাবণ। নাশতা ফেলেই উঠে দাঁড়ালো। হাত ধুয়ে সবার দিকে এক নজর তাকিয়ে বলল,
“হয়েছে শান্তি? পুরো প্ল্যান তোমার, অথচ মাঝখানে রোশান আর আনিকা এসে বাঁধ সাজছে। সামলাও ওদের। আমাকে কিছু বলো না। আমি আজকেই সিলেট যাব৷ আর ফিরবো না।”
(৩৫)
বিছানায় বসে নিজের চুল টেনে বিড়বিড় করছে শ্রাবণ। মানে কী এর? সবাই মিলে তাকে বোকা বানিয়ে ছাড়ছে অথচ সে কিছুই টের পায়নি। মেঘ কি রেগে নেই তার উপর? তবে ওভাবে লুকিয়ে পড়লো কেন? বকা খাবে দেখে? হেসে ফেললো শ্রাবণ। বাইরে বের হতে গিয়েই আচমকা ফোনের রিংটোনে ফিরে এসে আনিকার নাম্বার দেখে চেহারাটা পালটে গেল তার। রাগ হচ্ছে এখন। এই মেয়েটা আবারও জ্বালাতে ফোন করেছে। ভারি নির্লজ্জ তো! ফোন রিসিভ না করে আনিকার নাম্বারটা ব্ল্যাক লিস্টে ফেলে দিল শ্রাবণ। মনে মনে ভাবলো,
“তুমিই ছিলে সত্যিকার ভালোবাসাকে চেনার পথে বিরাট একটা ভুল, আর তো দ্বিতীয়বার একই ভুল আমাকে দিয়ে হবে না আনিকা।”
বাইরে না গিয়ে ওয়ারড্রব খুলে কয়েকটা টি-শার্ট, প্যান্ট আর দরকারি জিনিস লাগেজে প্যাক করছে শ্রাবণ। তখন জোঁকের মাথায় বলে ফেলেছে সিলেট যাবে, আসলেই যাওয়া উচিত। কী ফালতু প্ল্যান! অথচ এই একটা কারণে সে একাই দুটো বছর কষ্ট পেয়েছে। সবাই মজা নিচ্ছে। এবার সে যাবে, আরও দুবছর কাটুক, তখন মেঘও বুঝবে বিরহ কাকে বলে!
দরজায় দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে শ্রাবণের এই পাগলামি দেখছিল মেঘ। ভেতরে এসে হাত থেকে শার্ট কেড়ে সেসব আবার জায়গামতো রাখতে রাখতে বলল,
“রাগ দেখিও না শ্রাবণ, আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি। সব মায়ের কথাতেই হয়েছে!”
ভ্রু কুঁচকে তাকালো শ্রাবণ। বেশ লক্ষ্য করছে। শ্রাবণের মাকেই সে মা বলছে। অথচ, কী রাগ দেখালো গতকালকেও! দিব্যি মাকে বশ করে ফেলেছে এই মেয়ে, অথচ তার ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে সবসময়। দ্রুত মেঘের হাত চেপে ধরে বলল,
“তাহলে রোশান কেন এসেছে এখানে? ভালোই তো চলছে দুজনের খুঁনসুটি। দিনরাত তাকে নিয়েই কাটছে। আমি কে? একটা ডাস্টবিনে থাকা উচ্ছিষ্ট! কীভাবে এত বাজে ব্যবহার করলে মেঘ?”
শ্রাবণের চোখদুটো রাগে লাল হয়ে গেছে। মেঘ ঠোঁট চেপে হাসার চেষ্টা করলো৷ রাগলে তো তাকে ভীষণ কিউট লাগে, আগে তো এটা লক্ষ্যই করেনি। এই ক’দিন রোশানের সাথে দেখে জেলাস ফিল হচ্ছে তার। এইজন্যই এমন এ্যাটেমবমের মতো আচরণ করছে। ক্ষীণ স্বরে জবাব দিল মেঘ,
“নিজেরও অভিমান ছিল, তাই। তুমি আমার স্পর্শ চিনতে পারো না, এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি কষ্টের ছিল। কী করবো, আমার তো কোনো দামই তোমার কাছে ছিল না। একটাদিন দেখাও করোনি। আবির কত কষ্ট দিয়েছে জানো? তোমার অবহেলাও মানতে পারিনি, তাই সামিকে বললাম, কখনও আর তোমার মুখোমুখি হবো না। ভুল আমি করেছিলাম, সেদিন যখন স্কেচগুলো তোমার হাতে তুলে দেই, ওইদিনই বলা উচিত ছিল আমিই মেঘ, কিন্তু কী হতো বলে? আনিকাকে রেখে তুমি আমাকে ভালোবাসতে বুঝি? রেস্টুরেন্টের অপমানটাও হজম করতে পারিনি, তাই রাত্রি সাজতে হলো। বিয়ের আগেরদিন তোমাকে সারপ্রাইজ দিব বলেছিলাম, সেদিন এটাই বলতে চেয়েছিলাম আমি রাত্রি নই, মেঘ। কিন্তু তোমার বাড়িতে যাওয়ার পর, তোমাকে কাছ থেকে দেখার পর আর সাহস হয়নি। বাধ্য হয়ে বিয়ের কার্ড দেয়ার অজুহাত তৈরী করি। সরি শ্রাবণ, মাফ করে দিও।”
শান্ত গলায় কথা বলে শ্রাবণের হাত সরিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল মেঘ। শ্রাবণের বাবা-মা ড্রয়িংরুমেই ছিলেন, ওনাদের থেকে বিদায় নিয়ে আর দেরী করেনি। দ্রুত বেরিয়ে পড়েছে সে। নিজের রুমে তখনও ঝিম মেরে দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবণ। ভেবে পাচ্ছে না সে, এত অভিমান মানুষ কীভাবে পোষে রাখে!
চলবে…
(ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।)