#তবু_ফিরে_আসা,পর্ব : (১২) অন্তিম পর্ব
লেখনীতে : তামান্না আক্তার তানু
(৩৬)
সবুজ গাছের ডালে একটা কাঠঠুকরা পাখি থেকে থেকে শুধু ঠুকরে যাচ্ছে। কটকট শব্দ আসছে সেখান থেকে। গত পাঁচ মিনিট ধরে পাখিটাকেই লক্ষ্য করছে সে। ঘড়ির দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখলো বিকাল চারটা বাজতে চলছে অথচ তার খবর নেই। পকেট থেকে ফোন বের করে কানে ঠেকালো শ্রাবণ। চারপাশে তাকিয়ে একটা জায়গায় স্থির হয়ে গেল তার চোখ। সবুজ ঘাসের বুক দিয়ে ধীরপায়ে তার দিকেই এগিয়ে আসছে মেঘ। ধবধবে সাদা রঙের ড্রেস তার পরনে। নেই কোনো সাজসজ্জা। একদম সাদামাটাভাবেই এসেছে আজ। তবুও কেমন যেন ঘোর লাগলো তার। ঘোলা চোখে তাকিয়ে রইলো মেঘের দিকে। হৃদয় ধুকপুক করে তার গতি জানান দিচ্ছে। শ্রাবণ বিড়বিড় করলো ফিরে আসা ভালোবাসা নামক কবিতার কয়েকটা লাইন,
“ভাবোদয় হৃদে যে যায় চলে,
সে আসে আবার ফিরে।
লক্ষিতে সে পড়েছে ধরা,
থেমেছে তাহার নীড়ে।
বাসার ভাল, আশার আলো,
ছিল যা তাহার মনে
সানাই বাজে সেই ভালবাসা,
বাড়ছে ক্ষণে ক্ষণে।”
সত্যিই তো তাই। আজ মেঘ ফিরছে, তাও তার চেনা গন্তব্যে। যে গন্তব্যটাকে একদিন অভিমানের আড়ালে ফেলে রেখেছিল, আজ সে এসেছে। ধরা দিতেই এসেছে। ব্রেঞ্চে বসে চোখের সামনে হাত নাড়লো মেঘ। শ্রাবণ হেসে ফোন কেটে বলল,
“মাত্রই তোমাকে কল করছিলাম, দেরী হচ্ছে দেখে।”
“খুব একটা দেরী হয়নি, মাত্র দশমিনিট।”
“কিন্তু আমি যে এখানে এসেছি আধাঘণ্টা আগে।”
“এত আগে আসতে তো বলিনি। তাহলে…?”
“প্রিয়জনের অপেক্ষা করতে ভালোই লাগে। এই অনুভূতিটাই আলাদা মেঘ। তাই…!”
মেঘ কী বলবে কিছু বুঝতে পারছে না। অনেকদিন পর দুজনে একসাথে, একটা আলাদা ভালো লাগা জড়িয়ে আছে আজ দুজনের মনে। তবুও মেঘ স্বাভাবিক হতে পারছে না। নিজের ভুলটাই তাকে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছে মনে। কীভাবে এগোনো উচিত ভেবে পাচ্ছে না সে। লেকের দিকে তাকিয়ে ইতস্তত করছে মেঘ। তবে এই মুহূর্তটা ভালো লাগছে তার। ভীষণ রকম ভালো লাগছে। মেঘ নিজেই নিজেকে লক্ষ্য করছে, সে আসলে লজ্জা পাচ্ছে। কোনোভাবেই শ্রাবণের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না। এদিকে আবার শ্রাবণও চুপ। সে নিজেও যেন কথা খুঁজছে। আসলেই কিছু বলার নেই তার, তবে কেন ডাক পাঠালো? মেঘ যে তার ডাকে সাড়া দিয়ে এতটা রাস্তা ছুটে আসলো, কী কথা শোনার অপেক্ষায়? মেঘকে চুপ দেখে শ্রাবণ নিজেই মুখ খুললো এবার। বলল,
“কিছু খাবে?”
“না। তখন ফোনে তুমি কিছু বলবে বলেছিলে, বলো।”
চোখ ঘুরিয়ে জানতে চাইলো সে,
“শুধু কি সেকথা শুনতেই এসেছো? কিছু বলতে আসোনি?”
“তুমিই বলো। আমার আর কী বলার আছে?”
“কিচ্ছু বলার নেই?”
“বলো না, কী বলবে।”
“সকালে ওভাবে চলে এলে। কিছু বলার সুযোগ দাওনি। তাই ভাবলাম, যেহেতু তুমি ক্ষমা চেয়েছো, তোমাকে ক্ষমা করা উচিত। তবে একটা শর্ত। যদি মানতে পারো, ক্ষমা করে দিব কাছেও টেনে নিব কিন্তু না মানলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। শর্তে রাজি?”
মেঘ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল,
“শাস্তিটা কী শুনি?”
দু’হাতে মেঘের মুখটা এবার তুলে ধরলো শ্রাবণ। মিনতিভরা কণ্ঠে বলল,
“ঠিক দু’বছর আগের মেঘকে চাই শুধু। যার হাতে থাকবে রঙতুলি আর রঙিন ক্যানভাসে আঁকা সুখ। সেখানে আমি না থাকি, কোনো আফসোস করবো না শুধু তুমি আগের মতো হও। আবারও সবকিছু শুরু করো মেঘ, কথা দিচ্ছি তোমার সব ইচ্ছে পূরণের পথে সঙ্গী হবো আমি, কখনও কোনো অবস্থাতে মাঝপথে পথ বেঁকে যাবে না আর। সবার জন্য, নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য, আবারও রঙ দিয়ে রঙিন ক্যানভাস সাজাতে শুরু করো তুমি। তোমার প্রতিভাকে প্রকাশ করার আরেকটা সুযোগ নাও। পারবে না?”
“চাইলেই কি আবারও সব শুরু করা সম্ভব?”
“সম্ভব। শুধু দরকার, সাহস আর মনোবল। আমি তোমার মনের জোর হতে চাই। আমায় একটা সুযোগ দাও মেঘ।”
মেঘ মাথা নাড়লো। তার দু’চোখে পানি। জল টলমল ওই দু’চোখ দিয়ে আবারও নতুন করে সবকিছু শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল মেঘ। খারাপ যা ঘটেছে তার দিন শেষ, এখন থেকে যা হবে সব ভালো হবে। হৃদয়ের গভীর থেকে হারিয়ে যাওয়া মানুষটা আবারও হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে, তাকে তো ফিরিয়ে দেয়ার শক্তি নেই মেঘের।
(৩৭)
ভিডিও কলের একপাশে শ্রাবণ আর মেঘ। অন্যপাশে আদনান নওরিন, চারজনের মুখেই হাসি। আদনান প্রথমে একটু অবাকই হয়েছে ওদের একসাথে দেখে। সব শুনে তো সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিল। মেঘের মারাত্মক প্ল্যানের কাছে তার আর নওরিনের প্ল্যানটা অতি তুচ্ছ। তবে মেঘ যা করেছে একদম ঠিক করেছে। ভালোবাসার মানুষকে আটকে রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করা যায়। প্রয়োজনে একটু বাঁকা হতেই হয়, তাতে ক্ষতি কী! হারিয়ে না গেলে বুঝবে কী করে, ভালোবাসার অনুভূতিটা কেমন! যাই হোক মানুষটা তো অবশেষে বুঝতে পেরেছে, তার মনের রাজ্যে কার বসতী!
কথা বলার এক পর্যায়ে মেঘ, ইরা আর সামিকে জয়েন করেছিল একসাথে। সামি তো ওদের একসাথে দেখে মারাত্মক চমকে গেছে। চোখ বড়ো বড়ো করে ফোনের স্ত্রিনের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কী ব্যাপার, তোমরা একসাথে এক জায়গায়? কী চলছে দু’জনের মাঝে? আমাদেরকে একটা খবর দিলে না, একা একাই পার্কে চলে এসেছো প্রেম করতে! ছিঃ মেঘ, এটা আশা করিনি তোমার থেকে।”
মেঘের মন খারাপ হয়ে যায় সামির কথা শোনে। আসলেই সবাইকে আগে জানানো উচিত ছিল। কী বোকার মতো কাজ হয়ে গেল! এতদিন ওরা কত চেষ্টা করেছে দুজনকে এক করবে বলে, অথচ তাদের সমস্যা সমাধানের পর তারা এদেরকেই ভুলে গেছে। মেঘ কিছু বলার আগেই দেখে ইরা ধুম করে সামির পিঠে কিল বসিয়ে দিয়েছে। কান টেনে ধরে চিৎকার করে বলছে,
“তোমার সাহস তো কম না, আমার সামনে আমার বোনকে লজ্জা দিচ্ছো। প্রতিশোধ নিচ্ছি মেঘ, দেখে যা শুধু।”
এরপর শুরু হলো সামির উপর নির্যাতন। বেচারা কিছু বলতেও পারছে না। ইরা নামক ঘুর্ণিঝড়ের কাছে সে এখন ভেঙে ভেসে যাওয়া একটা খড়কুটোর ঘর। যেভাবে পারছে মারছে, গাল টানছে, কান টানছে, চুল ছিঁড়লেও তবু তার প্রতিশোধ কমছে না। ওদের এই খুঁনসুটি দেখে বাকিরা হেসে কুটিকুটি। শ্রাবণ মেঘের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,
“এই মুহূর্তে নীলাশা, জয় আর রোশানকে জয়েন দেয়া যায় না? সবাই একসাথে?”
“রোশান! তোমার আবার জেলাস হবে না তো?”
“দূর, কীসের জেলাসি? আমি তোমার মতো হিংসুটে নই মেঘ।”
“সেটা জানা হয়ে গেছে।”
ওদিকে সামি মার খেতে খেতে শ্রাবণকে বলছে,
“ভাই আপনি সিঙ্গেল আছেন ভালো আছেন। বিয়ে করে ঝামেলা বাড়াবেন না। দেখেন কী তুফান যাচ্ছে! এই যদি হয় বিয়ের পরবর্তী দৃশ্য, তবে বিয়ে করার আগেই নিজেকে বাঁচানো উচিত। মেঘকে আবার ছ্যাঁকা দিয়ে পালান ভাই। একবোন আমাকে মারছে, আরেক বোন আপনাকে মারবে! উফফ মাগোওওও!”
সামির কথা শেষ হওয়ার আগেই ইরা আবারও ধুমধাম কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করলো। নীলাশা, জয় আর রোশান ততক্ষণে কলে জয়েন করেছে। ওদের এই অবস্থা দেখে সবাই খিলখিলিয়ে হাসছে।
সবাই মিলে বেশ খানিকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর শ্রাবণ সবাইকে বিয়ের বিষয়টা ক্লিয়ার করলো। আগামী সপ্তাহেই তাদের বিয়ে, সেখানে সবার উপস্থিতি চায় সে। যদিও ইরা আর সামির পক্ষে আসা সম্ভব না, তবে ভিডিওকলে সব মুহূর্তের সাক্ষী তো হতে পারবে ওরা তাতেই খুশি। শ্রাবণ এবার জয়কে বলল,
“হানিমুনের সব ব্যবস্থা কিন্তু তোমাকে করতে হবে। আমরা গ্রীন রিসোর্টেই উঠবো।”
জয় অবাক হয়ে বলল,
“আরেহ্, এত সুন্দর সুন্দর জায়গা থাকতে তোমরা সিলেটেই কেন আসবে?”
শ্রাবণ হেসে মেঘের দিকে তাকিয়ে বলল,
“হারিয়ে যাওয়া মানুষটাকে ওখানেই খুঁজে পেয়েছিলাম কিনা। তাই নতুন জীবনের সূচনা ওখান থেকেই হোক।”
“ওকে, আমি সব ঠিকঠাক করে রাখবো।”
এবার রোশান ওদেরকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“তোমরা তো বিয়ে করে নিবে, আমার তাহলে কী হবে?”
নওরিন হেসে বলল,
“ভাইয়া এভাবে বললে তোমার ফিয়্যান্সি কিন্তু রেগে যাবে! তোমার যেজন্য আসা সেটা তো হয়েই গেল। তুমি এসেছো বলেই কিন্তু, শ্রাবণ ভাইয়া হিংসে চেপে রাখতে না পেরে বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।”
মেঘ দাঁত কটমট করে বলল,
“তাহলে এজন্যই রোশানকে আনা হয়েছে?”
আদনান আর নওরিন ‘ইয়েস’ বলে হাতে হাত মিলালো। শ্রাবণ মেঘের আঙুলের ফাঁকে নিজের আঙুল ঢুকিয়ে বলল,
“এবার ফোন রাখি, তার আগে একটা কথা একসাথেই বলি সবাই।”
মেঘের হাত আর তার হাতটা ক্যামেরার সামনে তুলে ধরলো। বাকিরাও তাদের সঙ্গীর হাতটা ধরলো তৎক্ষনাৎ। জয় তখনই নীলাশার হাত ধরে বলল,
“ভালোবাসা তো হয়েই গেছে, এখন শুধু ঘর বাঁধা বাকি!”
নীলাশা অবাক হয়ে তাকালো। জয় চোখ টিপে হাতটা শক্ত করে ধরলো। সবাই তখন এক সঙ্গে বলে উঠলো,
“জীবনের সকল যুদ্ধে আমরা একে-অপরের সঙ্গী হয়েই বাঁচবো। কেউ কাউকে ভুল বুঝবো না, কষ্ট দিব না এমনকি মিথ্যে বলবো না। সব পরিস্থিতিতে ভালোবেসে আগলে রাখবো নিজেদের ভালোবাসাকে।”
রোশান সবার হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল,
“ভালো থেকো তোমরা। চিরদিন এভাবে হাসিখুশি থেকো।”
(৩৮)
লেকের পাড় ঘেঁষে ফুটে উঠা অসংখ্য শাপলা ফুলেরা নিজেদের রূপকে মেলে ধরেছে স্থির পানির মাঝে। মেঘ সেদিকে তাকিয়ে উপভোগ করছে সেই সৌন্দর্য। দশ মিনিটের কথা বলে মেঘকে পার্কে বসিয়ে রেখে শ্রাবণ গাড়ির কাছে গেছে কিছু দরকারি জিনিস আনতে। মেঘ জিজ্ঞেস করেছিল কী, শ্রাবণ কোনো জবাব দেয়নি। শুধু বলেছে অপেক্ষা করতে। প্রায় পনেরো মিনিট পর শ্রাবণ দরকারি জিনিস এনে ঘাসের উপর রাখলো। মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখলো একমনে সে লেকে থাকা ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে। স্ট্যান্ডটা রেখে অনেকগুলো রঙ আর কাগজ এবার তুলে দিল মেঘের তাকে। তারপর বলল,
“ওয়েট করো, এক্ষুণি নিয়ে আসছি।”
জুতো খুলে প্যান্ট সামান্য উপরে তুলে লেকের পানিতে পা ডুবালো শ্রাবণ। সামান্য ঝুঁকে গেল পানির দিকে। হাত বাড়িয়ে পাপড়ি মেলে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটা শাপলা ফুল হাতে তুলে নিল। এদিকে মেঘ রঙতুলি পেয়ে সব ভুলে লেকের চারপাশে থাকা সবুজের মনোরম ওই দৃশ্যগুলো ক্যানভাসে আঁকতে শুরু করলো। খোলা আকাশের বুক ছিঁড়ে উড়ছে একঝাঁক পাখি। সেই দৃশ্যটাও আজ মেঘের রঙতুলিতে উঠে এসেছে। একটা সময় শ্রাবণ ফুল নিয়ে এসে হাঁটু ভাঁজ করে বসে ফুলগুলো মেঘের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলল,
“এইযে আমার সাতরঙা রঙে আঁকা রংধনুর রানী, আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি। সারাজীবন থেকো আমার জীবনে, রাঙিয়ে দিও জীবন যেভাবে ক্যানভাসে করো রঙের ছড়াছড়ি। আমি চাই, সাদা কাগজে থাকা রঙগুলোর মতো তোমার জীবনে মিশে থাকতে, গ্রহণ করে ধন্য করো আমায়।”
মেঘ হেসে ফেললো। এভাবে কেউ কাউকে প্রপোজ করে? রঙের ট্রেটা রেখে হাতে সামান্য রঙ মেখে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রাবণের গালে সেই রঙ লেপটে দিয়ে বলল,
“নাও, দিলাম রঙ দিয়ে রাঙিয়ে। মুছে ফেলো না আবার।”
তারপর হাত থেকে ফুলগুলো নিয়ে ক্যানভাসের দিকে ইশারা দিয়ে তাকাতে বললো। শ্রাবণ সেদিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ পুরোটা। হাতে শাপলা ফুল নিয়ে একটা ছেলে একটা মেয়েকে প্রপোজ করছে। ছেলেটা শ্রাবণ নিজে আর মেয়েটা অন্য কেউ না মেঘ নিজেকেই এঁকেছে আজ তার রঙের ভুবনে। অদ্ভুত সুখে বিমোহিত শ্রাবণ হাত বাড়িয়ে মেঘকে কাছে টেনে আনলো। মেঘ তার কাঁধে মাথা রেখে বলল,
“তবু ফিরে আসা হলো। অবশেষে আমরা আবারও একসাথে। এভাবেই থাকবো, সারাজীবন।”
দু’চোখ বন্ধ করলো মেঘ। দিনটা সুখকর, একদম স্বপ্নের মতো সুন্দর। হৃদপিণ্ডে ধুকপুকুনির সাথে মন পাড়ায় বইছে সুখের তুফান। জীবন সুন্দর, আসলেই সুন্দর। সাদা কাগজে লেপটে থাকা হাজারও রঙের ক্যানভাসের মতো জীবন সুন্দর। ভালোবাসা থাকলে জীবন তো কখনও অসুন্দর হয় না। এভাবেই তাকে আগলে রাখার দায়িত্ব নিয়ে সুখী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হয়। আবারও হোক বেঁচে থাকার জন্য ভালোবাসা! হোক সুখে দুঃখে ভরসা হয়ে পাশে থাকার জন্যই ভালোবাসা!
সমাপ্ত…
(ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো। গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি। অবশেষে ক্যানভাস গল্পের এই সিজনটা শেষ হলো। এবার নিশ্চয়ই আর পাঠকরা হতাশ হবেন না। সবার জন্য শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইলো, এতদিন পাশে থেকে সাপোর্ট করে আমার অনুপ্রেরণা হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।)