তুমিময়_অসুখ
পর্ব-১৪
#লেখিকা-ইশরাত জাহান ফারিয়া
২৯.
—“অভ্র ও-ই কি ইরাম?”
—“হুম।”
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখি অভ্র ভাইয়ার পাশে সেসময় যে মেয়েটা বসে ছিলো ওই মেয়েটা। আমি বিস্ময় নিয়ে তাকাতেই মেয়েটি আমাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘ভালো আছো?’
আমি ইতস্তত করে বললাম, ‘জ্বি আপু, আমি ভালো। আপনি?’
মেয়েটি মুচকি হেসে বললো, ‘আমিও ভালো। তুমি আসলেই অনেক কিউট! অভ্র সত্যিই বলতো।’
আমি বললাম, ‘মানে?’
মেয়েটি কিছু বলতে যাবার আগেই অভ্র ভাইয়া কফিতে চুমুক দেয়ারত অবস্থায় ওনাকে থামিয়ে দিলেন। বললেন, ‘রিম, তুই যা। অন্য একদিন আলাপ করিস ওর সাথে। ইরামের নাকি পেট ব্যথা করছে, আমরা বাসায় যাচ্ছি। প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড!’
রিম নামের মেয়েটা অভ্র ভাইয়ার পিঠ চাপড়ে হাসতে হাসতে বললো, ‘হুম আসছিস ঢং করতে। আমার সাথে এতো ফর্মালিটি করতে হবে না। তুই যদি আমাকে এখন গাড়িতে তুলে কিডন্যাপড ও করিস তাহলেও আমি অবাক হবোনা। আর তুই আসছিস ফর্মাল হইতে? আমি বুঝতে পারছি প্রবলেমটা। আচ্ছা আসি!’
তারপর আমাকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে রিম আপু বললো, ‘ইরাম আমি হলাম রিমঝিম রিম। অভ্রের’ বান্ধবী। আজ দেখা করতে এসেছিলাম, তোমার যা গুণগান গায় তোমার হাজব্যান্ড! তোমাকে খুব ভালোবাসে।’
—“আপনি আমাকে চিনলেন কিভাবে?”
—“তোমার ছবি দেখেছি অভ্র’র মোবাইলে!’
—“ওহহ!”
—“আচ্ছা আসি, আবার কোনোদিন দেখা হবে!”
রিম আপু চলে যাওয়ার পর আমি ভাবলাম, অভ্র আমার ছবি পেলো কোথায়? আমিতো নিজের ফোনেই ছবি তুলিনা, তাও আবার অভ্র ভাইয়ার মোবাইলে? ইম্পসিবল!
আমাকে ভাবনায় মগ্ন দেখে অধরা চাউমিন কাঁটা চামচে জড়াতে জড়াতে বললো, ‘তোর কি বেশি খারাপ লাগছে?’
—“নাহ!”
অধরা অভ্র ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ভাইয়া আমার মনে হয় ওর শরীর খারাপ লাগছে। আপনি ওকে বাসায় নিয়ে যান।
অভ্র ভাইয়া খাওয়া থামিয়ে হুট করে ওঠে দাঁড়িয়ে আমাকে বললেন, ‘চল!’
আমি অবাকের সপ্তাকাশে পৌঁছে বললাম, ‘চল মানে? কোথায় চল?’
অভ্র ভাইয়া বিরক্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘বিয়ে করতে চল!’
—“কিসব আবোল-তাবোল কথা!”
—“তুই তো শান্তিতে দু’দন্ড খেতেও দিবিনা। এখন বাসায় চল। বাসায় গেলেই তোর মহান পেটব্যথা পালাবে!”
অধরাও ছিঁচকাদুনের মতো কান্নাভেজা কন্ঠে বললো, ‘ভেবেছিলাম দুজন মিলে মজা করে সন্ধ্যাটা কাটাবো! কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো, তোর এই সময়েই পেটব্যথা উঠলো! এখন বাসায় ফিরে যা, অন্যদিন ট্রিট নিস আমার থেকে।’
আমার কাছে অধরাকে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা এবং বিরক্তিকর প্রাণী বলে মনে হচ্ছে। এ কোন ধাতু দিয়ে তৈরি কে জানে! অভ্র ভাইয়া যেখানে আমার জীবন তেজপাতাও হয় সেখানে। কিন্তু আমি যে অসুস্থ না সেটা ওনাকে বুঝতে দিলে হবেনা। তাই কিছু না বলে অসুস্থ পেশেন্ট এর ভং ধরে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালাম। আর ফিরতে হলো সেই অভ্র ভাইয়ার সাথেই। ওনি গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। আমি সাতপাঁচ না ভেবে ওনার সাথে ফিরলাম। বাসায় পৌঁছার আগ পর্যন্ত ওনার সাথে ‘টু’ শব্দটা পর্যন্ত হয়নি।
৩০.
দিনগুলো যে কিভাবে কেটে যায় বোঝা দায়! ‘ভালো থাকা’ জিনিসটা আমার ক্ষেত্রে খুব কমই হয়। ‘মুড সুইং’ যখন হয় তখন দুনিয়ার সবকিছু এমনকি নিজের কাছের মানুষগুলোকেও আমার সহ্য হয়না। অভ্র ভাইয়া আমার পড়াশোনায় যথেষ্ট হেল্প করেছেন লাস্ট কয়েকটা দিন। কিন্তু পরীক্ষার টেনশনে আমার মনে হচ্ছে আমি বুঝি এবার ফেইল করবো। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর জিনিসের একটা হলো এক্সাম। আর সেই এক্সামের প্রথম দিনটা হলো সবচেয়ে ভয়ংকর। দুরুদুরু বুক নিয়ে এক্সাম হলে ঢুকে গিয়েছি। টেনশনে মাথা ঘুরছে, গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রেসার বোধহয় ‘হাই’ হয়ে গিয়েছে, মাথা প্রচন্ড গরম।
আমাকে নিয়ে এসেছে আম্মু আর ভাইয়া। অভ্র বেত্তমিজ কাল রাতের পর আর একবারও আসেনি বা আম্মুর মোবাইলে ফোন দিয়ে আমার খোঁজ নেয়নি। এ নাকি আমার বর, আমাকে নাকি ভালোবাসে। এই জীবন-মরণ সমস্যার মাঝখানে ওনাকে সবচেয়ে নিষ্ঠুর মনে হচ্ছে। নিজের বউয়ের পরীক্ষা বলে কথা, দুনিয়া উল্টে গেলেও ওনার আসাটা বাধ্যতামূলক ছিলো। কিন্তু আমার চিন্তাভাবনা আর মনকে টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে দিয়ে ওনি বাসায় পড়ে পড়ে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে। আর এ খবর মামানি নিজেই ফোন করে জানিয়েছেন।
অধরা আর আমি এক রুমেই সিট পেয়েছি। তবে আমি সামনে আর ও পেছনে। যাইহোক, মনে মনে আয়াতুল কুরসি পড়ছি চোখ বন্ধ করে। আর হঠাৎ করে অভ্র ভাইয়ার হাসিমাখা চেহারা ভেসে উঠলো। ওনার বকাঝকা মনে করে হেসে ফেললাম। এক্সামের ভয় কিছুটা কমলো। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে দুরুদুরু মনে এক্সাম দিচ্ছি। টাকমাথা দুজন স্যার পাহারাদারের মতো টহল দিচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তটা আমি পার করছি।
৩১.
যখন এক্সামের রেজাল্ট আউট হলো তখনো আমি মনে মনে ভাবছি যে আমার হয়তো চান্স হয়নি, যদিও পরীক্ষা মোটামুটি দিয়েছিলাম। দরজা বন্ধ করে বসে ছিলাম আর এসব আকাশপাতাল ভাবছিলাম। সেসময় দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দেওয়ার শব্দে আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম যে, ‘আম্মু নির্ঘাত ঝাড়ু নিয়ে আমায় ‘উরুমধুরুম’ মারতে এসেছে।’ এই ভাবনা নিয়ে নাকের আর চোখের পানি মুছতে মুছতে দরজা খুলে রেডি হলাম আম্মুর ঝাড়ুর বারি খাবার জন্য।
কিন্তু তা আর হলোনা। দরজা খুলতেই কে যেন আমাকে শূন্যে তুলে নিলো। আমি ভয়ে এক চিৎকার দিতেই কে যেন আমার মুখ চেপে ধরলো। কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললো, ‘তুই আমাকে কি সারপ্রাইজড করলি বাতাসী বউ!’
আমি বুঝলাম এটা অভ্র ভাইয়া। এবার আমার জানে পানি এলো। আমি ভাবছি ওনাকে আমি কিভাবে সারপ্রাইজড করলাম! আমি বিরক্ত এবং বিস্মিত হয়ে বললাম, ‘কি ক ক কি বলছেন আপনি? আমি আবার আপনাকে কিভাবে সারপ্রাইজড করলাম?’
অভ্র ভাইয়া আমাকে বিছানায় বসালেন। আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন। কপালে লেপ্টে আছে চুল, গালগুলো টমেটোর মতো লাল হয়ে আছে। বাইরে থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসে আমার চুলগুলো গড়িয়ে পড়লো ওনার মুখের ওপর। ওনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে হঠাৎ করে আমার চুল সরিয়ে হাসিখুশি কন্ঠে বললেন, ‘তুই চান্স পেয়ে গেছিস ইরাম! খুব ভালো মার্কস পেয়ে, ইভেন ভালো সাবজেক্টও পেয়েছিস!’
আমার তখন হাত-পা কাঁপছে। গলা দিয়ে আওয়াজও বেরুচ্ছেনা। সবচেয়ে বড় কথা আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা যে আমার পছন্দের ভার্সিটিতে চান্স হয়ে গিয়েছে! আমি খুশিতে প্রায় কেঁদেই দিলাম। ওনি ধমকে বললেন, ‘এই! তুই এভাবে ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদছিস কেন? তুই কি নকল করে পাস করেছিস ডাফার? না করে থাকলে চুপ কর। আর তোর এতো লাফানোর কিছু হয়নি, যেদিন একটা ভালো চাকরি পাবি সেদিন এসব ঢং করিস। আর এখন বরের মানে আমার সেবাযত্ন কর! কম তো আর খাটিনি তোর জন্য!’
ওনার গা জ্বালানো এসব কথা শুনে আমার ফুরফুরে মনটা নিমিষেই মিইয়ে গেলো।
ওনি আমাকে বললেন, ‘বরের সাথে প্রেম করার চান্সটা পেয়ে গেলি তো এবার!’
আমি মনে মনে হাজারো জল্পনা-কল্পনা করছিলাম। ওনার কথার উত্তর দিলাম না। বাইরের হিম বাতাস রুমের আনাচে-কানাচে একটা পবিত্র অনুভূতি ছড়িয়ে দিচ্ছিলো। বারান্দায় লাগানো ফুলের গাছ থেকে ভেসে আসা সুঘ্রাণ আর রোদেলা আকাশের কোণে ভেসে থাকা কালচে-নীল মেঘেরা যখন উড়ে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই আমার ঠোঁটে কারো ঠোঁটের ছোঁয়া পেলাম।
সমস্ত ইন্দ্রিয় যেন আচমকা কাজ করা বন্ধ করে দিলো। শিহরণ বইছে প্রতিটি শিরায় শিরায়। ভালোলাগার আবেশে আমার হৃদয় সচকিত হয়ে উঠলো। ‘ভালো লাগা’ আর ‘পবিত্র সম্পর্ক’ মিলেমিশে আবারও নতুন করে, নতুন ভাবে আমার অসুখটা ওনার অসুখের সাথে মিলে ‘ভালোবাসার মায়াজাল’ তৈরি করে দিলো। কি একটা মোহময় অনুভূতি!
৩২.
তারপর যখন ওনি আমাকে ছাড়লো, আমি সাথে সাথে ওঠে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। ভাগ্যিস দরজাটা লাগানো ছিলো, নয়তো আমাকে আর ওনাকে এই পরিস্থিতিতে দেখে কার কি রিয়েকশন হতো সেটা আমার মস্তিষ্ক চিন্তাও করতে পারছেনা। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার আর ওনার সামনে দাঁড়ানোর মতো মুখ নেই, লজ্জ্বায় মরে যাচ্ছি! ছাদে গিয়ে বসে রইলাম। এই মুহূর্তটাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার অদম্য চেষ্টা করতে ফুলের গাছগুলোতে পানি দিতে লাগলাম। কিন্তু হায়! এই ঐন্দ্রজালিক মুহূর্তটা মস্তিষ্ক সরাতে চাইলেও মন মুছতে পারছেনা। ইশ, কি ভয়ানক অসুস্থ মন আমার! নাহ, আজ ওনার সামনে গেলে আমি মরেই যাবো।
ইশ, কি পরিস্থিতি! ওনি কেন এটা করলেন? আমাকে লজ্জ্বায় ফেলায় জন্য আর কোনো ওয়ে পাননি? আমিতো ওনার সামনে গেলেই শেষ এখন! এখনো ঠোঁটে ওনার ছোঁয়া লেগে আছে।
৩৩.
ওনার থেকে যত দূরে দূরে থাকা যায় আমি সেভাবেই রইলাম। মানে পালিয়ে পালিয়ে রইলাম। আম্মুর রুমে ঘাপটি মেরে কম্বল নিয়ে শুয়ে রইলাম। কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার কারণে কেউ আর আমাকে বেশিক্ষণ পালিয়ে বাঁচতে দিলোনা। ভাইয়া আর আব্বু অফিস থেকে মিষ্টি নিয়ে বাসায় ফিরলেন, মামানি-মামা মানে অভ্র ভাইয়ার আব্বু-আম্মুও চলে এলো। বাসায় এক হুলস্থুল কান্ড! ইরাম এসে আমাকে টেনে সবার সামনে নিয়ে গেলো। ড্রইংরুমে গিয়ে দেখি সবার সাথে অভ্র’ ও বসে আছেন। আমি যেতেই ওনি আমাকে দেখে বাঁকা হাসলেন। আমিতো আড়চোখে দেখছি আর মনে মনে হাজার গালি দিচ্ছি। হে খোদা! আমি জীবনেও এতো লজ্জ্বা পাইনি, যতটা আজ পেয়েছি। অভ্র বেত্তমিজ সবার চোখের আড়ালে আমার দিকে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে মারলো! আমি এবার লজ্জ্বাশরম জাহান্নামে রেখে ওনার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বুঝিয়ে দিলাম ওনার খবর করবো।
পাশে তাকিয়ে দেখি ইলহাম আমাদের দুজনের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে। আমি ধমক দিতেই বললো, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায় আপ্পি! তোমরা এরকম ইশারায় কথা বলছো কেন?’
আমি আরেকটা ধমক দিয়ে ওকে চুপ করিয়ে দিলাম। সবাই কোলাহল করে কথা বলছে। আমি আর সেখানে না দাঁড়িয়ে রুমে চলে এলাম!
রাতেরবেলা! অভ্র ভাইয়া আজ আমাদের বাসায় থাকবেন। আমিতো লজ্জ্বায় আবারও মারা যাচ্ছি। কি না কি করে আমাকে না জানি আবার লজ্জ্বায় ফেলে! কিন্তু না, আমার ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে ওনি এলেন একটা সাংঘাতিক খবর নিয়ে।
রুমে এসে বিরক্ত কন্ঠে বললেন, ‘কাপড়চোপড় সব গুছিয়ে রাখ!’
আমি অবাক হওয়ার ভান করে বললাম, ‘কেন? আমি কি ওইবাসায় ফিরে যাচ্ছি?’
—“তো তুই তোর শ্বশুরবাড়ি ফিরবি এটা কি আবার জিজ্ঞেস করতে হয় ডাফার?’
—“আমি কি তা বলেছি? সবসময় উল্টো কথা বলেন কেন আজব!”
—“তুই আজব, তাই তোর বর’ও আজব!”
—“জানি জানি!”
—“বেশি জানলে চড় খাবি। আর কাল তুই তোর শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিস না।”
—“তাহলে?”
—“আমরা দাদুবাড়ি যাচ্ছি, মানে তোর নানুবাড়ি!”
—“হঠাৎ?”
—“আমি কি জানি? সব দাদু’মার কথা। কাল নাকি যেতেই হবে। না গেলে এমন যে, দাদুমা আর কোনোদিন শহরে ফিরবেনা। ওই গ্রামেই থেকে যাবে, চৌদ্দগোষ্ঠী নিয়ে যেতে বলেছে!”
আমি খুশি হওয়ার ভান করে বললাম, ‘খুব ভালো। আপনাকে জব্দ করা যাবে!’
ওনি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি বললি?’
আমি ততক্ষণে কম্বল জড়িয়ে বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ভং ধরেছি। ওনি কম্বলের নিচে আমার পাশে শুয়ে জড়িয়ে ধরে আমার গলায় নাক ঘষে বললেন, ‘খুব পাকনামি শিখেছিস দেখছি! এর শোধ কিভাবে নিবো দেখিস। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ!’
?’হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে।’
~ আবু দাউদ
চলবে….ইনশাআল্লাহ!