তুমিময়_অসুখ ২ পর্ব-৫

0
2710

তুমিময়_অসুখ ২ পর্ব-৫
#লেখনীতে-ইশরাত জাহান ফারিয়া

১০.
আমাদের সম্পর্কটা একটু একটু বন্ধুত্বের দিকে এগুতে লাগলো! এর মধ্যে কেটে গিয়েছে দেড়মাস। খুব বড় না হলেও অনেকটা সময় কাটিয়েছি ওনার সাথে। আমি এখন ওনাকে একটু একটু বুঝতে পারি, যেমন রাগী-জেদি ততোটাই আজব একটা মানুষ। প্রতিদিন আমাকে এসে ওনার বন্ধুবান্ধবদের কথা বলেন আর আমাকে সবকিছু শুনতে হয়। তবে মেয়েদের সঙ্গটা খুব কমে গিয়েছে, হাতেগোনা কয়েকটা ফ্রেন্ড আছে। তবে সম্পর্কটা শুধুই বন্ধুত্বের। যাইহোক, এটুকু পরিবর্তনেও বাসার সবাই খুশি। তবে বাপের টাকা উড়ানো আর বেপরোয়া স্বভাবটা বরাবরের মতোই আছে। সংসারে ওনার মন বসেনা কিছুতেই। ওনি আমার প্রতি কি অনুভব করেন সেটা আমি জানিনা। তবে আমার ওনার প্রতি ভালোলাগা কাজ করে এটুকু বুঝি।

দিদা একদিন বললেন, ‘কিরে ইরু! অভ্র’র মতিগতি পাল্টাচ্ছে একটু, তাইনা বল!’

‘ কি জানি।’

‘ সব তোর জন্যই রে!’

‘ আমি কিছুই করিনি, শুধু শুধুই বলছো।’

‘ আমার কি মনে হয় জানিস?’

‘ কি?’

‘ অভ্র তোকে ভালোবাসে। আর তাছাড়া নিজের বউ হয়, ভালো তো বাসবেই!’

আমি লজ্জ্বা পেলাম। বললাম, ‘মোটেও না।’

‘ দেখিস ক’দিন পর বউকে চোখে হারাবে। এবার সংসারে আর ব্যবসায় মনটা বসাতে পারলেই হলো।’

আমি মৃদু হাসলাম! ওনি আমাকে ভালোবাসে বা ক’দিন পর বউকে চোখে হারাবে কিনা এটা জানিনা। কিন্তু একদিন ওনি আমার কাছাকাছি এলেন। ভালোবেসে এসেছেন কিনা, জানিনা। একটা মানুষকে নিজের করে নিলে তো তাঁকে ভালোবেসেই নিজের করে, তাঁর মানে ওনিও আমাকে ভালোবাসে! ভালোবাসে মানুষটা আমাকে।

১১.
সময় বহমান, খুব তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়। প্রায় তিনমাস হয়েছে আমাদের বিয়ের। একটু একটু করে এখন সবকিছুই বুঝতে শিখেছি, ভালোবাসি লোকটাকে। কিন্তু ওনাকে দেখে মনে হয় এই সম্পর্কে ওনার কিছু দায়িত্ববোধ ছাড়া আর কিছুই করার নেই। এখন রাত! অভ্র ভাই সোফায় দুই ঠ্যাং তুলে শুয়ে আছেন, আর পরম সুখে টিভি দেখছেন। দেখে মনে হচ্ছে ওনার যেন কিছুতেই কিছু আসে যায়না। কিন্তু এভাবে তো চললে হবেনা। এতদিন কিছু বলিনি, ভেবেছি ঠিক হয়ে যাবেন। কিন্তু না, লোকটা তার আপনখেয়ালেই আছে। যেন পৃথিবী উল্টে গেলেও সে তাঁর জায়গা থেকে নড়বে না। আমি এতদিন এই লোকটার কথামতোই চলেছি, কিন্তু আর না। এতবড় ছেলে তাঁর বাপের টাকা উড়াবে সেটা আমি মানতে পারছিনা। এর একটা হ্যাস্তন্যাস্ত কর‍তেই হবে। যেই ভাবা সেই কাজ!

আমি অসীম সাহস যোগাড় করে প্রচন্ড রেগে ওনার কাছে গেলাম, টিভি আড়াল করে ওনার সামনে দাঁড়িয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। অভ্র ভাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো। আমাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?’

‘ ইচ্ছে।’

‘ সামনে থেকে সর, টিভি দেখতে দে।’

বলেই চিপস মুখে তুললেন। আমি সরলাম না। টিভি আড়াল করে দাঁড়িয়ে রইলাম। ওনি আবারও বললেন, ‘সামনে থেকে যাবি? নাকি থাপড়াইয়া দাঁত ফালাবো?’

আমি কিছু না বলে ওনার হাত থেকে চিপসের প্যাকেট নিয়ে সবগুলো মাটিতে ফেলে দিলাম। ওনি রেগে তাকালেন। বললেন, ‘কি হচ্ছেটা কি?’

‘ যা দেখছেন তাই!’

‘ মানে?’

‘ মানে আপনার সাথে এমনই হওয়া উচিত!’

‘ এমনই হওয়া উচিত মানে?’

‘ আপনার মতো অভদ্র, অকর্মা লোকের সাথে এটাই করা উচিৎ। সারাদিন বাবার টাকায় বসে বসে খাওয়া আর এক পল্টন গুন্ডা নিয়ে ঘুরা ছাড়া আপনার আর কাজ নেই?’

অভ্র ভাইয়া রেগে বললেন, ‘ তোর তাতে কি?’

‘ আমার কি মানে? আমি আপনার বউ! আর আপনি সারাদিন বউ ছেড়ে ফালতু কাজকর্ম করে বেড়াবেন সেটা আমি মেনে নেবো কেন? হুয়াই মিস্টার অভ্র?’

অভ্র ভাই বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘খুব বেশি কথা শিখেছিস দেখছি আজকাল। এখন কি তুই বলে দিবি আমি কি করবো আর করবো না?’

‘ অবশ্যই বলে দেবো এবং আপনাকে সেইমতোই চলতে হবে।’

‘ বেশি কথা আমি একদম পছন্দ করি না, আগের মতো চুপচাপ থাকতে হলে ভালো! নইলে ভালো হবেনা। সো স্টপ দিস ননসেন্স!’

‘ আগের মতো চুপচাপ আর থাকতে পারছিনা। আর কথা বলতে আমি সবসময়ই পারি, শুধু বলিনা বলে আমি বোকা, এমন ভেবে ভুল করবেন না! মেয়েরা যেমন চুপ থেকে সব সহ্য করতে পারে তেমনই শিক্ষাও দিতে পারে।’

‘ এখন কি তোর মতো পুচকির কাছ থেকে আমার শিক্ষা নিতে হবে?’

‘ বড় হয়ে যদি উচ্ছনে যান, তাহলে ছোটর কাছ থেকেই শিক্ষা নিতে হবে আর আপনি বাধ্য শিক্ষা নিতে।’

ওনি রেগে বললেন, ‘তুই আসলে কি চাস আমাকে বল!’

‘ আমি চাই আপনি ভালো হোন, ভালোভাবে চলুন। এসব বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গ থেকে সরে আসুন।’

এটুকু বলতেই ওনি কড়া চোখে তাকালেন। আমিও ভয়টয় বাদ দিয়ে বলতে লাগলাম, ‘বাবার সাথে কাজ করবেন, ওনাকে হেল্প করবেন। আপনার জন্য মামানি, দিদা কত চিন্তা করে অথচ আপনি কিছুই পাত্তা দেননা।’

১২.
‘ তোকে কে বলেছে আমি পাত্তা দিইনা? খুব বড় হয়ে গিয়েছিস দেখছি!’

‘ বড় হতে বাধ্য হয়েছি!’

‘ কে তোকে বাধ্য করেছে? আমি?’

‘ হুম। একটা মেয়ের স্বামী যখন আপনার মতো বেপরোয়া হয়, তখন তাকে না চাইতেও বড় হতে হয়। দায়িত্ব নিতে হয় সংসারের!’

‘ সংসার? কিসের সংসার?’

‘ আপনার আর আমার সংসার। আদৌ কি এর কোনো ভবিষ্যৎ আছে? বলুন!’

অভ্র ভাই একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাকালেন। তারপর সোফায় হেলান দিয়ে বসলেন। কাশি দিয়ে গলা ঝেড়ে বললেন, ‘শোন ইরাম, তোকে আজ একটা কথা বলি। তুই কান খুলে শোনে রাখ! এই যে, আম্মু – আব্বু আমার সাথে তোর বিয়ে দিয়েছে, সেটাতে তোর হয়তো কিছু আসে যায় বাট আমার কিছু আসে যায়না। আই ডোন্ট কেয়ার… আমার জীবন নিয়ে আমি খুব ভালো এবং সুখে আছি। বউ হিসেবে আছিস এটাই বেশি কিন্তু অধিকার ফলানোর অধিকার আমি তোকে দিইনি। আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউ…গট ইট?’

‘ বাট আই ওয়ান্ট ইউ..! ‘

‘ আই ডোন্ট কেয়ার!’

আমি হঠাৎ প্রচন্ড রেগে ওনার কলার চেপে ধরলাম। বললাম, ‘কি? আমাকে ভালো লাগেনা আর?’

অভ্র ভাই অবাক হয়ে বললেন, ‘কি বলছিস তুই?’

‘ সেদিনের পর থেকে আমকে আর ভালো লাগেনা? তাইনা?’

‘ মানে?’

‘ আমাকে ইউজ করে ফেলেছেন, এখন তো নতুন নতুন মেয়েদেরই ভালো লাগবে, তাইনা? এই ইরামের কোনো মূল্যই তো আপনার কাছে নেই!’

‘ তুই খুব ভালো করে জানিস আমি কেমন, সো লিমিটের মধ্যে কথা বল!’

‘ লিমিটের মধ্যেই তো বলছি! জানিতো কেমন আপনি!’

ওনি কপাল কুঁচকে রাগ নিয়ে তাকিয়ে রইলেন। আমি শক্ত করে কলার চেপে ধরে বললাম, ‘বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরতে খুব ভালো লাগে, তাই না? মেয়েরা শুধু আপনার ক’দিনের গার্লফ্রেন্ড বা বন্ধুই হয়, সেটা আমি জানি। বাট নিজের স্ত্রীকে আপনি তাদের কাতারে কেন ফেলে দিতে চাইছেন?’

‘ তুই কেন এরকম করছিস?’

‘ কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি!’

অভ্র ভাইয়া অবাক হয়ে তাকালো। নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে বললো, ‘ভালোবাসায় আমি বিশ্বাসী নই। সম্পর্কতে আমি বিলিভ করিনা, যেমন আছিস তেমনই থাক। আমি কাউকে ভালোবাসতে পারবোনা।’

‘ তাহলে সেদিন কি ছিলো? আমার কাছে কেন এসেছিলেন? ভালোবাসাহীন মানুষ আমিতো চাইনি, এটা কি আমার ভুল হয়েছে!’

‘ এটাই আমার অন্যায় হয়েছে। তোর কাছে আসাটাই আমার জীবনের অন্যতম ভুল, সেটাকে তুই ভালোবাসা ভেবে বসে আছিস। কিন্তু আদৌ এরকম কিছু নয়। এটা তোর বুঝার ভুল, আমিতো একবারও এরকম কিছু বলিনি। ইট’স ইউর প্রবলেম! তুই-ই প্রথম ছিলি ইরু, এর আগে অনেক মেয়েদের সাথে চললেও কারো গায়ে হাত দিইনি। শুধু তোর বেলায়ই ভুল হয়ে গেলো!’

আমার খুব কান্না পেলো। আমার ভুল ছিলো? সত্যিই? ওনি এতো সহজেই ব্যাপারটাকে মিটিয়ে দিতে চাইছেন? এতদিন চুপচাপ সবকিছু মেনে নিয়ে আমি ভুল করে ফেলেছি? আব্বুর কথাই তাহলে ঠিক? অভ্র ভাই কোনোদিন কাউকে ভালোবাসতে পারেনা, ঠিক। আমার খুব রাগ হলো। কলারটা ছেড়ে দিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে প্রচন্ড জোরে ওনাকে একটা থাপ্পড় মারলাম!

১৩.
অভ্র’ ভাইয়ের মতো পপুলার একজন মানুষকে থাপ্পড় দিয়ে আমি ইরাম বোধহয় একটু বেশিই দুঃসাহস দেখিয়ে ফেলেছি। ভালোবাসার মানুষটা যখন নিজের জীবন নিয়ে উদাসীন হয়ে পড়ে এবং শত চেষ্টা করেও সেই মানুষটাকে ওইখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেনা তখন একটু লিমিট ক্রস করতেই হয়। কিন্তু এটাতো করেই ফেললাম, এখন তো আর ফেরানো যাবেনা। আমি আগেই মতোই কাঁদছি! আমার কষ্টটা ওনি কেন বুঝতে পারছে না আমি জানিনা। নিজেকে খুব অসহায় আর দুর্বল লাগছে। পরক্ষনেই প্রচন্ড জোরে নিজের গালে থাপ্পড়ের আঘাত পড়লো। মনে হচ্ছে, গালটা জ্বলে যাচ্ছে। আমি ছলছল চোখে তাকালাম লোকটার দিকে, ওনাকে দেখে মনে হচ্ছে ভয়ংকর রেগে গিয়েছে। চোখমুখ রাগের কারণে লাল হয়ে আছে।
আজ ওনাকে বড্ড অচেনা লাগছে, আমি এতদিনে একবারও ওনার এই রুপটাকে দেখতে পাইনি। আমার গলা দিয়ে বের হয়ে এলো, ‘এটা আমার প্রাপ্য, তাইনা?’

অভ্র ভাই রেগে বললেন, ‘অবশ্যই প্রাপ্য। অভ্রে’র গায়ে হাত তোলার সাহস করলি, এটা ফেস করতেই হতো।’

‘ বাহ, খুব ভালো। নিজের বউয়ের গালে হাত তোলা,,, গ্রেট!’

‘ তুই নিজেও আমার গায়ে হাত তুলেছিস!’

‘ আমার হাত তোলা আর আপনার হাত তোলার মাঝে আকাশ-পাতাল ফারাক অভ্র ভাই। আমার মারার মধ্যে ছিলো অভিমান, অভিযোগ, ভালোবাসা। আপনারটাতে শুধুই ক্রোধ আর হিংস্রতা! বউ হই তো আপনার!’

‘ নিজেকে বারবার বউ বউ বলবি না।’

‘ ওহহ!! আমিতো আপনার কেউ না, শুধু আপনার বাড়িতে আছি, থাকছি। আশ্রিতা, তাই না?’

‘ যা ইচ্ছে ভাব!’

‘ হুম। আব্বু ঠিকই বলতো, আপনি আসলেই শোধরানোর লোক নন। নিজের বউকে যে টর্চার করে সে আবার কিসের মানুষ, কিসের স্বামী! আপনি কোনোটার যোগ্যই নন, ইভেন কোনোটাই না।’

‘ জানিসই তো আমি এমন। বিয়ে দিলো কেন আমার সাথে তোর, আমিতো খারাপ ছেলে।’

‘ ভুল করেছে সবাই।’

অভ্র ভাই ফোঁসফোঁস করে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। রাগে যেন ওনার শরীর ফেটে যাচ্ছে। বললাম, ‘ একদিন খুব করে আমাকে চাইবেন, তখন বুঝবেন কাউকে ভালোবাসলে কেমন লাগে। আই হোপ সেদিন কষ্ট কি সেটা বুঝবেন। আমাকে সেদিন নিজের পাশে পাবেন না। কোনোদিনও ক্ষমা করবোনা। আপনার কাছে ভালোবাসার দাবি নিয়েও আসবোনা। আমার কোনোকিছুই আপনার নয়। ইউ গট ইট মিস্টার অভ্র আহমেদ… গ..গট.ইট!!’

বলতে বলতে আমার চোখে সব অন্ধকার দেখতে পেলাম। মাথাটা ঘুরছে প্রচন্ড! একটু একটু করে হেলে পড়ে যেতে লাগলাম, শুধু শুনতে পেলাম একটা মানুষের গলা। আমাকে ধরে বলছে, ‘ইরাম, এই ,এই ইরু? কি হয়েছে তোর! চোখ খোল…প্লিজ চোখ খোল!’ এরপর আরকিছুই মনে নেই, ভয়ংকর নিঃস্তব্ধতার গ্রাস করলো আমার মন-মস্তিষ্ককে!

?”আল্লাহ্কে ভালোবাসুন, মন-প্রাণ উজাড় করে। বিশ্বাস করুন- ডিপ্রেশন, হতাশা, দুঃখ-বেদনা কখনই আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না। মিশরের সাইয়েদ কুতুব শহিদ (রাহ.)-এর জেলসঙ্গী ছিলেন মুহাম্মাদ ইউসুফ হাওয়াশ (রাহ.)। আল্লাহর ভালোবাসায় তাঁর মনটি ছিলো পরিপূর্ণ। শহিদ ড. আবদুল্লাহ আযযাম (রাহ.) তাঁর তাফসিরে সূরা তাওবাহ’য় (২য় খণ্ড) লিখেন, যালিম জামাল নাসেরের দোসররা যখন নিরপরাধ এই ইউসুফ হাওয়াশকে অতিমাত্রায় নির্যাতন করতো তখন তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতেনন, “এসব (নির্যাতন সহ্য করা) আপনার ভালোবাসার কারণে সহজ হয়ে যায়!” সুবহানাল্লাহ!
.
কীভাবে আল্লাহকে তীব্রভাবে ভালোবাসা যাবে?
.
তাঁর পরিচয় জানতে হবে, তাঁর গুণাবলী জানতে হবে, তাঁর সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে হবে, তাঁর কিতাব (কুরআন মাজিদ) অর্থসহ বুঝে বুঝে পড়তে হবে, তাঁর আনুগত্য করতে হবে এবং তাঁকে ভালোবাসার তাওফিক লাভের জন্য বেশি বেশি দু’আ করতে হবে। আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন :

যারা দন্ডায়মান, উপবেশন ও এলায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি বিষয়ে চিন্তা-গবেষনা করে এবং বলেঃ হে আমাদের রাব্ব! আপনি এসব বৃথা সৃষ্টি করেননি; আপনিই পবিত্রতম! অতএব আমাদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করুন!”

~ [ সূরা : আল-ইমরান, আয়াত – ১৯১]

চলবে….ইনশাআল্লাহ! ভুল-ত্রুটি মাফ করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here