তুমি অন্য ধর্মের,পর্ব-২
রোমান্টিক থ্রীলার
লেখক :শাহরিয়ার আবিদ
-দেখো আবিদ আজ আমাদের সম্পর্কের দুবছর পূর্ণ হলো। আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমিও আমাকে ভালোবাসো।(প্রিয়ন্তি)
-হুম তো।
-আমি তো তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। আমার কয়েকদিন পর পরীক্ষা শুরু। আর আমার বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে।আমার পরীক্ষার পর আমার বিয়ে। তুমি প্লিজ কিছু একটা কর। আর বাবাকে আমি তোমার কথা বলিনি কারণ তুমি এখনো নিজের পায়ে দাঁড়াও নি। তোমার পড়ালেখায় শেষ করোনি। আর তাছাড়া তুমি…
-তাছাড়া আমি কি?
-তুমি অন্য ধর্মের।
-….
(আবিদের হাত থেকে মোবাইলটি পরে যাই।মোবাইলটি তার অনেক শখের ছিল।কিন্তু তার মনে দাগ কাঁটে শেষের কথাটায় তুমি অন্য ধর্মের। আবির কিন্তু বিষয়টি লক্ষ্য করে। আবিদ হঠাৎ করে বসে পড়ে মেঝেতে। আবিদ এতক্ষন ঘোরের মধ্যে রয়েছে। সে তার সংবিৎ ফিরে পায়। সে আবার তার মোবাইল নিয়ে ফোন দিতে গিয়ে দেখে। তার মোবাইলের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গেছে যার ফলে কিছু দেখায় সম্ভব হচ্ছে না। আবির কে আবিদ এতক্ষনে লক্ষ্য করে।
– এটা হতে পারে না।(আবিদ)
– কি হতে পারে না।(আবির)
-প্রিয়ন্তির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
– আমি তো তোকেই আগে বলছিলাম। তখন তুই আমার কথায় পাত্তায় দেসনি। আর আজ দেখ?
-না এটা হতে পারে না।
-সব সম্ভব।
-না।
-এটাই বাস্তব।
আবিদ কান্নাই ভেঙ্গে পড়ে। তাকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আবির তাকে ফ্রেশ হয়ে আসতে বলে। আবিদ শেষে যাই। তখন আবির শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। আর সাথে একটা রহস্যময়ী হাসি দেয়। আবিদ আসলে তারা দুজনেই নাস্তা করতে বসে। কিন্তু আবিদ খেতে পারে নি।
আজ আবিদ ভার্সিটওতে যাইনি। এখন বসে আছে আর তার সম্পূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ভাবছে।
আবিরকে আজ অনেক খুশি দেখাচ্ছে। সে প্রিয়ন্তির কলেজে যাই। সেখানে সে প্রিয়ন্তির জন্য অপেক্ষা করে, তার হাতে কিছু ফুল। আজ সে বেশ খুশি। মনের আনন্দে কবিতা আবৃতি করছে,
এঁকেছি নিঁখুত এক ছক
আমি এই রাজ্যে করব রাজ,
তার মাঝে করব একজন ধুকপুক
আর আমি রুপি আমি হব ফাঁকিবাজ।
ওদিকে প্রিয়ন্তি ও অনেক হাসি খুশি মনে কলেজ থেকে বের হয়ে এসেছে। কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছে মনে হচ্ছে না সে যে প্রিয়ন্তি। কারণ প্রিয়ন্তি চুল তো সিল্কি ছিল। কিন্তু এখানে তো হাল্কা কোকরা চুল। তবে বাকি সব ঠিকঠাক আছে।
আবিদ তার মেসে থাকা একজনের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে প্রিয়ন্তিকে কল দেই।
-হ্যালো। (আবিদ)
-হুম বল।(প্রিয়ন্তি)
-তুমি কি আমার সাথে দেখা করতে পারবা।
-এখন না করলে হয় না।
– না।
-আচ্ছা। তাহলে তুমি আমাদের কলেজের সামনে রেস্টুরান্টে চলে আসো। আমি ওখানেই আছি।
-আচ্ছা আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি।
(আবিদ আবিরের বাইকটি নিয়ে যাই।আবিরের বাইক রয়েছে। আবির বড়লোক মা বাবার ছেলে। এখানে ভার্সিটিতে পড়ার সুবিধার্তে এখানে থাকে।)
আবিদ গেল দেখল প্রিয়ন্তি বসে আছে। আবিদ গেল। কিছু খাবার অর্ডার করল। আবিদ বলল
-এখন তোমার বাবা কি সিরিয়াস যে তোমাকে বিয়ে দিয়ে ফেলবে?(আবিদ)
-হুম।(প্রিয়ন্তি)
-তুমি কি রাজি সে বিয়েতে।
-হ্যাঁ রাজি না হওয়ার কি আছে।ছেলে ভালো ভালো জব করে হ্যান্ডসাম। খুলশীতে নিজস্ব বাড়ি আছে।ঢাকায়ও আছে আর কি লাগে?
-তাহলে কি আমাদের এতদিনের সম্পর্কটা কি মিথ্যে ছিল।
-মিথ্যে ছিল না। কিন্তু তোমার আমার সম্পর্কটা বাবা মেনে নিবে না। তোমার আমার ধর্ম কিন্তু ভিন্ন তাই।
(আবিদ ভালো করে থাকাল প্রিয়ন্তির দিকে তারপর তার ভ্রু কুঁচকালো)
-আরে তোমার ঠোঁটের নিচে তিলটা কই। আর চুল গুলো কোকরা কেন?
-আমার ঠোঁটের নিচে তিল ছিল না ওটা আমি নিজে থেকেই দিতাম। আর এখন চুল কার্লি করাটা স্টাইল।
-তুমি কি আরেকটি বার ভেবে দেখ আমাদের সম্পর্কের কথাটা।
– দেখ আমি আমার মা বাবার অবাধ্য হতে পারব না।
(বলেই প্রিয়ন্তি চলে গেল। আবিদ প্রিয়ন্তির চলে যাওয়া দেখল।)
আবিদ বাড়ি ফিরছে। কিন্তু বাইকটি হঠাৎ থেমে যাই। বুঝতে পারল তেল শেষ। তাই সে তেল পুরালো। তখন তা মন ভালো নেই তাই সে তার মন ভালো করার জন্য বলল একটু পার্ক থেকে ঘুরে আসি। যে বলা সে কাজ সে গেল। কিছুক্ষন গুরার পর সে থমকে দাঁড়াল। সে তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। তার মাথাটা ধরে এল।
চলবে
(আবিদ কি দেখেছে? প্রিয়ন্তি কি করতে চাইছে? আবিরের রহস্যময়ী হাসির কারণ কি? প্রিয়ন্তি কি সত্যি প্রিয়ন্তি তো?আবিরের কবিতার লাইনের মানেটা কি দাঁড়ায়?)
জটিল হচ্ছে প্যাঁচ। সামনে হয়ত ডিটেকটিভ কিছু পেতে পারেন। কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না।)