তুমি যদি চাও,পর্ব -২
রাজেশ্বরী দাস ( রাজী )
উনি আমার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললেন…..” অ্যান্ড ইউ…!! কী কী যেন বলছিলে আমাকে তুমি..!! অসভ্য…বাঁদর…আর কী যেন হ্যাঁ চোর ছেচর…!! লাইক সিরিয়াসলি..!! ”
তখন তার পাশে থাকা একটা ছেলে বলে উঠলো…
” তোমার সাহস তো কম না তুমি স্যারকে এইসব বলছো..!! তুমি জানো উনি কে আর এর ফল কী হতে পারে…!! স্যার….”
উনি আমার দিক থেকে চোখ না সরিয়েই হাত দিয়ে তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন…” ওয়েট , আমি কথা বলছি তো..!! তোমরা চুপ থাকো । ”
উনি আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে ভ্রু কুচকে বললেন…” তো কী যেন বলছিলে তুমি..!! ” আমি তার দিকে তাকিয়ে শুকনো একটা ঢোক গিললাম , বেশ বুঝতে পারছি অনেক বড় কোন একটা ভুল করে ফেলেছি হইতো সত্যিই রাগের মাথায় অনেক বেশি বলে ফেলেছি , যার ফল ভোগ আমাকেই করতে হবে । আমার এখন ভয় করলেও সেটা আমি অন্তত এই লোকটার সামনে প্রকাশ করতে চাইছি না তাই চুপচাপ তার দিকে তাকিয়ে আছি । উনি আমার দিকে এগিয়ে আসতে গেলেন তখনই ওনার ফোনটা বেজে উঠলো…, উনি সেটার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থেকে কিছু একটা ভেবে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন…. ” আজকে তুমি বেচেঁ গেলে তবে তোমাকে তো আমি এতো সহজে ছাড়ছি না । তোমাকে আমি পরে দেখে নেবো জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ । ” বলে উনি নিজের সানগ্লাসটা চোখে পড়ে আমার দিকে তাকিয়ে ডেভিলমারকা একটা বাঁকা হাসি দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন আর সাথে বাকি দুজনও সেখান থেকে চলে গেল ।
.
.
.
আমি আমার রুমে বিছানায় গালে হাত দিয়ে বসে সামনে তাকিয়ে আছি চুপচাপ আর সামনে সুরভি নিজের আঙুল কামড়াচ্ছে আর এদিক ওদিক করছে , ওকে এইমুহুর্তে দেখে মনে হচ্ছে এর জামাই বিয়ের আগেই অন্যকারোর সাথে ভেগে গেছে তাই এই অবস্থা । সুরভি এবার আমার সামনে ধপ করে বসে বলল…
সুরভি : বইন তুই ওইসব বলার জন্য আর কাউকে পেলি না…!! আরে আলতু ফালতু যা খুশি বলতে ইচ্ছে হলে আমাকেই যা খুশি বলতি তাও তো ভালো ছিলো কিন্তু তাকে কেন বলতে গেলি বল তো..!! এবার ঠিক কী যে হবে সেটা ভেবেই আমার প্রচণ্ড ভয় করছে..!!
আমি : এতো ভয় পাওয়ার কী আছে ??
সুরভি : তুই এমনভাব নিয়ে বসে আছিস যেন কিছুই হয়নি , এই তুই জানিস উনি কে ?? কাকে তুই ওইসব যা নয় তাই বলেছিস..!! বিজনেসম্যান মিস্টার সুব্রত চ্যাটার্জীর একমাত্র আদরের ছেলে উনি আর সব থেকে বড় কথা উনি নিজে হচ্ছেন সি.বি.আই অফিসার মিস্টার শুভ্রাংশু চ্যাটার্জী , ওনার বয়স এই ধর খুব বেশি হলে চব্বিশ হবে । আমি ওনাকে আগেও দেখেছি ঐতো আমার কাজিন দাদা আছে না অয়ন দা ওরা দুজন তো কলেজ থেকেই চেনে একেঅপরকে ওরা ওই নরমাল বন্ধু আরকি তাই শুনেছি তার মুখ থেকে অনেক কথাই এনার সম্পর্কে , তাছারা শুভ্রাংশুদাকে আমি দেখেছিও এক-দু বার অনেক আগে যখন তারা কলেজে পড়তো তখন । আরে সেই পাঁচ ছয় মাস আগে একটা বাচ্চাদের স্কুল কিছুজন সন্ত্রাসবাদী আটক করেছিল বম পর্যন্ত ফিট করেছিল স্কুলে তখন তো শুভ্রাংশুদা ছিলেন বলেই স্কুলে উপস্থিত বাচ্চা আর বাকি নিষ্পাপ মানুষগুলো বেচেঁ গেছিল এবং ওই সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল নিউজেও তো দেখিয়েছিল মনে নেই ??
আমি কথাটা শুনে গাল থেকে হাত সরিয়ে বিস্মিয়ের চরম পর্যায়ে গিয়ে হা করে সুরভির দিকে তাকিয়ে আছি ।
সুরভি : আর তাছাড়া উনি তো আমাদের কলেজ থেকেই তার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন । আমি দিদির মুখে তার নাম অনেক শুনেছি, পুরো কলেজের মেয়েদের ক্রাসবয় ছিলেন উনি , ইনফ্যাক্ট এখনও তো তাই বলতে গেলে উনি হচ্ছেন জাতির ক্রাস ছেলেরাও তাকে সম্মান করে আবার কলেজে উনিই টপ করতেন সবসময় তাই স্যার ম্যামদেরও খুব প্রিয় একজন স্টুডেন্ট উনি । আর বইন তুই কিনা শেষে তাকেই ওইসব বললি…!!! এবার ভাব তোর অবস্থা ঠিক কী হতে পারে…!!!
আমি : তো সুরসুরির বাচ্চা তুই এগুলো আমাকে আগে কেন বলিসনি ??
সুরভি : আরে আমি কী করবো ?? তুইই তো শুনলি না সেই সকাল থেকে এইসব বলারই তো চেষ্টা করছিলাম আর আমি থোড়াই জানতাম তুই তখন গিয়ে সোজা পরবি তো পরবি শেষে কিনা শুভ্রাংশুদার ওপরেই গিয়ে পরবি আবার তাকে ওইসব শুনিয়ে দিবি তাহলে তো আগেই বলে দিতাম । কালকে তো আমি বললাম আমার কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে কিন্তু মনে পড়ছে না পরে বাড়ি গিয়ে দিদির সাথে কথা বলতে গিয়ে আবার কথায় কথায় তার কথা উঠলো তখন আমার পুরো ব্যাপারটা মনে পড়লো আমি ভাবলাম আজকে বলে দেব তোকে কিন্তু তার আগেই তো এইসব কী থেকে কী হয়ে গেল । তোকে তো উনি শেষে হুমকিও দিয়ে গেছে , ভগবান জানে কী হবে এবার…!!
আমি ওর দিক থেকে চোখ সরিয়ে আবারও গালে হাত দিয়ে বসে রইলাম , সুরভি একটু চুপ বলল…..
সুরভি : সঙ্গু রে শোন না এখন শুধু একটা কাজই করা যেতে পারে যে তুই শুভ্রাংশু দাকে সরি বলে দে , দিদির মুখে শুনেছি এমনিতে তিনি খুব ভালো উদার মনের মানুষ তাই ক্ষমা চাইলে ঠিকই ক্ষমা করে করে দেবেন ।
আমি : আইছেন আমার উদার মানুষ , ভালো আর উদার মানুষ না আরো কিছু…!! যতসব অসভ্য ছেলে একটা আর আমি কেন সরি বলবো ??
সুরভি : এই বইন এমন করিস না , আরে বোঝ উনি চাইলে কিন্তু অনেক কিছুই করতে পারেন । সরি বলে দে , আর.. আব.. এমনিতেও এটা তো ঠিক আজকে দোষ তোরই ছিল ।
আমাদের কথার মাঝেই মা রুমে এলেন আমাদের জন্য কিছু হালকা স্ন্যাকস আর জুস নিয়ে , মা জুস আর স্ন্যাকসটা বিছানার পাশে থাকা সাইড টেবিলে রাখতে রাখতে বললেন…” কী নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে হুমম ?? ”
সুরভি মায়ের কথা শুনে কিছু বলতে গেলে আমি ওর এক হাত ধরে ওকে থামিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম…” পড়াশুনো… আরে মানে ঐতো সামনে তো আমাদের এক্সাম তাই সেটা নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল তাই না সুরভি ?? ”
সুরভি : হ…হ্যাঁ ওটা নিয়েই তো আমরা কথা বলছিলাম , কতো কিছু গন্ডগোল হয়ে আছে.. ।
মা : ( অবাক হয়ে ) কী…!! গন্ডগোল…!!
আমি : আব..আরে হ্যাঁ , ওই ওর আসলে অনেক ডাউটস আছে বিভিন্ন চ্যাপ্টারে আগে ঠিকভাবে ক্লিয়ার করেনি তাই এখন প্রবলেম হচ্ছে ওটার কথায় বলছিল ও ।
সুরভি : হ..হ্যাঁ হ্যাঁ ওটাই ।
মা : ওহ আচ্ছা ঠিক আছে , তোরা তবে কথা বল আর ওগুলো খেয়ে নিস আমি আসি আমার অনেক কাজ পরে আছে ।
বলে মা একবার আমাদের দিকে তাকিয়ে রুম থেকে চলে গেল । আর আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারও গালে হাত দিয়ে বসলাম , মাকে ওইসবকিছু জানাতে চাইনি কারণ মা এমনিতেই একটু কিছু নিয়েই অনেক বেশি চিন্তা করে একেবারে চিন্তার এক বিশাল পাহাড় মাথায় জড়ো করে ফ্যালে । এখন মা এইসব জানলে বাড়িতে সুনামির আসার মতো এক হুলস্থুলুস পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে । তার চেয়ে বরং থাক এই বিষয়টা না জানানোই শ্রেয় বলে আমার মনে হয় । কিছুসময় বাদে সুরভিও নিজের বাড়ি চলে গেল ।
.
.
অনেক ভেবে আমি ঠিক করলাম যে ওই ছেলের সামনে পড়লে অবশ্যই আমি তাকে আজকের জন্য সরি বলে দেবো , কারণ একটু হলেও আজকে দোষটা আমারই ছিল । আর না জেনে না বুঝে রাগের মাথায় তার সম্পর্কে ওইসব বলাও ঠিক হয়নি আমার হইতো বেশিই বলে ফেলেছি , তাছাড়াও বাবা একটা জিনিস সবসময় বলেন…” দোষ করে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চাইলে কেও কখনও ছোট হয়না বরং নিজের দোষ স্বীকার করতে পারে খুব কম মানুষ । ” তাই সরি বলেই দেবো ওই অসভ্যটাকে আজকের জন্য । তাছারা এইমুহুর্তে ফালতু কোন ঝেমেলাতে জড়ানোর সখ আর আমার নেই ।
অন্যদিকে :-
……………
চ্যাটার্জী মেনসনে নিজের রুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রাংশু আকাশের দিকে চেয়ে ও নিজের মনে ভাবছে কিছু কথা । কালকে মূলত দুইজন সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করছিল ও , ওরা গাড়িতে করে বিভিন্ন বেআইনি অস্ত্রসত্র পাচার করছিল তবে শেষে ওদের ধরতে পারলেও দুজন পালানোর চেষ্টা করে তাই তখন ও ওদের পিছু নেয় । তার গাড়ি আশেপাশে সেই মুহূর্তে ছিল না , দেরি হয়ে যাবে বলে ও দৌড়েই ধাওয়া করে আর গ্রুপের বাকি দুজনকে বলে যেন তারা গাড়ি নিয়ে আসে তাড়াতাড়ি । তখন রাস্তায় ও সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার সময়েই একটা শর্টকাট রাস্তা নেয় , তবে সেই রাস্তার মোড়ের কাছে আসতেই হটাৎ ওর ধাক্কা লাগে একটা মেয়ের সাথে , মেয়েটা পরে যাওয়ার আগেই ও মেয়েটাকে ধরে ফেলে তবে তার মুখের দিকে তাকাতেই প্রথম দেখাতেই ওর চোখ আটকে যায় সেই মেয়েটার মায়াভরা সেই বাচ্চা বাচ্চা চেহারায় । এক মুহূর্তের জন্য যেন ও সব ভুলেই গেছিল , তবে পরমুহুর্তেই ওর মনে পড়ে সেই দুজন সন্ত্রাসীদের কথা তাই ও তাড়াতাড়ি আর কিছু না বলেই মেয়েটাকে সোজাভাবে দাঁড় করিয়ে দৌড় দেয় । ও কিছুটা দূরে যেতেই ওদের আবারও দেখতে পায় এবং অনেককষ্টে ধস্তাধস্তির পরে ওদের ধরতে সক্ষম হয় , পরে তাদের টিমের দুই-তিন জন গাড়ি নিয়ে আসলে ও তাদেরকে ওদের হাতে তুলে দিয়ে নিয়ে যেতে বলে । তখন ওর আবার মনে পরে সেই মেয়েটার কথা , ও তাই আবার সেই জায়গায় ফিরে যায় যেখানে ওদের দুজনের ধাক্কা লেগেছিল কিন্তু সেই সময় আর কাউকে সেখানে দেখতে পায়নি ও ।
আর আজকে সকালে কিছু কাজে ওরা মন্দিরের পাশেই গেছিল , তাই ভাবলো মন্দির থেকে একবার প্রমাণ করে আসবে । মন্দির থেকে প্রণাম করে এসে বাইরে বাগানে দাঁড়িয়ে কিছু জরুরী কথা বলছিল ও বাকি দুজনের সঙ্গে , তখনই হটাৎ কেও একজন এসে তার ওপরেই পরে ও চেষ্টা করেছিল সামলানোর কিন্তু হটাৎ পরাই টাল সামলাতে না পেরে ঔ পরে তার ওপর , তার দিকে তাকাতেই ও বুঝতে পারে এটা সেই কালকের মেয়েটাই ।
এইসব মনে করতেই মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো তার , যার কারণ তার নিজেরও অজানা , ওর তো রাগ হওয়া উচিত কিন্তু নাহ সেটা তো হচ্ছে না বরং কেমন যেন এক ভালোলাগা কাজ করছে ওর মাঝে এমন কেন হচ্ছে ও সেটা নিজেও বুঝতে পারছে না । ওর ভাবনার ছেদ ঘটলো রুমের দরজায় হালকা নক করার শব্দে তাই ও ব্যালকনি থেকে রুমের দিকে আসলো । ও রুমে আসতেই দেখল তার মা বাবা দাঁড়িয়ে আছেন তার বাবা তাকে দেখতেই মুখে হালকা হাসি টেনে বলল…. “তো অফিসার শুভ্রাংশু চ্যাটার্জী আসতে পারি কি ?? ” শুভ্রাংশু চোখ সরু করে তার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এসে বিছানায় বসতে বসতে বলল….”মাম্মা পাপা কামন , তোমরাও না প্লীজ এসো । ”
তার কথা শুনে তার মা বাবা হাসতে হাসতেই রুমে প্রবেশ করকেন এবং তার বাবা হাসি থামিয়ে বললেন….” তা অংশু বেটা ইম্পর্টেন্ট কাজ করছিলে নাকি কোনো ?? ”
শুভ্রাংশু : না আসলে ওই মেয়ে…
শুভ্রাংশুর মাম্মা সেটা শুনে বিস্মিত কণ্ঠে…” মেয়ে… কোন মেয়ে…?? ”
শুভ্রাংশু বুঝলো ও ভুল করে ঠিক কী বলতে যাচ্ছিল । ও তাই বিষয়টাকে সামাল দিতে হেসে কিছুটা আমতা আমতা করেই বলল…” সেরকম কিছু না , ওই কাজ সম্পর্কীত বিষয় আরকি । সেই কাজ নিয়েই ভাবছিলাম তাই ভুল করে বলে ফেলেছি । ”
কথাটা শুনে শুভ্রাংশুর পাপা তার দিকে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে সাথে কিছুটা মজার সুর টেনে বললেন…” শুধুই কাজ..!! সত্যিই নাকি অন্যকিছু..!!”
শুভ্রাংশু : পাপা..!! অবশ্যই সত্যিই , তা নয় তো কী..??
শুভ্রাংশুর পাপা : আচ্ছা বুঝলাম তবে ।
শুভ্রাংশুর মাম্মা শুভ্রাংশুর মাথায় হাত দিয়ে বললেন…” সবসময় তো কাজ নিয়েই ভাবতে থাকিস তুই কিন্তু অংশু জানিস তো মাঝে মাঝে খুব ভয়ও করে তোর জন্য । ”
শুভ্রাংশু মিসেস চ্যাটার্জীর এক হাত নিজের দুই হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে মুখে মৃদু হাসি টেনে বলল…” মাম্মা তুমি আমার মাম্মা হয়ে এইসব বলছো…তুমি তো ব্রেভ তাই না…!! আর নিজের দেশের জন্য একটুকু কি আমি করতে পারি না…!! ”
শুভ্রাংশুর বাবা শুভ্রাংশুর পিঠ হালকা চাপড়ে বললেন…” আই অ্যাম প্রাউড অফ ইউ মাই বয় , আমার সত্যিই গর্ববোধ হয় এটা ভেবে যে তুমি আমাদের সন্তান । ”
শুভ্রাংশুর মা মুখে মুচকি হাঁসি টেনে বললেন…” তা তো বটেই কিন্তু হাজার হোক মায়ের মন তো তাই আরকি ছার তোরা বুঝবি না । ”
পরেরদিন :-
…………..
ক্লাস শেষ করে আমি আর সুরভি বাইরে বেরোতেই দেখলাম সামনে করিডোরে কথা বলছেন আমাদের প্রিন্সিপাল আর সুরভির শ্রদ্ধেয় শুভ্রাংশুদা অর্থাৎ মিস্টার শুভ্রাংশু চ্যাটার্জী , সুরভি ওদের দেখতেই ভয় পেয়ে আমার এক হাত চেপে ধরলো আর বলল…. ” ওরে সঙ্গুরে ইনি এখানে কী করছেন…!! প্রিন্সিপাল স্যারের সাথে কী কথা বলছেন এতো উনি , প্রিন্সিপালের কাছে কমপ্লেইন করতে আসে নি তো আবার…!! যদি স্যার তোকে রস্টিগেট করে দেয় তখন কী হবে..!! ” এই মুহূর্তে এইসব ফাউল কথাবার্তা শুনে আমি বেশ বিরক্ত হয়ে ওর দিকে তাকালাম আর বললাম….” এই তুই চুপ থাকবি..!! কী যা তা বকছিস বল তো তুই..বললেই হলো রস্টিগেট করবে…!! তোর উরো এইসব ভাবনাকে পাবনায় পাঠা তো আর বেশি আলতু ফালতু কথা না বলে তুই চুপ থাক চিন্তা করিস না , আমি দেখছি তো ঠিক ব্যাপারটা..। ”
চলবে,…..