তৃষ্ণার্থ_প্রেয়সী,পর্ব ০৮
লাবিবা_ওয়াহিদ
আজ নবীনবরণ অনুষ্ঠান। চারপাশের কিছু ছেলেমেয়েরা এদিকে সেদিক ছুটাছুটিতে ব্যস্ত। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ডেকোরেশনের কাজ করতে করতে তাদের মাথার ঘাম মোছার অবধি সময় নেই। অনুষ্ঠানটার সকল আয়োজন পরেছে সিনিয়রদের ঘাড়ে। তাই সন্ধিরা মিলে পুরোদমে কাজ করে চলেছে। তাদের প্ল্যানমাফিক স্টেজ এবং বাকি ডেকোরেশন হচ্ছে। ১০টা বাজলেই স্টুডেন্ট আসার শুরু করে দিবে, এদিকে কাজ এখনো বাকি, তাই সন্ধি এবং তার অন্যান্য বন্ধুরা একদমই বসার সময় পাচ্ছে না। নবীনদের জন্য সেরা কিছুই করতে চায়।
ঠিক এগারোটায় দুজন শাড়ি পরিহিত রমনী ভার্সিটির গেট দিয়ে প্রবেশ করলো। সন্ধির হঠাৎ গেটের দিকে চোখ যেতেই তার মুখ অটোমেটিক হা হয়ে গেলো এক শ্যামবতীকে দেখে। সেই শ্যামবতী আর কেউ নয়, ইতি। ইতিকে দেখতে সে এতোটাই ব্যস্ত, পাশে যে আরেকজন রমনী আছে তার দিকে খেয়াল করলো না। করলে হয়তো নির্ঘাত প্রেমে পরে যেত। বেশিরভাগ ছেলেই সানামের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। সানামের পরিহিত শাড়িটা অন্তু আন্টির জোয়ান বয়সের। হলুদ পাড়ের টকটকা লাল রঙের শাড়িটি, ছোট ছোট সাদা পাথর আছে আচলটিতে। যাকে বলে সিম্পলের মধ্যে গরজিয়াছ। গলায় লাল ফিতার এক সুন্দর মালা, কানে ম্যাচিং দুল, চুল ছেড়ে দেয়া একপাশে লাল গাজড়া আটকানো, চোখে কাজল, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। ব্যাস! এতেই যেন তাকে কোনো লালপরী লাগছে৷
ইতি পড়েছে সোনালি পাড়ের নীল শাড়ি। বাকি গেটআপ সানামের মতোই শাড়ির সাথে ম্যাচ করা। এই দুই রমনীকে কমবেশি সকলেই ঘুরে ঘুরে দেখছে৷ সন্ধির হঠাৎ কাজ থাকায় সে অন্যদিকে চলে গেলো। এদিকে সানাম শাড়ি ধরে ধরে হাঁটছে আর ইতিকে চাপাস্বরে বলছে,
-“বইন! আমি কখনো শাড়ি পরিনি, যদি খুলে যায়?”
-“তুই বেশি বুঝিস! আন্টি তোকে কী সুন্দরভাবে পরিয়ে দিয়েছে, খোলার তো কোনো চান্সই নাই! এখন নিজেকে নরমাল রাখ আর এই আলতু ফালতু চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল।”
-“তবুও ভাই, ভয় কী নিজে নিজে যায়!”
-“উফফ সানাম! বললাম তো কিছুই হবে না। নরমালি হাঁটার চেষ্টা কর, তাহলে কিছুই হবে না।”
সানাম কিছু বললো না, তার ভয় তাকে ভালোভাবেই ঝেঁকে বসেছে। এরমাঝে কয়েকটা ছেলে মেয়ে তাদের সামনে আসলো। ইতি তাদের সাথে হেসে হেসেই কথা বলছে আর সানাম নিজের ঠোঁটে হাসি ঝুলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। সে তো জানে তার ভেতরে কেমন তুফান চলছে। এটা কী আর বাইরের মানুষদের বুঝতে দেয়া যায়?
★
ফারিশ ফ্রেশ হয়ে লিভিংরুমে এসে দেখলো তার একমাত্র নানী গুণগুণ করে গান গাইছে। এই অসময়ে এমন খুশি হওয়ার কারণ বুঝলো না ফারিশ৷ তাই ভ্রু কুচকে ফারিশ বলে উঠলো,
-“কি গো নানী? নানা কী জ্যান্ত হয়েছে যার জন্য এতো গান গাইছো?”
-“চুপ কর পোলা! আমাগো সুখ বুঝবি কেমতে? তোর নানা তো খালি খিটখিট করেই গেছে, ভালা কথা তো জম্মেও বলে নাই!”
-“তাহলে মা কী তোমার সৎ মেয়ে?”
-“কী কইলি তুই?” কপট রেগে বললো নানী।
-“না মানে আগে তো বলতা আমার মা আমার নানার মতোই ভদ্র, এখন আবার আমার নানার বদগুণ গাইছো, এই আর কী!!”
নানী কী বলবে বুঝলো না। বর্তমানে তার এই এক মারাত্মক রোগ! ভুলে যাওয়ার রোগ। এবার ফারিশ কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলে উঠলো,
-“তোমার ছেলের কী বউয়ের বাড়িতেই বেড়ানো শেষ হয় নাই? আর কতো তোমাকে এখানে একা ফেলে রাখবে? আচ্ছা এমন নয় তো মামা তোমাকে মিথ্যা বলে এখানে রেগে গেছে, আই মিন সে তার বাসাতেই আছে?”
-“ঠিক কইছিস তো! ওই মুচি বিলাইর তো কোনো খবরই নাই! আর কতো আমার মাইয়াটারে কষ্ট দিমু! খকড়া আমি আইজকাই তোর বাপেরে লইয়া যামু!”
এমন সময়ই অন্তুর ডাক পরলো। ফারিশ তার নানুর সাথে আর কোন কথা না বলে ডাইনিং এ চলে গেলো। অন্তুকে খাবার সার্ভ করতে দেখে ফারিশ বললো,
-“তুমি অফিস যাওনি মা?”
-“নাহ! আজ তেমন কাজ নেই, তাই ভাবলাম বারোটার দিকেই বের হবো। তা তুই আজ পাঞ্জাবি পরেছিস যে? কোথাও যাবি নাকি? অফিসে যাবি না?”
-“আজ ছুটি নিয়েছি মা, আমি যেই ভার্সিটি থেকে বের হয়েছি সেখানে টিচাররা আমাকে এবং সেজান, সামিকে ইনভাইট করেছে। আজ নাকি নবীনবরণের প্রোগ্রাম। আমি যেতে চাইনি, সেজান সামি জোর করে নিয়ে যাচ্ছে। ওদের জোরাজুরিতে আমার আজকে ছুটি নিতে হয়েছে।”
-“তো কাল যে দেরী করে বাড়ি ফিরলি?”
-“আজকের জন্য এডভান্স ওভারটাইম করেছিলাম আম্মা! আর নানুকে দেখলাম খুশি খুশি, কারণ কি গো?” খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলো।
-“ওই সানামকে নিয়ে!”
-“মানে?”
-“সানাম তো তোর নানুর খাতিরযত্ন ভালোই করে, তার উপর সানাম টিউশনি করে নিজের খরচ চালাচ্ছে, একারণেই তোর নানী একটু একটু নরম হচ্ছে!”
-“ও আচ্ছা। চিন্তা করিও না, আজকেই দেখিও তোমার মা মামার বাসায় দৌড় লাগাবে?”
-“মানে? ভাই কী ফিরেছে নাকি?”
-“সেটা নানীর সাথে গেলেই সার্কাস দেখতে পারবা। তা সানাম কই? ভার্সিটি যাবে না?”
-“ও তো আগেই চলে গেছে।”
-“আগে গেছে মানে কখন?” খাওয়া বন্ধ করে অবাক হয়ে বললো ফারিশ।
-“এইতো পনে ন’টা নাগাদ!”
-“এতো আগে কেন গেলে মেয়েটা? প্রোগ্রাম তো এগারোটায়। দু’দিনে কী বয়ফ্রেন্ডও যোগাড় করে ফেললো? দু’দিন আগেও তো আমায় ছাড়া চলতে পারতো না, এখন আমাকে না বলে আমার আগেই চলে যায়!” ভাবতেই রাগে ফারিশের চোয়াল শক্ত হয়ে রইলো। ২টা পাউরুটিকে একসাথে এমনভাবে চেপে ধরেছে যে পাউরুটি দুটো ভর্তা হয়ে গেছে। অতঃপর ফারিশ আর দেরী করলো না। কোনোরকমে খেয়ে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে৷ এদিকে ফারিশ যেতেই নানী অন্তুকে নিয়ে তার ছেলের বাসায় রওনা হয়েছে। ইকরাম ফরিদ আগেই পালিয়েছে শ্বাশুড়ির ভয়ে। তাই ইকরামকে না পেয়ে অন্তুকে নিয়েই রওনা হয়েছে।
ফারিশ বাইক চালাচ্ছিলো এমনসময়ই তার কল আসে। ফারিশ বাইক থামিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখলো সেজান কল করেছে। ফারিশ রিসিভ করে হ্যালো বলতেই সেজান বলে উঠলো,
-“রাখ তোর হ্যালো! এদিকে মাম্মা প্রোগ্রাম শুরু হয়ে গেলো তাও তোমার খবর নাই! আর কতক্ষণ অপেক্ষা করা লাগবে তোর জন্য?”
-“আরে ভাই আসছি আর পাঁচটা মিনিট দাঁড়া।”
-“জলদি আয়!”
বলেই সেজান কল কেটে দিলো। ফারিশ ফোন আবারও পকেটে পুরে বাইক স্টার্ট দিলো। কিছুক্ষ্ণের মধ্যেই ভার্সিটি চলে আসলো। বাইক পার্ক করে আসতেই দেখলো সেজান এবং সামি দাঁড়িয়ে আছে। ওদের নিয়ে একসাথেই ওরা ভার্সিটিতে প্রবেশ করলো।
ইতি এবং সানাম নিরিবিলি একটা গাছের নিচে বসে আছে। ইতি তো তার মুখ থামাচ্ছেই না। বলছে তো বলছেই। সানাম ইতিকে থামতে বলে দূরে তাকাতেই থমকে গেলো। ফারিশ! ফারিশকে পাঞ্জাবিতে এই প্রথম দেখলো সানাম। নেভি ব্লু পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবির হাতা কনুই অবধি ফোল্ড করা, সাদা পাজামা, চোখে ব্ল্যাক সানগ্লাস, হাতে ঘড়ি। চুলগুলো একপাশ দিয়ে স্টাইল করে আঁচড়ানো, অবাধ্য কিছু চুল কপালে পরে আছে। এককথায় অসাধারণ লাগছে ফারিশকে। সানাম হা হয়ে তাকিয়ে রইলো ফারিশের দিকে। সানামের হা হওয়া দেখে ইতি সানামের দৃষ্টি অনুসরণ করলো এবং দেখলো ফারিশকে। ইতি নিজেও হা করে তাকিয়ে রইলো। ইতি অস্ফুট সুরে বলে উঠে,
-“কী কিউট এই ছেলে দোস্ত! আমি তো ক্রাশ খেয়ে গেলাম!! কে রে এই ছেলে?”
ইতির কথায় সানামের ধ্যান ভাঙলো। সানাম ফারিশের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিচু স্বরে বললো, “জানি না।”
তখনই সানামদের এক নতুন বন্ধু এসে হাজির হলো। ছেলেটার নাম আলিফ, একই ইয়ারে হলেও ডিপার্টমেন্ট আলাদা। আলিফ মুচকি হেসে বলে,
-“হেই, এখানে কী করছো তোমরা? প্রোগ্রাম তো ওখানে হচ্ছে। শুনেছি আগের কিছু সিনিয়রদেরও ইনভাইট করা হয়েছে। তারাও তো চলে আসলো।”
-“কী করবো বলো আলিফ। সানামের নাকি ওতো মানুষ ভালো লাগে না, মাইকের শব্দে মাথা ব্যথা করে। তাইতো বাধ্য হয়েই বসে আছি!” মন খারাপ করে বললো ইতি। সানামের বিষয়টা খারাপ লাগলো৷ আসলেই তো নবীনবরণ অনুষ্ঠান বলতে নবীনদের জন্য অনেককিছু। সেখানে সানাম ইতিকে নিয়ে এখানে বসে আছে৷ নিশ্চয়ই মেয়েটা মন খারাপ করেছে। সানাম ভেবে ইতিকে যাওয়ার জন্য বলতে যাবে তখনই তার কানে আসলো এক অতি চেনা কন্ঠ। সানাম ইতি এবং আলিফকে ফেলেই শাড়ি উঁচু করে দিলো এক দৌড়। ইতি এবং আলিফ অবাক হয়ে সানামের চলে যাওয়া দেখছে দৌড়ে প্রোগ্রামে আসতেই দেখলো ফারিশ স্পিচ দিচ্ছে৷ সানাম হাঁপাতে হাঁপাতে একমনে ফারিশকেই দেখতে লাগলো। ফারিশের হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলা, কথার মাঝে হেসে দেয়া, হেসে হেসে কথা বলা সবটাই মুগ্ধ নয়নে দেখছে সানাম। সানামের পেছনে এসে দাঁড়ালো আলিফ এবং ইতি। আলিফ সানামের কাঁধে হাত রাখতেই চমকে পাশে ফিরে তাকালো। ঠিক তখনই ফারিশ সানামকে দেখলো। অন্য একটা ছেলের সাথে সানামকে দেখে ফারিশ রেগে গেলো আর ওই মুহূর্তে স্পিচ শেষ করে হনহন করে স্টেজ থেকে নেমে গেলো। ফারিশকে হুট করে নেমে আসতে দেখে সেজান এবং সামি দুজনেই সমানভাবে অবাক হলো। তখনই সামির সানামের দিকে নজর গেলো। সামি ফারিশের কাঁধে হাত দিয়ে বলে,
-“ফারিশ দেখ, তোর সানামরে কতো সুন্দর লাগছে শাড়িতে!” সামির কথায় ফারিশ কিছুটা অবাক হলো আর নিজের অজান্তেই সানামের দিকে তাকালো। সানামের এই নিউ লুক দেখে ফারিশ থমকে গেলো। [গল্পের প্রথমদিকে বলেছিলাম সানামের লুক দেখলে ছেলেরা প্রেমে পরবে, তা আমাদের ফারিশও কী..?? উহু উহু, ফারিশের অনুভূতি জানানো যাবে না। আপনারাই চিন্তা করুন?] সানামকে এমন লুকে দেখবে কল্পনাও করেনি। তখন ছেলেটার সাথে সানামকে দেখার কারণে ফারিশ সানামকে ঠিকভাবে খেয়াল করেনি৷ সানামের এই লুকটা যেন ফারিশকে দুর্বল করে দিয়েছে, তার মাথায় যেন খোদাই হয়ে গেছে। বারবার না চাইতেও সানামকে আড়চোখে দেখছে। কিন্তু পাশের ছেলেটার সাথে সানামকে দেখে ফারিশের রাগ যেন বেড়েই চলেছে। সেজান ফারিশের রাগ ধরতে পারলো। তাই আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার মতো কথা বলা শুরু করলো। সেজানের যেন একটাই লক্ষ্য, সানামকে ভাবী হিসেবে দেখা।
-“কিরে ভাই, সানাম দেখছি তোরে পাত্তাই দিচ্ছে না। অন্য ছেলের সাথে দেখ কী সুন্দর হেসে হেসে কথা বলছে। প্রেম-ট্রেম করছে নাকি?”
সেজানের কথায় ফারিশ রক্তচক্ষু দৃষ্টিতে সেজানের দিকে তাকাতেই সেজান চুপ মেরে গেলো। পুরো প্রোগ্রামটা ফারিশের সানামের হাসাহাসি দেখেই কেটেছে। সন্ধ্যার দিকে সকলে বাড়িতে চলে যাওয়া শুরু করলেই সানাম ফারিশের জন্য ভার্সিটি গেটেই দাঁড়িয়ে রইলো। আলিফ, সেজান, সামি সকলেই তাকে নিয়ে যেতে চেয়েছে কিন্তু সানাম একমাত্র ফারিশের জন্যই দাঁড়িয়ে রইলো। আজ সে ফারিশের সাথে যেতে চায়, কিছুটা টাইমস্পেন্ড করতে চায়। আঁধার হতেই ফারিশ বাইক নিয়ে বের হলো, বের হওয়ার সময় সানামের দিকে একবার তাকালো। সানাম হেসে ফারিশের দিকে এগিয়ে যেতেই ফারিশ বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো। সানাম সেখানেই মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলো। ফারিশের এমন ইগনোরে সানামের চোখে মুহূর্তেই জল চলে আসলো। কতো কী ভেবে রেখেছিলো কিন্তু কিছুই হলো না, ফারিশ তাকে একা ফেলে চলে গেলো। সানাম চারপাশে তাকিয়ে কোনো রিকশা বা সিএনজি পেলো না। তাই সে কাঁদতে কাঁদতেই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে লাগলো।
-“কেউ ঠিকই বলে এতিমদের বেশি স্বপ্ন দেখতে নেই। কোথায় সে আর কোথায় আমি। সে কী কখনো আমাকে বুঝবে? হয়তো বুঝবে না। কেন আমি বারবার তার কাছে ছুটে যাই? কেন? তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষায় একা এই শহরে এসেছি, তাকে কাছ থেকে দেখছি। আমি কেন পারি না তাকে ভুলে থাকতে? এ যে আবেগ, আর সে আমার প্রতি শুধু করুণাই করেছে, আমি কেন আহামরি চিন্তা করলাম?”
এসব চুপচাপ ভেবেই হাঁটছিলো। রাস্তার পাশে কিছু বখাটে দাঁড়িয়ে ছিলো। এই ছেলেগুলা প্রথমদিনের মাতাল ছেলেগুলা ছিলো কিন্তু সানাম তখন বোরকা পরা ছিলো এবার শাড়ি পরিহিত। তাই ছেলেগুলো সানামকে চিনতে পারেনি। তবে যেই লাউ সেই কদু, এমন বিষয় আর কী। ওইরাতের এতো মাইরের পরেও এই বখাটে গুলা মেয়েবাজি ছাড়েনি। বখাটেগুলো সানামের মাথা থেকে পা অবধি লালসার দৃষ্টিতে দেখছে। অতঃপর তারা সানামের দিকেই এগোতে লাগলো। সানাম সামনে কিছু বখাটে দেখতে পেয়ে অনেকটা ঘাবড়ে গেলো। এ আবার কোন বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে সে?
চলবে।