তৃষ্ণার্থ_প্রেয়সী,পর্ব ১২
লাবিবা_ওয়াহিদ
অফিসের রিসিপশনে সানামকে দেখে অনেকটাই অবাক হলো ফারিশ। সানামও একই ভাবে অবাক হলো ফারিশকে দেখে। তবে সানাম এমন ভাব করলো যে, সে ফারিশকে চিনে না। সানামের ইগনোরেন্স ফারিশের ইগোতে লাগলো। অতঃপর রাগান্বিত দৃষ্টিতে সানামের দিকে তাকিয়ে রইলো। সানাম বিভিন্ন স্টাফদের সাথে কথা বলছে, পাশে ইতিও সানামকে হেল্প করছে। সানাম ফুল ফোকাসটা তার জবের মধ্যেই দিচ্ছে। এদিকে ফারিশের পাশে দাঁড়ানো রাতুল যে তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে সেদিকে সানামের খেয়ালই নেই, সে ভিষণ ব্যস্ত। রাতুলকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ফারিশের কেমন ফাটছে তাই সে অযুহাতে রাতুলকে নিয়ে চলে গেলো৷ রাতুল ডেক্সে বসে থাকলেও তার মন সানামের দিকেই পরে আছে। এদিকে ফারিশ রাগছে এই ভেবে যে তারই অফিসে সানাম জব করছে অথচ সানাম তাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলো না।
বসকে ফারিশ জানিয়ে দিয়েছিলো তার কোনো এসিস্ট্যান্টের দরকার নেই, সে নিজের কাজ নিজেই করতে জানে। ফারিশের সিদ্ধান্তে বস অমত করেনি শুধু ফারিশের বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়েছেন। বস ফারিশকে নিয়ে অন্য কোম্পানির সাথে ডিল করতে বেরিয়েছে। এদিকে বস যেহেতু নেই ইতি এবং সানাম বসলো। সানাম বসতেই ইতি মুচকি হেসে বললো,
-“কী সানাম, একদিনেই তো সকল স্টাফদের মন জয় করে নিলে। সবাই তো তোকে চোখে হারাচ্ছে!”
ইতির মশকরায় সানাম মুচকি হাসলো। অতঃপর বললো,
-“আমি আমার কাজকে চিনি ইতি। অন্যদিকে নজর দেয়ার মতো সময় আমার নেই।”
-“তা অবশ্য ঠিক বলেছো। তবে আর কতোদিনই বা সিঙ্গেল থাকবি বল তো?”
সানাম উত্তরে কিছু বললো না, মুচকি হাসলো। সানামের হাসি দেখে ইতি ভ্রু কুচকে সানামের দিকে তাকালো,
-“আমার জানিস এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে তুই সিঙ্গেল! তুই যা সুন্দরী, তোর সিঙ্গেল থাকা ইমপসিবল!! সত্যি করে বল, আমার থেকে কী কিছু লুকোচ্ছিস?”
-“আজিব! কেন লুকাতে যাবো? সত্যিই আমি এসবের মধ্যে নেই!”
ওদের কথার মাঝেই কেউ একজন “এক্সকিউজ মি” বলে উঠলো। ইতি এবং সানাম তাদের কথোপকথন ছেড়ে সামনে তাকালো। রাতুল ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে সানামের দিকেই তাকিয়ে আছে। সানাম কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলে,
-“ই..ইয়েস স্যার? কোনো হেল্প লাগবে?”
-“তোমার সাথে কফি খেতে পারি?”
-“এ…??!” নাক মুখ কুচকে বললো সানাম। সানাম বললো কী আর রাতুল তাকে বলছে কী। পাশ থেকে ইতিও হতভম্ব হয়ে গেলো। রাতুল ওদের আচরণ বুঝতে পেরে জলদি কথা ঘুরিয়ে বললো,
-“আই মিন, তোমাকে তো আগে দেখিনি? নিউ?”
সানাম নিজেকে যথেষ্ট সামলিয়ে মাথা নাড়ালো। রাতুল মুচকি হেসে বলে,
-“ওহ, ওকে ফাইন!! আমি রাতুল, তুমি?”
রাতুল হাত বাড়িয়ে দিলো। সানামের কথা বলার ইচ্ছে না থাকলেও কৃত্রিম হাসি দিয়ে বললো,
-“সানাম!” হাত মেলায়নি সানাম। সানামকে হাত মেলাতে না দেখে রাতুল হাত সরিয়ে নিয়ে বলে,
-“তোমাকে স্টুডেন্ট মনে হচ্ছে? তা কোন ইয়ার?”
সানামের বিরক্তি ধরে যাচ্ছে রাতুলের প্রতি। এভাবে গায়ে পরে কথা বলাটা সানামের একদমই অপছন্দ তাও চাকরিক্ষেত্র দেখে দাঁতে দাঁত চেপে সব উত্তরই সে দিয়েছে। সানামের সাথে সাথে ইতিরও বিরক্তি ধরে আছে। ইতিরও রাতুলকে একদমই পছন্দ না। রিসিপশনে নতুন কোনো মেয়ে আসলেই এভাবে গায়ে পরে কথা বলা শুরু করে। ইতি শ্যামবর্ণ দেখে রাতুল কোনোদিন ইতির সাথে কথা বলেনি, প্রয়োজন ছাড়া। ইতি নিজেও চায় না এমন বেহায়া ছেলে তার সাথে কথা বলতে আসুক।
এদিকে রাতুল তো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। সানামের হাসিমাখা উত্তর শুনে সে নিজে তো পটে গেছেই আর ভাবছে তার লাইনটাও আস্তে আস্ত ক্লিয়ার হচ্ছে। একজন স্টাফ রাতুলকে ডাকতেই রাতুল সানামকে বিদায় দিয়ে চলে গেলো। রাতুল চলে যেতেই সানাম যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
বিকাল ৫ টায় বস সহ ফারিশ অফিসে আসলো। ফারিশ ক্লান্ত হলেও সানামের হাসিমাখা মুখটা দেখে নিজের অজান্তেই ঘায়েল হয়ে গেলো। ক্লান্তিটাও কোথায় যেন উধাও হয়ে গেলো। বেশিক্ষণ না তাকিয়ে ফারিশ হনহন করে লিফটের দিকে চলে গেলো। সানাম কুলফির সাথে কথা বলছে। কুলফির সাথে পরিচয় হয়ে সানাম বুঝলো ছেলেটা বেশ রসিক। কুলফি হাসতে হাসতে বললো,
-“জানেন আফুমনি, ফারিশ স্যার আর আপনার লগেই আমি প্রথমদিনে মিশশা গেছি!”
ফারিশের কথা শুনে সানামের ভেতরটা ধক করে উঠলো। অতঃপর হাসার চেষ্টা করে বললো,
-“তাই বুঝি কুলফি?”
-“হ! আমি আপনারে আজকা টিরিত নাকি কি কয় ওইডা দিমু। খারান আমি এক্ষুনি আইতাসি!”
বলেই কুলফি এক ভোঁ দৌড় দিলো। কুলফির এমন দৌড় দেখে ইতি এবং সানাম উভয়েই হেসে দিলো। কিছুক্ষণের মধ্যে কুলফি এক কাপ চা নিয়ে হাজির হলো। ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে বললো,
-“আফু! আমি ফ্রিতে আপনারে দিলাম। এক্কেবারে কুলফি স্পেশিয়াল চা! খাইয়া কন!”
সানাম মুচকি হেসে কুলফিকে ধন্যবাদ জানিয়ে চা টা খেতে শুরু করলো। সত্যিই কুলফি বেশ চাঙ্গা চা বানায়। একেবারে স্পেশাল। সানামের চা খেতে গিয়ে মনে পরলো সেদিনের কথা। যেদিন সানাম ফারিশের কফিতে এ চিনির বদলে লবণ মিশিয়ে দিয়েছিলো। নিজের বোকামীর কথা স্মরণে আসতেই সানাম নিজের অজান্তেই হেসে ফেললো।
সন্ধ্যা ৭টায় তার কাজের সমাপ্তি ঘটলো। ইতিকে বিদায় জানিয়ে সানাম দাঁড়িয়ে রইলো রিকশার জন্য। হঠাৎ-ই তার সামনে রাতুল চলে আসলো। রাতুল হুট করে এন্ট্রি নেয়ায় সানাম আবারও অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। রাতুল হেসে বলে,
-“কী সানাম? এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?”
সানামের মন চাইলো চেঁচিয়ে বলতে, “ওরে গাধা! রিকশা না পেলে দাঁড়িয়েই তো থাকবো নাকি? তোর মতো বলদ আমি এই জম্মেও দেখি নাই! যত্তোসব বলদা বলদা কথা!”
-“কী হলো চুপ করে আছো যে?”
-“রিকশা পাচ্ছি না তাই দাঁড়িয়ে আছি!” দাঁতে দাঁত চেপে বললো সানাম।
-“তো আমি তোমায় বাড়ি পৌঁছে দেই?”
-“নো, থ্যাংকস! আমি একাই যেতে পারবো!” অন্যদিকে ফিরে বললো সানাম। সানামের কথায় রাতুল কিছুটা লজ্জা পেলো।।
-“ইশ, ধুর! আমার মাথাটাই গেছে! আজ তো প্রথমদিন, প্রথমদিনে বেশি বেশি হওয়াটা উচিত হয়নি। আমারই আগে বোঝা উচিত ছিলো। কুল রাতুল কুল! আস্তে আস্তে সব হবে!” মনে মনে বললো রাতুল। অতঃপর মুচকি হেসে বলে,
-“ঠিক আছে। তোমার ইচ্ছে!”
বলেই রাতুল চলে গেলো। রাতুল চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরপরই ফারিশ বাইক নিয়ে থামলো। সানাম যেন তারই অপেক্ষায় ছিলো। সানামের সিক্সথ সেন্স বলছিলো আজফারিশ তাকে সাথে করে নিয়ে যাবেই!
ফারিশ সামনের দিকে ফিরেই বললো,
-“কারো যদি ইচ্ছে হয় তাহলে আমার সাথে যেতে পারে!”
সানাম ভেতরে ভেতরে খুশি হলেও বাহিরে প্রকাশ করলো না। কিছুক্ষণ ফারিশের দিকে চুপ করে তাকিয়ে বাইকে উঠে বসলো। বাইকে উঠতেই ফারিশ বাইক স্টার্ট দিলো। ইচ্ছে করেই স্পিড বাড়ালো যার ফলে সানাম গিয়ে ফারিশের পিঠের উপর গিয়ে পরলো। এতে করে ফারিশের অস্বস্তি হলেও কিছুক্ষণ পর এক আলাদা অনুভূতি খেলে গেলো তার মধ্যে। আর সানাম, সে হতভম্ব হয়ে বসে আছে। এমন ধ্যানের মধ্যে আছে যে, কখন থেকে ফারিশের শার্ট খামচে ধরে বসে আছে সেদিনে তার কোনো হুঁশ নেই। অনুভূতিহীন হয়ে বসে আছে সানাম। বলা চলে দুজনই যেন অন্য দুনিয়ায় ভাসছে। কখন যে এপার্টমেন্টের সামনে এসে পৌঁছালো দুজনের কারোই খেয়াল নেই। ফারিশ ভুল করে এপার্টমেন্ট ছেড়ে আরও সামনে চলে গেছে। ধ্যান ভাঙতেই সে জলদি করে বাইক ঘুরালো। বাইক ঘুরানোর মাঝেই সানামের ধ্যান ভাঙলো এবং সঙ্গে সঙ্গে ফারিশকে ছেড়ে দিলো।
দূর থেকে বুশরা ওদের একসাথে বাইকে আসাটা ভালো ভাবেই লক্ষ্য করলো এবং রাগে ফুঁসতে লাগলো!
-“পইপই করে বারণ করলাম তাও এই মেয়ে শুনলো না। দাঁড়াও মেয়ে, কাল যদি কোনো ব্যবস্থা না করছি!! খুব শীঘ্রই আমি আমার ফারিশকে আপন করবোই!”
গভীর রাতে চুপিচুপি ফারিশের ঘরে প্রবেশ করলো সানাম। হ্যাঁ সানামই প্রতিরাতে ফারিশের ঘরে প্রবেশ করে। সানাম ধীরে ধীরে বিছানার দিকে গিয়ে ফারিশের মুখের সামনে চুপচাপ বসলো এবং ফারিশের ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে রইলো। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সানাম মুচকি হাসলো। অতঃপর ধীরে ধীরে বলতে লাগলো,,
-“একটা বিষয় খেয়াল করেছেন প্রিয়? আপনি, আমি না চাইতেও সবসময় একসাথে থাকছি। দেখুন না, আপনার অফিসেই কাকতালীয় ভাবে জব পেয়ে গেলাম। সেই আবারও আপনার চোখের সামনে। বারবার আমরা একসাথে হচ্ছি, এর মানে কী আপনি বুঝেছেন? আমার ভাগ্যে আপনি আছেন, কম ঝড় সহ্য করিনি আপনাকে পাওয়ার জন্য৷ দেখেন কেমন ভাগ্য, যাকে চাইতাম তার বাসাতেই আমার ঠাঁই হলো সাথে তার অফিসেও। কবে আপনার ওই বুকের বা-পাশে ঠাঁই পাবো বলুন তো? আমার সিক্সথ সেন্স কিন্তু বলছে ♥খুব শীঘ্রই♥! ভালোবাসি আপনাকে, ফানুস!!”
বলেই কিছুক্ষণ বসে রইলো, অতঃপর চলে গেলো। এভাবেই আরও এক মাস কেটে গেলো। এর মাঝে রাতুল সানামের কাছে ঘেঁষার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি৷ তবে রাতুল সানাম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে এবং সানামের প্রতি প্রবলভাবে দুর্বল হয়েছে। যা ফারিশের সাথে সবসময় শেয়ার করে গেছে। যখন ফারিশ জানলো রাতুল সানামকে ভালোবাসে সেদিন যেন ফারিশের শরীরে কাঁটা লাগছিলো। কেমন নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গেছিলো তার। তাই সে নিজেকে সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে, কিন্তু তার সব প্রচেষ্টা বরাবরই বিফলে যেত। সে জানে না এ কেমন অনুভূতি।
একদিন,
সানাম রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলো। প্রতিদিন ফারিশ তাকে নিয়ে গেলেও কিছুদিন যাবত কেন যেন ফারিশ তাকে পিক করে না। এতে সানামের খারাপ লাগলেও সে কখনো প্রকাশ করেনি ইভেন কারণটাও জানতে চায়নি। হয়তো কাজের চাপ বেশি, তাই হয়তো অফিস থেকে লেট করে বের হয়। সানামের ভাবনার মাঝেই রাতুল তার বাইক নিয়ে হাজির হয়। রাতুল মুচকি হেসে বলে,
-“আজও বুঝি রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছো?”
সানাম হাসার চেষ্টা করে মাথা নাড়ায়। রাতুল আনন্দের সুরে বলে,
-“আমি পৌঁছে দিয়ে আসি? এই এক সেকেন্ড তোমার হাতে কী?”
বলেই সানামের পারমিশন ছাড়াই রাতুল তার হাত ধরলো। দূর থেকে ফারিশ এবং বুশরা কথা বলতে বলতে আসছিলো তখনই ওদের হাত ধরা অবস্থায় দেখে ফেললো। বুশরা এসেছিলো ফারিশকে বিয়ের বিষয়ে রাজি করাতে কিন্তু সামনে এতো বড় সুযোগ পেয়ে তার ভেতরটা নেচে উঠলো। এ যেন মেঘ না চাইতেই জল। বুশরা এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া না করে বলে,
-“দেখেছো তোমার কাজিন কেমন পাবলিক প্লেসে প্রেম করছে? একেবারে হাত ধরেছে একে অপরের বাহ! কেমিস্ট্রি মিনে হচ্ছে বেশ ভালো!”
ফারিশের কানে কথাগুলো ঢুকলো কি না বোঝা গেলো না। সে নির্বাক হয়েই তাকিয়ে রইলো। রাতুল দেখলো সানামের ঘড়ির সাথে একটা ছোট পাতা আটকে আছে। সেটা ছুটিয়ে ফেলে বলে,
-“পাতা এটা! আমি তো ভাবলাম কী না কী!”
সানাম জলদি হাত সরিয়ে নিলো আর হাতটা পেছনে নিয়ে ইচ্ছেমতো ডলতে লাগলো। ফারিশ ছাড়া অন্য পুরুষ তাকে স্পর্শ করলে সানামের শরীরে যেন আগুন জ্বলে। রাতুল আবারও বেহায়ার মতো বলে উঠলো,
-“আমি ড্রপ করে দেই? প্লিজ আসো আমার সাথে আজ?”
সানামের তখনই ফারিশদের দিকে চোখ গেলো। বুশরা এবং সানামের চোখাচোখি হতেই বুশরা ইচ্ছা করে উষ্টা খেয়ে ফারিশের গায়ের উপর পরলো। ফারিশ তাল সামলাতে না পেরে বুশরাকে জড়িয়ে ধরলো। এমন দৃশ্য দেখে সানাম যেন কিছু ভাবতে ভুলে গেছে৷ তার সবকিছু কেমন শূন্য শূন্য লাগতে শুরু করলো। ফারিশ বুশরাকে ধরে একটা বেঞ্চিতে বসালো এবং এক বোতল পানি এগিয়ে দিলো। বুশরা ফারিশের হাতে স্পর্শ করে পানির বোতলটা নিলো। অতঃপর যখন ফারিশ সানামের দিকে তাকালো সানাম তৎক্ষনাৎ রাতুলের দিকে ফিরে চোখে জল নিয়েই মুচকি হেসে বললো,
-“হ্যাঁ, যাবো আপনার সাথে। চলুন!”
বলেই সানাম রাতুলের আগে গিয়ে বাইকে উঠে বসলো। রাতুল খুশিতে কী করবে ভেবে পেলো না। অতঃপর নিজে বাইকে বসে বাইক টান দিলো আর দূর থেকে ফারিশও সবটা নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। বুশরা আড়ালে পৈশাচিক হাসি দিয়ে বললো,
-“দেখলে ফারিশ তোমার কাজিন তো বয়ফ্রেন্ডকে পেয়ে এদিকে ফিরেও তাকালো না! এতোই প্রেমে মগ্ন তারা!”
আরও কিছু বলার আগেই ফারিশ উঠে অন্যদিকে চলে গেলো। আরও কিছুদিন কেটে গেলো। শক্রবারে ওভারটাইম করে সানাম যখন বাড়ি ফিরলো তখন লিভিংরুমে বুশরাকে দেখে অবাক হয়ে গেলো। শুধু বুশরাকে দেখলে কথা ছিলো সাথে ফারিশও বসে আছে। দুজনেই হেসে হেসে কথা বলছে। অন্তু আন্টিকে কিছু জিজ্ঞেস করতেই সানাম যেন থমকে গেলো। এমন কিছু শোনার আগে তার মৃত্যু কেন হলো না?”
চলবে।