“তৃ-তনয়া”
পর্ব- ৩৪
(নূর নাফিসা)
.
.
বিকেলে মেহেদী বাড়ি ফিরেছে জহিরুল ইসলামের পরে। জহিরুল ইসলাম ড্রয়িং রুমে বসে ছিল। মেহেদী তাকে দেখেও না দেখার ভান করে এক্সট্রা ভাব নিয়ে রুমের দিকে চলে গেলো। মেহেরুন ইসলাম চা নিয়ে এলে জহিরুল ইসলাম বললো,
– বজ্জাত কি একদিনে ভালো হয়ে যায় মেহেরুন?
মেহেরুন ইসলাম কিছু না বুঝতে পেরে অবুঝের মতো তাকিয়ে আছে। তাই জহিরুল ইসলাম বললেন,
– যে কাল পর্যন্ত বজ্জাত ছিলো সে আজ সকালে নাস্তা করে নিজের পকেট খরচ করে! গাড়ি রেখে অফিস যায় রিকশা করে! অন্যান্য দিন যতক্ষণ সামনে থাকে আব্বু আব্বু করে পাগল করে ফেলে! আর আজ সারাদিন স্যার স্যার বলে মাথা গোলমাল করে দিয়েছে! অফিস টাইম তো দূরে থাক! আয়ারও আগে অফিস গিয়ে হাজির! কাজ জোর করেও চাপিয়ে দিতে পারি না আর আজ চেয়ে চেয়ে কাজ নিয়ে নিয়েছে! না বুঝতে পেরে কিছুক্ষণ ম্যানেজারের পিছু পিছু ঘুরেছে কিছুক্ষণ শ্বশুরের সাথে পরামর্শ করেছে! যেই দেখেছে আমি গেলাম নিয়াজ ভাইয়ের কাছে সে আর সেখানে নেই। ঘন্টাখানেক পরপর ডেস্কে এসে কাজের হিসেব দিয়েছে! লাঞ্চ টাইম ক্যানটিন ছেড়ে রেস্টুরেন্ট গেছে। তাও একপয়সাও চায়নি! সারাদিন এতো মনযোগ দিয়ে কাজ করলো কিভাবে! আমি তো পরম থেকে চরম অবাক! দিনশেষে জানতে পারলাম যার ফোন ছাড়া এক মিনিট চলে না সে নাকি ফোন ম্যানেজারের কাছে জমা রেখেছে! আসার সময় বলে এলাম আমার সাথে গাড়িতে আসতে, কি সুন্দর বলে দিলো, “সরি, স্যার!” তারপর চলে গেলো রিকশা ডাকতে! তোমার কি বিশ্বাস হচ্ছে কিছু!
– চুপ থাকো! এতোদিন বজ্জাত বলতে বলতে ছেলেটার নামই ভুলে গেছো আর এখন ভালো কাজ করলেও শান্তি নেই, উপহাস করতে শুরু করেছো! কোন দিকে যাবে আমার ছেলে!
– আরে, তুমি এমন ক্ষেপে যাচ্ছো কেন!
– আবারও কথা বলো তুমি! ছেলেটা কাল থেকে না খেয়ে আছে! রাতে খাওয়ার মধ্য থেকে কিভাবে উঠিয়ে দিতে পারলে! আবার এখন রসিকতা করো! মেয়েটাও সারাদিন একটা ভাত মুখে তুলেনি! হাড়ি ভরা ভাত, এইবার তুমি খাও বেশি করে!
মেহেরুন হনহন করে চলে গেলো! কখনো নিজেই বলে আচ্ছা জব্দ করতে আর তেমন পদক্ষেপ নিতে গেলে আবার নিজেই বিপক্ষে চলে যায়! একেই বলে দরদী জননী! ভাবতে ভাবতে জহিরুল ইসলাম ঠান্ডা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন! যেন মেহেরুনের কথায়ই চা ঠান্ডা হয়ে গেছে!
নাহিদা রুমেই ছিলো ।মেহেদী তার হাতে খাবারের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বললো,
– তুমি খেয়েছো বুঝি?
– হ্যাঁ।
হাত থেকে প্যাকেট আবার নিয়ে বললো,
– নিষেধ করেছি না খেতে! এই মুহূর্তে তোমার আসবাবপত্র নিয়ে বের হও! আমার রুমের সীমানায়ও পা রাখবে না!
– আমার কি দোষ! আপনিই না বললেন, দুপুরে পরটা খেতে!
– অহ! তো সেটা তো বলবে পরটা খেয়েছো! আমি জিজ্ঞেস করেছি আম্মুর দেওয়া অন্যকোনো খাবার খেয়েছো কি-না!
– না।
– নাও, ধরো। এটাতে মোরগ পোলাও আছে। রাতের খাবার এটা।
– ক’দিন খাবেন এই মোরগ পোলাও? এতো টাকা আছে আপনার কাছে?
নাহিদার মাথায় ব্লেজারটা ঘোমটা ন্যায় ঝুলিয়ে দিয়ে মেহেদী বললো,
– পাচ হাজার নিয়েছি তো তোমার কাছ থেকে! আর তিনশো আছে না পার্সে, সেটাতেও এক বেলা খাওয়া যাবে। আরও থাকলে বের করো।
মেহেদীর কথা শুনে নাহিদার গা জ্বলে উঠেছে! তাই সে বললো,
– তিনশোর সাথে ষাট আছে। এতেও না হলে আমার মাথাটা দুভাগ করে মগজটা উঠিয়ে নিয়ে যান! এ-ই আছে আমার কাছে!
মেহেদী ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটিয়ে শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে ওয়ারড্রবের কাছে এসে বললো,
– এতো কষ্ট আমার দ্বারা সম্ভব না। মাথা ফাক করে তুমিই উঠিয়ে দাও মগজটা।
– আপনি কি অফিস যাননি?
মেহেদী পড়নের শার্ট খাটে ফেলে বললো,
– তোমার শ্বশুর মশাইকে গিয়ে জিজ্ঞেস করো। মানুষ একদিনে যা করে আমি তিন-চার দিনে তা করে এসেছি। অহ না, মানুষ তিন চার দিনে যা করে আমি একদিনে তা করে এসেছি।
মেহেদীর কথা শুনে নাহিদা মুচকি হেসে মাথা থেকে ব্লেজার সরিয়ে খাবারের প্যাকেট রাখতে রাখতে বললো,
– প্রথমটাই তো বিশ্বাস করার মতো ছিলো।
– হ্যাঁ, থাকবেই তো! উল্টো দুনিয়ার উল্টো নীতি আর সেই দুনিয়ায় বসবাসরত মানুষগুলোর উল্টো ভাবনা!
– বুলি উল্টো হলে ভাবনা তো উল্টো হবেই।
মেহেদী বাথরুমে চলে গেলো। নাহিদা শার্ট নিয়ে রেখে দিতে গিয়েও রাখলো না, ঘামের গন্ধ লেগে আছে কিছুটা। ধুয়ে দেওয়া উচিত। তাই শার্ট রেখে ব্লেজার তুলে রাখলো। মেহেরুন রুমে এসে বললো,
– মেহেদী কোথায়?
নাহিদা জবাব দেওয়ার আগেই মেহেদী বেরিয়ে এলো। মেহেরুন বললো,
– হাতমুখ ধুয়েছিস? চল ভাত খাবি।
– খাবো না ভাত। উপার্জন করে খেতে বলেছো না, উপার্জন করেই তারপর খাবো।
– না খেয়ে উপার্জন করবি কিভাবে! উপার্জন করতেও তো শক্তির প্রয়োজন আছে।
– খাচ্ছি তো। বাইরে থেকে কিনে খাচ্ছি না!
– বাইরের খাবার আর ঘরের খাবার কি এক!
মেহেদী কিছু বললো না। সে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে মাথা আঁচড়ে নিলো। মেহেরুন কাছে এসে পিঠে হাত বুলিয়ে বললো,
– জেদ করিস না বাবা। আয়নায় দেখ, মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে।
– আমার দেখতে হবে না। তুমিই দেখো বেশি করে।
– তোর আব্বু তো রেগে গিয়ে বলেছিলো। এখন তো আর রেগে নেই। সেই জেদ নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে! নাহিদাও খায়নি তোর কথায়। চল, খেয়ে নিবি।
– আর কখনো খাবো না ওই স্যারের উপার্জন! নিজে নিজেই চলতে পারি, দেখো শুধু তোমরা। ক্ষমতা আমারও আছে। কারো উপর নির্ভর করে নেই আমি। হুহ!
মেহেদীর চাপায় নাহিদার হাসি পাচ্ছে খুব! মেহেরুন ইসলাম চলে গেলো জহিরুল ইসলামকে পাঠানোর জন্য যাতে এই ঘাড় ত্যাড়া ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায় খাওয়ার জন্য। মেহেরুন যেতেই নাহিদা বললো,
– আপনি কি সত্যিই কখনো খাবেন না স্যারের উপার্জন!
– বিশ্বাস হচ্ছে না?
নাহিদা মাথা নেড়ে “না” বললো।
– আজ নিজের পকেট খরচ করে রিকশা করে অফিস গিয়েছি আবার এসেছি। এবার বিশ্বাস হয়েছে?
– অহ,তাই?
– জ্বি।
– তা আপনার পকেটে রিকশার ভাড়া আসলো কোথা থেকে?
– এতো তারাতাড়ি ভুলে যাও তুমি! বউয়ের পার্স থেকে নিয়েছি।
– একটা কথা বলবো?
– ঢং পেয়েছো! এতো কথা বলে এখন পারমিশন নিতে আসছো!
– না মানে এটা ভিন্ন কথা।
– কি কথা?
– আপনার বউয়ের পার্সের টাকাটা না, আপনার স্যারই দিয়েছিলো।
– কিহ!
– জ্বি, আমি তো আর চাকরি করি না। তাহলে আমার টাকা আসবে কোথা থেকে! বাবা এটা দিয়েছিলো কক্সবাজার যাওয়ার সময়।
– হোক, তাতে কি! দেওয়ার পর তো তোমারই ছিলো। তাই না! তাছাড়া আমি কিন্তু তোমার কাছ থেকে পাচ হাজার নেইনি। আড়াই হাজার নিয়েছি।
– মানে! আপনি আমার সামনে গুনে গুনে পাচ হাজার নিয়ে এখন বলছেন আড়াই হাজার নিয়েছেন!
– সকালে তোমার জন্য পরটা কিনে দিয়ে গেলাম, এখন মোরগ পোলাও নিয়ে এলাম। এগুলো কি আকাশ থেকে পড়েছে? এগুলো কিনতেও খরচ হয়েছে আমার। সুতরাং এর দায় অর্ধেক তোমার আর অর্ধেক আমার। আর তাই আমি আড়াই হাজার নিয়েছি। মাস শেষে বেতন পেয়ে পরিশোধ করে দিবো তোমার এই আড়াই হাজার টাকা।
– হুহ! অর্ধপাক্কা হিসাবী! লাগবে না আমার এই টাকা। যেখানে আপনার ত্রিশ হাজার লেগে যায় সাতদিনে সেখানে এই স্বল্প টাকায় আপনি মাস পার করবেন কিভাবে সেটা ভাবুন।
এমনি হাক পড়লো জহিরুল ইসলামের। রুমের দিকে আসতে আসতে মেহেদী ও নাহিদার নাম ধরে ডাকলো কিন্তু মেহেদী সাড়া দিলো না। নাহিদা মাথায় ওড়না দিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে এসে বললো,
– বাবা, কোন প্রয়োজন?
– হ্যাঁ, ভাত খাওনি কেন। খেতে যাও।
– বাবা, পরটা খেয়েছি তো দুপুরে।
– ঘরের খাবার বাদ দিয়ে বাইরের খাবার কেন খাবে। ভাত খাও গিয়ে।
মেহেদী জবাব দিলো,
– কেন খাবে স্যার! আমার উপার্জন নেই তো! যখন উপার্জন হবে তখন খাবে।
– কথাটাও তখনই বলো। এখন খেতে যাও।
– খাবো না আমি। মেহেদী যা বলে তা বলেই! কারো উপর আর নির্ভর হচ্ছি না! কাজ করতে জানি আমিও!
– একদিন কাজ করেই নিজের উপর নির্ভরতা এসে গেছে! কালই দেখবো আবার ফুড়ুৎ!
– মনীষীদের কথা, “অন্যের কথায় কান দিতে নেই বাপু! নিজের মনমতো চলো! পাছে থেকে থেকে বেকার লোকে কিছু না কিছু বলবেই!” তা এখন একদম হাড়ে হাড়ে প্রমাণ পাচ্ছি আমি।
– ওরে বাবা! কবি মনীষীদের আবার কবে থেকে স্মরণ করতে শুরু করেছো! তাছাড়া কোন মনীষী বলেছে এটা?
– তারা এটাও বলেছে মানুষ বেকার থেকে থেকে অন্যের কথায় প্যাঁচ ধরবেই! যা এখন কেউ ধরে যাচ্ছে আমার কথায়!
কথাটা বলে মেহেদী মাথায় টুপি দিয়ে বেরিয়ে গেলো বাবার সামনে দিয়েই! জহিরুল ইসলাম নাহিদাকে খেতে যাওয়ার জন্য বললো। নাহিদা বললো পরে খাবে। মাগরিবের আজান পড়ছে। নাহিদা শার্ট ধুয়ে দিয়ে নামাজ পড়ে নিলো। কিচেনে এসে দেখলো মেহেরুন রুটি তৈরির ব্যবস্থা করছে। সে হাত লাগাতে চাইলো। মেহেরুন তাকে নিষেধ করে নিজ হাতে ভাত বেড়ে প্লেট হাতে ধরিয়ে বললো,
– খেয়ে নে। ওই পাগলের কথা শুনিস না। মরবি ওর কথা শুনলে। তোকে পরটা দিয়ে গেলেও সে কিন্তু ঠিকই পেট ভরে নিয়েছে রেস্টুরেন্টে। নে ধর। সে আসার আগে আগে খেয়ে নে।
নাহিদা আর উপেক্ষা করতে পারলো না মেহেরুনকে! সে খেয়ে নিলো কিচেনে বসেই। যত তারাতাড়ি সম্ভব খাওয়া শেষ করে চুলায় আগুন ধরালো। মেহেরুন রুটি বেলছে আর সে তায়ে রুটি ছেকে নিচ্ছে। মেহেদী সিটি বাজাতে বাজাতে কিচেনে এসেছে। “রুটি বানাচ্ছো! ভাজি করোনি?” বলতে বলতে একটা রুটি পেচিয়ে নিয়ে এক কামড় বসিয়ে দিলো। নাহিদা তার দিকে তাকাতেই মেহেদীর মুখ নড়াচড়া থেমে গেলো! সে ভুলেই গিয়েছিলো সে যে রেগে আছে! মেহেরুনের দিকে তাকিয়ে দেখলো মুখে চাপা হাসি! নাহিদার দিকে আবার তাকিয়ে দেখলো তার মুখেও চাপা হাসি! সে রুটি আবার প্লেটে রেখে দিতে গেলে মেহেরুন তার হাত ধরে বললো,
– খা।
– উহুম। খাবো না। নাহিদা, তুমিও খাবে না।
মেহেদী সেটা প্লেটে রেখে মুখের টুকু চিবাতে চিবাতে বেরিয়ে গেলো। মেহেরুনের মুখটা মলিন হয়ে গেলো! নাহিদার খুব রাগ হচ্ছে তার উপর! এভাবে মাকে উপেক্ষা করে গেলো কেন! এক কামড় তো খেয়েই গেছে বেয়াদবটা! পুরোটা খেয়ে নিলে কি হতো! ঢং!
মেহেদী ইশার নামাজ পড়ে এসে দেখলো নাহিদা নামাজ পড়ছে। নাহিদার নামাজ শেষ হতেই সে খাবারের প্যাকেট নিয়ে খাওয়া শুরু করলো। নাহিদাকেও বসতে বললো কিন্তু নাহিদা বললো খাবে না। তাই মেহেদীর উক্তি,
– খেয়েছো বুঝি তুমি!
এখন যদি বলে খেয়েছে তাহলে সে নিশ্চিত রুম থেকে বের করে দিবে! তাই মিথ্যে বললো, সে খায়নি! আর পড়ে গেলো মহা বিপদে! মেহেদী তাকে খেতে বাধ্য করলো মোরগ পোলাও! একটু আগে ভাত খেয়ে এখন আবার মোরগ পোলাও! পেটের ভেতর মনে হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বইছে! খুব অসস্তি লাগছে নাহিদার! রুমের ভেতর পায়চারি করছে অসস্তি কমানোর জন্য! শুয়ে পড়তে যাবে এমন সময় একশন! সে এক দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলো! অসস্তি এবার বদহজম হয়ে বেরিয়ে এসেছে! বমি করে নাহিদা বেরিয়ে আসতেই মেহেদী বিস্ময়ের সাথে বললো,
– কি হয়েছে তোমার?
– মনে হয়..
– কি?
নাহিদা দৌড়ে আবার বাথরুমে চলে গেলো। আবারও বমি করছে সে! মেহেদী দরজা খুলে জোর গলায় ডাকলো,
– আম্মু????
মিনিটের মধ্যেই মেহেরুন দৌড়ে এলো।
– কি হয়েছে?
– দেখো, নাহিদা যেন কেমন করছে!
মেহেরুন ভয় পেয়ে গেছে! সে দ্রুত বাথরুমে এলো নাহিদার কাছে। জহিরুল ইসলামও ছুটে এসেছে রুমের দিকে। নাহিদার চোখেমুখে পানি ছিটকে, মাথায় পানি দিয়ে মেহেরুন তাকে ধরে এনে বিছানায় বসিয়ে বললো,
– ঠিক আছিস তুই?
– হ্যাঁ, মা।
– পেট ব্যাথা করছে?
– একটু একটু।
মেহেদী বললো,
– কেন, কি হয়েছে আম্মু?
– রাখ আরও না খায়িয়ে! সারাদিন খেয়েছে কিছু! নিজে তো খায়ই না মেয়েটাকেও খেতে দিলো না! উপার্জন করবে বেতন পাবে তারপর ভাত খাওয়াবে! আসছে আমার উপার্জন ওয়ালা!
জহিরুল ইসলাম বললো,
– ডাক্তারকে কল করবো?
মেহেরুন ইসলাম বললো,
– না, গ্যাস্ট্রিকের একটা ক্যাপসুল খায়িয়ে দিলেই হবে।
মেহেদী ছোটখাটো এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
– অহ, গ্যাস্ট্রিক! আমি ভাবলাম বাবু হবে!
এমন একটা পজিশনে তার মুখে এমন কথা শুনে সবাই হা হয়ে গেছে! জহিরুল ইসলাম আর এক সেকেন্ডও অপেক্ষা না করে চুপচাপ বেরিয়ে গেলো! মেহেরুনের খুব হাসি পেলো আর নাহিদার ইচ্ছে করছে মেহেদীর মাথা ফাটিয়ে দিতে! কিভাবে বাবামায়ের সামনে এভাবে তাকে লজ্জায় ফেলে দিলো! বিয়ের দু সপ্তাহ না যেতেই বাবু!