“তৃ-তনয়া”
পর্ব- ৪১
(নূর নাফিসা)
.
.
নাহিদা কলিং বেল বাজালে দরজা খুলতে দেখলো আয়াশকে। সে অবাক হয়ে আয়াশের থুতনি ধরে বললো,
– আয়াশ! তুমি কখন এলে?
– একটু আগেই তো এসেছি।
– আম্মু এসেছে?
– হ্যাঁ, আমি আম্মু আর আরিশা এসেছি।
– আব্বুকে নিয়ে আসোনি!
– আব্বু অফিস গেছে তো তাই আব্বুকে রেখেই চলে এসেছি।
– অহ, আচ্ছা। দরজা লাগিও না। তোমার মামা আসছে।
– মামাও এসে পড়েছে?
– হ্যাঁ।
– মামী, তোমার ভার্সিটি কি অনেক বড়?
– হ্যাঁ।
– আমার স্কুল থেকেও বড়?
নাহিদা তার মাথার চুল এলোমেলো করে বললো,
– হ্যাঁ, বাবা। ভার্সিটি স্কুল থেকে বড়ই হয়।
মেহেদীকে দেখতেই আয়াশ “মামা” বলে দৌড়ে দরজার ওপরে চলে গেলো। মেহেদীও হাত বাড়িয়ে তাকে কোলে তুলে নিয়ে কথা বলতে বলতে ভেতরে প্রবেশ করলো। মেহতাজের সাথে দেখা হতেই নাহিদা সালাম দিয়ে কথা বললো। আরিশাকে কোলে নিয়ে সে রুমে এলো। ফ্রেশ হয়ে সবাই একসাথে নাস্তা করে নেওয়ার পর নাহিদা জানতে পারলো, আগামী পরশুদিন তাদের বাড়িতে নাহিদার পরিবারকে দাওয়াত করা হয়েছে। আগামীকাল অফিসে মিটিং আছে তাই বাজার করার জন্য মেহেদীকে আজ বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। অবশ্য মেহেদীও জানতো না তাকে কেন পাঠানো হয়েছে। জহিরুল ইসলাম শুধু এটুকু বলেছেন যে, বাসায় তার প্রয়োজন আছে সেজন্য ছুটি। প্রয়োজনটা বাড়িতে ফিরে জানতে পেরেছে মেহেরুনের কাছে! আর মাথায় যেন তার মস্ত বড় বোঝা চেপে গেছে! এখন না গিয়েও উপায় নেই! না গেলে আবার পুরো অফিস তাকে সামলাতে হবে, জহিরুল ইসলাম বাড়িতে ফিরে আসবে!
মেহেদী তার বন্ধুদের কল করে একজনকে ম্যানেজ করতে পারলো। বাকিরা ব্যস্ত। জিহাদকে নিয়ে সে বেরিয়ে গেছে বাজার করার উদ্দেশ্যে। সাথে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে নাহিদার বুক লিস্ট!
সমস্ত কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরেছে সন্ধ্যায়! আজ তার চেহারা দেখে প্রকৃত অর্থে মনে হচ্ছে সে একজন পরিশ্রমী লোক! বাড়িতে ফিরে সে আবার গোসল করেছে কেননা এই ঠান্ডার মধ্যে ঘেমে একাকার! এই প্রথম নিজেকে নিজের কাছে ক্ষেত মনে হচ্ছে! “মানুষ কি এভাবেই বাচে!” এটা মেহেদীর নিজের কাছেই নিজের প্রশ্ন! উত্তরদাতা কেউ নেই! মেহেদীর ক্লান্তি নাশ করতে এবং শীতের সন্ধ্যা জমিয়ে দিতে নাহিদা তার জন্য কফি নিয়ে এলো। পিছু পিছু আরিশাও এসেছে। আরিশার সাথে বেশ ভাব জমে উঠেছে নাহিদার। সারাদিন আরিশা তার পিছু পিছুই ঘুরছে। মেহেদী মাত্রই টিশার্ট পড়েছে, ভেজা চুলগুলো তার এলোমেলো হয়ে আছে! অন্যরকম ভালো লাগছে এখন তাকে দেখতে। তার সামনে কফির কাপ ধরে বললো,
– ধরো সাহেব। শীতের সন্ধ্যায় এক কাপ গরম কফি দেহমন সবটা ফুরফুরে করে দিবে।
– ফুরফুরে করে দিবে নাকি আমাকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে!
নাহিদা হেসে বললো,
– শীতে কেউ পুড়ে যায়! আমি তো জানতাম সবাই জমে বরফ হয়ে যায়!
মেহেদী কফি কাপ হাতে নিয়ে বললো,
– জানবে কিভাবে! বাজার করেছো কোনোদিন! দুই টুকরো বরফ নিয়ে এসো।
– বরফ কেন!
– আমার হট হট লাগছে, সো কুল কুল হবো বরফ খেয়ে। যাও এবার। হারি-আপ…
নাহিদা তার কথামতো কিচেনে চলে গেলো। কাপ রেখে আরিশাকে কোলে নিলো মেহেদী। নাহিদা আবার রুমে এলে আরিশাকে নামিয়ে সে বরফ নিয়ে কফি কাপে দিলো এবং কফি নেড়েচেড়ে রুমে পায়চারি করতে লাগলো। নাহিদা আরিশাকে সাথে নিয়ে তার বইপত্র দেখতে লাগলো। মাঝে মাঝে দৃষ্টি উঁকি দিচ্ছে এলোমেলো চুল ওয়ালা লোকটার দিকে। যে কিনা, এক হাতে ফোন নিয়ে অন্য হাতে কফি কাপ নিয়ে রুমে পায়চারি করছে আর কোল্ড কফিতে চুমুক দিচ্ছে। মেহেরুন ও মেহতাজের সাথে গল্পগুজব শেষে ঘুমানোর সময় মেহেদীকে চোখ বুজে শুয়ে থাকতে দেখে নাহিদার মনে হলো সে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর এই ভেবে খুশি হলো যে সারাদিনের কাজের চাপে সকালের ঘটনা ভুলে গেছে। কিন্তু ঘটলো তার উল্টো কিছু! লাইট অফ করে সে বিছানায় শুয়ে পড়তেই মেহেদীর রিয়েকশন! সুড়সুড়িতে চুলকানি উঠিয়েছে মেহেদী! যতক্ষণ পর্যন্ত না নাহিদা হাপিয়ে উঠেছে ততক্ষণ পর্যন্ত তার কার্য চলামান ছিলো। নাহিদাকে হাসতে হাসতে হাপাতে দেখে মেহেদী হাসতে লাগলো এবং পানি এগিয়ে দিলো! নাহিদা পানি পান করে যেন হাফ ছেড়ে বাচলো! মেহেদী বললো,
– কেমন লাগলো?
– হুহ্! উনি সারাদিন কত কিছু করে সেটা কিছু না, আমি কিছু করলেই শোধ নিতে আসে! দুপুরে রিকশা ভাড়াটাও সম্পূর্ণ আমার পার্স থেকেই নিলো!
এতোক্ষণ হাসলেও এখন নাহিদা গোমড়া মুখু হয়ে বিড়বিড় করতে করতে অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পড়লো। হবেই না কেন! কিছুক্ষণের জন্য মনে হচ্ছিলো এই বুঝি সে দম আটকে মরে যাচ্ছে! সে বলে এখনো বেচে আছে। নাফিসার সাথে এমন কিছু ঘটলে এতোক্ষণে নির্ঘাত কোনো না কোনো অঘটন ঘটে যেতো!
লাইট অফ করে মেহদি তাকে কোলবালিশ ন্যায় ঝাপটে ধরে বললো,
– হু, নেবোই তো!
.
নাহিদার পরিবারসহ নাজিয়ার পরিবারকেও দাওয়াত করেছে জহিরুল ইসলাম। নাজিয়া ও আরাফ এলেও বাকিরা আসেনি। এদিকে মেহতাজের পরিবারকেও দাওয়াত করা হয়েছে, সাথে দাওয়াত করা হয়েছে মেহেদীর বন্ধুদের। তুর্যের সাথে আয়াতও এসেছে এখানে। মোটামুটি বড়সড় আয়োজনই করা হয়েছে বাসায়। সারাদিন ভালো কাটার পরেও একটুখানি ত্রুটি ছিলো! অন্যদের অনুপস্থিতিতে কথায় কথায় খোচা মেরে আয়াত নাহিদাকে বলেছিলো,
“ভালোই তো শ্বশুর বাড়ি পেয়েছো আপু! একেবারে রাজমহল! কুড়েঘর থেকে এতো বড় প্রাসাদ জুটে গেলো কিভাবে, ভাববার বিষয়!”
উপযুক্ত জবাব দিতে গেলে ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে এই ভেবে নাহিদা কোনো প্রতুত্তর করতে না চাইলেও দুর্ভাগ্যবশত সেটা রুমের দরজার পাশ থেকে মেহেদী শুনে ফেলেছে! যার ফলে মেহেদীর জবাব ছিলো, “সবাইকে নিজের মতো ভেবো না আয়াত! ও তোমার মতো দু চার বছর প্রেম করে সংসার বাধেনি, সংসার বাধার পর সংসারের প্রেমে আসক্ত হয়েছে। ছোট মানুষ ছোটদের মতোই থাকো। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরো না।”
নাহিদা ভয়ে ছিলো না জানি মেহেদীর কথায় প্যাচ লাগিয়ে আয়াত তুর্যকে জানিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু করে বসে! কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। আয়াতকে অনেকটা ভয়ার্ত দেখেছিলো মেহেদীর সামনে। নাহিদার ধারণা, তাকে এমন কথা শুনাতে পারলেও মেয়েটা মেহেদীকে ভয় পেয়েছে ঠিকই। কেননা সে আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা করেনি সেখানে! মেহেদী নাহিদাকে কিছু বলেনি, যদিও আয়াতের কথায় জবাব না দেওয়ায় সামান্য বিরক্তি নিয়েই তাকিয়েছিলো নাহিদার দিকে। যেটা নাহিদাও বুঝতে পেরেছে। তবে সে এটাও বুঝতে পেরেছে, মেহেদীর কথাগুলো যদি সে বলতো তাহলে নিশ্চিত কোনো না কোনো ঝামেলার সৃষ্টি করতো আয়াত! তাকে একটু হলেও চেনে নাহিদা। আয়াত সম্পূর্ণ না হলেও আংশিক তার মায়ের স্বভাবের!
উক্ত ঘটনার পর মনের অজান্তেই মেহেদীর প্রতি সম্মানটা বহুগুণ বেড়ে গেছে নাহিদার কাছে! হয়তো সে এতোটা সম্মানের যোগ্য বলেই বেড়ে গেছে!
মেহতাজ বাদে সন্ধ্যায় সবাই-ই চলে গেছে। মেহেদীর বন্ধুরা একটু দেড়ি করেই গেছে। ছাদে তারা আড্ডা দিয়েছিলো। আয়াত আরাফের সাথে সন্ধ্যায় চলে গেছে কারণ সে বেড়াতে যাবে বাবার বাড়ি। তুর্যও একটু সুযোগ পেলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার। তারা চলে যাওয়ার পর রাতের খাবার খেয়ে মেহেদী আয়াশকে সাথে নিয়ে রুমে চলে গেছে। নাহিদা মেহেরুন ও মেহতাজের সাথে গোছগাছ করে ঘুমানোর জন্য রুমে এসে দেখলো মামা ভাগিনা গলা জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। দেখতে খুবই ভালো লাগছে নাহিদার কাছে। এই ক’দিনে নাহিদা বুঝতে পেরেছে মেহেদী বাচ্চাদের খুব ভালোবাসে। কেননা, আয়াশ আরিশা এলে সে বাসা থেকে কমই বের হয়। আর বাচ্চাদের মতো দুষ্টুমি, খেলাধুলা তো আছেই!
সে বাথরুমে ফ্রেশ হয়ে এলে দেখলো আয়াশকে ডাকতে ডাকতে মেহতাজ এসেছে রুমে। তাদের দেখে বললো,
– বারে! কি সুন্দর ঘুমিয়ে পড়েছে দুজন! আয়াশ…
নাহিদা বাধা দিয়ে বললো,
– থাক না, আপু। ঘুম ভেঙো না শুধু শুধু। আজ এখানেই থাকুক।
– না, ও ঘুমের মধ্যে নড়াচড়া করে বেশি। আবার রাতে তুলতে হয় বাথরুমে যাওয়ার জন্য।
– থাকুক। সমস্যা নেই। আমি না হয়, তার মামা উঠাবে।
মেহতাজ চলে গেলো। নাহিদা দরজা লাগিয়ে এসে কম্বল টেনে শুয়ে পড়লো একপাশে। যতক্ষণ জেগে ছিলো ততক্ষণ শুধু ওদের দুজনকেই দেখছিলো সে!
সকালে এলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলো নাহিদার। হাত-পা বাধা, কাধে পড়ছে উষ্ণতার ছোয়া, কানে ভেসে আসছে লম্বাটে শ্বাসপ্রশাসের শব্দ, নড়াচড়া যেন তার একদম নিষিদ্ধ! চোখ খুলে তাকিয়ে দেখতে পেল তার এক হাত ঝাপটে ধরে কাচুমাচু হয়ে শুয়ে আছে আয়াশ আর পেছন থেকে হাত পা সব তুলে দিয়ে ঝাপটে ধরে শুয়ে আছে মেহেদী! মামা ভাগিনার মাঝে যেন সে চাপা পড়ে আছে! সে তো একপাশে ছিলো, তাহলে দুজনের মাঝে এলো কিভাবে! হয়তো রাতে ঘুম থেকে উঠে মেহেদী এপাশে চলে এসেছে। কিন্তু এখন উঠবে কিভাবে এখান থেকে! এলার্মও বেজে চলেছে বিরতিহীন! নাহিদা ঘাড় ঘুরিয়ে মেহেদীর দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে ডাকলো তাকে। ডাকে সাড়া দিয়ে মেহেদী আরও জড়ো হয়ে গেছে। নাহিদা আয়াশের কাছ থেকে তার হাত মুক্ত করে এবার ঠেলতে শুরু করলো মেহেদীকে। এতেই অবশেষে মেহেদীর ঘুম ভাঙলো। দুজনেই উঠে চলে গেলো নামাজ আদায় করতে।
.
ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতে বলতে ক্যান্টিনের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে নাফিসা। তাদের থেকে কিছুটা দূরে মাঠের মধ্যে তিনটা কুকুর হঠাৎ করেই ঝগড়া লেগে ঘেউঘেউ করে উঠলো! তারা উভয়েই ভয় পেয়ে ছোটখাটো চিৎকার করে উঠলো এবং ঝাপাঝাপি করে দৌড় দিতে চাইলো। দুর্ভাগ্যবশত নাফিসা আশিকের উপর হেলে পড়ে পায়ে পাড়া দিলো! আশিক ব্যাথা পেয়ে “আউচ!” শব্দ করে উঠলো এবং নাফিসাকে ধরে সোজা করে বললো, “আরে, আস্তে! কুকুর আসবে না এদিকে!”
– সরি, সরি, সরি…
আশিকের সাথে থাকা দুজন ঢিল মেরে কুকুরকে তাড়া করলো। নাফিসা সোজা হয়ে দাড়িয়ে তার ফ্রেন্ডের কাধে একটা থাপ্পড় মারলো। কেননা তার ফ্রেন্ডের অসাবধানতার সাথে ধাক্কায়ই সে পড়ে গেছে! আর পাড়া লেগেছে আশিকের পায়ে! ফ্রেন্ডকে থাপ্পড় দেওয়ার পর নাফিসা আশিককে আবার বললো,
– সরি ভাইয়া। আমি দেখিনি! ব্যাথা পেয়েছেন নিশ্চয়ই।
– না, ঠিক আছে।
– ব্যাথা পেয়েছেন, আবার ঠিক থাকে কিভাবে! সরি, আমি একদমই খেয়াল করিনি!
– ইট’স ওকে।
– এক মিনিট দাড়ান, আমি পানি নিয়ে আসছি।
– আরে, তেমন কিছুই হয়নি! নাফিসা…
নাফিসা তার কথায় কোনো পাত্তা দিলো না। সে নিজের কাজ করতে ব্যস্ত। দ্রুত ক্যান্টিনে এসে ঠান্ডা পানি কিনে আবার বেরিয়ে এলো। আশিকের দিকে বোতল এগিয়ে দিয়ে বললো,
– জুতা খুলে পানি দিন। ঠান্ডা পানি।
আশিক বোতল হাতে নিয়ে মুচকি হেসে বললো,
– ভালোই হয়েছে, পিপাসা লেগেছে আমার। তৃষার্ত দুপুরে ঠান্ডা পানির জন্য থ্যাংকস।
কথাটুকু বলতে বলতে বোতলের মুখ খুলে নিলো। অত:পর পায়ে না ঢেলে পানি পান করতে করতে হাটতে লাগলো আশিক। নিজেকে অনুতপ্ত মুক্ত করতে পেরে নাফিসা মৃদু হেসে তার ফ্রেন্ডকে বললো,
– স্টুপিড, ইদুরে বাদুর! চল!
– তুই কি! তুইও তো ভীতুর ডিম!
দুজন দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া করতে করতে তাদের গন্তব্যে অগ্রসর হলো। এদিকে হাটতে হাটতে আশিকের এক ফ্রেন্ডের উক্তি,
– কিরে দোস্ত, বড় বেয়াইনকে হারিয়ে এখন আবার ছোটজনের সাথে নতুন করে শুরু করলি নাকি! যাক, বেমানান না। এবার সবদিক থেকেই পারফেক্ট।
– ধ্যাৎ! ওসব বলিস না কখনো। ভালো লাগতে হলে প্রকৃত অর্থে এককভাবে একজনকেই ভালো লাগে।
– তাহলে কি এখনো নাহিদাকে নিয়ে ভাবিস?
– মোটেও না। যে ভাগ্যে নেই, তাকে নিয়ে ভাবারও কোনো প্রশ্নই আসে না। যার যার মতো ভালো থাকুক সবাই। আমিও আমার মতো ভালো আছি।