“তৃ-তনয়া” পর্ব- ৮২

0
2499

“তৃ-তনয়া”
পর্ব- ৮২
(নূর নাফিসা)
.
.
শেষ বিকেলে ইমরান কল করলো। আজ নাফিসা ফোন রিসিভ করে সালাম দিতেও ভুলে গেছে। ইমরান কিছু বলার আগে সে-ই মেজাজী কন্ঠে বললো,
– কি হইছে?
– কোথায় কি হয়েছে?
– কল করছেন কেন?
– আগে বলো তোমার কি হয়েছে?
– কিছু না।
– তাহলে এতো রেগে আছো কেন?
– কেন কল করছেন বলবেন? নাকি কল কেটে দিবো?
– তোমার ইচ্ছা।
সাথে সাথেই কল কেটে দিলো নাফিসা! কিছু ভালো লাগছে না তার! সেই তখন থেকে কান্না ধরেছে এখনো বিরতি নিয়ে নিয়ে ফুপিয়ে কাদছে! মা এসে দেখে মাঝে মাঝে বকে যায়। রুমানা যখন বলে,
“এইসব আজাইরা ঢং বাদ দে। একটুখানি নাক ফুটো করছে সারাদিন তা নিয়ে মুখ ফোলানি, নাক ফোলানি আর চোখ ফোলানি!”
তখন কান্নার সাথে নাফিসার জবাব,
” তুমি বুঝবা কি? তোমার নাক ফুটো করছে নাকি আমার! অন্যেরটা দেখলে মজাই লাগে। নিজেরটা করলে বুঝতা!”
“না, আমি বুঝবো কি করে! আমার কি আর জীবনে নাক ফুটো করছি! বিশ্বে তো এই প্রথম তুই ই করলি। তাই না?”
“বাবা…..!”
কথা বলার ইচ্ছে নেই তবুও বারবার এসে এমন রাগিয়ে দেয়! ক্ষণে মা আর ক্ষণে নাহিদা! আর নাফিসা রেগে গলা বাড়িয়ে চিৎকার করে বাবাকে ডাকে! কেবল নাজিয়া ই সান্ত্বনা দানকারী! নাক ফুটানোর পর থেকে সারাদিন যেন এই ম্যাজিক দেখাদেখি চললো তাদের!
ইমরান আর কল করেনি। ইমরানের কথা একবারের জন্যও মনে হয়নি নাফিসার! রাতে তারাতাড়িই ঘুমিয়ে পড়েছিলো।
সকাল এগারোটা বাজে। কালকের মতো মুড খারাপ নেই আর। তবে ব্যাথা রয়ে গেছে। কিছুক্ষণ আগে নাস্তা করে বারবার আয়নায় দেখছিলো নিজেকে। নাকফুলে তাকে কেমন দেখাচ্ছে! নাকটা কতটা ফুলে গেছে! নাকটা কি এখনো লাল হয়ে আছে! পরে রিংটোন বেজে উঠলে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো নিশাতের কল এসেছে। গতকাল আরমানের সাথে জেরিন এবং সে শপিং করে এসেছে। সেসব নিয়েই গল্পগুজব করলো কিছুক্ষণ। কথা শেষে কল কেটে দিতেই মনে পড়লো ইমরানের কথা! দিনে সে দু-তিন বার কল করে। অথচ দুপুর হয়ে গেছে আজ একবারও কল করলো না। এমনকি রাতেও কল করেনি! সে তো ঘুমিয়ে পড়েছিলো, তাহলে কি মেসেঞ্জারে নক দিয়েছে? নাফিসা অনলাইনে এসে দেখলো কোনো টেক্সটও আসেনি ইমরানের আইডি থেকে! পরক্ষণে গতকালের কথা মনে হতেই কিছুটা নিশ্চিত হলো সে রাগ করেছে হয়তো! তারই বা করণীয় কি ছিলো! মনমেজাজ ভালো না থাকলে কি কারো সাথে ভালো আচরণ করা যায়!
ভাবতে ভাবতে সে ইমরানের নম্বরে ডায়াল করে ফেললো। ইমরান রিসিভ করে সালাম দিতেই নাফিসা সালামের জবাব দিলো এবং বললো,
– কি করছিলে?
– অফিসে আছি।
– কল করনি কেন আজ?
– প্রয়োজন পড়েনি তাই।
– রাগ করছো?
– কেন কল করেছো সেটা বলো।
– হুহ্! এরপর আমি বলবো এমনি আর তুমি বলবে কেন কল করেছো বলবে নাকি কেটে দিবো! তারপর আমি বলবো তোমার ইচ্ছে আর তুমি টুট টুট টুট করে কেটে দিবে। এই তো?
নাফিসার বলা শেষ হতেই ইমরানের কথার পরিবর্তে টুট টুট টুট শব্দ এলো কানে! কল সত্যিই কেটে দিয়েছে! নাফিসার প্রচুর রাগ হচ্ছে! কত বড় স্টুপিড! ভালোমন্দ কিছু না বলেই কেটে দিলো! নাকি ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে!
নাফিসা দ্রুত তার ফোনের ব্যালেন্স চেক করলো। যথেষ্ট আছে! তাহলে ইমরান ইচ্ছে করেই কেটে দিয়েছে সে নিশ্চিত! তাই আবার কল করলো। রিসিভ হওয়ার বদলে রিজেক্ট! আবার দিলো একই কাজ করলো! এবার নাফিসা একের পর এক কল দিতেই থাকবে এই সিদ্ধান্ত নিলো! কথা হোক বা না হোক, তাকে বিরক্ত করেই ছাড়বে।
“ইমরাইন্নার বাচ্চা, তুই কথা বলবি না? তোর ঘাড় কথা বলবে! ওহ্, না! তোর পেট, কণ্ঠনালি, মুখ কথা বলবে!”
বারবার কল দিতে থাকলে ষষ্ঠ বারের মাথায় রিসিভ হলো। নাফিসা কিছু বলার আগেই ইমরান বললো,
“ব্যস্ত আছি। একটু পর কল করছি।”
এটুকু বলেই আবার কেটে দিলো! নাফিসা শুরুতেও সুযোগ পেল না, শেষেও না! তবে সে যেহেতু বলেছে কল করবে তো নিশ্চয়ই করবে। সেই আশায় ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে। কিচেনে মা এবং আপুরা ভুট্টা ভেজে খাচ্ছে। কয়েকবার হাক পড়লো নাফিসাকে যাওয়ার জন্য। সে ফোন হাতে নিয়েই চলে গেলো। মুঠো ভর্তি ভুট্টা খেতে খেতে কথা বলছিলো। দশবারো মিনিট পর ইমরানের কল আসতেই সে ভুট্টা হাতে নিয়ে আবার রুমে চলে এলো।
– হ্যালো?
– বলো কি বলবে?
– আমি কি বলবো? তুমিই না কাল কল করেছিলে কিছু বলার জন্য!
– এভাবে কি টাইম নষ্ট করছো না?
– ওই, আমি কল করলেই তোমার টাইম নষ্ট হয়ে যায়! যাও আর জীবনেও কল করবো না!
– আমি অফিসে এসেছি, জানো না তুমি?
– তো, ব্যস্ত আছো জেনে তো আমি আর কল করিনি! এখন তুমিই তো কল দিলে। তাহলে আবার এতো ব্যস্ততা দেখাচ্ছো কেন!
– আচ্ছা, ব্যস্ততা দেখাবো না। বলো এবার।
– রেগে আছো আমার উপর?
– না, আমার সেই অধিকার আছে নাকি! আমাকে তো সবার রাগ দেখে যেতে হয়।
– হ্যাঁ, আর রাগ ভাঙাতেও তো হয়।
– হুম, হয়তো বা! আরও কিছু বলবে?
– কালকে মেজাজটা একটু খারাপ ছিলো তাই এমন করেছি।
– সে আর নতুন কি! আমি বলতে সবসময়ই তোমার মেজাজ খারাপ থাকে।
– এখন কি বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না!
– হ্যাঁ, আমি বললে তো বেশি বেশিই হয়ে যায়! তুমিই বলো। আমি চুপ থাকি।
– আমি কোনো বোবা জাত প্রাণীর সাথে ফোনে কথা বলছি না নিশ্চয়ই যে, শুধু আমাকে একা কথা বলতে হবে!
– কথা বললেও দোষ আবার না বললেও দোষ! তো আমার কি করা উচিত!
– যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু বলবে।
– আচ্ছা? কি বলবো? বলো?
– জিজ্ঞেস করবে না, কেন মেজাজ খারাপ ছিলো?
– জানানোর ইচ্ছে থাকলে জানাও।
নাফিসার প্রচুর রাগ হচ্ছে এ ধরনের কথা শুনে! ইচ্ছে তো করছে ফোনেই স্টুপিডটাকে ধোলাই করতে! কিন্তু তার আচরণের কারণেই ইমরান মন খারাপ করে আছে বিধায় নিজের রাগ কন্ট্রোল করে বললো,
– গতকাল আমার নাক ফুটো করছে। তাও আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে! ওটা নাক ফুটানো ছিলো না! ওটা ছিলো অপারেশন সার্চলাইট! একাত্তরে ২৫শে মার্চ রাতে যেটা ঘটেছিলো, গতকাল দুপুরে সেটা ঘটেছে আমার সাথে। ঘুমের মধ্যে নাক ফুটো করা! ঘুমটা তো নষ্ট করছেই, সাথে আমার নাকটাও শেষ করে দিছে! এখনো নাকে হাত লাগাতে পারি না পর্যন্ত, এতোটা ব্যাথা! খুব রেগে ছিলাম সবার উপর আর সেই প্রভাব তোমার উপরও!
ইমরান এতোক্ষণ গম্ভীর হয়ে থাকলেও এখন অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। মন ভালো হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছে কিন্তু এই মুহূর্তে তার হাসিটা মোটেও পছন্দ হলো না নাফিসার! সে ধমকের সুরে বললো,
– এতো হাসির কি আছে, স্টুপিড! অন্যের দুঃখ দেখলে হাসি পায় খুব? আমি ব্যথায় কাতর আর তুমি বসে বসে দাত কেলাও!
– আহারে, বউ? খুব ব্যথা লাগছে?
– হু।
– শুধু কি ফুল পড়ার জন্যই ফুটো করেছো? আরেকটা যে নোলক পড়ে ওইটা ফুটাও নি?
– উহু।
– তাহলে ওইটাও ফুটো করে নিও। কেমন?
– একটার জন্যই আমার প্রাণ যায় আর আসে আবার আরেকটা করতে বলছিস! সামনে থাকলে এখন ভুট্টা ছুড়ে মারতাম তোর মুখে! ফোন রাখ!
– ভুট্টা খাচ্ছো বুঝি?
নাফিসা সাথে সাথেই কল কেটে দিলো! কোথায় তার মন ভালো করতে গেলো সে, আর এদিকে উল্টো তাকেই রাগিয়ে দিলো! এই নাকের জন্য, শুধুমাত্র এই নাকের জন্য তার দিনগুলো খারাপ যাচ্ছে! এখন তো খুব কান্না করতে ইচ্ছে করছে! সবাই শুধু তাকে রাগিয়ে দিতে প্রস্তুত! কোথাও শান্তি নেই! হুহ্! ভুট্টা খাওয়ার রুচি কি আর আছে! ভুট্টার জায়গায় তো এখন ইমরানকে দাতের দুই পাটির চিপায় ফেলে চিবাতে ইচ্ছে করছে!
অতি রাগ এবং কষ্টে নাফিসার চোখে পানি চলে আসছে। সে হাতের ভুট্টা কিচেনে বাটিতে রেখে আবার হনহন করে ঘরে চলে এলো। নাহিদা জিজ্ঞেস করেছিলো, “কে ফোন করেছে? কাকে এমন বকে দিলি?”
কিন্তু তার কোনো জবাব নেই। এদিকে ইমরান কল করেই যাচ্ছে। নাফিসা ফোন বন্ধ করে রেখে গোসলের জন্য চলে গেলো। দুপুরে খেতে ইচ্ছে করছে না তবুও খেতে হলো বাকিদের প্রেশারে! কিছুই ভালো লাগছে না! সব যেন শুধু তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই চলছে! সবকিছু ভুলতে এবং মেজাজটাকে ঠান্ডা করতে ঘুম দিলো।
ঘুম ভাঙলো কারো কান্নার শব্দ শুনে! কেউ যেন আ….. এএএ…. উহু উহু হু… করে কান্না করেই যাচ্ছে আর করেই যাচ্ছে! খুব বিরক্তি নিয়ে সে চোখ খুলে তাকালো। চোখের সামনে দেখতে পেল ইমরানের হাসিমাখা মুখখানা! আর কানের পাশে চিৎকারের শব্দওয়ালা নাহিদার ফোন! এটা দিয়ে ইমরান তার ঘুম ভাঙাচ্ছে! সে ঝটপট উঠে বসে দেখলো ফোনে নাহিদার করা গতকালের ভিডিও! কান্না আর কারো না, সেটা তারই কান্নার আওয়াজ! সত্যিই কি সে এভাবে কান্না করে, নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য! ইমরান বললো,
– তুমি কি সত্যিই এভাবে কান্না করো? আমার বিশ্বাস হচ্ছে না! আমি তোমাকে কান্না করতে দেখেছি নূর। কিন্তু এভাবে কান্না করতে দেখিনি কখনো!
নাফিসা ফোন হাতে নিয়ে ভিডিওটা ডিলিট করে বললো,
– আপনি এখানে কেন, আর এই ফোনই বা আপনার হাতে কেন!
– আগে ফ্রেশ হয়ে এসো, তারপর বলি।
– না, এখন বলবেন।
– আমি এসেছি তোমাকে নিয়ে শপিংয়ে যাওয়ার জন্য। এলাম, বসলাম, কথাবার্তা বললাম, লাঞ্চ করলাম তারপর ভাবি তোমার পাগলাটে কর্মকাণ্ডের কথা জানালো, অত:পর আপু এনে ভিডিও দেখালো!
নাফিসা নাহিদার ফোন নিয়ে পাশের রুমে এসে নাহিদাকে দেখে বললো,
– খুব মজা পাও না? ভাইয়াকে বলে এর বিহিত করে ছাড়বো, দেখে নিয়ো।
– আচ্ছা, দেখবো। তবে একটু সাবধানে থাকিস, তোর ভাইয়ার আবার মজাতে এলার্জি আছে। উল্টো না আবার তোর কর্মকাণ্ড দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়!
নাফিসার মুখভঙ্গি দেখে নাজিয়া বললো,
– নাহিদা, চুপ কর তো। নতুবা পিটুনি খাবি। নাফিসা, হাতমুখ ধুয়ে আয়।
নাহিদা হাসতে লাগলো। নাফিসা চলে গেলো ফ্রেশ হতে। নিজেকে যথাযথ ফ্রেশ করে ইমরানকে বললো,
– আপনি হঠাৎ এখানে এসেছেন কেন?
– এতো কম তোমার স্মরণশক্তি! রেডি হও দ্রুত। শপিংয়ে যাবো।
– কিসের শপিং?
– বিয়ের পর তো কিছুই কিনলে না। বিয়ের শপিংও হলো না। লাগবে না নাকি কিছু?
– না।
– বাহ! কি ভাগ্য করে একটা বউ পেয়েছি আমি! জেরিন তো প্রত্যেক অকেশনে শপিংয়ে যায় আর তুমি নিজের বিয়েতেও শপিং করলে না!
– আমি তো আর জেরিন না।
– সত্যিই লাগবে না কিছু? আমি কিন্তু সময় নিয়ে এসেছি। দ্বিতীবার না-ও পেতে পারি। সবসময় সুযোগ হয় না। তারতাড়ি বলো। যাবে না?
– নিয়ে গেলে যাবো না কেন!
ইমরান মুচকি হেসে বললো,
– পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেডি হও। সন্ধ্যার আগে যেন ফিরতে পারি।
নাফিসা আসরের নামাজ আদায় করে বোরকা হিজাব পড়ে রেডি হয়ে গেছে। ইমরান জিজ্ঞেস করেছিলো, “কোথায় যাবে?” নাফিসা জানিয়েছে ,”গরিব মানুষ আমি তাই গরিবের মার্কেট নিউমার্কেটে যাবো!” ইমরান তাকে সেখানেই নিয়ে গেলো। ঘুরেফিরে কেনাকাটা করে মাগরিবের পরপর বের হলো। মার্কেটের এক কসমেটিকসের দোকানের সামনে নাফিসাকে দাড় করিয়ে ইমরান মাগরিবের নামাজ আদায় করেছিলো। দোকানে মহিলা কর্মরত থাকায় এখানে রেখে যেতে কিছুটা স্বস্তি বোধ করেছিলো। পরক্ষণে রাস্তায় বেরিয়ে এসে বললো,
– কিছু খাবে?
নাফিসা মনে মনে বললো,
“অবশেষে মুখ থেকে বের হলো! এতোক্ষণ তো সেটাই ভাবছিলাম, সেই কখন থেকে ঘুরছি একবারও খাওয়ার কথা বলে না কেন!”
আর প্রকাশ্যে বললো,
– ঘুরতে ঘুরতে ক্ষুধা লাগছে।
ইমরান আশেপাশে তাকিয়ে রেস্টুরেন্টের পথ ধরে ছোট ছোট কদম ফেলতে ফেলতে বললো,
– তাইতো জিজ্ঞেস করলাম। কি খাবে বলো।
নাফিসা তার সাথে তাল মিলিয়ে হাটতে হাটতে আশেপাশে তাকিয়ে বললো,
– ফুচকা, নিমতি।
– এসব খাওয়ার জিনিস হলো! ভালো কিছু বলো যেগুলোতে পেট ভরবে।
– উম্মম… তাহলে সস দিয়ে পুরি, নতুবা পিয়া…
নাফিসা কথা শেষ করতে পারলো না ইমরান তার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো! তার চাহনি দেখেই নাফিসা কথা ঘুরিয়ে বললো,
– ওইতো হালিম! হালিম খাবো। আর কিছু না। ওকে?
– না। হালিমও খাওয়া যাবে না। এটা আরও বেশি অস্বাস্থ্যকর। খেতে হলে বাসায় তৈরি করে খেও। আর তোমার ভাজা পুরি খাওয়া একদম নিষেধ।
নাফিসা মুখে বিরক্তিকর ভাব এনে বললো,
– তাহলে এক কাজ করো। কোনো খাবার কিনতে হবে না বরং লোকটাকে কিনে নাও। বাসায় গিয়ে স্বাস্থ্যকর হালিম তৈরি করে খাওয়াবে।
ইমরান হেসে তার হাত ধরে হাটতে হাটতে বললো,
– এতো কথা জানে রে! তোকে দোসা খাওয়াবো, চল…
অত:পর নিজেরা খেয়ে বাড়ির সদস্যদের জন্য কিছু প্যাকেট করে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here